আমি
ময়ুরাক্ষীর তীরে একাকী বলছি ; পর্ব - ২
শুভ্র আহমেদ ; আপনার আমার উদ্দেশ্যে বলা কথার প্রেক্ষিতে :
পর্ব - ১ এর পর
১২.
আচ্ছা, বললেন কোরআন বলে মহাকাশ আল্লাহ্ ৬ সৃষ্টি করেছেন। কান খাড়া করে শুনুন, কোরআন এর কোথাও পাবেন না, দিনের কথা, এটি নির্দিষ্ট একটি সময়ের কথা বলছে। ছয় দিনের কথা বলা হচ্ছে বাইবেলে। বাইবেল অনুসারে পৃথিবী ছয়দিনে সৃষ্টি করে ঈশ্বর সপ্তম দিন বিশ্রামে গেছেন। এই বিশ্রামকে বলা হয় সাবাথ বা বিশ্রাম দিবস।
আমার উত্তর : ভাই আপনার কি সত্যিই মাথা মোটা নাকি ? নাকি আপনি গাধা (স্টুপিড) ?
আরে ভাই আমি কখন বললাম যে কোরানে ছয় দিন মানে ছয় ২৪ ঘন্টার দিন বলা হয়েছে l আমি বলেছি আল্লাহর হিসেবে ছয় দিন আর মানুষের হিসেবে ছয়টি দশ হাজার বছর বা ছয়টি পঞ্চাশ হাজার বছর অথবা ছয়টি নির্দিষ্ট সময়কাল l
কারণ কুরানে এভাবেই বলা আছে l আপনি কিছু জানেননা ( শুধু প্যাক প্যাক করেন ) বলে এসব জানেন না l
আপনি আমাকে কান খাড়া করে শুনতে বললেন যে কোরআন এর কোথাও পাবেন না, দিনের কথা, এটি নির্দিষ্ট একটি সময়ের কথা বলছে।
ভাই আমি কান খাড়া করে থাকলাম কিন্তু কিছু শুনতে পাচ্ছি না l(শুধু চ্যাঁচামেচি ছাড়া) l
আপনারা মানে মুসলিম নেতারা বলেন যে কোরানে বলা হয়েছে ইয়াম মানে দিন বা নির্দিষ্ট সময়কাল l অর্থাত এর মানে একদিনও (মানুষের হিসেবে দিন) আবার একটা নির্দিষ্ট সময় কালও l আর আমি এভাবেই আমার লেখাটা লিখেছিলাম l কিন্তু আপনার মাথায় সমস্যা আছে বলে বুঝতে পারেন নি !!
১৩.
আমার মনে হয় সব কিছুরই উত্তর দিয়েছি। আর কিছু বাকী নেই।
আমার উত্তর : ভাই আপনি কোনো কিছুরই উত্তর দেন নি l( আর আমি কোনো প্রশ্ন করেছি কিনা তাও মনে পরছে না l) আপনি শুধু না বুঝেই হাউকাউ করেছেন l কি বুঝাতে কি বলেছেন কিছুই বুঝেন নি l শুধু শুধু উল্টা পাল্টা কথা বলেছেন l বুঝেছেন ?
আগে ভালোভাবে জেনে নেবেনl তারপর কি প্রশ্ন করা হয়েছে তা আগে ভালো ভাবে বুঝবেন l কি প্রশ্ন করা হয়েছে , আসলেই প্রশ্ন করা হয়েছে কিনা ভালো ভাবে বুঝেই উত্তর দিতে যাবেন l কিছুই বুঝেন না আর পান্ডিত্ব ফলাতে এসে নিজেকে উজবুক প্রমান করে ভাবছেন 'মুই কি হনু রে' !!
১৪.
ময়ুরাক্ষীর তীরে একাকী আচ্ছা দাদা উদ্দীপক এর গুলো ভুলে যান, যান ভুলে।
ধরে নিলাম, কোরআন মুহাম্মদ (সঃ) রচনা করেছেন। ( নাউজুবিল্লা) তিনি নিরক্ষর ছিলেন।
আচ্ছা তাহলে, এতে একটিও বিজ্ঞান বিরোধী আয়াত পাওয়া যায় না, কেনো?
আচ্ছা ধরলাম, বিজ্ঞানের সাথে মিলে না। আচ্ছা, তাহলে
ফেরাউনকে বলেছিলো তোমাকে নিদর্শন সরূপ রাখব, পপরবর্তীদের জন্য। সূরা ইউনুছ।
এই কথা মিলে গেলো কিভাবে?
আর এরকম কবিতার চেয়েও উন্নত মানের ছন্দের সাথে এতো গনিতের মিরাকল পাওয়া যায় কেনো?
আমার উত্তর : ভাই আমি আবার বলছি যে আমি বিয়েই করি নি l আর তাই আমি কোনো সন্তান জন্ম দেই নি l ফলে সেই সন্তানও কোনো সন্তান জন্ম দেয় নি ! তাই দয়া করে আমাকে দাদা ডাকবেন না !l আগে বিয়ে করি তারপর নাতি-নাতনি হোক তারপর তারা দাদা ডাকবে নি !
আর আপনি যে কথাগুলো(বস্তাপচা) বলেছেন সেগুলো যে কোনো উত্তরই হয়নি তাতো আগেই প্রমান করে দিয়েছি l আর এগুলোতো মনে রাখার প্রশ্নই আসে না l তাই ভোলে যাওয়ার প্রশ্নই আসে না l
সারা পৃথিবীই জানে (মুসলিম ছাড়া) যে কুরআন মোহাম্মদ-এর দ্বারাই তৈরী হয়েছে l
আর মুহাম্মদ নিরক্ষর ছিল কথাটা কতটুকু সত্য তাতো জানিনা (যেহেতু সেই সময়ের বিধর্মীদের কোনো লেখাই মুসলিমরা রাখেনি l ধ্বংশ করে দিয়েছে সবগুলো যখন ইসলাম আরব দখল করেছিল ) তবু ধরে নিলাম সে নিরক্ষর ছিল l কিন্তু কুরআনতো সে লেখেনি , সে বলে দিত আর তার সাহাবারা সেগুলো লিখতো l তাই সেটা যে তার মাথা থেকে আসেনি সেটা ভাবা বোকামি ছাড়া আর কিছুই নয় l সেটা যদি আপনাদের বিশ্বাস না হয় তাহলে আপনারা লালন ফকিরকে বিবেচনা করে দেখতে পারেন l লালন নিরক্ষর ছিল l কোনো শিক্ষার সুযোগই সে পায়নি l কিন্তু দেখুন সে কি সুন্দর গান(সাহিত্য) সৃষ্টি করে গেছে l বাঙালিরা সেই গানকে কত উচু মানের আধ্যাতিক সাহিত্য হিসেবে বিবেচনা করে তাতো সবারই জানা l এখন লালন বিশ্বস্বীকৃত উচু মানের সাহিত্যিক l সেটাকে খুব স্বাভাবিক ভাবে দেখছেন কিন্তু মুহাম্মদের ব্যাপারেই আপনারা অন্ধ হয়ে যাচ্ছেন ! কিন্তু কেন ?
