আমি
ময়ুরাক্ষীর তীরে একাকী বলছি ; পর্ব - ১
শুভ্র আহমেদ ; আপনার আমার উদ্দেশ্যে বলা কথার প্রেক্ষিতে :
১.
"ময়ুরাক্ষীর তীরে একাকী, আরে ভাই আপনাকে তো নোবেল প্রাইজ দেওয়া উচিৎ! আগে কোথায় ছিলেন?
আমার উত্তর : ভাই যে সব কারণে নোবেল প্রাইজ দেয়া হয় আমি তার কিছুই করি নি l বিজ্ঞান যা বলেছে , জাকির নায়েক যে মিথ্যাচার করেছে বিজ্ঞান ও কুরআন সম্পর্কে আমি তাই দেখিয়েছি যুক্তির মাধ্যমে l আপনি আমার কোনো কথায় মিথ্যা পেয়েছেন কি ? সত্যিই আমি কোনো মিথ্যা কথা বলিনি l যুক্তি (সত্য) -এর জন্য নোবেল দেয়া হয় আপনাকে কে বলল ?
আর আমি আগে ঈশ্বর (সৃষ্টিকর্তা) বিহীন এই নশ্বর পৃথিবীতেই ছিলাম l
২.
এতো মস্করা আর বিনোদনের সহিত প্রমান করে দিলেন, কোরআন ভুল, জাকির নায়েক ভুল, আমরা দেড়শ কোটি মানুষ ভুল । আপনি এতো গুলো মানুষের বিশ্বাস কি নিপুন ভাবে ভুল প্রমান করে দিলেন! ভাবতেও অবাক লাগে।
আমার উত্তর : ভাই আমি যা বলেছি তা তথ্য প্রমানের উপরই বলেছি l আমি কোরআনের ভুল ব্যাখ্যা করিনি l কুরআনে যা বলা হয়েছে আমি সেভাবেই উপস্থাপন করেছি l আর জাকির নায়েক যে সরাসরি মিথ্যা কথা বলেছে তা কিন্তু অস্বিকার করার উপায় নেই l এখানে আমার জাকির নায়েকের মিথ্যাচার প্রমান করাই মূল উদ্দেশ্য ছিল l
আর এতে যদি আপনি মস্করা আর বিনোদন খুঁজে পেয়ে থাকেন তাহলে আপনার সুস্থতা নিয়ে সন্দেহ করা যায় l
আবার আপনি বললেন আমি দেড়শ কোটি মানুষকে ভুল প্রমান করেছি ! ভাই আপনারা মুসলমানরা বলেন মুসলমানরা(ইসলাম) বাদে পৃথিবীর সব মানুষ ভুল পথে আছে , মিথ্যে পথে আছে l তাহলে আপনারা কিন্তু পৃথিবীর ছয়শো কোটি মানুষ কে ভুল বলেন l যদি সংখ্যার বিচারে সত্য মিথ্যা বিচার করেন তাহলে কিন্তু আপনারাই মিথ্যে বলে প্রমানিত হবেন l
এটা কি সবচেয়ে অবাক হবার ব্যাপার নয় ?
৩.
আমি তো আপনাকে বলব, জাকির নায়েকের কাছে যান! যাচ্ছেন কেনো? তিনি তো (অ) আপনি তো মহা জ্ঞানী, মাথা মোটা (আপনার মতে) । আপনার জন্য জাকির নায়েক কাথা মুড়ি দিয়ে বসে আছে। আপনি যদি মনে করেন, আপনি জাকির নায়েককে ভুল প্রমান করছেন, তাহলে আপনি একা না। হাজার হাজার জন আছেন। তারা সবাই লেখেন,আপনার মতো। কিন্তু কাছে যেয়ে যখন জিজ্ঞেস করেন, তখন বুঝবেন জাকির নায়েক কি জিনিস। বর্তমানে পৃথিবীর কোনো ধর্মীয় পন্ডিত নাই যে, তাকে চ্যালেঞ্জ করে। তার পরেও তিনি কাউকে কাউকে চ্যালেঞ্জ দেন (সত্য জানাতে, উদাহরণ সরূপঃ কিছু দিন আগে তসলিমা নাসরিনকে দিয়েছিলেন। কাজ হয়নি, তসলিমার সাহসে কুলায় নি) l
আমার উত্তর : ভাই আপনার তথ্যে একটু ভুল আছে জাকির নায়েক কাথা মুড়ি দিয়ে বসে নেই l
ধর্ম ব্যবসা করে তিনি প্রচুর টাকা ইনকাম করেছে l (ধর্ম ব্যবসা পৃথিবীর সবচেয়ে সহজ ও লাভজনক ব্যবসা l) তিনিতো এসি রুমে ঘুমান l দামী গাড়ি দিয়ে ঘুড়েন l একটা টেলিভিশন চ্যানেলও দিয়েছেন l
জাকির নায়েক ভন্ড সেটা আমি প্রমান করে দিয়েছি l ভবিষ্যতেও আরো ভালো ভাবে প্রমান করবো l
আমি জাকির নায়েকের কাছে যাবনা কারণ সে আমার মত অখ্যাত কারো সাথে বিতর্ক করবে না l জাকির নায়েক একজন ভালো বক্তা l তার শ্রুতিমধুর বক্তব্য সবারই ভালো লাগে l আমারও লাগে l (কিন্তু তিনি সৎ নন l অনেক মিথ্যা কথা তিনি বলেন তার বক্তৃতায়, সব ধর্ম ব্যবসায়ীদের মত l)
আমি ভালো ভাবে বক্তৃতা দিতে পারিনা l ফলে যদি বক্তৃতা দিতে যাই তবে আমার যুক্তি ঠিক ভাবে উপস্থাপন করতে পারবো না l হযবরল করার সম্ভাবনা অনেক বেশি (বক্তৃতা দেওয়া অবস্থায় )l
আর পৃথিবীর সব মানুষের মস্তিস্ক সমান ভাবে কাজ করে না l কেও বক্তৃতায় ভালো হয় l কেও গানে সুর দিতে ভালো পারে l কেউ খেলায় ভালো হয় আবার কেও কবিতা লেখাতে পারদর্শী l কেও বিজ্ঞান ভালো বুঝে , আবার কেও লেখালেখিতে খুব ভালো l
আমি যে ভাবে আমার যুক্তি গুলো লিখতে পারবো সে ভাবে কখনো বলতে পারবো না l
আবার জাকির নায়েক বক্তৃতায় যেভাবে যুক্তি উপস্থাপন করে ( যার অধিকাংশই মিথ্যা ) কিন্তু সেভাবে লিখতে পারবে না l মানুষের মস্তিষ্কের ভিন্নতা এরকমই l
তসলিমা নাসরিন লেখাতে যে ভাবে যুক্তি তুলে ধরেছেন বক্তৃতায় সেভাবে যুক্তি নাও তুলে ধরতে পারেন l আর হয়ত বা এসব ধর্ম ব্যবসায়ীদের সাথে তর্কে যেতে তিনি অনীহা প্রকাশ করেছেন !
জাকির নায়েক কে দেখেছি সব সময় অন্য ধর্মের আস্তিক বক্তার সাথে বিতর্ক করতে l কিন্তু কখনো দেখলাম না একজন নাস্তিক ভালো বক্তার সাথে বিতর্ক করতে l তিনি তার মত কোনো নাস্তিক বক্তার সাথে বিতর্ক করে না কেন ? ইন্ডিয়াতেই এমন নাস্তিক আছে অনেক l তখন কিন্তু ঠিকই বাতাস বেরিয়ে যাবে !
তারপরও যদি আপনার জাকির নায়েক কে শেঠ মনে হয় তবে আমার লেখা গুলুকে তার কাছে দিয়ে এর ব্যাখ্যা চাইতে পারেন l তাহলে দেখতাম জাকির নায়েক কত বড় ইসলামিক বক্তা ( ভন্ড ) l
৪.
আপনি এমন এক ভাব নিলেন, যে আপনি একাই স্টিফেন হকিং এর বই বুঝেছেন আর কেউ বুঝে নি।
স্টিফেন হকিং নাস্তিক হয়েছেন, তাই আপনিও নাস্তিক। স্টিফেন হকিং কিন্তু বলেন নি, ঈশ্বর নেই। তিনি বলেছেন, মহাকাশ তৈরিতে ঈশ্বরের কোনো প্রয়োজন নাই। (বিবিসি এর এক সাক্ষাতকারে)
আমার উত্তর : আমি কখন ভাব নিলাম আর বললাম আমি একাই স্টিফেন হকিং এর বই বুঝেছি আর কেউ বুঝে নি। আমি কি এমন কথা বলেছি কখনো ? আমি বলেছি যারা বিগ ব্যাং ভালো ভাবে জানেনা তারা যেন স্টিফেন হকিং এর বই পড়ে বিগ ব্যাং সম্পর্কে ভালো ভাবে জেনে নেয় । এখানেতো আপনি নিজেই আমার কথা ভুল (মিথ্যা) ভাবে উপস্থাপন করেছেন !
আমি নাস্তিক হয়েছি ১০ বছর আগে (যেটা আমি আমার ক্লোজ বন্ধুটিকে বলেছিলাম ১০ বছর আগে) আর আমি গত বছর জেনেছি যে স্টিফেন হকিং নাস্তিক হয়েছেন l সুতরাং আমি কখনই স্টিফেন হকিং নাস্তিক হয়েছেন বলে নাস্তিক হইনি l
আপনি বলেছেন স্টিফেন হকিংস কখনই বলেনি যে ঈশ্বর নেই l তাহলে নিচের কথা গুলো লক্ষ করুন -
Hawking's claims: "There is no God, and heaven is a fairy tale for those afraid of death."
এবং
“When people ask me if a god created the universe, I tell them that the question itself makes no sense. Time didn’t exist before the big bang, so there is no time for god to make the universe in. It’s like asking directions to the edge of the earth; The Earth is a sphere; it doesn’t have an edge; so looking for it is a futile exercise. We are each free to believe what we want, and it’s my view that the simplest explanation is; there is no god. No one created our universe,and no one directs our fate. This leads me to a profound realization; There is probably no heaven, and no afterlife either. We have this one life to appreciate the grand design of the universe, and for that I am extremely grateful.”
― Stephen Hawking
তাহলে কি দাড়ালো , আপনি নিজে ভালো করে না জেনেই আমার কথার ভুল ধরতে এসেছেন l
আমি সেজন্যই আগেই বলে রেখেছি আগে ভালো ভাবে জানুন তার পর কমেন্ট করতে আসুন l এখানে আপনি সুন্দর করে আপনার অজ্ঞতার পরিচয় দিলেন l আর না বুঝেই যে ঈশ্বর আছে ঈশ্বর আছে বলে চিল্লা ফাল্লা করেন তারই প্রমান দিলেন l
৫.
