কেন ঈশ্বরের ক্ষমতা কমে গেছে ? ঈশ্বর কি আছে ?
মানুষ প্রাচীন কাল থেকে সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাস
করে এসেছে l প্রার্থনা করেছে তার কাছে যেকোন বিপদে,
রোগে , শুকে l সৃষ্টিকর্তা মানুষের প্রার্থনা শুনেছে l রক্ষা করেছে সব বিপদ থেকে l পাপীদের শাস্তি দিয়েছে l ভূমিকম্প ঝর তুফান
থেকে রক্ষা করেছে তাদেরকে যারা সৃষ্টিকর্তার অনুগত ছিল l গজব নেমে এসেছে যারা সৃষ্টিকর্তাকে অমান্য করেছে l এক কোথায় সৃষ্টিকর্তা ক্ষমতা প্রদর্শন করেছে সবসময় l সৃষ্টিকর্তা অসীম ক্ষমতার অধিকারী l
সৃষ্টিকর্তা সৃষ্টি করেছেন শয়তানকে,
সৃষ্টি করেছে ভুত-প্রেত, দৈত্য দানব এবং আরো অনেক প্রকার সৃষ্টি l মানুষকে শয়তান ক্ষতি করেছে l ভুত-প্রেত,
দৈত্য-দানব আক্রান্ত করেছে মানুষকে l তাদের কাছ থেকে মানুষ বাচার জন্য সৃষ্টিকর্তাকে ডেকেছে l সৃষ্টিকর্তা রক্ষা করেছে যারা তার কাছে প্রার্থনা করেছে l
মানুষ প্রাচীন কাল থেকে বিভিন্ন উপাসনা করে এসেছে সৃষ্টিকর্তার
সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য l কুরবানী অথবা বলি দিয়েছে
পশু l সৃষ্টিকর্তা মানুষের ত্যাগ দেখে খুশি হয়েছে,
রক্ষা করেছে নানা বিপদ থেকে l আর মানুষ যেকোন বিপদে সৃষ্টিকর্তার কাছেই প্রার্থনা করেছে এবং সৃষ্টিকর্তা তাদের
মুক্তি দিয়েছে, উদ্ধার করেছে তাদেরকে নানা বিপদ থেকে l
রোগ হলে আরোগ্যের জন্য প্রার্থনা করেছে সৃষ্টিকর্তার কাছেই l
সৃষ্টিকর্তা রোগ ভালো করে দিয়েছে l রক্ষা করেছে জ্বিন-পরী, ভুত-প্রেত,
দৈত্য-দানব ইত্যাদির আক্রমন থেকে l সৃষ্টিকর্তা ছিল অসীম ক্ষমতাবান এবং পরম দয়াময় l আবার যারা নিকৃষ্ট পাপী তাদেরকে দিয়েছে ভয়ংকর শাস্তি l এমনি ক্ষমতা বান সৃষ্টিকর্তা l
সৃষ্টিকর্তার ক্ষমতা প্রাচীনকাল থেকেই প্রমানিত
l কিন্তু যতই দিন গেছে ততই সৃষ্টিকর্তার ক্ষমতা প্রদর্শন কমে গেছে
l বর্তমানে আর সৃষ্টিকর্তার ক্ষমতা দেখা যায় না l যে সৃষ্টিকর্তা ছিল সর্ব রোগের উদ্ধারকর্তা সে সৃষ্টিকর্তা এখন
আর রোগ হলে উদ্ধার করে না l রোগ হলে মানুষ সৃষ্টিকর্তার
কাছে প্রার্থনা করে কিন্তু সৃষ্টিকর্তা রোগ ভালো করে দেয় না l মানুষ রোগের চিকিত্সা আবিষ্কার করেছে l মানুষ এখন সৃষ্টিকর্তার উপর ভরসা করে না l মানুষ মানুষের কাছে যায় আরোগ্যের জন্যে l
সৃষ্টিকর্তা এখন আর মানুষকে কোন বিপদ থেকে
রক্ষা করে না l মানুষ বিপদে পড়ে সৃষ্টিকর্তাকে ডাকে কিন্তু
সৃষ্টিকর্তা সাড়া দেয় না l মানুষ বিপদে পড়লে মানুষের
সাহায্য নেয় l মানুষের বিপদে মানুষ এগিয়ে আসে l
ঝর-তুফান, বন্যা-ক্ষরা, ভুমিকম্পে সৃষ্টিকর্তা রক্ষা করে না l
মানুষ এসব বিপদ থেকে মানুষকে সাহায্য করে l
সৃষ্টিকর্তার ক্ষমতার আরেক প্রদর্শন জ্বিন-পরী,
ভুত-প্রেত, দৈত্য-দানব ইত্যাদিকে
আর দেখা যায় না l এগুলো মানুষকে আর আক্রমন করে না l
মানুষ অনেক ক্ষমতাবান এখন l অত্যাধুনিক অস্ত্রপাতি তৈরী করেছে আত্ব রক্ষার জন্য l আর সেই ভয়ে সৃষ্টিকর্তার ঐসব অতিক্ষমতা সম্পন্ন সৃষ্টিগুলো আর মানুষের সামনে আসতে
পারে না l সৃষ্টিকর্তার ক্ষমতা যেমন মানুষের উন্নতির সাথে সাথে কমে গেছে ঠিক তেমনি ঐসব অলৌকিক
ক্ষমতাবান সৃষ্টিগুলোও বিলুপ্ত হয়ে গেছে l এখন আর তাদের
দেখা পাওয়া যায় না l মানুষের ভয়ে কোথায় লুকিয়ে আছে কে জানে l
সৃষ্টিকর্তাকেও আর দেখা যায়না l তার কোন ক্ষমতাও আর
দেখা যায় না l যে সৃষ্টিকর্তার অসীম ক্ষমতা ছিল প্রাচীন
পৃথিবীতে সেই সৃষ্টিকর্তার আজ আর কোন ক্ষমতা নেই l হয়তোবা সৃষ্টিকর্তার ক্ষমতা মানুষের চেয়েও কমে গেছে l আর তাই সে আর মানুষকে
সাহায্য করতে আসে না l আবার তাকে কেউ অনাম্য
করলে অথবা তাকে গালাগালি করলেও সে আর মানুষকে শাস্তি দিতে পারে না l
কেন পারে না ? সৃষ্টিকর্তার ক্ষমতা কি কমে গেছে ? নাকি সেও মানুষের
ভয়ে কোন অজানা জগতে চলে গেছে ? মানুষ কেন আর সৃষ্টিকর্তার
ক্ষমতা দেখে না ? তবে কি সৃষ্টিকর্তা আর নেই ? কোথায় গেছে ?
