Translate

Search This Blog

বিশেষ সতর্কবার্তাঃ

এই ব্লগটি নাস্তিক, অজ্ঞেয়বাদী, সন্দেহবাদী, মুক্তমনা এবং স্বাধীনচেতা মানুষদের জন্য। যারা যেকোন বিষয়ের সমালোচনা সহ্য করার মত ক্ষমতা রাখে। যদি কোন ধার্মিক, গোড়া ধার্মিক আস্তিক এই ব্লগটিতে আসে তবে তার ধর্মানুভূতি নামের অদ্ভূত দূর্বল অনিভূতি আঘাতপ্রাপ্ত হলে ব্লগ লেখক দায়ী থাকবে না। ধার্মিক, গোড়া ধার্মিক আস্তিকদের নিজ দায়িত্বে তাদের দূর্বল ধর্মানুভূতিকে সংরক্ষনের দায়িত্ব নিতে হবে। কারো ধর্মানুভূতি নামের অযৌক্তিক অনুভূতি আহত হবার জন্য কোন ক্রমেই ব্লগার বা লেখককে দায়ী করা যাবে না। যদি কোন অতি দুর্বল ধর্মানুভূতি সম্পন্ন ব্যাক্তি এই ব্লগে ভূল করে ঢুকে পরেন এবং তিনি তার অনুভূতিকে দূর্বল ভাবেন অর্থাৎ যিনি তার ধর্মের উপযুক্ত সমালোচনা সহ্য করতে অপারগ, তাকে বিনীত ভাবে এই ব্লগটি থেকে প্রস্থান করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। এর পরেও যদি কোন দূর্বল ধর্মানুভূতি সম্পন্ন ব্যাক্তি এই ব্লগটিতে ঘুরাফেরা করেন এবং তার ফলে তার দূর্বল ধর্মানুভূতিতে আঘাত প্রাপ্ত হন তবে কোন ক্রমেই এবং কোন ক্রমেই ব্লগের মালিক, 'আমি নাস্তিক' দায়ী থাকবে না।

Sunday, January 25, 2015

সৃষ্টিকর্তা কে ? সে কেমন ? কি করে সে ?



সৃষ্টিকর্তা কে ? সে কেমন ? কি করে সে ?
আস্তিকদের কাল্পনিক সৃষ্টি হলো সৃষ্টিকর্তা সৃষ্টিকর্তা হলো এমন কেও যে বিশ্বজগতের সব কিছু সৃষ্টি করেছে এবং বিশ্বজগতের সব কিছুকে পরিচালিত করে (আস্তিকদের দাবী সৃষ্টিকর্তা ছাড়া কোন কাজই ঘটা সম্ভব নয়) তাদের দাবী অনুযায়ী সব কিছুর একজন সৃষ্টিকর্তা আছে কিন্তু সেই সৃষ্টিকর্তার কোনই সৃষ্টিকর্তার প্রয়োজন হয়নি তার কোন শুরু নেই এবং তার কোন শেষও নেই সে আদি অনন্ত কাল থেকে অনন্তকাল পর্যন্ত বিরাজ করবে তার কোন বিনাশ নেই তিনি চিরঞ্জীবি

তাহলে সৃষ্টিকর্তা সম্পর্কে কিছু প্রশ্ন এসে উপস্থিত হয় সৃষ্টিকর্তা কেমন ? তার আকৃতির কেমন ? কি করে সে ? কিভাবে তার জীবন অতিবাহিত করে ?
সৃষ্টিকর্তা আদি অনন্ত কাল থেকে বিরাজ করছে কিন্তু আমাদের বিশ্বজগত মাত্র বড় জোর পনেশ কোটি বছরের তাহলে সৃষ্টিকর্তা এই বিশ্বজগত সৃষ্টির পূর্বে কোথায় ছিল ? সেখানে সে কি করছিল সেই সময়টাতে ?
বিশ্বজগত সৃষ্টির পূর্বে সৃষ্টিকর্তার কি কোন কাজ ছিল ?  সে তখন কেমন ছিল ?


