Translate

Search This Blog

বিশেষ সতর্কবার্তাঃ

এই ব্লগটি নাস্তিক, অজ্ঞেয়বাদী, সন্দেহবাদী, মুক্তমনা এবং স্বাধীনচেতা মানুষদের জন্য। যারা যেকোন বিষয়ের সমালোচনা সহ্য করার মত ক্ষমতা রাখে। যদি কোন ধার্মিক, গোড়া ধার্মিক আস্তিক এই ব্লগটিতে আসে তবে তার ধর্মানুভূতি নামের অদ্ভূত দূর্বল অনিভূতি আঘাতপ্রাপ্ত হলে ব্লগ লেখক দায়ী থাকবে না। ধার্মিক, গোড়া ধার্মিক আস্তিকদের নিজ দায়িত্বে তাদের দূর্বল ধর্মানুভূতিকে সংরক্ষনের দায়িত্ব নিতে হবে। কারো ধর্মানুভূতি নামের অযৌক্তিক অনুভূতি আহত হবার জন্য কোন ক্রমেই ব্লগার বা লেখককে দায়ী করা যাবে না। যদি কোন অতি দুর্বল ধর্মানুভূতি সম্পন্ন ব্যাক্তি এই ব্লগে ভূল করে ঢুকে পরেন এবং তিনি তার অনুভূতিকে দূর্বল ভাবেন অর্থাৎ যিনি তার ধর্মের উপযুক্ত সমালোচনা সহ্য করতে অপারগ, তাকে বিনীত ভাবে এই ব্লগটি থেকে প্রস্থান করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। এর পরেও যদি কোন দূর্বল ধর্মানুভূতি সম্পন্ন ব্যাক্তি এই ব্লগটিতে ঘুরাফেরা করেন এবং তার ফলে তার দূর্বল ধর্মানুভূতিতে আঘাত প্রাপ্ত হন তবে কোন ক্রমেই এবং কোন ক্রমেই ব্লগের মালিক, 'আমি নাস্তিক' দায়ী থাকবে না।

Sunday, January 24, 2016

আল্লাহ অজ্ঞতায় মুহাম্মদকেও হার মানায় ! (পর্ব ৬)


মুসলমানরা দাবী করে যে তাদের সৃষ্টিকর্তা (অর্থাৎ মুসলমানদের ঈশ্বর) সর্বজ্ঞানী। বিশ্বজগতের এমন কোন জ্ঞান নেই যে মুসলমানদের সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ সেসব জানে না। অর্থাৎ মুসলমানদের দাবী অনুযায়ী তাদের সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ বিশ্বজগত সম্পর্কে সব কিছুই জানে। মুসলমানদের দাবী অনুযায়ী আল্লাহ তার নিজের বলা কথাগুলো কুরআনের মাধ্যমে ব্যক্ত করেছে। ফলে কুরআনের কথাগুলো সর্বজ্ঞানী আল্লাহর কথা। এখন মুসলমানদের সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ সত্যই যদি সর্বজ্ঞানী হয়ে থাকে তবে কুরআনের বলা আল্লাহর কথাগুলোর মাধ্যমেই তার জ্ঞানের পরিচয় পাওয়া যাবে (যেহেতু কুরআনের কথাগুলোই আল্লাহর কথা)। আর তাই যখন কুরআনের কোন কথার মধ্যে অজ্ঞতা বা ভ্রান্তি পাওয়া যায় তবে ধরে নেওয়া যায় যে সেই অজ্ঞতা বা ভ্রান্তিটি স্বয়ং আল্লাহর (যেহেতু কুরআন আল্লাহর কথার বর্ণনা)। অথচ কুরআনে বলা প্রায় সবগুলো কথাই অজ্ঞতাপূর্ণ এবং ভ্রান্তিযুক্ত। ফলে কুরআনের ভ্রান্তির মাধ্যমে আল্লাহর ভ্রান্তিগুলোই প্রতিফলিত হয়েছে। গতপর্বগুলোতে দেখানো হয়েছে যে কুরআনে আল্লাহ নিজেকে কতটা অজ্ঞ হিসেবে পরিচয় দিয়েছে। এই পর্বটিতেও দেখানো হবে আল্লাহ কতটা অজ্ঞ এবং সে কত ভ্রান্তিগ্রস্থ।

