বিজ্ঞানের
ভুল ব্যাখ্যা : পর্ব -১ :
জাকির নায়েকের বিগ ব্যাং সম্পর্কে মিথ্যাচার ( নাকি অজ্ঞতা ?) :
(হিন্দু বা অন্য ধর্মের আস্তিকরা যেন দাত না কেলায় l কারণ তাদের ধর্মের ভন্ডদেরও মিথ্যা চারের বিরুদ্ধে লেখা হবে )
বিশিষ্ট ইসলামিক বক্তা জাকির নায়েক তার 'কোরান ও আধুনিক বিজ্ঞান : বিরোধ নাকি সাদৃশ্য' বক্তব্যের কিছু অংশ এখানে তুলে ধরা হলো :
জাকির নায়েক তার বক্তব্যে বলেন, ' যদি কোনো বিজ্ঞানীকে জিজ্ঞেস করেন কিভাবে আমাদের বিশ্বজগত সৃষ্টি হয়েছে সে বলবে বিগ ব্যাং থিওরির কথা l প্রথমে এই বিশ্ব জগতের সমস্ত উপাদান ছিল একটা বিন্দুতে , তারপর সেখানে একটা বিস্ফোরণ হলো , সৃষ্টি হলো ছায়াপথ l সেটা আবারো খন্ড বিখন্ড হয়ে তৈরী হলো বিভিন্ন সৌরজগত , l সেখানে তৈরী হলো বিভিন্ন গ্রহ , সূর্য আর আমরা যে গ্রহে বাস করি সেই পৃথিবী l
আমি আমার বক্তৃতার শুরুতে একটি আয়াতের উদ্ধৃতি দিয়েছিলাম, সুরা আল আম্বিয়ার ৩০ নাম্বার আয়াতে উল্লেখ করা আছে,
" অবিশ্বাসীরা কি ভাবিয়া দেখে না , আকাশ মন্ডলী ও পৃথিবী মিশিয়া ছিল ওতপ্রত ভাবে l অতপর আমি উভয়কে পৃথক করে দিলাম l"
পবিত্র কোরআনের এই আয়াতে বিগ ব্যাং থিওরি বর্ণনা করা হয়েছে খুব সংক্ষেপে l
চিন্তা করেন আমরা যে কথাটা জানলাম আজকে পবিত্র কুরআন এ কথাটা বলেছে চোদ্দশো বছর আগে l
এছাড়াও পবিত্র কুরআনে আছে , সুরা ফসিলতের ১১ নাম্বার আয়াতে উল্লেখ করা আছে যে
" অতপর তিনি আকাশের দিকে মনোনিবেশ করেন যাহা ছিল ধুম্রপুঞ্জ বিশেষ , অনন্তের দিকে উহাকে এবং পৃথিবীকে বললেন তোমরা আসো ইচ্ছায় অথবা অনিচ্ছায় এবং উভয়ে বলিল আমরা আসলাম একান্ত অনুগত হইয়া l"
যে আরবি শব্দটি এখানে বলা হয়েছে সেটা 'দুখান' যার অর্থ ধোয়া l
কোনো বিজ্ঞানীকে প্রশ্ন করলে তিনি বলবেন এই বিশ্ব জগত এটা তৈরির আগে মহাবিশ্বের বিভিন্ন উপাদান সেগুলো ছিল বায়বীয় অবস্থায় l
আর এই আরবি শব্দ দুখান যার অর্থ ধোয়া এটাকে আরও সঠিক ভাবে বললে বলা হবে বায়বীয় l
বর্তমানের খুব বিখ্যাত বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিংস-এর মতে , তিনি বলেছেন , " মহাশূন্যের যে বিভিন্ন পদার্থের উপাদান আবিস্কার করা গেছে , সেটাই হলো গত শতাব্দীর সবচেয়ে বড় আবিষ্কার l"
আর এগুলোর উপর ভিত্তি করেই আমরা নিশ্চিত ভাবে জানতে পেরেছি বিগ ব্যাং থিওরির সত্যতা আর এই বিশ্বজগত সৃষ্টি হবার রহস্য l
এই হচ্ছে ইসলামিক বিশেষজ্ঞ জাকির নায়েকের বক্তব্য l
এই আলোকে এখন আমি কিছু কথা বলবো এবং আমার দাবির সত্যতা নিশ্চিত করবো l
জাকির নায়েকের মতে কোনো বিজ্ঞানী কে প্রশ্ন করলে সে বিশ্বজগতের সৃষ্টির ব্যাপারে বিগ ব্যাং থিওরির কথা বলবেন l সেটা হলো , এই মহাবিশ্বের সব উপাদান মিশে ছিল এক বিন্দুতে এবং একটা মহা বিস্ফোরণের ফলে সৃষ্টি হয়েছে এই মহাবিশ্বের সব গ্যালাক্সি গুলো l সেই গ্যালাক্সি গুলো আবার পরবর্তিতে খন্ড বিখন্ড হয়ে তৈরী করে বিভিন্ন সৌরজগত , সূর্য , গ্রহ পৃথিবী ইত্যাদি l
বিগ বাং-এর সাথে কোরআনের মিল খুজতে তিনি দুইটি সুরার দুইটি আয়াত উল্লেখ করেন l
আয়াতগুলো হলো :
সুরা আল আম্বিয়া : আয়াত ৩০ :
"কাফেররা কি ভেবে দেখে না যে , আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর মুখ বন্ধ ছিল , অতপর আমি উভয়কে খুলে দিলাম l"
SURA 21. AL-ANBIYA (THE PROPHETS)
30.
