একবার অনলাইলে একটি লেখা
পোস্ট করেছিলাম। লেখাটির বিষয় বস্তু ছিল পশু হত্যার উৎসব কতটা ঘৃণ্য জঘন্য কাজ। মানবতা
সম্পন্ন কোন মানুষের পক্ষেও পশু হত্যার উৎসব করাটা অমানবিক, নিষ্ঠুর, বর্বর কাজ বলে
গন্য হয়। অথচ ধর্মগুলো এমন বর্বরতাকে ধর্মীয় অনুষ্ঠানের রুপ দিয়েছে। এ থেকে বোঝা
যায় ধর্মগুলো প্রাচীণ বর্বরতার ধারক এবং বাহক। ধর্মগুলো যে মানুষ তার হীন স্বার্থ
রক্ষার্তে সৃষ্টি করেছে এই পশু উৎসবই তার প্রমাণ।
আমার লেখাটি পড়ে একজন কুসংস্কারাচ্ছন্ন
অন্ধবিশ্বাসী মুসলমান প্রতিবাদ করেছিল। যথারীতি তার অন্ধবিশ্বাস এবং কুসংস্কারাচ্ছন্ন
যুক্তিবুদ্ধি দিয়ে আমার থাকে অর্থহীন তর্কে লিপ্ত হয়ে পড়েছিল। আর আমারও তাকে বুঝাতে
অনেক সময় ব্যয় করতে হয়েছিল। বলে রাখা ভালো আমি তার অন্ধবিশ্বাস এবং মনের মধ্যে জমে
থাকা কুসংস্কার দুর করতে পারিনি।
সেই তর্কটিই এই পর্বে উপস্থাপন
করবো।
আমি আমার পোস্টটিতে বলেছিলাম
পশু হত্যা করাও একটা অপরাধ। মানুষ হত্যা করা যেমন অপরাধ ঠিক সেভাবে পশু হত্যা করাও
একটি খারাপ কাজ। কারণ মানুষ এবং পশুপাখিরাও এই পৃথিবীর বাসিন্দা। সব প্রাণীরই এই পৃথিবীতে
বেঁচে থাকার অধিকার রয়েছে। মানুষ শক্তিশালী এবং ক্ষমতাবাণ প্রাণী হবার জন্য নিজের প্রয়োজনেই
প্রাণীদেরকে হত্যা করে এবং তাদের ভক্ষণ করে। অথচ সেই পশুদেরকে হত্যা করার মাধ্যমে তাদের
বেঁচে থাকার স্বাধীনতা হরন করা হয়, এমন কি সেই পশু হত্যার অনুষ্ঠানের অনুমতি দিয়ে ধর্ম
পশুহত্যাকে বৈধতা দেয়। নিজের স্বার্থ রক্ষার্থে যদি মানুষ কোন মানুষকে হত্যা করে তবে
সেটা অন্যায় হয় তবে নিজের স্বার্থের জন্য পশু হত্যা কেন অন্যায় হবে না? আবার সেই হত্যাকে
ধর্ম দিয়ে বৈধতা দিয়ে পশুহত্যার মতো ঘৃণ্য জঘন্য বর্বর কাজকে ধর্মীও উৎসবের মর্যাদা
দেওয়া হয়েছে। এটা কোন মানবিক মানুষের কাজ হতে পারে না। প্রাণ বাঁচানোই মানুষের মানবিক
ধর্ম। কোন প্রাণকে হত্যা করা এবং সেই হত্যার উৎসব করা কখনই মানবিক মানুষের কাজ হতে
পারে না। এটা মানুষ রুপি পশুদেরই কাজ হতে পারে।
আমার পোস্টটি পড়ে শুভ আহমেদ
নামের এক কুসংস্কারাচ্ছন্ন অন্ধবিশ্বাসী মুসলমান আস্তিক প্রতিবাদ করে বলেছিল, মানুষ
পশু হত্যা করে খাদ্যের চাহিদা মেটানোর জন্য। আর তাই পশু হত্যা কোন অপরাধ নয়। আর পশু
হত্যার উৎসবের মাধ্যমে গরীব মানুষের আমিষের চাহিদা পুরণ করা যায়। আর তাই ধর্মীয় পশু
হত্যা অমানবিক নয়।
আমি উত্তরে বলেছিলাম- মানুষের
