Translate

Search This Blog

বিশেষ সতর্কবার্তাঃ

এই ব্লগটি নাস্তিক, অজ্ঞেয়বাদী, সন্দেহবাদী, মুক্তমনা এবং স্বাধীনচেতা মানুষদের জন্য। যারা যেকোন বিষয়ের সমালোচনা সহ্য করার মত ক্ষমতা রাখে। যদি কোন ধার্মিক, গোড়া ধার্মিক আস্তিক এই ব্লগটিতে আসে তবে তার ধর্মানুভূতি নামের অদ্ভূত দূর্বল অনিভূতি আঘাতপ্রাপ্ত হলে ব্লগ লেখক দায়ী থাকবে না। ধার্মিক, গোড়া ধার্মিক আস্তিকদের নিজ দায়িত্বে তাদের দূর্বল ধর্মানুভূতিকে সংরক্ষনের দায়িত্ব নিতে হবে। কারো ধর্মানুভূতি নামের অযৌক্তিক অনুভূতি আহত হবার জন্য কোন ক্রমেই ব্লগার বা লেখককে দায়ী করা যাবে না। যদি কোন অতি দুর্বল ধর্মানুভূতি সম্পন্ন ব্যাক্তি এই ব্লগে ভূল করে ঢুকে পরেন এবং তিনি তার অনুভূতিকে দূর্বল ভাবেন অর্থাৎ যিনি তার ধর্মের উপযুক্ত সমালোচনা সহ্য করতে অপারগ, তাকে বিনীত ভাবে এই ব্লগটি থেকে প্রস্থান করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। এর পরেও যদি কোন দূর্বল ধর্মানুভূতি সম্পন্ন ব্যাক্তি এই ব্লগটিতে ঘুরাফেরা করেন এবং তার ফলে তার দূর্বল ধর্মানুভূতিতে আঘাত প্রাপ্ত হন তবে কোন ক্রমেই এবং কোন ক্রমেই ব্লগের মালিক, 'আমি নাস্তিক' দায়ী থাকবে না।

Friday, July 1, 2016

আল কুরআনঃ ইহা একটি কৌতুক গ্রন্থ, গল্প গ্রন্থ, কবিতা গ্রন্থ, সন্ত্রাসী গ্রন্থ, নাকি কাম গ্রন্থ? (পর্ব ৫)



মুসলমানরা দাবী করে তাদের ধর্মীয় গ্রন্থ কুরআন স্বয়ং আল্লাহ নামের এক আরবীয় সৃষ্টিকর্তা নিজের হাতে লিখে লাওহে মাহফুজে সংরক্ষন করে রেখে দিয়েছিল সেই বিশ্বজগত সৃষ্টির প্রথম থেকেই এবং পর্যায়ক্রমে ঈহুদী খ্রিস্টানদের ফেরেশতা জিব্রাইল বা গ্যাব্রিয়েলের মাধ্যমে ইসলামের একমাত্র ধর্তাকর্তা প্রতিষ্ঠাতা মুহাম্মদের কাছে পাঠিয়েছে কিন্তু মুহাম্মদ ছাড়া অন্য কোন জীবন্ত মানুষই জিব্রাইলকে দেখেনি শুধু মাত্র মুহাম্মদ দাবী করেছিল তার নিজের মুখ দিয়ে বলা কুরআনের আয়াতগুলো আল্লাহর আদেশে ফেরেশতা জিব্রাইলের মাধ্যমে তার কাছে প্রেরণ করা হয়েছে অথচ কেউই কোনদিন জিব্রাইলকে স্বচোক্ষে দেখেনি মুহাম্মদ দাবী করেছে তারা অন্ধভাবে বিশ্বাস করেছে মুহাম্মদের মুখ দিয়ে বলা কুরআনের আয়াতগুলো আল্লাহরই বাণী কিন্তু মুহাম্মদ যেমন তার দাবীর কোন প্রমাণ দিতে পারেনি কখনই ঠিক একই  ভাবে মুসলমানরাও প্রমাণ দিতে পারেনি কোনদিনই যে কুরআনের বাণীগুলো আসলেই কোন সৃষ্টিকর্তার বাণী কিনা তারা শুধু বাপ-দাদার কাছ থেকে শুনে শুনে অন্ধের মতো বিশ্বাস করে এসেছে

এই পর্বটিতে পর্যায়ক্রমে কুরআনের সবগুলো আয়াতকে বিশ্লেষণী দৃষ্টিকোণ থেকে পরীক্ষা পর্যবেক্ষনের মাধ্যমে যাচাই করে দেখা হবে আসলে কুরআন কোন অতিজ্ঞানী সৃষ্টিকর্তার বাণী নাকি এটি মানুষের দ্বারাই লিখিত কোন গ্রন্থ মোট কথা কুরআনের প্রতিটি আয়াতকে ব্যাখ্যা বিশ্লেষণের মাধ্যমে যাচাই করে দেখা হবে কুরআনের আয়াতগুলোতে আসলেই কোন অতি জ্ঞানী কিছু আছে কিনা অর্থাৎ কুরআনের আয়াতগুলোতে কি তথ্য দেওয়া আছে সেগুলোকে বাস্তবতার ভিত্তিতে বিচার বিশ্লেষণ করে দেখার চেষ্টাই এই পর্বগুলোতে করা হবে সম্পূর্ণ বাস্তব নিরপেক্ষ দৃষ্টিকোণ থেকে বিচার বিশ্লেষণ করে প্রমাণ দেওয়া হবে আসলে কুরআনের অন্তর্নিহিত মাহাত্ব কি এবং কুরআনের বাণীগুলো আসলে কার বাণী?

