Translate

Search This Blog

বিশেষ সতর্কবার্তাঃ

এই ব্লগটি নাস্তিক, অজ্ঞেয়বাদী, সন্দেহবাদী, মুক্তমনা এবং স্বাধীনচেতা মানুষদের জন্য। যারা যেকোন বিষয়ের সমালোচনা সহ্য করার মত ক্ষমতা রাখে। যদি কোন ধার্মিক, গোড়া ধার্মিক আস্তিক এই ব্লগটিতে আসে তবে তার ধর্মানুভূতি নামের অদ্ভূত দূর্বল অনিভূতি আঘাতপ্রাপ্ত হলে ব্লগ লেখক দায়ী থাকবে না। ধার্মিক, গোড়া ধার্মিক আস্তিকদের নিজ দায়িত্বে তাদের দূর্বল ধর্মানুভূতিকে সংরক্ষনের দায়িত্ব নিতে হবে। কারো ধর্মানুভূতি নামের অযৌক্তিক অনুভূতি আহত হবার জন্য কোন ক্রমেই ব্লগার বা লেখককে দায়ী করা যাবে না। যদি কোন অতি দুর্বল ধর্মানুভূতি সম্পন্ন ব্যাক্তি এই ব্লগে ভূল করে ঢুকে পরেন এবং তিনি তার অনুভূতিকে দূর্বল ভাবেন অর্থাৎ যিনি তার ধর্মের উপযুক্ত সমালোচনা সহ্য করতে অপারগ, তাকে বিনীত ভাবে এই ব্লগটি থেকে প্রস্থান করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। এর পরেও যদি কোন দূর্বল ধর্মানুভূতি সম্পন্ন ব্যাক্তি এই ব্লগটিতে ঘুরাফেরা করেন এবং তার ফলে তার দূর্বল ধর্মানুভূতিতে আঘাত প্রাপ্ত হন তবে কোন ক্রমেই এবং কোন ক্রমেই ব্লগের মালিক, 'আমি নাস্তিক' দায়ী থাকবে না।

Saturday, January 16, 2016

মুসলমানদের কর্মকান্ডের ভবিষ্যতবাণী! ভবিষ্যতে মুসলমানরা কিভাবে কুরআনকে বিজ্ঞানময় দাবি করবে ? (পর্ব ৩)