“Have not those who disbelieve known that the heavens and the earth were of
one piece, then We parted them, and we made every living thing of water? Will
they not then believe?”
(“Do not the Unbelievers see that the heavens and the
earth were joined together (as one unit of
creation), before we clove them asunder? We made
from water every living thing. Will they not
then believe?”)
সুরা ফসিলাত : আয়াত-১১ :
"অতপর তিনি আকাশের দিকে মনোযোগ দিলেন যা ছিল ধুম্রপুঞ্জ , অতপর তিনি তাকে ও পৃথিবীকে বললেন, তোমরা আসো ইচ্ছায় অথবা অনিচ্ছায় l তারা বলল , আমরা সেচ্ছায় আসলাম l"
SURA 41. FUSSILAT (EXPLAINED IN DETAIL)
11.
“Then turned He to the heaven when it was smoke, and said unto it and unto the earth: Come both of you, willingly or loth. They said: We come, obedient.”
11. “Moreover He comprehended in His design the
sky, and it had been (as) smoke: He said to it
and to the earth: "Come ye together, willingly
or unwillingly." They said: "We do come (together), in
willing obedience."
এই আয়াত দুটি দিয়ে তিনি বুঝিয়েছেন যে পৃথিবী ও আকাশ এক সাথে মিশে ছিল, মহান আল্লাহ এদেরকে পৃথক করে দিয়েছেন l এবং আকাশ যা ছিল ধুম্রপুঞ্জ তথা গ্যাস আকারে, তাদের আদেশ করলেন মহাবিশ্ব যে ভাবে চলছে সেভাবে চলতে l ফলে এই আয়াত দুটো বিগ ব্যাং থিওরি সংক্ষেপে প্রকাশ করে l
ঠিক আছে কোনো সমস্যা নেই যে এই দুটি আয়াত বিগ ব্যাং থিওরির সাথে মিলে যায় l কিন্তু আমার কিছু প্রশ্ন আছে l
বিগ ব্যাং-এর আগে কি সত্যিই সব কিছু ধুম্রপুঞ্জ বা গ্যাস আকারে ছিল ?
আসুন দেখি বিগ বাং থিওরি কি বলে l বিগ ব্যাং থিওরি অনুযায়ী
' মহাবিশ্বের সমস্ত উপাদান ছিল শক্তি রূপে l তখনও সৃষ্টি হয়নি পদার্থ l মহাবিশ্বের সমস্ত উপাদান পরস্পর এক বিন্দুতে মিলিত হয় l ফলে তাদের ঘনত্ব বেড়ে হয় প্রায় অসীম l এই অসীম ঘনত্বের ফলে তৈরী হয় (প্রায়) অসীম তাপমাত্রার l তার ফলে একটা বৃহত বিস্ফোরণের সৃষ্টি হয় l এই বিস্ফোরণকেই বিগ ব্যাং বলা হয় l সেই বিস্ফোরণের ফলে উপাদান গুলো প্রচন্ড গতিতে চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে l বিগ ব্যাং-এর এক সেকেন্ড পরেই তাপমাত্রা কমতে থাকে l এর অনেক পড়ে বিভিন্ন কনা যেমন ফোটন কনার সৃষ্টি হয় l পরবর্তিতে আরও অনেক কনা যেমন প্রোটন , ইলেকট্রন এবং নিউটনের সৃষ্টি হয় l এবং তৈরী হয় বিভিন্ন গ্যালাক্সির l বিগ ব্যাং-এর লক্ষ লক্ষ বছর পড়ে তৈরী হয় প্রথম পদার্থ হাইড্রুজেন l এবং পরবর্তিতে হিলিয়াম ও অন্যান্য পদার্থ l এগুলো পরস্পর মিলিত হয়েই তৈরী করে বিভিন্ন সৌরজগত , সূর্য এবং সূর্যের চার পাশে ঘুর্নায়মান বিভিন্ন গ্রহ উপগ্রহ ইত্যাদি l
গ্যালাক্সি গুলো বিভিন্ন দিকে ছুটে চলেছে প্রচন্ড গতিতে l ফলে পরস্পর থেকে দুরে সরে যাচ্ছে গ্যালাক্সি গুলো l
আর এটাই হচ্ছে বিগ ব্যাং থিওরির মূল কথা l