গত পর্বের পর থেকে....

সূরা বাকারা

আয়াত ২৩

"এবং আমি আমার বান্দার প্রতি যা অবতীর্ণ করেছি, তাতে তোমরা যদি সন্দিহান হও তবে তৎ সদৃশ একটি 'সূরা' তৈরি করে নিয়ে এসো এবং আল্লাহ্ ব্যতীত তোমাদের সাহায্যকারীদেরকেও ডেকে নাও; যদি তোমরা সত্যবাদী হও।"

ব্যাখ্যাঃ এই দাবীটি নিয়ে মুসলমানরা এমন কোন হীন পন্থা নেই যা তারা অবলম্বন করে না। তারা বারবার এই দাবীটি তুলে বুঝাতে চায় কুরআনের মতো প্রাচীণ এবং অজ্ঞতাপূর্ণ একটি গ্রন্থ পৃথিবীর কেউ লিখতে পারবে না। কিন্তু তারা কিছুতেই বুঝতে পারে না এই একটি দাবীই কুরআন যে কোন অতিজ্ঞানী সৃষ্টিকর্তার বাণী নয় তার প্রমাণ বহন করে। কারণ কোন অতিজ্ঞানী সৃষ্টিকর্তা এমন একটি ফালতু, নির্লজ্জ চ্যালেঞ্জ জানাবে না। কারণ অতি জ্ঞানী কেউ কখনই অতি জ্ঞানহীন তুচ্ছ কারো প্রতি এমন চ্যালেঞ্জ জানাবে না। একজন জগত বিখ্যাত বিজ্ঞানী কখনই একজন মূর্খকে চ্যালেঞ্জ জানাবে না তার কোন থিউরীর মতো কোন থিউরী আবিষ্কার করার। কোন বিজ্ঞানী যদি তার কোন থিউরীর প্রমাণ দিতে ব্যর্থ হয় এবং তার থিউরীটিকে সত্য বলে উপস্থাপন করতে একজন মূর্খ মানুষকে চ্যালেঞ্জ জানায় তবে যেমন হাস্যকর শুনায় ঠিক কুরআনের লেখক এমনই এক হাস্যকর দাবী করেছে।

মুহাম্মদ তার দাবীর পক্ষে কোনদিন কোন প্রকার প্রমাণই উপস্থাপন করতে পারেনি। কুরাইশরা সব সময়ই মুহাম্মদের কাছে তার নবুওতের প্রমাণ চেয়েছে কিন্তু মুহাম্মদ কখনই কোন প্রমাণ দিতে পারেনি। বরং সব সময়ই নানা অযুহাত দেখিয়ে প্রমাণ না দেওয়ার চেষ্টা করে গেছে। উপরন্তু প্রমাণহীণ ভাবে সবাইকে বিশ্বাস করতে বেহেশতের লোভ ও দোযখের শাস্তির ভয় দেখিয়েছে। কিন্তু জীবনে কোনই প্রমাণ দেখাতে পারেনি। বরং প্রমাণ না দেখাতে পেরে উল্টো দাবী করেছে এমন একটি সূরা লিখে দেখাও! চিন্তা করুণ আইনস্টাইন তার থিউরী অফ রিলেটিভিটির প্রমাণ না দিয়ে সবাইকে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছে যদি আমার থিউরীটিকে বিশ্বাস না করো তবে এমন একটি থিউরী বানিয়ে আনো!

রবীন্দ্রনাথ যদি দাবী করে সেই পৃথিবীর শ্রেষ্ট কবি কোন প্রকার প্রমাণ ছাড়াই এবং সেটা কেউ মানতে না চাইলে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছে "তার কবিতাগুলোর মতো একটি কবিতা লিখে দেখাতে" সেটাও আবার অশিক্ষিত মূর্খ কোন মানুষকে তাহলেই কি তাকে শ্রেষ্ট কবি হিসেবে মানতে হবে? নাকি তার কবিতার মান দেখে তার মুল্যায়ন করতে হবে ? আমি যদি রবীন্দ্রনাথের কোন কবিতার কাব্য মান নির্ণয় করতে যাই তবে কি আমাকেও রবীন্দ্রনাথের মতো কাব্য প্রতিভা সম্পন্ন হতে হবে ?

