স্বাধারণত ধর্মগ্রন্থ এবং ধর্মগ্রন্থগুলোর
কথা জটিল প্রকৃতির হয়ে থাকে । কঠিন কঠিন শব্দ ব্যবহার করা হয যাতে মানুষ মনে করে এগুলো সৃষ্টিকর্তা
প্রদত্ত বাণী । যেমন- হিন্দু ধর্মের বাণী বা মন্ত্রগুলো সংস্কৃত ভাষায় পাঠ করা হয় বলে হিন্দুরা
মনে করে এগুলো ঔশী বাণী । আবার কুরআন আরবী ভাষায় পাঠ করা হয় এবং নামাজ আরবি ভাষায় পাঠ
করা হয় বলে বাঙ্গালীরা এবং অন্যান্য অন-আরবরা মনে করে কুরআন আল্লাহর বাণী । এছাড়াও ধর্মগ্রন্থের
বাণীগুলোতে কঠিন কঠিন শব্দ প্রয়োগ করা হয় যাতে সেগুলোকে সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত ঔশী
বাণী বলে মনে হয় । আর তাই পৃথিবীর সব ধর্মগুলোই কঠিন এবং জটিল করে লেখা হয়েছে ।
কিন্তু মুহাম্মদের সময়ে মুহাম্মদ যখন কুরআনের
বিভিন্ন আয়াত সবার কাছে প্রকাশ করতে থাকলো তখন সবাই দেখলো কুরআনের আয়াতগুলো আরবি
ভাষায় অর্থাৎ মাতৃভাষায় সহজ করে বর্ণিত । ফলে তারা এগুলোকে ঔশী বাণী হিসেবে মানতে চাইলো না । তারা বলতে লাগলো
- কুরআনতো অনেক সহজ করে লেখা, তাহলে এটি সৃষ্টিকর্তার
বাণী হয় কি করে ?
তখন মুহাম্মদ দেখলো কুরআন বেশী সহজ হয়ে গেছে
যেটি তার নবুওতের জন্য হুমকি স্বরুপ । কিন্তু যে আয়াতগুলো প্রচার করা হয়ে গেছে সেগুলো পরিবর্তন করা
যাবে না । আর তাই তাকে কুরআনকে এবং নিজের নবীয়ত্বকে বাঁচাতে আয়াত হাজির করতে হয়েছে ।
সুরা ইউসুফ, আয়াত ০২
"আমি অবতীর্ন করেছি তাকে কুরআন(রুপে)
আরবী ভাষায়, যাতে তোমরা বুঝতে পারো ।"
সুরা কামার, আয়াত ১৭
"কুরআন আমি সহজ করে দিয়েছি উপদেশ গ্রহণের
জন্যে, সুতরাং উপদেশ গ্রহণকারী কেউ আছে কি ?"
সুরা যুখরুফ, আয়াত ০৩
"আমি এটা (অবতীর্ণ) করেছি আরবী ভাষায়
কুরআনরুপে, যাতে তোমরা বুঝতে পার ।"
উপরিউক্ত আয়াতগুলো থেকে বুঝা যাচ্ছে যে আল্লাহ
কুরআনকে আরবি ভাষায় সহজ করে এজন্য লিখেছে যাতে আরবরা সহজেই বুঝতে পারে । অর্থাৎ কুরআন আরবি
ভাষাভাষীদের জন্য সহজ করে দেয়া হয়েছে । যাতে তারা সহজে বুঝতে পারে ।
এই আয়াতগুলো দিয়ে কেন কুরআন সহজ করে লেখা
হয়েছে, কেন ধর্মীয় ঔশী বাণীগুলোর মতো জটিল এবং
দুর্বোদ্ধ নয়, আরবদের এই অভিযোগ খন্ডন করেছে মুহাম্মদ । মুহাম্মদের (কুরআনের)
দাবী মতে কুরআন সহজ করে আরবি ভাষায় লেখার কারণ যাতে সহজেই আরবী ভাষার মানুষ কুরআনের
কথা বুঝতে পারে । আর এজন্যই আল্লাহ কুরআনকে সহজ ভাবে আরবি ভাষায় প্রেরণ করেছে ।
কুরআনের এই আয়াতগুলো দিয়ে মুমিনদের মুখ বন্ধ
