এক কথায় বললে কোন ধর্মই সত্যি নয় ? কিভাবে নির্ণয় করা যায় কোন ধর্মই সত্যি নয় ?
প্রত্যেক ধর্মেরই কিছু ধর্মীয় গ্রন্থ থাকে যেগুলোকে সৃষ্টিকর্তার বাণী বলা হয় l
ধর্মের অনুসারীরা দাবি
করে থাকে তাদের ধর্ম গ্রন্থটি সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত অর্থাত সৃষ্টিকর্তার বাণী l
এই দাবির পক্ষে তারা
নানা যুক্তি উপস্থাপন করে থাকে l সবাই দাবি করে তাদের ধর্ম গ্রন্থটিতে কোন ভুল নেই l কোন ভুল কথা বা মিথ্যে কথা যদি ধর্মীয় গ্রন্থে থাকে তবে সেটি
কোন সৃষ্টিকর্তার বাণী নয় বা সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত গ্রন্থ নয় l
এই কথাটির উপর ভিত্তি করেই বলা যায় যে পৃথিবীতে যত ধর্ম আছে তাদের সব ধর্মের ধর্মীয়
গ্রন্থের মাঝে প্রচুর ভুল ও মিথ্যে তথ্য দেয়া আছে l আর তাই পৃথিবীর কোন ধর্মীয় গ্রন্থই সৃষ্টিকর্তা
প্রদত্ত নয় l ফলে কোন ধর্মই সত্যি ধর্ম নয় l
মুসলমানরাও দাবি করে তাদের ধর্মীয় গ্রন্থ কুরআনই একমাত্র সত্য l বাকি সব ধর্ম গ্রন্থ
মিথ্যে l
কিন্তু আমরা যদি কুরআন পড়ি তাহলে দেখা যায় সেখানে অনেক ভুল বা মিথ্যে কথা বলা হয়েছে
l
আর এটা দিয়েই বুঝতে পারা যায় যে কুরআন অন্যন্য ধর্মীয় গ্রন্থের মতই সৃষ্টিকর্তার বাণী নয় l ফলে তাদের ধর্মটাও অন্যান্য সকল ধর্মের মতই মিথ্যা l
আর এটা দিয়েই বুঝতে পারা যায় যে কুরআন অন্যন্য ধর্মীয় গ্রন্থের মতই সৃষ্টিকর্তার বাণী নয় l ফলে তাদের ধর্মটাও অন্যান্য সকল ধর্মের মতই মিথ্যা l
কিন্তু মুসলমানরা তারপরেও এটা মানতে রাজি নয় যে তাদের ধর্মগ্রন্থটি ভুল বা মিথ্যা
অর্থাৎ তারা মেনে নেয় না যে কুরআন কোন সৃষ্টিকর্তার বাণী নয় বা সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত
কোন ধর্মীয় গ্রন্থ নয় l তাদেরকে কুরআনের অনেক অনেক ভুল দেখালেও তারা নানা অজুহাত দেখিয়ে
দাবি করতেই থাকে যে, কুরআন আল্লাহর বাণী l নানা তথ্য প্রমানেও তারা তাদের অন্ধ-বিশ্বাস থেকে বেরিয়ে আসতে
রাজি নয় l তাদের দাবি কুরানে এমন কিছু তথ্য দেয়া আছে যেগুলো কোন মানুষের ১৪০০ বা ১৫০০ বছর
আগে বলা সম্ভব নয় l কিন্তু আসলে কুরানে এমন কিছুই বলা হয়নি যেটা সেই সময়ের মানুষ জানত না l
কুরানে সেইসব বিষয়ই
বলা হয়েছে যেগুলো সেই সময়ের অর্থাত কুরআন লেখার সময়ের মানুষের ধ্যান-ধারণা এবং সেই
সময়ের মানুষের বিশ্বাস ছিল l এবং ঐসব ধারণা বা বিশ্বাস এযুগে এসে মিথ্যে প্রমানিত হয়েছে l
যেমন :-
১. সেই সময়ে মানুষ বিশ্বাস করতো বা ধারণা করতো আকাশ হচ্ছে ছাদ l যেরকম ছাদ মানুষ বানাতো
ঘরের জন্য সেই রকম কোন এক শক্ত কঠিন পদার্থ দ্বারাই ছাদের মত করে তৈরী করা হয়েছে আকাশ
l এবং কুরআনেও ঠিক এই
কথাটিই বলা হয়েছে বহু আয়াতে l কিন্তু আকাশ সম্পর্কে এই ধারনাটা মিথ্যা l
২. কুরআন তৈরী হওয়ার সময়ে মানুষ বিশ্বাস করতো পৃথিবী সমতল l এবং সমতল পৃথিবী ভারসাম্য
রক্ষা করতে পারতো না এবং যেকোন দিকে কাত হয়ে পরে যেতে চাইতো l ভারসাম্যহীনতার জন্য
পৃথিবী বারে বারে কেপে উঠতো এবং কোন দিকে কাত হয়ে পরে যেতে চাইতো l আর এই সমস্যা থেকে
রক্ষা করার জন্য সৃষ্টিকর্তা পৃথিবীর উপর পাহাড়-পর্বত তৈরী করে দিয়েছে বা স্থাপন করেছে
l ফলে পৃথিবী আর নড়াচড়া