তার আলৌকিতা সম্পন্ন সৃষ্টিগুলো মানুষের উন্নতির
সাথে সাথে পালিয়ে গেছে l ওগুলোর আর অস্তিত্ব দেখা যায় না l অর্থাত তারা অস্তিত্বহীন
হয়ে গেছে l ওগুলো নেই; ওগুলোর অলৌকিক ক্ষমতাও নেই l
কিন্তু সৃষ্টিকর্তা আর অলৌকিক ক্ষমতা দেখান
না কেন ? সৃষ্টিকর্তাতো অসীম ক্ষমতার অধিকারী l
তাহলে কোথায় গেল তার ক্ষমতা ? তাহলে সে কি নেই ? কোথায় গেছে সে ?
সৃষ্টিকর্তা চলে যাওয়াতে মানুষ তার প্রভুকে
হারিয়ে ফেলেছে l
কিন্তু সৃষ্টিকর্তাকে ডাকা, সৃষ্টিকর্তার উপাসনা করা এবং তার কাছে প্রার্থনা করা থেমে থাকেনি
l মানুষ সৃষ্টিকর্তার কাছে এখনো প্রার্থনা করে l সৃষ্টিকর্তা অবশ্য সেই প্রার্থনা শুনেন না l তবুও সৃষ্টিকর্তার উপাসনা থেমে নেই l মানুষ সৃষ্টিকর্তাকে ডাকে কিন্তু তিনি সাড়া দেন না l মানুষ ভাবে সৃষ্টিকর্তা তাদের উপর রাগ করে আছেন দেখে তিনি সাড়া দিচ্ছেন না l
তারা আরো বেশি করে প্রার্থনা করে l ক্ষমা চায় তবুও সৃষ্টিকর্তার কোন খবর নেই l
কেন নেই ?
তবে কি সৃষ্টিকর্তা বলে কেউ নেই ?
কখনো ছিলও না ? মানুষ কল্পনা
করেছে সৃষ্টিকর্তার কিন্তু সৃষ্টিকর্তা বলে কিছু ছিল না কখনোই l মানুষ প্রাচীন কাল থেকে প্রার্থনা করেছে কিন্তু সৃষ্টিকর্তা
বলে কিছু ছিল না বলে কেউ সাড়াও দেয় নি l মানুষ এখন যেমন
সৃষ্টিকর্তার কোন সাড়া না পেয়েও সৃষ্টিকর্তাকে ডেকে চলে, প্রার্থনা করে চলে সেভাবেই কি প্রাচীন মানুষ সৃষ্টিকর্তা কে ডেকেছে কিন্তু কখনো
পায়নি ? এটার খুব সম্ভবনা আছে l এখন মানুষ সৃষ্টিকর্তার কোন সাড়া পায় না তবুও প্রার্থনা করে চলে তাহলে অনুন্নত
প্রাচীন মানুষ যে আরো বেশি করে এই কাজটা করেছে সেটাতো বোঝাই যায় l
যদি এটা নাই হবে ; যদি সৃষ্টিকর্তা প্রাচীনকালে তার ক্ষমতা প্রদর্শন করেই থাকে তবে এখন কেন করে না
?
উত্তরটা খুব সহজ সৃষ্টিকর্তা কখনই ক্ষমতা
প্রদর্শন করেনি l কখনো সৃষ্টিকর্তা ছিলই না l আর তাই তার ক্ষমতা
কমে যাওয়াও ঘটেনি l সৃষ্টিকর্তা যেমন বর্তমানে কল্পনা এবং অন্ধবিশ্বাসের
উপর বেচে আছে তেমনি প্রাচীন কালেও এরকমই ছিল বরং আরো প্রকট আকারে ছিল l
সৃষ্টিকর্তা বলে কখনই কেউ ছিল না l
এখনো সৃষ্টিকর্তা বলে কিছু নেই l এটি একটি ভ্রান্ত মিথ্যে কল্পনা মাত্র l আর তাই সৃষ্টিকর্তা যেমন প্রাচীন কালেও ছিল না তেমনি বর্তমানেও নেই l
অর্থাত সৃষ্টিকর্তা বলে কিছু নেই l
good job thank you for your blog.
ReplyDelete