কুরআনের সূরা ওয়াকি'আহ্-এর ৬৮, ৬৯ এবং ৭০ নাম্বার আয়াতে বলা হয়েছে,
"তোমরা যে পানি পান কর সে বিষয়ে তোমরা চিন্তা করেছো কি? তোমরাই কি ওটা মেঘ হতে বর্ষাও, না আমি বর্ষাই? আমি ইচ্ছা করলে ওটাকে লবণাক্ত বানাতে পারি। তবুও তোমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করবে না কেন?"

এই আয়াতটিতে খুব স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, যে পানি আমরা খাই সেটা মানুষ বৃষ্টিরুপে পাঠায় না,  আল্লাহ পাঠায়। অর্থাৎ মানুষ বৃষ্টি বর্ষণ করে না আল্লাহই করে। আল্লাহ এই পানি নিয়ে ভেবে দেখতে বলেছে যে আল্লাহ এই বৃষ্টির পানিকে লবনাক্ত করে পাঠাতে পারে কিন্তু সে মানুষের উপর দয়া করে বৃষ্টির পানিকে লবণাক্ত করে পাঠায় না। তাই মানুষের উচিৎ আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা।  

এই আয়াতের মাধ্যমে কুরআন লেখক মানুষকে ইসলাম ধর্মে আসার জন্য একটি কুটকৌশল অবলম্বন করেছে। মানুষ যেহেতু বৃষ্টির পানি আনতে পারে না এবং বৃষ্টির পানি ছাড়া যেহেতু সেই সময়ের মানুষের কাছে বিকল্প কোন পন্থা ছিল না তাই বৃষ্টির পানি না থাকলে মানুষের বেঁচে থাকাটা খুব কষ্টের হতো। বলতে গেলে ততকালীন মানুষের জন্য বৃষ্টি ছাড়া খাবার পানি পাওয়া প্রায় অসম্ভব ছিল। তাই কুরআন লেখক বৃষ্টির মাধ্যমে পাওয়া পানিকে সৃষ্টিকর্তার দয়া হিসেবে দেখিয়েছে এবং সে জন্য মানুষকে ইসলাম ধর্ম গ্রহন করার জন্য উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে। এমনকি সুক্ষ একটি ভয়ও দেখানো হয়েছে যে ইসলাম ধর্ম গ্রহন না করলে আল্লাহ চাইলেই বৃষ্টির পানিকে লোনা করে দিতে পারে। কারণ সেই ক্ষমতা আল্লাহর আছে।

