আসুন (অ)জ্ঞানী
আস্তিকদের খোড়া যুক্তি খন্ডন করি !
অসীমের সংজ্ঞানুযায়ী এই বিশ্বজগত কি চিরকাল ধরে চলে আসতে পারে ?
অর্থাত এই বিশ্ব জগত কি চিরকাল থাকা সম্ভব ?
আস্তিকরা বর্তমানে যে যুক্তিটা নাস্তিকদের বিরুদ্ধে প্রয়োগ করছে যে বিশ্বজগত চিরকাল থেকে চলে আসতে পারেনা কারণ তাহলে এই বিশ্বজগতকে অসীম সময় পার হয়ে আজকের সময়ে আসতে হবে l অর্থাত এই বিশ্ব জগত যদি চিরকাল থেকে চলে আসে তাহলে তাকে অসীম সংখ্যক ঘটনা পার হয়ে এই সময়ে আসতে হবে l কিন্তু যদি এই বিশ্বজগতের অসীম সংখ্যক ঘটনা পার হতে হয় তবে সে কখনই এই সময়ে বা বিগ ব্যাং-এর সময়ে আসতে পারবে না l কারণ তাকে অসীম কে পার হতে হবে সেটা কোনো ভাবেই সম্ভব নয় l কারণ সেটা অসীম l
আরেকটু সহজ ভাবে বললে ধরি এই বিশ্বজগত তৈরী হয়েছে বিগ ব্যাং-এর মাধ্যমে l এখন যদি এই বিশ্বজগত চিরকাল থেকে বিরাজ করে তাহলে বিগ ব্যাং -এর আগে অসীম সংখ্যক ঘটনা ঘটে যেতে হবে l এবং বিগ ব্যাং-এর সময়ে আসতে হবে l অর্থাত বিগ ব্যাং এর আগে অসীম সংখ্যক ঘটনা ঘটে যেয়ে ওই সময়ে আসতে হবে l কিন্তু অসীম সংখ্যক ঘটনা ঘটে বিগ ব্যাং -এর সময়ে আসা সম্ভব নয় l কারণ অসীমকে পার হওয়া সম্ভব নয় , কারণ সেটা অসীম l অর্থাত কখনো শেষ হবে না l তাহলে দেখা যাচ্ছে বিগ ব্যাং সংগঠিত হবার আগে যে অসীম ঘটনা সংগঠিত হওয়ার কথা সেটা শেষ হয়ে বিগ ব্যাং সংগঠিত হওয়া সম্ভব নয় l কারণ অসীম ঘটনা কখনো শেষ হবে না সেটা অসীম বলে l তাহলে তাত্বিকভাবে (থিওরিটিকেলি) অসীমের সংজ্ঞানুযায়ী বিগ ব্যাং সংগটিত হওয়া সম্ভব নয় l কিন্তু বিগ ব্যাং সংগঠিত হয়েছে l তাহলে এই বিশ্বজগত অসীম সংখ্যক ঘটনা পার হয়নি এটি সসীম সংখ্যক ঘটনা পার হয়েছে l অর্থাত এই বিশ্বজগতের একটি শুরু আছে l তাহলে অসীমের থিওরি অনুযায়ী এই বিশ্বজগত চিরকাল ধরে চলে আসেনি এটি একটি নির্দিষ্ট সময় আগে সৃষ্টি হয়েছে বা এই বিশ্বজগতের যাত্রা শুরু হয়েছে l
যুক্তি খন্ডন :
এখন ধরি কোনো একটা কিছুর মান অসীম l কিন্তু তারতো একটি শুরু আছে মানে সেটা শূন্য থেকে শুরু হয়ে ১, ২, ৩, ............................ এই ভাবে অসীমের দিকে চলে যাবে l অর্থাত সংখাটা যদিও অসীম তবুও এর একটি শুরু থাকতে হবে l অর্থাত অসীমের একটা শুরু থাকবে সেখান থেকেই শুরু হয়ে সেটা অসীমের দিকে যাবে l
যদি কোনো কিছুর মান অসীমও হয় সেটারও একটা শুরু আছে l কারণ সেটা শূন্য থেকে অসীমের দিকে যায় অর্থাত এর একটা শুরু আছে l অসীম তত্ত্ব অনুসারে এর একটি শুরু থাকতে হবে যেহেতু এটাকে শুরু হতে হবে শূন্য থেকে ১,২,৩,....... এভাবে অসীমের দিকে l এবং এর কোনো শেষ হবে না যেহেতু এটা অসীম l এখন যদি ধরি যে এই মহাবিশ্ব অসীম-এর দিকে যাচ্ছে তার মানে হলো এর একটা শুরু ছিল এবং সেই শুরু থেকেই এটা অসীমের দিকে যাচ্ছে l
আরেকটা যুক্তি হলো যে যদি কোনো ঘটনার আগে অসীম সংখ্যক ঘটনা থাকে তাহলে সেটি কোনো দিনই ঘটবে না l কারণ তার আগে ঘটে যেতে হবে অসীম সংখ্যক ঘটনা যেটা হতে পারবে না কারণ তার আগে অসীম সংখ্যক ঘটনা আছে l অর্থাত সেই ঘটনাটা কখনোই ঘটবে না l কারণ তার পূর্বে অসীম সংখ্যক ঘটনা ঘটতে হবে যেটা কখনো শেষ হবে না l তার মানে দাড়ালো সেই ঘটনাটা কখনো ঘটবে না l
তাহলে বলা যাচ্ছে যে এই বিশ্বজগত অসীম থেকে আসেনি l যেহেতু আমাদের এই বিশ্ব জগত সৃষ্টি হয়েছে তার মানে এর আগে সসীম সংখ্যক ঘটনা ঘটেছে l অসীম সংখ্যক ঘটনা ঘটেনি l অসীম সংখ্যক ঘটনা ঘটলে এই বিশ্বজগত থিওরিটিকেলি সৃষ্টি হতে পারে না l তার মানে দাড়াচ্ছে যে এই বিশ্বজগত যেহেতু সৃষ্টি হয়ে গেছে তাই এটির আগে অসীম সংখ্যক ঘটনা ঘটেনি l এর আগে সসীম সংখ্যক ঘটনা ঘটেছে l অর্থাত এর একটি শুরু ছিল l অসীম তত্ত্ব এবং সসীম তত্ত্ব অনুসারে প্রত্যেক ঘটনারই একটা শুরু থাকবে l তার মানে দাড়াচ্ছে এই বিশ্ব জগত আসলে অসীম থেকে চলে আসেনি এটির একটা শুরু আছে l আর যেহেতু এর একটি শুরু আছে তাহলে এটিকে শুরু হতে হয়েছে l এখন প্রশ্ন হলো এটি কি ভাবে শুরু হলো ? এটি কি শূন্য থেকে শুরু হলো ? যদি ধরে নেই যে এটি শূন্য থেকে শুরু হয়নি তবে দাড়াবে যে এর একটা নির্দিষ্ট পরিমান কিছু একটা ছিল l ধরি সেটা অসীম বা সসীম পরিমানে ছিল l তাহলে এখন প্রশ্ন আসে এই অসীম বা সসীম পরিমান কিছু একটা এসেছে কিভাবে অথবা কোত্থেকে l তাহলে অসীম বা সসীম এর জন্য ধরে নেব যে এর একটা শুরু থাকবে l অর্থাত এই পরিমানটা শুরু হয়েছে শূন্য থেকে l এবং শূন্য থেকে শুরু হয়ে সসীম বা অসীম পরিমানে হয়েছে l
তাহলে এই পর্যায়ে এসে আমরা দেখছি যে ওই পরিমানটা আসলে শুরু হয়েছে শূন্য থেকে l এর অর্থ দাড়াচ্ছে যে আজ পর্যন্ত মহাবিশ্বে যা কিছু হয়েছে তার সব কিছুই শুরু হয়েছে শূন্য থেকে l
কিন্তু শূন্য থেকে সব কিছু শুরু হবে কিভাবে ? আমরা জানি কোনো কিছু শূন্য থেকে তৈরী হতে পারে না l এটা একটা অসম্ভব ব্যাপার যে এটি শুরু হয়েছে শূন্য থেকে l যার এতটুকুও বুদ্ধি আছে সেও জানে যে কোনো কিছু শূন্য থেকে তৈরী হতে পারে না l অর্থাত সেই পরিমানটি শূন্য থেকে তৈরী হয়নি l তাহলে সেই পরিমানটি কিভাবে হলো ?
এখানে দুটি সম্ভাবনা থাকবে; সেই পরিমানটি যেটা থেকে বিশ্ব জগত তৈরী হলো
১. সেটা আগে থেকেই ছিল অর্থাত সেটা চিরকাল ছিল অথবা
২. কেও সেটিকে তৈরী করে দিয়েছে l
এখন যদি ধরি যে কেও সেটি তৈরী করেছে তাহলে প্রশ্ন থেকে যায় সেই কেওটি কে এবং কিভাবে সে সেই উপাদান টি তৈরী করলো l অর্থাত সেই কেওটি কি করে সেই উপাদানটি তৈরী করলো l সেকি শূন্য থেকে সেই পরিমান উপাদান টি তৈরী করেছে ? কিন্তু থিওরি (এবং সাইন্স) অনুযায়ী কোনো কিছু শূন্য থেকে তৈরী করা যাবে না l কারণ সেটা হচ্ছে শূন্য l তাহলে শূন্য থেকে তৈরী করা সম্ভব নয় l
তবুও ধরে নেই সেই কেওটি অর্থাত সৃষ্টিকর্তাটি সেই পরিমান উপাদানটা তৈরী করেছে শূন্য থেকে (যেটা অসম্ভব ) l এখন তাহলে প্রশ্ন থেকে যায় সেই কেওটি বা সৃষ্টিকর্তাটি কোথা থেকে আসলো ?