মুসলিমরা দাবি করে(অন্ধভাবে) যে এতে একটাও বিজ্ঞান বিরোধী কথা নেই l কিন্তু সারা পৃথিবীর মানুষ যারা কুরআন নিয়ে নারাচারা করেছে তারা জানে এতে বিজ্ঞান বিরোধী কথায় ভর্তি l এত বিজ্ঞান বিরোধী কথা এতে আছে যে সবাই বুঝতে পারে যে এটা কোনো সৃষ্টি কর্তার কাছ থেকে আসেনি l (যদিও মুসলিমরা অজ্ঞতায় এবং ভন্ডামির মাধ্যমে সেই কথাটা স্বীকার করেনা l) সারা পৃথিবীর মানুষ জানে এতে কত বিজ্ঞান বিরোধী কথা আছে l আর মুসলিমরা শাখ দিয়ে মাছ ঢাকার মত এই ভুল গুলো সংশোধন করতে যায় l কিন্তু একটা সংশোধন করলে আরেকটা বের হয় l আবার সেইটা সংশোধন করলে অন্য আরেকটা বের হয় l আর পরস্পর বিরুধী কথায়তো ভর্তি l আপনি এই ব্যাপারে জানতে 'scientific error in quran' বা 'error in quran" লিখে সার্চ দিলেই পেয়ে যাবেন কুরানে ভুল গুলো l
আপনি মিশরের রাজা ফেরাউন-এর দেহ সংরক্ষণের ব্যাপারে একটা আয়াতের কথা বলেছেন l আর আয়াতটা হলো :
(১০) সুরা ইউনুস : আয়াত ৯২ :
"অতএব আজকের দিনে তোমাকে বাঁচিয়ে দিচ্ছি আমি তোমার দেহকে যাতে তোমার পশ্চাতবর্তিদের জন্য নিদর্শন হতে পারে l আর নি:সন্দেহে বহু লোক আমার মহাশক্তির প্রতি লক্ষ করে না l"
92. "This day shall We save thee in the body, that thou
mayest be a sign to those who come after thee! but
verily, many among mankind are heedless of Our
Signs!"
এই আয়াত টিতে বলা হয়েছে যে আজকের দিনে অর্থাত যেদিন ফেরাউনকে ডুবিয়ে দেয়া হচ্ছিল আর সে আল্লাহর কাছে তওবা করে জীবন বিক্ষা চাইছিল সেই দিনে আল্লাহ ফেরাউন কে বলল আজকের দিনে আমি তোমার দেহকে(তোমাকে) বাঁচিয়ে দিচ্ছি যাতে তোমার দেহ দেখে তোমার পরবর্তী সবাই নিদর্শন পায় l আর অনেক লোকই আল্লাহর মহাশক্তির নিদর্শন লক্ষ করে না এটাই বলা হয়েছে l অর্থাত আল্লাহ বলেছে যে ফেরাউনের বডি সংরক্ষণ করে রাখাটাই একটা নিদর্শন l
মিশরের ফারাও রাজাদের বডি মমি করে রাখা হত l তারা বিশ্বাস করত যে মানুষ মরার পরে নতুন পৃথিবীতে গমন করে l আর নতুন পৃথিবীতে যাবার জন্য দেহকে অক্ষত রাখতে হয় l আর সে জন্যই তারা মানুষ মরে গেলে তাদের বডি মমি করে রেখে দিত l আর এটা সেই সময়ে সবাই জানত l সব ফারাও রাজাদের বডিই সংরক্ষণ করা আছে l আর এটা বলাতে কোনো অলৌকিকতা প্রকাশ পায় না l সে সময় সবাই জানত বলেই এই দৃষ্টান্তটা দেওয়া হয়েছে l যাতে যারা বিশ্বাস করে আল্লাহর অস্তিত্বে তারা ধরে নেয় যে এই কাজ টা আল্লাহই করেছেন l কিন্তু আমরা জানি যে সব ফারাও রাজাদেরকেই মমি করে রাখা হয়েছে l এখানে কিছু মিলে যাবার নেই l মুহাম্মদ জানত যে ফেরাউনকে মমি করে রাখা হয়েছে আর সেটাই সে বলেছে l
এখানে আল্লাহর ক্ষমতার কোনো প্রমানই পাওয়া যায় না l.
মোহাম্মদ একটা প্রতিভা ছিল l আর তার প্রতিভার ফলই এই কুরআন l কুরআনের ভাষায় ছন্দ আছে যেটা তার প্রতিভারই প্রকাশ করে থাকে l যেমন লালন , রবীন্দ্রনাথ আরো বিশ্বের সব বিক্ষ্যাত কবিরা l এটাতে অবাক হবার কিছু নেই l কিন্তু তার সময়ে সে অনেক বড় মাপের কবি (কিন্তু অসৎ) ছিল এটা বলতে হবে l কিন্তু আধুনিক কালে তার চেয়ে অর্থাত কুরআনের চেয়ে বহু গুন উচু মানের সাহিত্য রচিত হয় l
আর কোরান গ্রন্থাকারে প্রকাশ হয় ইসলামের চতুর্থ খলিফা উসমান এর সময়ে l সেই সময়ে অনেক কুরআন বিশেষজ্ঞ মিলে কয়েক বছর গবেষণা করে কুরআনকে গ্রন্থ আকারে প্রকাশ করে l তারাই ঠিক করে যে কোন সুরা কোথায় বসবে l ফলে মুসলিমরা যে দাবি করে কুরআনের গাণিতিক মিরাকলের কথা তার জন্য সেই সব কুরআন বিশেষজ্ঞদের ভূমিকাই প্রধান l এখানে আল্লাহ বা মুহাম্মদের কোনো ভুমিকা নেই l সুতরাং এটা মিরাকল মিরাকল বলে চিল্লানো সম্পূর্ণ ভন্ডামি ছাড়া আর কিছুই নয় l
১৫.
