Translate

Search This Blog

বিশেষ সতর্কবার্তাঃ

এই ব্লগটি নাস্তিক, অজ্ঞেয়বাদী, সন্দেহবাদী, মুক্তমনা এবং স্বাধীনচেতা মানুষদের জন্য। যারা যেকোন বিষয়ের সমালোচনা সহ্য করার মত ক্ষমতা রাখে। যদি কোন ধার্মিক, গোড়া ধার্মিক আস্তিক এই ব্লগটিতে আসে তবে তার ধর্মানুভূতি নামের অদ্ভূত দূর্বল অনিভূতি আঘাতপ্রাপ্ত হলে ব্লগ লেখক দায়ী থাকবে না। ধার্মিক, গোড়া ধার্মিক আস্তিকদের নিজ দায়িত্বে তাদের দূর্বল ধর্মানুভূতিকে সংরক্ষনের দায়িত্ব নিতে হবে। কারো ধর্মানুভূতি নামের অযৌক্তিক অনুভূতি আহত হবার জন্য কোন ক্রমেই ব্লগার বা লেখককে দায়ী করা যাবে না। যদি কোন অতি দুর্বল ধর্মানুভূতি সম্পন্ন ব্যাক্তি এই ব্লগে ভূল করে ঢুকে পরেন এবং তিনি তার অনুভূতিকে দূর্বল ভাবেন অর্থাৎ যিনি তার ধর্মের উপযুক্ত সমালোচনা সহ্য করতে অপারগ, তাকে বিনীত ভাবে এই ব্লগটি থেকে প্রস্থান করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। এর পরেও যদি কোন দূর্বল ধর্মানুভূতি সম্পন্ন ব্যাক্তি এই ব্লগটিতে ঘুরাফেরা করেন এবং তার ফলে তার দূর্বল ধর্মানুভূতিতে আঘাত প্রাপ্ত হন তবে কোন ক্রমেই এবং কোন ক্রমেই ব্লগের মালিক, 'আমি নাস্তিক' দায়ী থাকবে না।

Friday, January 30, 2015

কুরআনের কারিক্যাচার এবং মুসলমানদের অনুবাদের কারী-ক্যাঁচাল । ১৪০০ বছর পরে কি এমন হলো যে কুরআনের অর্থই বদলে গেল ? (পর্ব ২)



মুসলমানরা কুরআনের আগের অর্থ পরিবর্তন করে কিছু কিছু আয়াতের অর্থ পরিবর্তন করে ফেলেছে নিজেদের সুবিধামত কিন্তু তারা কেন ১৪০০ বছর ধরে চলে আসা কুরআনের অর্থ পরিবর্তন করে সেটা এই পর্বগুলোতে দেখানো হচ্ছে

সুদীর্ঘ ১৪০০ বছর ধরে কুরআনের যে অর্থ বা অনুবাদ করা হয়েছে সেই অনুবাদ বিংশ শতাব্দিতে এসে এবং একবিংশ শতাব্দির প্রথম ভাগে এসে কুরআনের অর্থের পরিবর্তন করতে হচ্ছে মুসলমানদের এটা করার কারণ আর কিছুই নয়; নিজেদের ধর্মকে রক্ষা করা মুসলমানরা তাদের ধর্মগ্রন্থের নানা ভূল ভ্রান্তি মানুষের কাছে ধরা পড়ায় তারা মরিয়া হয়ে প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে তাদের ধর্মকে রক্ষা করার জন্য এটা তারা করছে পৃথিবীর সব ধর্মগুলোর মতো করেই

এখন প্রশ্ন আশা স্বাভাবিক যে, কেন মুসলমানরা ১৪০০ বছর পরে এসে মুহাম্মদের সময় থেকে চলে আসা কুরআনের অর্থ আজকের এই একবিংশ শতাব্দিতে এসে পরিবর্তন করছে ?

এর কারণ আর কিছুই নয়, তারা পৃথিবীর অন্যান্য ধর্মগুলোর মতই তাদের ধর্মগ্রন্থকে এবং সর্বপরি তাদের মিথ্যে ধর্মকে বাঁচাতে এই ইচ্ছাকৃত কুরআনের পরিবর্তন করছে

গত পর্বে কুরআনের একটা ইচ্ছাকৃত পরিবর্তন করার কারণ বর্ননা করা হয়েছে এই পর্বে আরেকটা কুরআনের স্বার্থানুযায়ী পরিবর্তন দেখানো হবে

কুরআনে সুরা আরাফ-এর ৫৪ নাম্বার আয়াতে, সুরা সেজদাহ্-এর ৪ নাম্বার আয়াতে, সুরা ফুরকান-এর ৫৯ নাম্বার আয়াতে এবং সুরা হাদীদ-এর ৪ নাম্বার আয়াতে বলা হয়েছে,

আল্লাহ বিশ্বজগত সৃষ্টি করেছে ছয়টি আইয়ামে (ইওম) আইয়ামের অর্থ হলো দিন ছয়টি আইয়ামে বিশ্বজগত সৃষ্টি করা হয়েছে মানে হলো ছয় দিনে বিশ্বজগত সৃষ্টি করা হয়েছে

কিন্তু মুসলমানরা এই আয়াতগুলোর অর্থ পরিবর্তন করে সম্পূর্ণ নতুন অর্থ করে বলে যে, এই আয়াতগুলোতে ছয়টি ২৪ ঘন্টার দিনের কথা বলা হয়নি এখানে ছয়টি লম্বা সময়কে বলা হয়েছেকারণ আইয়াম-এর আরেকটা অর্থ হলো লম্বা সময় মুসলমানদের দাবী বিশ্বজগত ছয়টি লম্বা সময়ে সৃষ্টি করা হয়েছেকিন্তু কেন এই অর্থের পরিবর্তন ? বিগত ১৪০০ বছর ধরে ওই আয়াতগুলোর অর্থ করা হয়েছে ছয় দিন কিন্তু বর্তমানে ওই আয়াতগুলোর অর্থ পরিবর্তন করে নতুন অর্থ করা হয়েছে ছয়টি দীর্ঘ সময় অর্থাৎ মুসলমানরা কুরআনের ওই আয়াতগুলোর অর্থ বিকৃতি করে নতুন অর্থ করেছে- 'ছয়টি দীর্ঘ সময়ে বিশ্বজগত সৃষ্টি করা হয়েছে'

কিন্তু কেন এই অর্থের পরিবর্তন ? গত ১৪০০ বছর ধরে চলে আসা অর্থের কেন পরিবর্তন করা হলো ?