১. সে কি আগে থেকেই ছিল অর্থাত চিরকাল ছিল ২. নাকি তাকে তৈরী করা হয়েছে ?
এক্ষেত্রে প্রথমে ধরে নিলাম সে আগে থেকেই ছিল l তাহলে সে কত সময় আগে থেকে ছিল ?
এক্ষেত্রেও দুটি সম্ভাবনা থাকে ; ১. সে ছিল একটা নির্দিষ্ট সময় আগে অথবা ২. সে অনন্ত কাল আগে থেকেই ছিল অর্থাত সে অসীম কাল থেকে ছিল l
যদি ২ নাম্বার সম্ভাবনাটা ধরি তাহলে সে অনন্তকাল থেকে ছিল l আবার সেই অসীমের তত্ত্ব অনুযায়ী যদি অনন্তকাল থেকে সে থেকে থাকে তাহলে সে কখনই ওই সৃষ্টির সময়টাতে থাকবে না , কারণ তাহলে তাকে অসীম সময় পার হয়ে সেই সময়ে আসতে হবে l কিন্তু সে অসীম সময় পার হতে পারবে না l কারণ সেটা অসীম l অর্থাত সেই সৃষ্টিকর্তাটিরও একটা শুরু থাকতে হবে l
তাহলে এখানে প্রথম সম্ভাবনাটা থাকবে অর্থাত সে তৈরী হয়েছে একটা নির্দিষ্ট সময় আগে l এখন প্রশ্ন হলো সে যে সময়টাতে তৈরী হয়েছে সেটা তার হিসেবে শূন্য সময় l এখন এই সময়ে সে কিভাবে তৈরী হলো ? এক্ষেত্রেও দুইটি সম্ভাবনা থাকে - ১. সে তৈরী হয়েছে নিজে নিজে শূন্য থেকে অথবা ২. তাকে কেও সৃষ্টি করেছে l এখন ধরি প্রথম সম্ভাবনাটা সত্যি অর্থাত সে নিজে নিজে শূন্য থেকে সৃষ্টি হয়েছে l এখানে দুটি সম্ভাবনাই মিথ্যে কারণ কোনো কিছু শূন্য থেকে সৃষ্টি হতে পারবে না আবার নিজে নিজে কেও সৃষ্টি হতে পারবে না তাও আবার শূন্য থেকে l অর্থাত এই সম্ভাবনাটা সম্ভব নয় l তাহলে এখন দ্বিতীয় সম্ভাবনাটা সত্যি ধরি অর্থাত তাকে কেও সৃষ্টি করেছে l এখন প্রশ্ন আসবে তাকে কে সৃষ্টি করলো ? এক্ষেত্রেও দুটি সম্ভাবনা থাকবে অর্থাত কেও তাকে সৃষ্টি করেছে একটা নির্দিষ্ট সময় আগে অথবা সে অনন্তকাল ছিল l কিন্তু এখানে দ্বিতীয়টি মিথ্যে কারণ সে অনন্তকাল থেকে থাকতে পারবেনা l কেননা তাহলে তাকে অসীম সময় পার হতে হবে যেটা পার হয়ে ওই সময়ে সে আসতে পারবে না l ফলে এখানেও দ্বিতীয় সম্ভাবনাটা মিথ্যে l তাহলে প্রথমটিকে সত্যি ধরতে হবে অর্থাত কেও একজন তাকে সৃষ্টি করেছে l এবার তাহলে আবার প্রশ্ন আসবে সেই কেও একজন আবার আসলো কোত্থেকে l এখানেও সেই সৃষ্টিকর্তাকে নিয়ে প্রশ্ন আসবে তাহলে সে আসলো কোথা থেকে l
এটারও দুটি সম্ভাবনা থাকবে l একটি যেটি ধরতে হবে সে চিরকাল ছিল যেটা সম্ভব নয় কারণ তাকে চিরকাল থাকতে হলে অসীম সময় পার হতে হয়ে ওই সৃষ্টিকর্তাকে সৃষ্টি করতে হবে যেটা সম্ভব নয় l কারণ সেই সময়ে আসতে তাকে অসীম সময় পার হতে হচ্ছে l সেটা সম্ভব হবে না l
তাহলে ধরতে হবে তাকে কেও সৃষ্টি করেছে একটা নির্দিষ্ট সময় আগে l এখানেও একই প্রশ্ন আসবে তাকে কে সৃষ্টি করলো সেই নির্দিষ্ট সময় আগে ? এখানেও দুটি সম্ভাবনা থাকে ; তাকে কেও সৃষ্টি করেছে একটা নির্দিষ্ট সময় আগে অথবা সে চিরকাল থেকে ছিল l এখানেও দ্বিতীয়টি মিথ্যে হবে এবং প্রথম টি ধরে নিতে হবে l এভাবে চলতে থাকবে অসীম সংখ্যক ভাবে l অর্থাত এটা শেষ হবে না l কিন্তু এই অসীম সৃষ্টিকর্তাটাও একসময় শুন্যতে চলে যাবে অসীম বার এই আলোচনা করলে সেটা সম্ভব হবে না l কারণ সেটা হবে অসীম l তাহলে এই সম্ভাবনাটা একেবারেই সম্ভব না যে সেই সৃষ্টিকর্তার একজন সৃষ্টিকর্তা থাকা সম্ভব l কারণ এই অসীম তত্ত্ব অনুযায়ী সৃষ্টিকর্তা হবে অসীম l ফলে একজন সৃষ্টিকর্তা যে চিরঞ্জীবি এই সম্ভাবনা হবে শূন্য l কারণ তাকেও সৃষ্টি হতে হবে কারণ সেই সৃস্তিকর্তাও সেই অসীম সময় পার হয়ে সেই সৃষ্টির মুহুর্তে আসতে পারবে না l কারণ তাকে অসীম সময় পার হতে হবে যেটা সম্ভব নয় l
সুতরাং দ্বিতীয় সম্ভাবনাটা সম্ভব নয় l অর্থাত কেও একজন সেই মহাবিশ্বের উপাদানটা সৃষ্টি করেছে এই সম্ভাবনাটা সম্ভব নয় কারণ তাকেও অসীম সময় পার হয়ে ওই সৃষ্টির সময়ে আসতে হবে l যেটা সম্ভব নয় অর্থাত অসীম সময় পার করা সম্ভব নয় l
অর্থাত সৃষ্টিকর্তা থাকা সম্ভব নয় l
এখন প্রথম সম্ভাবনাটা ধরি সত্য অর্থাত মহাবিশ্বের মোট উপাদান চিরকাল ছিল l
এখন সেই উপাদান বিগ ব্যাং-এর সময় পর্যন্ত আসতে অসীম সময় পার হতে হবে যেহেতু সেটা চিরকাল ছিল l অর্থাত তাকে বিগ ব্যাং-এর সময় পর্যন্ত আসতে অসীম সময় পার হতে হবে l কিন্তু সেটা সম্ভব নয় কারণ অসীম সময় পার হয়ে বিগ ব্যাং-এর সময়ে আসা সম্ভব নয় l তাহলে মহাবিশের মোট উপাদান চিরকাল ছিলনা l এটি একটি নির্দিষ্ট সময় আগে ছিল l তাহলে সেই নির্দিষ্ট সময়ে সেই উপাদান কিভাবে তৈরী হলো ? এক্ষেত্রে তিনটি সম্ভাবনা ধরা যায় : ১. সেই নির্দিষ্ট সময়ে এই উপাদানটা কেও তৈরী করেছে অথবা
২ . সেটা নিজে নিজে শূন্য থেকে তৈরী হয়েছে অথবা
৩. সেটা অন্য কিছু থেকে নিজে নিজে ওই উপাদানে পরিবর্তিত হয়েছে নির্দিষ্ট সময় আগে l
এখানে প্রথম সম্ভাবনাটা সম্ভব নয় কারণ সেই উপাদানকে কেও সৃষ্টি করলে তাহলে সেই সৃষ্টি কর্তাকেও কাওকে না কাওকে সৃষ্টি করতে হবে কারণ সেই সৃষ্টিকর্তা অসীম সময় পার হয়ে সেই সময়ে আসতে পারবে না (যেহেতু অসীম সময়) l
তাহলে দ্বিতীয় সম্ভাবনাতা ধরি সত্য অর্থাত সেটা নিজে নিজে শূন্য থেকে সৃষ্টি হয়েছে l কিন্তু শূন্য থেকে নিজে নিজে কিছু সৃষ্টি হতে পারবে না l কারণ শূন্য থেকে কিছু সৃষ্টি হওয়া সম্ভব নয় কারণ সেটা শূন্য l
তাহলে তিন নাম্বার সম্ভাবনাটা সত্যি অর্থাত সেই উপাদানটা অন্য কোনো উপাদান থেকে নিজে নিজে পরিবর্তিত হয়েছে নির্দিষ্ট সময় আগে l তাহলে সেই নির্দিষ্ট সময় আগে সেটা কিভাবে সৃষ্টি হলো ?
