Translate

Search This Blog

বিশেষ সতর্কবার্তাঃ

এই ব্লগটি নাস্তিক, অজ্ঞেয়বাদী, সন্দেহবাদী, মুক্তমনা এবং স্বাধীনচেতা মানুষদের জন্য। যারা যেকোন বিষয়ের সমালোচনা সহ্য করার মত ক্ষমতা রাখে। যদি কোন ধার্মিক, গোড়া ধার্মিক আস্তিক এই ব্লগটিতে আসে তবে তার ধর্মানুভূতি নামের অদ্ভূত দূর্বল অনিভূতি আঘাতপ্রাপ্ত হলে ব্লগ লেখক দায়ী থাকবে না। ধার্মিক, গোড়া ধার্মিক আস্তিকদের নিজ দায়িত্বে তাদের দূর্বল ধর্মানুভূতিকে সংরক্ষনের দায়িত্ব নিতে হবে। কারো ধর্মানুভূতি নামের অযৌক্তিক অনুভূতি আহত হবার জন্য কোন ক্রমেই ব্লগার বা লেখককে দায়ী করা যাবে না। যদি কোন অতি দুর্বল ধর্মানুভূতি সম্পন্ন ব্যাক্তি এই ব্লগে ভূল করে ঢুকে পরেন এবং তিনি তার অনুভূতিকে দূর্বল ভাবেন অর্থাৎ যিনি তার ধর্মের উপযুক্ত সমালোচনা সহ্য করতে অপারগ, তাকে বিনীত ভাবে এই ব্লগটি থেকে প্রস্থান করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। এর পরেও যদি কোন দূর্বল ধর্মানুভূতি সম্পন্ন ব্যাক্তি এই ব্লগটিতে ঘুরাফেরা করেন এবং তার ফলে তার দূর্বল ধর্মানুভূতিতে আঘাত প্রাপ্ত হন তবে কোন ক্রমেই এবং কোন ক্রমেই ব্লগের মালিক, 'আমি নাস্তিক' দায়ী থাকবে না।

Wednesday, February 3, 2016

হাহ্ হাহ্ হাহ্ ওহী ! সৃষ্টিকর্তার বাণী (পর্ব ১০)



আল মোরাল

সূরা কুসংস্কারাচ্ছন্ন, আয়াত ৩২১১, ৩২১২, ৩২১৩ এবং ৩২১৪

"আর তারা বলে, যদি মানুষ বানর থেকেই জন্মে থাকে তবে পৃথিবীতে এতো বানর কেন এখনও বেঁচে আছে? বানরগুলো মানুষে পরিণত হচ্ছে না কেন? তাদেরকে তুমি বলো, কারণ মহান সৃষ্টিকর্তা বানরের বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন কুসংস্কারাচ্ছন্ন অন্ধবিশ্বাসীদের নিদর্শন স্বরুপ এখনও বানরগুলোকে বাঁচিয়ে রেখেছেন। বস্তুত বানরগুলো হলো বানরের বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন মানুষদিগের উদাহরণ। যাতে তারা বুঝতে পারে যে তারা বানরের মতই অজ্ঞতাপূর্ণ, কুসংস্কারকে (ধর্মকে) আকড়ে ধরে বসে থাকে। তারা বানর থেকে মানুষে পরিণত হয় না, কুসংস্কারাচ্ছন্ন অন্ধবিশ্বাসী থেকে যায়। বস্তুত বানরগুলোকে জ্ঞানীদের (বিজ্ঞানী এবং মুক্তমনাদের) নিকট মানুষরুপি বানরের নিদর্শণস্বরুপ রাখা হয়েছে। মহান সৃষ্টিকর্তা অন্ধবিশ্বাসী কুসংস্কারাচ্ছন্নদের জন্য কোন ছাড় দেন না।"

 