সেটা বুঝা যাবে নিচের আয়াতগুলো পর্যালোচনা করে

কুরআনে বলা আছে,

সুরা ইউনুস, আয়াত ৩ :
"নিশ্চয় তোমাদের পালনকর্তা আল্লাহ যিনি তৈরি করেছেন আসমান ও যমীনকে ছয় দিনেঅতঃপর আরশের উপর অধিষ্ঠিত হয়েছেন ।"
সুরা আরাফ, আয়াত ৫৪
"নিশ্চয়ই তোমাদের প্রতিপালক হচ্ছেন সে আল্লাহ যিনি আসমান ও যমীনকে ছয়দিনে সৃষ্টি করেছেন, অতঃপর তিনি স্বীয় আরশের উপর সমুন্নীত হন,..."
সুরা সাজদাহ্, আয়াত ৪
"আল্লাহ তিনি, যিনি আকাশমন্ডলী, পৃথিবী ও এতোদুভয়ের অন্তবর্তী সবকিছু সৃষ্টি করেছেন ছয় দিনে, অতঃপর তিনি আরশে সমুন্নীত হন।"
সুরা ফুরকান, আয়াত ৫৯
"তিনি আকাশমন্ডলী, পৃথিবী এবং এগুলোর মধ্যবর্তী সমস্ত কিছু ছয় দিনে সৃষ্টি করেন; অতঃপর তিনি আরশের উপর সমুন্নীত হন;..."
সূরা হাদীদ, আয়াত ৪
"তিনিই ছয় দিবসে আকাশমন্ডলী ও পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন, অতপর আরশে সমুন্নীত হয়েছেন। ..."
এই আয়াতগুলোতে বলা হচ্ছে, আল্লাহ আকাশ এবং পৃথিবী অর্থাৎ এই বিশ্বজগত সৃষ্টি করেছেন ছয় দিনে এবং তারপর তার আরশে বসেছেন
কিন্তু বাস্তব বিশ্বজগৎ মাত্র ছয় দিনে সৃষ্টি হয়নি আমাদের বিশ্বজগত সৃষ্টি হয়েছে আজ থেকে প্রায় ১৩.৮ বিলিয়ন বছর আগে এবং পৃথিবী তৈরী হয়েছে ৪.৫ বিলিয়ন বছর আগে অর্থাৎ এই বিশ্বজগৎ সৃষ্টি হতে বিলিয়ন বিলিয়ন বছর সময় লেগেছে তাহলে কুরআনের ছয় দিনে বিশ্বজগত সৃষ্টির ধারনার সাথে বাস্তব বিশ্বজগত সৃষ্টির তত্বের সম্পূর্ন সাংঘর্ষিকতা দেখা যাচ্ছে
তবে মুসলমানরা বলতে পারে এই ছয় দিন মানুষের হিসেবের ছয় দিন নয় এটি তাদের সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর হিসেবের ছয় দিন তাহলে আসুন কুরআনে আল্লাহর হিসেবে দিনের ব্যাপারে কি বলা আছে সেটা দেখে নেই
 সুরা হাজ্জ-এর ৪৭ নাম্বার আয়াতে বলা হয়েছে,
".....তোমার প্রতিপালকের একদিন তোমাদের গণনায় সহস্র বছরের সমান ।"
অর্থাৎ আল্লাহর এক দিন সমান মানুষের এক হাজার বছরঅর্থাৎ ১ দিন=১০০০ বছরতাহলে ছয় দিন= ৬০০০ হাজার বছর
অর্থাৎ কুরআনের ছয় দিনে বিশ্বজগত সৃষ্টির ধারনাটি আল্লাহর হিসেবেও অর্থাৎ ৬০০০ বছরে বিশ্বজগত সৃষ্টির সময়ের হিসেবেও মিলছে না কারণ আমরা জানি বিশ্বজগত সৃষ্টি হতে কোটি কোটি বছর লেগেছে
এই পর্যায়ে মুসলমানরা আরেকটা যুক্তি দেখাতে পারেতারা বলতে পারে কুরআনে আল্লাহর হিসেবে ১ দিন মানুষের হিসেবে ৫০ হাজার বছরকারণ কুরআনে আছে,
আবার সুরা মাআরিজ-এর ০৪ নাম্বার আয়াতে বলা হয়েছে,
"ফেরেশতা এবং রুহ্(আত্বা) তার দিকে উর্ধ্বগামী হয় এমন এক দিন যার পরিমাণ পঞ্চাশ হাজার বছরের সমান ।"
এই হিসেব যদি ধরা হয় তবে আল্লাহর ১ দিন= ৫০ হাজার বছর হয়
তাহলে বিশ্বজগত সৃষ্টি হতে মোট সময় লেগেছে (৬×৫০০০০) বছর বা ৩০০০০০ বছর
অর্থাৎ নতুন এই হিসেব অনুযায়ী বিশ্বজগত সৃষ্টি হতে আল্লাহর মোট সময় লেগেছে ৬ দিন যা মানুষের হিসেবে ৬ হাজার বছর অথবা ৩ লক্ষ বছর কিন্তু এই হিসেবেও বাস্তব বিশ্বজগত সৃষ্টি হবার সময়ের সাথে মিলছে না অর্থাৎ কুরআন সম্পূর্ন ভূল কথা বলছে
এখন কেউ প্রশ্ন করতে পারে কুরআন এই মিথ্যে ধারণাটা কোথায় পেল যে বারবার কুরআনে বলা হলো যে বিশ্বজগত ছয় দিনেই সৃষ্টি হয়েছে ?  

এর উত্তর পাওয়া যায় বাইবেলেবাইবেলের জেনেসিস ১ থেকে ২ (Genesis 1:1-২:২) অনুযায়ী,
ইশ্বর বিশ্বজগত সৃষ্টি করেছেন ৬ দিনে এবং সপ্তম দিনে বিশ্রাম নিয়েছেন
আর কুরআন লেখক বাইবেলের সেই মিথ্যে ধারনাটাই কুরআনে উপস্থাপন করেছে
বাইবেল এবং কুরআনের অদ্ভুত মিল পাওয়া যায়বাইবেল বলছে, ইশ্বর ৬ দিনে বিশ্বজগত সৃষ্টি করে ৭ম দিনে বিশ্রাম নিয়েছেন আর কুরআনও বলছে, আল্লাহ ৬ দিনে বিশ্বজগত সৃষ্টি করে আরশের উপর বসেছে
এক্ষেত্রে কুরআন আর বাইবেল একই কথা বলেছে
কুরআন এবং বাইবেলের এই মিল দেখে এটা যে কেও বুঝতে পারবে যে, কুরআন বাইবেলের মিথ্যে ধারনাটাই কুরআনে তুলে ধরেছে (যেহেতু কুরআন বাইবেল লেখার অনেক পরে লেখা হয়েছে) আর তাই এটা বুঝা কঠিন নয় যে বাইবেলে বর্ণিত ২৪ ঘন্টার ছয় দিনই কুরআন বর্ণিত ছয় দিন
এটা পরিষ্কার হয় নিচের আয়াতটি দিয়ে-
সূরা ক্বা', আয়াত ৩৮
"আমি আকাশমন্ডলী ও পৃথিবী এবং এগুলোর মধ্যস্থিত সব কিছু সৃষ্টি করেছি ছয় দিনে আমাকে কোন ক্লান্তি স্পর্শ করেনি।"  
এই আয়াতটিতে আল্লাহ সরাসরি বলেছে যে, সে মাত্র ৬ দিনে বিশ্বজগত সৃষ্টি করেছে কিন্তু তাকে কোন ক্লান্তিই স্পর্শ করেনি অর্থাৎ আল্লাহ এতোটাই শক্তিশালী যে মাত্র ৬ দিনে বিশ্বজগত সৃষ্টি করার পরেও তাকে বিন্দুমাত্র ক্লান্তি স্পর্শ করেনি
অর্থাৎ কুরআন বর্ণিত ছয় দিনে বিশ্বজগত সৃষ্টি আসলে বাইবেলের ছয় দিনই অর্থাৎ ২৪ ঘন্টার ছয় দিন