পৃথিবীর প্রথম সারির ধর্মগুলোর মত ইসলাম ধর্মের অনুসারীরাও বিজ্ঞানের কোন নতুন তত্ব প্রতিষ্ঠিত হলে তার বিরোদ্ধে নানা অপপ্রচার করে থাকে যদি সেই তত্বটি তাদের ধর্মের বিরুদ্ধে যায়। প্রথমে তারা তাদের ধর্মের বিরোদ্ধে যাওয়া তত্বটিকে অস্বীকার করে। তত্বটি সত্য নয়, এটি শুধু মাত্র থিউরী এই থিউরীটি কোন ফ্যাক্ট নয় ইত্যাদি নানা আপ্তবাক্য আউরিয়ে তারা নানা মিথ্যা কথা বলে সেই বৈজ্ঞানিক থিউরীটিকে সাধারণ মানুষের কাছে ভূল ভাবে উপস্থাপন করে। যারা বলে থিইরীটি সত্য নয় কারণ এটি কোন ফ্যাক্ট নয় তারা আসলে নিজেরাই জানে না যে থিউরী কাকে বলে, আর ফ্যাক্ট কাকে বলে।
বিজ্ঞানের খুটিনাটি অনেক তথ্য না জেনেই তারা বিজ্ঞানের প্রতিষ্ঠিত থিউরীর বিরোদ্ধে নানা মিথ্যা বলে অপপ্রচার চালায়। আবার অনেকে বিজ্ঞানের থিউরী কাকে বলে এবং ফ্যাক্ট আসলে কি সেসব জানলেও ধর্মকে বিলুপ্তির হাত থেকে বাঁচাতে প্রতারণার আশ্রয় নেয়। এসব অজ্ঞতা বা প্রতারণার মাধ্যমে তারা সাধারণ বিজ্ঞান না জানা মানুষদের কাছে বিজ্ঞানের নামে অপবিজ্ঞান ছড়িয়ে দেয়। ফলে তাদের মিথ্যা ধর্মগুলো বিলুপ্তির হাত থেকে সাময়িক সময়ের জন্য রক্ষা পায়।
কিন্তু সময় যতই অগ্রসর হতে থাকে ততই বিজ্ঞানের প্রতিষ্ঠিত সত্যটি সবার কাছে প্রকাশিত হয়ে পড়ে। ফলে ধার্মিক কর্তৃক মিথ্যা প্রতারণার মাধ্যমে বাঁচানো ধর্মগুলো পুনরায় বিলুপ্তির পথ ধরে। ফলে ধার্মিকরা তাদের ধর্মকে বাঁচাতে মরিয়া হয়ে উঠে। তারা তখন আরেক প্রতারণার আশ্রয় নেয়। তারা তাদের ধর্মগ্রন্থের কোন একটি বাক্যের একটি নির্দিষ্ট শব্দের অর্থকে পরিবর্তন করে বিজ্ঞানের সাথে মিল রেখে নতুন করে অর্থ করে এবং সেই মিথ্যা এবং ভূলে ভরা ধর্মগ্রন্থগুলোকে বিজ্ঞানময় বানায়। ফলে ধার্মিকদের দ্বারা সংশোধিত ধর্মগ্রন্থগুলোকে বিজ্ঞান এবং ধর্ম না জানা মানুষগুলো সেই ভূলে ভরা ধর্মগ্রন্থগুলোকে বিজ্ঞানময় গ্রন্থ বলে বিশ্বাস করে। এভাবে মিথ্যার পুঁজারী ধর্মগুলো আরো কিছু দিন বেঁচে থাকে সাধারণ মানুষের মাঝে। এভাবেই পৃথিবীর সব ধর্মই এই বিজ্ঞানময় যুগে বাঁচা-মরার মত করে টিকে আছে।
মুসলমানরাও তাদের ধর্মকে এভাবেই বাঁচিয়ে রেখেছে। মুসলমানরা তাদের ধর্মগ্রন্থের ভূল এবং ভ্রান্তিপূর্ণ বাক্যগুলোকে প্রথমে চিরন্তন সত্য বলে দ্বাবী করে এবং বিজ্ঞানের প্রতিষ্ঠিত তত্ত্বকে মিথ্যা বলে আখ্যায়িত করে। যখন সেই তত্ত্বটি শক্তভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়ে যায় তখন তারা তাদের ধর্মগ্রন্থের কোন একটি শব্দের অর্থকে পরিবর্তন করে বিজ্ঞানের সাথে মিল রেখে নতুন করে কুরআনের অর্থ করে কুরআনকে সংশোধনের মাধ্যমে বিজ্ঞানময় বাণায়। আর দ্বাবি করে তাদের ধর্মগ্রন্থটি আল্লাহ নামের আরবীয় সৃষ্টিকর্তার কিতাব। আর তাই ১৪০০ বছর আগের কুরআনে বিজ্ঞানের আধুনিক আবিষ্কারের কথা লেখা রয়েছে। কিন্তু কুরআনের অর্থকে পরিবর্তন করে বিজ্ঞানের সাথে মিল রেখে কুরআনের নতুন অর্থ দাড় করে কুরআনের ভূলকে সংশোধন করার পর সেই ধর্মগ্রন্থটি কিভাবে বিজ্ঞানময় হয় সেটি তারা মানুষের কাছে প্রকাশ করে না। এভাবেই মুসলমানরা তাদের ভূলে ভরা কুরআনের অর্থের পরিবর্তন করে কুরআনকে সংশোধন করে দাবী করে যে কুরআন একটি বিজ্ঞানময় গ্রন্থ। বিজ্ঞানের সাথে মিল রেখে কুরআনের নতুন এবং ভিন্ন অর্থ করে সেই কুরআনকে বিজ্ঞানময় বানিয়ে মুসলমানরা স্বাধারণ মানুষকে ধোঁকা দিয়ে আসছে অনেক বছর আগে থেকে। অথচ অন্ধবিশ্বাসী কুসংস্কারাচ্ছন্ন মুসলমান বাদে পৃথিবীর সব মানুষই এমন প্রতারণা করে কুরআনকে বিজ্ঞানময় বানানোকে ভন্ডামী এবং অসততা হিসেবে দেখে। কিন্তু তাতে মুসলমানদের কিছু আসে যায় না। তারা তাদের মতো করে কুরআনের ভূলকে সংশোধন করে বিজ্ঞানময় বানিয়ে অহংকার করতে থাকে।
এই প্রতারণমুলক আচরণটি যে শুধু মুসলমানরাই করে তাই নয়। পৃথিবীর বড় বড় ধর্মগুলোও এভাবেই প্রতারণা করে তাদের ধর্মকে টিকিয়ে রেখেছে। যেমন হিন্দুরা দাবী করে তাদের ধর্মগ্রন্থ বেদ-গীতা হলো বিজ্ঞানময় গ্রন্থ। আবার খ্রিস্টানরা দাবী করে তাদের ধর্মগ্রন্থ বাইবেল হলো বিজ্ঞানময় গ্রন্থ। তবে মুসলমানরা কুরআনকে বিজ্ঞানময় বানানোর পদ্ধতিগুলো খ্রিস্টানদের কাছ থেকে ধার করে। এবং খ্রিস্টানদের দেখানো পথে তাদের ধর্মগ্রন্থকে বিজ্ঞানময় দাবী করে।
যেহেতু পৃথিবীর অনগ্রসর জাতির মধ্যে মুসলমানরা হলো অন্যতম তাই তাদেরকে যেন খ্রিস্টানদের দেখানো পথে কুরআনের অর্থকে পরিবর্তন করে কুরআনকে সংশোধন করে বিজ্ঞানময় না বানাতে হয় তাই আমি এই পর্বটির মাধ্যমে মুসলমানদেরকে দেখাতে চেষ্টা করছি যে কি কি পদ্ধতিতে কুরআনকে বিজ্ঞানময় বানানো যায়। আর এর মাধ্যমে মুসলমানরা ভবিষ্যতে কুরআনকে কিভাবে বিজ্ঞানময় বানাবে তার একটি আগাম বার্তা দিচ্ছি। অর্থাৎ এই পর্বটি যেমন মুসলমানদের কুরআনকে বিজ্ঞানময় বানানো পদ্ধতি জানানো হবে ঠিক একই ভাবে তারা ভবিষ্যতে কিভাবে কুরআনকে বিজ্ঞানময় বানাবে তার ভবিষ্যতবাণীও করা হবে।
এই পর্বটিতে দেখাবো মুসলমানরা ভবিষ্যতে কিভাবে কুরআনের মধ্যে বিবর্তনবাদকে আবিষ্কার করবে।
বিবর্তনবাদ একটি প্রতিষ্ঠিত তত্ত্ব। কিন্তু যেহেতু ইসলাম আব্রাহামিক ধর্মগুলোর মধ্যে একটি, তাই তারা বাকী আব্রাহামিক ধর্মগুলোর অনুসারীদের মতই বিবর্তবাদকে সত্য নয় বলে অন্ধভাবে বিশ্বাস করে। যেখানে বিবর্তবাদের হাজার হাজার প্রমাণ বিজ্ঞানীগণ আবিষ্কার করেছে তবুও ঘাড় বাঁকা করে তারা অন্ধবিশ্বাস এবং কুসংস্কারের বশবর্তী হয়ে বিবর্তনবাদকে অস্বীকার করে। তাদের কাছে আদম হাওয়ার রুপকথাকেই সত্য বলে মনে হয়। পক্ষান্তরে বিবর্তনের হাজার হাজার প্রমাণ পাওয়ার পরও বিজ্ঞানের সীমাবদ্ধতার দিকে ইঙ্গিত করে বিবর্তনবাদকে মিথ্যা বলে অপপ্রচার করে।  