তাহলে আমরা দেখতে পাচ্ছি বিগ ব্যাং থিওরির কোথাও বলা হয়নি বিগ ব্যাং -এর পূর্বে মহাবিশ্ব বায়বীয় বা গ্যাসীয় ছিল l বরং বলা হয়েছে গ্যাস বা পদার্থ তৈরী হয়েছে বিগ ব্যাং -এর লক্ষ লক্ষ বছর পরে l
(আবার কোরআনের সুরা ফসিলতের আরেকটি আয়াত পেশ করছি :
সুরা ফসিলত : আয়াত ১২ :
"অতপর তিনি আকাশ মন্ডলীকে দু দিনে সপ্ত আকাশ করে দিলেন এবং প্রত্যেক আকাশে তার আদেশ প্রেরণ করলেন l"
এই আয়াতটি তিনি এই লেকচারে উল্লেখ করেন নি l এর কারণ বিগ ব্যাং থিওরিতে এই ধরনের উদ্ভট কথা ছিল না l তা বিগ ব্যাং থিওরি থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন l)
তাহলে এখন জাকির নায়ের সম্পর্কে কি বলবো ? উনি কি বিগ ব্যাং সম্পর্কে ভালো ভাবে জানেননি l এবং উনি না জেনেই তার অজ্ঞানতা থেকেই এই কথা গুলো বলেছেন ? নাকি তিনি মিথ্যা তথ্য দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করতে চেয়েছেন l
আমার মনে হয়না তিনি অজ্ঞতা থেকে এই কথা গুলো বলেছেন l
আবার মুসলমানদের কে দেখে অবাক হোই যখন দেখি তারা না জেনে জাকির নায়েকের কথা গুলো অন্ধভাবে বিশ্বাস করছেন l আবার বিভিন্ন জায়গায় সেই কথা গুলি বারবার বলছেনও l আশ্চর্য হোই তখন যখন ভাবি এই মুসলমানদের কি এক বারের জন্যও জাকির নায়েক ঠিক বলেছেন কিনা সে ব্যাপারে জানতে ইচ্ছা হয় না !
জাকির নায়েকের মত লোকগুলো বারবার মিথ্যা তথ্য দিয়ে মানুষ কে বিভ্রান্ত করবে ( যারা বিজ্ঞান বুঝে না )l আর সেই সব মানুষ গুলোও সুন্দর ভাবে বিভ্রান্ত হবে !
এক বারের জন্যও তারা সত্য মিথ্যা যাচাই করে দেখবে না !
আর এই অজ্ঞতার উপরই মিথ্যা ধর্ম গুলো প্রতিষ্ঠিত হয়ে আছে l
তাই আমি সবাইকে অনুরুধ করবো শুধু অন্ধ বিশ্বাস নিয়ে নয় আসুন আমরা সত্য জানি l সত্যের সাথে জ্ঞানের আলোকে আমাদের জীবন কে আলোকিত করি !
আমার এই লেখাটি পরে যে সকল মুসলমান ভাইয়েরা প্রতিবাদ(ঘেউ) করতে আসবেন তাদেরকে আমি বিনীত অনুরোধ করবো আপনারা বিগ ব্যাং সম্পর্কে ভালো ভাবে জেনে তারপর কমেন্টস করবেন l আপনারা নেটে সার্চ দিয়ে উইকিপিডিয়া থেকে বিগ ব্যাং সম্পর্কে জেনে নিবেন l অথবা স্টিফেন হকিংসের কালের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস ( A brief histry of time) বইটি পরে নিতে পারেন l
যারা এইসব ঝামেলায় যেতে চান না তাদের জন্য আমি আমার মোটা মাথা দিয়ে ব্যাপারটা ব্যাখ্যা করে বলছি যে কেন বিগ ব্যাং -এর আগে গ্যাস থাকা সম্ভব নয় এবং গ্যাস থেকে কেন বিগ ব্যাং হওয়া সম্ভব নয় l
প্রত্যেকটা পদার্থের একটা নির্দিষ্ট পরিমান আয়তন এবং ভর আছে l গ্যাসীয় পদার্থেরও একটা নির্দিষ্ট আয়তন ও ভর থাকে l একটা গ্যাসীয় কনারও খুব ক্ষুদ্র কিন্তু নির্দিষ্ট পরিমান আয়তন এবং ভর আছে l
এখন ধরি, বিগ ব্যাং-এর সময় মহাবিশ্বের সমস্ত বায়বীয় অর্থাত গ্যাসীয় পদার্থ এক সাথে মিলিত হবে , ফলে গ্যাসীয় কণাগুলোর ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র আয়তন মিলে এই মহাবিশ্বের মোট পদার্থের আয়তনের সমান আয়তন হবে l ফলে তারা ঠিক এক বিন্দুতে মিলিত হতে পারবে না l কারণ বাইরের পদার্থ গুলো ভিতরের দিকে ঢুকতে পারবে না আগে জমা হওয়া গ্যাসের জন্য l এবং এই গ্যাসীয় পদার্থগুলোর আয়তন হবে অনেক অনেক অনেক বড় আয়তনের l ফলে বিগ ব্যাং-এর থিওরি অনুযায়ী মহাবিশ্বের সমস্ত উপাদান এক বিন্দুতে মিলিত হতে পারবে না l