ময়ুরাক্ষীর তীরে একাকী দাদা, ফন্সিস বেকন বলে ছিলেন, বিজ্ঞান সম্পর্কে কম জানলে মানুষ হয় নাস্তিক, আর বেশী জানলে হয় আস্তিক।
আমার উত্তর : ভাই শুভ্র আহমেদ, আপনাকে আমি জানিয়ে রাখি আমি এখনো বিয়ে করিনি l তাই আমার কোনো ছেলে নেই সেজন্য আমি আপনার দাদাও নই l
ভাই আপনাদের মহান বিজ্ঞানী (অজ্ঞানী) জাকির নায়েক সাহেবও একই দাবি করেছেন যে বিজ্ঞান সম্পর্কে কম জানলে মানুষ হয় নাস্তিক, আর বেশী জানলে হয় আস্তিক।
ভাই আপনি যদি একটা পরিসংখ্যান করেন , তাহলে দেখতে পাবেন পৃথিবীর মোট বিজ্ঞানীর ৯০% ঈশ্বর বিশ্বাস করে না অর্থাত তারা নাস্তিক l এবং বর্তমানের শ্রেষ্ট বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিংস যাকে আইনস্টাইনের পর সবচেয়ে মেধাবী বিজ্ঞানী বলা হয় সে বলিষ্ঠ কন্ঠে স্বসীকৃত নাস্তিক অর্থাত ঈশ্বরে বিশ্বাস করে না l আপনাদের (জাকির নায়েকের) কথা অনুযায়ী এরা কেউই বেশি বিজ্ঞান জানে না l অর্থাত তারা অল্প পরিমান বিজ্ঞান জানে যার জন্য তারা নাস্তিক l আর সর্ব কালের শ্রেষ্ট বিজ্ঞানী স্যার আইজ্যাক জাকির নায়েক বিজ্ঞান সম্পর্কে সবচেয়ে বেশি জেনে বসে আছেন থুক্কু ইসলাম প্রচার করছেন (মাশাল্লাহ হা হা হা ) l
৬.
এবার আসল কথায় আসি, আল্লাহ কোরআন এর ৩ নাম্বার সুরার ৭ নাম্বার আয়াতে বলেন, তিনিই ( আল্লাহ্) আপনার প্রতি কিতাব নাজিল করেছেন। তাতে কিছু আয়ার রয়েছে সুস্পষ্ট, সেগুলোই কিতাবের আসল অংশ। আর অন্যগুলো রূপক। সুতরাং যাদের অন্তরে কুটিলতা আছে (যেমন আপনি ময়ুরাক্ষীর তীরে একাকী) তারা অনুসরন করে ফিতনা বিস্তার এবং অপব্যাখ্যার উদ্যেশ্যে তার মধ্যকার রূপক গুলো।
আপনি রূপক গুলো নিয়ে টানা পাঁচড়া করছেন। তবুও লাভ হয়নি ।
আমার উত্তর : তারপর আপনি(শুভ্র আহমেদ ) আপনার আসল কথাটি বললেন l সেটা হলো আপনি কোরআনের এই আয়াতটির কথা উল্লেখ করেছেন :-
সুরা আলে ইমরান : আয়াত ৭ :
"তিনিই আপনার প্রতি কিতাব নাজিল করেছেন l তাতে কিছু আয়াত রয়েছে সুস্পষ্ট , সেগুলোই কিতাবের আসল অংশ l আর অন্যগুলো রূপক l সুতরাং যাদের অন্তরে কুটিলতা রয়েছে , তারা অনুসরণ করে ফিতনা বিস্তার এবং অপব্যাখ্যার উদ্দেশ্যে তন্মধ্যেকার রুপকগুলোর l আর সেগুলোর ব্যাখ্যা আল্লাহ ব্যতিত কেউ জানে না l আর যারা জ্ঞানে সুগভীর , তারা বলেন : আমরা এর পতি ইমান এনেছি l এই সবই আমাদের পালনকর্তার পক্ষ থেকে অবতীর্ণ হয়েছে l আর বোধশক্তি সম্পন্নেরা ছাড়া অপর কেউ শিক্ষা গ্রহণ করে না l
7. He it is Who hath revealed unto thee [Muhammad] the Scripture wherein are
clear revelations - they are the substance of the Book - and others [which are]
allegorical. But those in whose hearts is doubt pursue, forsooth, that which is
allegorical seeking [to cause] dissension by seeking to explain it. None knoweth
its explanation save Allah. And those who are of sound instruction say: We
believe therein; the whole is from our Lord; but only men of understanding
really heed.
সুরা আলে ইমরান : আয়াত ৭ :
“তিনিই তোমার প্রতি গ্রন্থ অবতীর্ণ করেছেন , যাতে সুস্পষ্ট অকাট্য আয়াত সমূহ রয়েছে - ওগুলো গ্রন্থের মূল এ ব্যতিত কতিপয় আয়াত সমূহ অস্পষ্ট l অতএব যাদের অন্তরে বক্রতা রয়েছে, ফলত: তারাই অশান্তি সৃষ্টি ও (ইচ্ছেমত) ব্যাখ্যা বিশ্লেষণের উদ্দেশ্যে অস্পস্ট-এর অনুসরণ করে অথচ আল্লাহ ব্যতিত এগুলোর অর্থ কেউই অবগত নয় ; আর যারা জ্ঞানে সুপ্রতিষ্ঠিত তারা বলে : আমরা ওতে বিশ্বাস করি , সমস্তই আমাদের প্রতিপালকের নিকট হতে সমাগত এবং জ্ঞানবান ব্যতিত কেউই উপদেশ গ্রহণ করে না l”
এই আয়াত অনুযায়ী আল্লাহ মহান রাব্বুল আলামিন মোহাম্মদ স: এর উপর কুরআন নাজিল করেছেন l তাতে তিনি কিছু আয়াত দিয়েছেন যেগুলো সুস্পষ্ট অর্থাত সহজে (নবী এবং) মানুষ এই আয়াত গুলো বুঝতে পারবে l আর এগুলোই কুরআনের আসল অংশ অর্থাত যেগুলো সহজে বোঝা যাবে সেগুলোই কুরআনের আসল অংশ l আর যেগুলো (নবী এবং) মানুষ সহজে বুঝতে পারবে না সেগুলো হলো রূপক l যার অর্থ সেগুলো আল্লাহ ছাড়া কেউ জানে না বা বুঝতে পারবে না l আর এই রূপক আয়াত গুলো দিয়েই যাদের অন্তরে কুটিলতা আছে (এখানে আল্লাহ অমুসলিমদের বুঝিয়েছেন) তারা ফিতনা অর্থাত ঝগড়া বিবাদ বাধায় এবং কুরআনের এই রূপক আয়াত গুলো অপব্যাখ্যা করে l কিন্তু এই আয়াত গুলোর অর্থ বা ব্যাখ্যা একমাত্র আল্লাহই জানে l আর মুসলিমরা এর উপর ঈমান আনে এবং তারা বিশ্বাস করে এই সবই আল্লাহর কাছ থেকে অবতীর্ণ হয়েছে l আর এরাই অর্থাত মুসলমানরাই বোধশক্তি সম্পন্ন কারণ তারা এর থেকে শিক্ষা নেয় l বোধশক্তি ছাড়া কেউ এর থেকে শিক্ষা নেয় না l অর্থাত পৃথিবীর তাবৎ অমুসলিমরা এর থেকে শিক্ষা নেয় না তাই তারা বোধশক্তিহীন l
এখন ধরি আমি(ময়ুরাক্ষীর তীরে একাকী) অথবা অন্য যে কেউ যারা অমুসলিম ও নাস্তিক তারা এই আয়াতটির অপব্যাখ্যা করছে তাহলে এটি একটি রূপক আয়াত (এই আয়াত অনুযায়ী) l তার মানে হচ্ছে এর অর্থ বা ব্যাখ্যা আল্লাহ ছাড়া কেউ জানে না l কিন্তু যারা মুসলিম তারা এর অর্থ বা ব্যাখ্যা না জেনেই বিশ্বাস করে l তারা বিশ্বাস করে তাই তারা বোধশক্তি সম্পন্ন এবং তারা এর থেকে শিক্ষা বা উপদেশ নেয় l
এই আয়াত অনুযায়ী এর অর্থ কেউ বুঝতে পারবে না কিন্তু যারা অন্ধ ভাবে বিশ্বাস করবে তারা এর থেকে শিক্ষা বা উপদেশ নিবে ফলে তারা বোধ শক্তি সম্পন্ন হবে l একমাত্র আল্লাহ ছাড়া এর অর্থ কেউ জানবে না l
তার ফলে এই আয়াতে কি বলা হয়েছে তা আল্লাহ ছাড়া কারো পক্ষে বোঝা সম্ভব নয় l (আমি কি ঠিক বললাম ?)
কিন্তু শুভ্র আহমেদ, আপনি কিভাবে বললেন যে এই আয়াতে যাদের অন্তরে কুটিলতা আছে বলতে আমাকে বোঝানো হয়েছে ? এই আয়াতটি অনুযায়ী কেউ জানবে না এখানে কার কথা বলা হয়েছে একমাত্র আল্লাহ ছাড়া l তাহলে আপনি কি আল্লাহর উপর মাতব্বরি করলেন না ? যেখানে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন স্পষ্ট করে বলেছেন যে এর অর্থ তিনি ছাড়া কেউ বুঝবে না l কিন্তু আপনি বলেছেন এখানে আমার কথা বলা হয়েছে l তাহলে তো এ আয়াত অনুযায়ী আপনি শিরক করে ফেলেছেন l আপনি কি আমার যুক্তিটি বুঝতে পারছেন ? বুঝতে পারলে তারাতারি তওবা করুন l তা না হলে কিন্তু দোজখের আগুন আর সত্তরটা হুরপরী থেকে বঞ্চিত হবেন !
কি ফেসে গেলেনতো নিজের বুদ্ধিতেই !
৭.
আবার আপনি আমার লেখাটির লিংক দিয়ে দিয়েছেন যাতে সকল আস্তিক ভাইয়েরা আমার লেখাটা পড়তে পারে এবং আমি কি কি কোরআনের ভুল ব্যাখ্যা করেছি আর কি কি মিথ্যা কথা বলেছি তা যেন তারা জেনে নিতে পারে l
তারা কি আমার লেখাটা পরেছিল ? তারা কি আমার লেখাটা বুঝতে পেরেছিল ? নাকি আপনার মত না বুঝেই আমি ভুল ব্যাখ্যা দিয়েছি, মিথ্যে কথা বলেছি বলে চিল্লাপাল্লা করেছিল ?
নাকি তারা আমার লেখাটি পড়ে সঠিক বুঝতে পেরেছিল আর জাকির নায়েকের ভন্ডামি ধরতে পেরেছিল ? আপনি যদি জানেন দয়া করে আমাকে জানাবেন প্লিজ !
আচ্ছা আপনিই বলুনতো আমি কি কোনো মিথ্যা কথা বা মিথ্যা তথ্য দিয়েছিলাম ? নাকি কোনো মিথ্যাচার করেছি আপনাদের ভন্ড জাকির নায়েকের মত যে ইচ্ছে করে বোকা (মুর্খ) মোমিনদের কে বিজ্ঞানের ভুল ব্যাখ্যা দেয় !.
৮.