করা সম্ভব হয়েছে ।
কিন্তু কিছু দিন পরে মানুষ কুরআনের সহজ সরল
আয়াতগুলোকে ভুল বলে প্রচার করতে লাগলো । যেমন কুরআনের এক আয়াতে বলা হয়েছে ঈসা নবীর (জেসাস ক্রাইস্ট)
মা মরিয়ম হচ্ছে মুসা নবীর (মুজেস) বোন । কিন্তু আরবরা দেখলো কুরআন এখানে উল্টা পাল্টা মিথ্যে তথ্য দিয়েছে
। ঈসা নবীর মা মরিয়মের
জন্ম হয়েছে মুসা নবীর মৃত্যুর অনেক পরে । আর তাই কুরআন স্পষ্ট মিথ্যে কথা বলছে ।
এরকম অনেক আয়াতকে যখন তারা ভূল বলে প্রমান
পেল, তখন তারা বলতে লাগলো মুহাম্মদ মিথ্যেবাদী । সে নবী নয় ।
সে সময় মুহাম্মদ আরেকটা আয়াত এনে তার নবীয়তকে
রক্ষা করলো মুমিনদের কাছ থেকে । আর এতে মুমিনরা মুহাম্মদকে আর অবিশ্বাস করলো না । আয়াতটি হচ্ছে সুরা
ইমরানের ৭ নাম্বার আয়াত,
"তিনিই তোমার প্রতি গ্রন্থ অবতীর্ণ
করেছেন, যাতে সুস্পষ্ট অকাট্য আয়াতসমূহ রয়েছে-ওগুলোই
গ্রন্থের মূল, এ ব্যতীত কতিপয় আয়াতসমূহ অস্পষ্ট;
অতএব যাদের অন্তরে বক্রতা রয়েছে, ফলতঃ তারাই অশান্তি সৃষ্টি ও (ইচ্ছা মত) ব্যাখ্যা বিশ্লেষণের উদ্দেশ্যে অস্পষ্টের
অনুসরণ করে, অথচ আল্লাহ ব্যতীত এগুলোর অর্থ কেউই অবগত নয়; আর যারা জ্ঞানে সুপ্রতিষ্ঠিত, তারা বলেঃ আমরা ওতে বিশ্বাস করি, সমস্তই আমাদের
প্রতিপালকের নিকট হতে সমাগত এবং জ্ঞানবান ব্যতীত কেউই উপদেশ গ্রহণ করে না ।"
এই আয়াত দিয়ে কুরআনের ভূলগুলোকে রক্ষা করার
চেষ্টা করা হয়েছে । কিন্তু বিশেষ কাজে দেয়নি । বরং জটিলতা আরো বেড়েছে ।
প্রথমত- কুরআনে বলা হয়েছে, কুরআন সহজ করে আরবি ভাষায় নাজিল করা হয়েছে যাতে সহজেই আরবরা
বুঝতে পারে । কিন্তু এই আয়াতটিতে বলা হচ্ছে কুরআনে কিছু কিছু আয়াত সহজ নয় রবং দুর্বোদ্ধ এবং
অস্পষ্ট । আল্লাহ এখানে দুই রকম কথা বলছে । একবার বলছে কুরআনকে বুঝার জন্যই সহজ করা হয়েছে, আবার বলা হচ্ছে কুরআনের কিছু কিছু আয়াত এতাে দুর্বোদ্ধ যে সেগুলোর
অর্থ আল্লাহ ছাড়া কেই বুঝতে পারবে না । যদি আল্লাহ ছাড়া কেও নাই বুঝতে পারে তবে সেগুলো নাজিল করে লাভ
হলো কি ? তার উপর একবার দাবী করছে কুরআন বুঝার জন্যই
সহজ করা হয়েছে আবার কথা ঘুরিয়ে নিয়ে বলা হচ্ছে কিছু কিছু আয়াত সহজ নয় বরং খুব কঠিন,
দুর্বোদ্ধ এবং অস্পষ্ট । তাহলে পরস্পর বিরোধী কথা হয়ে যাচ্ছে যেটা
কোন সৃষ্টিকর্তার হবার কথা নয় ।
দ্বিতীয়ত- বলা হচ্ছে যারা জ্ঞানী তারাই এগুলোকে
বিনা যুক্তিতে বিশ্বাস করবে । (যারা জ্ঞানী তারা বিনা যুক্তিতে বিশ্বাস করে এতে ভূল থাকা সত্বেও