খাদ্যের অভাবের জন্য মানুষ পশুর মাংস খেলে সেটা যদিও অমানবিক তবুও মানুষের বিকল্প কোন
উপায় ছিল না বলে মানুষ প্রাচীণকালে পশু হত্যাকে বৈধতা দিয়েছিল। আর ধর্মগুলো এই অমানবিক
কাজকে উৎসবের পর্যায়ে নিয়ে গিয়ে ধর্ম নিজেকেই হিংস্র শয়তানের রুপ দিয়েছে।
মানুষের আমিষের অবশ্যই দরকার।
তাই বলে পশু হত্যার উৎসব করে এক দিনের জন্য গরীব মানুষদের মাংস খাওয়ালেই কি সারা বছরের
আমিষের চাহিদা পূর্ণ হবে? মানুষের সুস্থ থাকার জন্য দৈনিক একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ আমিষের
প্রয়োজন। কিন্তু ধর্মীয় প্রাণীহত্যার অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মাত্র কয়েক দিন আমিষের চাহিদার
চেয়ে অনেক বেশী পরিমাণ আমিষ খেয়ে সারা বছর আমিষহীন থাকলে সেটা মানুষের জন্য কোন উপকার
দেয় না। তাই পশুহত্যার উৎসবের বাস্তব কোন উপকার নেই। বরং সারা বছরের জন্য গরীবদের
আমিষের চাহিদা এভাবে পূরণ হয় না। আর আমিষের চাহিদা যে শুধু পশু হত্যা করেই পুরণ করতে
হবে এমন কোন কথা নেই। সদ্য মৃত পশুর মাংস থেকেও আমিষের চাহিদা পুরণ করা যেতে পারে।
আবার প্রকৃতিতে শুধু পশু থেকে আমিষ পাওয়া যায় না বরং দুধ, ডিম, ডাল ইত্যাদি থেকেও আমিষ
পাওয়া যায়। আর তাই আমিষের চাহিদা পুরণ করতে হলে শুধু পশু হত্যা করেই করা সম্ভব সেটা
পুরোপুরি মিথ্যা। মানুষ স্বার্থপর প্রাণী বলে নিজের স্বার্থের জন্য অসহায় পশুদের হত্যা
করে মাংস খায়। এটা মানুষের হিংস্র আচরণগুলোর মধ্যে একটি। অসহায় পশুদের টেনে হিচড়ে
ধরে বেধে হত্যা করে সেই হত্যা করা প্রাণীটির মাংস খাওয়াটা কখনও কোন মানবিক মানুষের
কাজ হতে পারে না।
শুভ আহমেদ বলেছিল- যদি পশু
হত্যা অমানবিকই হয় তবে মানুষ তার দেহে প্রতি মিনিটে হাজার হাজার ব্যাকটেরিয়াকে হত্যা
করছে। যদি পশুর মাংস খাওয়া অন্যায় হয় তবে দেহের ব্যাকটেরিয়াকে হত্যা করা অন্যায় হবে
না কেন? আবার দেহের ব্যাকটেরিয়াকে হত্যা করা যদি অন্যায় না হয় তবে পশু হত্যা এবং পশু
হত্যার উৎসবও অন্যায় নয়।
উত্তরে আমি বলেছিলাম- শুভ্র
আহমেদ সাহেব, অনুজীব কি আপনি ধরে বেধে হত্যা করছেন ? নাকি প্রাণ বাঁচাতে হত্যা করছেন?
যখন কোনো বাঘ লোকালয়ে চলে আসে এবং মানুষ হত্যা করতে থাকে তখন বাঁচার জন্য সেই বাঘটাকে
মেরেফেলাটা কি খুব অন্যায় ? নাকি সেই বাঘটাকে বনের মধ্যে ঢুকে খুঁজে খুঁজে হত্যা করা,
কোনটা আপনাদের কাছে খারাপ ?