আবার গাসিও পদার্থ গুলো যদি এক সাথে মিলিত হয় তবে তাদের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ভর মিলে হবে মহাবিশ্বের মোট ভোরের সমান l যেটা হবে অকল্পনীয় ভর l এর ফলে এর মহাকর্ষীয় বল হবে অকল্পনীয় বেশি l যেটা কিষ্ণ গহবরের মহাকর্ষীয় বলের তুলনায় অনেক অনেক অনেক বেশি l কারণ বস্তুর ভর বৃদ্ধির ফলে এর মহাকর্ষীয় বল বৃদ্ধি পায় l
ফলে এই অবস্থায় এক বৃহত কৃষ্ণ গহবরের ( ব্লাক হোল) সৃষ্টি হবে l ফলে বিগ ব্যাং আর সংঘটিত হবে না l আর হলেও সেই অকল্পনীয় মহাকর্ষীয় বল উপেক্ষা করে এই মহাবিশ্বের সৃষ্টি হওয়া সম্ভব নয় l সেই কৃষ্ণ গহবরের অকল্পনীয় মহাকর্ষীয় টানে মহাবিশ্বের সমস্ত উপাদান সেই বৃহত কৃষ্ণ গহবরের ভিতরই থেকে যাবে l
কিন্তু মহাবিশ্বের সমস্ত উপাদান শক্তি (এনার্জি) হিসেবে ছিল বলেই বিগ ব্যাং সংঘঠিত হয়েছিল l
সুতরাং বিগ ব্যাং-এর আগে মহাবিশ্বের সমস্ত উপাদান গ্যাসীয় অবস্থায় ছিল কথাটা ডাহা মিথ্যা l
একটা কথা বলা উচিত হবে না তার পরও বলছি l বিভিন্ন মুসলমান ধর্মীয় বিশেষজ্ঞ গণ বলে থাকে যে কোরান আল্লাহর কাছ থেকে আবির্ভূত হয়েছে বলে এতে একটাও ভুল নেই l যদি এতে একটাও ভুল পাওয়া যায় তবে এই কুরআন মিথ্যা বলে প্রমানিত হবে l
বিগ ব্যাং থিওরি অনুযায়ী কুরআন মিথ্যা কথা বা ভুল কথা বলছে l সুতরাং এই কুরআন আল্লাহর কাছ থেকে আসেনি l এটা কোনো মানুষই লিখেছে l
বি : দ্র : কেউ কমেন্টস করতে চাইলে প্রাসঙ্গিক প্রশ্ন করার জন্য অনুরোধ করছি l কেউ অপ্রাসঙ্গিক প্রশ্ন করলে আমি উত্তর দিবনা l পরে অপ্রাসঙ্গিক প্রশ্ন করে উত্তর দেয় না উত্তর দেয় না বলে চিল্লালে কোনো লাভ নেই l
জাকির নায়েকের বিগ ব্যাং সম্পর্কে মিথ্যাচার ( নাকি অজ্ঞতা ?) :
(হিন্দু বা অন্য ধর্মের আস্তিকরা যেন দাত না কেলায় l কারণ তাদের ধর্মের ভন্ডদেরও মিথ্যা চারের বিরুদ্ধে লেখা হবে )
বিশিষ্ট ইসলামিক বক্তা জাকির নায়েক তার 'কোরান ও আধুনিক বিজ্ঞান : বিরোধ নাকি সাদৃশ্য' বক্তব্যের কিছু অংশ এখানে তুলে ধরা হলো :
জাকির নায়েক তার বক্তব্যে বলেন, ' যদি কোনো বিজ্ঞানীকে জিজ্ঞেস করেন কিভাবে আমাদের বিশ্বজগত সৃষ্টি হয়েছে সে বলবে বিগ ব্যাং থিওরির কথা l প্রথমে এই বিশ্ব জগতের সমস্ত উপাদান ছিল একটা বিন্দুতে , তারপর সেখানে একটা বিস্ফোরণ হলো , সৃষ্টি হলো ছায়াপথ l সেটা আবারো খন্ড বিখন্ড হয়ে তৈরী হলো বিভিন্ন সৌরজগত , l সেখানে তৈরী হলো বিভিন্ন গ্রহ , সূর্য আর আমরা যে গ্রহে বাস করি সেই পৃথিবী l
আমি আমার বক্তৃতার শুরুতে একটি আয়াতের উদ্ধৃতি দিয়েছিলাম, সুরা আল আম্বিয়ার ৩০ নাম্বার আয়াতে উল্লেখ করা আছে,
" অবিশ্বাসীরা কি ভাবিয়া দেখে না , আকাশ মন্ডলী ও পৃথিবী মিশিয়া ছিল ওতপ্রত ভাবে l অতপর আমি উভয়কে পৃথক করে দিলাম l"
পবিত্র কোরআনের এই আয়াতে বিগ ব্যাং থিওরি বর্ণনা করা হয়েছে খুব সংক্ষেপে l
চিন্তা করেন আমরা যে কথাটা জানলাম আজকে পবিত্র কুরআন এ কথাটা বলেছে চোদ্দশো বছর আগে l