প্রখ্যাত বিজ্ঞানী ডাঃ রশিদ খলিফা ১৯৭৩ সাল থেকে কোরআন নিয়ে একটি গবেষণা চালান। তিনি একটি কম্পিউটারে ১১৪ টি সুরা ও এর মধ্যে বিশেষ বিশেষ অক্ষর যে নিয়মে বিন্যস্ত করা হয়েছে সেভাবে বিন্যস্ত করেন। এখানে যে গাণিতিক সমীকরণ টি ব্যবহৃত হয়েছে, সেভাবে অর্থাৎ শুধু গণিতের ফর্মুলা অনুযায়ী যদি এমন একটি কিতাব রচনা করার কথা কেউ চিন্তা করে তবে তাকে ৬৩০০০-০০০-০০০-০০০-০০০-০০০-০০০- ০০০ (৬৩ অক্টিলিয়ন) বার
প্রচেষ্টা চালিয়ে সফল হতে হবে যা একেবারেই অসম্ভব।
আমার উত্তর : যে বিজ্ঞানীটির নাম বলেছেন সে কতটা বড় মাপের বিজ্ঞানী এটা আমি জানিনা l তার নামী শুনিনি এর আগে l
সে ১৯৭৩ সাল থেকে এই গবেষণাটি করেছে বলে আপনি বললেন l কিন্তু সে কত সালে কম্পিউটার দিয়ে এই পরীক্ষাটি করেছিলেন সেটা বলেননি আপনি l যে সময়ের উল্লেখ করেছেন সেই সময়ে কম্পিউটার কেমন পাওয়ারের ছিল ? আর সেই সময়ে কি অত পাওয়ারফুল কম্পিউটার ছিল ?
আচ্ছা যাই হোক, আপনি যে হিসাব দেখিয়েছেন সেটা কি বিজ্ঞান মেনে নিয়েছে ? তার পরীক্ষাটাই কি বিজ্ঞান মেনে নিয়েছে ? নাকি তিনি বিজ্ঞানের নাম ভাঙিয়ে নিজেই আজগুবি একটা সংখ্যা বসিয়ে দিয়েছেন ? তার এই আবিষ্কারতার সম্পর্কে কি বিজ্ঞানীরা জানেন ?
তাহলেত সে মহা কিছু আবিষ্কার করে ফেলেছে l এই সব বিজ্ঞানীরা না হয় বিজ্ঞান মনস্ক নাহয় ধার্মিক l সারা জীবন একটা ধোয়াশার মধ্যে থেকে যায় l মাঝখান থেকে বিজ্ঞানের নাম ভাঙিয়ে টু-পাইস কামিয়ে নেন l
আপনি যে সংখ্যাটা দিয়েছেন তাতে বুঝা যাচ্ছে কুরআনের মত কোনো বইই লেখা সম্ভব না l যেসব কুরআন বিশেষজ্ঞরা সেই সময় কুরআন কে গ্রন্থাকারে প্রকাশ করেছিল তারা থাকলে মুসলিমরা(ভন্ডরা) তাদের নিশ্চই পুরস্কৃত করত l কারণ তারাইত কুরআন কে এভাবে বিন্যস্ত করেছেন l এতে কিন্তু আল্লাহ বা মুহাম্মদের কোনো ভুমিকা নেই l
আর আল্লাহর কথা অনুযায়ী যদি কুরআনের মত সুরা বা সাহিত্য রচনা করার কথা বলেন তাহলে তার চেয়ে অনেক ভালো সুরা বা সাহিত্য রচনা সম্ভব হয়েছে এবং ভবিষ্যতেও আরো ভালো করে সম্ভব হবে ll
১৬.
তারপরও আপনারা বলেন আমরা অন্ধ বিশ্বাসী। অন্ধ বিশ্বাসী তো আপনারা, কোটি কোটি বছর আগের"কাহিনী" ধারনা করা হচ্ছে, আর তা-ই মেনে নিচ্ছেন।
আমরা যে কতোটা যুক্তির উপড় দাঁড়িয়ে মেনে নিচ্ছি আল্লাহ্ আছেন সেগুলো এই লিংক থেকে বিস্তারিত জেনে নিন।
লিংকঃ http:llwww.shodalap.orglsmraihanl134l
আমার উত্তর : ভাই এবার আমি নিশ্চিত হলাম আপনার মাথায় ভালো পরিমান গন্ডগোল আছে l সব আস্তিক যে অন্ধ বিশ্বাসী হয় এটা পৃথিবীর সবাই জানে l কিন্তু আপনি ঠিক কোন বইয়ে বা কোন লিংক-এ পেয়েছেন যে নাস্তিকরা কোটি কোটি বছর আগের কাহিনী ধারণা করা হচ্ছে আর তারা তাই মেনে নিচ্ছে l কোটি কোটি বছর আগে কি বিগ ব্যাং-এর ধারণা ছিল ? আর থাকলে সেটা কোথায় আছে জানাবেন ? আধনিক বিজ্ঞানের যাত্রাই শুরু হয়েছে একশ বছর আগে l আমরা জেনেছি ঈশ্বর (সৃষ্টিকর্তা) নেই বিজ্ঞানের উন্নতির সাহায্যে l ধর্ম গুলো যে ভ্রান্ত ধারণা দিয়েছিল মানুষকে, বিজ্ঞানই সেই সব ধারণাকে মিথ্যে প্রমান করে দিয়ে প্রমান করেছে যে ঈশ্বর বা আল্লাহ বা অন্য কোনো সৃষ্টি কর্তা নেই l আর আজ বিজ্ঞানই বলে যে কোনো সৃষ্টিকর্তা নেই l এটা আজ প্রমানিত সত্য যে কোনো সৃষ্টি কর্তা নেই l আস্তিকরা সৃষ্টিকর্তা বিশ্বাস করে আর এর থেকে বেরিয়ে আসতে চায়না দেখেই নানা অপব্যাখ্যা আর অপযুক্তি হাজির করে l মানুষকে ঈশ্বর (বা সৃষ্টিকর্তা) সৃষ্টি করে নি কিন্তু ঈশ্বর কেই, ঈশ্বরের ভ্রান্ত ধারণা কেই মানুষ সৃষ্টি করেছে l অর্থাত ঈশ্বর মানুষ সৃষ্টি করেনি মানুষই ঈশ্বরকে সৃষ্টি করেছে l
আপনি কত বড় বোকা দেখুন কিছু না জেনেই ধরে নিলেন আমি একজন হিন্দু l (আপনাকে এখন পাগল বলবো নাকি ভাবছি !) আমার লেখাতে কি বোঝা গেছে যে আমি হিন্দু l হিন্দুরাই কি মুসলমান ভন্ডদের সাইজ করে l আমার অন্যান্য লেখা পরলেই বুঝতেন আমি কি ! এই জন্যই বলে যে অল্প বিদ্যা ভয়ংকরী l বয়স অনুযায়ী বয়সের থেকে বেশি পেকে গিয়ে ভেবেছেন পন্ডিত হয়ে গেছেন !