এখানেও তিনটি সম্ভাবনা থাকে - ১. সেই নির্দিষ্ট সময়ে এই উপাদানটা কেও তৈরী করেছে অথবা
২ . সেটা নিজে নিজে শূন্য থেকে তৈরী হয়েছে অথবা
৩. সেটা অন্য কিছু থেকে নিজে নিজে ওই উপাদানে পরিবর্তিত হয়েছে নির্দিষ্ট সময় আগে l
এখানেও প্রথম সম্ভাবনাটা সম্ভব নয় কারণ সেই উপাদানটা কেও একজন সৃষ্টি করলে তাকেও অসীম সময় পার হয়ে সেই সময়ে আসতে হবে যেটা সম্ভব নয় l
আবার দ্বিতীয় সম্ভাবনাটাও সম্ভব নয় কারণ কোনো কিছু শূন্য থেকে নিজে নিজে তৈরী হতে পারবে না l
আবার তিন নাম্বার সম্ভাবনার ক্ষেত্রে সেটা নিজে নিজে অন্য উপাদান থেকে ওই উপাদানে পরিবর্তিত হয়েছে নির্দিষ্ট সময় আগে l এটা সম্ভব l
তাহলে এখানে আবার প্রশ্ন থেকে যায় যে সেই নির্দিষ্ট সময়ে ওই উপাদানটা কোত্থেকে আসলো l
এখানেও তিনটি সম্ভাবনা থাকে - ১. সেই নির্দিষ্ট সময়ে এই উপাদানটা কেও একজন তৈরী করেছে অথবা
২ . সেটা নিজে নিজে শূন্য থেকে তৈরী হয়েছে অথবা
৩. সেটা অন্য কিছু থেকে নিজে নিজে ওই উপাদানে পরিবর্তিত হয়েছে নির্দিষ্ট সময় আগে l
এখানেও প্রথম দুইটা সম্ভাবনা সম্ভব নয় l তিন নাম্বারটা সম্ভব l অর্থাত ওই উপাদানটা অন্য কিছু থেকে নিজে নিজে ওই উপাদানে পরিবর্তিত হয়েছে নির্দিষ্ট সময় আগে l
এখানেও প্রশ্ন আসবে ওই উপাদানটা আসলো কিভাবে ? এভাবে অসীম সংখ্যক বার এই সম্ভাবনা আসবে l এবং এর উত্তর পাওয়া যাবে না l
ফলে সেই অসীম সংখ্যক বার সৃষ্টি হয়ে বিগ ব্যাং-এর সময় মহাবিশ্বের সমস্ত উপাদানের উত্পত্তি হওয়া সম্ভব নয় যেহেতু তাকে অসীম সময় পার হতে হবে l কিন্তু অসীম সময় পার হওয়া সম্ভব নয় l
তাহলে দেখা যাচ্ছে কোনো ভাবেই এই বিশ্ব জগত সৃষ্টি হওয়া সম্ভব নয় যদি তাকে অসীম সময় পার হতে হয় l কিন্তু আমাদের এই বিশ্ব জগত সৃষ্টি হয়েছে l অর্থাত আমাদের এই বিশ্বজগত অসীম সময় পার হয়নি l এটি একটি সসীম বা সীমিত সময় পার হয়েছে l
তাহলে এই বিশ্বজগত একটি নির্দিষ্ট সময়ে সৃষ্টি হয়েছে এবং এটি অসীম সময়ের দিকে যাচ্ছে l
তাহলে সময়কে বিশ্বজগতের সৃষ্টির সময়ে শূন্য ধরি অর্থাত এই শূন্য সময়টাতে বিগ ব্যাং সংগঠিত হয়েছে l তাহলে এর আগে কোনো সময় ছিল না l
তাহলেও একটা প্রশ্ন থেকে যায় - যে বিগ ব্যাং -এর সময় মহাবিশ্ব সৃষ্টি হলো কিভাবে ?
এখানে তিনটি সম্ভাবনা থাকে -
১. মহাবিশ্বের সমস্ত উপাদান শূন্য থেকে সৃষ্টি হয়েছে এবং সময় সৃষ্টি হয়েছে l
২. মহাবিশ্বের সমস্ত উপাদান কেও সৃষ্টি করেছে এবং সময় সৃষ্টি হয়েছে l অথবা
৩. এই মহাবিশ্বের মোট উপাদান ছিল এবং সময় তৈরী হয়েছে l
এখন যদি প্রথম সম্ভাবনাকে সত্যি ধরি তাহলে মহাবিশ্বের মোট উপাদান বা এই মহাবিশ্ব শূন্য থেকে সৃষ্টি হয়েছে এবং সময় সৃষ্টি হয়েছে l কিন্তু কোনো কিছু শূন্য থেকে সৃষ্টি হওয়া সম্ভব নয় l কারণ সেটা শূন্য l তাহলে এটা সম্ভব নয় অর্থাত মহাবিশ্ব শূন্য থেকে সৃষ্টি হয়নি l
তাহলে দুই নাম্বার সম্ভাবনাটা সত্যি ধরি l অর্থাত মহাবিশ্বের সমস্ত উপাদান অর্থাত মহাবিশ্বটা কেও একজন সৃষ্টি করেছেন এবং সাথে সাথে সময় সৃষ্টি হয়েছে l কিন্তু যদি সময় সৃষ্টি না হয়ে থাকে তবে কোনো সৃষ্টিকর্তা থাকা সম্ভব নয় l কারণ সময়ই তৈরী হয়নি l অর্থাত এটি সত্য হতে পারে না l
তাহলে তিন নাম্বার সম্ভাবনাটা সত্যি ধরি অর্থাত মহাবিশ্বের মোট উপাদান ছিল এবং সময় তৈরী হয়েছে l অর্থাত মহাবিশ্বের মোট উপাদান ছিল এবং বিগ ব্যাং এর সাথে সাথে সময় তৈরী হয়েছে l ফলে মহাবিশের একটি শুরু আছে , এর উপাদান গুলো বিগ ব্যাং-এর মাধমে বিশ্বজগত তৈরী করে এবং বিশ্বজগতের সৃষ্টি হয় সাথে সাথে সময় সৃষ্টি হয় ফলে এই বিশ্বজগতের চিরকাল থাকার দরকার হয়না কারণ বিগ ব্যাং -এর আগে সময়ই নেই l সুতরাং এই বিশ্ব জগত চিরকাল ছিল এই তত্তের দরকার নেই l বিশ্বজগত বিগ ব্যাং এর সময় থেকে শুরু হয় এবং অনন্তকাল চলবে l ফলে অসীম নিয়ে যে সমস্যা তৈরী হয় সেটা আর থাকবে না l
বিগ ব্যাং এর আগে মহাবিশ্বের সমস্ত উপাদান ছিল l কিন্তু তখন সময় সৃষ্টি হয়নি l ফলে সমস্ত উপাদান থাকা সত্বেও সেটাকে চিরকাল থাকতে হচ্ছে না l কারণ তার আগে সময়ই সৃষ্টি হয়নি অর্থাত সময় ছিল শূন্য l এখানে সময় শূন্য মানে এর আগে কোনো সময় থাকবে না কিন্তু মহাবিশ্বের সমস্ত উপাদান ছিল যেটাকে অনন্ত সময় পারি দিতে হয়নি কারণ সময়ই ছিল না এর আগে l
অসীম তত্ত্ব অনুযায়ী কোনো তত্তই বিশ্ব জগত সৃষ্টি হবার ক্ষেত্রে খাটে না l কারণ কোনো ভাবেই অসীম সময় পার হয়ে এই বিশ্ব জগত সৃষ্টি হতে পারে না l অর্থাত এই বিশ্বজগত সৃষ্টি হতে সসীম সময়ের দরকার অর্থাত বিশ্বজগতের সৃষ্টি হয়েছে একটা নির্দিষ্ট সময়ে যেটাকে বলা হয় বিগ ব্যাং l এই তত্ত্ব অনুযায়ী মহাবিশ্বের সমস্ত উপাদান ছিল কিন্তু সময় ছিল না অর্থাত সময় তৈরী হয়নি l ফলে বিশ্বজগতের চিরকাল থাকার দরকার হয়নি l বিগ ব্যাং সংগঠিত হবার পর থেকেই সময়ের শুরু হয় অর্থাত এই বিশ্বজগতের শুরু হয় l এবং বিগ ব্যাং এর পর থেকে সময়ের যাত্রা শুরু হয় এবং এটি অসীমের দিকে চলে যাচ্ছে l অর্থাত বিগ ব্যাং -এর মাধ্যমে বিশ্বজগত সৃষ্টি এবং সময়ের সৃষ্টি হয়েছে l অর্থাত বিশ্বজগতের একটি শুরু আছে l অসীম সময় পার হয়ে আমাদের বিশ্বজগত তৈরী হয়নি l সসীম সময়েই বিশ্বজগতের যাত্রা শুরু হয় l আর বিগ ব্যাং থিওরি এই কথাটিই বলে l
বিগ ব্যাং থিওরি অনুযায়ী সময় এবং বিশ্ব জগত সৃষ্টি হয় বিগ ব্যাং -এর মাধ্যমে l
(প্রমানিত )
এখন আমরা দেখব সত্যিই কি চিরকাল এই বিশ্ব জগত থাকা সম্ভব নয় ? অর্থাত চিরকাল থাকার জন্য যে অসীম সময় পার হতে হয় সেটা কি পার হওয়া সম্ভব নয় ?
