Translate

Search This Blog

বিশেষ সতর্কবার্তাঃ

এই ব্লগটি নাস্তিক, অজ্ঞেয়বাদী, সন্দেহবাদী, মুক্তমনা এবং স্বাধীনচেতা মানুষদের জন্য। যারা যেকোন বিষয়ের সমালোচনা সহ্য করার মত ক্ষমতা রাখে। যদি কোন ধার্মিক, গোড়া ধার্মিক আস্তিক এই ব্লগটিতে আসে তবে তার ধর্মানুভূতি নামের অদ্ভূত দূর্বল অনিভূতি আঘাতপ্রাপ্ত হলে ব্লগ লেখক দায়ী থাকবে না। ধার্মিক, গোড়া ধার্মিক আস্তিকদের নিজ দায়িত্বে তাদের দূর্বল ধর্মানুভূতিকে সংরক্ষনের দায়িত্ব নিতে হবে। কারো ধর্মানুভূতি নামের অযৌক্তিক অনুভূতি আহত হবার জন্য কোন ক্রমেই ব্লগার বা লেখককে দায়ী করা যাবে না। যদি কোন অতি দুর্বল ধর্মানুভূতি সম্পন্ন ব্যাক্তি এই ব্লগে ভূল করে ঢুকে পরেন এবং তিনি তার অনুভূতিকে দূর্বল ভাবেন অর্থাৎ যিনি তার ধর্মের উপযুক্ত সমালোচনা সহ্য করতে অপারগ, তাকে বিনীত ভাবে এই ব্লগটি থেকে প্রস্থান করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। এর পরেও যদি কোন দূর্বল ধর্মানুভূতি সম্পন্ন ব্যাক্তি এই ব্লগটিতে ঘুরাফেরা করেন এবং তার ফলে তার দূর্বল ধর্মানুভূতিতে আঘাত প্রাপ্ত হন তবে কোন ক্রমেই এবং কোন ক্রমেই ব্লগের মালিক, 'আমি নাস্তিক' দায়ী থাকবে না।

Sunday, January 31, 2016

একজন অন্ধবিশ্বাসী কুসংস্কারাচ্ছন্ন মানুষের সাথে বিতর্ক (পর্ব ১) দ্বিতীয় অংশ



প্রথম অংশের পর...
শুভ্র আহমেদ বলেছিল- মানুষ কতো টা অজ্ঞ হলে এমন কথা বলতে পারে! আমার জানা নেই বাচ্চাদের মতোই বড় অবুঝ আপনার মন, মানুষের জন্ম মৃত্যুর সাথে পশু পাখির জন্ম মৃত্যুর মিল খোঁজেন? তাহলে ভুল করবেন আপনাকে সহজ ভাবে বলি, একটা ছাগল প্রতিবার কম করে - টা বাচ্চা উৎপাদন করে, এরকম মৃত্যুর আগে অনেক বার করে থাকে মানুষ আর ছাগল কি এক অনুপাতে সন্তান প্রসব করে! ছাগলের মতোই আপনার অজ্ঞতা

Friday, January 29, 2016

আস্তিকদের অযৌক্তিক, কুযৌক্তিক, অপযৌক্তিক এবং অপ-বৈজ্ঞানিক প্রশ্নের যৌক্তির ও বৈজ্ঞানিক উত্তর। (পর্ব ৮)



আস্তিকদের অযৌক্তিক, কুযৌক্তিক, অপযৌক্তিক এবং অপ-বৈজ্ঞানিক প্রশ্নঃ
এ জীবন একটা পরীক্ষা। এটা ফলাফলের জায়গা নয়। এজন্যই সৃষ্টিকর্তাকে মানুষ কোনদিন খুজে পাবে না। মানুষের এই জীবনে বিশ্বাসের পরীক্ষা নেওয়ার জন্যই সৃষ্টিকর্তা মানুষকে পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন। তাই মানুষ সৃষ্টিকর্তার সন্ধান কখনই পাবে না। সৃষ্টিকর্তাকে না দেখেই যারা তাকে বিশ্বাস করবে তারাই হবে সৃষ্টিকর্তার প্রিয় পাত্র। তাদেরকেই সৃষ্টিকর্তা পরকালে পুরস্কৃত করবেন। এজন্যই সৃষ্টিকর্তাকে কেউ কখনও দেখেনি।