কিন্তু যেভাবে বিবর্তনবাদের পক্ষে প্রচুর পরিমাণে তথ্য প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে তাতে করে ধার্মিকগুলো এবং মুসলমানরা হাজার অপপ্রচার করেও বিবর্তনবাদকে রুখতে পারবে না। যেভাবে বিজ্ঞানের পূর্ববর্তী আবিষ্কারগুলোর বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচার চালিয়েও সেই তত্ত্বগুলোকে রাজত্ব করা থেকে বিরত রাখতে পারেনি ঠিক একই ভাবে বিবর্তনবাদকেও তারা রাজত্ব করা থেকে বিরত রাখতে পারবে না। ফলে ধার্মিকদের কাছে তথা মুসলমানদের কাছে একটি রাস্তাই খোলা থাকবে। তারা যেমন বিজ্ঞানের পূর্ববর্তী আবিষ্কারের বিরুদ্ধে প্রথমে যুদ্ধ করে পরবর্তীতে আবার সেই আবিষ্কারকে তাদের ধর্মগ্রন্থে উপস্থিত পেয়েছে অর্থাৎ ধর্মগ্রন্থকে বিজ্ঞানের অনুরুপে সাজিয়ে ধর্মগ্রন্থগুলোকে বিজ্ঞানময় বানিয়েছে ঠিক সেভাবেই বিবর্তনবাদকে তাদের ধর্মগ্রন্থে দেখতে পাবে এবং নানা কু-কৌশল অবলম্বন করে তাদের ধর্মগ্রন্থে বিবর্তনবাদকে খুজে পাবে। মুসলমানরা খুব অচিরেই পূর্বের মতো করে বিবর্তনবাদের সাথে মিল রেখে কুরআনের কোন আয়াতকে সাজিয়ে বা নতুন অর্থ করে কুরআনকে বিজ্ঞানময় বানাবে।
মুসলমানদের এই প্রতারণামুলক অসৎ কাজটি আমি এই পর্বটির মাধ্যমে দেখিয়ে দেবো কিভাবে তারা ভবিষ্যতে কুরআনকে বিজ্ঞানময় গ্রন্থ বলে দাবী করবে। মুসলমানরাও তাদের কুরআনকে বিজ্ঞানময় বানাতে পারবে এই পর্বটি অনুসরণ করে।
এর পূর্বের পর্বে দেখানো হয়েছে যে মুসলমানরা কুরআনের কোন আয়াতের সাথে কিভাবে বিবর্তনবাদের মিল খুজে পেতে পারে এবং কুরআনের অর্থকে পরিবর্তন করে কিভাবে কুরআনকে বিজ্ঞানময় বানাতে পারে। এই পর্বটিতেও কুরআনে কিভাবে বিবর্তনবাদের প্রমাণ পাওয়া যেতে পারে তার বর্ণনা করা হবে।
সূরা আলে ইমরান-এর ১৩৭ নং আয়াতে বলা হয়েছে,
"তোমাদের আগেও (বহু জাতির) বহু উদাহরণ (ছিলো- যা এখন) অতীত হয়ে গেছে, সুতরাং (এদের পরিণতি দেখার জন্যে) তোমরা পৃথিবীতে ঘুরে বেড়াও এবং দেখো, (আল্লাহ তায়ালা ও তাঁর বিধান) মিথ্যা প্রতিপন্নকারীদের পরিণতি কি হয়েছিলো!" (অনুবাদ- হাফেজ মুনির উদ্দিন আহমদ)
এই আয়াতটিতে যদিও মুহাম্মদের পূর্ববর্তী সময়ের মানুষের পরিণতির কথা বলা হয়েছে তবুও এই আয়াতের অর্থকে পরিবর্তন করে নতুন ভাবে অর্থ করে কুরআনকে বিজ্ঞানময় বানানো সম্ভব। এজন্য মুসলমানদের আগের আয়াতগুলোর মতো (যেগুলোর অর্থ পরিবর্তন করে সম্পূর্ণ ভিন্ন অর্থ এনে বিজ্ঞানের সাথে মিল রেখে নতুন অর্থ করা হয়েছে সেগুলোর মতো) এই আয়াতের অর্থকে পরিবর্তন করে এই আয়াতটির "পূর্ববর্তী মানুষ বা জাতির" অর্থকে পরিবর্তন করে "পূর্ববর্তী বিচরণরত প্রাণী" এই নতুন অর্থটি করতে হবে। তাহলে মুসলমানরা দাবী করতে পারবে যে এই আয়াতে মানুষের বিবর্তনের মাধ্যমে আবির্ভাবের পূর্বে যে ডাইনোসররা পুথিবীতে বাস করতো তাদের কথা বলা হয়েছে। আর আল্লাহ কুরআনে সেই সব ডাইনোসরদের বিলুপ্তির কথা এই আয়াতে বলেছে বলে দাবী করলেই মুসলমানরা বিজ্ঞানের সাথে মিলিয়ে  কুরআনকে বিজ্ঞানময় গ্রন্থ দাবী করতে পারবে।