এছাড়াও পবিত্র কুরআনে আছে , সুরা ফসিলতের ১১ নাম্বার আয়াতে উল্লেখ করা আছে যে
" অতপর তিনি আকাশের দিকে মনোনিবেশ করেন যাহা ছিল ধুম্রপুঞ্জ বিশেষ , অনন্তের দিকে উহাকে এবং পৃথিবীকে বললেন তোমরা আসো ইচ্ছায় অথবা অনিচ্ছায় এবং উভয়ে বলিল আমরা আসলাম একান্ত অনুগত হইয়া l"
যে আরবি শব্দটি এখানে বলা হয়েছে সেটা 'দুখান' যার অর্থ ধোয়া l
কোনো বিজ্ঞানীকে প্রশ্ন করলে তিনি বলবেন এই বিশ্ব জগত এটা তৈরির আগে মহাবিশ্বের বিভিন্ন উপাদান সেগুলো ছিল বায়বীয় অবস্থায় l
আর এই আরবি শব্দ দুখান যার অর্থ ধোয়া এটাকে আরও সঠিক ভাবে বললে বলা হবে বায়বীয় l
বর্তমানের খুব বিখ্যাত বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিংস-এর মতে , তিনি বলেছেন , " মহাশূন্যের যে বিভিন্ন পদার্থের উপাদান আবিস্কার করা গেছে , সেটাই হলো গত শতাব্দীর সবচেয়ে বড় আবিষ্কার l"
আর এগুলোর উপর ভিত্তি করেই আমরা নিশ্চিত ভাবে জানতে পেরেছি বিগ ব্যাং থিওরির সত্যতা আর এই বিশ্বজগত সৃষ্টি হবার রহস্য l
এই হচ্ছে ইসলামিক বিশেষজ্ঞ জাকির নায়েকের বক্তব্য l
এই আলোকে এখন আমি কিছু কথা বলবো এবং আমার দাবির সত্যতা নিশ্চিত করবো l
জাকির নায়েকের মতে কোনো বিজ্ঞানী কে প্রশ্ন করলে সে বিশ্বজগতের সৃষ্টির ব্যাপারে বিগ ব্যাং থিওরির কথা বলবেন l সেটা হলো , এই মহাবিশ্বের সব উপাদান মিশে ছিল এক বিন্দুতে এবং একটা মহা বিস্ফোরণের ফলে সৃষ্টি হয়েছে এই মহাবিশ্বের সব গ্যালাক্সি গুলো l সেই গ্যালাক্সি গুলো আবার পরবর্তিতে খন্ড বিখন্ড হয়ে তৈরী করে বিভিন্ন সৌরজগত , সূর্য , গ্রহ পৃথিবী ইত্যাদি l
বিগ বাং-এর সাথে কোরআনের মিল খুজতে তিনি দুইটি সুরার দুইটি আয়াত উল্লেখ করেন l
আয়াতগুলো হলো :
সুরা আল আম্বিয়া : আয়াত ৩০ :
"কাফেররা কি ভেবে দেখে না যে , আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর মুখ বন্ধ ছিল , অতপর আমি উভয়কে খুলে দিলাম l"
SURA 21. AL-ANBIYA (THE PROPHETS)
30.
“Have not those who disbelieve known that the heavens and the earth were of
one piece, then We parted them, and we made every living thing of water? Will
they not then believe?”
(“Do not the Unbelievers see that the heavens and the
earth were joined together (as one unit of
creation), before we clove them asunder? We made
from water every living thing. Will they not
then believe?”)
সুরা ফসিলাত : আয়াত-১১ :
"অতপর তিনি আকাশের দিকে মনোযোগ দিলেন যা ছিল ধুম্রপুঞ্জ , অতপর তিনি তাকে ও পৃথিবীকে বললেন, তোমরা আসো ইচ্ছায় অথবা অনিচ্ছায় l তারা বলল , আমরা সেচ্ছায় আসলাম l"
SURA 41. FUSSILAT (EXPLAINED IN DETAIL)
11.
“Then turned He to the heaven when it was smoke, and said unto it and unto the earth: Come both of you, willingly or loth. They said: We come, obedient.”
11. “Moreover He comprehended in His design the
sky, and it had been (as) smoke: He said to it
and to the earth: "Come ye together, willingly
or unwillingly." They said: "We do come (together), in
willing obedience."