কিন্তু সমস্যা হচ্ছে আধুনিক মানুষদের জন্য। যারা জানে যে বৃষ্টির পানি ছাড়াও খাবার পানির আরো কিছু মাধ্যম আছে। যেমন মাটি খুড়ে পানি বের করা। যদিও অনেক অঞ্চলে মাটির নিচের পানি বৃষ্টির মাধ্যমেই আসে তবুও মানুষের পক্ষে বৃষ্টির পানি ছাড়াও বেঁচে থাকা সম্ভব হতো যদি মানুষেরা সমুদ্রের কাছাকাছি অবস্থান করতো। কিন্তু সমুদ্রের কাছে থেকে দুরের মানুষ মাটির নিচের পানি পেত না সহজে। যেহেতু বৃষ্টির পানির মাধ্যমেই পৃথিবীর নানা প্রান্তের মানুষ খাবার পানি পায় কিন্তু আধুনিক যুগের মানুষ ঠিকই জানে যে বৃষ্টির পানি পাওয়ার ক্ষেত্রে সৃষ্টিকর্তার কোন রুপ নেই। তাপের কারণে সমুদ্রের পানি বাষ্প হয়ে আকাশে উঠে যায়, বাতাসের মাধ্যমে সেই বাষ্প পৃথিবীর নানা প্রান্তে ছড়িয়ে পড়ে এবং সেই বাষ্প থেকে বৃষ্টি তৈরী হবার মাধ্যমে পানি মাটিতে এবং মাটির নিচে চলে যায়। এভাবেই পৃথিবীতে সব প্রান্তের পানির চাহিদা দুর হয়।
কিন্তু দেখা যায় যে পানি বাষ্প হওয়া থেকে শুরু করে বৃষ্টি হয়ে মাটিতে পানি জমা হওয়া পর্যন্ত কোন প্রক্রিয়াতেই সৃষ্টিকর্তার কোন রুপ হাত নেই। প্রাকৃতিক নিয়মেই এসব ঘটে। আর তাই কুরআন লেখক যেভাবে বৃষ্টির পানি পাওয়াতে সম্পূর্ণটাই আল্লাহর দয়া বলে উপস্থাপন করেছে সেটি একটি কুটনৈতিক চাল ছাড়া আর কিছু নয়। কুরআন লেখকের দাবী ছিল যেহেতু মানুষ বৃষ্টির পানি বানায় না তাই এটি অবশ্যই আল্লাহ বানায়। আর তাই সে দয়া করে মানুষকে এই বৃষ্টির পানি পান করতে দেয় বলে অবশ্যই মানুষের উচিত আল্লাহকে মেনে নিয়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহন করা। তা না হলে আল্লাহ বৃষ্টির পানিকে লবনাক্ত করে দেবে।

এটি সম্পূর্ণরুপেই একটি কুটনৈতিক সংলাপ ছাড়া আর কিছুই নয়। আল্লাহই যে বৃষ্টির পানি বানায় তার কোন প্রমাণ না দিয়েই মানুষের অক্ষমতাকে পুজি করে আল্লাহকে মেনে নিতে সুক্ষ কুটনৈতিক চাল চালানো হয়েছে।

প্রাচীণ মানুষ জানতো না যে কিভাবে বৃষ্টি হয়। অথচ বেঁচে থাকার জন্য বৃষ্টির পানির গুরুত্ব অপরিসীম। বিশেষ করে আরবের মতো মরুভূমি অঞ্চলে। কিন্তু মানুষ এটা জানতো না যে এই বৃষ্টির পানি কিভাবে তৈরী হয়, কিভাবে আকাশে মেঘ আসে অথবা এই মেঘ কিভাবে ছড়িয়ে পরে। তাই কুরআন লেখক বৃষ্টি সম্পর্কে মানুষের অজ্ঞতাকে নিজের স্বার্থে ব্যবহার করতে চেয়েছে। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের ব্যপার হলো কুরআন লেখক সে সময়ের আরবীয় জ্ঞান ব্যবহার করে এই কুটনৈতিক চালটি চেলেছিল বলে তার কথাতে বৃষ্টি সম্পর্কে অজ্ঞতাটুকু রয়ে গেছে। ততকালিন আরবের মানুষ যেমন জানতো না বৃষ্টি কিভাবে হয়, ঠিক সেভাবে কুরআন লেখকের পক্ষেও ততকালিন জ্ঞান দিয়ে বৃষ্টির কারণ সম্পর্কে জানা সম্ভব ছিল না। তাই এই আয়াতটিতে কুরআন লেখক অজ্ঞতার দরুন ভূল করে ফেলেছে। কুরআন লেখক অর্থাৎ আল্লাহর জানা ছিল না যে বৃষ্টির পানি কোথা থেকে আসে এবং কিভাবে আসে? তাই সে ভেবেছে যে বৃষ্টির পানিতে লবণ থাকা সম্ভব। এজন্যই কুরআন লেখক অর্থাৎ আল্লাহ কুরআনে লিখেছে যে সে ইচ্ছে করলে বৃষ্টির পানিকে লবণাক্ত করতে পারে। কিন্তু আল্লাহ যদি জানতো যে বৃষ্টির পানি লবণাক্ত পানি থেকে আসে এবং এই পানি বাষ্প হয়ে আসে বলে একে কোন দিনও লবণাক্ত করা যাবে না। বৃষ্টি ঘটতে যেমন কোন ধরণের কোন সৃষ্টিকর্তার কোন ভূমিকা নেই ঠিক একই ভাবে বৃষ্টির পানিকে কখনই লবনাক্ত করা যাবে না। কারণটি হলো বৃষ্টির পানি সমুদ্রের লবণ যুক্ত পানি থেকে বাষ্প হয়ে আকাশে উড়ে যায় এবং এই পানির সাথে কোন (সমুদ্রের) লবণ যুক্ত থাকতে পারে না। আর তাই বৃষ্টির পানিকে কখনই লবণাক্ত করা যাবে না।

