বিজ্ঞানের
দুটি প্রতিষ্ঠিত তত্ব প্রমান দিচ্ছে সৃষ্টিকর্তা নেই l
বিগ ব্যাং থিওরি ( যেটা সত্য প্রমানিত হয়েছে) বলে মহাবিশ্ব সৃষ্টি হয়েছে প্রকৃতির নিজের বৈশিষ্টের জন্য l এটাতে সৃষ্টিকর্তার কোনো ভুমিকা নেই l এমনকি বিগ ব্যাং-এর আগে কেউ ছিলনা কারণ এর পূর্বে সময়ই ছিলনা l সময় তৈরী হয়েছিল বিগ ব্যাং-এর পর থেকে l ফলে এর আগে কোনো সৃষ্টি কর্তা থাকা সম্ভব না l
আর বিবর্তনবাদ (যেটা সত্য প্রমানিত হয়েছে) বলে যে মানুষ এবং পৃথিবীর সব প্রাণী তৈরী হয়েছে এক কোষী প্রাণী থেকে l প্রত্যেকটি প্রাণীই বিবর্তনের মাধ্যমে বহু প্রজাতিতে বিভক্ত হয়ে গেছে l তার ফলে বিভিন্ন প্রাণীর মধ্যে মিল খুঁজে পাওয়া যায় l যেমন বানর , শিপ্পাঞ্জি , মানুষ - এদের মধ্যে শারীরিক গঠনের মিল পাওয়া যায় l এমন কি শিপ্পাঞ্জির আচরণের মধ্যেও কিছু মানুষের বৈশিষ্ট আছে l ফলে এর থেকে বোঝা যায় যে এদের পূর্ব পুরুষ ছিল একটাই এবং লক্ষ লক্ষ বছরের ব্যবধানে সেই পূর্ব পুরুষ বিভিন্ন প্রজাতিতে বিভক্ত হয়ে তৈরী হয়েছে মানুষ , বানর আর শিপ্পাঞ্জি l
আবার বিড়াল, বাঘ, সিংহ - এদের মধ্যে শারীরিক অনেক মিল আছে l দেখতেও একই রকম দেখায় l এমন কি বাঘ সিংহের থাবার মত বিড়ালের থাবা আছে আর এদের পায়ের গঠন, চলা ফেরা ইত্যাদি প্রায় একই রকম l এর থেকে বোঝা যায় যে এদের পূর্ব পুরুষ ছিল একই l লক্ষ লক্ষ বছরের ব্যবধানে সেই পূর্ব পুরুষ বিভিন্ন প্রজাতিতে বিভক্ত হয়ে তৈরী হয়েছে বিড়াল ও বাঘ l
আবার কুকুর শিয়াল নেকড়ে - এদের শারীরিক ও আচরণ গত অনের মিল পাওয়া যায় l দেখতেও প্রায় একই রকম l এর থেকে বুঝা যায় যে এদের পূর্ব পুরুষ লক্ষ লক্ষ বছরের ব্যবধানে বিভিন্ন প্রজাতিতে বিভক্ত হয়ে তৈরী করেছে কুকুর শেয়াল ও নেকড়ে l
আবার ছাগল ভেরা এগুলোর মধ্যেও সে রকম মিল পাওয়া যায় l ফলে বোঝা যায় এগুলো বিবর্তলের ফলে বিভিন্ন প্রজাতিতে বিভক্ত হয়ে গেছে l
গরু মহিষ এগুলোর মিল অনেক বেশি ফলে খুব সহজেই বোঝা যায় যে এগুলোর পূর্ব পুরুষ একিই ছিল l
আবার টিকটিকি দেখতে কুমিরের মতই l
ইদুর বেজি দেখতে একই রকর l
বিভিন্ন পাখির গঠনের সাথে হাস মুরগির গঠনে অদ্ভুত মিল পাওয়া যায় l এমন কি ময়ুর উটপাখি এগুলোর সাথেও পাখির অভূত পূর্ব মিল পাওয়া যায় l
বিভিন্ন মাছের গঠনে যে কি পরিমান মিল সেটাতো সবারই জানা l
প্রকৃতির সব প্রাণীর মধ্যেই এরকম একটার সাথে অন্যটার খুব মিল পাওয়া যায় l
আর এসব তথ্য যে বিবর্তন বাদের সপক্ষে খুব জুড়ালো প্রমান তা বলার অবকাশ রাখে না l
তাছাড়া বিভিন্ন প্রাণীর ফসিল , বিভিন্ন প্রাণীর মধ্যে ডিএনএ -এর গঠনের অভূতপূর্ব মিল থেকে বিজ্ঞানীরা নিশ্চিত হয়েছে যে পৃথিবীর সব প্রাণীই বিবর্তনের মাধ্যমে আজকের অবস্থানে এসেছে l