সৃষ্টিকর্তার কি অনুভুতি আছে ? সে কি কষ্ট পায় ? রাগ করে ? অভিমান করে ?
আস্তিকদের দাবী, সৃষ্টিকর্তা তার অনুসারীদের উপর খুশি হয় যে তার গুনগান করে তাকে তিনি খুশি হয়ে পুরস্কৃত করেন  কিন্তু যে তার কথা মত চলে না, তাকে মান্য করে না তাদের উপর তিনি প্রচন্ড রাগ করেন ক্ষেপে গিয়ে তাদেরকে তিনি কঠিন শাস্তি দেন
আর তোষামুদে তিনি আনন্দ পান
তাহলে দেখা যাচ্ছে, সৃষ্টিকর্তা সব কিছুকে সৃষ্টি করলেও তিনি মানুষের মতোই আবেগ প্রবণ তার মানুষের মতোই অনুভুতি আছে সে ভালোবাসে, ঘৃনা করে এবং আনন্দও করে আর যেহেতু তার অনুভুতি আছে তাই তার নার্ভ সিস্টেম বা নার্ভাস সিস্টেমও আছে অর্থাৎ তার একটা আকৃতি আছে সেটা কেমন সেটা কেও জানে না তবে তার অবশ্যই একটা শরীর বা শরীরের মতো কিছু আছে
এখানেও কিছু প্রশ্ন চলে আসে
সৃষ্টিকর্তার কি একা একা থাকতে কষ্ট হয় ? সে কি কারোও ভালোবাসা চায় ? তার কি ইচ্ছে করে তাকে কেউ একজন ভালোবাসুক ? তার কোন মা থাকুক বা তার কোন বড় বোন থাকুক যে তাকে আদর করবে ? তার কি বিয়ে করতে উচ্ছে করে ? সে কি যৌন ক্রিয়া করতে চায় ? তার কি ইচ্ছে করে তার কোন বন্ধু থাকুক ? সে কি বন্ধুদের সাথে আড্ডা মারতে চায় ? নিঃসঙ্গতা কি তাকে গ্রাস করে ফেলে ? সে কি একাকিত্তে কষ্ট অনুভব করে ?
অনন্তকাল ধরে সৃষ্টিকর্তা একা নিঃসঙ্গ বসবাস করে আসছে যেহেতু তিনি একা একা এতোকাল বসবাস করেছে এবং তার অনুভুতি আছে তবে অবশ্যই তার নিঃসঙ্গতা অনুভুত হয়েছে এবং একাকিত্ত তাকে কষ্ট দিয়েছে প্রবল ভাবে যেহেতু সৃষ্টিকর্তার অনুভুতি মানুষের থেকে লক্ষ কোটিগুন বেশি (কারণ সে সৃষ্টিকর্তা বা গড) আর এতো কষ্টে নিশ্চয় তার কারো আদর বা ভালোবাসা অথবা শান্তনা পাওয়ার প্রবল ইচ্ছে করেছে
তাহলে কি সৃষ্টিকর্তা কখনও কখনও আদর, ভালোবাসা এবং শান্তনা পাওয়ার জন্য কাউকে সৃষ্টি করেছিল ? যদি সৃষ্টি করে থাকে তবে সে এখন কোথায় ? তাকে বা তাদেরকেও কি মানুষের মতো করে মৃত্যু দেওয়া হবে ?
সৃষ্টিকর্তা যেহেতু অনন্তকাল জীবিত থাকবে বা অবিনশ্বর থাকবে, তাহলে সে সেই সময় গুলোতে কি করবে ? একা একা কতদিন সে থাকবে ? অনুভুতিশীল সৃষ্টিকর্তা কি একা একাই চিরদিন কাটিয়ে দেবে ? একাকিত্বের কষ্ট আর কতদিন সে সহ্য করবে ? তার কি সাথি বা পরিবার পেতে ইচ্ছে করবে না ? সে কতদিন নিঃসঙ্গতার কষ্ট সহ্য করে যাবে ?