আপনারা যে গরু ছাগল জোর করে
ধরে নির্মম, নিষ্টুর ভাবে হত্যা করছেন সেটাকি অমানবিক নয় ! একটা অনুজীব যখন মানুষের
দেহের ভিতর ঢুকে পরে আর সেই মানুষটিকে নির্মম ভাবে হত্যা করে সেই হত্যাকান্ড থেকে মানুষ
কে বাঁচাতে সেই অনুজিবগুলোকে হত্যা করাতে কোন অন্যায় নেই। কারণ বাঁচার তাগিদে বা বিকল্প
কোন পথ না খোলা থাকলে তখন কোন জীবকে মেরে ফেললে তাতে কোন অন্যায় নেই।
শুধু মুসলিমরা নয় হিন্দু
সহ প্রায় সব ধর্মই হত্যাকান্ডের উত্সব করে l এটা যে কতটা অমানবিক সেটা যদি নিজেকে সেই
প্রাণীটির জায়গায় কল্পনা করতেন তাহলে বুঝতে পারতেন ! একবার ভাবুনতো মানুষের থেকে যদি
কোনো বুদ্ধিমান প্রাণী মানুষকে এভাবে হত্যা করতো আর সেই হত্যার উত্সব করতো তাহলে কি
হতো ? আপনি আমি অকাতরে তাদের নির্মমতার- নিষ্ঠুরতার শিকার হতাম ! তখন কিন্তু সেই বুদ্ধিমান
প্রাণীটিকে ঠিকই খারাপ, নিষ্ঠুর, নির্মম বলতেন ! তাহলে একই অন্যায় করে কেন নিজেদেরকে
বড় মনে করছেন? একবার , আরেকবার ভালো করে ভেবে দেখবেন কি?
শুভ্র আহমেদ - আচ্ছা মানলাম
যে ব্যাকটেরিয়াকে মানুষ বেঁচে থাকার জন্য হত্যা করে, কিন্তু গাছকে মানুষ কেন হত্যা
করে? মানুষ শাখ সবজি খায়, গাছ কেটে কাঠ বানায়, এগুলো কি হত্যা নয়? তাহলে এগুলো যদি
অন্যায় না হয় তবে পশু হত্যা করে মাংস খাওয়াতে অন্যায় কোথায়? যদি প্রাণী হত্যা করে
তার মাংস খাওয়া নিষ্ঠুর, নির্মম হয় তবে শাখ সবজির মতো জীবকে হত্যা করাও নিষ্ঠুর এবং
নির্মম কাজ।
আমার উত্তর- মিস্টার শুভ
সাহেব, উদ্ভিদ কেন হত্যা করা নিষ্ঠুর নয়, প্রাণী হত্যা কেন নিষ্ঠুর সেটা উদ্ভিদ আর
প্রাণীর গঠন বৈশিষ্ট জানা থাকলেই বোঝতে পারতেন!! উদ্ভিদ প্রাণী দুটোরই প্রাণ আছে কিন্তু
মন আছে শুধু প্রাণীর! (একদম নিচু স্তরের প্রাণী বাদে) ! প্রাণীর নার্ভ বা নার্ভাস সিস্টেম
আছে বলে তার একটি মন আছে। আবার এই নার্ভাস সিস্টেমের জন্য প্রাণীরা ব্যাথা অনুভব করে
বা ব্যাথা বুঝতে পারে। আর তাই প্রাণী হত্যার সময় প্রাণীর দেহ যে ব্যথাটা পায় সেটি যে
অনুভব করে বা বুঝতে পারে। কিন্তু গাছের নার্ভাস সিস্টেম না থাকায় গাছ কাটলে বা শাখ
সবজি ছেড়ার সময় গাছের দেহ যদিও ব্যথা পায় তবুও সেই ব্যথা সে উপলব্ধি করতে পারে না বা
সেই ব্যাথা পেয়েছে কিনা সেটা বুঝতে পারে না। গাছ কাটা হলে যদিও গাছ ব্যাথা পায় তবুও
প্রকৃতপক্ষে সেই ব্যথাটি গাছ বুঝতে পারে না অর্থাৎ পায় না। কিন্তু পশু হত্যার সময় প্রাণীগুলো