কুরআন যে বাইবেলের ছয় দিনে বিশ্বজগত সৃষ্টির ধারনাটাই ধার নিয়েছে সেটা নিচের আয়াতটি থেকেও স্পষ্ট হবে
সূরা হুদ, আয়াত ০৭
"আর তিনিই আসমান ও যমীনকে সৃষ্টি করেছেন ছ'দিনে এবং সেই সময় তাঁর আরশ পানির উপরে ছিল যেন তোমাদেরকে পরীক্ষা করে নেন,..."
 এই কথাটিও মিলে যায় বাইবেলের এই অংশ থেকে,
Genesis 1:1 শুরুতে, ঈশ্বর আকাশ ও পৃথিবী সৃষ্টি করলেন| প্রথমে পৃথিবী সম্পূর্ণ শূন্য ছিল; পৃথিবীতে কিছুই ছিল না| 2 অন্ধকারে আবৃত ছিল জলরাশি আর ঈশ্বরের আত্মা সেই জলরাশির উপর দিয়ে ভেসে বেড়াচ্ছিল|

বাইবেলে বলা হয়েছে বিশ্বজগত ছয় দিনে সৃষ্টি হয়েছেকুরআনেও বলা হয়েছে ছয় দিনে বিশ্বজগত সৃষ্টির কথা
বাইবেলে বলা হয়েছে ইশ্বর বিশ্বজগত সৃষ্টি করে বিশ্রাম নিয়েছে; কুরআনও বলেছে আল্লাহ বিশ্বজগত সৃষ্টির পর আরশে উঠে বসেছে
বাইবেলে বলা হয়েছে, বিশ্বজগত সৃষ্টির পূর্বে ইশ্বরের আত্বা তথা ইশ্বর পানির উপর ভেসে ছিল; কুরআনও বলেছে বিশ্বজগত সৃষ্টির পূর্বে আল্লাহর আরশ পানির উপর (ভেসে) ছিল
তাহলে একথা কি স্পষ্ট হয় না কুরআনে বাইবেলের ধারনাটাই ধার করা হয়েছে ?
তাহলে খুব সহজেই বুঝা যায় কুরআন বাইবেলের মতই ২৪ ঘন্টার ৬ দিনে বিশ্বজগত সৃষ্টির কথা বলেছে যেটা বাইবেলের মতই মিথ্যে ধারণা

দেখুন কুরআনের আরেকটি আয়াতে ছয় দিনের হিসেব কিভাবে মিলানো হয়েছে -
সুরা হা-মীম আসসাজদাহ্, আয়াত ০৯, ১০ এবং ১২
"বলঃ তোমরা কি তাঁকে অস্বীকার করবেই যিনি পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন দুই দিনে এবং তোমরা তাঁর সমকক্ষ দাঁড় করাতে চাও ? তিনিতো জগতসমূহের প্রতিপালক।"
"তিনি স্থাপন করেছেন (অটল) পর্বতমালা ভূ-পৃষ্ঠে এবং তাতে রেখেছেন বরকত এবং চার দিনের মধ্যে এতে ব্যবস্থা করেছেন খাদ্যের, সমভাবে (এতে উত্তর) রয়েছে জিজ্ঞাসুদের জন্যে।"
"অতঃপর তিনি তাকে দুই দিনে সপ্তাকাশে পরিণত করলেন ..."

এই আয়াত অনুযায়ী, আল্লাহ প্রথম দুই দিনে পৃথিবী সৃষ্টি করেছে এবং আকাশ সৃষ্টি করেছে
এবং পরের চারদিনে পৃথিবীকে প্রানীর বাস উপযোগী করেছে অর্থাৎ দুই দিন এবং চার দিন এই মোট ছয় দিনে সমস্ত বিশ্বজগত সৃষ্টি করেছে
কুরআনে ছয় দিনে কিভাবে কোনটা তৈরী করা হয়েছে সেটা সংক্ষেপে বর্ণনা করা হয়েছে অর্থাৎ ছয় দিনেই বিশ্বজগত সৃষ্টি করা হয়েছে
বাইবেলেও ছয় দিনে কিভাবে বিশ্বজগত সৃষ্টি করা হয়েছে সেটা বলা হয়েছে
অর্থাৎ কুরআনে বাইবেলের মতই ছয় দিনে বিশ্বজগত সৃষ্টি করার কথা বলা হয়েছে

কিন্তু আমরা সবাই জানি বিশ্বজগত মোটেও ছয় দিনে সৃষ্টি হয়নি বিশ্বজগত সৃষ্টি হয়েছে ১৩.৮ বিলিয়ন বছর আগেপৃথিবী সৃষ্টি হয়েছে ৪.৫ বিলিয়ন বছর আগে অর্থাৎ বিগ ব্যাং-এর মাধ্যমে বিশ্বজগত সৃষ্টি হবার ৯ বিলিয়ন বছর পরে সৃষ্টি হয়েছে পৃথিবী পৃথিবীতে প্রাণীর আবির্ভাবই ঘটেছে ৩ বিলিয়ন বছর পূর্বে
বুঝাই যাচ্ছে বিশ্বজগত সৃষ্টি সম্পর্কে কুরআন সম্পূর্ণ ভূল এবং মিথ্যে কথা বলছে সুতরাং কুরআনে বর্ণিত ৬ দিনে বিশ্বজগত সৃষ্টির ধারণা অবাস্তব ও অবৈজ্ঞানিক এবং এটি বাইবেলে উল্লেখিত প্রাচীণ মানুষের ভূল ধারনা মাত্র
কুরআন প্রাচীণ মানুষের ভূল ও মিথ্যে ধারণা উল্লেখ করেছে অর্থাৎ কুরআন কোন সৃষ্টিকর্তার গ্রন্থ নয় বরং এটি মুহাম্মদ নামের এক আরবীয় প্রাচীণ মানুষের লেখা বই কারণ এতে প্রাচীণ মুহাম্মদের সেই ভূল ও মিথ্যে ধারণাই বর্ণিত হয়েছে
ফলে মুসলমানরা তাদের ধর্মের সংকট উপলব্ধি করতে পেরেছে বলে এই আয়াতগুলোর অর্থ পরিবর্তন করে সম্পূর্ন নতুন অর্থ করেছে কুরআনের কথা অবাস্তব এবং অবৈজ্ঞানিক হওয়ায় মুসলমানরা গত ১৪০০ বছর ধরে চলে আসা কুরআনের অর্থ এবং অনুবাদ বদলে ফেলে সম্পূর্ণ নতুন অর্থ করে ফেলেছে যাতে তারা তাদের মিথ্যে ধর্মকে বাঁচাতে পারে
পৃথিবীর সব ধর্মগ্রন্থের মতই কুরআন ভূল কথা বলেছে বলে মুসলমানরা তাদের ধর্মকে বাঁচাতে কুরআনের ১৪০০ বছর ধরে চলে আসা অর্থ পরিবর্তন করে ফেলার চেষ্টা করেছে
আর এজন্যই পুরাতন অনুবাদে এবং বই পুস্তকে ওই আয়াতগুলোর অর্থ করা হয়েছে ৬ দিন কিন্তু নতুন তৈরী করা কুরআনে বা অনুবাদে ওই আয়াতগুলোর অর্থ পরিবর্তন করে নতুন করে অর্থ করা হয়েছে ৬টি দীর্ঘ সময়
এই অর্থ পরিবর্তন বা অর্থের বিকৃতির আর কোনই কারণ নেই, শুধুমাত্র ধর্মকে রক্ষা করা ছাড়া
অর্থাৎ মুসলমানরা তাদের ধর্মকে বাঁচাতেই কুরআনের ওই আয়াতগুলোর অর্থ বিকৃতি করে ফেলেছে