এই আয়াত দুটি দিয়ে তিনি বুঝিয়েছেন যে পৃথিবী ও আকাশ এক সাথে মিশে ছিল, মহান আল্লাহ এদেরকে পৃথক করে দিয়েছেন l এবং আকাশ যা ছিল ধুম্রপুঞ্জ তথা গ্যাস আকারে, তাদের আদেশ করলেন মহাবিশ্ব যে ভাবে চলছে সেভাবে চলতে l ফলে এই আয়াত দুটো বিগ ব্যাং থিওরি সংক্ষেপে প্রকাশ করে l
ঠিক আছে কোনো সমস্যা নেই যে এই দুটি আয়াত বিগ ব্যাং থিওরির সাথে মিলে যায় l কিন্তু আমার কিছু প্রশ্ন আছে l
বিগ ব্যাং-এর আগে কি সত্যিই সব কিছু ধুম্রপুঞ্জ বা গ্যাস আকারে ছিল ?
আসুন দেখি বিগ বাং থিওরি কি বলে l বিগ ব্যাং থিওরি অনুযায়ী
' মহাবিশ্বের সমস্ত উপাদান ছিল শক্তি রূপে l তখনও সৃষ্টি হয়নি পদার্থ l মহাবিশ্বের সমস্ত উপাদান পরস্পর এক বিন্দুতে মিলিত হয় l ফলে তাদের ঘনত্ব বেড়ে হয় প্রায় অসীম l এই অসীম ঘনত্বের ফলে তৈরী হয় (প্রায়) অসীম তাপমাত্রার l তার ফলে একটা বৃহত বিস্ফোরণের সৃষ্টি হয় l এই বিস্ফোরণকেই বিগ ব্যাং বলা হয় l সেই বিস্ফোরণের ফলে উপাদান গুলো প্রচন্ড গতিতে চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে l বিগ ব্যাং-এর এক সেকেন্ড পরেই তাপমাত্রা কমতে থাকে l এর অনেক পড়ে বিভিন্ন কনা যেমন ফোটন কনার সৃষ্টি হয় l পরবর্তিতে আরও অনেক কনা যেমন প্রোটন , ইলেকট্রন এবং নিউটনের সৃষ্টি হয় l এবং তৈরী হয় বিভিন্ন গ্যালাক্সির l বিগ ব্যাং-এর লক্ষ লক্ষ বছর পড়ে তৈরী হয় প্রথম পদার্থ হাইড্রুজেন l এবং পরবর্তিতে হিলিয়াম ও অন্যান্য পদার্থ l এগুলো পরস্পর মিলিত হয়েই তৈরী করে বিভিন্ন সৌরজগত , সূর্য এবং সূর্যের চার পাশে ঘুর্নায়মান বিভিন্ন গ্রহ উপগ্রহ ইত্যাদি l
গ্যালাক্সি গুলো বিভিন্ন দিকে ছুটে চলেছে প্রচন্ড গতিতে l ফলে পরস্পর থেকে দুরে সরে যাচ্ছে গ্যালাক্সি গুলো l
আর এটাই হচ্ছে বিগ ব্যাং থিওরির মূল কথা l
তাহলে আমরা দেখতে পাচ্ছি বিগ ব্যাং থিওরির কোথাও বলা হয়নি বিগ ব্যাং -এর পূর্বে মহাবিশ্ব বায়বীয় বা গ্যাসীয় ছিল l বরং বলা হয়েছে গ্যাস বা পদার্থ তৈরী হয়েছে বিগ ব্যাং -এর লক্ষ লক্ষ বছর পরে l
(আবার কোরআনের সুরা ফসিলতের আরেকটি আয়াত পেশ করছি :
সুরা ফসিলত : আয়াত ১২ :
"অতপর তিনি আকাশ মন্ডলীকে দু দিনে সপ্ত আকাশ করে দিলেন এবং প্রত্যেক আকাশে তার আদেশ প্রেরণ করলেন l"
এই আয়াতটি তিনি এই লেকচারে উল্লেখ করেন নি l এর কারণ বিগ ব্যাং থিওরিতে এই ধরনের উদ্ভট কথা ছিল না l তা বিগ ব্যাং থিওরি থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন l)
তাহলে এখন জাকির নায়ের সম্পর্কে কি বলবো ? উনি কি বিগ ব্যাং সম্পর্কে ভালো ভাবে জানেননি l এবং উনি না জেনেই তার অজ্ঞানতা থেকেই এই কথা গুলো বলেছেন ? নাকি তিনি মিথ্যা তথ্য দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করতে চেয়েছেন l
আমার মনে হয়না তিনি অজ্ঞতা থেকে এই কথা গুলো বলেছেন l
আবার মুসলমানদের কে দেখে অবাক হোই যখন দেখি তারা না জেনে জাকির নায়েকের কথা গুলো অন্ধভাবে বিশ্বাস করছেন l আবার বিভিন্ন জায়গায় সেই কথা গুলি বারবার বলছেনও l আশ্চর্য হোই তখন যখন ভাবি এই মুসলমানদের কি এক বারের জন্যও জাকির নায়েক ঠিক বলেছেন কিনা সে ব্যাপারে জানতে ইচ্ছা হয় না !