ব্যাখ্যাঃ বর্তমানে বিবর্তন একটি প্রতিষ্ঠিত বৈজ্ঞানিক সত্য। হাজার হাজার প্রমাণ রয়েছে বিবর্তনের পক্ষে। কিন্তু অন্ধবিশ্বাসী কুসংস্কারাচ্ছন্ন আস্তিকরা শুধু একারণেই বিবর্তনবাদকে অস্বীকার করে কারণ এই তত্ত্বটি ধর্মগুলোকে মিথ্যা প্রমাণ করেছে। ফলে স্বভাবতই যারা কুসংস্কারাচ্ছন্ন এবং অন্ধবিশ্বাসী তারা তাদের অন্ধবিশ্বাস এবং কুসংস্কারকে টিকিয়ে রাখতে বিবর্তনবাদের মতো প্রতিষ্ঠিত সত্যকে অস্বীকার করছে এবং এর বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচার করে বেড়াচ্ছে। অপর দিকে বিজ্ঞানীগণ বিবর্তনের স্বপক্ষে নতুন নতুন প্রমাণ উপস্থাপন করে যাচ্ছে। কুসংস্কার বিশ্বাসীরা দিন দিন যতই বিবর্তনবাদ মিথ্যা বিবর্তনবাদ মিথ্যা বলে বলে চিৎকার চ্যাঁচামেচি করে যাচ্ছে বিজ্ঞানীগণ ততই বিবর্তনবাদের স্বপক্ষে প্রমাণ উপস্থাপন করে যাচ্ছে। ফরে কুসংস্কারাচ্ছন্ন আস্তিকরা যুক্তি বাদ দিয়ে কুযুক্তি এবং অপযুক্তিকে মানুষের সামনে উপস্থাপন করে বিবর্তনবাদের বিরুদ্ধে লাগাচ্ছে। ফলে যা হবার তাই হচ্ছে, কিছু কুসংস্কারাচ্ছন্ন অন্ধবিশ্বাসীরা আরো বেশী করে কুসংস্কারাচ্ছন্ন এবং অন্ধবিশ্বাসী হয়ে যাচ্ছে। অথচ জ্ঞান বিজ্ঞানে উন্নত মানুষেরা দিন দিন বিবর্তনবাদের সত্যতা বুঝতে পারছে এবং ধর্মের কুসংস্কারকে আস্তাকুড়ে ছুড়ে ফেলে দিচ্ছে।

এই আয়াতটিতে মহান সৃষ্টিকর্তা জ্ঞানীদের উদ্দেশ্য করে বলেছেন, কুসংস্কারাচ্ছন্ন এবং অন্ধবিশ্বাসীরা হলো বানরের বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন। যারা প্রশ্ন করে যে, “যদি বিবর্তনবাদ সত্যই হবে তবে পৃথিবীতে বানরগুলো এখনও বিদ্যমান কেন”, তাদেরকে তিনি মানুষরুপি বানর বলেছেন। কারণ বিবর্তনবাদের এতো এতো প্রমাণ থাকা সত্তেও তারা বিবর্তনবাদ সম্পর্কে উল্টাপাল্টা প্রশ্ন করে কিন্তু বিবর্তনবাদ সম্পর্কে কোন পড়াশুনা করে না। যদি তারা বিবর্তনবাদ সম্পর্কে একটু ভালো করে পড়াশুনা করতো তবে তারা বুঝতে পারতো যে মানুষ বানর থেকে বিবর্তিত হয়নি; বরং মানুষের যে পূর্ব পুরুষ ছিল সেটা বানরদেরও পূর্বপুরুষ ছিল। অর্থাৎ মানুষ বানর থেকে বিবর্তিত হয়ে আসেনি বরং বানরের পুর্বপুরুষ এবং মানুষের পূর্বপুরুষ একই প্রাণী ছিল। কিন্তু কুসংস্কারাচ্ছন্ন অন্ধবিশ্বাসীদের দল মনে করেছে যে মানুষ বুঝি বানর থেকেই বিবর্তিত হয়েছে। তাদেরকে কে বোঝাবে যে মানুষ বানর থেকে বিবর্তিত হয়নি বরং বানর এবং মানুষ একই পূর্বপুরুষ বা পিতা থেকে বিবর্তিত হয়েছে হাজার হাজার বছরের বিবর্তনের ফল স্বরুপ।