আইয়াম বা ইওম-এর অনেকগুলো অর্থ থাকতে পারে যেমন দিন, সময়, একটা দীর্ঘ সময়, বা মুহুর্ত ইত্যাদি
যদি কুরআন বর্ণিত ছয়টি আইয়ামের বা ইওমের অর্থ ছয়টি দীর্ঘ সময়কালই হয়ে থাকে তবে বিশ্বজগত সৃষ্টির বেলায় কেন বলা হলো ছয়টি লম্বা সময়, ঠিক বাইবেলের ছয় দিনের মতো করে ?
যদি আইয়ামের অর্থ দীর্ঘ সময়কালই হয় তবে কুরআনে কেন ছয়টি দীর্ঘ সময়কাল বলা হল ? কেন একটা দীর্ঘ সময় বলা হলো না ? যদি দীর্ঘ সময়ই হয় তবে সেটা একটা হলে দোষ কি ছিল ?
কুরআনে বলা থাকতো, আল্লাহ আকাশ এবং পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন একটা আইয়ামে বা দীর্ঘ সময়ে
তাহলেইতো বুঝা সহজ হতো মানুষ বুঝে যেত কুরআনে একটা আইয়াম বা দীর্ঘ সময় বলা হয়েছে, আর এই দীর্ঘ সময়টা হচ্ছে ১৩.৮ বিলিয়ন  
কিন্তু কুরআন বাইবেলকে নকল করে কেন ছয়টি আইয়াম বা ইওম বললো ?
এটাতে কি এটাই বুঝা যায় না যে, কুরআন আইয়ামের অর্থ দিন এটাই বুঝিয়েছে ?
বাইবেলে বলা হল ছয় দিন কুরআনও বললো ছয়টি আইয়াম আবার আইয়ামের অর্থ দিন বা ২৪ ঘন্টার দিন তাহলে কি আইয়ামের অর্থ দিন এই অর্থটিই সব থেকে উপযুক্ত নয় ?
কারণ বিশ্বজগত সৃষ্টির ক্ষেত্রে ছয়টি দীর্ঘ সময় বলাটা অর্থহীন হয়ে যায় ১৩.৮ বিলিয়ন বছর একটি দীর্ঘ সময় হতে পারে, ছয়টি নয় তাহলে এটাও বলা যায় বিশ্বজগত ৫০টি দীর্ঘ সময়ে তৈরী হয়েছে তবে সেটাও সঠিক হবে, অথবা ১০০ টি দীর্ঘ সময়ে তৈরী হয়েছে তবে সেটাও সঠিক হবে কিন্তু বিশ্বজগত একটি দীর্ঘ সময়ে তৈরী হয়েছে এটাই সব থেকে উপযুক্ত হয় কথাটা যখন দীর্ঘ বা লম্বা সময় এবং বিশ্বজগত যেহেতু ১৩.৮ বা ৯ বিলিয়ন বছরে সৃষ্টি হয়েছে, সেখানে ৬টি দীর্ঘ সময় না বলে একটি দীর্ঘ সময় বলাটাই সব থেকে যুক্তিযুক্ত এবং এটাই উপযুক্ত

কিন্তু কুরআনের লেখক সেটা না করে বাইবেলের ছয় দিনকেই সঠিক মনে করেছে এবং সেটাই কুরআনে উল্লেখ করেছে আর এভাবেই গত ১৪০০ বছর ধরে কুরআনের ওই আয়াতগুলোর অর্থ করা হয়েছে ছয় দিন কিন্তু বিগ ব্যাং থিওরী প্রতিষ্ঠিত হবার পরে এবং মানুষ বিশ্বজগতের মোট বয়স গণনা করে ফেলার কারণে মুসলমানরা তাদের ধর্মকে বাঁচানোর জন্য কুরআনের ওই আয়াতগুলোর অর্থ পরিবর্তন বা বিকৃতি করতে বাধ্য হয়েছে
অর্থ পরিবর্তন বা বিকৃতি করা ছাড়া মুসলমানদের তাদের ধর্মকে বাঁচানোর অন্য কোন উপায় না থাকায় তারা কুরআনের অর্থ পরিবর্তন বা বিকৃতি করে ফেলেছে  


বি.দ্র.: কোন একটি শব্দের অনেকগুলো অর্থ বা প্রতিশব্দ থাকতে পারে, কিন্তু যখন সেই শব্দটি কোন একটি বাক্যে ব্যবহৃত হয় তখন শুধু মাত্র একটি নির্ধারিত অর্থই বহন করে বাক্যে যে অর্থে শব্দটিকে ব্যবহার করা হয় সেই শব্দটি শুধু মাত্র সেই নির্দিষ্ট একটি অর্থই প্রকাশ করে সব ভাষার ক্ষেত্রেই এটি প্রযোজ্য আর তাই সেই শব্দটির অর্থ যদি পরিবর্তন করা হয় তবে সেই বাক্যটির সম্পূর্ন অর্থই বদলে যায়

7 comments:

  1. আল্লাহ যদি পৃথিবী ও আকাশমণ্ডলী ছয় দিনে সৃষ্টি করে থাকেন (Quran 50:38) [যা মানুষের হিসেবে ১০০০ বছর (Quran 22:47, 32:5) অথবা ৫০০০০ বছর (Quran 70:4)], তবে বিজ্ঞান কেন বলে বিগ ব্যাং সংগঠিত হওয়ার পর পৃথিবী তৈরি হতে প্রায় কয়েক মিলিয়ন বছর সময় লেগেছে?



    উত্তরঃ

    আল কুরআনে বলা হয়েছেঃ



    وَلَقَدْ خَلَقْنَا السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ وَمَا بَيْنَهُمَا فِي سِتَّةِ أَيَّامٍ وَمَا مَسَّنَا مِن لُّغُوبٍ

    “ আমি আকাশমণ্ডলী, পৃথিবী ও এই দুইয়ের মধ্যবর্তী সবকিছু ছয় ‘আইয়ামে’(দিন/সময়কাল) সৃষ্টি করেছি এবং আমাকে কোনরূপ ক্লান্তি স্পর্শ করেনি।” [1]



    وَيَسْتَعْجِلُونَكَ بِالْعَذَابِ وَلَن يُخْلِفَ اللَّهُ وَعْدَهُ ۚ وَإِنَّ يَوْمًا عِندَ رَبِّكَ كَأَلْفِ سَنَةٍ مِّمَّا تَعُدُّونَ

    "তারা তোমাকে আযাব ত্বরান্বিত করতে বলে। অথচ আল্লাহ কখনও তাঁর ওয়াদা ভঙ্গ করেন না। তোমার প্রভুর কাছে একদিন তোমাদের গণনার হাজার বছরের সমান। " [2]



    يُدَبِّرُ الْأَمْرَ مِنَ السَّمَاءِ إِلَى الْأَرْضِ ثُمَّ يَعْرُجُ إِلَيْهِ فِي يَوْمٍ كَانَ مِقْدَارُهُ أَلْفَ سَنَةٍ مِّمَّا تَعُدُّونَ

    " তিনি আকাশ থেকে পৃথিবী পর্যন্ত সমস্ত কর্ম পরিচালনা করেন, অতঃপর তা তাঁর কাছে পৌছবে এমন এক দিনে, যার পরিমাণ তোমাদের গণনায় হাজার বছরের সমান। “ [3]



    تَعْرُجُ الْمَلَائِكَةُ وَالرُّوحُ إِلَيْهِ فِي يَوْمٍ كَانَ مِقْدَارُهُ خَمْسِينَ أَلْفَ سَنَةٍ