সব চেয়ে বড় কথা রবীন্দ্রনাথ কি আমার মতো কাব্যবোধহীন একজনকে চ্যালেঞ্জ জানাবে তার মতো একটি কবিতা লিখে আনার ?

আমরা সবাই জানি পৃথিবীর কারো সাধ্য নেই রবীন্দ্রনাথের মতো করে একটি কবিতা লিখে আনার। কারণ কেউ হয়তো রবীন্দ্রনাথের চেয়েও ভালো কোন কবিতা লিখতে পারবে বা আইনস্টাইনের চেয়ে ভালো কোন থিউরী বানাতে পারবে কিন্তু কেউ কি তাদের মতো কবিতা বা থিউরী লিখতে বা বানাতে পারবে?

সব চেয়ে বড় কথা যদি কুরআন কোন অতিক্ষমতাবাণ অতিজ্ঞানী সৃষ্টিকর্তারই বাণী হতো তবে সে কিভাবে একজন আত্মবিশ্বাসহীন মানুষের মতো চ্যালেঞ্জ দিয়ে বসবে যেখানে তার জানার কথা মানুষ সর্বজ্ঞানী নয় তাই তার পক্ষে কোন সৃষ্টিকর্তার মতো অতিজ্ঞানী কারো মতো কোন লেখা সম্ভব নয়।

বরং কুরআন কোন অজ্ঞ মানুষ লিখেছে বলেই সে মানুষকে তার মতো করে একটি সুরা লিখে দেখাতে বলেছে। তাও আবার তার নবুয়তের প্রমাণ দিতে না পেরে।

কুরআনের এই দাবীটি পুরোপুরিই অযৌক্তিক। কারণ হচ্ছে পৃথিবীতে কোন মানুষ একজন আরেকজনের মতো করে লিখতে পারে না। প্রত্যেকেরই লেখার ধরণ আলাদা আলাদা। কাজী নজরুল যেমন রবীন্দ্রনাথের কবিতার মতো কোন কবিতা লিখতে পারবে না ঠিক তেমনি রবীন্দ্রনাথের পক্ষেও সম্ভব নয় কাজী নজরুলের কবিতার মতো একটি কবিতা লিখার। কারণ প্রত্যেকেই নিজস্ব প্রতিভা নিয়ে জন্মেছে। এজন্যই পৃথিবীর সবার লেখার ধরণ ভিন্ন ভিন্ন রকমের হয়। তাই মুহাম্মদ যেভাবে কুরআনের আয়াতগুলো লিখেছে পৃথিবীর কেউ সেরকম কোন আয়াত লিখতে পারবে না। কিন্তু তাই বলে ভূলে ভরা কুরআনের মতো একটি প্রাচীণ গ্রন্থকে কোন সর্বজ্ঞানী সৃষ্টিকর্তার কিতাব বলে অন্ধের মতো বিশ্বাস করতে হবে এমন দাবী করাটাও মূর্খতা। রবীন্দ্রনাথের মতো কেউ কোন কবিতা লিখতে পারবে না বলেই রবীন্দ্রনাথকে কোন সৃষ্টিকর্তা প্রেরিত মানুষ বলে অন্ধের মতো বিশ্বাস করতে হবে এর কোন যৌক্তিকতা নেই। বরং হয়তো কেউ রবীন্দ্রনাথের চেয়ে ভালো লিখতে পারবে কিন্তু কখনও রবীন্দ্রনাথের মতো লিখতে পারবে না। রবীন্দ্রনাথ পৃথিবীতে একজনই। তার লেখার প্রতিভার ধরণ সম্পূর্ণই আলাদা।

ঠিক একই ভাবে মুহাম্মদের লেখার ধরণও একমাত্র মুহাম্মদের মতো। তার মতো কেউ লিখতে পারবে না। বরং মুহাম্মদের চেয়েও ভালো লেখা সম্ভব। অর্থাৎ কুরআনের সূরাগুলোর চেয়েও ভালো কোন সূরা লেখা সম্ভব এবং পৃথিবীর অনেকেই কুরআনের মতো বরং কুরআনের চেয়ে ভালো সূরা মানুষ লিখে দেখিয়েছে।

আমি নিজেই কুরআনের মতো করে একটি সুরা লিখে দেখাচ্ছি।

সূরা নাস- কবিতাটি পড়ে দেখুন,

ক্বুল আউযু বিরাব্বিন নাস।

মালিকিন্নাস।

ইলাহিন্নাস।

মিন শাররীল ওয়াস ওয়াসিল খান্নাস।

আল্লাযি ইউওয়াস ভিসু ফী সুদুরিন্নাস।

মিনাল জিন্নাতি ওয়ান নাস।

এই সূরাটি খুবই নিম্নমানের। ক্লাস টু থ্রির বইগুলোতে এর চেয়ে ভালো মানের কবিতা রয়েছে। বরং ক্লাস টুর একটি কবিতা "মনারে মনা কোথায় যাস, বিলের ধারে কাটবো ঘাস" কবিতার কাব্য মান কুরআনের এই সূরাটির চেয়েও অনেক ভালো।