আপনি যে প্রমান করে দিলেন সেটা কতো টুকু সত্য তা না যেনেই বলে দিলেন, কোরআন ভুল। আপনি বললেন কোরআন বলে পৃথিবী সমতল। আপনার জন্য এতো কষ্ট করে জাকির নায়েকের কাছে যেতে বলবো না। আপনি করিম ভাইয়ের কাছে যান। তিনি মিলিয়ন ডলার দিবেন, যদি প্রমান করতে পারেন কোরআন বলছে পৃথিবী সমতল। তার প্রমান দেখতে এখানে যান, www.pdf-
archive.coml2014l02l21lquran-earth-and-science-by-fz-
karim2l বইয়ে আরো পাবেন, পৃথিবীর আকার কোরআনে, সূর্য সম্পর্কে কোরআন , পৃথিবী ঘূর্ণনয় মান)
আমার উত্তর : ভাই আমার লেখাটার মূল বিষয় পৃথিবী সমতল নাকি গোল এটা ছিল না l আমি একটা আয়াত ব্যাখ্যা করতে এই অংশ টুকু এনেছিলাম l যেখানে এই অংশ টুকু না আনলেও আমি আমার যুক্তিটা প্রমান করতে পারতাম l সেখানে সমতল পৃথিবী না আনলেও মূল আলোচনা অর্থাত মূল যুক্তি একই থাকত l আপনি হয়ত আমার যুক্তিটি বুঝেন নি তাই নির্দিষ্ট ভাবে এই অংশটুকুই এখানে উল্লেখ করেছেন l আর বাকি টুকু উল্লেখ করেন নি ( ঠিক জাকির নায়েকের মত ) l
কিন্তু আমি ব্যাপারটা সংক্ষেপে তুলে ধরছি :
এখানে আমি বলে ছিলাম যে পৃথিবী যেটা আগেই তৈরী হয়ে আছে (এবং সমতল ) এবং আকাশ যেটা ছিল বায়বীয় (এটাও আগেই তৈরী অবস্থায় ছিল ) এদুটো কে আল্লাহ পৃথক করলেন এবং বললেন তোমরা আসো ইচ্ছায় অথবা বাধ্য হয়ে l তারপর তারা সেচ্ছায় আসলো l
এখানে মূল কথাটা হলো এই দুটো আগেই তৈরী হয়ে ছিল এই ব্যাপারটা l এখানে যদি আমি সমতল কথাটি নাও বলি তবুও কথাটির অর্থ একই থাকে l ফলে জাকির নায়েক মিথ্যাচার করেছে কথাটি প্রমানিতই থাকে l
তবুও আপনি এই অপ্রাসংগিক অংশটিই তুলে ধরেছেন l
আপনি জোর প্রতিবাদ করেছেন যে পৃথিবী সমতল নয় l আর এই কথাটির প্রমান দেখতে আপনি করিম ভাইয়ের ( আরেকজন বিশিষ্ট ইসলামিক ব্যক্তিত্ব , এখন মনে হচ্ছে আবার করে এই লোকটিকে ভন্ড বা এই লোকটির মিথ্যাচার প্রমান করতে আবার করে পুরনো গিত গাইতে হবে; কেউ আছ ? থাকলে বাচাও আমাকে এই বোকাদের রাজত্ব থেকে ) একটা লিংক দিয়েছেন যেখানে আমি জানতে পারবো কেন কুরআন বলেনি যে পৃথিবী সমতল নয় l বরং কুরআন বলেছে যে পৃথিবী গোল l
আমি এই বইটি দেখলাম এবং বলছি এই লেখকটিও জাকির নায়েকের মতই মিথ্যা চারিতাই করছে l একই কথা গুলো নতুন করে বলেছে মাত্র l আমি যথা সময়ে এই লেখকটির মিথ্যার বিরুদ্ধে লিখব বিজ্ঞানের ভুল ব্যাখ্যার পরবর্তী পর্ব গুলোতে l
আমি যখন প্রথম জাকির নায়েকের ;লেকচারটি শুনলাম তখনি তার মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে লেখার ইচ্ছে পূষণ করেছিলাম l আর আজ বলছি আপনার দেয়া এই লেখকটির বিজ্ঞানের ভুল ব্যাখ্যার বিরুদ্ধেও লিখবো l
আমি এই ব্যাপারটি পরবর্তিতে বিশদ ভাবে আলোচনা করবো বলে এটা বর্ণনা করতে চাচ্ছি না l আমি আমার পরবর্তী সেই লেখাটা প্রকাশ করলে আপনি জানতে পারবেন কুরআন আসলেই গোল পৃথিবীর কথা বলেছে নাকি সমতল পৃথিবীর কথা বলেছে ?
৯.
আচ্ছা বললেন, বিগ ব্যাং এর কথা।
এটা পড়ুনঃ http:llwww.speed-light.infolmiracles_of_quranlbig_bang_crunch.htm
(পৃথিবী ধংস সম্পর্কে আল্লাহ্ বলে দিয়েছেন যেটি “ Big Crunch" থিয়োরি নামে পরিচিত )
আমার উত্তর : ভাই আপনি একটা লিংক দিলেন যেটা বিগ ব্যাং-এর সাথে কুরআনের মিল খুজতে হাতরে বেরিয়েছে বিজ্ঞানকে l কেন রে ভাই আমিতো এই ব্যাপারটাই আমার লেখাতে বর্ণনা করেছি যে কেন কোরান বিগ ব্যাং- এর কথা বলে নি l আর আপনি সেই একই ব্যাপার টা নিয়ে মেতে আছেন l এখানে বিগ ব্যাং-এর পরের ঘটনা টা বর্ণনা করেছে l এই লিংকটা বিগ ব্যাং এর সময়কে স্কিপ করে বিগ ব্যাং-এর পরের ঘটনা সম্মন্ধে বলেছে l আর আপনি সেটাকেই বিগ ব্যাং থিওরি ধরে নিলেন l আমি বলেছিলাম জাকির নায়েক কি বলেছিল সেটা l আর এই লিংক টা বলেছে ভিন্ন কথা l বর্ণনাও দিয়েছে বিন্য ভাবে l এই দুটো যুক্তি কখনো মিলে না l এক্ষেত্রে জাকির নায়েকের বিগ ব্যাং নিয়ে মিথ্যাচারের সমাধান নেই এই লিংক-এ l কারণ এখানে বলা হয়েছে বিগ ব্যাং -এর পরে কি হয়েছে সেটা l আর জাকির নায়েক বলেছে বিগ ব্যাং সংঘটিত হবার আগে ও পরের কথা l
এই লিংকটি কোরানের সাথে বিগ ব্যাং সংঘঠিত হবার পরের সময় কে বর্ণনা করেছে l যেটা আমি আগেই দেখিয়েছি কেন কোরান বিগ ব্যাং -এর ঘটনা বর্ণনা না করে সম্পূর্ণ বিপরীত কথা বলেছে l আপনি বুঝতে না পারলে সেটাতো আর আমার কিছু করার নেই l নিজে বুঝেননি কিন্তু আমার ভুল ধরতে এসেছেন ? খুব ভালো l এই জন্যই আমি বলি আগে জানুন পড়ে বলুন !
আর পৃথিবী ধ্বংসের ব্যাপারটা আমি বলিনি l কিন্তু এই অপ্রাসঙ্গিক বিষয়টি দেখিয়ে আপনি কি বুঝাতে চেয়েছেন আমি বুঝলাম না !
“ Big Crunch" বলে বিজ্ঞান এবং জাকির নায়েক কিছু বলেন নি l আর আপনাদের আল্লাহ যদি “ Big Crunch" বলে পৃথিবী ধ্বংসের থিওরি দিয়ে থাকে তবে ত়া বিজ্ঞান মহলে পাঠিয়ে দিন তারা আল্লাহর থিওরি নিয়ে কাজ করে দেখাবে যে আল্লাহর অন্যান্য থিওরির মত এই থিওরিটাও কিভাবে মিথ্যে প্রমান হয় l
১০.
বললেন আল্লাহ্ বিগ ব্যাং থিয়োরি কোরআনে এতো সংক্ষেপে বলে দিলো!
প্রথমে আপনার জানা প্রয়োজন কোরআন কোনো সাইন্স (বিজ্ঞান) এর বই না, কোরআন সাইন (নিদর্শন)এর বই
আমার উত্তর: আমি বলেছি একটা আর আপনি বলছেন অন্যটা ! আমি বলেছি যে এই দুটি আয়াত দিয়ে কি প্রমান হলো বিগ ব্যাং থিওরি ? তাও আবার সংক্ষিপ্ত ভাবে !
আমি এটা বলেছি কারণ যে দুটি আয়াত জাকির নায়েক উল্লেখ করেছিল সেটা বিগ ব্যাং -থিওরি বর্ণনা করেনি l
সেটা বুঝাতেই আমি বলে ছিলাম যে এই দুটি আয়াত দিয়ে কি বিগ ব্যাং বর্ণনা হলো ? তাও আবার সংক্ষিপ্ত ভাবে !
আপনি বলেছেন কোরান কোনো সাইন্সের বই নয় বরং সাইন এর বই অর্থাত এতে আছে নিদর্শন l মুসলমানরা যেটাকে উল্লেখ করেন বিভিন্ন ঘটনা বা আবিষ্কারের সাইন বা নিদর্শন l
আবার বলেন কোরান পূর্নাঙ্গ জীবন বিধান l তার মানে হচ্ছে মানব জীবন ইতিহাসের সমস্ত ঘটনার সাইন এই কোরানে আছে l
তাহলে আমার কয়েকটা প্রশ্নের উত্তর দিন (আপনি যতজন ইচ্ছা ততজন মুসলিম ধর্ম গুরকে নিতে পারেন ! কোরআনের কোথায় কম্পিউটার আবিষ্কারের সাইন আছে l কোন আয়াতে ইন্টারনেট -এর সাইন আছে ? কোন আয়াতে ট্রেন এবং বিভিন্ন যান বাহনের সাইন আছে ? কোথায় ব্লাক হোল-এর সাইন আছে ? কোথায় রোবটের সাইন আছে ? মানুষ চাদে যাবে সেটা কোরআনের কোথায় আছে l মোবাইল-এর সাইন কোথায় বর্ণনা করা আছে l কোরআনের কোথায় ক্লোন-এর সাইন আছে l
কুরআনের কোন আয়াতে আইসিইউ চিকিত্সার সাইন আছে ? কোরআনের কোথায় আছে মেডিকেল অপারেশনের সাইন ?
এএরকম অনেক অনেক আবিস্কার যা মানব সভ্যতাকে এ পর্যায়ে নিয়ে এসেছে সেই সব আবিস্কারের সাইন কোথায় আছে ?
যদি না থাকে তাহলে সাইন্স আর সাইন বলে চিল্লাবেন না l কোরানে এতই সাইন থাকলে মসলমানরাই সব আবিষ্কার করে ফেলত l যেহেতু তারাই সাইন গুলো আগে জেনেছে l তারাতো কিছু আবিষ্কার করতে পারেইনা বরং কোনো অমুসলিম বিজ্ঞানী (যার কোরান সম্পর্কে কোনো ধারণা নেই) যদি কিছু আবিষ্কার করে তখন সেই আবিষ্কারের সাথে কোরআনের মিল খুঁজে দেখে আর দাবি করে কোরানে আগেই এই আবিষ্কারের কথা বলা আছে l যেটা অন্যান্য ধর্মের ধর্মীয় গুরুরাও এই কাজটি করে থাকে l তারাও বলে যে তাদের ধর্মীয় গ্রন্থে এই সম্পর্কে সাইন আছে l
এইসব ভন্ডামি করে করেই ধর্ম ব্যবসায়ীরা টিকে আছে যুগ যুগ ধরে l যতদিন না মানুষ জ্ঞানী হচ্ছে; এসব ভন্ডদের ভন্ডামি থাকবেই যুগ যুগ ধরে l
১১.
'আইনস্টাইনকে একবার জিজ্ঞেস করা হয়েছিলো, আপনার আপেক্ষিক তত্বটি একটু সহজ করে ব্যাখ্যা করুন তো!