মানুষের জ্ঞান বিকাশ এবং সভ্যতার উন্নতিও ধীরে ধীরে হয়ে আজকের অবস্থানে এসেছে l মানে মানুষের মস্তিস্কের বিকাশ হয়েছে লক্ষ লক্ষ বছরের ব্যবধানে l যেটা হয়েছে বিবর্তনের মাধ্যমেই l
সুতরাং বিবর্তন বাদ যে সত্যি সেটা পৃথিবীর সব প্রাণীই প্রমান দিচ্ছে l
আর এই মতবাদ প্রমান দিচ্ছে যে মানুষ বা অন্যন্য প্রানীকে কোনো সৃষ্টি কর্তা তৈরী করে নি l
পৃথিবীতে মানুষ সহ সমস্ত প্রাণী সৃষ্টি হয়েছে প্রাকৃতিক অবস্থা বা পরিবেশের গঠন বৈশিষ্টের জন্য l পৃথিবী প্রাণীর টিকে থাকার উপযোগী হবার পরেই তৈরী হয়েছিল অ্যামাইনো এসিড যা থেকে তৈরী হয়েছিল এক কোষী প্রাণী l তার থেকে তৈরী হয়েছিল বহুকোষী প্রাণী l আর তার থেকেই কোটি কোটি বছরের ব্যবধানে তৈরী হয়েছে আজকের প্রাণীজগত l
সুতরাং কোনো সৃষ্টিকর্তা এই প্রাণীজগত সৃষ্টি করেনি l
ফলে বিবর্তন বাদ প্রমান দিচ্ছে কোনো ঈশ্বর মানুষ কে তৈরী করে নি l প্রকৃতির আপন বৈশিষ্টের জন্যই মানুষ তৈরী হয়েছে l
আর এই দুটি মতবাদই ( বিগ ব্যাং এবং বিবর্তনবাদ ) বলে দিচ্ছে যে কোনো সৃষ্টিকর্তা নেই l
অর্থাত বাস্তব জগতে কোনো সৃষ্টিকর্তা নেই l এটা শুধু মানুষের কল্পনার জগতেই আছে l
বি : দ্র : এই পোস্টটি ধর্মান্ধদের জন্য নয় ; যারা যুক্তি প্রমানের উপরে স্থান দেয় মনের আবেগ এবং শৈশবের ভ্রান্ত ধারণা যা সমাজ সেই ধর্মান্ধ মানুষ গুলোর উপর চাপিয়ে দেয় l ফলে তারা সেই ভ্রান্ত বিশ্বাস থেকে বেরিয়ে আসতে পারে না l তাদের যুক্তি বুদ্ধি গুলো নিয়ন্ত্রণ করে সেই ভ্রান্ত বিশ্বাসের আবেগ l
বিগ ব্যাং থিওরি ( যেটা সত্য প্রমানিত হয়েছে) বলে মহাবিশ্ব সৃষ্টি হয়েছে প্রকৃতির নিজের বৈশিষ্টের জন্য l এটাতে সৃষ্টিকর্তার কোনো ভুমিকা নেই l এমনকি বিগ ব্যাং-এর আগে কেউ ছিলনা কারণ এর পূর্বে সময়ই ছিলনা l সময় তৈরী হয়েছিল বিগ ব্যাং-এর পর থেকে l ফলে এর আগে কোনো সৃষ্টি কর্তা থাকা সম্ভব না l
আর বিবর্তনবাদ (যেটা সত্য প্রমানিত হয়েছে) বলে যে মানুষ এবং পৃথিবীর সব প্রাণী তৈরী হয়েছে এক কোষী প্রাণী থেকে l প্রত্যেকটি প্রাণীই বিবর্তনের মাধ্যমে বহু প্রজাতিতে বিভক্ত হয়ে গেছে l তার ফলে বিভিন্ন প্রাণীর মধ্যে মিল খুঁজে পাওয়া যায় l যেমন বানর , শিপ্পাঞ্জি , মানুষ - এদের মধ্যে শারীরিক গঠনের মিল পাওয়া যায় l এমন কি শিপ্পাঞ্জির আচরণের মধ্যেও কিছু মানুষের বৈশিষ্ট আছে l ফলে এর থেকে বোঝা যায় যে এদের পূর্ব পুরুষ ছিল একটাই এবং লক্ষ লক্ষ বছরের ব্যবধানে সেই পূর্ব পুরুষ বিভিন্ন প্রজাতিতে বিভক্ত হয়ে তৈরী হয়েছে মানুষ , বানর আর শিপ্পাঞ্জি l
আবার বিড়াল, বাঘ, সিংহ - এদের মধ্যে শারীরিক অনেক মিল আছে l দেখতেও একই রকম দেখায় l এমন কি বাঘ সিংহের থাবার মত বিড়ালের থাবা আছে আর এদের পায়ের গঠন, চলা ফেরা ইত্যাদি প্রায় একই রকম l এর থেকে বোঝা যায় যে এদের পূর্ব পুরুষ ছিল একই l লক্ষ লক্ষ বছরের ব্যবধানে সেই পূর্ব পুরুষ বিভিন্ন প্রজাতিতে বিভক্ত হয়ে তৈরী হয়েছে বিড়াল ও বাঘ l