ব্যথা পায় এবং সেই ব্যথা বুঝতে পারে। এজন্যই পশু হত্যার সময় পশুরা চিৎকার করে হাত পা
ছুড়াছুড়ি করে। প্রকৃতপক্ষে প্রাণীরা ব্যথা যেমন পায় তেমনি তাদের নার্ভাস সিস্টেম বা
মন থাকার কারণে সেই ব্যথা উপলব্ধি করে। এবং হত্যার সময় মানুষের মতই যন্ত্রনা পেতে থাকে।
আর তাই পশু হত্যাটা নিষ্ঠুরতা এবং নির্মমতা। কিন্তু গাছ যেহেতু ব্যথা উপলব্ধি করতে
পারে না বা ব্যথা পেলে বুঝতেই পারে না তাই গাছ কাটা নির্মমতা নয়। যদিও গাছ কাটাও একটি
ক্ষুদ্র মাত্রার হত্যাকান্ড। আপনি উদ্ভিদ এবং প্রাণীর দেহের গঠন সম্পর্কে একটু পড়াশুনা
করলেই এ ব্যপারে জানতে পারবেন।
শুভ আহমেদ - জ্বিনা আপনি
জানেন না। গাছও ব্যাথা পায়। বিজ্ঞানীরা অনেক আগেই আবিষ্কার করেছে যে গাছও ব্যথা পায়।
আপনি এসম্পর্কে কিছুই জানেন না।
আমার উত্তর- ভাই শুভ্র সাহেব
আমি আগেই বলেছিলাম “আগে ভালো করে জেনে আসুন তাহলে আপনার অজ্ঞতা কমতে শুরু করবে !” আপনার
হাতের চামড়াটা কেটে গেলে ব্যথা কিন্তু কাটা চামড়াও পায় যেহেতু তার জীবন আছে ! কিন্তু
ব্যাথাটা সেই চামড়াটা বুঝতে পারে না ! কারণ ব্যথা বোঝার জন্য যে নার্ভাস সিস্টেম দরকার
হয় সেটা ওই কাটা চামড়ার অংশে নেই ! কিন্তু সেই ব্যাথাটা আপনি পাবেন ১০০%; কারণ সেই
ব্যাথা উপলব্ধি করার জন্য নার্ভাস সিস্টেম আপনার শরীরে আছে ! প্রাণীর ক্ষেত্রে যদি
একটু পড়াশুনা আপনার থাকে তাহলে বুঝতে পারবেন যে খুব নিচু শ্রেনীর প্রাণী বাদে যেমন
ভাইরাস ব্যাকটেরিয়া এগুলোর নার্ভাস সিস্টেম থাকে না l আর তাই এগুলোকে লাখে লাখে কেন
কোটিতে কোটিতে হত্যা করলেও এগুলো বুঝতে পারবে না তাদের কি করা হচ্ছে ! বা তারা ব্যাথা
পাবে না কারণ ব্যথা অনুভব করার মতো মন বা নার্ভ তাদের দেহে নেই !
কিন্তু প্রানীদের (উচু শ্রেনীর
প্রানীদের) নার্ভাস সিস্টেম আছে অর্থাত মন আছে ! আর তাই তাদের হত্যা করা হলে অথবা আঘাত
করা হলে তারা সেই কষ্ট এবং যন্ত্রণা বুঝতে পারে; এবং সেটা ভালো ভাবেই উপলব্ধি করতে
পারে ! অর্থাত মানুষ যেমন কষ্ট পায়, যন্ত্রণা উপলব্ধি করে সে রকম প্রাণীরাও কষ্ট যন্ত্রণা
উপলব্ধি করে ! আপনি সেই প্রানীদের হত্যা করবেন নির্বিচারে এমনকি সেই হত্যা কান্ডের
উত্সব করবেন সেটা সত্যি অমানবিক ; যদি আপনার মানবিক বোধ থাকে ! আবার গাছের ক্ষেত্রে
যেটা হয় সেটা হলো গাছের জীবন আছে সুতরাং গাছ ব্যথা পায় ! কিন্তু সেই ব্যাথা বোঝার মতো
মন তার নেই কারণ তার মধ্যে নার্ভ সিস্টেম বা নার্ভাস সিস্টেম নেই ! আপনি কোথাও পাবেন
না যে গাছের নার্ভাস সিস্টেম আছে, এমন বলা হয়েছে !