কিন্তু মুসলমানদের সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ কুরআনের উপরিউক্ত আয়াতে স্পষ্ট করে বলেছে যে সে ইচ্ছা করলেই সমুদ্রের পানিকে লবণাক্ত করে দিতে পারে। অর্থাৎ কুরআন লেখক আসলে জানতো না যে বৃষ্টির পানি লবনাক্ত পানি থেকেই বাষ্প হয়ে আসে। আর তাই বৃষ্টির পানিকে লবণাক্ত করা যায় না। কারণ বাতাসে জলীয় বাষ্প বা মেঘকে লবণাক্ত করা সম্ভব নয়। কারণ আকাশে কোন লবণ উড়ে বেড়ায় না। আর মুসলমানদের সৃষ্টিকর্তাও বৃষ্টি ঘটায় না। বৃষ্টি ঘটে সম্পূণ প্রাকৃতিক নিয়মে। কোনরুপ সৃষ্টিকর্তার হস্তক্ষেপ ব্যতীত।

যেহেতু বৃষ্টি হওয়ার প্রাকৃতিক পদ্ধতি অনুযায়ী বৃষ্টিকে লবণাক্ত করা সম্ভব নয় (তাহলে আর বৃষ্টি হতে পারবে না) তাই কুরআনের লেখক কুরআনে বৃষ্টিকে লবণাক্ত করার কথা বলে প্রমাণ দিয়েছে যে সে আসলে বৃষ্টি হওয়ার পদ্ধতিটি জানে না। তাই একজন প্রাচীণ আরবীয় মানুষের অজ্ঞতাপূর্ণ কথা কুরআনে লিখে দিয়েছে। অর্থাৎ কুরআন লেখক একজন অজ্ঞ প্রাচীণ আরব ব্যক্তি।