আবার কুকুর শিয়াল নেকড়ে - এদের শারীরিক ও আচরণ গত অনের মিল পাওয়া যায় l দেখতেও প্রায় একই রকম l এর থেকে বুঝা যায় যে এদের পূর্ব পুরুষ লক্ষ লক্ষ বছরের ব্যবধানে বিভিন্ন প্রজাতিতে বিভক্ত হয়ে তৈরী করেছে কুকুর শেয়াল ও নেকড়ে l
আবার ছাগল ভেরা এগুলোর মধ্যেও সে রকম মিল পাওয়া যায় l ফলে বোঝা যায় এগুলো বিবর্তলের ফলে বিভিন্ন প্রজাতিতে বিভক্ত হয়ে গেছে l
গরু মহিষ এগুলোর মিল অনেক বেশি ফলে খুব সহজেই বোঝা যায় যে এগুলোর পূর্ব পুরুষ একিই ছিল l
আবার টিকটিকি দেখতে কুমিরের মতই l
ইদুর বেজি দেখতে একই রকর l
বিভিন্ন পাখির গঠনের সাথে হাস মুরগির গঠনে অদ্ভুত মিল পাওয়া যায় l এমন কি ময়ুর উটপাখি এগুলোর সাথেও পাখির অভূত পূর্ব মিল পাওয়া যায় l
বিভিন্ন মাছের গঠনে যে কি পরিমান মিল সেটাতো সবারই জানা l
প্রকৃতির সব প্রাণীর মধ্যেই এরকম একটার সাথে অন্যটার খুব মিল পাওয়া যায় l
আর এসব তথ্য যে বিবর্তন বাদের সপক্ষে খুব জুড়ালো প্রমান তা বলার অবকাশ রাখে না l
তাছাড়া বিভিন্ন প্রাণীর ফসিল , বিভিন্ন প্রাণীর মধ্যে ডিএনএ -এর গঠনের অভূতপূর্ব মিল থেকে বিজ্ঞানীরা নিশ্চিত হয়েছে যে পৃথিবীর সব প্রাণীই বিবর্তনের মাধ্যমে আজকের অবস্থানে এসেছে l
মানুষের জ্ঞান বিকাশ এবং সভ্যতার উন্নতিও ধীরে ধীরে হয়ে আজকের অবস্থানে এসেছে l মানে মানুষের মস্তিস্কের বিকাশ হয়েছে লক্ষ লক্ষ বছরের ব্যবধানে l যেটা হয়েছে বিবর্তনের মাধ্যমেই l
সুতরাং বিবর্তন বাদ যে সত্যি সেটা পৃথিবীর সব প্রাণীই প্রমান দিচ্ছে l
আর এই মতবাদ প্রমান দিচ্ছে যে মানুষ বা অন্যন্য প্রানীকে কোনো সৃষ্টি কর্তা তৈরী করে নি l
পৃথিবীতে মানুষ সহ সমস্ত প্রাণী সৃষ্টি হয়েছে প্রাকৃতিক অবস্থা বা পরিবেশের গঠন বৈশিষ্টের জন্য l পৃথিবী প্রাণীর টিকে থাকার উপযোগী হবার পরেই তৈরী হয়েছিল অ্যামাইনো এসিড যা থেকে তৈরী হয়েছিল এক কোষী প্রাণী l তার থেকে তৈরী হয়েছিল বহুকোষী প্রাণী l আর তার থেকেই কোটি কোটি বছরের ব্যবধানে তৈরী হয়েছে আজকের প্রাণীজগত l
সুতরাং কোনো সৃষ্টিকর্তা এই প্রাণীজগত সৃষ্টি করেনি l
ফলে বিবর্তন বাদ প্রমান দিচ্ছে কোনো ঈশ্বর মানুষ কে তৈরী করে নি l প্রকৃতির আপন বৈশিষ্টের জন্যই মানুষ তৈরী হয়েছে l
আর এই দুটি মতবাদই ( বিগ ব্যাং এবং বিবর্তনবাদ ) বলে দিচ্ছে যে কোনো সৃষ্টিকর্তা নেই l
অর্থাত বাস্তব জগতে কোনো সৃষ্টিকর্তা নেই l এটা শুধু মানুষের কল্পনার জগতেই আছে l
বি : দ্র : এই পোস্টটি ধর্মান্ধদের জন্য নয় ; যারা যুক্তি প্রমানের উপরে স্থান দেয় মনের আবেগ এবং শৈশবের ভ্রান্ত ধারণা যা সমাজ সেই ধর্মান্ধ মানুষ গুলোর উপর চাপিয়ে দেয় l ফলে তারা সেই ভ্রান্ত বিশ্বাস থেকে বেরিয়ে আসতে পারে না l তাদের যুক্তি বুদ্ধি গুলো নিয়ন্ত্রণ করে সেই ভ্রান্ত বিশ্বাসের আবেগ l
No comments:
Post a Comment