সূরা নাসের ছন্দটি খুবই নিম্ন মানের, যেমন, নাস, নাস, নাস, অর্থাৎ সবগুলোর শেষে নাস শব্দটি দেওয়া।

বরং এই সূরাটির অনুরুপ সূরা বা কবিতাটি হবে এরকম,

গরু খেতে ভালোবাসে ঘাস।

কাঁচা কাঁচা ঘাস।

তাজা তাজা ঘাস।

কাঁচি নিয়ে মাঠে যাবো কাটতে ঘাস।

সারা মাঠ চষে আনবো কেটে ঘাস।

গরু তুই মজা করে পেট ভরে খাস!

 

সূরা নাস এবং আমার লেখা কবিতাটির মান একই রকম মনের মধ্যে অন্ধবিশ্বাস আর কুসংস্কার কাটিয়ে যদি দুটো কবিতাকে মূল্যায়ন করা যায় তবে এদুটো কবিতারই কাব্যমান নিম্ন দেখা দেবে

বরং এসব সূরা বা কবিতা গুলোর চেয়ে পৃথিবীতে হাজার হাজারগুন ভালো কবিতা রয়েছে কিন্তু মুসলমানরা কখনও কবিতা পড়ে তার সাথে কুরআনের তুলনা করে না তারা অন্ধের মতো বিশ্বাস করে কুরআন আল্লাহর বাণী তাই তাতে কোন ভূল থাকতে পারে না এবং এর মতো সূরা কেউ লিখতে পারে না তাই যখনই কুরআনের চেয়েও ভালো কোন লেখা লিখে আনা হয় তখন অন্ধবিশ্বাসী মুসলমানরা বলতে থাকে- না না এটি কুরআনের মতো হয়নি কুরআনের সুরা এর থেকে ভালো

যেহেতু তারা সম্পূর্ণ অন্ধভাবে বিশ্বাস করে কুরআনের মতো সূরা কেউ লিখতে পারবে না তাই তারা যে কোন মূল্যে দাবী করে কোন লেখাই কুরআনের সূরার মতো হয়নি

 

আসলে কুরআন লেখকের এই দাবীটির মধ্যেই সব থেকে বড় ফাকিবাজিটি লুকিয়ে আছে কুরআনের মতো সূরা লিখতে হলে সেই সূরাতে কি কি গুন থাকতে হবে তা বর্ণনা করা হয়নি এজন্য কুরআনের চেয়ে ভালো সূরা লেখা হলেও মুসলমানরা দাবী করতেই থাকে এগুলো কুরআনের সূরার মতো হয়নি সব থেকে বড় সমস্যা হচ্ছে কুরআনের মতো যে কোন সূরা লেখা সম্ভব নয় এটি দাবী করে মুসলমানরাই যখন কুরআনের মতো করে কোন লেখা আনা হয় তখন সেই লেখাটির মান মূল্যায়ন করে মুসলমানরাই ফলে স্বভাবতই তারা কখনই বলবে না যে কোন লেখা কুরআনের মতো হয়েছে নাকি তার চেয়ে ভালো হয়েছে বরং তারা তাদের মনের মধ্যে অন্ধবিশ্বাস থাকায় না তারা কোন লেখার মান বুঝতে পারবে আর না তারা সেই ভালো লেখার মাহাত্ব সীকার করবে তারাই যেহেতু দাবী করে এবং তারাই যেহেতু বিচারের দায়িত্ব পালন করে সমস্যাটা বাধে তখনই মুহাম্মদের প্রতি অন্ধবিশ্বাস রাখা মানুষগুলো ছাড়া পৃথিবীতে আর কোন মানুষই কুরআনকে সব থেকে ভালো সাহিত্য বলে কেউ সীকার করে না বরং মুসলমানরাই পৃথিবীর অন্য কোন ভালো লেখা না পড়ে শুধু মাত্র কুরআন পড়েই দাবী করে এর মতো লেখা কারো পক্ষে লেখা সম্ভব নয় আর কোন লেখা কুরআনের চেয়ে ভালো হলেও সেটা তারা সীকার করে নেয় না বরং ঘাড় বাঁকা করে দাবী করতেই থাকে তাদের কুরআনের মতো সূরা লেখা কারো পক্ষে সম্ভব নয়

যখন কোন প্রতিযোগিতা হয় তখন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহনকারীদের মধ্যে থেকে কেউ বিচারক হয় না বরং বিচারক হয় সম্পূর্ণ ভিন্ন কেউ বরং বিচারক নির্বাচন করতে হয় নিরপেক্ষ কাউকে তবেই সেই বিচার কার্যটি সঠিক হয়েছে বলে ধরে নেওয়া যায়

