পৃথিবীর সমস্ত ধর্মের অনুসারীরা একটি কমন দাবী করে থাকে। তাদের দাবী একমাত্র তাদের ধর্মগ্রন্থটিই সত্য ধর্মগ্রন্থ এবং বাকী সব ধর্মগ্রন্থই মিথ্যা বা বিকৃত। মুসলমানরাও সব ধর্মের আস্তিকদের মতই দাবী করে থাকে যে একমাত্র তাদের ধর্মগ্রন্থ কুরআনই একমাত্র সত্য ধর্মগ্রন্থ আর পৃথিবীর সব ধর্মগ্রন্থই মিথ্যা এবং বিকৃত। এমন কি মুসলমানরা দাবী করে যে তাদের ধর্মগ্রন্থ কুরআন স্বয়ং আরবীয় সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর নিজের লেখা বা রচিত গ্রন্থ। মুসলমানদের দাবী অনুযায়ী কুরআনে কোন ভূল ভ্রান্তি নেই। এমন কি কুরআনে বিজ্ঞান সম্পর্কিত নির্ভূল কথা বলা হয়েছে। কিন্তু মুসলমান বাদে পৃথিবীর সব মানুষই যারা কুরআন পড়েছে তারা বুঝতে পারে যে কুরআনে নানাবিধ ভূল ভ্রান্তি, এবং অবাস্তব কথা বলা রয়েছে যার সাথে বাস্তব তথ্যের কোন মিল নেই। পৃথিবীর সব মানুষই কুরআন পড়ার পরে নিশ্চিত হয়েছে যে কুরআন কোন প্রাচীণ আরবীয় মানুষের লেখা একটা সাধারণ মানের বই। এতে এমন কিছুই নেই যা প্রমাণ করে যে কুরআন একটি সৃষ্টিকর্তার লেখা বই।
কুরআন যে কোন সৃষ্টিকর্তার রচিত হওয়া কোন গ্রন্থ নয় সেটা পৃথিবীর অনেক মানুষই প্রমাণ করেছে। এবং আমিও পূর্বের পর্বগুলোতে এটা প্রমাণ করে দিয়েছি যে কুরআন কোন অতিক্ষমতাবাণ সৃষ্টিকর্তা লেখেনি বরং কুরআন প্রাচীণ আরবের এক সাধারণ প্রতিভার মানুষ লিখেছে। কুরআনের লেখক সেই দেড় হাজার বছরের তুলনায় অবশ্যই ভালো গ্রন্থকার এটা নির্দিধায় বলা যায়; তবে একবিংশ শতাব্দির তুলনায় কুরআন খুবই স্বাধারণ মানের একটি গ্রন্থ। কুরআনের নানা ভ্রান্তিকর কথাবার্তা, ভূল তথ্য, বিশ্বজগত সম্পর্কে প্রাচীণ চিন্তাধারা মুলক বর্ণনা, ব্যকরণগত নানা ভূল, পরস্পর বিরোধীমুলক কথা প্রভৃতির সমষ্টিতে কুরআন হলো ভ্রান্তি এবং মিথ্যা ধারণার একটি বই। কুরআনের ভূল প্রমাণ করা হয়েছে এর আগের পর্বগুলোতেই। এই পর্বটিতেও কুরআনের আরো একটি ভূল প্রমাণ করবো (যদিও আগেই মানুষ এই ভূলটি ধরে দিয়েছে)।
আজ থেকে দেড় বা দুই হাজার বছর পূর্বে মানুষ ভেবেছিল যে তারা যেমনটি দেখে সূর্যের কাজ থেকে আলো আসে এবং চাঁদের কাছ থেকেও আলো আসে ঠিক সেরকমটিই ঘটে। অর্থাৎ তারা ধারণা করতো যে সূর্যের নিজের আলো আছে এবং সূর্যের আলোটা অনেক তীব্র। চাঁদের আলো সম্পর্কে তাদের ধারণা ছিল যে চাঁদের আলোটা তার নিজেরই আলো এবং এই আলোটা হালকা আলো। দেখা যাচ্ছে যে তারা সূর্য এবং চাঁদের আলোকে যেভাবে দেখেছে এবং উপলব্ধি করেছে ঠিক সেভাবেই তারা তাদের ধারণাকে সাজিয়েছে।
যেহেতু ধর্মগুলোকে মানুষই সৃষ্টি করেছে তাই মানুষের রচিত ধর্মগ্রন্থগুলোতেও এরকমের ধারণাই বর্নিত হয়েছে। মাত্র কয়েকশো বছর পূর্বে মানুষ আবিষ্কার করেছে যে সূর্যের আলোটা যদিও তার নিজের আলো কিন্তু চাঁদের আলোটা চাঁদের নিজের আলো নয়। সূর্যের আলো চাঁদের গায়ে লাগে এবং সেখানেও সূর্যের আলোর তীব্রতা পৃথিবীতে সূর্যের আলোর তীব্রতার মতই থাকে। কিন্তু যখন সূর্যের এই আলো চাঁদের গায়ে লাগে এবং প্রতিফলিত হয়ে পৃথিবীতে আসে তখন আলোর তীব্রতা অনেক কমে যায়। ফলে চাঁদের কাছ থেকে প্রতিফলিত হয়ে আসা এই সূর্যের আলোটি অনেক কোমল ও স্নিগ্ধ হয়ে যায়। এজন্যই সূর্যের আলোর তীব্রতা এতো বেশী থাকে এবং চাঁদের কাছ থেকে আসা আলোটা এমন কোমল হয়ে যায়। কিন্তু চাঁদের আলোটাও সূর্যেরই আলো।