গাছ ব্যাথা পাবে কিন্তু সেই
ব্যাথা টের পাবে না বা বোঝতে পারবে না ! সহজ করে বললে সে আসলে ব্যাথা পেলেও জানবে না
যে সে ব্যাথা পেয়েছে ! অর্থাত প্রকৃত পক্ষে সে ব্যাথা পাবে না ! আর তাই প্রাণী হত্যা
আর গাছ হত্যার মধ্যে আকাশ আর পাতালের পার্থক্য রয়েছে ! তারপরও অকারণে জীবন হত্যা সত্যি
খারাপ ! আর সেখানে প্রাণী হত্যাটা সত্যি অমানবিক এবং নিষ্ঠুর ! কারণ প্রত্যেক প্রাণীরই
মন আছে ঠিক মানুষের মতো ! কিন্তু গাছের প্রাণ থাকলেও মন নেই ! আপনি যদি ভালো ভাবে এ
ব্যাপারে পড়াশোনা করেন তাহলে আমার কথাটা বুঝতে পারবেন !
শুভ আহমেদ- গরু ছাগলেরা বংশ
বৃদ্ধি করে অতি দ্রুত। ছাগল প্রতি বছর পাঁচ ছয়টা করে বাচ্চা উৎপাদন করে। যদি আমরা গরু
ছাগলদেরকে এভাবে মেরে ফেলে ওদের মাংস না খেতাম তবে পৃথিবীতে গরু ছাগলের সংখ্যা খুব
বেড়ে যেতো। আর তাই আল্লাহ কুরবাণী প্রথা করে দিয়েছেন যাতে আমরা পরু ছাগলের মতো পশুকে
মেরে ওদের মাংস খেতে পারি এবং গরু ছাগলের সংখ্যা কমাতে পারি।
আমার উত্তর- হে হে ! আপনি
ঠিকই বলেছেন শুভ্র সাহেব, গরু ছাগল এর বংশ বৃদ্ধি হয় খুব দ্রুত আর তাদের মেরে ফেলা
উচিত ! তাহলে ভাইয়া পৃথিবীতে মানুষের সংখা এত বেশি বেড়ে গেছে যে কিছুদিন পর পৃথিবী
এত মানুষের ভারসাম্য রক্ষা করতে পারবে না ! আপনার কথা অনুযায়ী তাহলে এখনি একটা একটা
করে মানুষকে মেরে ফেলে (হত্যার উত্সব করে) জন সংখ্যা কমানো উচিত ! তাহলে গরীব মানুষেরা
সেই হত্যা হওয়া মানুষের মাংস খেয়ে আমিষের চাহিদা পূরণ করতে পারবে। কি বলেন ?
মানুষ যখন অজ্ঞানী বা অল্প
জ্ঞানী হয় তখন হয়ত এভাবেই চিন্তা করেl প্রকৃতির একটা নিজস্বতা আছে ! বাস্তুসংস্থান
ভালোভাবে জানলে আপনাকে বোঝানো সহজ হতো! বাস্তুসংস্থান টিকে আছে একটা ব্যালেন্স-এর
উপর আর অধিক হারে বনাঞ্চল ধংস করার ফলে বনের প্রাণীর সংখ্যা কমে যাচ্ছে ! ফলে তৃতীয়
স্তরের প্রাণীরা ঠিক ভাবে খাবার পাচ্ছে না এবং খাদ্যের জন্য প্রায়ই লোকালয়ে চলে আসছে
! যেটা চট্টগ্রামে বা দক্ষিন অঞ্চলে প্রায়ই হয় ! এখন যদি বনাঞ্চল ঠিক ভাবে রক্ষা করা
যায় এবং সব প্রানীকে বনের বসবাসের উপযোগী করা যায় তাহলে বাস্তুসংস্থান ঠিক থাকবে এবং
পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা হবে ! এভাবেই যুগ যুগ ধরে চলে আসছে ! গরু ছাগল হরিন এরা ঘাস
খায় বাঁচার জন্য ! শখ করে নয় !
আবার বাঘ সিংহ সেই গরু ছাগল
এবং হরিনদের ধরে ধরে খায় বেঁচে থাকার তাগিদে ! এরা এমনি এমনি প্রাণী হত্যা করে না!
কারণ প্রত্যেকের বাঁচার অধিকার আছে ! আবার প্রত্যেকের আত্মরক্ষারও অধিকার রয়েছে ! মানুষ
যেহেতু পৃথিবীর শ্রেষ্ট প্রাণী (জ্ঞান বুদ্ধি ও মানবিকতায়) তাই মানুষেরই দায়িত্ব নিষ্ঠুর
কাজ গুলো যেন প্রকৃতিতে না হয় সেটা দেখা !