করে না এবং কোন দিকে কাত হয়ে যায় না বা ঢলে পরে না l আর এই কথাগুলোই কুরআনের নানা জায়গায় বলা হয়েছে
l এই ধারণাগুলো সেই সময়ের
মানুষদের যেটা সম্পূর্ণ মিথ্যা l
৩. সেই সময়ে মানুষ বিশ্বাস করতো চাঁদ আর সূর্য আকাশে ভেসে বেড়ায় l সূর্য হচ্ছে বড় প্রদীপ
যেটা আলো ছড়ায় এবং চাঁদ ছোট প্রদীপ যেটা কম আলো দেয় বলে চাদের আলো অনেক হালকা হয় l
এই কথাগুলোই কুরানে
বলা হয়েছে; যেটা মিথ্যে l
৪. সেই সময়ে মানুষ ভাবতো পৃথিবী স্থির এবং পৃথিবীকে কেন্দ্র করে চাঁদ-তারা-সূর্য
এগুলো ভ্রমন করে অর্থাত পৃথিবীর চারপাশে ঘুরে l আর এই কথাগুলোই কুরানে বলা হয়েছে l
যেটা সম্পূর্ণ মিথ্যা
l
৫. সেই সময়ে মানুষ বিশ্বাস করতো, মানুষ একজন পুরুষ এবং একজন নারীর মধ্য থেকে সমস্ত মানব জাতি
সৃষ্টি হয়েছে । এবং একেক ধর্মের মানুষ সেই একযুটি পূর্বপুরুষ সৃষ্টির কাহিনী একেক রকম ভাবে বর্ণনা
করেছে । যেমন সেই সময়ে কিছু মানুষ ধারনা করতো প্রথমে আদম নামের একজন পুরুষকে সৃষ্টি করা
হয এবং তার থেকে হাওয়া নামের একজন নারীকে সৃষ্টি করা হয় । আর এ দুই জনের মাধ্যমেই সব মানুষের পৃথিবীতে
আবির্ভাব ঘটেছে । কুরআনে এই গল্প বা রুপকথাটিই বর্ণনা করা হয়েছে । কিন্তু সেটা মিথ্যা এবং বাস্তবতার সাথে সাংঘর্ষিক
।
প্রাচীন ধ্যাণ ধারনা এবং ভূল ও ভ্রান্তিমুলক কথা সব ধর্মগ্রন্থেই বর্ণিত আছে ঠিক
কুরআনের মতো করেই । ফলে এটা প্রমাণিত হয় যে ধর্মগ্রন্থগুলো কোন অতিজ্ঞানী বা অতিক্ষমতাবান কারো
নয় । ধর্মগ্রন্থগুলোর ভূল
ভ্রান্তিই প্রমাণ করে পৃথিবীতে প্রচলিত কোন ধর্মই কোন সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত নয় । তাই কোন ধর্মই সত্যি
নয় ।
নানা ভূল এবং বিভ্রান্তিমুলক ধারনা যারা বিশ্বাস করে এবং এই ধারনাগুলোকে সত্য
মনে করে তাদের অন্ধবিশ্বাসকে বাঁচিয়ে রাখে তারাই কুসংস্কারাচ্ছন্ন এবং অন্ধবিশ্বাসী
আস্তিক । এরা বিজ্ঞানের সুফল ভোগ করে ঠিকই কিন্তু কখনই বিজ্ঞান মনস্ক হয় না । কুসংস্কারগুলোকে আকড়ে
ধরে রাখে এবং নিজেকে অন্ধবিশ্বাসের অন্ধকারে রেখে দেয় । এখান থেকে বেরিয়ে আসতে পারে না এবং চায়ও না
।
আস্তিকগুলো তাদের ধর্মগ্রন্থগুলোর ভূল ভ্রান্তি দেখে কিন্তু বাস্তবতাকে মেনে
নিতে চায় না এবং পারেও না । তারা তাদের ধর্মগ্রন্থের মধ্যে বিজ্ঞান খুজে পায় যে ধর্মগ্রন্থগুলোতে
অবৈজ্ঞানিক এবং বাস্তবতা বহির্ভূত কথা বার্তা বলা আছে । তারা সেই ভূল এবং অবৈজ্ঞানিক কথাগুলোকে ফুলিয়ে
ফাঁপিয়ে সবার কাছে উপস্থাপন করে এবং সেই মিথ্যে ধর্ম গ্রন্থগুলোকে বড় মাপের বিজ্ঞান
বলে মূর্খ, আধা শিক্ষিত এবং কুসংস্কারাচ্ছন্ন অন্ধিবশ্বাসীদের
কাছে উপস্থাপন করে । ফলে স্বাধারন মানুষ হয় বিভ্রান্ত । কিন্তু প্রকৃত জ্ঞানী ব্যক্তিরা বিভ্রান্ত হয় না কখনই ।
ফলে কিছু ভন্ড ধর্ম ব্যবসায়ী তাদের ধর্মকে বৈজ্ঞানিক বলে অপপ্রচার করতে থাকে এবং
সাধারণ মানুষের কাছ থেকে টাকা পয়সা হাতিয়ে নিতে থাকে । এভাবেই ধর্ম ব্যবসায়িরা কুসংস্কারাচ্ছন্ন
আস্তিকদের সাথে প্রতারনা করে আসছে সেই প্রাচীণকাল থেকে ।
প্রকৃতপক্ষে কোন ধর্মই সত্যি নয়, যেভাবে সেই ধর্মের
ধর্মগ্রন্থগুলো মিথ্যা । ভুলে ভরা ধর্মগ্রন্থগুলোকে যারা অন্ধভাবে বিশ্বাস করে চলে তারা
সারা জীবন কুসংস্কারাচ্ছন্ন হিসেবেই তাদের জীবন কাটিয়ে দেয় ।
No comments:
Post a Comment