প্রাচীণ মানুষ এই তথ্যটা জানতো না। তাই তারা ভেবে নিয়েছিল যে সূর্যের আলো তীব্র এবং চাঁদের আলো কোমল। এবং সূর্যের ও চাঁদের নিজস্ব আলো রয়েছে।
প্রাচীণ মানুষের এই ভূল ধারণাগুলো তাদের রচিত ধর্মগ্রন্থগুলোতেও এই ভাবেই বলা হয়েছে। যেমন বাইবেল এবং তৌরাতে বলা হয়েছে যে সূর্যের এবং চাঁদের নিজস্ব আলো রয়েছে। কুরআনেও সূর্য এবং চাঁদের আলো সম্পর্কে এমন ভ্রান্তিকর কথা বলা হয়েছে।
কুরআনের সূরা নুহ-এর ১৬ নং আয়াতে বলা হয়েছে,
"এবং সেখানে চাঁদকে আলো ও সূর্যকে প্রদীপরুপে স্থাপন করেছেন?" (অনুবাদ- প্রফেসর ডঃ মুহাম্মদ মুজীবুর রহমান)
এই আয়াতে চাঁদকে আলো এবং সূর্যকে প্রদীপ বলা হয়েছে। কেন চাঁদকে আলো এবং সূর্যকে প্রদীপ বলা হলো? কারণ হলো মুহাম্মদের সময়ে (তার জন্মের আগে এবং পরে) চাঁদকে নূর বলা হতো। কারণ চাঁদের আলো এবং সূর্যের আলোতে যে পার্থক্য ছিল সেটা কেন তারা তা জানতো না। কিন্তু তারা সূর্যের আলোর যে তীব্রতা ছিল (যেমন সূর্যের আলো অনেক তীব্র ছিল এবং সূর্যের আলোতে প্রবল তাপ ছিল) তার সাথে প্রদীপের আলোর অনেক মিল রয়েছে। প্রদীপের আলোতে যেমন তীব্র আলো এবং তাপ পাওয়া যেতো সেটা আগুনের ফলে হতো। তাই সেই সময়ের মানুষ ভেবেছে যে, যেহেতু সূর্যের আলোও প্রদীপের আলোর মতো আচরণ করে তাই সূর্য নিশ্চয়ই প্রদীপ জাতিয় কিছুই হবে। তাই কুরআনে সূর্যকে প্রদীপ বলা হয়েছে। কিন্তু চাঁদের আলোতে যেহেতু প্রদীপের আলোর মতো তীব্র আলো এবং তাপ ছিল না তাই তারা ধরে নিয়েছিল যে চাঁদের আলো আগুনের মাধ্যমে তৈরী হয় না। বরং তারা ভাবতো চাঁদ আগুনের মতো পুড়ে যায় না কিন্তু এর ভিতর থেকে আলো বের হয়। যেমন রেডিয়ামের ভিতর থেকে আলো বের হয়। আবার রুপকথার নানা কাহিনীতে অনেক মনি মানিক্যের কথা উল্লেখিত আছে যে সেই রুপকথার মনি মানিক্যগুলো থেকে এক প্রকার আলো বের হয় চাঁদের আলোর মতো। কিন্তু এই আলো আগুনে পোঁড়ার মাধ্যমে তৈরী হয় না। অনেকটা রেডিয়াম থেকে নির্গত হওয়া আলোর মতো, রুপকথার মনি মানিক্য থেকে আলো বের হয়। এই আলোটিকেই আরবের মানুষেরা নূর বলতো। অর্থাৎ নূর হলো এমন একটা আলো তা কোন পদার্থ থেকে দহন ব্যতীতই নির্গত হয়। এজন্যই কুরআনে চাঁদকে নূর বা আলো বলা হয়েছে। অর্থাৎ চাঁদ হলো নূর যার মধ্যে থেকে আলো নির্গত হয় কিন্তু তাতে কোন দহন হয় না। দহন ব্যতীতই চাঁদ থেকে আলো নির্গত হয় আর সেই আলোটা চাঁদের নিজের আলো। যেমনটা রেডিয়ামের আলো। আমরা জানি যে রেডিয়াম থেকে এক প্রকার আলো বের হয় যার তীব্রতা অতি নগন্য। আরবের মানুষ সেই সময়টিতে চাঁদকে রেডিয়ামের মতই কোন আলো নির্গত মাধ্যম ভেবেছে যা থেকে আলো বের হয় কোন দহন ব্যতিত। এজন্যই চাঁদকে আলো এবং সূর্যকে প্রদীপ বলা হয়েছে। কারণ এর মাধ্যমে কুরআন বুঝিয়েছে যে সূর্যের আলো প্রদীপের মতো দহনের মাধ্যমে বের হয় বলে এর আলোটা তীব্র এবং তাপময়। এবং চাঁদের আলো দহন ব্যতীত নির্গত হয় বলে এটি রেডিয়ামের মতো ক্ষীণ আলো প্রদান করে যাতে কোন তাপ নেই।
আরবী ডিকশোনারিতে নূর শব্দটির অর্থ রয়েছে আলো। অনলাইনে আরবীতে নূর শব্দটি লিখে সার্চ দিলে এর অর্থ আসে আলো। অর্থাৎ চাঁদ হলো নূর বা আলো। এর মানেটা হলো চাঁদ নিজেই একটি আলো অর্থাৎ চাঁদের নিজের আলো আছে।
এই কথাটির সত্যতা পাওয়া যায় সূরা ইউনুস-এর ৫ নং আয়াতে। সেখানে বলা আছে,