তিনি বললেনঃ ’’যখন
তুমি একজন সুন্দরী মহিলার
পাশে বসে থাকো তখন দু’ঘণ্টাকে মনে হয়
দু’ মিনিট; আর যখন তুমি দু’ মিনিট গরম চুলার
পাশে বসে থাকো তখন দু’মিনিটকে মনে হয়
দু ঘণ্টা। এটাই হল আপেক্ষিকতাবাদ।‘’
এখন প্রশ্ন হল, এটাই কি আপেক্ষিকতা? উত্তরঃ হ্যা, তবে এটি ব্যাখ্যা না। এটি রূপক ভাবে বলেছেন, আপেক্ষিক তত্বের ।
কোরআন এও আল্লাহ বলেছেন রূপক ভাবে। আর মানুষকে এর ব্যাখ্যা করতে বলেছেন।
...আমি(আল্লাহ) এই সমস্ত দৃষ্টান্ত এ
কারণে বর্ণনা করি যাতে মানুষ এ
ব্যাপারে চিন্তা করে। (৫৯:২১)
কোরআনে আল্লাহ্ বলছেন – আনকাবুতের ৪৩ নাম্বার সুরায়,
"এ সকল উদাহরণ আমি মানুষের জন্য দেই ;কিন্তু জ্ঞানীরাই তা বোঝে।
আমার উত্তর : আপনি আইনস্টাইনের আপেক্ষিকতা বর্ণনার একটি ঘটনা বলেছেন যেটা আইনস্টাইন কৌতুক করে বলেছিল l
তারপর আপনি নিজেই প্রশ্ন করলেন "এটাই কি আপেক্ষিকতা? আবার নিজেই উত্তর দিলেন " হ্যা, তবে এটি ব্যাখ্যা না। এটি রূপক ভাবে বলেছেন, আপেক্ষিক তত্বের ।"
ভাই আপনিত আপেক্ষিকতার সূত্রটিই জানেন না l আবার পন্ডিত সাজতে এসেছেন ! এই ঘটনায় যেটা বলা হয়েছে তা কখনই আপেক্ষিকতা নয় l.
আপনাকে আগে জানতে হবে আপেক্ষিকতার সুত্রে কি বলা হয়েছে ? বলা হয়েছে দুটি ভিন্ন অবস্থানে(ভিন্ন গতির) ঘটমান দুটি ঘটনার সময়ের ব্যবধান ভিন্ন হবে l সহজ করে বুঝতে গেলে; পৃথিবীতে ঘটমান কোনো ঘটনা এবং মহাশুন্যে আলোর কাছাকাছি গতিতে চলমান বস্তুর ( মহাকাশযান) ঘটমান কোনো ঘটনার সময়ের ব্যবধান হবে ভিন্ন l অর্থাত দেখা যাবে সেই মহাকাশ যানের এক ঘন্টা অতিক্রম হয়েছে কিন্তু পৃথিবীতে এর মধ্যেই একশ বছর অতিক্রম হয়ে গেছে l আর এই নিয়ে অনেক মুভি তৈরী হয়েছে হলিউড-এ l
এটাই হচ্ছে আইনস্টাইনের আপেক্ষিকতাবাদের মূল বিষয় l
আর আপনি না বুঝেই বলে দিলেন এটাই আপেক্ষিকতা l বাহ বাহ বাহাবা !!!
কোথায় দুটি ভিন্ন ঘটনার মধ্যবর্তী সময়ের ব্যবধানের ভিন্নতা আর কোথায় দুটি পরিস্থিতিতে মনের অবস্থার ভিন্নতা ( সময়ের ভিন্নতা নয় ) ? (কত জ্ঞানী আপনারা !!!!!!!!!!!!)
(কবে যে আপনারা একটু বুদ্ধিমান হবেন আপনাদের আল্লাহই জানে !!?)
তারপর আপনি বলেছেন কোরানে আল্লাহ বলেছেন রূপকভাবে আর মানুষ কে এর ব্যাখ্যা করতে বলেছেন l ওয়াও চমত্কার ! যেখানে আল্লাহ নিজেই বলেছেন যে রূপক গুলুর ব্যাখ্যা তিনি ছাড়া কেউ করতে পারবে না আর আপনি বোকার মত বলে দিলেন কথাটা যে মানুষকে এর ব্যাখ্যা করতে বলেছেন l! ভালো ভালো !!
তারপর আপনি একটা কুরআনের আয়াত উল্লেখ করেছেন l আয়াতটি হলো :
(৫৯) সুরা আল হাশর : আয়াত ২১:
" যদি আমি এই কুরআন পাহাড়ের উপর অবতীর্ণ করতাম, তবে তুমি দেখতে যে , পাহাড় বিনীত হয়ে আল্লাহ তা'লার ভয়ে বিদীর্ণ হয়ে গেছে l আমি এসব দৃষ্টান্ত মানুষের জন্যে বর্ণনা করি , যাতে তারা চিন্তা ভাবনা করে l"
21. "Had We sent down this Qur´an on a mountain,
verily, thou wouldst have seen it humble itself and
cleave asunder for fear of Allah. Such are the
similitudes which We propound to men, that they may
reflect."
এই আয়াতে বলা হয়েছে যে যদি আল্লাহ কুরআন পাহাড় বা পর্বতের উপর অবতীর্ণ করতো তবে মুহাম্মদ স: দেখতে পেত যে পাহাড় আল্লাহর ভয়ে বিনীত হয়ে বিদীর্ণ হয়ে গেছে l আর এই সব দৃষ্টান্ত আল্লাহ এজন্য বর্ণনা করেছেন যেন মানুষ এই ব্যাপারগুলো চিন্তা ভাবনা করে এবং বুঝে l
এই আয়াতটিতে আল্লাহ কুরআনকে পারমানবিক বোমার চেয়ে অনেক শক্তিশালী বলেছেন যার ভয়ে পাহাড় বা পর্বত ধংশ হয়ে পরতো যদি এটি পাহাড়ের উপর অবতীর্ণ করা হতো l আর এই দৃষ্টান্ত গুলো এজন্যই আল্লাহ বলেছেন যেন মানুষ কুরআনের মহত্ব বুঝতে পারে l
এখানে কুরআনের শক্তির জন্য যে পাহাড় ধ্বংশ হয়ে পরতো এই কথাটা বা দৃষ্টান্তটা যেন মানুষ বুঝে এবং আল্লাহর উপর ইমান আনে সেই কথাটাই বলা হয়েছে l
কিন্তু প্রথম অংশটি বাদ দিয়ে আয়াতটি নিজের মত করে বর্ণনা করলেন যেটা জাকির নায়েক করেছে সাবলীল ভাবে আর আপনাদের প্রত্যেক মোল্লারাও এই কাজটি করে থাকে নির্লজ্জের মত l
আর আপনি কুরআনেই এই আয়াতের অপব্যাখ্যা করে যেটা বুঝতে চেয়েছেন যে মানুষ যেন রূপক আয়াত গুলো থেকে চিন্তা করে এবং এর ব্যাখ্যা বের করে l
কিন্তু এই আয়াতে বলা হয়নি যে আল্লাহ মানুষকে রূপক গুলোর ব্যাখ্যা বের করতে বলেছেন l
আপনারা কুরআনের এত অপব্যাখ্যা করেন যে আমাদের বিস্মিত হতে হয় !
তারপরে আপনি আরেকটি আয়াত তুলে ধরেছেন l আর সেটা হলো :
(২৯). সুরা অন কাবুত : আয়াত ৪৩:
" এ সকল উদাহরণ আমি মানুষের জন্যে দেই , কিন্তু জ্ঞানীরাই তা বোঝে l"
২৯:৪৩) " And such are the Parables We set forth for mankind,
but only those understand them who have
Knowledge."
এই আয়াত টিতে বলা হয়েছে যে আল্লাহ কিছু উদাহরণ মানুষের জন্য দেয় কিন্তু যারা জ্ঞানী শুধু তারাই এই উদাহরণ গুলো বুঝতে পারে l
কিন্তু কোন উদাহরণ -এর কথা বলা হয়েছে তা জানার জন্য আপনাদের এর আগের আয়াত গুলো জানতে হবে l
আসুন দেখি এই সুরার ওই আয়াতের আগের আয়াত গুলো কি বলেছে
৩৬ ও ৩৭ নাম্বার আয়াত অনুযায়ী আল্লাহ মাদইয়ানবাসীদের কাছে আয়ুবকে প্রেরণ করেছিল কিন্তু তারা তাকে মানেনি l তাই তাদেরকে ভুমিকম্পের শাস্তি দিয়েছিলেন l
৩৮ নাম্বার আয়াত অনুযায়ী আল্লাহ আদ এবং সামুদকে ধ্বংশ করেছিল তারা আল্লাহকে মানেনি বলে l
৩৯ নাম্বার আয়াত অনুযায়ী আল্লাহ কারুন , ফেরাউন ও হামান কে ধ্বংশ করে দিয়েছিলেন কারণ তারা মুসাকে মানেনি l
৪০ নাম্বার আয়াত অনুযায়ী আল্লাহ প্রত্যেককেই শাস্তি দিয়েছেন যারা তার কথা অনুযায়ী চলেনি l প্রস্তর নিক্ষেপ, প্রচন্ড বাতাস, বজ্রপাত , ভূগর্ভে বিলীন এবং পানিতে নিমজ্জন ইত্যাদির মাধ্যমে শাস্তি দিয়েছিল অবিশ্বাসীদেরকে l
৪১ নাম্বারে এইসব অবিশ্বাসীদের কে আল্লাহ মাকড়সার সাথে তুলনা করে বলেছেন তারা খুব যত্ন করে ঘর বানায় কিন্তু সেই ঘরটি সবথেকে দুর্বল কিন্তু তারা তা জানে না l তেমনি মানুষও ভুলের মধ্যে আছে l
৪২ নাম্বার অনুযায়ী -তারা যা করে আল্লাহ সব জানে l
৪৩ নাম্বার অনুযায়ী -আর উপরের এই উদাহরণ গুলো আল্লাহ মানুষের জন্য দেয় কিন্তু জ্ঞানীরাই তা বুঝতে পারে l
এবং ৪৪ নাম্বার আয়াত অনুযায়ী -আল্লাহ সবকিছু সৃষ্টি করেছেন যথার্থ ভাবে l আর এতেও নিদর্শন রয়েছে বিশ্বাসীদের জন্য l
তাহলে উপরের আয়াত গুলো থেকে আমরা দেখতে পাচ্ছি যে এখানে বলা হয়েছে আল্লাহ কিছু উদাহরণ দিয়েছেন পূর্বের মানুষদের যারা আল্লাহর আদেশ অমান্য করেছিল এবং আল্লাহ তাদের শাস্তি দিয়েছিল l আর এই উদাহরণ থেকে জ্ঞানীরা শিক্ষা নেই ও ইমান আনে l
কিন্তু বোকা শুভ্র আহমেদ কিছু না বুঝেই অথবা ভন্ডামি করে এই আয়াতের ভুল ব্যাখ্যা করছে যে এই আয়াতটিতে আল্লাহ রূপক আয়াত গুলো সম্পর্কে বলেছেন l
তাহলে এখন কি বুঝব শুভ্র আহমেদ ভাই আপনি খুব বোকা বা আপনার খুব অল্প জ্ঞান অথবা আপনিও অন্যান্য ধর্ম গুরু(ভন্ড)-দের মতো l (আমি কি ভুল বললাম ?!!)
চলবে .................