কুসংস্কারাচ্ছন্ন এবং অন্ধবিশ্বাসী আস্তিকরা মনে করে যে মানুষ বানর থেকেই বিবর্তিত হয়েছে বলে বিজ্ঞানীরা দাবী করে থাকে। কিন্তু তারা জানে না যে মানুষ বানর থেকে বিবর্তিত হয়নি। এজন্যই কুসংস্কারাচ্ছন্ন অন্ধবিশ্বাসী আস্তিকদেরকে মহান সৃষ্টিকর্তা মানুষরুপি বানর বলে সম্বোধন করেছে। সৃষ্টিকর্তা তাদের বুদ্ধিমত্তাকে বানরের বুদ্ধিমত্তার সমান বলে উল্লেখ করেছেন।

মহান সৃষ্টিকর্তা কুসংস্কারাচ্ছন্ন অন্ধবিশ্বাসী আস্তিকদেরকে বানরের মতই বুদ্ধিমান বলে মনে করেন। এই প্রেক্ষিতে একটি কথা না বললেই নয়, কুসংস্কারাচ্ছন্ন অন্ধবিশ্বাসী আস্তিকরা বিবর্তিনবাদকে যারা মেনে নিয়েছে তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে তাদেরকে বানর বলে সম্বোধন করে আস্ততুষ্টি বোধ করে। কিন্তু মহান সৃষ্টিকর্তা বলছেন যে না, বিবর্তনবাদ বিশ্বাসকারীরা বানর নয় বরং কুসংস্কারময় ধর্মবিশ্বাসকারীরাই বানরের বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন।

মহান সৃষ্টিকর্তা বলছেন, যারা বিবর্তনবাদকে না মেনে নিয়ে তাদের কুসংস্কারময় ধর্মের মিথ্যা আদম হাওয়ার গল্পকে সত্য বলে মনে করে কোন প্রমাণ না থাকার পরেও (যেখানে বিবর্তনের হাজার হাজার প্রমাণ রয়েছে) তারা বানরের মতই বুদ্ধিমান বা তারা মানুষরুপী বানর। সৃষ্টিকর্তা বলেছেন, বানরগুলো এজন্যই পৃথিবীতে টিকে আছে যাতে বুদ্ধিমানরা বানরের সাথে কুসংস্কারাচ্ছন্ন অন্ধবিশ্বাসীদের বুদ্ধিমত্তার মিল দেখতে পায়।

এজন্যই দেখা যায় মিথ্যার কর্ণধার ধর্মগুলোর মিথ্যাবাদিতা সম্পর্কে তথ্যপ্রমাণ বহুল কথা বললে কুসংস্কারাচ্ছন্ন আস্তিকরা বানরের মতো চ্যাঁচামেঁচি শুরু করে দেয়, বানরের মতোই মারতে আসে এবং সর্বশেষে বানর মার্কা অপযুক্তি এবং কুযুক্তিপূর্ণ কথাবার্তা বলতে থাকে।

এজন্যই সৃষ্টিকর্তা প্রাচীণ মানুষের দ্বারা কুসংস্কারগুলো এবং রুপকথার গল্পগুলোকে যারা অন্ধ ভাবে বিশ্বাস করে এবং বিজ্ঞানের প্রমাণিত সত্যকে অস্বীকার করে তাদেরকে মহান সৃষ্টিকর্তা বানরের নিদর্শন বলে উল্লেখ করেছেন।

এটিই হলো উপরোক্ত আয়াতগুলোর ব্যাখ্যা।

 

আল মোরাল

সূরা পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠি (ব্যাকডেটেড পিপল)