আপনি যে লিংক-টা দিয়েছেন সেটা কোনো বোকা মুসলমানের যে যুক্তি বোঝেই না উল্টো বস্তাপচা কতগুলো পয়েন্ট দিয়ে রেখেছে l
এই লিংক সম্পর্কে একটা কথাই এই মুহুর্তে আপনাকে বলতে পারি যে লেখকদের অনেক রকম কৌশল থাকে l আর সেই কৌশলের জোরেই তার লেখাগুলোকে প্রানবন্ত ও বিশ্বাসযোগ্য করে তুলতে পারে l মুহাম্মদ অনেক বুদ্ধিমান আর প্রতিভাবান ছিল l সেই সময় তার মত এইরকম প্রতিভাবান ছিল কিনা তা বলা মুস্কিল l আর সেই প্রতিভার জন্যই সে অনেককে বিশ্বাস করাতে পেরেছিল l তার সবচেয়ে বড় গুন যেটা সেটা হলো সে সেই সময়ে অনেক ভালো মানের সাহিত্য তৈরী করেছিল l যেটা সেই সময়ের লোকদের জন্য একটু বিস্ময়করই লেগেছে l আর তাই তারা তাকে আল্লাহর নবী মেনেছে l কিন্তু বর্তমান সাহিত্যের কাছে এই সাহিত্য কিছুই না l যদি আপনি অন্ধ বিশ্বাসী না হতেন তবে ঠিকই বুঝতে পারতেন l
মুহাম্মদ যেরকম প্রতিভাবান ছিল সেরকম সৎ ছিল না l (যদি আমরা সেই সময়ের জ্ঞানী লোক যারা ইসলাম মেনে নেয়নি তাদের লেখা দেখতে পারতাম তবে বুঝতে পারতাম তার চরিত্র আসলে কেমন ছিল l) আর সে অসৎ ছিল বলেই তার প্রতিভাকে কাজে লাগিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করেছে l
আর কোরআনের যেটা বিশেষ বৈশিষ্ট বলে ইসলামিক বিশিষ্টজনরা দাবি করে সেটা হলো কোরআনের বিন্যাস l আর বিন্যাসগুলো করেছিল চতুর্থ খলিফা উসমান -এর সময় কুরআনের গুরুত্ব পূর্ণ কিছু হাফেজ l সেই সময় কোরআনের অনেক অংশ বিকৃত হয়ে গিয়েছিল l আর সেগুলুকে সংশোধন ছাড়াও কুরআনের বিন্যাসের কাজটাও তারা করেছিল দক্ষতার সাথে l আর এটা করতে তাদের কয়েক বছর লেগেছিল l আর তাই কুরআনের বিন্যাস এরকম l এর জন্য আল্লাহ বা মুহাম্মদকে কৃতিত্ব দেয়া সম্পূর্ণ ভিত্তি হীন l এর কৃতিত্ব সম্পূর্ণই সেই সব কুরআন বিজ্ঞদের l
শেষ .
বিঃদ্রঃ কোনো উত্তর না দিতে পেরে শুধু উপহাস(মিউ মিউ) করবেন না। আসুন যুক্তি দিয়ে আলোচনা করি।
আমার উত্তর : আপনি যদি কিছুটা বুদ্ধিমানও হয়ে থাকেন তাহলে ঠিকই বুঝবেন যে আমি কি দক্ষতার সাথে আপনার পাগলামির উপযুক্ত জবাব দিয়েছি l আর যুক্তির কথা বলছেন , এই একটা জিনিসই আস্তিকরা বুঝতে পারেনা l তারা ভাবে তারা যুক্তি মত আছে l কিন্তু তারা তাদের ভ্রান্ত যুক্তির ভাইরে যেতে পারে না l শৈশবের অন্ধ বিশ্বাস গুলিই সারাজীবন আকড়ে ধরে রাখে l অজ্ঞকে জ্ঞান দেয়া যায় বা তার অজ্ঞতা দূর করা যায় l কিন্তু যারা অজ্ঞতাকে আকড়ে ধরে বসে থাকে অর্থাত তারা তাদের অজ্ঞতা থেকে বেরিয়ে আসতে না চায় তাহলে তাদেরকে হাজার যুক্তি প্রমান দিয়ে বুঝানো হোক না কেন তারা অন্ধ বিশ্বাস নিয়েই থাকবে l অন্ধকার থেকে বের হয়ে আসবে না l আর আস্তিকদের হয়েছে এই অবস্থা l যেখানে বিজ্ঞান বলছে কোনো সৃষ্টি কর্তা থাকা সম্ভব না সেখানে আস্তিকরা বলেই যাচ্ছে ঈশ্বর আছে আল্লাহ আছে গড আছে ভগমান আছে ইত্যাদি ইত্যাদি l যারা বিজ্ঞানকে মেনে নিতে পারে না শুধু মাত্র তাদের ধর্মের বিরুধ্যে যায় বলে তাদের থেকে কপটমন্ডক আর নেই পৃথিবীতে l বিজ্ঞানের সত্য গুলো একদিন সূর্যের আলোর মত সব অন্ধকার কে দূর করে দেয় l আর তখন সব কুসংকার দূর হয়ে যায় l আজ যারা বিজ্ঞান কে মানছেন না কাল তারাই বিজ্ঞানের রঙ্গে নিজেকে রাঙিয়ে নিতে বাধ্য হবে l (কোনো কোনো ক্ষেত্রে বিজ্ঞানের জ্ঞান নিয়ে ভন্ডামি করবে l) ইতিহাস তাই বলে l কত হলো এমন আর কত হবে !
আমার বিশেষ দ্রষ্টব্য : ভাই শুভ্র আহমেদ আপনিতো অনেক বড় জ্ঞানী l আর একটু জ্ঞানী হোন ! বিজ্ঞান ভালো ভাবে জানুন l আর আপনাদের কোরান নিয়ে একটু গবেষণা করুন l কুরআনের আয়াত গুলোর একশ বছর আগে কি অর্থ ছিল l আর এখন কি অর্থ করা হচ্ছে l কেন করা হচ্ছে ? কেন অর্থের পরিবর্তন করা হচ্ছে ?
এইসব খুটিনাটি বিষয় যখন ভালোভাবে জানবেন আর বিজ্ঞানটা ভালো ভাবে জানবেন তারপরই ধার্মিক হইয়েন l আপনার পিতামাতা তো আপনার উপর তাদের ধর্ম চাপিয়ে দিয়েছেন ; এখন আপনি নিজে জেনেই ধর্ম পালন করুন l ভালো ভাবে জানার পরেই বুঝবেন আপনার বিশ্বাস নিয়ে কিরকম ছিনিমিনি খেলা হয়েছে l এইযে আমি এখন যেমন সেটা টের পেয়ে গেছি !