শুভ্র আহমেদ ; আপনার আমার উদ্দেশ্যে বলা কথার প্রেক্ষিতে :
১.
"ময়ুরাক্ষীর তীরে একাকী, আরে ভাই আপনাকে তো নোবেল প্রাইজ দেওয়া উচিৎ! আগে কোথায় ছিলেন?
আমার উত্তর : ভাই যে সব কারণে নোবেল প্রাইজ দেয়া হয় আমি তার কিছুই করি নি l বিজ্ঞান যা বলেছে , জাকির নায়েক যে মিথ্যাচার করেছে বিজ্ঞান ও কুরআন সম্পর্কে আমি তাই দেখিয়েছি যুক্তির মাধ্যমে l আপনি আমার কোনো কথায় মিথ্যা পেয়েছেন কি ? সত্যিই আমি কোনো মিথ্যা কথা বলিনি l যুক্তি (সত্য) -এর জন্য নোবেল দেয়া হয় আপনাকে কে বলল ?
আর আমি আগে ঈশ্বর (সৃষ্টিকর্তা) বিহীন এই নশ্বর পৃথিবীতেই ছিলাম l
২.
এতো মস্করা আর বিনোদনের সহিত প্রমান করে দিলেন, কোরআন ভুল, জাকির নায়েক ভুল, আমরা দেড়শ কোটি মানুষ ভুল । আপনি এতো গুলো মানুষের বিশ্বাস কি নিপুন ভাবে ভুল প্রমান করে দিলেন! ভাবতেও অবাক লাগে।
আমার উত্তর : ভাই আমি যা বলেছি তা তথ্য প্রমানের উপরই বলেছি l আমি কোরআনের ভুল ব্যাখ্যা করিনি l কুরআনে যা বলা হয়েছে আমি সেভাবেই উপস্থাপন করেছি l আর জাকির নায়েক যে সরাসরি মিথ্যা কথা বলেছে তা কিন্তু অস্বিকার করার উপায় নেই l এখানে আমার জাকির নায়েকের মিথ্যাচার প্রমান করাই মূল উদ্দেশ্য ছিল l
আর এতে যদি আপনি মস্করা আর বিনোদন খুঁজে পেয়ে থাকেন তাহলে আপনার সুস্থতা নিয়ে সন্দেহ করা যায় l
আবার আপনি বললেন আমি দেড়শ কোটি মানুষকে ভুল প্রমান করেছি ! ভাই আপনারা মুসলমানরা বলেন মুসলমানরা(ইসলাম) বাদে পৃথিবীর সব মানুষ ভুল পথে আছে , মিথ্যে পথে আছে l তাহলে আপনারা কিন্তু পৃথিবীর ছয়শো কোটি মানুষ কে ভুল বলেন l যদি সংখ্যার বিচারে সত্য মিথ্যা বিচার করেন তাহলে কিন্তু আপনারাই মিথ্যে বলে প্রমানিত হবেন l
এটা কি সবচেয়ে অবাক হবার ব্যাপার নয় ?
৩.
আমি তো আপনাকে বলব, জাকির নায়েকের কাছে যান! যাচ্ছেন কেনো? তিনি তো (অ) আপনি তো মহা জ্ঞানী, মাথা মোটা (আপনার মতে) । আপনার জন্য জাকির নায়েক কাথা মুড়ি দিয়ে বসে আছে। আপনি যদি মনে করেন, আপনি জাকির নায়েককে ভুল প্রমান করছেন, তাহলে আপনি একা না। হাজার হাজার জন আছেন। তারা সবাই লেখেন,আপনার মতো। কিন্তু কাছে যেয়ে যখন জিজ্ঞেস করেন, তখন বুঝবেন জাকির নায়েক কি জিনিস। বর্তমানে পৃথিবীর কোনো ধর্মীয় পন্ডিত নাই যে, তাকে চ্যালেঞ্জ করে। তার পরেও তিনি কাউকে কাউকে চ্যালেঞ্জ দেন (সত্য জানাতে, উদাহরণ সরূপঃ কিছু দিন আগে তসলিমা নাসরিনকে দিয়েছিলেন। কাজ হয়নি, তসলিমার সাহসে কুলায় নি) l
আমার উত্তর : ভাই আপনার তথ্যে একটু ভুল আছে জাকির নায়েক কাথা মুড়ি দিয়ে বসে নেই l
ধর্ম ব্যবসা করে তিনি প্রচুর টাকা ইনকাম করেছে l (ধর্ম ব্যবসা পৃথিবীর সবচেয়ে সহজ ও লাভজনক ব্যবসা l) তিনিতো এসি রুমে ঘুমান l দামী গাড়ি দিয়ে ঘুড়েন l একটা টেলিভিশন চ্যানেলও দিয়েছেন l
জাকির নায়েক ভন্ড সেটা আমি প্রমান করে দিয়েছি l ভবিষ্যতেও আরো ভালো ভাবে প্রমান করবো l
আমি জাকির নায়েকের কাছে যাবনা কারণ সে আমার মত অখ্যাত কারো সাথে বিতর্ক করবে না l জাকির নায়েক একজন ভালো বক্তা l তার শ্রুতিমধুর বক্তব্য সবারই ভালো লাগে l আমারও লাগে l (কিন্তু তিনি সৎ নন l অনেক মিথ্যা কথা তিনি বলেন তার বক্তৃতায়, সব ধর্ম ব্যবসায়ীদের মত l)
আমি ভালো ভাবে বক্তৃতা দিতে পারিনা l ফলে যদি বক্তৃতা দিতে যাই তবে আমার যুক্তি ঠিক ভাবে উপস্থাপন করতে পারবো না l হযবরল করার সম্ভাবনা অনেক বেশি (বক্তৃতা দেওয়া অবস্থায় )l
আর পৃথিবীর সব মানুষের মস্তিস্ক সমান ভাবে কাজ করে না l কেও বক্তৃতায় ভালো হয় l কেও গানে সুর দিতে ভালো পারে l কেউ খেলায় ভালো হয় আবার কেও কবিতা লেখাতে পারদর্শী l কেও বিজ্ঞান ভালো বুঝে , আবার কেও লেখালেখিতে খুব ভালো l
আমি যে ভাবে আমার যুক্তি গুলো লিখতে পারবো সে ভাবে কখনো বলতে পারবো না l
আবার জাকির নায়েক বক্তৃতায় যেভাবে যুক্তি উপস্থাপন করে ( যার অধিকাংশই মিথ্যা ) কিন্তু সেভাবে লিখতে পারবে না l মানুষের মস্তিষ্কের ভিন্নতা এরকমই l
তসলিমা নাসরিন লেখাতে যে ভাবে যুক্তি তুলে ধরেছেন বক্তৃতায় সেভাবে যুক্তি নাও তুলে ধরতে পারেন l আর হয়ত বা এসব ধর্ম ব্যবসায়ীদের সাথে তর্কে যেতে তিনি অনীহা প্রকাশ করেছেন !
জাকির নায়েক কে দেখেছি সব সময় অন্য ধর্মের আস্তিক বক্তার সাথে বিতর্ক করতে l কিন্তু কখনো দেখলাম না একজন নাস্তিক ভালো বক্তার সাথে বিতর্ক করতে l তিনি তার মত কোনো নাস্তিক বক্তার সাথে বিতর্ক করে না কেন ? ইন্ডিয়াতেই এমন নাস্তিক আছে অনেক l তখন কিন্তু ঠিকই বাতাস বেরিয়ে যাবে !
তারপরও যদি আপনার জাকির নায়েক কে শেঠ মনে হয় তবে আমার লেখা গুলুকে তার কাছে দিয়ে এর ব্যাখ্যা চাইতে পারেন l তাহলে দেখতাম জাকির নায়েক কত বড় ইসলামিক বক্তা ( ভন্ড ) l
৪.
আপনি এমন এক ভাব নিলেন, যে আপনি একাই স্টিফেন হকিং এর বই বুঝেছেন আর কেউ বুঝে নি।
স্টিফেন হকিং নাস্তিক হয়েছেন, তাই আপনিও নাস্তিক। স্টিফেন হকিং কিন্তু বলেন নি, ঈশ্বর নেই। তিনি বলেছেন, মহাকাশ তৈরিতে ঈশ্বরের কোনো প্রয়োজন নাই। (বিবিসি এর এক সাক্ষাতকারে)
আমার উত্তর : আমি কখন ভাব নিলাম আর বললাম আমি একাই স্টিফেন হকিং এর বই বুঝেছি আর কেউ বুঝে নি। আমি কি এমন কথা বলেছি কখনো ? আমি বলেছি যারা বিগ ব্যাং ভালো ভাবে জানেনা তারা যেন স্টিফেন হকিং এর বই পড়ে বিগ ব্যাং সম্পর্কে ভালো ভাবে জেনে নেয় । এখানেতো আপনি নিজেই আমার কথা ভুল (মিথ্যা) ভাবে উপস্থাপন করেছেন !
আমি নাস্তিক হয়েছি ১০ বছর আগে (যেটা আমি আমার ক্লোজ বন্ধুটিকে বলেছিলাম ১০ বছর আগে) আর আমি গত বছর জেনেছি যে স্টিফেন হকিং নাস্তিক হয়েছেন l সুতরাং আমি কখনই স্টিফেন হকিং নাস্তিক হয়েছেন বলে নাস্তিক হইনি l
আপনি বলেছেন স্টিফেন হকিংস কখনই বলেনি যে ঈশ্বর নেই l তাহলে নিচের কথা গুলো লক্ষ করুন -
Hawking's claims: "There is no God, and heaven is a fairy tale for those afraid of death."
এবং
“When people ask me if a god created the universe, I tell them that the question itself makes no sense. Time didn’t exist before the big bang, so there is no time for god to make the universe in. It’s like asking directions to the edge of the earth; The Earth is a sphere; it doesn’t have an edge; so looking for it is a futile exercise. We are each free to believe what we want, and it’s my view that the simplest explanation is; there is no god. No one created our universe,and no one directs our fate. This leads me to a profound realization; There is probably no heaven, and no afterlife either. We have this one life to appreciate the grand design of the universe, and for that I am extremely grateful.”
― Stephen Hawking
তাহলে কি দাড়ালো , আপনি নিজে ভালো করে না জেনেই আমার কথার ভুল ধরতে এসেছেন l
আমি সেজন্যই আগেই বলে রেখেছি আগে ভালো ভাবে জানুন তার পর কমেন্ট করতে আসুন l এখানে আপনি সুন্দর করে আপনার অজ্ঞতার পরিচয় দিলেন l আর না বুঝেই যে ঈশ্বর আছে ঈশ্বর আছে বলে চিল্লা ফাল্লা করেন তারই প্রমান দিলেন l
৫.