ধরি একটি সময় শূন্য থেকে শুরু হলো l এবং এটি ১, ২, ৩, .................... এভাবে অসীমের দিকে যেতে থাকলো l এখানে একটি শুরু আছে l এবং এটি অসীমের দিকে যাচ্ছে l এখন এটি আস্তে আস্তে একশ, একহাজার, একলক্ষ, এককোটি,
একশকোটি, একলক্ষকোটি এভাবে কোটি কোটি ছাড়িয়ে প্রায় অসীম বা approximately infinite (কিন্তু অসীম নয় ) এই পর্যায়ে চলে যাবে l সেটা হবে অসীমের কাছাকাছি কিন্তু অসীম নয় l এখন এই প্রায় অসীমে একটি পয়েন্ট ধরে নেই l এবং এর পর থেকে ১, ২, ৩, ............................ এভাবে ধরতে থাকি l এখন এখানেও কোটি কোটি ছাড়িয়ে এক সময় প্রায় অসীম বা approximately infinite (কিন্তু অসীম নয় ) এই পর্যায়ে চলে যাবে l সেটা হবে অসীমের কাছাকাছি কিন্তু অসীম নয় l এখানেও আরেকটি পয়েন্ট ধরি l সেটা হবে পয়েন্ট দুই l এখন তার পর থেকে গণনা করলে আবার একটা প্রায় অসীম বা approximately infinite পাওয়া যাবে l এভাবে গণনা করতে থাকলে অসংখ প্রায় অসীম পাওয়া যাবে l এখন এই প্রায় অসীম গুলো আবার একটা প্রায় অসীম তৈরী করবে অর্থাত
নতুন প্রায় অসীম = [ প্রায় অসীম১ + প্রায় অসীম২ + প্রায় অসীম৩ +............................. প্রায় অসীম
* (প্রায় অসীম) ]
আবার একই নিয়মে সেই 'নতুন প্রায় অসীম' গুলো ১, ২, ৩, ................... এভাবে প্রায় অসীম সংখ্যক 'নতুন প্রায় অসীম' তৈরী করবে l অর্থাত
আরেকটা নতুন "নতুন প্রায় অসীম" = নতুন অসীম১ + নতুন অসীম২ + নতুন অসীম৩ ..............................
+ নতুন অসীম * (প্রায়
অসীম) l
এখন নতুন "নতুন প্রায় অসীম"কে যদি আরেকটা পয়েন্ট হিসেবে ধরি তাহলে এগুলো আবার নতুন আরেকটা প্রায় অসীম তৈরী করবে অর্থাত
নতুন "নতুন নতুন প্রায় অসীম" = [নতুন নতুন প্রায় অসীম১ + নতুন নতুন প্রায় অসীম২ + নতুন নতুন প্রায় অসীম৩ + ......................+ নতুন নতুন প্রায় অসীম * (প্রায় অসীম)]
অভাবেই প্রায় অসীম গুলো তৈরী হতে হতে একটা অসীম তৈরী করবে l অর্থাত
অসীম = প্রায় অসীম * অসীম
তাহলে দেখতে পাচ্ছি শূন্য থেকে তৈরী হলেও অসীম সময় পরে তৈরী হচ্ছে অসীম সংখ্যক ঘটনা l
এখন যদি কোনো ঘটনা সেটা অসীমের কোনো একটা বিন্দুতে অবস্থিত সে যদি লক্ষ করে সে দেখবে যে তার আগে অসীম সংখ্যক ঘটনা ঘটে গেছে l এবং তার পরে অসীম সংখ্যক ঘটনা ঘটবে l এখানে শূন্য থেকে তৈরী হয়েও অসীম সময় পরে অসীমের কোনো ঘটনা দেখছে যে তার আগেও অসীম এবং তার পরেও অসীম l তখন সেই ঘটনাটির কাছে মনে হবে তার আগের ঘটনা গুলো চিরকাল ধরে হয়ে আসছে এবং তার পরের ঘটনা গুলো চিরকাল ধরে ঘটবে l অর্থাত তার কাছে মনে হবে এই ঘটে যাওয়া চিরকালের l
এখানে লক্ষ করলে দেখা যাচ্ছে যে এই সময়ের যাত্রা হয়েছে শূন্য থেকে এবং প্রায় অসীম ঘটনা ঘটে (প্রায় অসীম সময়ে) যাওয়ার পরে আরো অসীম পরিমানে ‘প্রায় অসীম’ পরিমান ঘটনা মিলে একটি অসীম জগতের সৃষ্টি হচ্ছে l অর্থাত অসীম পরিমান সসীম ঘটনা মিলে অসীম ঘটনার সৃষ্টি হচ্ছে l এখানে অসীম ঘটনা ঘটতে অসীম সময়ের দরকার হচ্ছে l
এখন যদি ধরি যে আমাদের বিশ্বজগত অসীম থেকে যাত্রা করেছে অর্থাত এর কোনো শুরু নেই এবং এটি চিরদিন ধরে চলে এসে আজকের দিন পর্যন্ত এসেছে l ফলে অসীম থেকে যাত্রা করে একে আজকের সময় পর্যন্ত আসতে অসীম সময় পারি দিতে হয়েছে l এর মানে দাড়াচ্ছে চিরদিন ধরে এই বিশ্বজগত চলছে এবং একে আজকের সময়ে আসতে হয়েছে অসীম সময় পার হয়ে l মানে চিরদিন থেকে অসীম সময় বাদ দিলে আজকের দিনটি পাওয়া যায় l যে ঘটনা টা আজ ঘটছে সেটি সংঘঠিত হতে অসীম সময় পার হতে হয়েছে l
অর্থাত আমাদের এই বিশ্বজগত অসীম থেকে চলে আসছে আর বর্তমান পর্যন্ত এসেছে সে অসীম সময় পার হয়ে l বিশ্বজগতে যে অসীম সংখ্যক ঘটনা ঘটে গেছে সেই অসীম ঘটনা গুলো ঘটতে ইতিমধ্যে অসীম সময়ের প্রয়োজন হয়েছে l এবং সেই অসীম সময় পরেই এসে পরেছে আমাদের বর্তমান বিশ্ব জগত l এবং এটি চিরকাল ধরে চলতে থাকবে যার জন্য অসীম সময়ের প্রয়োজন হবে l
আমরা আসলে চিন্তা করতে পারিনা যে অসীম সংখ্যক ঘটনাও অসীম সময়ে ঘটে যাওয়া সম্ভব l
এটা আমাদের হিসেবে অকল্পনীয় কিন্তু গণিতের মতে এই অসীম সময় পার হয়ে অসীম ঘটনা ঘটে যাওয়া সম্ভব l
এক্ষেত্রে অসীমের প্রত্যেকটি ঘটনাই অসীম সময় পর পর দেখতে থাকবে তার পূর্বের অসীম সংখ্যক ঘটনা ঘটে গেছে আর তাদের কাছে মনে হবে এই অসীম সময় পার হওয়া কখনো সম্ভব নয় l কিন্তু এটি যেহেতু অতীত অসীম থেকে ভবিষতের অসীমে যাচ্ছে ফলে অসীম সময় পর পর প্রত্যেকটি ঘটনাই ঘটবে l এবং অসীমের প্রত্যেকটি বিন্দুই দেখতে থাকবে যে তাদের ঘটনাই ঘটছে l কিন্তু তার আগে যে অসীম সময় পার হয়ে গেছে সেটা তারা বুঝতে পারবে না l বা কল্পনাও করতে পারবে না l
এখন আমরা বলতে পারি যে আমাদের বিশ্বজগত চিরদিন ছিল l সেটি চিরদিন থেকে প্রত্যেকটি ঘটনা ঘটে অসীম সময়ে আজকে এসে পরেছে l এবং এটি চিরদিন থাকবে এবং এর মধ্যে প্রত্যেকটি ঘটনা ঘটে যাবে অসীম সময়ের ব্যবধানে l এই অসীম সময়ের প্রত্যেকটি ঘটনাই ঘটে গেছে অসীম সময় পার হয়ে l এবং অসীম সময় পার হয়ে চিরদিন এই বিশ্বজগত অনন্তের দিকে যেতে থাকবে l
সসীম সসীম ঘটনা মিলেই তৈরী হয় অসীমতার l অসীম সংখ্যক সসীম ঘটনা বা সসীম সসীম সময় মিলেই এই বিশ্ব জগতের অসীমতার সৃষ্টি হয়েছে l এবং এই অসীম জগতের প্রত্যেকটি সসীম ঘটনাই ঘটেছে আর প্রত্যেকটি সসীম ঘটনাই ঘটবে l ফলে এই অসীম জগতের ধারাবাহিকতা থাকবে l এবং বিশ্বজগত অসীম থেকে অসীমের দিকে যাবে l
পরিশিষ্ট :
তাহলে অসীমের সংজ্ঞানুযায়ী কোনো ভাবেই ঈশ্বর থাকা সম্ভব হচ্ছে না l যদি অসীম ঘটনা পার হয়ে এই বিশ্বজগত তৈরী হতে না পারে তাহলে মানুষের কাল্পনিক সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্বও থাকতে পারবে না এই জগতে l তাকেও এই থিওরির বাইরে থেকে বিরাজ করা সম্ভব হবেনা l বিগ ব্যাং অথবা অসীম জগত কোনো ভাবেই ঈশ্বর থাকা সম্ভব নয় l
আবার এই বিশ্বজগত যদি অসীম সংখ্যক সসীম -সসীম সময় ও ঘটনা নিয়ে তৈরী হয়ে একটি অসীম জগত তৈরী করে তবুও কোনো সৃষ্টি কর্তা থাকা সম্ভব নয় l কারণ তখন এই বিশ্বজগত চিরকাল থেকেই বিদ্যমান ছিল l ফলে কোনো সৃষ্টিকর্তাই এই বিশ্বজগত সৃষ্টি করেননি l
সুতরাং এই বিশ্বজগতে কোনো সৃষ্টিকর্তা নেই l
(প্রমানিত )
অসীমের সংজ্ঞানুযায়ী এই বিশ্বজগত কি চিরকাল ধরে চলে আসতে পারে ?