"তিনি (আল্লাহ), যিনি সূর্যকে দীপ্তিমান এবং চন্দ্রকে আলোকময় বানিয়েছেন...." (অনুবাদ- প্রফেসর ডঃ মুহাম্মদ মুজীবুর রহমান)
এই আয়াতে স্পষ্ট করেই বলা হয়েছে যে, সূর্য হলো দীপ্তিমান অর্থাৎ আলো প্রদানকারী
এবং চাঁদ হলো আলোকময়। যার মানে হলো সূর্য দীপ্তিমান
বা উজ্জ্বল এবং চাঁদ হলো আলোময় বা আলো প্রদানকারী
বা নির্গমনকারী। অর্থাৎ চাঁদ আলো দেয় এবং চাঁদ নিজেই আলোকময়।
ডঃ জহুরুল হক এই আয়াতের অনুবাদ করেছেন এভাবে,
"সূর্য হলো তেজস্কর এবং চন্দ্র হলো জ্যোতির্ময়।"
আবার হাফেজ মুনির উদ্দীন আহমদ এই আয়াতটির অনুবাদ করেছেন এভাবে,
"সূর্যকে করেছেন (প্রখর) তেজোদ্দীপ্ত এবং চাঁদকে জ্যোতির্ময়।"
অর্থাৎ সব অনুবাদই সূর্যকে প্রদীপের আলোর মতো আলোপ্রদাণকারী বলেছেন এবং চাঁদকে দহনহীন স্বল্প আলো প্রদানকারী
বলেছেন।
এই আয়াত দুটি দিয়ে স্পষ্ট করেই চাঁদের নিজস্ব আলো আছে এ কথাটাই বলা হয়েছে।
কিন্তু আমরা আধুনিক যুগে এসে জানতে পেরেছি যে চাঁদ থেকে যে আলোটা আসে সেটা চাঁদের নিজের আলো নয়। আধুনিক বিজ্ঞানের কল্যাণে আজ সব মানুষই জেনে গেছে যে চাঁদের আলোটা যদিও মানুষের কাছে মনে হয় যে এটি চাঁদের নিজের আলো তবুও এই আলোটা আসলে চাঁদের নয়। সূর্যের আলো চাঁদের গাঁয়ে পড়ে এবং প্রতিফলিত হয়ে পৃথিবীর দিকে আসে এবং জ্যোৎস্না (চাঁদের আলো) তৈরি হয়। এই তথ্যটা প্রাচীণ মানুষের জানা ছিল না তাই তারা ভেবেই নিয়েছিল, যেহেতু চাঁদের থেকেই আলোটা আসে তাই আলোটা চাঁদেরই আলো। ফলে কুরআন লেখকও ততকালীন মানুষের এই ভ্রান্ত ধারণাটিই কুরআনে লিখে রেখেছে। যদি কুরআন সত্যিই মানুষের লেখা না হতো, যদি কুরআন সত্যিই কোন অতিক্ষমতাবাণ সৃষ্টিকর্তার বাণী হতো তবে অবশ্যই কুরআনে চাঁদের আলো সম্পর্কে এই ভ্রান্ত কথাটি লেখা থাকতো না। স্পষ্টতোই কুরআন প্রাচীণ আরবীয় অজ্ঞ মানুষের লেখা একটা সাধারণ মানের বই।
বিজ্ঞানের সত্যটি মানুষ যতই জানতে থাকলো ততই কুরআনের মিথ্যাবাদিতা মানুষের কাছে প্রকাশ হয়ে গেল। ফলে মানুষের আর জানার বাকি থাকলো না যে কুরআন মুহাম্মদ নামের এক প্রাচীণ আরবীয় চাঁদের আলো সম্পর্কে অজ্ঞ মানুষেরই লেখা। কিন্তু তাই বলে কুসংস্কারাচ্ছন্ন মুসলমানদের কুসংস্কার বিশ্বাস থেমে থাকলো না। তারা তাদের কুসংস্কার বিশ্বাসকে টিকিয়ে রাখার জন্য এবং (কারো কারো ক্ষেত্রে) ধর্ম ব্যবসার জন্য কুরআনের এই স্পষ্ট ভূলকে সংশোধন করার প্রয়োজন হলো। তাই তারা কুরআনের এই আয়াতগুলোর অর্থ পরিবর্তন করে নতুন করে কুরআনের অর্থ করলো যাতে এর ভুল সংশোধন হয়ে যায়। তারা এমন ভাবে অর্থের পরিবর্তন ঘটালো কুরআনে ব্যবহৃত নূর শব্দটির অর্থের পরিবর্তন ঘটিয়ে যাতে এর অর্থটি বিজ্ঞানের আধুনিক আবিষ্কারের সাথে মিলে যায়। তারা নূর শব্দটির নতুন অর্থ করলো প্রতিফলিত আলো। বুদ্ধিমানদের বুঝার বাকী থাকবে না যে কেন নূর অর্থ আলো এই অর্থটির পরিবর্তন করে কেন নূর অর্থ প্রতিফলিত আলো করা হলো! কারণটি যতটা সহজ তার থেকেও বেশী হাস্যকর। কারণ আধুনিক বিজ্ঞান এই কিছু দিন আগে মাত্র আবিষ্কার করেছে যে চাঁদের আলোটা হলো সূর্যের আলোর প্রতিফলিত আলো। আর তাই যখন মুসলমানরা নূর শব্দটির অর্থ করেছে প্রতিফলিত আলো তাও আবার বিজ্ঞানের আবিষ্কারের পরে তখন বুদ্ধিমান মানুষের হাসাহাসি করা ছাড়া আর কিইবা করার আছে?