    “ফেরেশতাগণ এবং রূহ তাঁর(আল্লাহর) দিকে উর্ধ্বগামী হয় এমন একদিনে, যার পরিমাণ পঞ্চাশ হাজার বছর।” [4]



    আরবি ভাষায় يَوْمِ [উচ্চারণঃ ইয়াওম; বহুবচনঃ أَيَّامٍ (আইয়াম)] শব্দটি ব্যাপকার্থে ব্যবহৃত হয়।আরবিতে শব্দটি দিন, পর্যায়কাল, সময়কাল ইত্যাদি অর্থে ব্যবহৃত হয়। [5]



    সুরা ক্বফ এর ৩৮নং আয়াতে যে أَيَّامٍ (আইয়াম) এর কথা বলা আছে তা অবশ্যই ২৪ ঘণ্টার দিন হওয়া সম্ভব নয়। কারণ সে সময়ে সূর্য তৈরি হয়নি; কাজেই সৌর দিনের হিসাব এখানে অবান্তর। সুরা হাজ্জ ২২:৪৭ ও সাজদা ৩২:৫ তে হাজার বছরের 'দিন' এবং সুরা মাআরিজ ৭০:৪ এ ৫০ হাজার বছরের 'দিন' এর কথা উল্লেখ আছে। উল্লেখ্য যে, হাজ্জ ২২:৪৭ ও সাজদা ৩২:৫তে أَلْفَ سَنَةٍ বা ‘হাজার বছর’ এর 'দিন' এর কথা উল্লেখ আছে; যা দ্বারা যেমন নির্দিষ্টভাবে ১০০০ বছর বোঝাতে পারে, আবার ‘হাজার বছর’ তথা বিশাল দৈর্ঘ্যের একটি সময়কালকেও বোঝাতে পারে। কুরআনে শব্দটির ব্যবহারের এই বৈচিত্র্য দ্বারাই বোঝা যাচ্ছে যে-- يَوْمِ (ইয়াওম) শব্দটির অর্থ ব্যাপক; এ দ্বারা যে কোন সময়কালের দিনই বোঝাতে পারে। এ দ্বারা ২৪ঘণ্টা, ১ হাজার বছর, ৫০,০০০ বছর এমনকি হাজার বছর বা বিশাল দৈর্ঘ্যের একটি সময়কালকেও বোঝাতে পারে। মোট কথা, শব্দটি দ্বারা যে কোন time period বা পর্যায়কাল/সময়কাল বোঝাতে পারে।



    আধুনিককালে মহাবিশ্ব সৃষ্টির ব্যাপারে সব থেকে গ্রহণযোগ্য মতবাদ হচ্ছে বিগ ব্যাং। মুসলিমদের নিকট অবশ্যই কোন বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব মানদণ্ড নয়, কারণ বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব প্রায়শই পরিবর্তন হয়। মুসলিমদের নিকট মানদণ্ড হচ্ছে কুরআন ও সুন্নাহ। কারণ এগুলো ওহীর অন্তর্ভুক্ত, মানুষের জ্ঞানের থেকে এগুলো অগ্রগামী। কুরআনে যে ছয় ‘আইয়ামে’(দিন/সময়কাল) সৃষ্টি করার কথা বলা আছে, তা মিলিয়ন বছর সময়কালের ‘আইয়াম’ও হতে পারে। يَوْمِ এর কোন নির্দিষ্ট সময়সীমা নেই। সব থেকে আগ্রহোদ্দীপক বিষয় হচ্ছে, আধুনিক বিজ্ঞান অনুযায়ী মহাবিশ্ব তৈরি হয়েছে ছয়টি পর্যায়কালে। যথাঃ



    1.Plank time 2.Inflationary 3.Formation of proton & neutron 4.Formation of nucleus 5.Formation of matter & separation of radiation 6.Familiar universe. [6]



    যা কুরআনের বর্ণনার{৬ আইয়াম} অনুরূপ।



    এবং আল্লাহ ভালো জানেন।



    তথ্যসূত্রঃ
    [1] আল কুরআন, ক্বফ ৫০:৩৮

    [2] আল কুরআন, হাজ্জ ২২:৪৭

    [3] আল কুরআন, সাজদা ৩২:৫

    [4] আল কুরআন, মাআরিজ ৭০:৪

    [5] “Translation and Meaning of yawm ( day, period ) In Arabic, English Arabic Dictionary of terms”

    http://www.almaany.com/en/dict/ar-en/yawm+(+day,+period+)/

    [6] বিস্তারিতভাবে Epoch বা সময়কালের ধাপগুলোর বিবরণ দেখা যেতে পারে National Geographic Magazine, February 1982 (Vol. 161, No. 2) থেকে

    ReplyDelete
  2. আল্লাহ তাআলা মানবজাতির পথ প্রদর্শনের উদ্দেশ্যে যুগে যুগে নবী-রাসূলদের মাধ্যমে অনেক আসমানি কিতাব অবতীর্ণ করেছেন। প্রত্যেক মুসলিমের জন্য সামগ্রিকভাবে এ সকল আসমানি কিতাবের উপর বিশ্বাস স্থাপন করা অপরিহার্য- চাই সেগুলোর নাম ও সংখ্যা সুনির্দিষ্টভাবে জানা যাক অথবা না যাক।

    এ বিশ্বাস ঈমানের ছয় টি স্তম্ভ (আরকানুল ঈমান) এর অন্যতম। এ ছাড়া কোনক্রমেই ঈমানের দাবী পূর্ণাঙ্গতা পাবে না। আল্লাহ তাআলা বলেন:
    وَقُلْ آمَنْتُ بِمَا أَنْزَلَ اللَّهُ مِنْ كِتَابٍ
    “আর বলো, আল্লাহ যে কিতাব অবতীর্ণ করেছেন আমি তাতে বিশ্বাস স্থাপন করেছি।” (সূরা শুরা: ১৫)
    এখন প্রশ্ন হল, এগুলোর সংখ্যা কয়টি?
    উত্তর: কুরআন ও সহিহ সুন্নাহ দ্বারা প্রমাণিত যে, মৌলিক আসমানি কিতাবের সংখ্যা চারটি। এগুলোর উপর বিশ্বাস স্থাপন করা ঈমানের রোকন (স্তম্ভ)। এ বিষয়ে কোনো দ্বিমত নেই।

    সে চারটি কিতাব হল (নাজিলের ক্রম অনুযায়ী):