আয়াত ৮৫৩৪,৮৫৩৫, ৮৫৩৬, ৮৫৩৭, ৮৫৩৮ এবং ৮৫৩৯

"আর তাদের যদি প্রশ্ন করা হয়, বলতো কিভাবে এই বিশ্বজগত সৃষ্টি করা হয়েছে? তবে তারা বলে নিশ্চয়ই আমাদের সৃষ্টিকর্তাই বিশ্বজগত সৃষ্টি করেছেন নিজে। অন্য কারো সৃষ্টিকর্তা নয়। অথচ তারা যদি জানতো, এই বিশ্বজগত আমিই সৃষ্টি করেছি বিগ ব্যাং-এর মাধ্যমে।

যদি তাদেরকে তুমি প্রশ্ন করো, আচ্ছা বলতো মানুষ কিভাবে এই পৃথিবীতে এসেছে? তবে তারা অবশ্যই বললে, আমাদের সৃষ্টিকর্তাই মানুষকে সৃষ্টি করেছে মাটি দিয়ে। অন্য কারো সৃষ্টিকর্তা নয়। অথচ তারা কতো অজ্ঞতা সম্পন্ন কুসংস্কারাচ্ছন্ন জাতি! বরং আমিই মানুষকে সৃষ্টি করেছি বিবর্তনের মাধ্যমে। কিন্তু তারা কোথায় পরে আছে? তারা কি প্রাচীণ মানুষের সৃষ্টি করা রুপকথার গল্পকে বিশ্বাস করবে সম্পূর্ণ অন্ধভাবে? বরং আমিই নির্বাচিত করে দিয়েছি মানবতা ধর্মকে। কিন্তু তারা পরে আছে মানুষের সৃষ্টি করা ধর্ম এবং মানুষেরই সৃষ্টি করা কাল্পনিক সৃষ্টিকর্তাদের নিয়ে। যদি তারা বুঝতো! বস্তুত তারাই সেই প্রাণীর প্রতিনিধি করছে যারা বনে বনে এবং গাছে গাছে লাফালাফি করে বেড়ায়। তুমি তাদের মধ্যে এবং এদের মধ্যে পার্থক্য দেখবে। কিন্তু বুদ্ধিমত্তায় উভয়েই সমপর্যায়ের।"

 

ব্যাখ্যাঃ মহান সৃষ্টিকর্তা আমাদের উদ্দেশ্য করে বলছেন, কুসংস্কারাচ্ছন্ন অন্ধবিশ্বাসীদেরকে যদি প্রশ্ন করা হয়, কিভাবে এই বিশ্বজগত সৃষ্টি হয়েছে তবে তারা তাদের কুসংস্কার এবং অন্ধবিশ্বাস থেকে তাদের প্রাচীণ ধ্যাণ ধারণা থেকে বলে যে এই বিশ্বজগত তাদের নিজেদের কাল্পনিক সৃষ্টিকর্তা নিজের হাতে সৃষ্টি করেছে। কিন্তু মহান সৃষ্টিকর্তা আমাদের বলছেন, না তাদের নিজেদের কাল্পনিক সৃষ্টিকর্তা এই বিশ্বজগত সৃষ্টি করেনি; বরং মানবতা ধর্মের মহান সৃষ্টিকর্তাই এই বিশ্বজগতকে বিগ ব্যাং-এর মাধ্যমে সৃষ্টি করেছেন।  