Tuesday, January 26, 2016

একজন মৃত্য পথযাত্রি ধার্মিকের শেষ ইচ্ছা



শৈশবে সব মানুষের ক্ষেত্রে যেটা ঘটে আমার ক্ষেত্রেও তাই ঘটেছিল। আমার বাবা মা আমাকে তাদের ধর্ম বিশ্বাস আমার মধ্যে ঢুকিয়ে দিয়েছিল। আর তাই আমি বাবা মার বিশ্বাস করা ধর্মটিকেই একমাত্র সত্য বলে বিশ্বাস করে এসেছি সারা জীবন। আমার বাবা মা যেমন তাদের ধর্মকে একমাত্র সত্য বলে বিশ্বাস করে ঠিক সেভাবে আমিও সেই ধর্মটিকে একমাত্র সত্য ধর্ম বলে বিশ্বাস করি। শৈশবে আমাকে বাবা মা যে সব শিক্ষা দিয়েছিল সেগুলোকেই আমি একমাত্র নৈতিক কর্তব্য হিসেবে গ্রহন করেছি। ধর্মহীনদের ধারণা আমি আমার ধর্মবাদী আস্তিক কারণ আমার বাবা মা আমাকে চিন্তার এবং বিশ্বাস করার স্বাধীনতা দেয়নি। ধর্মহীনদের দাবী আমি আমার বাবা মার অন্ধবিশ্বাসগুলোকেই অন্ধের মতো বিশ্বাস করে আসছি। কিন্তু আমি জানি আমি অন্ধবিশ্বাসী নই। আমার বাবা মা যদিও তাদের ধর্মটিকেই আমার উপর চাপিয়ে দিয়েছিল যেভাবে পৃথিবীর সব শিশুকে তার বাবা মা তাদের ধর্ম চাপিয়ে দেয় সেভাবেই। কিন্তু আমি জানি আমি অন্ধবিশ্বাসী নই।

Sunday, January 24, 2016

আল্লাহ অজ্ঞতায় মুহাম্মদকেও হার মানায় ! (পর্ব ৬)


মুসলমানরা দাবী করে যে তাদের সৃষ্টিকর্তা (অর্থাৎ মুসলমানদের ঈশ্বর) সর্বজ্ঞানী। বিশ্বজগতের এমন কোন জ্ঞান নেই যে মুসলমানদের সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ সেসব জানে না। অর্থাৎ মুসলমানদের দাবী অনুযায়ী তাদের সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ বিশ্বজগত সম্পর্কে সব কিছুই জানে। মুসলমানদের দাবী অনুযায়ী আল্লাহ তার নিজের বলা কথাগুলো কুরআনের মাধ্যমে ব্যক্ত করেছে। ফলে কুরআনের কথাগুলো সর্বজ্ঞানী আল্লাহর কথা। এখন মুসলমানদের সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ সত্যই যদি সর্বজ্ঞানী হয়ে থাকে তবে কুরআনের বলা আল্লাহর কথাগুলোর মাধ্যমেই তার জ্ঞানের পরিচয় পাওয়া যাবে (যেহেতু কুরআনের কথাগুলোই আল্লাহর কথা)। আর তাই যখন কুরআনের কোন কথার মধ্যে অজ্ঞতা বা ভ্রান্তি পাওয়া যায় তবে ধরে নেওয়া যায় যে সেই অজ্ঞতা বা ভ্রান্তিটি স্বয়ং আল্লাহর (যেহেতু কুরআন আল্লাহর কথার বর্ণনা)। অথচ কুরআনে বলা প্রায় সবগুলো কথাই অজ্ঞতাপূর্ণ এবং ভ্রান্তিযুক্ত। ফলে কুরআনের ভ্রান্তির মাধ্যমে আল্লাহর ভ্রান্তিগুলোই প্রতিফলিত হয়েছে। গতপর্বগুলোতে দেখানো হয়েছে যে কুরআনে আল্লাহ নিজেকে কতটা অজ্ঞ হিসেবে পরিচয় দিয়েছে। এই পর্বটিতেও দেখানো হবে আল্লাহ কতটা অজ্ঞ এবং সে কত ভ্রান্তিগ্রস্থ।

Saturday, January 23, 2016

একটি আস্তিকীয় গল্পের নাস্তিকী করণ এবং এর ব্যবচ্ছেদ করণ (দ্বিতীয় অংশ)

প্রথম অংশ-এর পর থেকে...