কুরআনে যে নূর শব্দটির অর্থ প্রতিফলিত আলো নয় বরং আলো সেটি স্পষ্ট হয় সূরা ফুরকান-এর ৬১ নং আয়াতটি দেখলে। আয়াতটি হলো-
"কত মহান তিনি যিনি আকাশে সৃষ্টি করেছেন বড় বড় তারকাপুঞ্জ এবং তাতে স্থাপন করেছেন প্রদীপ (সূর্য) ও জ্যোতির্ময় চন্দ্র!" (অনুবাদ- প্রফেসর ডঃ মুহাম্মদ মুজীবুর রহমান)
এই আয়াতটিতে খুব স্পষ্ট করেই বলা হয়েছে চাঁদ হলো জ্যোতির্ময় অর্থাৎ আলো প্রদানকারী। যার মানে হলো চাঁদের কাছ থেকে যে আলোটা আসে সেই আলোটা তার নিজের ভিতর থেকেই আসে। কারণ চাঁদ নিজেই আলোকময় বা আলো উৎপাদনকারী এবং প্রদানকারী। অর্থাৎ চাঁদের নিজের আলো আছে। এই আয়াতটির ইংরেজী অনুবাদ ইউসূফ আলি করেছেন এভাবে,
"Blessed is He Who
made constellations in the skies, and placed therein a Lamp and a Moon giving
light;"
"Moon giving
light" শব্দগুচ্ছ দ্বারা এটাই স্পষ্ট করা হয়েছে যে চাঁদ তার নিজের আলো থেকে আলো প্রদাণ করে থাকে। অর্থাৎ চাঁদের নিজের আলো আছে।
সূরা ফুরকান-এর অন্যান্য অনুবাদগুলো হলো,
"কতো মহান সেই সত্তা, যিনি আসমানে অসংখ্য গম্বুজ বানিয়েছেন, এরই মাঝে তিনি (আবার) পয়দা করেছেন প্রদীপ (-সম একটি সূর্য) এবং একটি জ্যোতির্ময় চাঁদ।" (অনুবাদ- হাফেজ মুনির উদ্দীন আহমদ)
"মহামহিম তিনি যিনি মহাকাশে তারকারাজি সৃষ্টি করেছেন, আর তাতে বানিয়েছেন এক প্রদীপ ও এক চন্দ্র-দীপ্তিদায়ক।"
(অনুবাদ- ডঃ জহুরুল হক)
"Blessed be He Who
hath placed in the heaven mansions of the stars, and hath placed therein a
great lamp and a moon giving light!" (অনুবাদ- Mohammad Marmaduke Pickthal)
এরকম আরো অনেক অনুবাদক যারা অনেক আগেই কুরআন অনুবাদ করেছেন তাদের অনুবাদে চাঁদের আলোকে নিজের আলো হিসেবে বর্ণনা করেছেন। কিন্তু নতুন অনুবাদকগণ এই আয়াতগুলোর অর্থ পরিবর্তন করে নতুন করে নূর-এর অর্থ আলো’র পরিবর্তে প্রতিফলিত আলো করেছেন। আর সেটা করা হয়েছে বিজ্ঞানের আবিষ্কারের সাথে কুরআনের এই ভূলকে সংশোধন করে বিজ্ঞানময় বানানোর উদ্দেশ্যে। অসততা এবং ভন্ডামী করে হলেও তাদের অন্ধবিশ্বাস এবং কুসংস্কারকে বাঁচিয়ে রাখবে তবু কুসংস্কার ও অন্ধবিশ্বাসকে বাদ দেবে না। এমনটিই মনে হয়।
চাঁদের আলো সম্পর্কে উপরিউত্ত আয়াতগুলো থেকে এটা স্পষ্ট হয় যে কুরআন চাঁদের আলো সম্পর্কে ভূল বা মিথ্যা এবং প্রাচীণ মানুষের ভ্রান্তিকর কথা বলেছে। আর তাই কুরআনের এই অজ্ঞতাপূর্ণ আয়াতটি কোন ক্রমেই কোন সৃষ্টিকর্তার বাণী হতে পারে না। এটি প্রাচীণ মানুষের অজ্ঞতাসূচক বাণী।