অপরদিকে মুসলমানদের কুরআনের অনুরুপ সূরা লেখার দাবীদার মুসলমানরাই অর্থাৎ প্রতিযোগী মুসলমানরা অপরদিকে কোন লেখা আনা হলে তারাই বিচারকের আসনে বসে এবং স্বভাবতই তাদের অন্ধবিশ্বাসের পক্ষে রায় দেয় ফলে তাদের দাবী কেউ কখনই পূরণ করতে পারে না কারণ তারা কুরআনের চেয়েও ভালো লেখাগুলোকে কুরআনের মতো হয়নি বরে দাবী করে

কুরআনের অনুরুপ সূরা লেখার চ্যালেঞ্জটি যে একটি অযৌক্তিক এবং প্রতারণমূলক প্রক্রিয়া সেটার প্রমাণ পাওয়া যায় যখন কুরআনের সুরার মতো কোন সূরা লিখে দেখানো হয় যদি সেই সূরাটি পুরোপুরি কুরআনের সূরার মতো হয় তবে মুসলমানরা দাবী করে- এটি কুরআনের সূরার নকল হয়েছে আবার যদি সেই সূরাটি কুরআনের সূরার মতো না হয়ে সম্পূর্ণ মৌলিক হয় তখন এই মুসলমানগুলোই দাবী করতে থাকে- না সুরাটি কুরআনের সূরার মতো হয়নি অর্থাৎ এই চ্যালেঞ্জটির মধ্যেই বড় প্রতারণাটুকু লুকিয়ে আছে

কুরআন লেখক মুহাম্মদ এই চ্যালেঞ্জটি দিয়েছে ঠিকই কিন্তু কি পদ্ধতিতে কুরআনের লেখকের সাথে প্রতিযোগিতা করতে হবে সেই পদ্ধতিটি বলে দেয়নি বরং নির্লজ্জের মতো দাবী করেছে তাদের কাল্পনিক সৃষ্টিকর্তা আল্লাহকে বাদ দিয়ে যে কাউকে নিয়ে আসার এমনকি অন্য একটি আয়াতে দাবী করেছে পৃথিবীর কেউ কুরআনের সূরার মতো সূরা লিখতে পারবে না অর্থাৎ মুহাম্মদ নিজেই দাবীকারী (তাও আবার নিজের নবুয়তের প্রমাণ দিতে ব্যর্থ হয়ে), মুহাম্মদ নিজেই বিচারক এবং মুহাম্মদ নিজেই রায় দিয়ে দিয়েছে প্রতিযোগিতা করার আগেই -  কেউ তার লেখা কুরআনের সূরার মতো সূরা লিখতে পারবে না

এখানেই কুরআনের অনুরুপ সূরা লেখার চ্যালেঞ্জের ফাঁকিবাজিটুকু রয়েছে

 

পৃথিবীর অনেক মানুষ কুরআনের অনুরুপ সূরা তথা কুরআনের চেয়ে ভালো সূরা লিখে এনেছে কিন্তু মুসলমানরা সেগুলো কুরআনের মতো হয়নি বলে রায় দিয়েছে বিচারক যখন মুসলমানরা তখন একথা এমনিতেই বুঝা যায় তারা পরাজিত হতে চায়বে না আর কখনই তাদের অন্ধবিশ্বাসের বাইরে যেয়ে কোন লেখাকে কুরআনের চেয়ে ভালো বলবে না সেই লেখাটি কুরআনের সূরার চেয়ে শতগুন ভালো হলেও তারা ঘাড় বাঁকা করে দাবী করতে থাকবে, না না এটা কুরআনের মতো হয়নি!

অপরদিকে যদি কেউ কুরআনের সূরার মতো সূরা লিখে তবে তাকে ইসলাম অবমাননার অযুহাত তুলে তাকে মেরে ফেলা হবে ফলে স্বভাবতই ভয়ে কেউ কুরআনের মতো সূরা লিখবে না