অর্থাত এই বিশ্ব জগত কি চিরকাল থাকা সম্ভব ?
আস্তিকরা বর্তমানে যে যুক্তিটা নাস্তিকদের বিরুদ্ধে প্রয়োগ করছে যে বিশ্বজগত চিরকাল থেকে চলে আসতে পারেনা কারণ তাহলে এই বিশ্বজগতকে অসীম সময় পার হয়ে আজকের সময়ে আসতে হবে l অর্থাত এই বিশ্ব জগত যদি চিরকাল থেকে চলে আসে তাহলে তাকে অসীম সংখ্যক ঘটনা পার হয়ে এই সময়ে আসতে হবে l কিন্তু যদি এই বিশ্বজগতের অসীম সংখ্যক ঘটনা পার হতে হয় তবে সে কখনই এই সময়ে বা বিগ ব্যাং-এর সময়ে আসতে পারবে না l কারণ তাকে অসীম কে পার হতে হবে সেটা কোনো ভাবেই সম্ভব নয় l কারণ সেটা অসীম l
আরেকটু সহজ ভাবে বললে ধরি এই বিশ্বজগত তৈরী হয়েছে বিগ ব্যাং-এর মাধ্যমে l এখন যদি এই বিশ্বজগত চিরকাল থেকে বিরাজ করে তাহলে বিগ ব্যাং -এর আগে অসীম সংখ্যক ঘটনা ঘটে যেতে হবে l এবং বিগ ব্যাং-এর সময়ে আসতে হবে l অর্থাত বিগ ব্যাং এর আগে অসীম সংখ্যক ঘটনা ঘটে যেয়ে ওই সময়ে আসতে হবে l কিন্তু অসীম সংখ্যক ঘটনা ঘটে বিগ ব্যাং -এর সময়ে আসা সম্ভব নয় l কারণ অসীমকে পার হওয়া সম্ভব নয় , কারণ সেটা অসীম l অর্থাত কখনো শেষ হবে না l তাহলে দেখা যাচ্ছে বিগ ব্যাং সংগঠিত হবার আগে যে অসীম ঘটনা সংগঠিত হওয়ার কথা সেটা শেষ হয়ে বিগ ব্যাং সংগঠিত হওয়া সম্ভব নয় l কারণ অসীম ঘটনা কখনো শেষ হবে না সেটা অসীম বলে l তাহলে তাত্বিকভাবে (থিওরিটিকেলি) অসীমের সংজ্ঞানুযায়ী বিগ ব্যাং সংগটিত হওয়া সম্ভব নয় l কিন্তু বিগ ব্যাং সংগঠিত হয়েছে l তাহলে এই বিশ্বজগত অসীম সংখ্যক ঘটনা পার হয়নি এটি সসীম সংখ্যক ঘটনা পার হয়েছে l অর্থাত এই বিশ্বজগতের একটি শুরু আছে l তাহলে অসীমের থিওরি অনুযায়ী এই বিশ্বজগত চিরকাল ধরে চলে আসেনি এটি একটি নির্দিষ্ট সময় আগে সৃষ্টি হয়েছে বা এই বিশ্বজগতের যাত্রা শুরু হয়েছে l
যুক্তি খন্ডন :
এখন ধরি কোনো একটা কিছুর মান অসীম l কিন্তু তারতো একটি শুরু আছে মানে সেটা শূন্য থেকে শুরু হয়ে ১, ২, ৩, ............................ এই ভাবে অসীমের দিকে চলে যাবে l অর্থাত সংখাটা যদিও অসীম তবুও এর একটি শুরু থাকতে হবে l অর্থাত অসীমের একটা শুরু থাকবে সেখান থেকেই শুরু হয়ে সেটা অসীমের দিকে যাবে l
যদি কোনো কিছুর মান অসীমও হয় সেটারও একটা শুরু আছে l কারণ সেটা শূন্য থেকে অসীমের দিকে যায় অর্থাত এর একটা শুরু আছে l অসীম তত্ত্ব অনুসারে এর একটি শুরু থাকতে হবে যেহেতু এটাকে শুরু হতে হবে শূন্য থেকে ১,২,৩,....... এভাবে অসীমের দিকে l এবং এর কোনো শেষ হবে না যেহেতু এটা অসীম l এখন যদি ধরি যে এই মহাবিশ্ব অসীম-এর দিকে যাচ্ছে তার মানে হলো এর একটা শুরু ছিল এবং সেই শুরু থেকেই এটা অসীমের দিকে যাচ্ছে l
আরেকটা যুক্তি হলো যে যদি কোনো ঘটনার আগে অসীম সংখ্যক ঘটনা থাকে তাহলে সেটি কোনো দিনই ঘটবে না l কারণ তার আগে ঘটে যেতে হবে অসীম সংখ্যক ঘটনা যেটা হতে পারবে না কারণ তার আগে অসীম সংখ্যক ঘটনা আছে l অর্থাত সেই ঘটনাটা কখনোই ঘটবে না l কারণ তার পূর্বে অসীম সংখ্যক ঘটনা ঘটতে হবে যেটা কখনো শেষ হবে না l তার মানে দাড়ালো সেই ঘটনাটা কখনো ঘটবে না l
তাহলে বলা যাচ্ছে যে এই বিশ্বজগত অসীম থেকে আসেনি l যেহেতু আমাদের এই বিশ্ব জগত সৃষ্টি হয়েছে তার মানে এর আগে সসীম সংখ্যক ঘটনা ঘটেছে l অসীম সংখ্যক ঘটনা ঘটেনি l অসীম সংখ্যক ঘটনা ঘটলে এই বিশ্বজগত থিওরিটিকেলি সৃষ্টি হতে পারে না l তার মানে দাড়াচ্ছে যে এই বিশ্বজগত যেহেতু সৃষ্টি হয়ে গেছে তাই এটির আগে অসীম সংখ্যক ঘটনা ঘটেনি l এর আগে সসীম সংখ্যক ঘটনা ঘটেছে l অর্থাত এর একটি শুরু ছিল l অসীম তত্ত্ব এবং সসীম তত্ত্ব অনুসারে প্রত্যেক ঘটনারই একটা শুরু থাকবে l তার মানে দাড়াচ্ছে এই বিশ্ব জগত আসলে অসীম থেকে চলে আসেনি এটির একটা শুরু আছে l আর যেহেতু এর একটি শুরু আছে তাহলে এটিকে শুরু হতে হয়েছে l এখন প্রশ্ন হলো এটি কি ভাবে শুরু হলো ? এটি কি শূন্য থেকে শুরু হলো ? যদি ধরে নেই যে এটি শূন্য থেকে শুরু হয়নি তবে দাড়াবে যে এর একটা নির্দিষ্ট পরিমান কিছু একটা ছিল l ধরি সেটা অসীম বা সসীম পরিমানে ছিল l তাহলে এখন প্রশ্ন আসে এই অসীম বা সসীম পরিমান কিছু একটা এসেছে কিভাবে অথবা কোত্থেকে l তাহলে অসীম বা সসীম এর জন্য ধরে নেব যে এর একটা শুরু থাকবে l অর্থাত এই পরিমানটা শুরু হয়েছে শূন্য থেকে l এবং শূন্য থেকে শুরু হয়ে সসীম বা অসীম পরিমানে হয়েছে l
তাহলে এই পর্যায়ে এসে আমরা দেখছি যে ওই পরিমানটা আসলে শুরু হয়েছে শূন্য থেকে l এর অর্থ দাড়াচ্ছে যে আজ পর্যন্ত মহাবিশ্বে যা কিছু হয়েছে তার সব কিছুই শুরু হয়েছে শূন্য থেকে l
কিন্তু শূন্য থেকে সব কিছু শুরু হবে কিভাবে ? আমরা জানি কোনো কিছু শূন্য থেকে তৈরী হতে পারে না l এটা একটা অসম্ভব ব্যাপার যে এটি শুরু হয়েছে শূন্য থেকে l যার এতটুকুও বুদ্ধি আছে সেও জানে যে কোনো কিছু শূন্য থেকে তৈরী হতে পারে না l অর্থাত সেই পরিমানটি শূন্য থেকে তৈরী হয়নি l তাহলে সেই পরিমানটি কিভাবে হলো ?
এখানে দুটি সম্ভাবনা থাকবে; সেই পরিমানটি যেটা থেকে বিশ্ব জগত তৈরী হলো
১. সেটা আগে থেকেই ছিল অর্থাত সেটা চিরকাল ছিল অথবা
২. কেও সেটিকে তৈরী করে দিয়েছে l
এখন যদি ধরি যে কেও সেটি তৈরী করেছে তাহলে প্রশ্ন থেকে যায় সেই কেওটি কে এবং কিভাবে সে সেই উপাদান টি তৈরী করলো l অর্থাত সেই কেওটি কি করে সেই উপাদানটি তৈরী করলো l সেকি শূন্য থেকে সেই পরিমান উপাদান টি তৈরী করেছে ? কিন্তু থিওরি (এবং সাইন্স) অনুযায়ী কোনো কিছু শূন্য থেকে তৈরী করা যাবে না l কারণ সেটা হচ্ছে শূন্য l তাহলে শূন্য থেকে তৈরী করা সম্ভব নয় l
তবুও ধরে নেই সেই কেওটি অর্থাত সৃষ্টিকর্তাটি সেই পরিমান উপাদানটা তৈরী করেছে শূন্য থেকে (যেটা অসম্ভব ) l এখন তাহলে প্রশ্ন থেকে যায় সেই কেওটি বা সৃষ্টিকর্তাটি কোথা থেকে আসলো ?