যুক্তিবাদী ভার্সন,
একদা মায়ের পেটে থাকা অবস্থায় দুই জমজ শিশু মাতৃগর্ভে গল্প করছিলো। একজন আরেকজনকে বললো, "আচ্ছা ভাইয়া তুমি কি প্রসবের পরবর্তীতে একটি জীবন আছে সেটি বিশ্বাস করো?”
দ্বিতীয়জন বললো, "আমার মনে হয় যে প্রসবের পরে একটি জীবন থাকতে পারে। কারণ আমি দেখেছি আমাদের এই তরলের ঘরটির যে একটি গুপ্ত দরজা আছে সেটি দিয়ে কোন এক জায়গায় জাওয়া যায়। আমার মনে হয় প্রসবের পরে আমরা সেই জায়গাটিতে যেতে পারবো।“

Friday, January 22, 2016

একটি আস্তিকীয় গল্পের নাস্তিকী করণ এবং এর ব্যবচ্ছেদ করণ (প্রথম অংশ)


কয়েকদিন ধরে অনলাইনের মাধ্যমে একটা লেখাকে বারবার পোস্ট হতে দেখছি ডুবন্ত মানুষ যেমন খড়কুটাকে পেয়ে তাকেই ধরে বাঁচতে চায় অনেকটা মৃতপ্রায় ধর্মগুলোর এবং কাল্পনিক সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্ব প্রমাণের জন্য এরা মাতৃগর্ভের সাথে ইহজগত এবং পরজগতের তুলনা করে সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্বের প্রমাণ দেবার চেষ্টা করেছে অনেকটা তেঁতুলের উদাহরণ দিয়ে পায়েশের অস্তিত্ব প্রমাণ দেবার চেষ্টা
ওই পোস্টকে জন্ম এবং মৃত্যুকে এক করে দেখা হয়েছে ফলে মাতৃগর্ভের জীবনকে ইহজগত এবং মাতৃগর্ভের বাইরের জীবনকে পরকাল হিসেবে তুলনা করা হয়েছে আগেই বলেছি, ডুবন্ত মানুষের খড়কুটাকে আকড়ে ধরে বেঁচে থাকার চেষ্টা

Wednesday, January 20, 2016

ঈশ্বরের (সৃষ্টিকর্তার) আধুনিক বাণীসমূহ। পর্ব ২ মানবতা ধর্মের ধর্মগ্রন্থ - পৃথিবীর সব ধর্মগ্রন্থ থেকে এর পার্থক্য নির্ণয়ের দায়িত্ব আপনাদের।



গ্রন্থঃ- পবিত্র মানবতা (Holy Humanity)
সূরা পরিবর্তন (Be Changed )

98. وكما يقولون، فإن الرسالة التي أرسلتها القصيدة!
৯৮. আর তারা বলে আমি কবিতা পাঠিয়েছি বাণী হিসেবে !
99. لماذا يجب أن ترسل القصائد لك؟
৯৯. আমি কেন কবিতা পাঠাব তোমাদের কে

Monday, January 18, 2016

একজন অন্ধবিশ্বাসী কুসংস্কারাচ্ছন্ন মানুষের সাথে বিতর্ক (পর্ব ১) প্রথম অংশ



একবার অনলাইলে একটি লেখা পোস্ট করেছিলাম। লেখাটির বিষয় বস্তু ছিল পশু হত্যার উৎসব কতটা ঘৃণ্য জঘন্য কাজ। মানবতা সম্পন্ন কোন মানুষের পক্ষেও পশু হত্যার উৎসব করাটা অমানবিক, নিষ্ঠুর, বর্বর কাজ বলে গন্য হয়। অথচ ধর্মগুলো এমন বর্বরতাকে ধর্মীয় অনুষ্ঠানের রুপ দিয়েছে। এ থেকে বোঝা যায় ধর্মগুলো প্রাচীণ বর্বরতার ধারক এবং বাহক। ধর্মগুলো যে মানুষ তার হীন স্বার্থ রক্ষার্তে সৃষ্টি করেছে এই পশু উৎসবই তার প্রমাণ।

Saturday, January 16, 2016

মুসলমানদের কর্মকান্ডের ভবিষ্যতবাণী! ভবিষ্যতে মুসলমানরা কিভাবে কুরআনকে বিজ্ঞানময় দাবি করবে ? (পর্ব ৩)



পৃথিবীর প্রথম সারির ধর্মগুলোর মত ইসলাম ধর্মের অনুসারীরাও বিজ্ঞানের কোন নতুন তত্ব প্রতিষ্ঠিত হলে তার বিরোদ্ধে নানা অপপ্রচার করে থাকে যদি সেই তত্বটি তাদের ধর্মের বিরুদ্ধে যায়। প্রথমে তারা তাদের ধর্মের বিরোদ্ধে যাওয়া তত্বটিকে অস্বীকার করে। তত্বটি সত্য নয়, এটি শুধু মাত্র থিউরী এই থিউরীটি কোন ফ্যাক্ট নয় ইত্যাদি নানা আপ্তবাক্য আউরিয়ে তারা নানা মিথ্যা কথা বলে সেই বৈজ্ঞানিক থিউরীটিকে সাধারণ মানুষের কাছে ভূল ভাবে উপস্থাপন করে। যারা বলে থিইরীটি সত্য নয় কারণ এটি কোন ফ্যাক্ট নয় তারা আসলে নিজেরাই জানে না যে থিউরী কাকে বলে, আর ফ্যাক্ট কাকে বলে।