কুরআনের এই আয়াতটি একটি প্রতারণামূলক আয়াত কারণ যখন মক্কার মানুষ মুহাম্মদের কাছে তার নবুয়তের দাবীর প্রমাণ চাইতো তখন মুহাম্মদ কোন প্রকার প্রমাণই দিতে পারতো না উপরন্তু তাদেরকে অন্ধভাবে তাকে নবী হিসেবে বিশ্বাস করতে বলতো কিন্তু সেই দেড় হাজার বছর আগের মক্কাবাসীরাও প্রমাণ ছাড়া কোন কিছুতে বিশ্বাস করতে চাইতো না স্বয়ং কুরআন সাক্ষি হয়ে আছে মক্কার কুরাইশরা মুহাম্মদের কাছে বারবার তার নবীয়তীর প্রমান চেয়েছে কিন্তু প্রতিবারই মুহাম্মদ প্রমান না দিয়ে নানা রকম কুযুক্তির অবতারণা করেছে তারা বাইবেলে বর্ণিত নবীদের অলৌকিক ক্ষমতা দেখানোর মতো মুহাম্মদকে চ্যালেঞ্জ জানাতো কোন অলৌকিক ক্ষমতা প্রদর্শনের কিন্তু মুহাম্মদ নানা অযুহাতে সেসব চ্যালেঞ্জকে পাশ কাটিয়ে যেতো বরং মুহাম্মদ প্রতারণার চরম উদাহরণ রেখেছে কুরাইশদের করা নবীয়তীর প্রমানের চ্যালেঞ্জে হেরে গিয়ে উল্টো তাদেরকে পাল্টা চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছে কুরআনের মতো সূরা লিখে আনার কত বড় ধূর্তবাজ ছিল এই কুরআন লেখক নিজে কোন প্রমাণ না দিয়ে উল্টো তাকে অবিশ্বাস করায় অবিশ্বাসকারীদের চ্যালেঞ্জ দিচ্ছে তাও আবার নিজে কোন প্রকার প্রমান না দিতে পেরে চিন্তা করে দেখুন আমি দাবী করলাম আমি কোটি পতি আমার বাড়ি গাড়ি এবং ব্যাংকে অফুরন্ত টাকা আছে যদি কেউ না মানে এবং আমার দাবীর প্রমাণ চায় তখন আমি তাকে পাল্টা প্রমাণ দেখাতে বললাম, যদি বিশ্বাস না করো তবে তুমি প্রমান দাও যে তোমার এতো সম্পত্তি আছে!

আমি প্রমাণ দিলাম না উল্টো প্রমাণ চাইলাম প্রতারণার উত্তম দৃষ্টান্ত

মুহাম্মদ তার নবীয়তের কোন প্রমাণ দিতে পারেনি বরং উল্টো তাকে অবিশ্বাস করলে তাকে অবিশ্বাসের প্রমান চেয়েছে এবং অযৌক্তিক চ্যালেঞ্জ জানিয়েছে তার লেখার মতো কোন লেখা লিখে আনতে প্রথমত সে জানতো কেউ কারো মতো লিখতে পারে না অপরদিকে কি পদ্ধতিতে লিখলে কুরআনের মতো লেখা হবে সেটা সম্পর্কেও কোন পদ্ধতি বর্ণনা করেনি উপরন্তু কুরআনের মতো বা কুরআনের চেয়ে ভালো কোন লেখা উপস্থাপন করার পরে নিজেই বিচারকের ভূমিকা পালন করে দাবী করেছে কোন লেখাই তার লেখার মতো হয়নি এরচেয়ে প্রতারণার উদাহরণ আর কিছু হতে পারে? কখনই নয়

মুসলমানরাও এই প্রতারণাটুকু অক্ষরে অক্ষরে পালন করে প্রথমত, পৃথিবীর জ্ঞানী মানুষরা যখন বলে কুরআনের সাহিত্য মান খুব নিম্ন মানের তখন তারা দাবী করতে থাকে কুরআনই নাকি পৃথিবীর শ্রেষ্ট সাহিত্য অথচ পৃথিবীর কোন মানুষই তাদের এই দাবীর কোন সত্যতা খুজে পায় না তারা যখন তাদের অযৌক্তিক দাবীর যুক্তিহীনতা প্রমান করে দেয় তখন পাল্টা চ্যালেঞ্জ জানায়, যদি অন্ধের মতো বিশ্বাস না করো তবে কুরআনের মতো কোন সূরা লিখে দেখাও যখন যুক্তি দেখানো হয় কুরআন লিখেছে মুহাম্মদ ফলে মুহাম্মদের লেখার ধরণ স্বতন্ত্র তাই কারো লেখা মুহাম্মদের মতো হবে না পুরোপুরি তখন মুসলমানরা বাহাদুরি দেখাতে থাকে, দেখলে কেউ কুরআনের মতো লিখতে পারে না যখন যুক্তি দেখানো হয় কেউ সেক্সপিওর, রবীন্দ্রনাথের মতো লেখা লিখতে পারবে না তাই বলে কি তাদের লেখা সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত? তখন তারা তাদের ত্যাড়ামো চালিয়েই যেতে থাকে তারা ঘাড় বাঁকা করে দাবী করতেই থাকে যদি না মেনে নাও তবে কুরআনের মতো একটি সূরা লিখে দেখাও যখন কুরআনের মতো কোন সূরা লিখে দেখানো হয় তখন দাবী করে এটি কুরআনের সূরার নকল যদি কুরআনের লেখার ধরণের বাইরে লেখা হয় তখন তারা ঘাড় বাঁকিয়ে দাবি করে এটি কুরআনের মতো হয়নি বরং যদি সবাই বুঝতে পারে কারো লেখা কুরআনের চেয়ে ভালা হয়েছে তখন তারা সেই লোকটিকে মেরে ফেলে যাতে ভবিষ্যতে কুরআনের চেয়ে ভালো লেখা লিখে কুরআনকে মিথ্যা প্রমাণ করে দিতে না পারে

এক চরম প্রতারণার উদাহরণ

 