শুভ্র আহমেদ ; আপনার আমার উদ্দেশ্যে বলা কথার প্রেক্ষিতে :
পর্ব - ১ এর পর
১২.
আচ্ছা, বললেন কোরআন বলে মহাকাশ আল্লাহ্ ৬ সৃষ্টি করেছেন। কান খাড়া করে শুনুন, কোরআন এর কোথাও পাবেন না, দিনের কথা, এটি নির্দিষ্ট একটি সময়ের কথা বলছে। ছয় দিনের কথা বলা হচ্ছে বাইবেলে। বাইবেল অনুসারে পৃথিবী ছয়দিনে সৃষ্টি করে ঈশ্বর সপ্তম দিন বিশ্রামে গেছেন। এই বিশ্রামকে বলা হয় সাবাথ বা বিশ্রাম দিবস।
আমার উত্তর : ভাই আপনার কি সত্যিই মাথা মোটা নাকি ? নাকি আপনি গাধা (স্টুপিড) ?
আরে ভাই আমি কখন বললাম যে কোরানে ছয় দিন মানে ছয় ২৪ ঘন্টার দিন বলা হয়েছে l আমি বলেছি আল্লাহর হিসেবে ছয় দিন আর মানুষের হিসেবে ছয়টি দশ হাজার বছর বা ছয়টি পঞ্চাশ হাজার বছর অথবা ছয়টি নির্দিষ্ট সময়কাল l
কারণ কুরানে এভাবেই বলা আছে l আপনি কিছু জানেননা ( শুধু প্যাক প্যাক করেন ) বলে এসব জানেন না l
আপনি আমাকে কান খাড়া করে শুনতে বললেন যে কোরআন এর কোথাও পাবেন না, দিনের কথা, এটি নির্দিষ্ট একটি সময়ের কথা বলছে।
ভাই আমি কান খাড়া করে থাকলাম কিন্তু কিছু শুনতে পাচ্ছি না l(শুধু চ্যাঁচামেচি ছাড়া) l
আপনারা মানে মুসলিম নেতারা বলেন যে কোরানে বলা হয়েছে ইয়াম মানে দিন বা নির্দিষ্ট সময়কাল l অর্থাত এর মানে একদিনও (মানুষের হিসেবে দিন) আবার একটা নির্দিষ্ট সময় কালও l আর আমি এভাবেই আমার লেখাটা লিখেছিলাম l কিন্তু আপনার মাথায় সমস্যা আছে বলে বুঝতে পারেন নি !!
১৩.
আমার মনে হয় সব কিছুরই উত্তর দিয়েছি। আর কিছু বাকী নেই।
আমার উত্তর : ভাই আপনি কোনো কিছুরই উত্তর দেন নি l( আর আমি কোনো প্রশ্ন করেছি কিনা তাও মনে পরছে না l) আপনি শুধু না বুঝেই হাউকাউ করেছেন l কি বুঝাতে কি বলেছেন কিছুই বুঝেন নি l শুধু শুধু উল্টা পাল্টা কথা বলেছেন l বুঝেছেন ?
আগে ভালোভাবে জেনে নেবেনl তারপর কি প্রশ্ন করা হয়েছে তা আগে ভালো ভাবে বুঝবেন l কি প্রশ্ন করা হয়েছে , আসলেই প্রশ্ন করা হয়েছে কিনা ভালো ভাবে বুঝেই উত্তর দিতে যাবেন l কিছুই বুঝেন না আর পান্ডিত্ব ফলাতে এসে নিজেকে উজবুক প্রমান করে ভাবছেন 'মুই কি হনু রে' !!
১৪.
ময়ুরাক্ষীর তীরে একাকী আচ্ছা দাদা উদ্দীপক এর গুলো ভুলে যান, যান ভুলে।
ধরে নিলাম, কোরআন মুহাম্মদ (সঃ) রচনা করেছেন। ( নাউজুবিল্লা) তিনি নিরক্ষর ছিলেন।
আচ্ছা তাহলে, এতে একটিও বিজ্ঞান বিরোধী আয়াত পাওয়া যায় না, কেনো?
আচ্ছা ধরলাম, বিজ্ঞানের সাথে মিলে না। আচ্ছা, তাহলে
ফেরাউনকে বলেছিলো তোমাকে নিদর্শন সরূপ রাখব, পপরবর্তীদের জন্য। সূরা ইউনুছ।
এই কথা মিলে গেলো কিভাবে?
আর এরকম কবিতার চেয়েও উন্নত মানের ছন্দের সাথে এতো গনিতের মিরাকল পাওয়া যায় কেনো?
আমার উত্তর : ভাই আমি আবার বলছি যে আমি বিয়েই করি নি l আর তাই আমি কোনো সন্তান জন্ম দেই নি l ফলে সেই সন্তানও কোনো সন্তান জন্ম দেয় নি ! তাই দয়া করে আমাকে দাদা ডাকবেন না !l আগে বিয়ে করি তারপর নাতি-নাতনি হোক তারপর তারা দাদা ডাকবে নি !
আর আপনি যে কথাগুলো(বস্তাপচা) বলেছেন সেগুলো যে কোনো উত্তরই হয়নি তাতো আগেই প্রমান করে দিয়েছি l আর এগুলোতো মনে রাখার প্রশ্নই আসে না l তাই ভোলে যাওয়ার প্রশ্নই আসে না l
সারা পৃথিবীই জানে (মুসলিম ছাড়া) যে কুরআন মোহাম্মদ-এর দ্বারাই তৈরী হয়েছে l
আর মুহাম্মদ নিরক্ষর ছিল কথাটা কতটুকু সত্য তাতো জানিনা (যেহেতু সেই সময়ের বিধর্মীদের কোনো লেখাই মুসলিমরা রাখেনি l ধ্বংশ করে দিয়েছে সবগুলো যখন ইসলাম আরব দখল করেছিল ) তবু ধরে নিলাম সে নিরক্ষর ছিল l কিন্তু কুরআনতো সে লেখেনি , সে বলে দিত আর তার সাহাবারা সেগুলো লিখতো l তাই সেটা যে তার মাথা থেকে আসেনি সেটা ভাবা বোকামি ছাড়া আর কিছুই নয় l সেটা যদি আপনাদের বিশ্বাস না হয় তাহলে আপনারা লালন ফকিরকে বিবেচনা করে দেখতে পারেন l লালন নিরক্ষর ছিল l কোনো শিক্ষার সুযোগই সে পায়নি l কিন্তু দেখুন সে কি সুন্দর গান(সাহিত্য) সৃষ্টি করে গেছে l বাঙালিরা সেই গানকে কত উচু মানের আধ্যাতিক সাহিত্য হিসেবে বিবেচনা করে তাতো সবারই জানা l এখন লালন বিশ্বস্বীকৃত উচু মানের সাহিত্যিক l সেটাকে খুব স্বাভাবিক ভাবে দেখছেন কিন্তু মুহাম্মদের ব্যাপারেই আপনারা অন্ধ হয়ে যাচ্ছেন ! কিন্তু কেন ?