বলে রাখা ভালো মানুষ বাঘ
সিংহের মতো শুধু মাংসাশী প্রাণী নয়! মানুষ অন্য অনেক রকম খাবার খেয়ে বাঁচতে পারে !
যেটা বাঘ সিংহ পারে না ! আর তাই বাঘ সিংহের সাথে নিজেদের তুলনা করা শুধু বোকামি নয়
বরং মুর্খতাও !
আর তাই শ্রেষ্ট প্রাণী হিসেবে
মানুষের দায়িত্ব হচ্ছে প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষা করা ! প্রকৃতিকে ধ্বংশ করা নয় ! যেটা
সারা পৃথিবীর মানুষ করছে হর হামেশায়ই !
আর তাই গরু ছাগল হত্যা করে,
তাদের ধরে ধরে হত্যা করে, তাদের খেয়ে ফেলে প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষা করছি এমনটা ভাবা
বোকামি ও মুর্খতা !
বরং মানুষই এসব দেখাশুনা
করে রাখবে যেন পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা হয় ! সেখানে রক্ষা না করে ভক্ষক সাজাটা যে সত্যি
অমানবিক সেটা নিশ্চই আপনি বোঝবেন ! আর সেখানে প্রাণী হত্যার উত্সব করা (সব ধর্মের বেলাতেই)
নিষ্ঠুর, বর্বর ও অমানবিক !
শুভ্র আহমেদ- আপনি ভূল বলছেন।
গাছেরও প্রাণ আছে আর গাছের নার্ভাস সিস্টেম আছে। এজন্যইতো গাছ ব্যথা পেলে কাঁদে। গাছের
যদি নার্ভাস সিস্টেম বা মন নাই থাকবে তবে গাছ কাঁদে কেন? তাই পশুরা যেমন ব্যথা পেলে
কাঁদে ঠিক একই ভাবে গাছও ব্যথা পেলে কাঁদে। এজন্য যদি গরু ছাগল হত্যা করা নিষ্ঠুর হয়
তবে গাছ হত্যা করাও নিষ্ঠুরতা।
আমার উত্তর- শুভ সাহেব, বিজ্ঞানের
প্রাথমিক জ্ঞান কি আপনার আছে? নাকি কোরান দিয়ে বিশ্ব বিচার করার জ্ঞান আছে? নাকি ভেবেছেন
আল্লাহ যেহেতু আপনার সাথে আছে তাই আপনি যেটা বলবেন সেটাই ঠিক হয়ে যাবে! আপনি ভালো করে
জ্ঞানী কারো কাছ থেকে জেনে নেবেন যে গাছের মন তথা নার্ভাস সিস্টেম থাকে কিনা; প্রাণীর
যেভাবে মন থাকে বা নার্ভাস সিস্টেম থাকে? আপনার বিজ্ঞানে প্রাথমিক লেভেলের জ্ঞানও নেই
! বুঝতে পারছি মাদ্রাসা থেকে পড়াশুনা করেছেন ! আর তাই আল্লাহ আর মুহাম্মদ ছাড়া জগত
সংসার সম্মন্ধে জ্ঞান নেই ! শুধু সপ্নের জ্ঞান নিয়েই বাহাদুরি করছেন !
আমি যে বললাম যে গাছের প্রাণ
থাকলেও মন নেই আর তাই সে বেথা অনুভব করবে না যদিও ব্যাথা পায় ! এর পর বোকার মত কথা
বলবেন না যে গাছ কাঁদে ! গাছ কষ্ট পাবে কিন্তু সে কাঁদবে না কারণ সেই কষ্ট বোঝা বা
কান্না করার মত নার্ভাস সিস্টেম গাছের নেই! গাছের মস্তিস্ক নেই যেমন প্রাণীর আছে !
গাছের শুধু জীবন আছে !
আপনি এসব জানেন না বুঝতে
পারছি! এসব ব্যাপারে ভালোভাবে না জেনে কথা বলতে আসবেন না ! আপনাদের আস্তিকদের মধ্যেও
অনেক বিজ্ঞান জানাওয়ালা লোক আছে তাদের কাছ থেকে আগে জেনে আসবেন ! ঠিক আছে!