পৃথিবীর সব মানুষই কুরআনের এই ভূলগুলো ধরতে পারে এবং কুরআন যে কোন সৃষ্টিকর্তার বাণী নয় বরং কুরআন একজন মানুষের লেখা গ্রন্থ, সেটা মুসলমানরা বুঝতে পারে না। কারণ তারা তাদের অন্ধবিশ্বাস এবং কুসংস্কারের কাছে যুক্তিবুদ্ধিগুলো কাজে লাগাতে পারে না। মুসলমানদের অন্ধবিশ্বাসই তাদেরকে কুসংস্কারময় করে রাখে।
কুরআন যে ভূল কথা বলেছে তার আরো প্রমাণ কুরআনেই রয়েছে। যেমন
নূর শব্দটির অর্থ যে আলো বা নিজস্ব আলো সেটার প্রমাণ পাওয়া যায় কুরআনের দুটি আয়াত
থেকে। আয়াত দুটো হলো সূরা আহযাব-এর ৪৬ নং আয়াত এবং সূরা নূর-এর ৩৫ নং আয়াত।
সূরা আহযাব, আয়াত ৪৫ ও ৪৬
"হে নবী! নিশ্চয়ই আমি তোমাকে পাঠিয়েছি সাক্ষীরুপে এবং
সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারীরুপে।"
"আল্লাহর অনুমতিক্রমে তাঁর দিকে আহবানকারী রুপে এবং উজ্জ্বল
প্রদীপ রুপে।"
অর্থাৎ মুহাম্মদ হলো প্রদীপ।
আবার সূরা নূর-এর ৩৫ নাম্বার আয়াতে আছে
"আল্লাহ আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর (আলোকিতকারী) জ্যোতি, তাঁর
জ্যোতির উপমা (মুমিনদের অন্তরে) যেন একটি দীপাধার (তাক), যার মধ্যে আছে এক প্রদীপ,
প্রদীপটি একটি কাঁচের আভরণের মধ্যে স্থাপিত, কাঁচের আভরণটি উজ্জ্বল নক্ষত্র সদৃশ; এটা
প্রজ্বলিত করা হয় বরকতময় যয়তুন বৃক্ষের তৈল দ্বারা যা পূর্বেরও নয়, পশ্চিমও নয়, (বরং
উভয়ের মধ্যবর্তী) অগ্নি ওকে স্পর্শ না করলেও যেন ওর তৈল উজ্জ্বল আলো, জ্যোতির উপর
জ্যোতি! আল্লাহ যাকে ইচ্ছা পথ নির্দেশ করেন তাঁর জ্যোতির দিকে; আল্লাহ মানুষের জন্যে
উপমা দিয়ে থাকেন আল্লাহ সর্ব বিষয়ে সর্বজ্ঞ।"
অর্থাৎ আল্লাহ হলো নূর বা আলো। এই আয়াতে আল্লাহকে স্পষ্ট করে
নূর বলা হয়েছে এবং এই নূরের উদাহরণ টেনে একটি প্রদীপের উদাহরণ টানা হয়েছে যার সর্বত্রই
আলো নির্গত হয় আগুনে জ্বলে এবং আগুনে না জ্বলেও।
অর্থাৎ আয়াতটিতে আল্লাহকে নূর বা আলো বলা হয়েছে।
এই আয়াতটি নিয়ে একটু আলোচনা না করলেই নয়। কারণ এই আয়াতটি দিয়ে
মুসলমানরা ত্যাঁনাপ্যাঁচানো কুযুক্তির অবতারণা করে থাকে।
আয়াতটি একটু জটিল ভাবে বর্ণিত বলে সবাই এই আয়াতটি নিয়ে কুযুক্তিমূলক
বক্তব্য দিতে পারে। কারণ আয়াতটিই একটি প্যাঁচানো ধরণের।
আয়াতটিতে স্পষ্ট করে আল্লাহকে নূর বলা হয়েছে মানে আল্লাহ হচ্ছে
নূর বা আলো। পরে বুঝানোর জন্য বলা হয়েছে যে আল্লাহর এই নূর বা আলোর উদাহরণ হলো
একটি প্রদীপের পাত্র। যাতে একটি প্রদীপ আছে যার চারপাশটা কাঁচ দিয়ে ঢাকা। এই কাঁচপাত্রটি
নক্ষত্রের মতো আলোকিত বা আলো প্রদাণকারী। এই প্রদীপটি জ্বলে যয়তুন গাছের তেল দিয়ে।
এই তেলকে আগুন স্পর্শ করে না তবুও এই তেল থেকে আলো বের হয়। অর্থাৎ এই দিপাধারটি বা
