মুসলমান আস্তিকরা বলে বিবর্তনবাদে বিশ্বাসীরা
অন্ধবিশ্বাসী ও কুসংস্কারাচ্ছন্ন l তাদের দাবি অনুযায়ী
যারা বিবর্তনবাদ মেনে নিয়েছে এবং এটি সত্যি ও প্রমানিত এটা দাবি করে তারা সবাই হচ্ছে
কুসংস্কারাচ্ছন্ন l আর মুসলমানরা যারা বিবর্তনকে মিথ্যে বলে বিশ্বাস
করে তারা হচ্ছে প্রকৃত বাস্তব জ্ঞানের অধিকারী ! আসুন দেখি তারা আসলে সত্যিকার অর্থে
কি !
কুসংস্কার হচ্ছে এমন কিছু মিথ্যা বিশ্বাস
যা বাস্তব জগতে সত্যি নয় কিন্তু মানুষের মনে সেই বিশ্বাসগুলো স্থায়ী ভাবে গেথে থাকে
! যেমন অশিক্ষিত মুর্খ মানুষেরা জ্বিন, পরী, ভুত, প্রেত ইত্যাদি অস্তিত্বে বিশ্বাস করে যেগুলোর বাস্তব কোন অস্তিত্ব
নেই l কিন্তু তার পরেও কিছু কিছু মানুষ দাবি করে
থাকে যে এই অস্তিত্তগুলো বাস্তবে আছে l কিন্তু আসলে
বাস্তব জগতে এগুলোর কোন অস্তিত্ব নেই l এই অশিক্ষিত
মানুষগুলো এগুলোকে পরম সত্যি বলে বিশ্বাস করে অন্ধের মত !
আধুনিক যুগে এদেরকে বলা হয় কুসংস্কারাচ্ছন্ন
এবং এদের এই কাল্পনিক বিশ্বাসগুলোকে বলা হয় অন্ধবিশ্বাস বা কুসংস্কার l
এখন যদি বিবর্তনবাদ কুসংস্কার হয়ে থাকে তবে
এটির বাস্তব জগতে কোন অস্তিত্ব থাকবে না l অর্থাত বিবর্তনের
দাবি মতে পাওয়া ফসিলগুলো এমনকি সমস্ত প্রাণী দেহের অভ্যন্তরীণ জেনেটিক মিলগুলো বাস্তব
জগতে থাকবে না l কেবল তাহলেই আস্তিকদের দাবি বিবর্তনবাদ কুসংস্কার
হিসেবে প্রমানিত হবে !
কিন্তু তাদের জন্য অতি দু:খের বিষয় হচ্ছে
পৃথিবীতে অসংখ্য প্রাণী ফসিল পাওয়া গেছে যেগুলো বিবর্তনবাদের ভবিষ্যত বাণী অনুযায়ী
হুবহু মিলে গেছে l অর্থাত বিবর্তনবাদ যেভাবে বলে ছিল ঠিক সেভাবেই
ফসিলগুলোকে পেয়েছে মানুষ l আর এর ফলে মানুষ নিশ্চিত
হতে পরেছে যে বিবর্তনবাদ আসলে সত্যি l
আবার বিভিন্ন প্রাণী দেহের মধ্যে জেনেটিক
মিলগুলোকে পর্যালোচনা করে দেখা গেছে প্রত্যেক প্রাণীই একটা পূর্বতন প্রাণী থেকে আবির্ভূত
হয়েছে l এমনকি কয়েক বছর আগে প্রাপ্ত মানুষ ও শিপ্পাঞ্জির
মধ্যেকার ডিএনএ-এর মধ্যে অবিশ্বাস্য মিল খুঁজে পাওয়া গেছে যেমনটি বিবর্তনবাদ ভবিষ্যত
বাণী করেছিল ঠিক সেভাবেই l
তাহলে দেখা যাচ্ছে বিবর্তনবাদ যে সত্যি সেটা
অনুমানের থেকেও বেশি প্রমানিত হয়েছে l ফলে বিবর্তনবাদ
সম্পর্কে আর কোন দ্বিমত করা সম্ভব হয়নি l এবং পৃথিবীর
সবাই বিবর্তনবাদকে মেনে নিচ্ছে (কিছু খ্রিস্টান ও মুসলমান বাদে) l
এছাড়াও বিবর্তনবাদ সম্পর্কে প্রতিনিয়ত তথ্য
প্রমান ও গবেষণা চলছেই l এবং বিবর্তনবাদ সত্যি
এটার পক্ষে প্রমান পাওয়া যাচ্ছে l
সুতরাং বিবর্তনবাদ সত্যি ও বাস্তব ঘটনা l
কিন্তু অন্ধবিশ্বাসী ও কুসংস্কারাচ্ছন্নরা
দাবি করেই চলেছে বিবর্তনবাদ মিথ্যা l কিছু কিছু
মুসলমান দাবি করেই চলেছে বিবর্তনে বিশ্বাসকারী অর্থাত বিবর্তনবাদ যারা মেনে নিয়েছে তারা
সবাই কুসংস্কারাচ্ছন্ন l তাহলে তাদের দাবি অনুযায়ী
পৃথিবীর সব বিজ্ঞানীরা কুসংস্কারাচ্ছন্ন শুধু মুসলমানরা প্রকৃত জ্ঞানী l সারা পৃথিবীর শিক্ষিত মানুষেরা সব কুসংস্কারাচ্ছন্ন শুধু
মুসলমান বাদে (এবং কিছু কিছু খ্রিস্টান বাদে) l পৃথিবীর সমস্ত শিক্ষক, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার থেকে শুরু করে বড় বড় ব্যবসায়ী সবাই কুসংস্কারাচ্ছন্ন
শুধু মুসলমানগুলো একেবারে জ্ঞানের শিখরে চলে গেছে l কারণ পৃথিবীর সব বড় বড় শিক্ষিত মানুষ সবাই বিবর্তনকে সত্যি হিসেবেই জানে l
সুতরাং এরা কি সবাই কুসংস্কারাচ্ছন্ন ? পৃথিবীর সবচেয়ে জ্ঞানী-বিজ্ঞানী মানুষগুলো কুসংস্কারাচ্ছন্ন
আর অশিক্ষিত অর্ধ-শিক্ষিত এবং শিক্ষিত কিন্তু কুসংস্কারাচ্ছন্ন মুসলমান এবং অন্যান্য
আস্তিকগুলো প্রকৃত জ্ঞানী এটা কি কোন পাগলও বিশ্বাস করবে ?