ময়ুরাক্ষীর তীরে একাকী দাদা, ফন্সিস বেকন বলে ছিলেন, বিজ্ঞান সম্পর্কে কম জানলে মানুষ হয় নাস্তিক, আর বেশী জানলে হয় আস্তিক।
আমার উত্তর : ভাই শুভ্র আহমেদ, আপনাকে আমি জানিয়ে রাখি আমি এখনো বিয়ে করিনি l তাই আমার কোনো ছেলে নেই সেজন্য আমি আপনার দাদাও নই l
ভাই আপনাদের মহান বিজ্ঞানী (অজ্ঞানী) জাকির নায়েক সাহেবও একই দাবি করেছেন যে বিজ্ঞান সম্পর্কে কম জানলে মানুষ হয় নাস্তিক, আর বেশী জানলে হয় আস্তিক।
ভাই আপনি যদি একটা পরিসংখ্যান করেন , তাহলে দেখতে পাবেন পৃথিবীর মোট বিজ্ঞানীর ৯০% ঈশ্বর বিশ্বাস করে না অর্থাত তারা নাস্তিক l এবং বর্তমানের শ্রেষ্ট বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিংস যাকে আইনস্টাইনের পর সবচেয়ে মেধাবী বিজ্ঞানী বলা হয় সে বলিষ্ঠ কন্ঠে স্বসীকৃত নাস্তিক অর্থাত ঈশ্বরে বিশ্বাস করে না l আপনাদের (জাকির নায়েকের) কথা অনুযায়ী এরা কেউই বেশি বিজ্ঞান জানে না l অর্থাত তারা অল্প পরিমান বিজ্ঞান জানে যার জন্য তারা নাস্তিক l আর সর্ব কালের শ্রেষ্ট বিজ্ঞানী স্যার আইজ্যাক জাকির নায়েক বিজ্ঞান সম্পর্কে সবচেয়ে বেশি জেনে বসে আছেন থুক্কু ইসলাম প্রচার করছেন (মাশাল্লাহ হা হা হা ) l
৬.
এবার আসল কথায় আসি, আল্লাহ কোরআন এর ৩ নাম্বার সুরার ৭ নাম্বার আয়াতে বলেন, তিনিই ( আল্লাহ্) আপনার প্রতি কিতাব নাজিল করেছেন। তাতে কিছু আয়ার রয়েছে সুস্পষ্ট, সেগুলোই কিতাবের আসল অংশ। আর অন্যগুলো রূপক। সুতরাং যাদের অন্তরে কুটিলতা আছে (যেমন আপনি ময়ুরাক্ষীর তীরে একাকী) তারা অনুসরন করে ফিতনা বিস্তার এবং অপব্যাখ্যার উদ্যেশ্যে তার মধ্যকার রূপক গুলো।
আপনি রূপক গুলো নিয়ে টানা পাঁচড়া করছেন। তবুও লাভ হয়নি ।
আমার উত্তর : তারপর আপনি(শুভ্র আহমেদ ) আপনার আসল কথাটি বললেন l সেটা হলো আপনি কোরআনের এই আয়াতটির কথা উল্লেখ করেছেন :-
সুরা আলে ইমরান : আয়াত ৭ :
"তিনিই আপনার প্রতি কিতাব নাজিল করেছেন l তাতে কিছু আয়াত রয়েছে সুস্পষ্ট , সেগুলোই কিতাবের আসল অংশ l আর অন্যগুলো রূপক l সুতরাং যাদের অন্তরে কুটিলতা রয়েছে , তারা অনুসরণ করে ফিতনা বিস্তার এবং অপব্যাখ্যার উদ্দেশ্যে তন্মধ্যেকার রুপকগুলোর l আর সেগুলোর ব্যাখ্যা আল্লাহ ব্যতিত কেউ জানে না l আর যারা জ্ঞানে সুগভীর , তারা বলেন : আমরা এর পতি ইমান এনেছি l এই সবই আমাদের পালনকর্তার পক্ষ থেকে অবতীর্ণ হয়েছে l আর বোধশক্তি সম্পন্নেরা ছাড়া অপর কেউ শিক্ষা গ্রহণ করে না l
7. He it is Who hath revealed unto thee [Muhammad] the Scripture wherein are
clear revelations - they are the substance of the Book - and others [which are]
allegorical. But those in whose hearts is doubt pursue, forsooth, that which is
allegorical seeking [to cause] dissension by seeking to explain it. None knoweth
its explanation save Allah. And those who are of sound instruction say: We
believe therein; the whole is from our Lord; but only men of understanding
really heed.
সুরা আলে ইমরান : আয়াত ৭ :
“তিনিই তোমার প্রতি গ্রন্থ অবতীর্ণ করেছেন , যাতে সুস্পষ্ট অকাট্য আয়াত সমূহ রয়েছে - ওগুলো গ্রন্থের মূল এ ব্যতিত কতিপয় আয়াত সমূহ অস্পষ্ট l অতএব যাদের অন্তরে বক্রতা রয়েছে, ফলত: তারাই অশান্তি সৃষ্টি ও (ইচ্ছেমত) ব্যাখ্যা বিশ্লেষণের উদ্দেশ্যে অস্পস্ট-এর অনুসরণ করে অথচ আল্লাহ ব্যতিত এগুলোর অর্থ কেউই অবগত নয় ; আর যারা জ্ঞানে সুপ্রতিষ্ঠিত তারা বলে : আমরা ওতে বিশ্বাস করি , সমস্তই আমাদের প্রতিপালকের নিকট হতে সমাগত এবং জ্ঞানবান ব্যতিত কেউই উপদেশ গ্রহণ করে না l”
এই আয়াত অনুযায়ী আল্লাহ মহান রাব্বুল আলামিন মোহাম্মদ স: এর উপর কুরআন নাজিল করেছেন l তাতে তিনি কিছু আয়াত দিয়েছেন যেগুলো সুস্পষ্ট অর্থাত সহজে (নবী এবং) মানুষ এই আয়াত গুলো বুঝতে পারবে l আর এগুলোই কুরআনের আসল অংশ অর্থাত যেগুলো সহজে বোঝা যাবে সেগুলোই কুরআনের আসল অংশ l আর যেগুলো (নবী এবং) মানুষ সহজে বুঝতে পারবে না সেগুলো হলো রূপক l যার অর্থ সেগুলো আল্লাহ ছাড়া কেউ জানে না বা বুঝতে পারবে না l আর এই রূপক আয়াত গুলো দিয়েই যাদের অন্তরে কুটিলতা আছে (এখানে আল্লাহ অমুসলিমদের বুঝিয়েছেন) তারা ফিতনা অর্থাত ঝগড়া বিবাদ বাধায় এবং কুরআনের এই রূপক আয়াত গুলো অপব্যাখ্যা করে l কিন্তু এই আয়াত গুলোর অর্থ বা ব্যাখ্যা একমাত্র আল্লাহই জানে l আর মুসলিমরা এর উপর ঈমান আনে এবং তারা বিশ্বাস করে এই সবই আল্লাহর কাছ থেকে অবতীর্ণ হয়েছে l আর এরাই অর্থাত মুসলমানরাই বোধশক্তি সম্পন্ন কারণ তারা এর থেকে শিক্ষা নেয় l বোধশক্তি ছাড়া কেউ এর থেকে শিক্ষা নেয় না l অর্থাত পৃথিবীর তাবৎ অমুসলিমরা এর থেকে শিক্ষা নেয় না তাই তারা বোধশক্তিহীন l
এখন ধরি আমি(ময়ুরাক্ষীর তীরে একাকী) অথবা অন্য যে কেউ যারা অমুসলিম ও নাস্তিক তারা এই আয়াতটির অপব্যাখ্যা করছে তাহলে এটি একটি রূপক আয়াত (এই আয়াত অনুযায়ী) l তার মানে হচ্ছে এর অর্থ বা ব্যাখ্যা আল্লাহ ছাড়া কেউ জানে না l কিন্তু যারা মুসলিম তারা এর অর্থ বা ব্যাখ্যা না জেনেই বিশ্বাস করে l তারা বিশ্বাস করে তাই তারা বোধশক্তি সম্পন্ন এবং তারা এর থেকে শিক্ষা বা উপদেশ নেয় l
এই আয়াত অনুযায়ী এর অর্থ কেউ বুঝতে পারবে না কিন্তু যারা অন্ধ ভাবে বিশ্বাস করবে তারা এর থেকে শিক্ষা বা উপদেশ নিবে ফলে তারা বোধ শক্তি সম্পন্ন হবে l একমাত্র আল্লাহ ছাড়া এর অর্থ কেউ জানবে না l
তার ফলে এই আয়াতে কি বলা হয়েছে তা আল্লাহ ছাড়া কারো পক্ষে বোঝা সম্ভব নয় l (আমি কি ঠিক বললাম ?)
কিন্তু শুভ্র আহমেদ, আপনি কিভাবে বললেন যে এই আয়াতে যাদের অন্তরে কুটিলতা আছে বলতে আমাকে বোঝানো হয়েছে ? এই আয়াতটি অনুযায়ী কেউ জানবে না এখানে কার কথা বলা হয়েছে একমাত্র আল্লাহ ছাড়া l তাহলে আপনি কি আল্লাহর উপর মাতব্বরি করলেন না ? যেখানে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন স্পষ্ট করে বলেছেন যে এর অর্থ তিনি ছাড়া কেউ বুঝবে না l কিন্তু আপনি বলেছেন এখানে আমার কথা বলা হয়েছে l তাহলে তো এ আয়াত অনুযায়ী আপনি শিরক করে ফেলেছেন l আপনি কি আমার যুক্তিটি বুঝতে পারছেন ? বুঝতে পারলে তারাতারি তওবা করুন l তা না হলে কিন্তু দোজখের আগুন আর সত্তরটা হুরপরী থেকে বঞ্চিত হবেন !
কি ফেসে গেলেনতো নিজের বুদ্ধিতেই !
৭.
আবার আপনি আমার লেখাটির লিংক দিয়ে দিয়েছেন যাতে সকল আস্তিক ভাইয়েরা আমার লেখাটা পড়তে পারে এবং আমি কি কি কোরআনের ভুল ব্যাখ্যা করেছি আর কি কি মিথ্যা কথা বলেছি তা যেন তারা জেনে নিতে পারে l
তারা কি আমার লেখাটা পরেছিল ? তারা কি আমার লেখাটা বুঝতে পেরেছিল ? নাকি আপনার মত না বুঝেই আমি ভুল ব্যাখ্যা দিয়েছি, মিথ্যে কথা বলেছি বলে চিল্লাপাল্লা করেছিল ?
নাকি তারা আমার লেখাটি পড়ে সঠিক বুঝতে পেরেছিল আর জাকির নায়েকের ভন্ডামি ধরতে পেরেছিল ? আপনি যদি জানেন দয়া করে আমাকে জানাবেন প্লিজ !
আচ্ছা আপনিই বলুনতো আমি কি কোনো মিথ্যা কথা বা মিথ্যা তথ্য দিয়েছিলাম ? নাকি কোনো মিথ্যাচার করেছি আপনাদের ভন্ড জাকির নায়েকের মত যে ইচ্ছে করে বোকা (মুর্খ) মোমিনদের কে বিজ্ঞানের ভুল ব্যাখ্যা দেয় !.
৮.