Thursday, January 14, 2016

আস্তিকদের অযৌক্তিক, কুযৌক্তিক, অপযৌক্তিক এবং অপ-বৈজ্ঞানিক প্রশ্নের যৌক্তির ও বৈজ্ঞানিক উত্তর। (পর্ব ৭)



আস্তিকদের অযৌক্তিক, কুযৌক্তিক, অপযৌক্তিক এবং অপ-বৈজ্ঞানিক প্রশ্নঃ
কোরআনের কোথাও বলা হয় নাই যে হাড় তৈরি হবার পরে মাংস তৈরি হয়, কেবল কি কি ভ্রুন অবস্থাতে মানব শিশু তৈরি হয় সেটা বলা হয়েছে। তাই নাস্তিকরা যেমনটি দাবি করে যে কুরআনে হাড় তৈরী হবার পরে মাংস তৈরী হয় বলা হয়েছে সেই দাবিটি মিথ্যা।

Tuesday, January 12, 2016

ধর্মান্ধের শিকার এক আমিনার আত্বকথন



আমার প্রিয় জন্মভূমিকে ছেড়ে আসতে আমাকে বাধ্য করা হয়েছিল। আমি আমার দেশটি ছেড়ে আসতে চাইনি। কিন্তু কিছু ধর্মান্ধের দল আমাকে আমার দেশটিতে থাকতে দিল না। আমার অনেক কষ্ট হয়েছে প্রিয় দেশের মাটি, প্রিয় গ্রাম ছেড়ে থাকতে। এখনও মাঝে মাঝে মাঝ রাতে ঘুম ভেঙ্গে গেলে আমার নিজের দেশে, নিজের গ্রামে যেতে ইচ্ছে করে। কিন্তু আমি যেতে পারি না। যে প্রাণটাকে নিয়ে ভয় পেয়েছিলাম এবং প্রাণ বাঁচাতে দেশ ছেড়েছিলাম সেই প্রাণটার মায়াতেই আর দেশে যাওয়া হয় না আমার। আমি জানি সেখানে ওত পেঁতে বসে আছে ধর্মান্ধ হাঁয়ানার দল। আমাকে পেলেই তাদের রক্তের নেশা খেলে যাবে। হিংস্র প্রাণির মতো আমাকে মেরে ফেলবে।

Saturday, January 9, 2016

আস্তিকদের অযৌক্তিক, কুযৌক্তিক, অপযৌক্তিক এবং অপ-বৈজ্ঞানিক প্রশ্নের যৌক্তির ও বৈজ্ঞানিক উত্তর। (পর্ব ৬)



আস্তিকদের অযৌক্তিক, কুযৌক্তিক, অপযৌক্তিক এবং অপ-বৈজ্ঞানিক প্রশ্নঃ
বাংলা শব্দ দিয়ে অনেক ক্ষেত্রেই আরবির ১০০ ভাগ প্রতিশব্দ হয় না। আর তাই আরবী ভাষার কুরআনের ভূল কুরআনের বাংলা অনুবাদ দিয়ে করলে সেটা হবে না। আপনাকে কুরআনের ভূল ধরতে হলে আগে আরবী ভালা জানতে হবে। তা না হলে আপনি কখনই কুরআন ভূল নাকি শুদ্ধ সেটা বুঝতে পারবেন না।

যৌক্তির এবং বৈজ্ঞানিক উত্তরঃ
বাংলা শব্দের ভান্ডার কম সেটা ঠিক আছে কিন্তু তার মানে এটা নয় যে কুরআনের অনুবাদ বাংলা ভাষা দিয়ে করা যাবে না। পৃথিবীর সব ভাষাকেই বাংলা ভাষা দিয়ে অনুবাদ করা যায়। এবং মানুষ সেটা অনেক আগে থেকেই অত্যন্ত স্বার্থকতার সাথে করে এসেছে। বাংলা ভাষার শব্দ ভান্ডারে যথেষ্ট পরিমাণ শব্দ রয়েছে যা দিয়ে পৃথিবীর যে কোন ভাষাকেই অনুবাদ করা যায়। কিছু ক্ষেত্রে হয়তো ১০০% সঠিক ভাবে অনুবাদ করা যায় না তবে ৯৯.৯৯% সঠিক ভাবে অনুবাদ করা সম্ভব।