পৃথিবীর জ্ঞান বিজ্ঞান এবং সভ্যতা প্রমান
দেয় মুসলমানরাই (এবং কিছু খ্রিস্টান) কুসংস্কারাচ্ছন্ন ও অন্ধবিশ্বাসী l
এবার আসুন দেখি কে সত্যিকারের কুসংস্কারাচ্ছন্ন
!
আস্তিকরা (সব মুসলমান ও কিছু খ্রিস্টান) বিশ্বাস
করে একজন সৃষ্টিকর্তা আছে যে বিশ্বজগত সৃষ্টি করেছে l কিন্তু এদের কোন অস্তিত্বই কোন আস্তিক পায়নি শুধু অন্ধভাবে বিশ্বাস করে চলেছে l
এমনকি তারা দাবি করে সম্পূর্ণ না দেখেই না প্রমান পেয়েই শুধুমাত্র
অন্ধবিশ্বাস ও কুসংস্কার থেকে l কিন্তু বাস্তব জগতে
কোন সৃষ্টিকরতার অস্তিত্ব নেই l
তবুও আস্তিকগুলো দাবি করে সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্ব
আছে l তারা কিভাবে বলে সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্ব
আছে ? তারা কি সৃষ্টিকর্তাকে দেখেছে কখনো ?
তার কোন কথা শুনেছে কখনো ? নাকি কেউ কোন প্রমান দিয়েছে সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্বের ?
তাদেরকে এই প্রশ্ন করলে তারা এর কোন প্রমানতো
দিতেই পারে না উপরন্তু তাদের বিশ্বাসের ভিত্তি কিছু ধর্মগ্রন্থকে দেখিয়ে দেয় l
এই ধর্মগ্রন্থগুলি নাকি সৃষ্টিকর্তার প্রমান ! কিন্তু সেই সব ধর্মগ্রন্থগুলো সব মিথ্যে কথা এবং বিশ্বজগত সম্পর্কে
মিথ্যে বা ভুল কথা বলেছে প্রচুর l আর এই গ্রন্থগুলো প্রাচীন
ধ্যান ধারণা ছাড়া কোন কিছুই বর্ণনা করতে পারেনি l আর এটা থেকেই বোঝা যায় ধর্মগ্রন্থগুলো প্রাচীন কোন মানুষ লিখেছে l কোন সৃষ্টিকর্তা প্রমানিত হয় না ওই সব বাজে বইগুলো থেকে l
তাহলে দেখা যাচ্ছে আস্তিকরা সৃষ্টিকর্তাকে
দেখেনি এবং তারা সৃষ্টিকর্তার কোন অস্তিত্তই পায়নি ! কিন্তু তারপরেও তারা বলে সৃষ্টিকর্তা
আছে l আর এই অন্ধবিশ্বাসটাকেই কুসংস্কার বলা হয়
l
কিন্তু বিবর্তনবাদ প্রমানিত সত্য l
কিন্তু ঈশ্বর বা আল্লাহ বা গড মানুষের কাল্পনিক চিন্তা থেকে
তৈরী হওয়া কাল্পনিক চরিত্র l আর তাই প্রকৃত কুসংস্কারাচ্ছন্ন
ও অন্ধবিশ্বাসী হচ্ছে মুসলমান ও কিছু কিছু খ্রিস্টান যারা বিবর্তনবাদ মেনে নেয় না শুধুমাত্র
তাদের কাল্পনিক সৃষ্টিকর্তা বিশ্বাসের কারণে যার কোন বাস্তব অস্তিত্ব নেই l
কোন আস্তিকই সৃষ্টিকর্তার কোন প্রমান দিতে পারবে না l
আর অন্য দিকে বিবর্তনবাদের সত্যতায় হাজারও প্রমান আছে l
এর পরেও যারা বলে বিবর্তনবাদ মিথ্যা কিন্তু
অস্তিত্বহীন ও কাল্পনিক সৃষ্টিকর্তা সত্যি তবে তাদেরকেই অন্ধবিশ্বাসী এবং কুসংস্কারাচ্ছন্ন
বলা হবে কুসংস্কার-এর সংজ্ঞানুসারে l
প্রকৃত পক্ষে মুসলমানরা তাদের আল্লাহর কোন
অস্তিত্ব প্রমান করতে না পেরে তাদের মিথ্যে ধর্মকে বাচাতে সত্য ও প্রমানিত বিজ্ঞানকেই
অস্বীকার ও অবিশ্বাস করে চলেছে অন্ধবিশ্বাস ও কুসংস্কারের কারণে l
No comments:
Post a Comment