মুসলিমরা দাবি করে(অন্ধভাবে) যে এতে একটাও বিজ্ঞান বিরোধী কথা নেই l কিন্তু সারা পৃথিবীর মানুষ যারা কুরআন নিয়ে নারাচারা করেছে তারা জানে এতে বিজ্ঞান বিরোধী কথায় ভর্তি l এত বিজ্ঞান বিরোধী কথা এতে আছে যে সবাই বুঝতে পারে যে এটা কোনো সৃষ্টি কর্তার কাছ থেকে আসেনি l (যদিও মুসলিমরা অজ্ঞতায় এবং ভন্ডামির মাধ্যমে সেই কথাটা স্বীকার করেনা l) সারা পৃথিবীর মানুষ জানে এতে কত বিজ্ঞান বিরোধী কথা আছে l আর মুসলিমরা শাখ দিয়ে মাছ ঢাকার মত এই ভুল গুলো সংশোধন করতে যায় l কিন্তু একটা সংশোধন করলে আরেকটা বের হয় l আবার সেইটা সংশোধন করলে অন্য আরেকটা বের হয় l আর পরস্পর বিরুধী কথায়তো ভর্তি l আপনি এই ব্যাপারে জানতে 'scientific error in quran' বা 'error in quran" লিখে সার্চ দিলেই পেয়ে যাবেন কুরানে ভুল গুলো l
আপনি মিশরের রাজা ফেরাউন-এর দেহ সংরক্ষণের ব্যাপারে একটা আয়াতের কথা বলেছেন l আর আয়াতটা হলো :
(১০) সুরা ইউনুস : আয়াত ৯২ :
"অতএব আজকের দিনে তোমাকে বাঁচিয়ে দিচ্ছি আমি তোমার দেহকে যাতে তোমার পশ্চাতবর্তিদের জন্য নিদর্শন হতে পারে l আর নি:সন্দেহে বহু লোক আমার মহাশক্তির প্রতি লক্ষ করে না l"
92. "This day shall We save thee in the body, that thou
mayest be a sign to those who come after thee! but
verily, many among mankind are heedless of Our
Signs!"
এই আয়াত টিতে বলা হয়েছে যে আজকের দিনে অর্থাত যেদিন ফেরাউনকে ডুবিয়ে দেয়া হচ্ছিল আর সে আল্লাহর কাছে তওবা করে জীবন বিক্ষা চাইছিল সেই দিনে আল্লাহ ফেরাউন কে বলল আজকের দিনে আমি তোমার দেহকে(তোমাকে) বাঁচিয়ে দিচ্ছি যাতে তোমার দেহ দেখে তোমার পরবর্তী সবাই নিদর্শন পায় l আর অনেক লোকই আল্লাহর মহাশক্তির নিদর্শন লক্ষ করে না এটাই বলা হয়েছে l অর্থাত আল্লাহ বলেছে যে ফেরাউনের বডি সংরক্ষণ করে রাখাটাই একটা নিদর্শন l
মিশরের ফারাও রাজাদের বডি মমি করে রাখা হত l তারা বিশ্বাস করত যে মানুষ মরার পরে নতুন পৃথিবীতে গমন করে l আর নতুন পৃথিবীতে যাবার জন্য দেহকে অক্ষত রাখতে হয় l আর সে জন্যই তারা মানুষ মরে গেলে তাদের বডি মমি করে রেখে দিত l আর এটা সেই সময়ে সবাই জানত l সব ফারাও রাজাদের বডিই সংরক্ষণ করা আছে l আর এটা বলাতে কোনো অলৌকিকতা প্রকাশ পায় না l সে সময় সবাই জানত বলেই এই দৃষ্টান্তটা দেওয়া হয়েছে l যাতে যারা বিশ্বাস করে আল্লাহর অস্তিত্বে তারা ধরে নেয় যে এই কাজ টা আল্লাহই করেছেন l কিন্তু আমরা জানি যে সব ফারাও রাজাদেরকেই মমি করে রাখা হয়েছে l এখানে কিছু মিলে যাবার নেই l মুহাম্মদ জানত যে ফেরাউনকে মমি করে রাখা হয়েছে আর সেটাই সে বলেছে l
এখানে আল্লাহর ক্ষমতার কোনো প্রমানই পাওয়া যায় না l.
মোহাম্মদ একটা প্রতিভা ছিল l আর তার প্রতিভার ফলই এই কুরআন l কুরআনের ভাষায় ছন্দ আছে যেটা তার প্রতিভারই প্রকাশ করে থাকে l যেমন লালন , রবীন্দ্রনাথ আরো বিশ্বের সব বিক্ষ্যাত কবিরা l এটাতে অবাক হবার কিছু নেই l কিন্তু তার সময়ে সে অনেক বড় মাপের কবি (কিন্তু অসৎ) ছিল এটা বলতে হবে l কিন্তু আধুনিক কালে তার চেয়ে অর্থাত কুরআনের চেয়ে বহু গুন উচু মানের সাহিত্য রচিত হয় l
আর কোরান গ্রন্থাকারে প্রকাশ হয় ইসলামের চতুর্থ খলিফা উসমান এর সময়ে l সেই সময়ে অনেক কুরআন বিশেষজ্ঞ মিলে কয়েক বছর গবেষণা করে কুরআনকে গ্রন্থ আকারে প্রকাশ করে l তারাই ঠিক করে যে কোন সুরা কোথায় বসবে l ফলে মুসলিমরা যে দাবি করে কুরআনের গাণিতিক মিরাকলের কথা তার জন্য সেই সব কুরআন বিশেষজ্ঞদের ভূমিকাই প্রধান l এখানে আল্লাহ বা মুহাম্মদের কোনো ভুমিকা নেই l সুতরাং এটা মিরাকল মিরাকল বলে চিল্লানো সম্পূর্ণ ভন্ডামি ছাড়া আর কিছুই নয় l
১৫.
