Translate

Search This Blog

বিশেষ সতর্কবার্তাঃ

এই ব্লগটি নাস্তিক, অজ্ঞেয়বাদী, সন্দেহবাদী, মুক্তমনা এবং স্বাধীনচেতা মানুষদের জন্য। যারা যেকোন বিষয়ের সমালোচনা সহ্য করার মত ক্ষমতা রাখে। যদি কোন ধার্মিক, গোড়া ধার্মিক আস্তিক এই ব্লগটিতে আসে তবে তার ধর্মানুভূতি নামের অদ্ভূত দূর্বল অনিভূতি আঘাতপ্রাপ্ত হলে ব্লগ লেখক দায়ী থাকবে না। ধার্মিক, গোড়া ধার্মিক আস্তিকদের নিজ দায়িত্বে তাদের দূর্বল ধর্মানুভূতিকে সংরক্ষনের দায়িত্ব নিতে হবে। কারো ধর্মানুভূতি নামের অযৌক্তিক অনুভূতি আহত হবার জন্য কোন ক্রমেই ব্লগার বা লেখককে দায়ী করা যাবে না। যদি কোন অতি দুর্বল ধর্মানুভূতি সম্পন্ন ব্যাক্তি এই ব্লগে ভূল করে ঢুকে পরেন এবং তিনি তার অনুভূতিকে দূর্বল ভাবেন অর্থাৎ যিনি তার ধর্মের উপযুক্ত সমালোচনা সহ্য করতে অপারগ, তাকে বিনীত ভাবে এই ব্লগটি থেকে প্রস্থান করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। এর পরেও যদি কোন দূর্বল ধর্মানুভূতি সম্পন্ন ব্যাক্তি এই ব্লগটিতে ঘুরাফেরা করেন এবং তার ফলে তার দূর্বল ধর্মানুভূতিতে আঘাত প্রাপ্ত হন তবে কোন ক্রমেই এবং কোন ক্রমেই ব্লগের মালিক, 'আমি নাস্তিক' দায়ী থাকবে না।

Tuesday, July 8, 2014

কেন আস্তিকরা সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাস করে ?




মানুষ জন্মের সময় আস্তিক থাকে না l সে নাস্তিক হয়েও জন্মায় না l আস্তিক যে বিশ্বাস করে বিশ্বজগতের একজন সৃষ্টিকর্তা আছে এবং নাস্তিক কোন সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাস করে না l কিন্তু কোন শিশুই জন্মের সময় কোন জ্ঞান নিয়ে জন্মায় না l আর তাই কোন শিশু জানেই না সৃষ্টিকর্তা কি, বিশ্বজগত কি ? এবং তার কোন কিছুতে বিশ্বাস করার ক্ষমতাও থাকে না l
কিন্তু যখন কোন শিশু জন্ম নেয় তাকে জন্মের পরে পরেই কিছু মিথ্যে ধারণা দেয়া হয় যেমন তাকে শেখানো হয় কোন কিছুই সৃষ্টিকর্তা ছাড়া সৃষ্টি হতে পারে না l আবার তাকে শেখানো হয় তার বাবা-মার ধর্মই পৃথিবীর শ্রেষ্ট ধর্ম l
এইসব মিথ্যে শিক্ষা শিশুকে দেয়া হয় l কিন্তু শৈশবের এই মিথ্যে শিক্ষাই সারাজীবন তাকে মিথ্যে বিশ্বাসের মধ্যে বেধে রাখে l
মনোবিজ্ঞানের ভাষায় প্রতিটি শিশুরই শৈশবের শিক্ষা একটা বড় ভুমিকা পালন করে তার জীবনে l শৈশবে সে যা কিছু শিখে সেটাকেই পৃথিবীর সবচেয়ে বড় সত্য হিসেবে ধরে নেয় l ফলে যে শিশুকে মিথ্যে কথা বা বিশ্বাস শিখানো হয় সেটাই তার সারাজীবনের বিশ্বাসকে নিয়ন্ত্রণ করে l ফলে সে শৈশবের মিথ্যে বিশ্বাস এবং বিশ্বজগত সম্পর্কে মিথ্যে ধারণা নিয়েই জীবন কাটিয়ে দেয় l
আর এজন্যই একজন হিন্দুর সন্তান হয় হিন্দু, মুসলমানের সন্তান হয় মুসলমান, খ্রীষ্টানের সন্তান হয় খ্রিস্টান এবং একজন বৌদ্ধের সন্তান হয় বৌদ্ধ l এভাবেই পৃথিবীতে মিথ্যে ধর্মগুলো যুগ যুগ ধরে টিকে থাকে l
এদের মধ্যে অনেকেই আবার ধর্ম পরিবর্তন করে কিন্তু তাদের বিশ্বাসের মূল ভিত্তি কখনো পরিবর্তন হয় না l মিথ্যে ধারণা এবং মিথ্যে বিশ্বাসগুলো কখনো পরিবর্তন হয় না l মিথ্যে বিশ্বাসগুলো সারাজীবন সেই মানুষগুলো বিশ্বাস করে চলে l এভাবেই ধর্মের মিথ্যে এবং কুসংস্কারগুলো যুগ যুগ ধরে চলে এসেছে এবং অনেক দিন ধরে চলতে থাকবে যতদিন মানুষ অন্ধবিশ্বাস এবং কুসংস্কারের বেড়াজাল থেকে বেরিয়ে আসতে না পারে l