বৃষ্টির কারণগুলো জানলেই কুরআন লেখকের অজ্ঞতাটুকু খুব স্পষ্ট হয়ে উঠবে।
আমরা জানি বৃষ্টির পানি প্রধাণত সমূদ্র থেকে বাষ্প হয়। যেহেতু সমূদ্রগুলোতে পানির অফুরন্ত ভান্ডার রয়েছে তাই পৃথিবীর সমস্ত বৃষ্টির পানিগুলো সমুদ্র থেকে বাষ্প হয়ে বৃষ্টি ঘটাতে পারে।
আমরা জানি সমুদ্রের পানির মধ্যে নানা ধরণের লবণ সমসত্ব মিশ্রণে মিশ্রিত থাকে। তাই সমুদ্রের পানি হলো লবণাত্বক পানি। কিন্তু এই লবণাক্ত পানি সূর্যের তাপে বাষ্পে পরিণত হয়। আমরা জানি পানি একশ ডিগ্রী তাপমাত্রায় তরল থেকে বাষ্পে পরিণত হয়। সূর্যের তাপ পানিতে পড়ে এবং তাপমাত্রা একশো ডিগ্রীতে পৌছলে পানি তরল থেকে জলীয় বাষ্পে পরিণত হতে থাকে। যারা জলীয় বাষ্প কি জানে না তাদের বোঝানোর জন্য বলা যায় যে, পদার্থের ধর্মে বা বৈশিষ্ট্যগুলোর মধ্যে একটি ধর্ম বা বৈশিষ্ট্য হলো পদার্থ বিভিন্ন তাপমাত্রার প্রেক্ষিতে কঠিন, তরল এবং গ্যাস এই তিনটি অবস্থাতে পরিণত হতে পারে। যেমন- পানি পৃথিবীর স্বাধারণ তাপমাত্রায় তরল থাকে। কিন্তু যদি তাপ কমিয়ে তাপমাত্রা শুন্য ডিগ্রীতে (সেলসিয়াস স্কেলে) নামানো হয় তবে পানি বরফে পরিণত হতে থাকে। আবার পানিকে যদি তাপ দেওয়া হয় তবে তাপমাত্রা বাড়তে বাড়তে ১০০ ডিগ্রীতে পৌছানোর পর পানি জলীয় বাষ্পে পরিণত হয়। জলীয় বাষ্প হলো পানির গ্যাস বা পানির বায়বীয় অবস্থা। জলীয় বাষ্প হলো এক প্রকার বাতাস। এজন্যই পানির জলীয় বাষ্প বাতাসের সাথে খুব সহজেই মিশে যায়।
আমরা জানি আমাদের পৃথিবীর বায়ুমন্ডলের মধ্যে অন্যান্য গ্যাসীয় উপাদানের সাথে পানির বাষ্পও গ্যাস সমসত্বে মিশ্রিত থাকে। যখন বাতাসের তাপমাত্রা কমে যায় তখন বাসাতে মিশ্রিত জলীয় বাষ্প জমে পুনরায় পানিতে পরিণত হয়। এজন্যই শীতকালে তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় বাতাসের জলীয় বাষ্প জমে কুয়াশায় পরিণত হয়। আবার সমুদ্রের পানি বাষ্প হয়ে আকাশের উপরের স্থরে উঠে যাবার পরে তাপমাত্রা কমে যাওয়ার কারণে জমে বৃষ্টির সৃষ্টি করে। এভাবে পানি কঠিন (বরফ), তরল (পানি) এবং জলীয় বাষ্পরুপে পৃথিবীতে বিদ্যমান থাকে।

সমুদ্রের লবণ মিশ্রিত লবণাক্ত পানিতে সুর্যের তাপ এসে পৌছলে সমুদ্রের তাপমাত্রা বেড়ে যায় এবং পানি বাষ্পে পরিণত হতে থাকে। এই বাষ্প (জলীয় বাষ্প) বাতাসের সাথে মিশে যায় (যেহেতু বাষ্পও এক ধরণের বাতাস বা গ্যাস) বাতাসের অন্যান্য গ্যাসের ওজন জলীয় বাষ্পের চেয়ে বেশী হওয়ায় অর্থাৎ বাষ্প বাতাসের অন্যান্য গ্যাসের চেয়ে হালকা হওয়ায় উপরের দিকে উঠতে থাকে। উপরে উঠতে উঠতে বায়ুমন্ডলের এমন স্তরে পৌছে যায় যে, সেখানে পৃথিবীর ভুমির তুলনায় তাপমাত্রা অনেক কম থাকে। এর কারণ হলো পৃথিবীতে তাপ আসে সূর্য থেকে। সূর্যের তাপ পৃথিবীর মাটি, গাছপালা, পানি এবং বায়ুমন্ডল গ্রহন করতে থাকে এবং উৎতপ্ত হতে থাকে। পৃথিবী সূর্যের তাপমাত্রা ধরে রাখে বলেই পৃথিবীর মাটির অংশটি গরম থাকে। কিন্তু বায়ুমন্ডলের যত উপরে যাওয়া যায় তাপমাত্র তত কম থাকে। কারণ সেখানে তাপ ধরে রাখার শুধু একটি মাধ্যই আছে সেটি হলো বায়ু বা গ্যাস। কিন্তু পৃথিবীর ভূ-পৃষ্টে তাপ ধরে রাখার জন্য বায়ু বা গ্যাসের পাশা পাশি রয়েছে মাটি, পানি, গাছপালা ইত্যাদি। এজন্যই ভূ-পৃষ্ট বেশী উৎতপ্ত থাকে বায়ুমন্ডলের উপরের স্তরের তুলনায়। এজন্যই বায়ুমন্ডলের নিচের স্তরের তুলনায় উপরের স্তরগুলোকে তাপমাত্রা কম থাকে। বায়ুমন্ডলের যত উপরে উঠা যায় ততই তাপমাত্রা কমতে থাকে।
ফলে বাষ্প যখন বায়মন্ডলের উপরের স্তরগুলোতে থাকে তখন তাপমাত্রা কম থাকে বলে জলীয় বাষ্প তরলে পরিণত হতে থাকে এবং পানিতে পরিণত হয়। ফলে জলীয় বাষ্পের তুলনায় পানির ঘনত্ব বেশী বলে বায়ুমন্ডল আর পানিকে ধরে রাখতে পারে না। কারণ পানি বাষ্পে পরিণত হবার সাথে সাথে এর আয়তন বেড়ে যায় এবং ঘনত্ব কমে যায়। ফলে এটি বাতাসে সহজেই মিশে যায় এবং বাতাসের সাথে সাথে প্রবাহিত হয়। এই বাষ্পই যখন জমে যেয়ে পানিতে পরিণত হয় তখন ভার বা ওজন বাতাসের আয়তনের তুলনায় বেড়ে যায় এবং এই পানিকে বাতাস আর বহন করতে পারে না। তখনই এই পানি বৃষ্টি হয়ে মাটিতে পড়ে। এজন্যই পৃথিবীর নানা প্রান্তে বৃষ্টি হয়। কারণ সমুদ্রের পানি বাষ্পে পরিণত হলে এই বাষ্প বাতাসের সাথে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে প্রবাহিত হয় এবং বিভিন্ন প্রান্তে বৃষ্টিরুপে পানি ছড়িয়ে পড়ে। এই পানিই মাটিতে জমা থাকে।