১. সে কি আগে থেকেই ছিল অর্থাত চিরকাল ছিল ২. নাকি তাকে তৈরী করা হয়েছে ?
এক্ষেত্রে প্রথমে ধরে নিলাম সে আগে থেকেই ছিল l তাহলে সে কত সময় আগে থেকে ছিল ?
এক্ষেত্রেও দুটি সম্ভাবনা থাকে ; ১. সে ছিল একটা নির্দিষ্ট সময় আগে অথবা ২. সে অনন্ত কাল আগে থেকেই ছিল অর্থাত সে অসীম কাল থেকে ছিল l
যদি ২ নাম্বার সম্ভাবনাটা ধরি তাহলে সে অনন্তকাল থেকে ছিল l আবার সেই অসীমের তত্ত্ব অনুযায়ী যদি অনন্তকাল থেকে সে থেকে থাকে তাহলে সে কখনই ওই সৃষ্টির সময়টাতে থাকবে না , কারণ তাহলে তাকে অসীম সময় পার হয়ে সেই সময়ে আসতে হবে l কিন্তু সে অসীম সময় পার হতে পারবে না l কারণ সেটা অসীম l অর্থাত সেই সৃষ্টিকর্তাটিরও একটা শুরু থাকতে হবে l
তাহলে এখানে প্রথম সম্ভাবনাটা থাকবে অর্থাত সে তৈরী হয়েছে একটা নির্দিষ্ট সময় আগে l এখন প্রশ্ন হলো সে যে সময়টাতে তৈরী হয়েছে সেটা তার হিসেবে শূন্য সময় l এখন এই সময়ে সে কিভাবে তৈরী হলো ? এক্ষেত্রেও দুইটি সম্ভাবনা থাকে - ১. সে তৈরী হয়েছে নিজে নিজে শূন্য থেকে অথবা ২. তাকে কেও সৃষ্টি করেছে l এখন ধরি প্রথম সম্ভাবনাটা সত্যি অর্থাত সে নিজে নিজে শূন্য থেকে সৃষ্টি হয়েছে l এখানে দুটি সম্ভাবনাই মিথ্যে কারণ কোনো কিছু শূন্য থেকে সৃষ্টি হতে পারবে না আবার নিজে নিজে কেও সৃষ্টি হতে পারবে না তাও আবার শূন্য থেকে l অর্থাত এই সম্ভাবনাটা সম্ভব নয় l তাহলে এখন দ্বিতীয় সম্ভাবনাটা সত্যি ধরি অর্থাত তাকে কেও সৃষ্টি করেছে l এখন প্রশ্ন আসবে তাকে কে সৃষ্টি করলো ? এক্ষেত্রেও দুটি সম্ভাবনা থাকবে অর্থাত কেও তাকে সৃষ্টি করেছে একটা নির্দিষ্ট সময় আগে অথবা সে অনন্তকাল ছিল l কিন্তু এখানে দ্বিতীয়টি মিথ্যে কারণ সে অনন্তকাল থেকে থাকতে পারবেনা l কেননা তাহলে তাকে অসীম সময় পার হতে হবে যেটা পার হয়ে ওই সময়ে সে আসতে পারবে না l ফলে এখানেও দ্বিতীয় সম্ভাবনাটা মিথ্যে l তাহলে প্রথমটিকে সত্যি ধরতে হবে অর্থাত কেও একজন তাকে সৃষ্টি করেছে l এবার তাহলে আবার প্রশ্ন আসবে সেই কেও একজন আবার আসলো কোত্থেকে l এখানেও সেই সৃষ্টিকর্তাকে নিয়ে প্রশ্ন আসবে তাহলে সে আসলো কোথা থেকে l
এটারও দুটি সম্ভাবনা থাকবে l একটি যেটি ধরতে হবে সে চিরকাল ছিল যেটা সম্ভব নয় কারণ তাকে চিরকাল থাকতে হলে অসীম সময় পার হতে হয়ে ওই সৃষ্টিকর্তাকে সৃষ্টি করতে হবে যেটা সম্ভব নয় l কারণ সেই সময়ে আসতে তাকে অসীম সময় পার হতে হচ্ছে l সেটা সম্ভব হবে না l
তাহলে ধরতে হবে তাকে কেও সৃষ্টি করেছে একটা নির্দিষ্ট সময় আগে l এখানেও একই প্রশ্ন আসবে তাকে কে সৃষ্টি করলো সেই নির্দিষ্ট সময় আগে ? এখানেও দুটি সম্ভাবনা থাকে ; তাকে কেও সৃষ্টি করেছে একটা নির্দিষ্ট সময় আগে অথবা সে চিরকাল থেকে ছিল l এখানেও দ্বিতীয়টি মিথ্যে হবে এবং প্রথম টি ধরে নিতে হবে l এভাবে চলতে থাকবে অসীম সংখ্যক ভাবে l অর্থাত এটা শেষ হবে না l কিন্তু এই অসীম সৃষ্টিকর্তাটাও একসময় শুন্যতে চলে যাবে অসীম বার এই আলোচনা করলে সেটা সম্ভব হবে না l কারণ সেটা হবে অসীম l তাহলে এই সম্ভাবনাটা একেবারেই সম্ভব না যে সেই সৃষ্টিকর্তার একজন সৃষ্টিকর্তা থাকা সম্ভব l কারণ এই অসীম তত্ত্ব অনুযায়ী সৃষ্টিকর্তা হবে অসীম l ফলে একজন সৃষ্টিকর্তা যে চিরঞ্জীবি এই সম্ভাবনা হবে শূন্য l কারণ তাকেও সৃষ্টি হতে হবে কারণ সেই সৃস্তিকর্তাও সেই অসীম সময় পার হয়ে সেই সৃষ্টির মুহুর্তে আসতে পারবে না l কারণ তাকে অসীম সময় পার হতে হবে যেটা সম্ভব নয় l
সুতরাং দ্বিতীয় সম্ভাবনাটা সম্ভব নয় l অর্থাত কেও একজন সেই মহাবিশ্বের উপাদানটা সৃষ্টি করেছে এই সম্ভাবনাটা সম্ভব নয় কারণ তাকেও অসীম সময় পার হয়ে ওই সৃষ্টির সময়ে আসতে হবে l যেটা সম্ভব নয় অর্থাত অসীম সময় পার করা সম্ভব নয় l
অর্থাত সৃষ্টিকর্তা থাকা সম্ভব নয় l
এখন প্রথম সম্ভাবনাটা ধরি সত্য অর্থাত মহাবিশ্বের মোট উপাদান চিরকাল ছিল l
এখন সেই উপাদান বিগ ব্যাং-এর সময় পর্যন্ত আসতে অসীম সময় পার হতে হবে যেহেতু সেটা চিরকাল ছিল l অর্থাত তাকে বিগ ব্যাং-এর সময় পর্যন্ত আসতে অসীম সময় পার হতে হবে l কিন্তু সেটা সম্ভব নয় কারণ অসীম সময় পার হয়ে বিগ ব্যাং-এর সময়ে আসা সম্ভব নয় l তাহলে মহাবিশের মোট উপাদান চিরকাল ছিলনা l এটি একটি নির্দিষ্ট সময় আগে ছিল l তাহলে সেই নির্দিষ্ট সময়ে সেই উপাদান কিভাবে তৈরী হলো ? এক্ষেত্রে তিনটি সম্ভাবনা ধরা যায় : ১. সেই নির্দিষ্ট সময়ে এই উপাদানটা কেও তৈরী করেছে অথবা
২ . সেটা নিজে নিজে শূন্য থেকে তৈরী হয়েছে অথবা
৩. সেটা অন্য কিছু থেকে নিজে নিজে ওই উপাদানে পরিবর্তিত হয়েছে নির্দিষ্ট সময় আগে l
এখানে প্রথম সম্ভাবনাটা সম্ভব নয় কারণ সেই উপাদানকে কেও সৃষ্টি করলে তাহলে সেই সৃষ্টি কর্তাকেও কাওকে না কাওকে সৃষ্টি করতে হবে কারণ সেই সৃষ্টিকর্তা অসীম সময় পার হয়ে সেই সময়ে আসতে পারবে না (যেহেতু অসীম সময়) l
তাহলে দ্বিতীয় সম্ভাবনাতা ধরি সত্য অর্থাত সেটা নিজে নিজে শূন্য থেকে সৃষ্টি হয়েছে l কিন্তু শূন্য থেকে নিজে নিজে কিছু সৃষ্টি হতে পারবে না l কারণ শূন্য থেকে কিছু সৃষ্টি হওয়া সম্ভব নয় কারণ সেটা শূন্য l
তাহলে তিন নাম্বার সম্ভাবনাটা সত্যি অর্থাত সেই উপাদানটা অন্য কোনো উপাদান থেকে নিজে নিজে পরিবর্তিত হয়েছে নির্দিষ্ট সময় আগে l তাহলে সেই নির্দিষ্ট সময় আগে সেটা কিভাবে সৃষ্টি হলো ?