মানুষের যেমন নার্ভাস সিস্টেম
আছে তাই মানুষের মন আছে ঠিক সেভাবে প্রাণীদেরও নার্ভাস সিস্টেম আছে। অর্থাৎ মানুষের
মতো প্রাণীদেরও মন আছে। আর তাই মানুষকে হত্যা করলে যেমন মানুষ ব্যথা পায়; যন্ত্রনা
অনুভব করে ঠিক একই ভাবে পশু পাখিও ব্যথা পেলে যন্ত্রনা অনুভব করে। কারণ পশুদেরও মানুষের
মত নার্ভাস সিস্টেম আছে। কিন্তু গাছের নার্ভাস সিস্টেম নেই। তাই সে ব্যথা পেলেও সেই
ব্যথা অনুভব করতে পারবে না। কারণ গাছের ব্যথা অনুভব করার মতো ক্ষমতা নেই। আপনি ভালো
করে পড়াশুনা করে এসে এ বিষয়ে কথা বলতে আসবেন। না জেনে না বুঝে বোঁকার মতো মন্তব্য
করবেন না।
চলবে....
ভাল লিখেছেন ভাই। ধন্যবাদ
ReplyDeleteভীষণ সুন্দর করে ব্যাখ্যা করেছেন ভাই ।
ReplyDeleteTumi mia ki vabo nijeke?? Mukto mona?? Tumi to nijei ondhokare.bujo kisu??sotto khuujte chao mon ta khule vabo.tomra nastik ra boddo kharap.nijer mostisker baje chinta vabna diye somaje provab felo.jodi chao sotto khujte,mon poriskar kore,sotti sotti jta sothik seta mene nite jdi apotti na thake to jukti te asio.ja sotto promanito hbe tai manio.jed niye asio na.ondho hoye asio na.nije porajito hbe vebe sotto theke bimukh hoio na.
ReplyDeleteTumi mia ki vabo nijeke?? Mukto mona?? Tumi to nijei ondhokare.bujo kisu??sotto khuujte chao mon ta khule vabo.tomra nastik ra boddo kharap.nijer mostisker baje chinta vabna diye somaje provab felo.jodi chao sotto khujte,mon poriskar kore,sotti sotti jta sothik seta mene nite jdi apotti na thake to jukti te asio.ja sotto promanito hbe tai manio.jed niye asio na.ondho hoye asio na.nije porajito hbe vebe sotto theke bimukh hoio na.
ReplyDeleteThis is my id.come and see which path is right
https://www.facebook.com/tariqul.aziz.92
ভাই নার্ভ সিষ্টেম থাকলে মন থাকে এটা কে বলেছে, ভাই বিঙ্গান কে আপনি তি পুরাপুরি ধর্ষণ করে ফেলেছেন
ReplyDeleteভাই গাছের অনুভূতি নেই এটা কোথাই পেলেন
ReplyDeleteসনাতন ধর্মে সাত্ত্বিক আহার এর কথা বলা হয়েছে। মাছ মাংশ সাত্বিক আহার নয়। তাছাড়া যজ্ঞে ষড়রিপু বলি দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। আর মুর্খরা একে ছাগল বলি বানিয়ে দিয়েছে। পশু হত্যা কখনো ধর্মই হতে পারে না।
ReplyDeleteএখানে অনেক ভুল কথা রয়েছে।
ReplyDeleteনার্ভ সিস্টেম ত জেলিফিশ এর ও নেই।তাই বলে কি সে ব্যাথা পায় না।আর ব্যথা পাক বা না পাক হত্যা করছেন গাছ বা পশু হত্যা ত হত্যাই।
ReplyDeleteআমরা আমাদের শাস প্রসাসের মাধ্যমে কত ব্যাক্টিরিয়া হত্যা করতেছি।এমন কি করোনা ভাইরাসের ও জীবন ছিল।ভাল করে বিজ্ঞ্যান নিয়ে রিসার্চ করলে আপনার আর এই হাল হত না।আসলে বেশির ভাগ বিজ্ঞ্যানিরা নাস্তিক হয় না। হয় যতসব সমাজ বিজ্ঞ্যানি সমাজ কল্যান নামের বুদ্ধবন্ধি নামের মুর্খ রাই।এরা জীবনে ত নিজে কোন কিছু রিসার্চ করে নাই। অন্যের টা শুনেই লাফায়
ReplyDelete