মহান সৃষ্টিকর্তা আবার বলেছেন, যদি কুসংস্কারাচ্ছন্ন আস্তিকদেরকে প্রশ্ন করা হয় যে, মানুষ কিভাবে পৃথিবীতে আবির্ভূত হয়েছে? তখন তারা বলে যে তাদের কাল্পনিক সৃষ্টিকর্তাই মানুষকে মাটি থেকে সৃষ্টি করেছে। মানবতা ধর্মের মহান সৃষ্টিকর্তা আমাদের জানাচ্ছেন যে, না তাদের কাল্পনিক মিথ্যা সৃষ্টিকর্তাগুলো মানুষকে মাটি দিয়ে বানায়নি বরং মানবতা ধর্মের মহান সৃষ্টিকর্তাই মানুষকে বিবর্তনের দ্বারা সৃষ্টি করেছেন। সৃষ্টিকর্তা আমাদের জানাচ্ছেন যে মানুষকে মাটি দ্বারা সৃষ্টি করা হয়নি বরং মানুষ বিবর্তনের ধারায় পর্যায়ক্রমে বিবর্তিত হয়ে জড় থেকে জৈব জড় এবং তা থেকে জীব এরকমের হাজার হাজার ধাপে সৃষ্টি হয়েছে। মাটির পুতুল তৈরী করে আদমকে সৃষ্টি করার যে গল্পটি অন্ধভাবে কোন তথ্য প্রমাণ ছাড়াই কুসংস্কারাচ্ছন্ন অন্ধবিশ্বাসী আস্তিকরা বিশ্বাস করে সেটি সত্য নয়। বরং মানুষ বিবর্তনের মাধ্যমেই আবির্ভূত হয়েছে। কিন্তু কুসংস্কারাচ্ছন্ন অন্ধবিশ্বাসী আস্তিকরা বিজ্ঞানের প্রমাণিত এই সত্যটিকে বিশ্বাস করে না বলে সৃষ্টিকর্তা তাদেরকে খুব অজ্ঞতাপূর্ণ বনের প্রাণীর সাথে তুলনা করেছেন। যে প্রাণী গাছে গাছে ঘুরে বেড়ায় এবং অনর্থক চ্যাঁচামেচি করে অর্থাৎ মানবতা ধর্মের মহান সৃষ্টিকর্তা বানরের বুদ্ধিমত্তার সাথে কুসংস্কারাচ্ছান্ন আস্তিকদের তুলনা করেছেন।

 

সৃষ্টিকর্তা বলেছেন, যারা বিজ্ঞানের প্রমাণিত সত্যকে না মেনে নিয়ে প্রাচীণ মানুষের তৈরী করা রুপকথার গল্পকে সত্য বলে মনে করে যার কোনই প্রমাণ নেই অথচ বিবর্তনের হাজার হাজার প্রমাণ রয়েছে, তারা মানুষের মতো দেখতে হলেও তারা আসলে বুদ্ধিমত্তায় বানরের মত। অর্থাৎ কুসংস্কারাচ্ছন্ন অন্ধবিশ্বাসী আস্তিকরা যেমন বিবর্তনবাদী বিজ্ঞানী এবং মুক্তমনাদের বানর বলে গালী দেয় মানবতা ধর্মের মহান সৃষ্টিকর্তা তাদেরকেই বরং বানর বলে অভিহীত করেছেন। মহান সৃষ্টিকর্তা বুদ্ধিমান মানুষদের উদ্দেশ্য করে বলছেন, যদিও কুসংস্কারাচ্ছন্ন এবং অন্ধবিশ্বাসী আস্তিকদেরকেও মানুষের মতই দেখায় তবুও তারা বুদ্ধিমত্তায় বুদ্ধিমান মানুষদের মতো নয়। তাদের কুসংস্কারময় যুক্তিবুদ্ধি এবং অন্ধবিশ্বাসময় চিন্তাধারা তাদেরকে বানরের বুদ্ধিমত্তার পর্যায়ে নামিয়ে এনেছে। অর্থাৎ শারীরিক ভাবে তারা মানুষ হলেও মানুষীক ভাবে তারা বানরের বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন।

এটাই উপরোক্ত আয়াতগুলোর ব্যাখ্যা।

 