এখানেও তিনটি সম্ভাবনা থাকে - ১. সেই নির্দিষ্ট সময়ে এই উপাদানটা কেও তৈরী করেছে অথবা
২ . সেটা নিজে নিজে শূন্য থেকে তৈরী হয়েছে অথবা
৩. সেটা অন্য কিছু থেকে নিজে নিজে ওই উপাদানে পরিবর্তিত হয়েছে নির্দিষ্ট সময় আগে l
এখানেও প্রথম সম্ভাবনাটা সম্ভব নয় কারণ সেই উপাদানটা কেও একজন সৃষ্টি করলে তাকেও অসীম সময় পার হয়ে সেই সময়ে আসতে হবে যেটা সম্ভব নয় l
আবার দ্বিতীয় সম্ভাবনাটাও সম্ভব নয় কারণ কোনো কিছু শূন্য থেকে নিজে নিজে তৈরী হতে পারবে না l
আবার তিন নাম্বার সম্ভাবনার ক্ষেত্রে সেটা নিজে নিজে অন্য উপাদান থেকে ওই উপাদানে পরিবর্তিত হয়েছে নির্দিষ্ট সময় আগে l এটা সম্ভব l
তাহলে এখানে আবার প্রশ্ন থেকে যায় যে সেই নির্দিষ্ট সময়ে ওই উপাদানটা কোত্থেকে আসলো l
এখানেও তিনটি সম্ভাবনা থাকে - ১. সেই নির্দিষ্ট সময়ে এই উপাদানটা কেও একজন তৈরী করেছে অথবা
২ . সেটা নিজে নিজে শূন্য থেকে তৈরী হয়েছে অথবা
৩. সেটা অন্য কিছু থেকে নিজে নিজে ওই উপাদানে পরিবর্তিত হয়েছে নির্দিষ্ট সময় আগে l
এখানেও প্রথম দুইটা সম্ভাবনা সম্ভব নয় l তিন নাম্বারটা সম্ভব l অর্থাত ওই উপাদানটা অন্য কিছু থেকে নিজে নিজে ওই উপাদানে পরিবর্তিত হয়েছে নির্দিষ্ট সময় আগে l
এখানেও প্রশ্ন আসবে ওই উপাদানটা আসলো কিভাবে ? এভাবে অসীম সংখ্যক বার এই সম্ভাবনা আসবে l এবং এর উত্তর পাওয়া যাবে না l
ফলে সেই অসীম সংখ্যক বার সৃষ্টি হয়ে বিগ ব্যাং-এর সময় মহাবিশ্বের সমস্ত উপাদানের উত্পত্তি হওয়া সম্ভব নয় যেহেতু তাকে অসীম সময় পার হতে হবে l কিন্তু অসীম সময় পার হওয়া সম্ভব নয় l
তাহলে দেখা যাচ্ছে কোনো ভাবেই এই বিশ্ব জগত সৃষ্টি হওয়া সম্ভব নয় যদি তাকে অসীম সময় পার হতে হয় l কিন্তু আমাদের এই বিশ্ব জগত সৃষ্টি হয়েছে l অর্থাত আমাদের এই বিশ্বজগত অসীম সময় পার হয়নি l এটি একটি সসীম বা সীমিত সময় পার হয়েছে l
তাহলে এই বিশ্বজগত একটি নির্দিষ্ট সময়ে সৃষ্টি হয়েছে এবং এটি অসীম সময়ের দিকে যাচ্ছে l
তাহলে সময়কে বিশ্বজগতের সৃষ্টির সময়ে শূন্য ধরি অর্থাত এই শূন্য সময়টাতে বিগ ব্যাং সংগঠিত হয়েছে l তাহলে এর আগে কোনো সময় ছিল না l
তাহলেও একটা প্রশ্ন থেকে যায় - যে বিগ ব্যাং -এর সময় মহাবিশ্ব সৃষ্টি হলো কিভাবে ?
এখানে তিনটি সম্ভাবনা থাকে -
১. মহাবিশ্বের সমস্ত উপাদান শূন্য থেকে সৃষ্টি হয়েছে এবং সময় সৃষ্টি হয়েছে l
২. মহাবিশ্বের সমস্ত উপাদান কেও সৃষ্টি করেছে এবং সময় সৃষ্টি হয়েছে l অথবা
৩. এই মহাবিশ্বের মোট উপাদান ছিল এবং সময় তৈরী হয়েছে l
এখন যদি প্রথম সম্ভাবনাকে সত্যি ধরি তাহলে মহাবিশ্বের মোট উপাদান বা এই মহাবিশ্ব শূন্য থেকে সৃষ্টি হয়েছে এবং সময় সৃষ্টি হয়েছে l কিন্তু কোনো কিছু শূন্য থেকে সৃষ্টি হওয়া সম্ভব নয় l কারণ সেটা শূন্য l তাহলে এটা সম্ভব নয় অর্থাত মহাবিশ্ব শূন্য থেকে সৃষ্টি হয়নি l
তাহলে দুই নাম্বার সম্ভাবনাটা সত্যি ধরি l অর্থাত মহাবিশ্বের সমস্ত উপাদান অর্থাত মহাবিশ্বটা কেও একজন সৃষ্টি করেছেন এবং সাথে সাথে সময় সৃষ্টি হয়েছে l কিন্তু যদি সময় সৃষ্টি না হয়ে থাকে তবে কোনো সৃষ্টিকর্তা থাকা সম্ভব নয় l কারণ সময়ই তৈরী হয়নি l অর্থাত এটি সত্য হতে পারে না l
তাহলে তিন নাম্বার সম্ভাবনাটা সত্যি ধরি অর্থাত মহাবিশ্বের মোট উপাদান ছিল এবং সময় তৈরী হয়েছে l অর্থাত মহাবিশ্বের মোট উপাদান ছিল এবং বিগ ব্যাং এর সাথে সাথে সময় তৈরী হয়েছে l ফলে মহাবিশের একটি শুরু আছে , এর উপাদান গুলো বিগ ব্যাং-এর মাধমে বিশ্বজগত তৈরী করে এবং বিশ্বজগতের সৃষ্টি হয় সাথে সাথে সময় সৃষ্টি হয় ফলে এই বিশ্বজগতের চিরকাল থাকার দরকার হয়না কারণ বিগ ব্যাং -এর আগে সময়ই নেই l সুতরাং এই বিশ্ব জগত চিরকাল ছিল এই তত্তের দরকার নেই l বিশ্বজগত বিগ ব্যাং এর সময় থেকে শুরু হয় এবং অনন্তকাল চলবে l ফলে অসীম নিয়ে যে সমস্যা তৈরী হয় সেটা আর থাকবে না l
বিগ ব্যাং এর আগে মহাবিশ্বের সমস্ত উপাদান ছিল l কিন্তু তখন সময় সৃষ্টি হয়নি l ফলে সমস্ত উপাদান থাকা সত্বেও সেটাকে চিরকাল থাকতে হচ্ছে না l কারণ তার আগে সময়ই সৃষ্টি হয়নি অর্থাত সময় ছিল শূন্য l এখানে সময় শূন্য মানে এর আগে কোনো সময় থাকবে না কিন্তু মহাবিশ্বের সমস্ত উপাদান ছিল যেটাকে অনন্ত সময় পারি দিতে হয়নি কারণ সময়ই ছিল না এর আগে l
অসীম তত্ত্ব অনুযায়ী কোনো তত্তই বিশ্ব জগত সৃষ্টি হবার ক্ষেত্রে খাটে না l কারণ কোনো ভাবেই অসীম সময় পার হয়ে এই বিশ্ব জগত সৃষ্টি হতে পারে না l অর্থাত এই বিশ্বজগত সৃষ্টি হতে সসীম সময়ের দরকার অর্থাত বিশ্বজগতের সৃষ্টি হয়েছে একটা নির্দিষ্ট সময়ে যেটাকে বলা হয় বিগ ব্যাং l এই তত্ত্ব অনুযায়ী মহাবিশ্বের সমস্ত উপাদান ছিল কিন্তু সময় ছিল না অর্থাত সময় তৈরী হয়নি l ফলে বিশ্বজগতের চিরকাল থাকার দরকার হয়নি l বিগ ব্যাং সংগঠিত হবার পর থেকেই সময়ের শুরু হয় অর্থাত এই বিশ্বজগতের শুরু হয় l এবং বিগ ব্যাং এর পর থেকে সময়ের যাত্রা শুরু হয় এবং এটি অসীমের দিকে চলে যাচ্ছে l অর্থাত বিগ ব্যাং -এর মাধ্যমে বিশ্বজগত সৃষ্টি এবং সময়ের সৃষ্টি হয়েছে l অর্থাত বিশ্বজগতের একটি শুরু আছে l অসীম সময় পার হয়ে আমাদের বিশ্বজগত তৈরী হয়নি l সসীম সময়েই বিশ্বজগতের যাত্রা শুরু হয় l আর বিগ ব্যাং থিওরি এই কথাটিই বলে l
বিগ ব্যাং থিওরি অনুযায়ী সময় এবং বিশ্ব জগত সৃষ্টি হয় বিগ ব্যাং -এর মাধ্যমে l
(প্রমানিত )
এখন আমরা দেখব সত্যিই কি চিরকাল এই বিশ্ব জগত থাকা সম্ভব নয় ? অর্থাত চিরকাল থাকার জন্য যে অসীম সময় পার হতে হয় সেটা কি পার হওয়া সম্ভব নয় ?