এজন্য জাকির নায়েক ভন্ডের মতো কাউকে কুরআনের এই আয়াতটির একটি নির্দিষ্ট শব্দকে বেছে নিতে হবে এবং এর একটি ভিন্ন অর্থ এনে অথবা কুরআনকে বিজ্ঞানের সাথে না মিলানো গেলো ওই শব্দটির বিজ্ঞানের সাথে মিল রেখে নতুন অর্থ তৈরী করে দেখাতে হবে যে এই আয়াতটিতে আসলেই ডাইনোসরের কথা বলা হয়েছে। তাহলেই কুরআনকে বিজ্ঞানময় বলে দাবী করা যাবে। এক্ষেত্রে এই আয়াতটিতে ব্যবহৃত শব্দগুলোর মধ্যে এমন একটি শব্দকে বেছে নিতে হবে যাতে খুব সহজেই এটি ডাইনোসর বোঝায়। যেমন যে শব্দটি দ্বারা জীবনাধারা বা জীবনাচরণ বা উদাহরণ বুঝানো হয়েছে সেই শব্দটির অর্থটি পরিবর্তন করে বা বিদ্যমান শব্দটির অর্থের সামান্য পরিবর্তন করে এমন ভাবে অর্থ দাড় করাতে হবে যাতে মনে হয় এই আয়াতটিতে ডাইনোসরের কথা বলা হয়েছে। ব্যাস হয়ে গেলো ভুলে ভরা কুরআনকে বিজ্ঞানময় করণ।
এক্ষেত্রে জাকির নায়েকের মতো বাকচতুর মিথ্যাবাদী প্রতারকদেরকে বলতে হবে যে আপনারা এই আয়াতটিতে বিজ্ঞানের কথা বলা রয়েছে বলে ভাষণ দিন এবং পিস টিভিতে ঘন ঘন প্রচার করতে থাকুন। তাহলে দেখা যাবে এভাবে পূর্ববর্তী সময়ে কুরআনের আয়াতের অর্থ পরিবর্তন করার মাধ্যমে কুরআনকে বিজ্ঞানময় বানানোর মতো এই আয়াতটির মাধ্যমেও কুরআনকে বিজ্ঞানময় বানানো সম্ভব হচ্ছে।
তখন জাকির নায়েকের মতো মিথ্যাবাদী প্রতারকরা ক্যামেরার সামনে দাড়িয়ে বলতে থাকবে,
“এই আয়াতটিতে অনুক শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে যার অর্থ জীবণ ধারা বা ভিন্ন ধরণের প্রাণী। আর এই অমুক শব্দটি এসেছে তমুক শব্দ থেকে যার প্রকৃত অর্থ করলে দাড়ায় ডাইনোসর বা গলা উঁচু বিশাল প্রাণী। আর আমরা জানি যে ডাইনোসরদের গলা উঁচু এবং ডাইনোসরগুলো বিশাল আকারের ছিল।
যেটা বিজ্ঞান আবিষ্কার করেছে এই কিছুদিন আগে সেটা কিভাবে কুরআনে ১৪০০ আগে লেখা থাকে। (তাই কুরআন বিজ্ঞানময় কিতাব)।“
ঠিক এই মুহুর্তে জাকির নায়েক তার মুখকে ডাইনোসরের মতো করে ক্যামারার দিকে তাকিয়ে থাকবে দশ সেকেন্ড। ব্যস কুরআন বিজ্ঞানময় হয়ে গেলো!
মুসলমানরা যেভাবে কুরআনের অর্থকে পরিবর্তন করে বিজ্ঞানের সাথে মিল রেখে সম্পূর্ণ ভিন্ন অর্থ করে কুরআনকে সংশোধন করার মাধ্যমে কুরআনকে বিজ্ঞানময় বানায় ঠিক সেভাবে অচিরেই এই আয়াতের অর্থ পরিবর্তন করে এভাবে কুরআনকে বিজ্ঞানময় বানাবে। এটা কল্পনা নয় বরং মুসলমানদের এযাবৎকালের কর্মকান্ডকে পর্যবেক্ষন করে করা একটি ভবিষ্যতবাণী। অচিরেও বিবর্তনবাদকে না মেনে নেওয়া ছাড়া মুসলমানরা তাদের ধর্মকে বাঁচাতে পারবে না তখনই মুসলমানরা এই পদ্ধতিটি অনুসরণ করে বিজ্ঞানের সাথে মিল রেখে ওই আয়াতের পরিবর্তন করে কুরআনকে বিজ্ঞানময় গ্রন্থ বলে দাবী করবে। যখন পৃথিবীর সব মানুষ বিবর্তনবাদের সত্যতা সম্পর্কে জেনে যাবে তখনই তারা এই হীন পদ্ধতিটি অবলম্বন করে কুরআনকে বিজ্ঞানময় দ্বাবী করবে। খুব বেশী দেরী নেই যখন মুসলমানরা বিবর্তনবাদক মেনে নিতে বাধ্য হবে এবং কুরআনের আয়াতের অর্থকে পরিবর্তন করে কুরআনকে সংশোধনের মাধ্যমে বিজ্ঞানময় গ্রন্থ বানাবে।

বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ- কুরআনের আয়াতগুলোতে ব্যবহৃত কোন একটি শব্দের ভিন্ন অর্থ এনে বা তৈরী করে সেটি দিয়ে কুরআনের প্রকৃত অর্থের পরিবর্তন করে বিজ্ঞানের সাথে মিল রেখে কুরআনের ভিন্ন অর্থ করার মাধ্যমে কুরআনকে সংশোধন করে বিজ্ঞানময় বানানোতে যে কুরআনের কোন কৃতিত্ব থাকে না বরং কৃতিত্ব থাকে কুরআনের অর্থের পরিবর্তনের মাধ্যমে কুরআনকে সংশোধনকারীদের সেটা মুসলমানরা বুঝতে পারে না এবং বুঝতে পারলেও তাদের কুসংস্কার এবং অন্ধবিশ্বাসের দরুন তারা সেটা বুঝতে চায় না। এভাবে কুরআনকে বিজ্ঞানময় হিসেবে দেখিয়ে কিছু দিন মানুষকে বোঁকা বানানো সম্ভব হলেও চিরকাল মানুষকে ধোঁকা দেওয়া সম্ভব হবে না। মাঝ খান থেকে কিছু ধর্ম ব্যবসায়ী গরিব অসহায় মানুষদের কাছ থেকে টাকা ছিনিয়ে নিয়ে ধনী হতে পারবে। আর সত্যের মৃত্যুর মাধ্যমে কুসংস্কারের রাজত্ব কিছুকাল দীর্ঘস্থায়ী হবে। এর মাধ্যমে অন্য কিছু হবে না। হওয়া সম্ভবও নয়। অচিরেই বিজ্ঞানের সত্য এসে এই সব মিথ্যা এবং প্রতারণাগুলোকে নিঃশেষ করে দেবে। সেই দিন বেশি দূরে নয়।

1 comment:

  1. ধর্মপচারকJanuary 17, 2016 at 1:29 AM

    ধর্মকারী থেকে আপনাকে ইমেইলে একটি মেসেজ পাঠানো হয়েছে। সময় করে পড়ে উত্তর দেবেন, আশা করি।

    ReplyDelete