আমরা কষ্ট পেলে কাঁদি সৃষ্টিকর্তাও কি কষ্ট পেলে কাঁদে ? তার চোখ দিয়ে কি অশ্রু বের হয় ? তার অশ্রু কেমন ?

সব আস্তিকই জানে সৃষ্টিকর্তা রেগে যায়, ক্রুদ্ব হয়, সে খুশি হয় এবং আনন্দও পায় সে ভালোবাসে এবং ঘৃনাও করে
কিন্তু কোন আস্তিকই সৃষ্টিকর্তার কষ্ট নিয়ে ভাবে না তার নিঃসঙ্গতা নিয়ে ভাবে না
সব আস্তিকই শুরু সৃষ্টিকর্তাকে তেল মারে এবং এটা দাও, ওটা দাও বলে নিজেদের স্বার্থ হাসিলের চেষ্টায় থাকে সৃষ্টিকর্তাকে সবাই ভুলিয়ে ভালিয়ে এটা ওটা হাসিলের ধান্দায় থাকে কিন্তু কেউ সৃষ্টিকর্তার রাগ, অনুরাগ, ভালোবাসার মূল্য দেয় না সবাই স্বার্থপরের মতো সৃষ্টিকর্তার ভালোবাসা চায় কিন্তু কেউ সৃষ্টিকর্তাকে ভালোবাসতে চায় না সবারই উদ্দেশ্য সৃষ্টিকর্তার রাগ ও ঘৃনা থেকে বাঁচা এবং তাকে খুশি করে বেহেশত্ বা জান্নাতের অসীম সুখ লাভ করা কিন্তু কেই সৃষ্টিকর্তাকে ভালোবাসে না এবং তার কষ্ট নিয়ে একটুও ভাবে না সবাই ধরেই নিয়েছে (নিজের কষ্ট লোকিয়ে রাখা) সৃষ্টিকর্তার কোনই কষ্ট নেই কিন্তু সৃষ্টিকর্তা যে চাইলেই মানুষের কাছে তার নিজের কষ্ট লোকিয়ে রাখতে পারে সেটা কেও ভাবেও না ফলে মানুষ স্বার্থপরের মতোই শুধু নিজেদের চিন্তায় মগ্ন থাকে
মানুষ যেমন করে একজন আরেকজনকে নিঃস্বার্থের মত ভালোবাসে, ভালোবাসার মানুষটির সুখ শান্তি ও দুঃখ কষ্ট নিয়ে সব সময় চিন্তিত থাকে সেভাবে কেউ সৃষ্টিকর্তার কথা ভাবে না এবং তার কষ্ট নিয়েও চিন্তা করে না সবাই শুধু এটা দাও, ওটা দাও এই মতলবে থাকে
কিন্তু সৃষ্টিকর্তা যে একা নিঃসঙ্গ মানুষ, নিঃসঙ্গতা যে তাকে কষ্ট দেয় সেটা নিয়ে কেও ভাবে না
অনন্তকাল ধরে সৃষ্টিকর্তা কিভাবে একা একা কাটিয়ে এসেছে এবং বাকী অনন্তকাল কিভাবে একা একা কাটাবে সেটা নিয়ে কোনই চিন্তা নেই মানুষের মুখেই শুধু সৃষ্টিকর্তাকে ভালোবাসো সৃষ্টিকর্তাকে ভালোবাসো বলে কিন্তু কাজে একেবারে শুন্য
কেউই সৃষ্টিকর্তাকে ভালোবাসে না, সবাই শুধু স্বার্থপরের মতো সৃষ্টিকর্তার ভালোবাসা পেতে চায়; কিন্তু কখনই ভালোবাসতে চায় না
আহারে ! সৃষ্টিকর্তা কতটা দুঃখি, কতটা অসহায়, এতিম
ওফ্ ! খুব মায়া হচ্ছে এই দুঃখি, নিঃসঙ্গ এবং এতিম সৃষ্টিকর্তার জন্য !!!