ধরি একটি সময় শূন্য থেকে শুরু হলো l এবং এটি ১, ২, ৩, .................... এভাবে অসীমের দিকে যেতে থাকলো l এখানে একটি শুরু আছে l এবং এটি অসীমের দিকে যাচ্ছে l এখন এটি আস্তে আস্তে একশ, একহাজার, একলক্ষ, এককোটি,
একশকোটি, একলক্ষকোটি এভাবে কোটি কোটি ছাড়িয়ে প্রায় অসীম বা approximately infinite (কিন্তু অসীম নয় ) এই পর্যায়ে চলে যাবে l সেটা হবে অসীমের কাছাকাছি কিন্তু অসীম নয় l এখন এই প্রায় অসীমে একটি পয়েন্ট ধরে নেই l এবং এর পর থেকে ১, ২, ৩, ............................ এভাবে ধরতে থাকি l এখন এখানেও কোটি কোটি ছাড়িয়ে এক সময় প্রায় অসীম বা approximately infinite (কিন্তু অসীম নয় ) এই পর্যায়ে চলে যাবে l সেটা হবে অসীমের কাছাকাছি কিন্তু অসীম নয় l এখানেও আরেকটি পয়েন্ট ধরি l সেটা হবে পয়েন্ট দুই l এখন তার পর থেকে গণনা করলে আবার একটা প্রায় অসীম বা approximately infinite পাওয়া যাবে l এভাবে গণনা করতে থাকলে অসংখ প্রায় অসীম পাওয়া যাবে l এখন এই প্রায় অসীম গুলো আবার একটা প্রায় অসীম তৈরী করবে অর্থাত
নতুন প্রায় অসীম = [ প্রায় অসীম১ + প্রায় অসীম২ + প্রায় অসীম৩ +.............................
আবার একই নিয়মে সেই 'নতুন প্রায় অসীম' গুলো ১, ২, ৩, ................... এভাবে প্রায় অসীম সংখ্যক 'নতুন প্রায় অসীম' তৈরী করবে l অর্থাত
আরেকটা নতুন "নতুন প্রায় অসীম" = নতুন অসীম১ + নতুন অসীম২ + নতুন অসীম৩ ..............................
এখন নতুন "নতুন প্রায় অসীম"কে যদি আরেকটা পয়েন্ট হিসেবে ধরি তাহলে এগুলো আবার নতুন আরেকটা প্রায় অসীম তৈরী করবে অর্থাত
নতুন "নতুন নতুন প্রায় অসীম" = [নতুন নতুন প্রায় অসীম১ + নতুন নতুন প্রায় অসীম২ + নতুন নতুন প্রায় অসীম৩ + ......................+ নতুন নতুন প্রায় অসীম * (প্রায় অসীম)]
অভাবেই প্রায় অসীম গুলো তৈরী হতে হতে একটা অসীম তৈরী করবে l অর্থাত
অসীম = প্রায় অসীম * অসীম
তাহলে দেখতে পাচ্ছি শূন্য থেকে তৈরী হলেও অসীম সময় পরে তৈরী হচ্ছে অসীম সংখ্যক ঘটনা l
এখন যদি কোনো ঘটনা সেটা অসীমের কোনো একটা বিন্দুতে অবস্থিত সে যদি লক্ষ করে সে দেখবে যে তার আগে অসীম সংখ্যক ঘটনা ঘটে গেছে l এবং তার পরে অসীম সংখ্যক ঘটনা ঘটবে l এখানে শূন্য থেকে তৈরী হয়েও অসীম সময় পরে অসীমের কোনো ঘটনা দেখছে যে তার আগেও অসীম এবং তার পরেও অসীম l তখন সেই ঘটনাটির কাছে মনে হবে তার আগের ঘটনা গুলো চিরকাল ধরে হয়ে আসছে এবং তার পরের ঘটনা গুলো চিরকাল ধরে ঘটবে l অর্থাত তার কাছে মনে হবে এই ঘটে যাওয়া চিরকালের l
এখানে লক্ষ করলে দেখা যাচ্ছে যে এই সময়ের যাত্রা হয়েছে শূন্য থেকে এবং প্রায় অসীম ঘটনা ঘটে (প্রায় অসীম সময়ে) যাওয়ার পরে আরো অসীম পরিমানে ‘প্রায় অসীম’ পরিমান ঘটনা মিলে একটি অসীম জগতের সৃষ্টি হচ্ছে l অর্থাত অসীম পরিমান সসীম ঘটনা মিলে অসীম ঘটনার সৃষ্টি হচ্ছে l এখানে অসীম ঘটনা ঘটতে অসীম সময়ের দরকার হচ্ছে l
এখন যদি ধরি যে আমাদের বিশ্বজগত অসীম থেকে যাত্রা করেছে অর্থাত এর কোনো শুরু নেই এবং এটি চিরদিন ধরে চলে এসে আজকের দিন পর্যন্ত এসেছে l ফলে অসীম থেকে যাত্রা করে একে আজকের সময় পর্যন্ত আসতে অসীম সময় পারি দিতে হয়েছে l এর মানে দাড়াচ্ছে চিরদিন ধরে এই বিশ্বজগত চলছে এবং একে আজকের সময়ে আসতে হয়েছে অসীম সময় পার হয়ে l মানে চিরদিন থেকে অসীম সময় বাদ দিলে আজকের দিনটি পাওয়া যায় l যে ঘটনা টা আজ ঘটছে সেটি সংঘঠিত হতে অসীম সময় পার হতে হয়েছে l
অর্থাত আমাদের এই বিশ্বজগত অসীম থেকে চলে আসছে আর বর্তমান পর্যন্ত এসেছে সে অসীম সময় পার হয়ে l বিশ্বজগতে যে অসীম সংখ্যক ঘটনা ঘটে গেছে সেই অসীম ঘটনা গুলো ঘটতে ইতিমধ্যে অসীম সময়ের প্রয়োজন হয়েছে l এবং সেই অসীম সময় পরেই এসে পরেছে আমাদের বর্তমান বিশ্ব জগত l এবং এটি চিরকাল ধরে চলতে থাকবে যার জন্য অসীম সময়ের প্রয়োজন হবে l
আমরা আসলে চিন্তা করতে পারিনা যে অসীম সংখ্যক ঘটনাও অসীম সময়ে ঘটে যাওয়া সম্ভব l
এটা আমাদের হিসেবে অকল্পনীয় কিন্তু গণিতের মতে এই অসীম সময় পার হয়ে অসীম ঘটনা ঘটে যাওয়া সম্ভব l
এক্ষেত্রে অসীমের প্রত্যেকটি ঘটনাই অসীম সময় পর পর দেখতে থাকবে তার পূর্বের অসীম সংখ্যক ঘটনা ঘটে গেছে আর তাদের কাছে মনে হবে এই অসীম সময় পার হওয়া কখনো সম্ভব নয় l কিন্তু এটি যেহেতু অতীত অসীম থেকে ভবিষতের অসীমে যাচ্ছে ফলে অসীম সময় পর পর প্রত্যেকটি ঘটনাই ঘটবে l এবং অসীমের প্রত্যেকটি বিন্দুই দেখতে থাকবে যে তাদের ঘটনাই ঘটছে l কিন্তু তার আগে যে অসীম সময় পার হয়ে গেছে সেটা তারা বুঝতে পারবে না l বা কল্পনাও করতে পারবে না l
এখন আমরা বলতে পারি যে আমাদের বিশ্বজগত চিরদিন ছিল l সেটি চিরদিন থেকে প্রত্যেকটি ঘটনা ঘটে অসীম সময়ে আজকে এসে পরেছে l এবং এটি চিরদিন থাকবে এবং এর মধ্যে প্রত্যেকটি ঘটনা ঘটে যাবে অসীম সময়ের ব্যবধানে l এই অসীম সময়ের প্রত্যেকটি ঘটনাই ঘটে গেছে অসীম সময় পার হয়ে l এবং অসীম সময় পার হয়ে চিরদিন এই বিশ্বজগত অনন্তের দিকে যেতে থাকবে l
সসীম সসীম ঘটনা মিলেই তৈরী হয় অসীমতার l অসীম সংখ্যক সসীম ঘটনা বা সসীম সসীম সময় মিলেই এই বিশ্ব জগতের অসীমতার সৃষ্টি হয়েছে l এবং এই অসীম জগতের প্রত্যেকটি সসীম ঘটনাই ঘটেছে আর প্রত্যেকটি সসীম ঘটনাই ঘটবে l ফলে এই অসীম জগতের ধারাবাহিকতা থাকবে l এবং বিশ্বজগত অসীম থেকে অসীমের দিকে যাবে l
পরিশিষ্ট :
তাহলে অসীমের সংজ্ঞানুযায়ী কোনো ভাবেই ঈশ্বর থাকা সম্ভব হচ্ছে না l যদি অসীম ঘটনা পার হয়ে এই বিশ্বজগত তৈরী হতে না পারে তাহলে মানুষের কাল্পনিক সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্বও থাকতে পারবে না এই জগতে l তাকেও এই থিওরির বাইরে থেকে বিরাজ করা সম্ভব হবেনা l বিগ ব্যাং অথবা অসীম জগত কোনো ভাবেই ঈশ্বর থাকা সম্ভব নয় l
আবার এই বিশ্বজগত যদি অসীম সংখ্যক সসীম -সসীম সময় ও ঘটনা নিয়ে তৈরী হয়ে একটি অসীম জগত তৈরী করে তবুও কোনো সৃষ্টি কর্তা থাকা সম্ভব নয় l কারণ তখন এই বিশ্বজগত চিরকাল থেকেই বিদ্যমান ছিল l ফলে কোনো সৃষ্টিকর্তাই এই বিশ্বজগত সৃষ্টি করেননি l
সুতরাং এই বিশ্বজগতে কোনো সৃষ্টিকর্তা নেই l
(প্রমানিত )
No comments:
Post a Comment