    ❖ ১) তাওরাত (মূসা আলাইহিস সালাম এর উপর অবতীর্ণ)
    وَلَقَدْ آتَيْنَا مُوسَى الْكِتَابَ لَعَلَّهُمْ يَهْتَدُونَ
    “আমি মুসাকে কিতাব (তাওরাত) দিয়েছিলাম যাতে তারা সৎপথ পায়।” (সূরা মুমিনূন: ৪৮)
    ❖ ২) যাবুর (দাউদ আলাইহিস সালাম এর উপর অবতীর্ণ)।
    আল্লাহ তাআলা বলেন: وَآتَيْنَا دَاوُودَ زَبُورًا
    “আর আমি দাউদকে দিয়েছি যাবুর।” (সূরা ইসরা: ৫৫)
    ❖ ৩) ইঞ্জিল (ঈসা আলাইহিস সালাম এর উপর অবতীর্ণ)
    আল্লাহ তাআলা বলেন:
    وَقَفَّيْنَا عَلَىٰ آثَارِهِم بِعِيسَى ابْنِ مَرْيَمَ مُصَدِّقًا لِّمَا بَيْنَ يَدَيْهِ مِنَ التَّوْرَاةِ ۖ وَآتَيْنَاهُ الْإِنجِيلَ فِيهِ هُدًى وَنُورٌ وَمُصَدِّقًا لِّمَا بَيْنَ يَدَيْهِ مِنَ التَّوْرَاةِ وَهُدًى وَمَوْعِظَةً لِّلْمُتَّقِينَ
    “আমি তাদের পেছনে ঈসা ইবনে মরিয়মকে প্রেরণ করেছি। তিনি পূর্ববর্তী গ্রন্থ তওরাতের সত্যায়ন কারী ছিলেন। আমি তাঁকে ইঞ্জিল প্রদান করেছি। এতে হেদায়েত ও আলো রয়েছে। এটি পূর্ববর্তী গ্রন্থ তওরাতের সত্যায়ন করে পথ প্রদর্শন করে এবং এটি আল্লাহ ভীরুদের জন্যে হেদায়েত উপদেশ বানী।” (সূরা মায়িদা: ৪৬)

    ❖ ৪) আল কুরআন (শেষ নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর প্রতি অবতীর্ণ)।
    আল্লাহ তাআলা বলেন:
    نَزَّلَ عَلَيْكَ الْكِتَابَ بِالْحَقِّ مُصَدِّقًا لِّمَا بَيْنَ يَدَيْهِ وَأَنزَلَ التَّوْرَاةَ وَالْإِنجِيلَ – مِن قَبْلُ هُدًى لِّلنَّاسِ وَأَنزَلَ الْفُرْقَانَ ۗ
    “তিনি আপনার প্রতি কিতাব (কুরআন) অবতীর্ণ করেছেন সত্যতার সাথে; যা সত্যায়ন করে পূর্ববর্তী কিতাব সমুহের। নাযিল করেছেন তাওরাত ও ইঞ্জিল, এ কিতাবের পূর্বে, মানুষের হেদায়েতের জন্যে এবং অবতীর্ণ করেছেন ফুরকান [সত্য-মিথ্যা নিরূপণকারী গ্রন্থ আল কুরআন]।” (সূরা আলে ইমরান: ৩ ও ৪)

    এ ছাড়াও ইবরাহীম ও মুসা আলাইহিমাস সালাম এর অবতীর্ণ সহিফা (ছোট ছোট পুস্তিকা) সমূহের প্রতিও বিশ্বাস স্থাপন করা আবশ্যক। এগুলোর সংখ্যা কুরআন-হাদিসে বর্ণিত হয় নি।
    আল্লাহ তাআলা বলেন:
    إِنَّ هَـٰذَا لَفِي الصُّحُفِ الْأُولَىٰ -صُحُفِ إِبْرَاهِيمَ وَمُوسَىٰ
    “এটা লিখিত রয়েছে পূর্ববর্তী সহিফা (পুস্তিকা); ইব্রাহীম ও মুসার সহীফা (পুস্তিকা) সমূহে।” (সূরা আ’লা: ১৮ ও ১৯)

    ➰ উল্লেখ্য যে, সর্বশেষ আসমানী কিতাব আল কুরআনের দেয়া ভাষ্য অনুযায়ী উপরোক্ত আসমানী কিতাব সমূহের মধ্যে একমাত্র কুরআন ছাড়া সবগুলোই বিকৃতির শিকার। ঐ সকল ধর্মের ধর্মীয় নেতারা ইচ্ছামত তাদের কিতাবে পরিবর্তন-পরিবর্ধন করেছে। যার উৎকৃষ্ট উদাহরণ তাওরাত ও ইন্জিলের সমন্বিত গ্রন্থ বাইবেল-যার পূর্বযুগ ও আধুনিক যুগের ভার্সনে অনেক বৈপরিত্য ও পরির্তন দেখা যায়। একমাত্র কুরআনই অবিকৃত ও অপরবর্তিত আসমানী গ্রন্থ যা আজ পর্যন্ত দুনিয়ার বুকে বিদ্যমান রয়েছে এবং কিয়ামত পর্যন্ত বিদ্যমান থাকবে ইনশাআল্লাহ।

    ReplyDelete
  3. আরবি ভাষায় يَوْمِ [উচ্চারণঃ ইয়াওম; বহুবচনঃ أَيَّامٍ (আইয়াম)] শব্দটি ব্যাপকার্থে ব্যবহৃত হয়।আরবিতে শব্দটি দিন, পর্যায়কাল, সময়কাল ইত্যাদি অর্থে ব্যবহৃত হয়। [5]

    অর্থাৎ ৬এর পর যেকোনো প্রতিশব্দ বা সর্মাথক শব্দ ব‍্যবহার করা যাবেনা কেন ৬ যুগ তো হতে পারে আসল কথা যেহেতু এখানে সর্মাথক শব্দ আছে তাই যেকোনোই ব‍্যবহার করতে পারব।

    ৪১:৯ বলুন, তোমরা কি সে সত্তাকে অস্বীকার কর যিনি পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন দু’দিনে এবং তোমরা কি তাঁর সমকক্ষ স্থীর কর? তিনি তো সমগ্র বিশ্বের পালনকর্তা।
    ৪১:১০ (وَجَعَلَ ) তিনি পৃথিবীতে উপরিভাগে অটল পর্বতমালা স্থাপন করেছেন, তাতে কল্যাণ নিহিত রেখেছেন এবং চার দিনের মধ্যে তাতে তার খাদ্যের ব্যবস্থা করেছেন-পূর্ণ হল জিজ্ঞাসুদের জন্যে।
    ৪১:১১ (ثُمَّ اسْتَوَى )অতঃপর তিনি আকাশের দিকে মনোযোগ দিলেন যা ছিল ধুম্রকুঞ্জ, অতঃপর তিনি তাকে ও পৃথিবীকে বললেন, তোমরা উভয়ে আস ইচ্ছায় অথবা অনিচ্ছায়। তারা বলল, আমরা স্বেচ্ছায় আসলাম।
    ৪১:১২ (فَقَضَاهُنَّ)অতঃপর তিনি আকাশমন্ডলীকে দু’দিনে সপ্ত আকাশ করে দিলেন এবং প্রত্যেক আকাশে তার আদেশ প্রেরণ করলেন। আমি নিকটবর্তী আকাশকে প্রদীপমালা দ্বারা সুশোভিত ও সংরক্ষিত করেছি। এটা পরাক্রমশালী সর্বজ্ঞ আল্লাহর ব্যবস্থাপনা।




    লক্ষ্যণীয়:

    ১১ এবং ১২ নম্বর আয়াতের শুরুতে 'অতঃপর' শব্দ আছে (আরবীতে 'সুম্মা' বা 'ফা')।

    কিন্তু ১০ নম্বর আয়াতের শুরুতে কোন 'এর পর' /'আরো'/'অত:পর'/'তারপর' এ জাতীয় কোন শব্দ(আরবীতে 'সুম্মা' বা 'ফা') নেই।

    বিশ্লেষণ:

    ৯ নম্বর আয়াতের কাজ তথা পৃথিবী সৃষ্টির জন্য লেগেছে ২ দিন।

    ১০ নম্বর আয়াতের অন্যান্য কাজের জন্য সময় লেগেছে ৪ দিন। কিন্তু ১০ নম্বর আয়াতের শুরুতে যেহেতু 'এর পর' /'আরো'/'অত:পর'/'তারপর' এ জাতীয় কোন শব্দ(আরবীতে 'সুম্মা' বা 'ফা') নেই, কাজেই এই কাজ যে পৃথিবীর সৃষ্টি শেষ হবার পর শুরু হয়েছে এমন কোন তথ্য এখানে নেই, বরং এই কাজ কখন শুরু হয়েছে তা এখানে বলা নেই।