বরং যদি কুরআন কোন অতিজ্ঞানী কারো লেখা গ্রন্থ হতো তবে সেই লেখক এমন অযৌক্তিক হাস্যকর চ্যালেঞ্জ জানাতো না কারণ তখন সে জানতো প্রতিটি মানুষের লেখার ধরণ সম্পূর্ণই আলাদা আলাদা কুরআন কোন সাধারণ মানুষ লিখেছে বলেই অন্য মানুষকে অনুরুপ লেখা লিখার চ্যালেঞ্জ জানিয়েছে কারণ লড়াই হয় সমান সমানে অতিক্ষমতাবাণ কোন সৃষ্টিকর্তা নিশ্চিয়ই মানুষের সাথে কুস্তি লড়ার চ্যালেঞ্জ জানাবে না এতোটা নির্লজ্জ কোন সৃষ্টিকর্তা হতে পারে না

বরং অনুরুপ সুরা লেখার চ্যালেঞ্জের মতো প্রতারণামুলক একটি চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কুরআন লেখক প্রমাণ করেছে সে কোন সর্বশক্তিমান নয় বরং হীনমন্য এক মানুষ

কুরআনের সূরার মতো সূরা কি মানুষ লিখতে পারে না ?

প্রকৃত সত্য হলো মানুষ কুরআনের চেয়ে অনেক ভালো সূরা লিখতে পারে অতীতেও লিখেছে এবং এখন মানুষ লিখে দেখিয়েছে উপরেই তার প্রমাণ দিয়ে দিয়েছি বরং কুরআনে নানা ভ্রান্ত ধারণার কথা বর্ণিত হয়েছে নানা রকমের প্রাচীণ ধ্যান ধারণার বক্তব্য, অবৈজ্ঞানিক অবাস্তব ধারণাগুলো প্রমান দেয় কুরআনের লেখক নিতান্তই একজন প্রাচীণ আরবের সাধারণ মানুষ যে নিজে তার করা দাবীগুলোর প্রমাণ দিতে পারে না বরং নানা রকমের ভূল ভাল কথা বলে নিজেকে নির্বোধ প্রমান করেছে উপরন্তু অর্থহীন অযৌক্তিক চ্যালেঞ্জ জানিয়ে নিজেকে মানুষ হিসেবে প্রমান দিয়েছে উপরন্তু প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে একটি কৌশলি চ্যালেঞ্জ দিয়ে নিজেকে প্রতারক ধান্ধাবাজ প্রমাণ করেছে

কুরআনের এই আয়াতটি প্রমান করে কুরআন কোন হীনমন্য মানুষের লেখা বই

 

আয়াত ২৪

অনন্তর যদি তোমরা তা করতে না পার এবং তোমরা তা কখনও করতে পারবে না, তা হলে তোমরা সেই জাহান্নামকে ভয় কর যার ইন্ধন মানুষ প্রস্তরপুঞ্জ যা অবিশ্বাসীদের জন্যে প্রস্তুত করে রাখা হয়েছে"

ব্যাখ্যাঃ কুরআনের লেখক সত্যিই খুব বড় মাপের ধূর্তবাজ নিজে প্রমাণ না দিতে পেরে উল্টো নিজে পাল্টা চ্যালেঞ্জ দিয়েছে এমন চ্যালেঞ্জ সে দিয়েছে যাতে সে ভালো করে চতুরতা করতে পারে উপরন্তু কেউ সেই চ্যালেঞ্জ গ্রহন করার আগেই নিজেই বিচারক সেজে রায় দিয়ে দিয়েছে কেউ নাকি কুরআনের সূরার মতো সূরা লিখতে পারবে না চমৎকার প্রতারণমুলক ব্যবস্থা একে তো নিজেই চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছে তার দাবীর কোন প্রমান না দিতে পেরে, উপরন্তু নিজেই জানিয়ে দিচ্ছে তার লেখার মতো কেউ লিখতে পারবে না চরম হাস্যকর একটি দাবী নিজে প্রমাণ দিতে পারছে না উল্টো চ্যালেঞ্জ জানিয়ে নিজেই রায় দিয়ে দিচ্ছে তার লেখার মতো কেউ লিখতে পারবে না প্রতারণার উজ্জল দৃষ্টান্ত নিজে প্রমান দিতে না পেরে পাল্টা চ্যালেঞ্জ জানিয়ে নিজেই রায় দিচ্ছে কেউ জিততে পারবে না এবং সাথে সাথেই তার প্রতি অন্ধভাবে বিশ্বাস না আনার জন্য ভয় দেখাচ্ছে তার নিজের কল্পনার দ্বারা তৈরি একটি জেলখানায় কঠিন শাস্তির ভয় দেখিয়ে মানুষকে তার প্রতি অন্ধবিশ্বাস স্থাপনের দাবী তুলছে ভন্ডামীর আর জায়গা নেই!