জাকির নায়েকের মত লোকগুলো বারবার মিথ্যা তথ্য দিয়ে মানুষ কে বিভ্রান্ত করবে ( যারা বিজ্ঞান বুঝে না )l আর সেই সব মানুষ গুলোও সুন্দর ভাবে বিভ্রান্ত হবে !
এক বারের জন্যও তারা সত্য মিথ্যা যাচাই করে দেখবে না !
আর এই অজ্ঞতার উপরই মিথ্যা ধর্ম গুলো প্রতিষ্ঠিত হয়ে আছে l
তাই আমি সবাইকে অনুরুধ করবো শুধু অন্ধ বিশ্বাস নিয়ে নয় আসুন আমরা সত্য জানি l সত্যের সাথে জ্ঞানের আলোকে আমাদের জীবন কে আলোকিত করি !
আমার এই লেখাটি পরে যে সকল মুসলমান ভাইয়েরা প্রতিবাদ(ঘেউ) করতে আসবেন তাদেরকে আমি বিনীত অনুরোধ করবো আপনারা বিগ ব্যাং সম্পর্কে ভালো ভাবে জেনে তারপর কমেন্টস করবেন l আপনারা নেটে সার্চ দিয়ে উইকিপিডিয়া থেকে বিগ ব্যাং সম্পর্কে জেনে নিবেন l অথবা স্টিফেন হকিংসের কালের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস ( A brief histry of time) বইটি পরে নিতে পারেন l
যারা এইসব ঝামেলায় যেতে চান না তাদের জন্য আমি আমার মোটা মাথা দিয়ে ব্যাপারটা ব্যাখ্যা করে বলছি যে কেন বিগ ব্যাং -এর আগে গ্যাস থাকা সম্ভব নয় এবং গ্যাস থেকে কেন বিগ ব্যাং হওয়া সম্ভব নয় l
প্রত্যেকটা পদার্থের একটা নির্দিষ্ট পরিমান আয়তন এবং ভর আছে l গ্যাসীয় পদার্থেরও একটা নির্দিষ্ট আয়তন ও ভর থাকে l একটা গ্যাসীয় কনারও খুব ক্ষুদ্র কিন্তু নির্দিষ্ট পরিমান আয়তন এবং ভর আছে l
এখন ধরি, বিগ ব্যাং-এর সময় মহাবিশ্বের সমস্ত বায়বীয় অর্থাত গ্যাসীয় পদার্থ এক সাথে মিলিত হবে , ফলে গ্যাসীয় কণাগুলোর ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র আয়তন মিলে এই মহাবিশ্বের মোট পদার্থের আয়তনের সমান আয়তন হবে l ফলে তারা ঠিক এক বিন্দুতে মিলিত হতে পারবে না l কারণ বাইরের পদার্থ গুলো ভিতরের দিকে ঢুকতে পারবে না আগে জমা হওয়া গ্যাসের জন্য l এবং এই গ্যাসীয় পদার্থগুলোর আয়তন হবে অনেক অনেক অনেক বড় আয়তনের l ফলে বিগ ব্যাং-এর থিওরি অনুযায়ী মহাবিশ্বের সমস্ত উপাদান এক বিন্দুতে মিলিত হতে পারবে না l
আবার গাসিও পদার্থ গুলো যদি এক সাথে মিলিত হয় তবে তাদের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ভর মিলে হবে মহাবিশ্বের মোট ভোরের সমান l যেটা হবে অকল্পনীয় ভর l এর ফলে এর মহাকর্ষীয় বল হবে অকল্পনীয় বেশি l যেটা কিষ্ণ গহবরের মহাকর্ষীয় বলের তুলনায় অনেক অনেক অনেক বেশি l কারণ বস্তুর ভর বৃদ্ধির ফলে এর মহাকর্ষীয় বল বৃদ্ধি পায় l
ফলে এই অবস্থায় এক বৃহত কৃষ্ণ গহবরের ( ব্লাক হোল) সৃষ্টি হবে l ফলে বিগ ব্যাং আর সংঘটিত হবে না l আর হলেও সেই অকল্পনীয় মহাকর্ষীয় বল উপেক্ষা করে এই মহাবিশ্বের সৃষ্টি হওয়া সম্ভব নয় l সেই কৃষ্ণ গহবরের অকল্পনীয় মহাকর্ষীয় টানে মহাবিশ্বের সমস্ত উপাদান সেই বৃহত কৃষ্ণ গহবরের ভিতরই থেকে যাবে l
কিন্তু মহাবিশ্বের সমস্ত উপাদান শক্তি (এনার্জি) হিসেবে ছিল বলেই বিগ ব্যাং সংঘঠিত হয়েছিল l