তারা জ্ঞানী হয় কিভাবে ?) অর্থাৎ যারা বিনা যুক্তি
প্রমানে বিশ্বাস করবে তাদেরকেই জ্ঞানী বলা হচ্ছে । যেন কুরআনে ভূল থাকা সত্বেও এটাকে আল্লাহর
বাণী বলে বিশ্বাস করাই প্রকৃত জ্ঞান । এখানে আসলে অন্ধবিশ্বাসী মুমিনদেরকে আরো অন্ধবিশ্বাসি হতে উৎসাহিত
করার জন্যই বলা হয়েছে যারা বিশ্বাস করে বিনা শর্তে তারাই জ্ঞানী ।
তৃতীয়ত- কুরআন সহজ করে আরবি ভাষায় নাজিল করা
হয়ে থাকলে আরবরা খুব সহজে বুঝতে পারবে এটাই স্বাভাবিক । আর যখন আরবরা কুরআনের ভুলগুলো মুসলমানদের
কাছে উল্লেখ করলো তখন মুহাম্মদ এই আয়াতটি তৈরী করে দেখালো কিছু কিছু আয়াত আল্লাহ
ছাড়া কেই বুঝবে না । আর যারা এটা নিয়ে কথা বলবে তারা আসলে কুমতলবী এবং তারা অশান্তি সৃষ্টিকারী । কিন্তু যখন বলা হয়েছে
কুরআনকে সহজ করে লেখা হয়েছে যাতে আরবরা সহজেই বুঝতে পারে । তারা দেখলো তাতে ভুল বা মিথ্যে কথাও লেখা
আছে; আর তারপর যখন তারা কুরআনকে আল্লাহর বাণী নয় দাবী করলো তখন মুহাম্মদ
নামধারী আল্লাহ তার কথা ঘুরিয়ে নিয়ে কুরআনের কিছু আয়াতকে দুর্বোদ্ধ দাবী করলো । এবং এর অর্থ আল্লাহ
ছাড়া কেউ বুঝবে না বলে প্রচার করলো । আবার শর্ত হিসেবে এটাও বলা হলো যদি বিশ্বাস করো বিনা শর্তে
তবেই তুমি জ্ঞানী আর যদি বিশ্বাস না করো ভূল থাকা সত্বেও, তবে তুমি অশান্তিকারী । এক ঢিলে দুই পাখি মারার অপচেষ্টা । কিন্তু এটাতে প্রমান হয় কুরআন দুই রকম কথা
বলছে । আর এটা দ্বারা এটাই
প্রমানিত হয় যে কুরআন আল্লাহর বাণী নয় বরং কুরআন মুহাম্মদের বাণী ।
কিন্তু এরপরও যখন মুহাম্মদ তার তৈরীকৃত ধর্ম
প্রচার করতে লাগলো তখন আরবের মানুষ তার কাছে নবুয়তের প্রমান চাইলো । এমন কোন প্রমান যেটা
প্রমান করবে মুহাম্মদ আসলেই আল্লাহর প্রেরিত রসুল । কুরআনেই এর বর্ণনা দেয়া আছে -
সুরা বনী ইসরাইল, আয়াত ৯০, ৯১, ৯২ এবং ৯৩
"আর তারা বলে - কখনই আমরা তোমার উপর
বিশ্বাস স্থাপন করবো না, যতক্ষন না তুমি আমাদের
জন্যে ভূমি হতে এক প্রস্রবণ উৎসারিত করবে । অথবা তোমার খেজুরের কিংবা আঙ্গুরের এক বাগান হবে যার ফাঁকে
ফাঁকে তুমি অজস্র ধারায় প্রবাহিত করে দেবে নদী-নালা । অথবা তুমি যেমন বলে থাকো, তদানুযায়ী আকাশকে খন্ড-বিখন্ড করে আমাদের উপর ফেলবে অথবা আল্লাহ
ও ফেরেশতাদেরকে আমাদের সামনে উপস্থিত করবে । অথবা তোমার একটি স্বর্ণনির্মিত গৃহ হবে, অথবা তুমি আকাশে আরোহণ করবে; অবশ্য তোমার আকাশ আরোহণেও আমরা কখনো বিশ্বাস করবো না যতক্ষন তুমি আমাদের প্রতি