2 comments:

  1. আপনার সব প্রশ্নের উত্তর আছে কোরআনে দাওয়া আছে সংক্ষিপ্ত ভাবে। প্রভু আমাদের শিখায় তোমরা মায়ের সাথে sex কর না। বোনের সাথে সেক্স কর না। গরিব কে সেবা কর।অন্যের দুর্নাম কর না। সুদ নিওনা দিও না ঘুষ নিও না দি ও না। বিয়ে করে সেক্স চাহিদা মিটাও ছেলে মেয়ে কে দেখ নিজের মেয়ের সাথে সেক্স কর না তারপর সম্পদ বেশী হলে জাকাত দাও , অন্যায়ের প্রতিবাদ কর, মায়ের সাথে খারাপ ব্যবহার কর না বাবা কে সম্মান মাকে সম্মান। আমার মতে সকস নাস্তিক তার মায়ের সাথে সেক্স করার অধিকার রাখে কেননা বিজ্ঞান বলে না যে মায়ের সাথে সেক্স কর না। আমি মনে করি নাস্তিক সম্প্রদায় HOMESEx করতে পারে কেননা বিজ্ঞান এতে কোন প্রকার কিছু বলে না। কিন্তু আল্লাহ্‌ একটা কুকুর কে জ্ঞান দিয়েছে যে সমকামিতা কর না। এমন কি আল্লাহ্‌ কোরআনে বলেছে এমন কিছু মানুষ আছে যারা পশুর থেকেও নিকৃষ্ট। কোরআনে আল্লাহ্‌র আকৃতির কথা বলা আছে এবং বিভিন্ন হাদিসে কিন্তু সেই আকৃতি মানুষ কখন দেখে নাই কল্পনা ও করতে পারবে না। আপনি ঈশ্বরের বিশ্বাসী হলে আপনাকে রেফারেন্স গুলো দিতাম। তিনি আগে কি করতেন সেটা ও আছে। তিনি আদম কে সৃষ্টি করলেন তারপর সঙ্গি হাওয়া । ফেরেশতা রা বলল আপনি একি সৃষ্টি করলেন যা রক্ত পাত করবে। এরকম প্রায় আয়াত আছে সম্পূর্ণ কোরআন অর্থ সহ পড়বেন এবং স্রষ্টার কথার উত্তর গুলো মিলাবেন যা আপনি চাচ্ছেন। আপনার কাছে একটা প্রশ্ন " আপনার বাবা মা বিয়ের আগে আপনি কোথায় ছিলেন ??????????"

    ReplyDelete
  2. ভাই এতো বাল পাকনামির কথা বইলেন না main point এ থাকেন, ,,আসল হাকীকত কী?

    আসল কাহিনী হইলো আল্লাহ যাতে কোনো ভাবেই একা একা থালতে না পারে কেননা তাঁর মন আছে আর সে অনেক কিছু গোপন রাখে মানুষদের কাছে হয়তোবা আমার মন বলে ,,,,হয়তোবা আযাযীল ইবলিশ শয়তান একটু ভুল পথে ঘুরছে যার কারণে আদম আঃ কে সিজদা দেয় নাই,,,,,, আর ও শুধু আল্লাহর কাছে শ্রেষ্টত্বই চাইসে আর বাল কিছুই চায় নাই সবচেয়ে বড় কথা হইসে আযাযীল বেয়াদব আল্লাহর সাথে বেয়াদবি করেছে,,, আল্লাহর মন আছে ও কি এটা জানে না ও তো জ্ঞানী,,,, ,,কিয়ামত সন্নিকট ইমাম মাহাদি ভাই আসতাসে ইনশাআল্লাহ আর একটা জ্ঞানী মাখলুকাত কখোনই শাস্তি পেতে চায় না হাইদ্দা যেডা এই আযাযীল খানকির পোলায় বালের মাখলুকাত জাহান্নামে যাইতে চায় সাইদ্দা ফলে কত মানুষরেও নিবো আবার ওর জাত জীনগরেও নিবো হায় তাকদির 😠😠😠😠😠😠😠😠

    ReplyDelete