পানি চক্রের প্রক্রিয়াটির লক্ষনিয় ব্যাপার হচ্ছে, বাষ্প প্রধানত সমুদ্রের পানি থেকে হয় বলে লবণাক্ত পানি থেকেই বৃষ্টির উৎপত্তি ঘটে। কিন্তু যখন কুরআনের লেখক দাবী করে যে সে ইচ্ছে করলেই বৃষ্টির পানিকে লবনাক্ত করতে পারে তখন সেই লেখকের মূর্খতা এবং অজ্ঞানতাই প্রমাণ হয়। কারণটি খুব সহজ। সূর্যের তাপে পানি যখন বাষ্পে পরিণত হয় তখন সমুদ্রের লবণাক্ত পানির মিশ্রণ থেকে কেবল মাত্রা পানির অংশটুকুই বাষ্প হতে পারে। সূর্যের তাপে কখনই লবণ গ্যাসে পরিণত হতে পারবে না কারণ লবণের গলনাঙ্কই পানির চেয়ে অনেক বেশী। আর তাই সূর্যের তাপে পানির সাথে সাথে লবণের পক্ষে কখনই সম্ভব নয় যে লবণ গ্যাসে পরিণত হয়ে বাষ্পের সাথে বাতাসে মিশে যেতে পারে। আর তাই কোন দিনও বৃষ্টির পানির পক্ষে লবণাক্ত হওয়া সম্ভব নয়।

প্রকৃতপক্ষে কুরআন লেখক একজন প্রাচীণ আরবীয় অজ্ঞ লোক ছিল বলে সে জানতো না যে পানি কিভাবে বৃষ্টির মাধ্যমে মাটিতে আসে। আর বৃষ্টির পানিই বা কোথা থেকে এসে আকাশে জমা হয়। বাইবেল এবং কুরআনের বৃষ্টি সম্পর্কিত বর্ণনার মতো কুরআন লেখক ভেবে নিয়েছিল যে বৃষ্টির পানি শক্ত কঠিন আকাশের উপর থেকে আসে বলে এর সাথে লবণকে মিশ্রিত করে দেওয়া যায়। কিন্তু কুরআন লেখকের পক্ষে দেড় হাজার বছর আগে পৃথিবীর মাটিতে বসে এটা জানা অসম্ভব ছিল না যে বৃষ্টির পানি পৃথিবীর বুক থেকেই বাষ্প বা পানির গ্যাসে পরিণত হওয়ার মাধ্যমে আকাশে উঠে যায় এবং জমে বৃষ্টিতে পরিণত হয়। আর এই পানি জলীয় বাষ্পের মাধ্যমে আসে বলে এই পানিকে লবণাক্ত করার ক্ষমতা কারও নেই। কুরআন লেখক আরবীয় আল্লাহর পক্ষেও এটি সম্ভব নয়। (যতই মুসলমানরা আল্লাহ সব পারে মার্কা রুপকথার গল্পের কাহিনী বলুক না কেন!)