এক কিতাব অবতীর্ণ না করবে যা আমরা পাঠ করবো; বলঃ পবিত্র মহান আমার প্রতিপালক ! আমি তো শুধু একজন মানুষ, একজন রাসুল । "
কুরআনের এই আয়াতগুলোই প্রমান করে আরবরা সেই
সময় মুহাম্মদের কাছে নানা প্রমান চায় কিন্তু মুহাম্মদ প্রমান দিতে সম্পূর্ন ব্যর্থ
হয় ।
মুহাম্মদ কুরআনে যত নবী রাসুলের বর্ণনা করেছে
তার সবগুলোতেই নবী রাসুলদের অলৌকিক ক্ষমতার বর্ণনা ছিল । আর আরবরাও জানতো মুসা নবীর অলৌকিক ক্ষমতা
সম্পর্কে । যেমন - মুসা নবী হাতের কাঠি দিয়ে সাপ তৈরী করেছিল এবং নীল নদের পানিকে দুই ভাগ
করে দিয়েছিল । ইসা নবীর অলৌকিক ক্ষমতা ছিল এবং সে মৃতকে জীবিতও করতে পারতো । এছাড়া সুলায়মান নবী
অলৌকিক ক্ষমতা দিয়ে জ্বিন, পশু-পাখি বস করেছিল
। এরকম নানা কাহিনী মুহাম্মদ
কুরআনে বর্ণনা করেছে যে নবীদের অলৌকিক ক্ষমতা
থাকে । আর তাই সেজন্যই আরবরা
মুহাম্মদের কাছে তার নবীয়তের প্রমান স্বরুপ এরকম কোন অলৌকিক ক্ষমতা দেখাতে বলেছে কিন্তু
মুহা্ম্মদ কোন প্রমানই দেখাতে পারেনি । আরবরা মুহাম্মদকে অলৌকিক ক্ষমতা দেখাতে বলেছে যেন সে মাটি থেকে
পানি বের করতে পারে বা তার একটা খেজুরের বাগান বানায় (অলৌকিক ভাবে) যাতে নদী-নালা প্রবাহিত
হয় । কারণ আরবে পানির খুব
সংকট ছিল ।
আবার মুহাম্মদ কুরআনে বলেছে আকাশ ভেঙ্গে পড়ে
যাওয়ার কথা । সে আকাশ ভেঙ্গে মানুষের মাথায় পড়তে পারে বলে কুরআনে উল্লেখ করেছে । আর তাই আরবরা মুহাম্মদের
কাছে প্রমাণ হিসেবে চেয়েছে মুহাম্মদ যেভাবে কুরআনে বলেছে ওভাবে আকাশ ভেঙ্গে দেখাক । কিন্তু মুহাম্মদ তা
করতে পারেনি । মুহাম্মদ দাবী করে ফেরেশতা তার কাছে এসে ওহী নাজিল করে । আর তাই আরবরা আল্লাহ এবং ফেরেশতাকে দেখাতে
বলেছে প্রমান হিসেবে । কিন্তু মুহাম্মদ কোন প্রমানই হাজির করতে পারেনি । এছাড়াও আরবরা মুহাম্মদকে প্রমান হিসেবে তার
একটা স্বর্নের ঘর বানানোর কথা বলে এবং তাকে আকাশে আরোহন করতে বলে । মুহাম্মদ দাবী করতো
সে নাকি মেরাজের মাধ্যমে আকাশে আরোহণ করেছিল । আর তাই আরবরা মুহাম্মদকে আকাশে আরহণ করতে
বলেছে এবং আকাশ থেকে কোন গ্রন্থ আনতে বলেছে । কিন্তু মুহাম্মদ বরাবরের মতই কোন প্রমানই
দেখাতে পারেনি ।
শেষে প্রমান দিতে ব্যর্থ মুহাম্মদ অযুহাত
হিসেবে বলছে - আমিতো শুধু একজন মানুষ মাত্র । আমার আল্লাহর মত অলৌকিক ক্ষমতা নেই ।
কিন্তু বারবার প্রমান দিতে ব্যর্থ মুহাম্মদ
দেখলো, অবিশ্বাসীরাতো তাকে নবী মানছেই না উপরোন্তু
যারা তাকে নবী বলে বিশ্বাস করে তারাও সন্দেহ প্রবণ হয়ে যাচ্ছে । আর তাই তাকে আরেকটা