প্রখ্যাত বিজ্ঞানী ডাঃ রশিদ খলিফা ১৯৭৩ সাল থেকে কোরআন নিয়ে একটি গবেষণা চালান। তিনি একটি কম্পিউটারে ১১৪ টি সুরা ও এর মধ্যে বিশেষ বিশেষ অক্ষর যে নিয়মে বিন্যস্ত করা হয়েছে সেভাবে বিন্যস্ত করেন। এখানে যে গাণিতিক সমীকরণ টি ব্যবহৃত হয়েছে, সেভাবে অর্থাৎ শুধু গণিতের ফর্মুলা অনুযায়ী যদি এমন একটি কিতাব রচনা করার কথা কেউ চিন্তা করে তবে তাকে ৬৩০০০-০০০-০০০-০০০-০০০-০০০-০০০-
আমার উত্তর : যে বিজ্ঞানীটির নাম বলেছেন সে কতটা বড় মাপের বিজ্ঞানী এটা আমি জানিনা l তার নামী শুনিনি এর আগে l
সে ১৯৭৩ সাল থেকে এই গবেষণাটি করেছে বলে আপনি বললেন l কিন্তু সে কত সালে কম্পিউটার দিয়ে এই পরীক্ষাটি করেছিলেন সেটা বলেননি আপনি l যে সময়ের উল্লেখ করেছেন সেই সময়ে কম্পিউটার কেমন পাওয়ারের ছিল ? আর সেই সময়ে কি অত পাওয়ারফুল কম্পিউটার ছিল ?
আচ্ছা যাই হোক, আপনি যে হিসাব দেখিয়েছেন সেটা কি বিজ্ঞান মেনে নিয়েছে ? তার পরীক্ষাটাই কি বিজ্ঞান মেনে নিয়েছে ? নাকি তিনি বিজ্ঞানের নাম ভাঙিয়ে নিজেই আজগুবি একটা সংখ্যা বসিয়ে দিয়েছেন ? তার এই আবিষ্কারতার সম্পর্কে কি বিজ্ঞানীরা জানেন ?
তাহলেত সে মহা কিছু আবিষ্কার করে ফেলেছে l এই সব বিজ্ঞানীরা না হয় বিজ্ঞান মনস্ক নাহয় ধার্মিক l সারা জীবন একটা ধোয়াশার মধ্যে থেকে যায় l মাঝখান থেকে বিজ্ঞানের নাম ভাঙিয়ে টু-পাইস কামিয়ে নেন l
আপনি যে সংখ্যাটা দিয়েছেন তাতে বুঝা যাচ্ছে কুরআনের মত কোনো বইই লেখা সম্ভব না l যেসব কুরআন বিশেষজ্ঞরা সেই সময় কুরআন কে গ্রন্থাকারে প্রকাশ করেছিল তারা থাকলে মুসলিমরা(ভন্ডরা) তাদের নিশ্চই পুরস্কৃত করত l কারণ তারাইত কুরআন কে এভাবে বিন্যস্ত করেছেন l এতে কিন্তু আল্লাহ বা মুহাম্মদের কোনো ভুমিকা নেই l
আর আল্লাহর কথা অনুযায়ী যদি কুরআনের মত সুরা বা সাহিত্য রচনা করার কথা বলেন তাহলে তার চেয়ে অনেক ভালো সুরা বা সাহিত্য রচনা সম্ভব হয়েছে এবং ভবিষ্যতেও আরো ভালো করে সম্ভব হবে ll
১৬.
তারপরও আপনারা বলেন আমরা অন্ধ বিশ্বাসী। অন্ধ বিশ্বাসী তো আপনারা, কোটি কোটি বছর আগের"কাহিনী" ধারনা করা হচ্ছে, আর তা-ই মেনে নিচ্ছেন।
আমরা যে কতোটা যুক্তির উপড় দাঁড়িয়ে মেনে নিচ্ছি আল্লাহ্ আছেন সেগুলো এই লিংক থেকে বিস্তারিত জেনে নিন।
লিংকঃ http:llwww.shodalap.orglsmraihanl134l
আমার উত্তর : ভাই এবার আমি নিশ্চিত হলাম আপনার মাথায় ভালো পরিমান গন্ডগোল আছে l সব আস্তিক যে অন্ধ বিশ্বাসী হয় এটা পৃথিবীর সবাই জানে l কিন্তু আপনি ঠিক কোন বইয়ে বা কোন লিংক-এ পেয়েছেন যে নাস্তিকরা কোটি কোটি বছর আগের কাহিনী ধারণা করা হচ্ছে আর তারা তাই মেনে নিচ্ছে l কোটি কোটি বছর আগে কি বিগ ব্যাং-এর ধারণা ছিল ? আর থাকলে সেটা কোথায় আছে জানাবেন ? আধনিক বিজ্ঞানের যাত্রাই শুরু হয়েছে একশ বছর আগে l আমরা জেনেছি ঈশ্বর (সৃষ্টিকর্তা) নেই বিজ্ঞানের উন্নতির সাহায্যে l ধর্ম গুলো যে ভ্রান্ত ধারণা দিয়েছিল মানুষকে, বিজ্ঞানই সেই সব ধারণাকে মিথ্যে প্রমান করে দিয়ে প্রমান করেছে যে ঈশ্বর বা আল্লাহ বা অন্য কোনো সৃষ্টি কর্তা নেই l আর আজ বিজ্ঞানই বলে যে কোনো সৃষ্টিকর্তা নেই l এটা আজ প্রমানিত সত্য যে কোনো সৃষ্টি কর্তা নেই l আস্তিকরা সৃষ্টিকর্তা বিশ্বাস করে আর এর থেকে বেরিয়ে আসতে চায়না দেখেই নানা অপব্যাখ্যা আর অপযুক্তি হাজির করে l মানুষকে ঈশ্বর (বা সৃষ্টিকর্তা) সৃষ্টি করে নি কিন্তু ঈশ্বর কেই, ঈশ্বরের ভ্রান্ত ধারণা কেই মানুষ সৃষ্টি করেছে l অর্থাত ঈশ্বর মানুষ সৃষ্টি করেনি মানুষই ঈশ্বরকে সৃষ্টি করেছে l
আপনি কত বড় বোকা দেখুন কিছু না জেনেই ধরে নিলেন আমি একজন হিন্দু l (আপনাকে এখন পাগল বলবো নাকি ভাবছি !) আমার লেখাতে কি বোঝা গেছে যে আমি হিন্দু l হিন্দুরাই কি মুসলমান ভন্ডদের সাইজ করে l আমার অন্যান্য লেখা পরলেই বুঝতেন আমি কি ! এই জন্যই বলে যে অল্প বিদ্যা ভয়ংকরী l বয়স অনুযায়ী বয়সের থেকে বেশি পেকে গিয়ে ভেবেছেন পন্ডিত হয়ে গেছেন !