আবার এদের মধ্যে অনেকে সেই মিথ্যে বিশ্বাস থেকে বেরিয়ে আসতে পারে l বাস্তব জ্ঞানের ভিত্তিতে তারা মিথ্যে ধর্ম বিশ্বাস থেকে বেরিয়ে আসে l কিন্তু তাদেরকে মিথ্যে বিশ্বাস থেকে বাস্তব বিশ্বাসে আসতে অনেক কষ্ট সহ্য করতে হয় l বিশ্বাসের ঘোর কাটতে অনেক কষ্ট সহ্য করে তাদের সত্য বাস্তব বিশ্বাসে ফিরে আসতে হয় l

কিন্তু সেই পরিমানটা খুব কম l কারণ অন্ধ-বিশ্বাস থেকে সহজে বের হয়ে আসা যায় না l শৈশবের মিথ্যে বিশ্বাস থেকে বের হয়ে আসা অনেক কঠিন ব্যাপার l কারণ শৈশবের মিথ্যে বিশ্বাসগুলোই মানুষের মনে ঝেঁকে বসে থাকে l এই বিশ্বাসগুলো মানুষের মনে গভীর ছাপ ফেলে l পরবর্তী জীবনে যখন মানুষ সত্যের সামনে উপস্থিত হয় তখন শৈশবের মিথ্যে বিশ্বাসের সাথে বাস্তব সত্যের সংঘর্ষ হতে থাকে কিন্তু মানুষের মন শৈশবের মিথ্যে বিশ্বাসকেই সত্যি বলে ধরে নেয় এবং বাস্তব সত্যকে মিথ্যে বলে মনে করে l কারো মন দুর্বল থাকলে সে কখনই শৈশবের মিথ্যে বিশ্বাসের বাইরে আসতে পারে না l আর যাদের মন অনেক শক্তিশালী হয় তারাই শুধু এই মিথ্যে বিশ্বাসের বন্ধন থেকে মুক্ত হতে পারে l আর এজন্যই আস্তিক থেকে নাস্তিক হওয়ার হার অনেক ক l বাস্তব জ্ঞান এবং বিজ্ঞান হাজারবারও বলুক না কেন মানুষ শৈশবের মিথ্যে বিশ্বাসকেই সত্যি বলে বিশ্বাস করে l ফলে পৃথিবীর মানুষ আস্তিক হিসেবে মিথ্যে কাল্পনিক সৃষ্টিকর্তাকে বিশ্বাস করে যায় অন্ধের মত করে l বাস্তবতা এবং বিজ্ঞানকে অবিশ্বাস করে হলেও তারা শৈশবের মিথ্যে বিশ্বাসগুলোকেই আকড়ে ধরে বসে থাকে l আর এজন্যই মানুষ আস্তিক থেকে যায় এবং মিথ্যে ধর্ম বিশ্বাসী থেকে যায় বাস্তব জ্ঞানকে এবং বিজ্ঞানকে অবজ্ঞা করে হলেও l
আর এটাই হচ্ছে মানুষের আস্তিক থেকে যাওয়ার কারণ এবং বাস্তব সত্য ও বিজ্ঞানকে অবিশ্বাস করার একমাত্র কারণ l
আর এভাবেই পৃথিবীর মানুষ মিথ্যে সৃষ্টিকর্তার বিশ্বাস করে চলেছে যেটা সম্পূর্ণ বাস্তবতা বিরোধী এবং বিজ্ঞান বিরোধী l বাস্তব জ্ঞান এবং বিজ্ঞান বলে সৃষ্টিকর্তা বলে কোন কিছুর অস্তিত্ব নেই l এটি একটি প্রাচীন মানুষের কাল্পনিক সৃষ্টি l যেটা মানুষ জ্ঞানী হবার পরে এবং বিজ্ঞানের উন্নতির ফলে মিথ্যে প্রমানিত হয়েছে l কিন্তু তার পরেও অন্ধবিশ্বাসী এবং কুসংস্কারাচ্ছন্ন আস্তিকগুলো এই মিথ্যে বিশ্বাসকে আকড়ে ধরে বসে থাকে অজ্ঞতাবসত এবং অক্ষমতাবসত l আর তাই পৃথিবীটা অন্ধ ও কুসংস্কারাচ্ছন্ন আস্তিকে ভরে আছে যেটা বাস্তব জ্ঞান এবং বিজ্ঞানের উন্নতির সাথে সাথে হ্রাস পাচ্ছে l শিগ্রই মানুষ তাদের শৈশবের মিথ্যে বিশ্বাস এবং কাল্পনিক সৃষ্টিকর্তার বিশ্বাস থেকে বেরিয়ে আসবে l মানুষ মিথ্যে ধর্ম বিশ্বাস থেকে বেরিয়ে এসে সত্যকে মেনে নেবে l

No comments:

Post a Comment