    ১১ নং আয়াতের নির্দেশ দেওয়া হয় ১০ নং আয়াতের অন্যান্য কাজের পর (আয়াতের শুরু হয়েছে ‘অত:পর’ দিয়ে), এখানে কোন কাজ নাই, কোন সময়ের প্রয়োজনও হয় নাই, উল্লেখও নেই।

    ১২ নম্বর আয়াতের কাজ তথা আকাশ সৃষ্টির জন্য লেগেছে ২ দিন। এই কাজ শুরু হয়েছে ১১ নং আয়াতের নির্দেশের পর (আয়াতের শুরু হয়েছে ‘অত:পর’ দিয়ে) তথা ১০ নম্বর আয়াতের অন্যান্য কাজ (যথা খাদ্যের ব্যবস্থা) শেষ হবার পরপরই।

    এক নজরে আয়াত ৪টি হতে প্রাপ্ত তথ্য:

    পৃথিবী সৃষ্টিতে ব্যয়িত সময়= ২দিন

    অন্যান্য কাজে (যথা খাদ্যের ব্যবস্থা) ব্যয়িত সময়= ৪ দিন

    আকাশ সৃষ্টিতে ব্যয়িত সময়= ২ দিন

    আকাশ সৃষ্টি শুরু হয় অন্যান্য কাজের পরে এটা বলা থাকলেও অন্যান্য কাজ যে পৃথিবী সৃষ্টি শেষ হবার পর শুরু হয়েছে এমন কোন তথ্য এখানে নেই।

    কাজেই এই আয়াতগুলো থেকে যারা হিসাব করেন যে মহাবিশ্ব সৃষ্টি করতে (২+৪+২) বা ৮ দিন লেগেছে, তারা আনুষঙ্গিক পাঠের গণিতে কাঁচাদের মতোই হিসেব করেন। সমান্তরালভাবে যে একাধিক কাজ হতে পারে এটা যেন তাদের ধারণাতেই আসে নাই।
    যেমন প্রথমে আপনাদের 6 আর 8 নিয়ে সমস্যা ছিল। মূলত কুরআন আল্লাহ্ এর বাণী আরবিতে নাযিল হয়েছে তাই এটা মানুষের অনুবাদে প্রকৃত প্রতিশব্দ সর্মাথক ও বিপরীত শব্দ গুলোর জন‍্য ও জানার সীমাবদ্ধতার জন্য ভুল করতে পারেন সেটা কুরআনের আরবী ভুল হয়ে যায় না।
    কুরআন আর বাইবেলে একই কথা বলা হয়নি
    বাইবেল কি বলে পৃথিবী ছয়দিনে সৃষ্টি হয়েছে ?
    বাইবেল স্পষ্ট ই বলে যে , পৃথিবী ছয়দিনে সৃষ্টি হয়েছে । যা বাইবেল দিয়েই প্রমাণ করা সম্ভব । বাইবেলে বলা আছে ,
    ⦁ כִּ֣י שֵֽׁשֶׁת־יָמִים֩ עָשָׂ֨ה יְהוָ֜ה אֶת־הַשָּׁמַ֣יִם וְאֶת־הָאָ֗רֶץ אֶת־הַיָּם֙ וְאֶת־כָּל־אֲשֶׁר־בָּ֔ם וַיָּ֖נַח בַּיֹּ֣ום הַשְּׁבִיעִ֑י עַל־כֵּ֗ן בֵּרַ֧ךְ יְהוָ֛ה אֶת־יֹ֥ום הַשַּׁבָּ֖ת וַֽיְקַדְּשֵֽׁהוּ׃ ס
    ⦁ কারণ প্রভু সপ্তাহে ছয় দিন কাজ করে এই আকাশ, পৃথিবী, সমুদ্র এবং এর মধ্যস্থিত সব কিছু বানিয়েছেন এবং সপ্তমদিনে তিনি বিশ্রাম নিয়েছেন। এইভাবে বিশ্রামের দিনটি প্রভুর আশীর্বাদ ধন্য – ছুটির দিন। প্রভু এই দিনটিকে বিশেষ দিন হিসাবে সৃষ্টি করেছেন।[৯]
    Dar’ Ta‘aarud al-‘Aql wa’n-Naql কিতাবে তিনি একবারে সহজ সরল এক স্টেটমেন্ট দেন এবং বলেন ,
    ⦁ আল্লাহ আমাদের বলেন তিনি আসমান ও যমীনের মাঝে যা আছে তা সৃষ্টি করেছেন ৬ দিনে । এবং সেই দিন বলতে বুঝায় ( সময়কাল ) ; (পর্যায়কাল) যেটা নির্ধারিত হয়েছিল অন্য কিছু দ্বারা যেটা চাঁদ এবং সূর্য থেকে নয় ( ভাবানুবাদ ) [৭]

    ReplyDelete
  4. আল্লাহ আমাদের বলেন তিনি আসমান ও যমীনের মাঝে যা আছে তা সৃষ্টি করেছেন ৬ দিনে । এবং সেই দিন বলতে বুঝায় ( সময়কাল ) ; (পর্যায়কাল)/(_extra যেহেতু প্রতিশব্দ আছে তাই ব‍্যবহার করা যাবে কারণ ছয় ইয়াম বলা হয়নি আইয়াম বলা হয়েছে তাই নিদিষ্ট করে বলা না থাকয় আইয়াম যুগ সহস্রাধিক সব ব‍্যবহারই করা যাবে যার সামনে ছয় বসে। শুধু দিন বুঝালে 6 ইয়াম ব‍্যবহার না করে আইয়াম করা হতোনা নিশ্চয়ই যেমনটি বাইবেলে আছে -)\যেটা নির্ধারিত হয়েছিল অন্য কিছু দ্বারা যেটা চাঁদ এবং সূর্য থেকে নয় ( ভাবানুবাদ ) কারণ স্রষ্টা যে সৃষ্টি করতে পারেন তার দিন হিসাব করতে সৃষ্টির মত কোনো কিছুর সাহায্য নিতে হয়না [৭]

    ReplyDelete
  5. আরবি ভাষায় يَوْمِ [উচ্চারণঃ ইয়াওম; বহুবচনঃ أَيَّامٍ (আইয়াম)] শব্দটি ব্যাপকার্থে ব্যবহৃত হয়।আরবিতে শব্দটি দিন, পর্যায়কাল, সময়কাল ইত্যাদি অর্থে ব্যবহৃত হয়। [5]

    অর্থাৎ ৬এর পর যেকোনো প্রতিশব্দ বা সর্মাথক শব্দ ব‍্যবহার করা যাবেনা কেন ৬ যুগও তো হতে পারে আসল কথা যেহেতু এখানে সর্মাথক শব্দ আছে তাই যেকোনোটাই ব‍্যবহার করতে পারবোনা কেন?