আল মোরাল

সূরা অন্ধবিশ্বাসীর দল

আয়াত ১৯৪৬, ১৯৪৭. ১৯৪৮, ১৯৪৯ এবং ১৯৫০

"তারা কি ভাবে এই বিশ্বজগত তাদের (কাল্পনিক) সৃষ্টিকর্তা সৃষ্টি করেছে? তারা কি তাদের অন্ধবিশ্বাস নিয়েই পড়ে থাকবে? বস্তুত অন্ধবিশ্বাসের ফল কত ভয়াবহ তা আমি নিদর্শনস্বরুপ বর্ণনা করেছি (দেখিয়েছি)। তোমাদের অতীত ঘটনাবলীর মধ্যে নিদর্শন রয়েছে জ্ঞানি লোকদের জন্য যারা কল্পনার কুসংস্কারময় জ্ঞানকে আস্থাকুড়ে ছুড়ে ফেলেছে এবং বাস্তব জ্ঞানের (বিজ্ঞানের) সুত্রপাত ঘটিয়েছে। পৃথিবীতে কি কুসংস্কার টিকে থাকে নাকি বাস্তব সত্য জ্ঞান (বিজ্ঞান টিকে থাকে)? এরপরও কি তারা তাদের কুসংস্কারকে অন্ধভাবে বিশ্বাস করে যাবে? বস্তুত কুসংস্কারাচ্ছন্নদেরকে আমি ধিকৃত মানুষ করে রেখেছি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য। আর তারা বাস্তব জ্ঞানকে অবজ্ঞা করে তাদের কাল্পনিক রুপকথাগুলোকে সত্য মনে করে। মিথ্যা কি চিরকাল টিকে থাকতে পারে? নাকি আমি যে বাস্তব জ্ঞানকে (বিজ্ঞানকে) তোমাদের জন্য মনোনিত করেছি তা টিকে থাকবে চিরকাল? বস্তুত মিথ্যার রাজত্ব খুবই ক্ষুদ্র সময়ের। মিথ্যাগুলোই বারে বারে ভূল প্রমাণিত হয়ে আসছে আমার মনোনিত বাস্তব জ্ঞানীদের (বিজ্ঞানীদের) দ্বারা। তারা তো গাছে গাছে বাদ্রামী করা প্রাণীদের থেকে বেশী জ্ঞানী নয়? বস্তুত তা অল্প মানুষই বুঝতে পারে!"

 