আপনি যে প্রমান করে দিলেন সেটা কতো টুকু সত্য তা না যেনেই বলে দিলেন, কোরআন ভুল। আপনি বললেন কোরআন বলে পৃথিবী সমতল। আপনার জন্য এতো কষ্ট করে জাকির নায়েকের কাছে যেতে বলবো না। আপনি করিম ভাইয়ের কাছে যান। তিনি মিলিয়ন ডলার দিবেন, যদি প্রমান করতে পারেন কোরআন বলছে পৃথিবী সমতল। তার প্রমান দেখতে এখানে যান, www.pdf-
archive.coml2014l02l21lquran-earth-and-science-by-fz-
karim2l বইয়ে আরো পাবেন, পৃথিবীর আকার কোরআনে, সূর্য সম্পর্কে কোরআন , পৃথিবী ঘূর্ণনয় মান)
আমার উত্তর : ভাই আমার লেখাটার মূল বিষয় পৃথিবী সমতল নাকি গোল এটা ছিল না l আমি একটা আয়াত ব্যাখ্যা করতে এই অংশ টুকু এনেছিলাম l যেখানে এই অংশ টুকু না আনলেও আমি আমার যুক্তিটা প্রমান করতে পারতাম l সেখানে সমতল পৃথিবী না আনলেও মূল আলোচনা অর্থাত মূল যুক্তি একই থাকত l আপনি হয়ত আমার যুক্তিটি বুঝেন নি তাই নির্দিষ্ট ভাবে এই অংশটুকুই এখানে উল্লেখ করেছেন l আর বাকি টুকু উল্লেখ করেন নি ( ঠিক জাকির নায়েকের মত ) l
কিন্তু আমি ব্যাপারটা সংক্ষেপে তুলে ধরছি :
এখানে আমি বলে ছিলাম যে পৃথিবী যেটা আগেই তৈরী হয়ে আছে (এবং সমতল ) এবং আকাশ যেটা ছিল বায়বীয় (এটাও আগেই তৈরী অবস্থায় ছিল ) এদুটো কে আল্লাহ পৃথক করলেন এবং বললেন তোমরা আসো ইচ্ছায় অথবা বাধ্য হয়ে l তারপর তারা সেচ্ছায় আসলো l
এখানে মূল কথাটা হলো এই দুটো আগেই তৈরী হয়ে ছিল এই ব্যাপারটা l এখানে যদি আমি সমতল কথাটি নাও বলি তবুও কথাটির অর্থ একই থাকে l ফলে জাকির নায়েক মিথ্যাচার করেছে কথাটি প্রমানিতই থাকে l
তবুও আপনি এই অপ্রাসংগিক অংশটিই তুলে ধরেছেন l
আপনি জোর প্রতিবাদ করেছেন যে পৃথিবী সমতল নয় l আর এই কথাটির প্রমান দেখতে আপনি করিম ভাইয়ের ( আরেকজন বিশিষ্ট ইসলামিক ব্যক্তিত্ব , এখন মনে হচ্ছে আবার করে এই লোকটিকে ভন্ড বা এই লোকটির মিথ্যাচার প্রমান করতে আবার করে পুরনো গিত গাইতে হবে; কেউ আছ ? থাকলে বাচাও আমাকে এই বোকাদের রাজত্ব থেকে ) একটা লিংক দিয়েছেন যেখানে আমি জানতে পারবো কেন কুরআন বলেনি যে পৃথিবী সমতল নয় l বরং কুরআন বলেছে যে পৃথিবী গোল l
আমি এই বইটি দেখলাম এবং বলছি এই লেখকটিও জাকির নায়েকের মতই মিথ্যা চারিতাই করছে l একই কথা গুলো নতুন করে বলেছে মাত্র l আমি যথা সময়ে এই লেখকটির মিথ্যার বিরুদ্ধে লিখব বিজ্ঞানের ভুল ব্যাখ্যার পরবর্তী পর্ব গুলোতে l
আমি যখন প্রথম জাকির নায়েকের ;লেকচারটি শুনলাম তখনি তার মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে লেখার ইচ্ছে পূষণ করেছিলাম l আর আজ বলছি আপনার দেয়া এই লেখকটির বিজ্ঞানের ভুল ব্যাখ্যার বিরুদ্ধেও লিখবো l
আমি এই ব্যাপারটি পরবর্তিতে বিশদ ভাবে আলোচনা করবো বলে এটা বর্ণনা করতে চাচ্ছি না l আমি আমার পরবর্তী সেই লেখাটা প্রকাশ করলে আপনি জানতে পারবেন কুরআন আসলেই গোল পৃথিবীর কথা বলেছে নাকি সমতল পৃথিবীর কথা বলেছে ?
৯.
আচ্ছা বললেন, বিগ ব্যাং এর কথা।
এটা পড়ুনঃ http:llwww.speed-light.infolmiracles_of_quranlbig_bang_crunch.htm
(পৃথিবী ধংস সম্পর্কে আল্লাহ্ বলে দিয়েছেন যেটি “ Big Crunch" থিয়োরি নামে পরিচিত )
আমার উত্তর : ভাই আপনি একটা লিংক দিলেন যেটা বিগ ব্যাং-এর সাথে কুরআনের মিল খুজতে হাতরে বেরিয়েছে বিজ্ঞানকে l কেন রে ভাই আমিতো এই ব্যাপারটাই আমার লেখাতে বর্ণনা করেছি যে কেন কোরান বিগ ব্যাং- এর কথা বলে নি l আর আপনি সেই একই ব্যাপার টা নিয়ে মেতে আছেন l এখানে বিগ ব্যাং-এর পরের ঘটনা টা বর্ণনা করেছে l এই লিংকটা বিগ ব্যাং এর সময়কে স্কিপ করে বিগ ব্যাং-এর পরের ঘটনা সম্মন্ধে বলেছে l আর আপনি সেটাকেই বিগ ব্যাং থিওরি ধরে নিলেন l আমি বলেছিলাম জাকির নায়েক কি বলেছিল সেটা l আর এই লিংক টা বলেছে ভিন্ন কথা l বর্ণনাও দিয়েছে বিন্য ভাবে l এই দুটো যুক্তি কখনো মিলে না l এক্ষেত্রে জাকির নায়েকের বিগ ব্যাং নিয়ে মিথ্যাচারের সমাধান নেই এই লিংক-এ l কারণ এখানে বলা হয়েছে বিগ ব্যাং -এর পরে কি হয়েছে সেটা l আর জাকির নায়েক বলেছে বিগ ব্যাং সংঘটিত হবার আগে ও পরের কথা l
এই লিংকটি কোরানের সাথে বিগ ব্যাং সংঘঠিত হবার পরের সময় কে বর্ণনা করেছে l যেটা আমি আগেই দেখিয়েছি কেন কোরান বিগ ব্যাং -এর ঘটনা বর্ণনা না করে সম্পূর্ণ বিপরীত কথা বলেছে l আপনি বুঝতে না পারলে সেটাতো আর আমার কিছু করার নেই l নিজে বুঝেননি কিন্তু আমার ভুল ধরতে এসেছেন ? খুব ভালো l এই জন্যই আমি বলি আগে জানুন পড়ে বলুন !
আর পৃথিবী ধ্বংসের ব্যাপারটা আমি বলিনি l কিন্তু এই অপ্রাসঙ্গিক বিষয়টি দেখিয়ে আপনি কি বুঝাতে চেয়েছেন আমি বুঝলাম না !
“ Big Crunch" বলে বিজ্ঞান এবং জাকির নায়েক কিছু বলেন নি l আর আপনাদের আল্লাহ যদি “ Big Crunch" বলে পৃথিবী ধ্বংসের থিওরি দিয়ে থাকে তবে ত়া বিজ্ঞান মহলে পাঠিয়ে দিন তারা আল্লাহর থিওরি নিয়ে কাজ করে দেখাবে যে আল্লাহর অন্যান্য থিওরির মত এই থিওরিটাও কিভাবে মিথ্যে প্রমান হয় l
১০.
বললেন আল্লাহ্ বিগ ব্যাং থিয়োরি কোরআনে এতো সংক্ষেপে বলে দিলো!
প্রথমে আপনার জানা প্রয়োজন কোরআন কোনো সাইন্স (বিজ্ঞান) এর বই না, কোরআন সাইন (নিদর্শন)এর বই
আমার উত্তর: আমি বলেছি একটা আর আপনি বলছেন অন্যটা ! আমি বলেছি যে এই দুটি আয়াত দিয়ে কি প্রমান হলো বিগ ব্যাং থিওরি ? তাও আবার সংক্ষিপ্ত ভাবে !
আমি এটা বলেছি কারণ যে দুটি আয়াত জাকির নায়েক উল্লেখ করেছিল সেটা বিগ ব্যাং -থিওরি বর্ণনা করেনি l
সেটা বুঝাতেই আমি বলে ছিলাম যে এই দুটি আয়াত দিয়ে কি বিগ ব্যাং বর্ণনা হলো ? তাও আবার সংক্ষিপ্ত ভাবে !
আপনি বলেছেন কোরান কোনো সাইন্সের বই নয় বরং সাইন এর বই অর্থাত এতে আছে নিদর্শন l মুসলমানরা যেটাকে উল্লেখ করেন বিভিন্ন ঘটনা বা আবিষ্কারের সাইন বা নিদর্শন l
আবার বলেন কোরান পূর্নাঙ্গ জীবন বিধান l তার মানে হচ্ছে মানব জীবন ইতিহাসের সমস্ত ঘটনার সাইন এই কোরানে আছে l
তাহলে আমার কয়েকটা প্রশ্নের উত্তর দিন (আপনি যতজন ইচ্ছা ততজন মুসলিম ধর্ম গুরকে নিতে পারেন ! কোরআনের কোথায় কম্পিউটার আবিষ্কারের সাইন আছে l কোন আয়াতে ইন্টারনেট -এর সাইন আছে ? কোন আয়াতে ট্রেন এবং বিভিন্ন যান বাহনের সাইন আছে ? কোথায় ব্লাক হোল-এর সাইন আছে ? কোথায় রোবটের সাইন আছে ? মানুষ চাদে যাবে সেটা কোরআনের কোথায় আছে l মোবাইল-এর সাইন কোথায় বর্ণনা করা আছে l কোরআনের কোথায় ক্লোন-এর সাইন আছে l
কুরআনের কোন আয়াতে আইসিইউ চিকিত্সার সাইন আছে ? কোরআনের কোথায় আছে মেডিকেল অপারেশনের সাইন ?
এএরকম অনেক অনেক আবিস্কার যা মানব সভ্যতাকে এ পর্যায়ে নিয়ে এসেছে সেই সব আবিস্কারের সাইন কোথায় আছে ?
যদি না থাকে তাহলে সাইন্স আর সাইন বলে চিল্লাবেন না l কোরানে এতই সাইন থাকলে মসলমানরাই সব আবিষ্কার করে ফেলত l যেহেতু তারাই সাইন গুলো আগে জেনেছে l তারাতো কিছু আবিষ্কার করতে পারেইনা বরং কোনো অমুসলিম বিজ্ঞানী (যার কোরান সম্পর্কে কোনো ধারণা নেই) যদি কিছু আবিষ্কার করে তখন সেই আবিষ্কারের সাথে কোরআনের মিল খুঁজে দেখে আর দাবি করে কোরানে আগেই এই আবিষ্কারের কথা বলা আছে l যেটা অন্যান্য ধর্মের ধর্মীয় গুরুরাও এই কাজটি করে থাকে l তারাও বলে যে তাদের ধর্মীয় গ্রন্থে এই সম্পর্কে সাইন আছে l
এইসব ভন্ডামি করে করেই ধর্ম ব্যবসায়ীরা টিকে আছে যুগ যুগ ধরে l যতদিন না মানুষ জ্ঞানী হচ্ছে; এসব ভন্ডদের ভন্ডামি থাকবেই যুগ যুগ ধরে l
১১.
'আইনস্টাইনকে একবার জিজ্ঞেস করা হয়েছিলো, আপনার আপেক্ষিক তত্বটি একটু সহজ করে ব্যাখ্যা করুন তো!