প্রদীপটি এমন যে এর সব জায়গা থেকেই আলো বের হয়। তাই বলা হয়েছে আলোর উপর আলো।
আয়াতটি থেকে যা পাওয়া যায় তা হলো-
১. আল্লাহ হলো নূর বা আলো।
২. আল্লাহর নূর বা আলোর উদাহরণ একটি প্রদীপ পাত্রের মতো। যে
পাত্রটির
- কাঁচ থেকে আলো বের হয়,
- তেল থেকে আলো বের হয়,
- এবং প্রদীপের আগুন থেকে আলো বের হয়।
অর্থাৎ আল্লাহ এমনই একটি নূর বা আলো যার চারপাশ থেকেই আলো
বের হয়, দহনের মাধ্যমেও এবং দহন ছাড়াও।
আমি আগেই বলেছি যে আরবী নূর বা আলো শব্দটির অর্থ এমন একটি আলো যা দহন বা আগুনে পোঁড়ার মাধ্যমে তৈরী হয় না। রেডিয়াম বা তেজস্ক্রিয় পদার্থ থেকে যেমন দহন ব্যতীতই আলো বের হয় সেভাবেই রুপকথার মনি মানিক্য, হীরা মানিক প্রভৃতি থেকে নূর বের হয়। আর এই নূর বা আলো পদার্থের নিজের ভেতর থেকেই দহনহীন ভাবে বের হয়। ফলে চাঁদকে নূর বলার কারণ হলো কুরআন লেখক ভেবেছে যে চাঁদের নিজের আলো আছে এবং এই আলোটা দহনবিহীন নির্গত হয়। এজন্যই চাঁদকে নূর বলা হয়ে থাকে এবং সূর্যকে প্রদীপ বলা হয়ে থাকে। কারণ চাঁদ আলো দেয় দহনহীন ভাবে অর্থাৎ না পুঁড়িয়ে কিন্তু সূর্য পোঁড়ানোর মাধ্যমে আলো দেয়। এজন্যই কুরআনের অজ্ঞতাসম্পন্ন লেখক চাঁদকে নূর বা আলো এবং সূর্যকে প্রদীপ বলেছে।
কুরআনের সূরা আহযাব-এর ৪৬ নং আয়াত অনুযায়ী মুহাম্মদ হলো প্রদীপ এবং সূরা নূর-এর ৩৫ নং আয়াত অনুযায়ী আল্লাহ হলো নূর বা আলো।
কিন্তু মুসলমানদের দাবী অনুযায়ী যদি নূর অর্থ প্রতিফলিত আলোই হতো তবে মুহাম্মদ হতো প্রদীপ এবং আল্লাহ হতো প্রদীপ থেকে উৎপন্ন হওয়া আলোর প্রতিফলন। অর্থাৎ মুহাম্মদ প্রধান এবং আল্লাহ হলো মুহাম্মদ থেকে সৃষ্ট। মানে মুহাম্মদ আল্লাহকে সৃষ্টি করেছে। (দুষ্টু বিধর্মীদের দল এটাকেই সত্য বলে দাবী করে। তাদের মতে মুহাম্মদই প্রধান কারণ মুহাম্মদই আল্লাহকে সৃষ্টি করেছে, আর আল্লাহ হলো মুহাম্মদেরই সৃষ্টি।)
এজন্যই কুরআনের সবগুলো অনুবাদক কুরআনে নূরকে আলো হিসেবে অনুবাদ করেছেন কারণ নূর মানে আলো; প্রতিফলিত আলো নয় যেমনটি মুসলমানরা কুরআনকে বাঁচাতে বিজ্ঞানের সাথে মিল রেখে নূর-এর নতুন অর্থ তৈরী করেছে। বস্তুত কুরআন এজন্যই চাঁদকে নূর বলেছে কারণ কুরআন লেখক জানতো যে নূর হলো এমন আলো যা দহনের ফলে তৈরী হয় না কিন্তু পদার্থের বা উৎসের ভিতর থেকে নির্গত হয়। এবং সে ভেবেছে যে চাঁদের আলোটা যেহেতু ক্ষীণ বা নরম তাই এই আলো দহন ব্যতীত নির্গত হয়। আর তাই চাঁদ হলো নূর অর্থাৎ যার ভিতর থেকে দহন ব্যতীত আলো বের হয়।