ব্যাখ্যাঃ মানবতা ধর্মের মহান সৃষ্টিকর্তা মানুষকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, যারা কল্পনার জ্ঞানকে সত্য বলে দ্বাবী করে কিন্তু তার কোন প্রমাণ দিতে পারে না তারা গাছে গাছে বাদ্রামী করা প্রাণীদের মতো অর্থাৎ বাদরের মতো জ্ঞান রাখে। মহান সৃষ্টিকর্তা বলেছেন, যারা বিজ্ঞানের সত্যকে মেনে নেয় না বরং বিজ্ঞানের প্রতিষ্ঠিত সত্য বাদ দিয়ে প্রাচীণ কালের মানুষের দ্বারা তৈরী করা রুপকথাগুলোকে বিশ্বাস করে এবং মনে করে যে মানুষকে মাটি দিয়ে একবারে সৃষ্টি করা হয়েছে কিন্তু বাস্তব সত্য হলো মানুষ আবির্ভূত হয়েছে বিবর্তনের মাধ্যমে ধাপে ধাপে জড় পদার্থ থেকে; সেই সব মানুষগুলো হলো কুসংস্কারাচ্ছন্ন অন্ধবিশ্বাসী। এই সব কুসংস্কারাচ্ছন্ন অন্ধবিশ্বাসীদেরকে শাস্তিস্বরুপ ভবিষ্যতের মানুষের দ্বারা ঘৃণার ব্যাবস্থা করে রাখা হয়েছে। অর্থাৎ কুসংস্কারময় ধর্মীয় অন্ধবিশ্বাসগুলোকে যারা সত্য বলে মনে করে কিন্তু হাজার হাজার প্রমাণ থাকার পরও বাস্তব সত্য অর্থাৎ বিবর্তনবাদকে অবিশ্বাস করে শুধু মাত্র তাদের প্রাচীণকালের মানুষের সৃষ্টি করা ধর্মের কুসংস্কারময় রুপকথার গল্পগুলোর জন্য তারা বিজ্ঞানকে ছুড়ে ফেলে দেয় তাদেরকে ভবিষ্যতের মানুষ ঘৃণার চোখে দেখবে। এবং তারাই ভবিষ্যতের মানুষের কাছে অন্ধবিশ্বাসী কুসংস্কারাচ্ছন্ন মানুষ হিসেবে ঘৃণা এবং হাসির পাত্র হয়ে থাকবে। এটাই কুসংস্কারাচ্ছন্ন অন্ধবিশ্বাসীদের জন্য মানবতা ধর্মের মহান সৃষ্টিকর্তা কর্তৃক শাস্তির ব্যবস্থা। সৃষ্টিকর্তা বলেছেন, মিথ্যার রাজত্বকাল খুব অল্প সময়ের জন্য। তাই বিজ্ঞানের সত্য জ্ঞান চিরকাল ধরে মানুষ মনে রাখবে এবং বিজ্ঞানের জ্ঞানই চিরকাল রাজত্ব করবে। মানবতা ধর্মের মহান সৃষ্টিকর্তা বলছেন কুসংস্কারময় এবং অন্ধবিশ্বাসপূর্ণ ধর্মগুলো মিথ্যা বলে তা বিলুপ্ত হয়ে যাবে কিন্তু বিজ্ঞানের জ্ঞান সত্য বলে তা চিরকাল স্থায়ী হবে। যেভাবে পূর্ববর্তী কুসংস্কারময় ধর্মগুলো বিলুপ্ত হয়ে গেছে ঠিক সেভাবে বর্তমানের কুসংস্কারময় ধর্মগুলোও বিলুপ্ত হয়ে যাবে। বিজ্ঞানের জ্ঞান সত্য বলে সেটাই চিরকাল টিকে থাকবে।

পূর্ববর্তী কুসংস্কারাচ্ছন্ন অন্ধবিশ্বাসী আস্তিকরা কিভাবে ভুল প্রমাণ হয়েছে এবং বিজ্ঞানের কর্ণধারগণ কিভাবে মানুষের মনে জায়গা করে নিয়েছে সম্মানের সহিত তা মহান সৃষ্টিকর্তা নিদর্শনস্বরুপ জ্ঞানী মানুষদের কাছে বর্ণনা করেছেন। যারা বিজ্ঞানের সত্য জ্ঞানকে বাদ দিয়ে প্রাচীণ মানুষের তৈরী করা রুপকথার কাহিনীকে সত্য মনে করে অথচ বিজ্ঞানের হাজার হাজার প্রমাণ থাকার পরও তা মিথ্যা বলে প্রচার করে তাদেরকে গাছে গাছে বাদ্রামী করা বানরের সাথে তুলনা করেছেন। সৃষ্টিকর্তা কুসংস্কারাচ্ছন্ন অন্ধবিশ্বাসীদেরকে বানরের মতই মনে করেন যদিও মানুষের কাছে দুটো আলাদ বলে মনে হয়। কিন্তু মহান সৃষ্টিকর্তা বলছেন, তারা এবং বানরেরা দেখতে আলাদা হলেও বুদ্ধিতে তারা সমপর্যায়ের। যেখানে বাস্তবজ্ঞানীরা বানরের মতো প্রাণী থেকে উদ্ভূত হলেও কালের পরিক্রমায় নিজেদেরকে জ্ঞানে এবং মানে উন্নত করেছে সেখানে কুসংস্কার বিশ্বাসকারীরা সেই বানরের বুদ্ধিমত্তার সমপর্যায়েরই রয়ে গেছে।

এটাই হলো উপরিউক্ত আয়াতগুলোর ব্যাখ্যা।

No comments:

Post a Comment