সুতরাং বিগ ব্যাং-এর আগে মহাবিশ্বের সমস্ত উপাদান গ্যাসীয় অবস্থায় ছিল কথাটা ডাহা মিথ্যা l
একটা কথা বলা উচিত হবে না তার পরও বলছি l বিভিন্ন মুসলমান ধর্মীয় বিশেষজ্ঞ গণ বলে থাকে যে কোরান আল্লাহর কাছ থেকে আবির্ভূত হয়েছে বলে এতে একটাও ভুল নেই l যদি এতে একটাও ভুল পাওয়া যায় তবে এই কুরআন মিথ্যা বলে প্রমানিত হবে l
বিগ ব্যাং থিওরি অনুযায়ী কুরআন মিথ্যা কথা বা ভুল কথা বলছে l সুতরাং এই কুরআন আল্লাহর কাছ থেকে আসেনি l এটা কোনো মানুষই লিখেছে l
বি : দ্র : কেউ কমেন্টস করতে চাইলে প্রাসঙ্গিক প্রশ্ন করার জন্য অনুরোধ করছি l কেউ অপ্রাসঙ্গিক প্রশ্ন করলে আমি উত্তর দিবনা l পরে অপ্রাসঙ্গিক প্রশ্ন করে উত্তর দেয় না উত্তর দেয় না বলে চিল্লালে কোনো লাভ নেই l
This comment has been removed by the author.
ReplyDeleteVai eta to bolen Big bang er ei energy ta tahole ki rupe chilo ???
ReplyDeleteপড়ে ভাল লাগল! বইটি ডাউনলোড করেছি
ReplyDeleteভাইয়া, আয়াতে বলা হয়েছে আকাশের দিকে মনযোগ দেওয়ার কথা এবং তা ধোয়া ছিল। যদিও আকাশ বলতে শুধু দুনিয়ার বায়ুমন্ডল নাকি মহাবিশ্বের কথা বলা হয়েছে তা আল্লাহ ভাল জানেন। আমি তাফসীর বিশেষজ্ঞ নই, তাই বলতে পারছিনা। মহাবিশ্বের সবকিছুই তো বিগ ব্যাঙ্গের ফলে সৃষ্টি হওয়া গ্যাস থেকেই সৃষ্টি হয়েছে, তাই না? আমি যতটুকু জানি তা হাইড্রোজেন ও হিলিয়াম ছিল। মহাকর্ষ বলের প্রভাবে তা সংকুচিত হয়ে গ্রহ নক্ষত্র আরো যতোকিছু আছে তা সৃষ্টি হয়। আকাশের দিকে তাকালেই তো তারা, আরো উজ্জ্বল বস্তু দেখা যায় যদি মেঘ না থাকে আর রাত হয়। এসবও তো মহাকাশের অংশ। আর তাতো গ্যাস থেকেই সৃষ্টি হয়েছে। এখানে বলা হয়নি, মহাকাশ শুরু থেকেই গ্যাস ছিল। কুরানে বলা হয়েছে, "বলুন, তোমরা কি সে সত্তাকে অস্বীকার কর যিনি পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন দু’দিনে এবং তোমরা কি তাঁর সমকক্ষ স্থীর কর? তিনি তো সমগ্র বিশ্বের পালনকর্তা। (9)
ReplyDeleteতিনি পৃথিবীতে উপরিভাগে অটল পর্বতমালা স্থাপন করেছেন, তাতে কল্যাণ নিহিত রেখেছেন এবং চার দিনের মধ্যে তাতে তার খাদ্যের ব্যবস্থা করেছেন-পূর্ণ হল জিজ্ঞাসুদের জন্যে। (10)
অতঃপর তিনি আকাশের দিকে মনোযোগ দিলেন যা ছিল ধুম্রকুঞ্জ, অতঃপর তিনি তাকে ও পৃথিবীকে বললেন, তোমরা উভয়ে আস ইচ্ছায় অথবা অনিচ্ছায়। তারা বলল, আমরা স্বেচ্ছায় আসলাম। (11)
অতঃপর তিনি আকাশমন্ডলীকে দু’দিনে সপ্ত আকাশ করে দিলেন এবং প্রত্যেক আকাশে তার আদেশ প্রেরণ করলেন। আমি নিকটবর্তী আকাশকে প্রদীপমালা দ্বারা সুশোভিত ও সংরক্ষিত করেছি। এটা পরাক্রমশালী সর্বজ্ঞ আল্লাহর ব্যবস্থাপনা। (12)"
আর যদি বায়ুমন্ডল বোঝানো হয়, তাইলে আমরা জানি যে, পৃথিবীর অভ্যন্তিরন ম্যাগমা থেকে উতপন্ন গ্যাস থেকেই বায়ুমন্ডলের সৃষ্টি। আর পৃথিবী গ্যাস হতে সৃষ্ট।