যেহেতু এটি একটি মিথ্যা এবং প্রাচীণ মানুষের ভ্রান্তিজগক ধারণা সম্পন্ন কথা তাই কুরআনে এটি এজন্যই বর্ণিত হয়েছে কারণ কুরআন কোন অতিক্ষমতাবাণ সৃষ্টিকর্তা লেখেনি। বরং কুরআনের লেখক একজন সাধারণ প্রাচীণ আরবীয় মানুষ। আর যেহেতু কুরআন মুহাম্মদের মুখ নিসৃত বাণীর গ্রন্থ তাই কুরআন নিশ্চিতভাবেই মুহাম্মদের বাণী।
অতএব এটা প্রমাণিত যে কুরআন আল্লাহর বাণী নয়, কুরআন মুহাম্মদের বাণী।
বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ- কুরআনে ব্যবহৃত শব্দগুলোর অনেকগুলো অর্থ থাকতে পারে এবং এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু যখন কোন শব্দ কোন বাক্যে ব্যবহৃত হয় তখন ওই শব্দটির অনেকগুলো অর্থ থাকলেও ওই বাক্যটিতে কেবল মাত্র একটি অর্থই ব্যবহৃত হয়। লেখক শব্দটির যে অর্থটি বাক্যে ব্যবহার করবে অনুবাদের সময় ওই শব্দটির লেখক কর্তৃক অর্থটিই ব্যবহার করতে হবে যদিও শব্দটির অনেকগুলো অর্থ বিদ্যমান। অর্থাৎ লেখক যে শব্দের যে অর্থটি বাক্যে ব্যবহার করবে অনুবাদের সময় সেই অর্থটিই অক্ষুন্ন রাখতে হবে। শব্দটির ভিন্ন অর্থ এনে নতুন অর্থ করলে বাক্যের অর্থ পরিবর্তিত হয়ে যাবে। এবং লেখকের বলা কথা বা বাণীটিও পরিবর্তিত হয়ে ভিন্ন কথা বা বাণী হয়ে যাবে। কিন্তু মুসলমানরা কুরআনে ব্যবহৃত পুরনো শব্দগুলোর কোন একটি শব্দের অর্থকে পরিবর্তন করে নেয় সেই শব্দগুলোর অন্যান্য অর্থগুলো থেকে। এটা করে বিজ্ঞানের সাথে কুরআনের মিল বের করতে। যখন শব্দটির অন্যান্য কোন অর্থ দিয়েই কুরআনের মিথ্যাকে সংশোধন করা যায় না বা কুরআনকে বিজ্ঞানময় বানানো যায় না তখন তারা ওই শব্দটির একটি নতুন অর্থ তৈরী করে যাতে সেই অর্থটি বিজ্ঞানের সাথে মিলে যায় এবং কুরআনকে ভালো ভাবে সংশোধন করা যায়। এভাবেই কুরআনের ভূলগুলো থেকে কুরআনকে বাঁচিয়ে কুরআনকে বিজ্ঞানময় বানানো হয়। কিন্তু তাতে কি কুরআন সত্যিই বিজ্ঞানময় হয়? নাকি মুসলমানদের
অসততা এবং প্রতারণা প্রমানিত হয়? মিথ্যা এবং কুসংস্কারকে টিকিয়ে রেখে মিথ্যাকে মেনে
নিয়ে নিজেকে মিথ্যা প্রনোদনা দিয়ে কি লাভ? মিথ্যা কুসংস্কারকে অন্ধভাবে বিশ্বাস করে
বাঁচার চেয়ে সত্যকে মেনে নেওয়াটাই অধিক যৌক্তিক নয় কি? মিথ্যা বিশ্বাসে যে সুখ তা কারোই
কাম্য হওয়া উচিত নয়।
বাক্যে ব্যবহৃত শব্দের ভিন্ন অর্থ এনে এবং কুরআনের লেখকের দেওয়া
শব্দগুলোর অর্থকে পরিবর্তন করে কুরআনকে বিজ্ঞানময় বানানো আর মানুষকে জ্ঞানহীন পশু
করে রাখার মধ্যে কোন পার্থক্য নেই।
চাঁদ ও সূর্যের আলো ভিিন্ন যযা কোরআনে উল্লেখ আছে।
ReplyDeleteতোদের মত jackass রাই দেখেও দেখিস না, মানুষকে নিজের মত ভূগোল বুজিয়ে নাশপাতিরে আপেল বলে চালাতে চাস! আগে আরবি ব্যাকরণ পড়িস তারপর কোরআনের ব্যাকরণ ওর সাথে তুলনা করে বুজে নিস, কতটুকু পার্থক্য!!