বৃষ্টির পানি যে কখনই লবণাক্ত হতে পারবে না তার কারণটি হলো, এই পানি সমুদ্রের লবণাক্ত পানি থেকেই আসে কিন্তু বাষ্প হয়ে আসে। যেহেতু বৃষ্টি বাষ্পের মাধ্যমে সমুদ্র থেকে আসে এবং সমুদ্রের লবণাক্ত পানির মধ্য থেকে শুধু পানির পক্ষেই সূর্যের তাপে বাষ্পে পরিণত হওয়া সম্ভব এবং লবণের পক্ষে বাষ্পের সাথে মিশে বাতাসের সাথে মিশে যাওয়া সম্ভব নয় তাই আল্লাহর পক্ষে কখনই সম্ভব হবে না বৃষ্টির পানিকে লবণাক্ত করা। কিন্তু কুরআন লেখক আরবীয় অজ্ঞ আল্লাহ দাবী করছে যে সে বৃষ্টির পানিকে লবণাক্ত করতে পারে (যেটা একটি অসম্ভব কাজ) এমন অসম্ভব কথা কুরআন লেখক এজন্যই বলেছে কারণ সে জানতো না যে বৃষ্টির পানি বাষ্পের মাধ্যমে আসে। সে ভেবেছে বৃষ্টির পানি শক্ত কঠিন আকাশের উপর থেকে আসে বলে এর সাথে লবণকে মিশানো সম্ভব।
স্পষ্টতই কুরআন লেখক জানতো না বৃষ্টির পানি কোথা থেকে আসে এবং কিভাবেই বা এই পানি আসে। তাই সে বৃষ্টির পানি সম্পর্কে অজ্ঞতাসুচক উক্ত আয়াতটি লিখেছে। এই আয়াতের মাধ্যমে এটাই প্রমাণ হয় যে কুরআন লেখক মুসলমানদের আরবীয় আল্লাহ আসলে প্রাচীণ আরবদের মতো অজ্ঞ এবং মূর্খ ছিল। তাই সে অজ্ঞতাপূর্ণ কথা লিখে রেখেছে। যেহেতু কুরআন মুহাম্মদের মতো এক প্রাচীণ আরবের মুখ থেকে এসেছে তাই কুরআনের আল্লাহও মুহাম্মদের মতই অজ্ঞতা সম্পন্ন ব্যাক্তি। অর্থাৎ আল্লাহ আসলে মুহাম্মদের মতই অজ্ঞ এবং মুর্খ।
আসলে আল্লাহ মুহাম্মদের চেয়েও অজ্ঞ।

বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ- দুষ্ট লোকেরা বলে থাকে যে মুহাম্মদই কুরআন লিখেছে। এবং কুরআনের মাধ্যমে কাল্পনিক এক চরিত্রের আমদানী করেছে এবং নাম দিয়েছে আল্লাহ। আর তার নিজের বলা কথাগুলোকে আল্লাহর কথা বলে চালিয়ে দিয়েছে। আর তাই কুরআনে মুহাম্মদের অজ্ঞতাগুলোই উঠে এসেছে। তাহলে দেখা যাচ্ছে দুষ্টলোকদের কথা আসলে মিথ্যা নয়। তা না হলে আল্লাহ এতো অজ্ঞ এবং প্রাচীণ মূর্খ হয় কি করে?

No comments:

Post a Comment