তিনি বললেনঃ ’’যখন
তুমি একজন সুন্দরী মহিলার
পাশে বসে থাকো তখন দু’ঘণ্টাকে মনে হয়
দু’ মিনিট; আর যখন তুমি দু’ মিনিট গরম চুলার
পাশে বসে থাকো তখন দু’মিনিটকে মনে হয়
দু ঘণ্টা। এটাই হল আপেক্ষিকতাবাদ।‘’
এখন প্রশ্ন হল, এটাই কি আপেক্ষিকতা? উত্তরঃ হ্যা, তবে এটি ব্যাখ্যা না। এটি রূপক ভাবে বলেছেন, আপেক্ষিক তত্বের ।
কোরআন এও আল্লাহ বলেছেন রূপক ভাবে। আর মানুষকে এর ব্যাখ্যা করতে বলেছেন।
...আমি(আল্লাহ) এই সমস্ত দৃষ্টান্ত এ
কারণে বর্ণনা করি যাতে মানুষ এ
ব্যাপারে চিন্তা করে। (৫৯:২১)
কোরআনে আল্লাহ্ বলছেন – আনকাবুতের ৪৩ নাম্বার সুরায়,
"এ সকল উদাহরণ আমি মানুষের জন্য দেই ;কিন্তু জ্ঞানীরাই তা বোঝে।
আমার উত্তর : আপনি আইনস্টাইনের আপেক্ষিকতা বর্ণনার একটি ঘটনা বলেছেন যেটা আইনস্টাইন কৌতুক করে বলেছিল l
তারপর আপনি নিজেই প্রশ্ন করলেন "এটাই কি আপেক্ষিকতা? আবার নিজেই উত্তর দিলেন " হ্যা, তবে এটি ব্যাখ্যা না। এটি রূপক ভাবে বলেছেন, আপেক্ষিক তত্বের ।"
ভাই আপনিত আপেক্ষিকতার সূত্রটিই জানেন না l আবার পন্ডিত সাজতে এসেছেন ! এই ঘটনায় যেটা বলা হয়েছে তা কখনই আপেক্ষিকতা নয় l.
আপনাকে আগে জানতে হবে আপেক্ষিকতার সুত্রে কি বলা হয়েছে ? বলা হয়েছে দুটি ভিন্ন অবস্থানে(ভিন্ন গতির) ঘটমান দুটি ঘটনার সময়ের ব্যবধান ভিন্ন হবে l সহজ করে বুঝতে গেলে; পৃথিবীতে ঘটমান কোনো ঘটনা এবং মহাশুন্যে আলোর কাছাকাছি গতিতে চলমান বস্তুর ( মহাকাশযান) ঘটমান কোনো ঘটনার সময়ের ব্যবধান হবে ভিন্ন l অর্থাত দেখা যাবে সেই মহাকাশ যানের এক ঘন্টা অতিক্রম হয়েছে কিন্তু পৃথিবীতে এর মধ্যেই একশ বছর অতিক্রম হয়ে গেছে l আর এই নিয়ে অনেক মুভি তৈরী হয়েছে হলিউড-এ l
এটাই হচ্ছে আইনস্টাইনের আপেক্ষিকতাবাদের মূল বিষয় l
আর আপনি না বুঝেই বলে দিলেন এটাই আপেক্ষিকতা l বাহ বাহ বাহাবা !!!
কোথায় দুটি ভিন্ন ঘটনার মধ্যবর্তী সময়ের ব্যবধানের ভিন্নতা আর কোথায় দুটি পরিস্থিতিতে মনের অবস্থার ভিন্নতা ( সময়ের ভিন্নতা নয় ) ? (কত জ্ঞানী আপনারা !!!!!!!!!!!!)
(কবে যে আপনারা একটু বুদ্ধিমান হবেন আপনাদের আল্লাহই জানে !!?)
তারপর আপনি বলেছেন কোরানে আল্লাহ বলেছেন রূপকভাবে আর মানুষ কে এর ব্যাখ্যা করতে বলেছেন l ওয়াও চমত্কার ! যেখানে আল্লাহ নিজেই বলেছেন যে রূপক গুলুর ব্যাখ্যা তিনি ছাড়া কেউ করতে পারবে না আর আপনি বোকার মত বলে দিলেন কথাটা যে মানুষকে এর ব্যাখ্যা করতে বলেছেন l! ভালো ভালো !!
তারপর আপনি একটা কুরআনের আয়াত উল্লেখ করেছেন l আয়াতটি হলো :
(৫৯) সুরা আল হাশর : আয়াত ২১:
" যদি আমি এই কুরআন পাহাড়ের উপর অবতীর্ণ করতাম, তবে তুমি দেখতে যে , পাহাড় বিনীত হয়ে আল্লাহ তা'লার ভয়ে বিদীর্ণ হয়ে গেছে l আমি এসব দৃষ্টান্ত মানুষের জন্যে বর্ণনা করি , যাতে তারা চিন্তা ভাবনা করে l"
21. "Had We sent down this Qur´an on a mountain,
verily, thou wouldst have seen it humble itself and
cleave asunder for fear of Allah. Such are the
similitudes which We propound to men, that they may
reflect."
এই আয়াতে বলা হয়েছে যে যদি আল্লাহ কুরআন পাহাড় বা পর্বতের উপর অবতীর্ণ করতো তবে মুহাম্মদ স: দেখতে পেত যে পাহাড় আল্লাহর ভয়ে বিনীত হয়ে বিদীর্ণ হয়ে গেছে l আর এই সব দৃষ্টান্ত আল্লাহ এজন্য বর্ণনা করেছেন যেন মানুষ এই ব্যাপারগুলো চিন্তা ভাবনা করে এবং বুঝে l
এই আয়াতটিতে আল্লাহ কুরআনকে পারমানবিক বোমার চেয়ে অনেক শক্তিশালী বলেছেন যার ভয়ে পাহাড় বা পর্বত ধংশ হয়ে পরতো যদি এটি পাহাড়ের উপর অবতীর্ণ করা হতো l আর এই দৃষ্টান্ত গুলো এজন্যই আল্লাহ বলেছেন যেন মানুষ কুরআনের মহত্ব বুঝতে পারে l
এখানে কুরআনের শক্তির জন্য যে পাহাড় ধ্বংশ হয়ে পরতো এই কথাটা বা দৃষ্টান্তটা যেন মানুষ বুঝে এবং আল্লাহর উপর ইমান আনে সেই কথাটাই বলা হয়েছে l
কিন্তু প্রথম অংশটি বাদ দিয়ে আয়াতটি নিজের মত করে বর্ণনা করলেন যেটা জাকির নায়েক করেছে সাবলীল ভাবে আর আপনাদের প্রত্যেক মোল্লারাও এই কাজটি করে থাকে নির্লজ্জের মত l
আর আপনি কুরআনেই এই আয়াতের অপব্যাখ্যা করে যেটা বুঝতে চেয়েছেন যে মানুষ যেন রূপক আয়াত গুলো থেকে চিন্তা করে এবং এর ব্যাখ্যা বের করে l
কিন্তু এই আয়াতে বলা হয়নি যে আল্লাহ মানুষকে রূপক গুলোর ব্যাখ্যা বের করতে বলেছেন l
আপনারা কুরআনের এত অপব্যাখ্যা করেন যে আমাদের বিস্মিত হতে হয় !
তারপরে আপনি আরেকটি আয়াত তুলে ধরেছেন l আর সেটা হলো :
(২৯). সুরা অন কাবুত : আয়াত ৪৩:
" এ সকল উদাহরণ আমি মানুষের জন্যে দেই , কিন্তু জ্ঞানীরাই তা বোঝে l"
২৯:৪৩) " And such are the Parables We set forth for mankind,
but only those understand them who have
Knowledge."
এই আয়াত টিতে বলা হয়েছে যে আল্লাহ কিছু উদাহরণ মানুষের জন্য দেয় কিন্তু যারা জ্ঞানী শুধু তারাই এই উদাহরণ গুলো বুঝতে পারে l
কিন্তু কোন উদাহরণ -এর কথা বলা হয়েছে তা জানার জন্য আপনাদের এর আগের আয়াত গুলো জানতে হবে l
আসুন দেখি এই সুরার ওই আয়াতের আগের আয়াত গুলো কি বলেছে
৩৬ ও ৩৭ নাম্বার আয়াত অনুযায়ী আল্লাহ মাদইয়ানবাসীদের কাছে আয়ুবকে প্রেরণ করেছিল কিন্তু তারা তাকে মানেনি l তাই তাদেরকে ভুমিকম্পের শাস্তি দিয়েছিলেন l
৩৮ নাম্বার আয়াত অনুযায়ী আল্লাহ আদ এবং সামুদকে ধ্বংশ করেছিল তারা আল্লাহকে মানেনি বলে l
৩৯ নাম্বার আয়াত অনুযায়ী আল্লাহ কারুন , ফেরাউন ও হামান কে ধ্বংশ করে দিয়েছিলেন কারণ তারা মুসাকে মানেনি l
৪০ নাম্বার আয়াত অনুযায়ী আল্লাহ প্রত্যেককেই শাস্তি দিয়েছেন যারা তার কথা অনুযায়ী চলেনি l প্রস্তর নিক্ষেপ, প্রচন্ড বাতাস, বজ্রপাত , ভূগর্ভে বিলীন এবং পানিতে নিমজ্জন ইত্যাদির মাধ্যমে শাস্তি দিয়েছিল অবিশ্বাসীদেরকে l
৪১ নাম্বারে এইসব অবিশ্বাসীদের কে আল্লাহ মাকড়সার সাথে তুলনা করে বলেছেন তারা খুব যত্ন করে ঘর বানায় কিন্তু সেই ঘরটি সবথেকে দুর্বল কিন্তু তারা তা জানে না l তেমনি মানুষও ভুলের মধ্যে আছে l
৪২ নাম্বার অনুযায়ী -তারা যা করে আল্লাহ সব জানে l
৪৩ নাম্বার অনুযায়ী -আর উপরের এই উদাহরণ গুলো আল্লাহ মানুষের জন্য দেয় কিন্তু জ্ঞানীরাই তা বুঝতে পারে l
এবং ৪৪ নাম্বার আয়াত অনুযায়ী -আল্লাহ সবকিছু সৃষ্টি করেছেন যথার্থ ভাবে l আর এতেও নিদর্শন রয়েছে বিশ্বাসীদের জন্য l
তাহলে উপরের আয়াত গুলো থেকে আমরা দেখতে পাচ্ছি যে এখানে বলা হয়েছে আল্লাহ কিছু উদাহরণ দিয়েছেন পূর্বের মানুষদের যারা আল্লাহর আদেশ অমান্য করেছিল এবং আল্লাহ তাদের শাস্তি দিয়েছিল l আর এই উদাহরণ থেকে জ্ঞানীরা শিক্ষা নেই ও ইমান আনে l
কিন্তু বোকা শুভ্র আহমেদ কিছু না বুঝেই অথবা ভন্ডামি করে এই আয়াতের ভুল ব্যাখ্যা করছে যে এই আয়াতটিতে আল্লাহ রূপক আয়াত গুলো সম্পর্কে বলেছেন l
তাহলে এখন কি বুঝব শুভ্র আহমেদ ভাই আপনি খুব বোকা বা আপনার খুব অল্প জ্ঞান অথবা আপনিও অন্যান্য ধর্ম গুরু(ভন্ড)-দের মতো l (আমি কি ভুল বললাম ?!!)
চলবে .................
This comment has been removed by the author.
ReplyDeleteMusli kn comment haramjada
ReplyDelete