ReplyDeletejust non sense Muhammad (s.w.s) was illiterate !! you have no common sense that he never write Quran he always remember Quran than how can Quran have so much mathematical miracles search in Google!! And a illiterate person who can't write ( it's also mentioned in the Quran ) made the best book of Arabic culture!! You say he made the Quran then why you Atheist can't make a Surah like Quran 😂😂 And without all those things what was his purpose to make Quran 😂😂 you are idiot so you can't see
ReplyDeleteআরে বেটা তুই সেই লেভেলের মূর্খ আমার বুঝা হয়ে গেছে 😂
ReplyDeleteচাঁদের নিজস্ব কোন আলো নেই -
ReplyDeleteপবিত্র কোরআন নাজিলের পূর্বে সূর্য ও চাঁদের আলোর মধ্যকার মৌলিক তফাৎ সম্পর্কে বৈজ্ঞানিক জ্ঞান অর্জন করার মত দক্ষতা মানুষ আয়ত্ত করতে সক্ষম হয় নাই। অন্য কোন ঐশী গ্রন্থে সূর্য ও চাঁদের অর্থাৎ নক্ষত্র ও গ্রহ, উপগ্রহের আলোর বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে এই ধরনের জ্ঞান দানের ব্যবস্থা মহান স্রষ্টা করেছিলেন কিনা তা আমার জানা নাই। বর্তমানে এই পার্থক্য নিরূপণের বিষয়টি মামলি মনে হলেও দূরবীক্ষণ যন্ত্র আবিষ্কারের আগেই সেই ১৪৫০ বছর পূর্বে কিভাবে আল-কোরআনে এত নিখুঁত তথ্য প্রদান করা সম্ভব হলো- সে সম্পর্কে যে কোন বিবেকবান বিজ্ঞানমনস্ক মানুষ মাত্রই ভাবতে বাধ্য হয়।
هُوَ الَّذِي جَعَلَ الشَّمْسَ ضِيَاء وَالْقَمَرَ نُورًا
يُفَصِّلُ الآيَاتِ لِقَوْمٍ يَعْلَمُونَ إِلاَّ وَقَدَّرَهُ مَنَازِلَ لِتَعْلَمُواْ عَدَدَ السِّنِينَ وَالْحِسَابَ مَا خَلَقَ اللّهُ ذَلِكَ بِالْحَقِّ
অর্থ:- তিনিই তো সূর্যকে 'যিয়া/দিয়া' অর্থাৎ 'আলো/চমক/ঝলক ' এবং চাঁদকে 'নূর' অর্থাৎ 'আলো/আলোর কিরণ' হিসেবে স্থাপন করেছেন বা বানিয়েছেন এবং তার জন্য অবস্থানগুলো নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন যেন তোমরা বছরের গণনা ও সময়ের হিসাব ঠিকমত জানতে পার; আল্লাহ এসব অনর্থক সৃষ্টি করেন নি। যারা জানতে চায় তাদেরকে তিনি এই নিদর্শন বা আয়াতগুলোর বিশদ বিবরণ জানিয়ে দেন। (সূরা ইউনুস ১০/৫)
নোট:- আমরা দেখতে পাচ্ছি যে, 'সূর্যের' ক্ষেত্রে 'দিয়া' শব্দটি এবং 'চাঁদের' ক্ষেত্রে 'নূর' শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে। এখানে উল্লেখ্য যে, বাহ্যিক দৃষ্টিকোন থেকে সূর্য ও চাঁদ উভকেই তো আলো কিংবা উজ্জ্বল আসমানী বস্তু হিসেবে সহজেই ধরে নেয়া যায়। সুতরাং সূর্য ও চাঁদ- দুটির ক্ষেত্রেই তো 'দিয়া' এবং 'নূর' এই দুটি শব্দের মধ্য থেকে যে কনো একটি শব্দ বেছে নিয়ে তা ব্যবহার করলেই হত।
কিন্তু তা না করে স্রষ্টা মহান আল্লাহ দুটির ক্ষেত্রে দু'ধরনের আলো হিসেবে উপস্থাপন করলেন কেন? কারণ এগুলো যিনি সৃষ্টি করেছেন তিনি তো এ দুটো আলোর পার্থক্য ভাল করেই অবগত আছেন। তাই প্রথমত সহজভাবে দুটোকে দুই ধরনের আলো ('দিয়া' ও 'নূর') হিসেবে উপস্থাপনের মাধ্যমে যারা সত্যান্বেষী তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করার পাশাপাশি এনিয়ে চিন্তা-গবেষণা করার জন্য উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে।
লক্ষণীয় :- মহান স্রষ্টা আল্লাহ চাঁদ এবং সূর্যের আলোর জন্য আলাদা শব্দ প্রয়েগ করেছেন। তাহলে এর মাধ্যমে কি প্রমান বহন করছে বিবেক বন্ বেক্তিদের কাছে সেটা সুপষ্ট।
আমরা ইংরেজিতে সূর্যের আলোর জন্য Sun Light
এবং চাঁদের জন্য Moon Light শব্দ ব্যবহার করে থাকি।
তাহলেকি ইসলাম বিদষীরা বলবেন এই ইংরেজি শব্দটি ভুল কারণ চাদ এবং সূর্যের আলোর জন্য কোনো আলাদা শব্দ ব্যবহার করা হয় নি।
আল হামদুলিল্লাহ কুরআনে 'সূর্যের' ক্ষেত্রে 'দিয়া' শব্দটি এবং 'চাঁদের' ক্ষেত্রে 'নূর' শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে। তাতেই বুঝাযায় দুটা আলো এক নয় ভিন্নতা আছে।
-ব্রাদার রুহুল আমিন
কুরআনে নাকি একটি অর্থ ব্যবহৃত হয় একটা বাক্যের জন্য, ওরে আমার কুরআন বিশারদ রে!
ReplyDeleteমক্কা-মদিনার আলেমদের থেকে বড় আলেম হয়ে গেছে নিজে নিজে ফতোয়া দেয় ����
না বুঝে হুদাই হাবিজাবি তেনা পেচাইলেন।
ReplyDeleteকুরআনে সূরা ফুরকান- এ বলা হয়েছে সূর্যের আলো তার নিজস্ব আলো আর চাঁদের আলোকে বলা হয়েছে মুনির বা ধার করা আলো।
ReplyDelete