মুহাম্মদ দাবী করেছে সে নবী এবং তার লেখা আয়াতগুলো তার সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর আয়াত কিন্তু যখনই প্রমাণ চাওয়া হয়েছে তার দাবীর তখনই সে নিজে প্রমাণ দিতে ব্যর্থ হয়ে পাল্টা অবিশ্বাসীদেরকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছে তার লেখার মতো লেখা লিখে দিতে না পারলে তাকে অন্ধের মতোই নবী হিসেবে বিশ্বাস করতে বলছে নিজে চ্যালেঞ্জে হেরে যাচ্ছে উপরন্তু পাল্টা চ্যালেঞ্জ জানিয়ে নিজেই বলে দিচ্ছে তার লেখার মতো কেউ লিখতে পারবে না আবার প্রমাণ না দেওয়া সত্তেও তাকে বিশ্বাস করার জন্য কাল্পনিক শাস্তির ভয় দেখাচ্ছে অর্থাৎ তাকে প্রমাণহীন ভাবে অন্ধবিশ্বাস করতে এক রকমের কৌশলের আশ্রয় নিয়েছে কুরআন লেখক মুহাম্মদ উল্টো প্রমাণ দিতে ব্যর্থ হয়ে জাহান্নামের ভয় দেখিয়ে ভীতু বানানোর চেষ্টা করে মানুষকে তার প্রতি অন্ধবিশ্বাস স্থাপনে বাধ্য করতে চাইছে এমনকি বেহেশত নামের কাল্পনিক জায়গার অপুরন্ত সুখের লোভও দেখিয়েছে কুরআনের লেখক অর্থাৎ আমি প্রমাণ দিতে পারবো না কিন্তু যদি তুমি আমাকে বিশ্বাস না করো তবে তুমি প্রমাণ দেখাও আমি ভূল যদি না পারো এবং তুমি কখনই পারবে না সেটা আমিই রায় দিয়ে দিচ্ছি সুতরাং এখন আমাকে বিশ্বাস করো নয়তো আমি তোমাকে শাস্তি দেবো আর যদি বিশ্বাস করো তবে আমি তোমাকে অনেক পুরস্কার দিবো অর্থাৎ আমাকে বিশ্বাস না করে তোমার কোন উপায় নেই তুমি প্রমাণহীণ অন্ধবিশ্বাস করতে এক রকম বাধ্য

কুরআনের লেখক মুহাম্মদের প্রতারণার এক উজ্জল দৃষ্টান্ত

 

এই ধরণের আয়াত সমৃদ্ধ কুরআনের লেখক কোন ক্রমেই কোন অতিজ্ঞানী সৃষ্টিকর্তা হতেই পারে না রবং এই আয়াতগুলো পড়ে একথাই প্রমাণিত হয় এই কুরআন কোন হীনমন্য প্রাচীণ অজ্ঞ আরবের সাধারণ মানুষের লেখা অর্থাৎ মুহাম্মদের লেখা

4 comments:

  1. This comment has been removed by the author.

    ReplyDelete
  2. একি কথা ঘুরিয়েফিরিয়ে বার বার বলা হয়েছে বেশি😕

    ReplyDelete
  3. আপনার লেখায় যুক্তি আছে কিন্তু আপনি একই কথা কে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে বার বার লেখেন। অনেকটা পরীক্ষার সৃজনশীল প্রশ্ন কিংবা প্রবন্ধ রচনায় লেখার আয়তন বাড়িয়ে বেশি নম্বর পাবার চেষ্টা।

    ReplyDelete
  4. নাস্তিকদের কাছে প্রশ্ন!
    আমার মেয়ের (৫ বছর) গত ১১/০১/২০২১ তারিখে একটা স্বর্ণের আংটি লুজ হওয়ায় হাত থেকে খুলে হারিয়ে যায়। সারাদিন অনেক জায়গায় ঘোরাফেরা করেছে। তাই কোথায় খুলে পড়েছে অনেক খুজেও পাওয়া যায় নি। মনে খুব কষ্ট নিয়েই মেয়ে রাত্রে ঘুমিয়ে পড়েছে। কারন আংটিটা অনেকদিন ধরে চাওয়ার পর মাত্র কয়েকদিন আগে বানিয়ে দিয়েছি। আমরাও খুব কষ্ট পাচ্ছিলাম মেয়ের মন খারাপ দেখে। যাইহোক ফজরের ওয়াক্তে হঠাৎ আমার মেয়ে ঘুম থেকে উঠে আনন্দে আত্মহারা হয়ে বলে উঠছে আম্মু আম্মু আমার আংটি পেয়েছি। ওর আম্মু জিজ্ঞেস করছে কোথায় তোমার আংটি মামুনি? মেয়ে বলছে আল্লাহ আমাকে স্বপ্নে দেখিয়েছেন খাটের নিচে আংটি পড়ে আছে। তখনি খুঁজে দেখা গেল সত্যিই খাটের নিচে আংটিটি পড়ে আছে। এই ঘটনায় আল্লাহর প্রশংসা কিভাবে করব বুঝে পাচ্ছি না। আপনারা হলে কি করতেন ????

    ReplyDelete