আপনি যে লিংক-টা দিয়েছেন সেটা কোনো বোকা মুসলমানের যে যুক্তি বোঝেই না উল্টো বস্তাপচা কতগুলো পয়েন্ট দিয়ে রেখেছে l
এই লিংক সম্পর্কে একটা কথাই এই মুহুর্তে আপনাকে বলতে পারি যে লেখকদের অনেক রকম কৌশল থাকে l আর সেই কৌশলের জোরেই তার লেখাগুলোকে প্রানবন্ত ও বিশ্বাসযোগ্য করে তুলতে পারে l মুহাম্মদ অনেক বুদ্ধিমান আর প্রতিভাবান ছিল l সেই সময় তার মত এইরকম প্রতিভাবান ছিল কিনা তা বলা মুস্কিল l আর সেই প্রতিভার জন্যই সে অনেককে বিশ্বাস করাতে পেরেছিল l তার সবচেয়ে বড় গুন যেটা সেটা হলো সে সেই সময়ে অনেক ভালো মানের সাহিত্য তৈরী করেছিল l যেটা সেই সময়ের লোকদের জন্য একটু বিস্ময়করই লেগেছে l আর তাই তারা তাকে আল্লাহর নবী মেনেছে l কিন্তু বর্তমান সাহিত্যের কাছে এই সাহিত্য কিছুই না l যদি আপনি অন্ধ বিশ্বাসী না হতেন তবে ঠিকই বুঝতে পারতেন l
মুহাম্মদ যেরকম প্রতিভাবান ছিল সেরকম সৎ ছিল না l (যদি আমরা সেই সময়ের জ্ঞানী লোক যারা ইসলাম মেনে নেয়নি তাদের লেখা দেখতে পারতাম তবে বুঝতে পারতাম তার চরিত্র আসলে কেমন ছিল l) আর সে অসৎ ছিল বলেই তার প্রতিভাকে কাজে লাগিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করেছে l
আর কোরআনের যেটা বিশেষ বৈশিষ্ট বলে ইসলামিক বিশিষ্টজনরা দাবি করে সেটা হলো কোরআনের বিন্যাস l আর বিন্যাসগুলো করেছিল চতুর্থ খলিফা উসমান -এর সময় কুরআনের গুরুত্ব পূর্ণ কিছু হাফেজ l সেই সময় কোরআনের অনেক অংশ বিকৃত হয়ে গিয়েছিল l আর সেগুলুকে সংশোধন ছাড়াও কুরআনের বিন্যাসের কাজটাও তারা করেছিল দক্ষতার সাথে l আর এটা করতে তাদের কয়েক বছর লেগেছিল l আর তাই কুরআনের বিন্যাস এরকম l এর জন্য আল্লাহ বা মুহাম্মদকে কৃতিত্ব দেয়া সম্পূর্ণ ভিত্তি হীন l এর কৃতিত্ব সম্পূর্ণই সেই সব কুরআন বিজ্ঞদের l
শেষ .
বিঃদ্রঃ কোনো উত্তর না দিতে পেরে শুধু উপহাস(মিউ মিউ) করবেন না। আসুন যুক্তি দিয়ে আলোচনা করি।
আমার উত্তর : আপনি যদি কিছুটা বুদ্ধিমানও হয়ে থাকেন তাহলে ঠিকই বুঝবেন যে আমি কি দক্ষতার সাথে আপনার পাগলামির উপযুক্ত জবাব দিয়েছি l আর যুক্তির কথা বলছেন , এই একটা জিনিসই আস্তিকরা বুঝতে পারেনা l তারা ভাবে তারা যুক্তি মত আছে l কিন্তু তারা তাদের ভ্রান্ত যুক্তির ভাইরে যেতে পারে না l শৈশবের অন্ধ বিশ্বাস গুলিই সারাজীবন আকড়ে ধরে রাখে l অজ্ঞকে জ্ঞান দেয়া যায় বা তার অজ্ঞতা দূর করা যায় l কিন্তু যারা অজ্ঞতাকে আকড়ে ধরে বসে থাকে অর্থাত তারা তাদের অজ্ঞতা থেকে বেরিয়ে আসতে না চায় তাহলে তাদেরকে হাজার যুক্তি প্রমান দিয়ে বুঝানো হোক না কেন তারা অন্ধ বিশ্বাস নিয়েই থাকবে l অন্ধকার থেকে বের হয়ে আসবে না l আর আস্তিকদের হয়েছে এই অবস্থা l যেখানে বিজ্ঞান বলছে কোনো সৃষ্টি কর্তা থাকা সম্ভব না সেখানে আস্তিকরা বলেই যাচ্ছে ঈশ্বর আছে আল্লাহ আছে গড আছে ভগমান আছে ইত্যাদি ইত্যাদি l যারা বিজ্ঞানকে মেনে নিতে পারে না শুধু মাত্র তাদের ধর্মের বিরুধ্যে যায় বলে তাদের থেকে কপটমন্ডক আর নেই পৃথিবীতে l বিজ্ঞানের সত্য গুলো একদিন সূর্যের আলোর মত সব অন্ধকার কে দূর করে দেয় l আর তখন সব কুসংকার দূর হয়ে যায় l আজ যারা বিজ্ঞান কে মানছেন না কাল তারাই বিজ্ঞানের রঙ্গে নিজেকে রাঙিয়ে নিতে বাধ্য হবে l (কোনো কোনো ক্ষেত্রে বিজ্ঞানের জ্ঞান নিয়ে ভন্ডামি করবে l) ইতিহাস তাই বলে l কত হলো এমন আর কত হবে !
আমার বিশেষ দ্রষ্টব্য : ভাই শুভ্র আহমেদ আপনিতো অনেক বড় জ্ঞানী l আর একটু জ্ঞানী হোন ! বিজ্ঞান ভালো ভাবে জানুন l আর আপনাদের কোরান নিয়ে একটু গবেষণা করুন l কুরআনের আয়াত গুলোর একশ বছর আগে কি অর্থ ছিল l আর এখন কি অর্থ করা হচ্ছে l কেন করা হচ্ছে ? কেন অর্থের পরিবর্তন করা হচ্ছে ?
এইসব খুটিনাটি বিষয় যখন ভালোভাবে জানবেন আর বিজ্ঞানটা ভালো ভাবে জানবেন তারপরই ধার্মিক হইয়েন l আপনার পিতামাতা তো আপনার উপর তাদের ধর্ম চাপিয়ে দিয়েছেন ; এখন আপনি নিজে জেনেই ধর্ম পালন করুন l ভালো ভাবে জানার পরেই বুঝবেন আপনার বিশ্বাস নিয়ে কিরকম ছিনিমিনি খেলা হয়েছে l এইযে আমি এখন যেমন সেটা টের পেয়ে গেছি !
No comments:
Post a Comment