আয়াত আনতে হয় । কুরআনের সুরা আনআম-এর ৩৫ নাম্বার আয়াতে আছে,
"আর যদি তাদের অনাগ্রহ ও উপেক্ষা তোমার
কাছে কঠিন হয়ে পড়ে, তবে ক্ষমতা থাকলে মাটির কোন সুড়ঙ্গ অনুসন্ধান
কর বা আকাশে সিঁড়ি লাগিয়ে দাও, অতঃপর তাদের কাছে কোন
নিদর্শন নিয়ে এসো, আল্লাহ ইচ্ছা করলে তাদের সকলকে তিনি হেদায়াতের
উপর সমবেত করতেন । সতরাং তুমি অজ্ঞদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যেয়োনা ।"
বারবার প্রমান উপস্থিত করতে ব্যর্থ মুহাম্মদ
মুমিনদেরকে সান্তনা দেবার জন্য এই আয়াতটি তৈরী করেছে । আরবের অবিশ্বাসীরা বারবার প্রমান চায় এবং
মুহাম্মদ কোন প্রমান দিতে পারে না আর এটা তার জন্য অপমানকর । কিন্তু মুহাম্মদতো আর সত্য কোন নবী নয় যে
তার অলৌকিক ক্ষমতা থাকবে । (বাস্তব জগতে অলৌকিকতা বলে কিছু নেই । সে সময় মানুষ নানা অলৌকিক ক্ষমতার গল্প-উপকথায়
বিশ্বাস করতো ।)
আর তাই সে এই আয়াত লিখে মুমিনদেরকে শান্তনা
দেবার চেষ্টা করেছে । এই আয়াতে মুহাম্মদ দাবী করেছে, আল্লাহ ইচ্ছে করলে
সবাইকে প্রমান দেখিয়ে ইসলামে আনতে পারে কিন্তু সে সেটা করবে না । বরং আল্লাহ তাকে অবিশ্বাসিদের
মতো অজ্ঞ হতে মানা করেছে । ভাবটা এমন অবিশ্বাস করাই অজ্ঞতা আর অন্ধভাবে বিশ্বাস করাই চরম
জ্ঞানের কাজ । প্রমান দিতে ব্যর্থ মুহাম্মদ এভাবেই মুমিনদেরকে বোঁকা বানিয়ে ধোঁকা দিয়েছে ।
কুরআনের বাণী নিয়ে মুহাম্মদের উল্টা পাল্টা
কথা বার্তা এবং প্রমান দিতে ব্যর্থ মহাম্মদের যেমন ইচ্ছা অযুহাত দাড় করানো সত্যিই
হাস্যকর ।
খুব সুন্দর লিখা!! তবে মুহাম্মদ যে বিপদে পড়ে আরো একটা আয়াত ডাউনলোড করছিলো যেটা ছিল,, তুমি জাস্ট প্রচার কর হেদায়েত দেওয়ার দায়িত্ত আমার।
ReplyDeleteএটাও কিন্তু যখন সে অপরাগত হইছিলো তখনি ডাউনলোড করছিল
নাস্তিকরা তো বিশ্বাস করবেই
Deleteমরে দেখ কি হয়
অলৌকিক ক্ষমতা মুহাম্মাদ সাঃ এর ছিলো,,
ReplyDeleteতার স্পষ্ট প্রমাণ এখনো আছে।
তাই ইসলাম নিয়ে কোনো কটুক্তি করবেন না।
কোরআন আল্লাহর বানি তার হাজার প্রমাণ আছে।
ইসলামের বিরুদ্ধে মিথ্যা কথা বলিস না।
ধ্বংস হয়ে যাবি।
কুরআন মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রচিত নয় যদি তাই হয়। বিগব্যাং, আপেক্ষিক তত্ত্ব,কুরআনের বহু বৈজ্ঞানিক প্রমাণ আছে। তৎকালীন কোনো সাধারণ মানুষ বা উচ্চ শিক্ষিত মানুষের পক্ষে কুরআনের মতো গ্রন্থ রচন করা অসম্ভব ছিল। এমনকি বর্তমান প্রেক্ষাপটেও নয়। নিরপেক্ষ মন নিয়ে আপন মাতৃভাষায় কুরআন বুঝতে চেষ্টা করুন আশাকরি আল্লাহ সাহায্য করবেন।