    মূলত কুরআন আল্লাহ্ এর বাণী আরবিতে নাযিল হয়েছে তাই এটা মানুষের অনুবাদে প্রকৃত প্রতিশব্দ সর্মাথক ও বিপরীত শব্দ গুলোর জন‍্য ও জানার সীমাবদ্ধতার জন্য ভুল করতে পারেন সেটা কুরআনের আরবী ভুল হয়ে যায় না।


    কুরআন আর বাইবেলে একই কথা বলা হয়নি
    বাইবেল কি বলে পৃথিবী ছয়দিনে সৃষ্টি হয়েছে ?
    বাইবেল স্পষ্ট ই বলে যে , পৃথিবী ছয়দিনে সৃষ্টি হয়েছে । যা বাইবেল দিয়েই প্রমাণ করা সম্ভব । বাইবেলে বলা আছে ,
    ⦁ כִּ֣י שֵֽׁשֶׁת־יָמִים֩ עָשָׂ֨ה יְהוָ֜ה אֶת־הַשָּׁמַ֣יִם וְאֶת־הָאָ֗רֶץ אֶת־הַיָּם֙ וְאֶת־כָּל־אֲשֶׁר־בָּ֔ם וַיָּ֖נַח בַּיֹּ֣ום הַשְּׁבִיעִ֑י עַל־כֵּ֗ן בֵּרַ֧ךְ יְהוָ֛ה אֶת־יֹ֥ום הַשַּׁבָּ֖ת וַֽיְקַדְּשֵֽׁהוּ׃ ס
    ⦁ কারণ প্রভু সপ্তাহে ছয় দিন কাজ করে এই আকাশ, পৃথিবী, সমুদ্র এবং এর মধ্যস্থিত সব কিছু বানিয়েছেন এবং সপ্তমদিনে তিনি বিশ্রাম নিয়েছেন। এইভাবে বিশ্রামের দিনটি প্রভুর আশীর্বাদ ধন্য – ছুটির দিন। প্রভু এই দিনটিকে বিশেষ দিন হিসাবে সৃষ্টি করেছেন।[৯]
    Dar’ Ta‘aarud al-‘Aql wa’n-Naql কিতাবে তিনি একবারে সহজ সরল এক স্টেটমেন্ট দেন এবং বলেন ,
    ⦁ আল্লাহ আমাদের বলেন তিনি আসমান ও যমীনের মাঝে যা আছে তা সৃষ্টি করেছেন ৬ দিনে । এবং সেই দিন বলতে বুঝায় ( সময়কাল ) ; (পর্যায়কাল)/(_extra যেহেতু প্রতিশব্দ আছে তাই ব‍্যবহার করা যাবে কারণ ছয় ইয়াম বলা হয়নি আইয়াম বলা হয়েছে তাই নিদিষ্ট করে বলা না থাকয় আইয়াম যুগ পর্যায়কাল সময়কাল সব ব‍্যবহারই করা যাবে যার সামনে ছয় বসে। শুধু দিন বুঝালে 6 ইয়াম ব‍্যবহার না করে আইয়াম করা হতোনা যেকটি আয়াতে দিন রিলিটেড সৃষ্টি করেছেন কত দিনে সেখানে আইয়াম আরবি উচ্চারণ যেমন 6 আইয়াম আছে 6 ইয়াম 2 ইয়াম এভাবে নেই এটা কি কারণ ছাড়াই এমনি করা হয়েছে বলে ধারণা করা সম্ভব!যেমনটি বাইবেলে আছে -)\যেটা নির্ধারিত হয়েছিল অন্য কিছু দ্বারা যেটা চাঁদ এবং সূর্য থেকে নয় ( ভাবানুবাদ ) কারণ স্রষ্টা যে সৃষ্টি করতে পারেন তার দিন হিসাব করতে সৃষ্টির মত কোনো কিছুর সাহায্য নিতে হয়না [৭]

    ReplyDelete
  6. আল্লাহ্ কোথায়ও বলে নি যে পৃথিবী আল্লাহ্ ৬ হাজার বছর আগে সৃষ্টি করেন তিনি কতদিনে সৃষ্টি করেন ঠিক সেটাই বলেছেন আর science এ ইসলামের অনেক বিষয় প্রমাণিত হলেও ইসলামের বিশ্বাস science এর উপর নয় বরং সম্পূর্ণ কুরআনের উপর এতে আজ অবধি কোনোরকম হরফের ও পরিবর্তন পরিমার্জন করা হয়নি। অপরদিকে science এ বার বার মানুষ গবেষণায় আসবে আর আগের আবিষ্কারের মধ্যে সংশোধন ও পরিবর্তন করবে সীমাবদ্ধতা বের করবে এটাই স্বাভাবিক science পরিবর্তনশীল নতুন গ্রহণযোগ্য প্রমাণ ও তথ‍্য থাকলে তাই শতভাগ সায়েন্সের উপর ভরসা করা যায় না হতে পারে আপনি মরে যাওয়ার পর কেউ সংশোধন করল সেক্ষেত্রে আপনি জানতে ও পারবেন না তাই শতভাগ সত‍্য বা অপরিবর্তনশীল এমন কিন্তু নয় আর আল্লাহ্ কোথাও বলেনি যে পৃথিবী ৬000 বছর আগে সৃষ্টি বা এটা ও কোথায় বলেনি যে পৃথিবীর বয়স বিলিয়ন হতে পারেন না তবে আল্লাহ্ কি বলেছেন কতদিনে বানিয়েছেন ঠিক তা আর বিগ ব‍্যাং যে মহাজগত এর বিস্ফোরণে নিজে নিজে সব সৃষ্টি হয়েছে বলে দাবি করে সেটাও ইসলাম মানে না কিন্তু ইসলাম কোথায় এটাও বলেনি যে পৃথিবীর বয়স বিলিয়ন হতে পারে না। বিগ ব‍্যাং এর নিজে নিজে সৃষ্টি সম্পর্কেই ইসলাম মানে না তবে তা দিয়ে ইসলামে কুরআনে ভুল দেখাতে পারে না কারণ আল্লাহ্ পৃথিবী কত আগে সৃষ্টি করছেন তা বলেনি কয়দিনে সৃষ্টি তা বলেছেন তাই এটা দিয়ে পৃথিবী 6000 বছর আগে বানাইছে বলেছেন এটা অবন্তর বরং যে স্রষ্টা সে নিজেই ছয় বছর নির্ধারণ করেন সে চাইলে যে কোনদিনে করতেন কিন্তু তিনি এতটুকু চেয়েছেন তাই এতটুকুই করেছেন । বিগ ব‍্যাং এর নিজে নিজে সৃষ্টি খুবই অবান্তর কমন সেন্সেও আসেনা science তো পরিবর্তনশীল সেটা দূরেই থাক এর মাঝে ভুল প্রমাণিত হতে পারে যে বিগ ব‍্যাং এর সময়সীমার সীমাবদ্ধতা তখন আপনি হয়ত নাও থাকতে পারেন। বিগ ব‍্যাং সম্পর্কে সমস্যা ও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়

    ReplyDelete
  7. এত সমস্যা যার মধ্যে তাকে পূর্ণ বিশ্বাস করা যায় কি করে।কমন সেন্সের প্রশ্ন।.
    Wikipedia er big bang er reference ta dakun সম‍স‍্যা ও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে পরবেন যে একটা মাত্র তথ‍‍্যে এতটা সীমাবদ্ধতা থাকতে পারে তা নিয়ে অন‍্য তথ‍্য বিচার কতটা যুক্তি সম্পূর্ণ হতে পারে? সম্পূর্ণ সীমাবদ্ধতা ছাড়া কোনো যুক্তি তথ‍্য দিয়ে বললেও না হয় বুঝতাম

    ReplyDelete