ReplyDeleteকুরআন মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রচিত নয় যদি তাই হয়। বিগব্যাং, আপেক্ষিক তত্ত্ব,কুরআনের বহু বৈজ্ঞানিক প্রমাণ আছে। তৎকালীন কোনো সাধারণ মানুষ বা উচ্চ শিক্ষিত মানুষের পক্ষে কুরআনের মতো গ্রন্থ রচন করা অসম্ভব ছিল। এমনকি বর্তমান প্রেক্ষাপটেও নয়। নিরপেক্ষ মন নিয়ে আপন মাতৃভাষায় কুরআন বুঝতে চেষ্টা করুন আশাকরি আল্লাহ সাহায্য করবেন।
ReplyDeleteলেখাটিতে অনেক ভুল তথ্য রয়েছে, যার কারণে কুরআন নিয়ে আপনাদের এতো সমস্যায়। আগে সেগুলো ঠিক করুন। তারপর মন্তব্য করুন। যেমন-
ReplyDelete১। মুহাম্মাদ সাঃ কখনো বলেন নাই যে, মাইরইম (আঃ) মুসা (আঃ) এর আপন বোন। আর আরবরাও কখনো আপত্তি করে না।
২। আল্লাহ তায়ালা মুহাম্মাদ (সাঃ) কে নির্দিষ্ট কোন অলৌকিক ক্ষমতা দেন না। তথাপিও তিনি বেশ কিছু অলৌকিক ক্ষমতা প্রদর্শন করেছিলেন। যেমন- চন্দ্র খন্ডন, মিরাজে গমন ইত্যাদি। অতঃপর এসেগুলোর প্রমাণও দিয়েছিলেন। তারপরও তখনকার কাফেররা মুহাম্মাদ (সাঃ) কে নবী হিসেবে স্বীকার করে নাই, যেমনিভাবে আপনারা অস্বীকার করতেছেন।
৩। আপনি মিরাজের ঘটনাকে মিথ্যা বলতেছেন। অথচ তখনকার যুগের কাফেররাই তো এ ঘটনাকে মিথ্যা বলে প্রমান করতে পারে না। যদি পারত তাহলে ইসলাম তখনই বিলিন হয়ে যেতো। আর আপনার কাছে যদি কোনো প্রমান থাকে তবে উপস্থাপন করুন।
৪। নবী হলে অলৌকিক ক্ষমতা থাকতে হবে, এই আবশ্যকতা কে নির্ধারণ করল? তাহলে তো বর্তমানেও কারো কাছ থেকে অলৌকিক ঘটনা প্রকাশ পেলে সেও নবী হয়ে যাবে। অথচ নবী-রাসূলদের পক্ষ থেকে অলৌকিক ক্ষমতা প্রকাশ আর সাধারণ মানুষের থেকে অলৌকিক ক্ষমতা প্রকাশ এক নয়। সুতরাং অলৌকিক ক্ষমতার প্রকার সম্পর্কে ভালো করে জানতে হবে।
৫। অলৌকিক ক্ষমতা প্রদর্শনের ক্ষেত্রে বুঝতে হবে যে, মানুষের যাওয়া অনুযায়ী অলৌকিক ক্ষমতা প্রদর্শন হয় না, বরং আল্লাহর চাওয়া অনুযায়ী অলৌকিক ক্ষমতা প্রদর্শন হয়।
৬। আকাশ দ্বিখন্ডীত করার যে দাবী করে করেছিল, সেটা তো কিয়ামতের সাথে নির্ধারিত। সেটা ঘটলে তো তখনই কিয়ামত সংঘটিত হয়ে যেত, যা কখনো হওয়ার নয়। কারণ কিয়ামতের সময়টাও নির্ধারিত।
৭। আর যেসব আয়াতকে উল্টা-পাল্টা বলতেছেন, আসলে সেগুলো বুঝার ক্ষমতা আপনার নেই। তাই উল্টা-পাল্টা মনে করতেছেন। সুতরাং সঠিক তথ্য সংগ্রহ করে তারপর মন্তব্য করবেন।