Translate

Search This Blog

বিশেষ সতর্কবার্তাঃ

এই ব্লগটি নাস্তিক, অজ্ঞেয়বাদী, সন্দেহবাদী, মুক্তমনা এবং স্বাধীনচেতা মানুষদের জন্য। যারা যেকোন বিষয়ের সমালোচনা সহ্য করার মত ক্ষমতা রাখে। যদি কোন ধার্মিক, গোড়া ধার্মিক আস্তিক এই ব্লগটিতে আসে তবে তার ধর্মানুভূতি নামের অদ্ভূত দূর্বল অনিভূতি আঘাতপ্রাপ্ত হলে ব্লগ লেখক দায়ী থাকবে না। ধার্মিক, গোড়া ধার্মিক আস্তিকদের নিজ দায়িত্বে তাদের দূর্বল ধর্মানুভূতিকে সংরক্ষনের দায়িত্ব নিতে হবে। কারো ধর্মানুভূতি নামের অযৌক্তিক অনুভূতি আহত হবার জন্য কোন ক্রমেই ব্লগার বা লেখককে দায়ী করা যাবে না। যদি কোন অতি দুর্বল ধর্মানুভূতি সম্পন্ন ব্যাক্তি এই ব্লগে ভূল করে ঢুকে পরেন এবং তিনি তার অনুভূতিকে দূর্বল ভাবেন অর্থাৎ যিনি তার ধর্মের উপযুক্ত সমালোচনা সহ্য করতে অপারগ, তাকে বিনীত ভাবে এই ব্লগটি থেকে প্রস্থান করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। এর পরেও যদি কোন দূর্বল ধর্মানুভূতি সম্পন্ন ব্যাক্তি এই ব্লগটিতে ঘুরাফেরা করেন এবং তার ফলে তার দূর্বল ধর্মানুভূতিতে আঘাত প্রাপ্ত হন তবে কোন ক্রমেই এবং কোন ক্রমেই ব্লগের মালিক, 'আমি নাস্তিক' দায়ী থাকবে না।

Tuesday, December 22, 2015

কুরআন আল্লাহর বাণী নয়, কুরআন মুহাম্মদের বাণী । (পর্ব ১১ ) কুরআনে পাহাড় সম্পর্কে উল্টাপাল্টা কথা বার্তা। পাহাড় স্থাপনে কি পৃথিবী কাত হয়ে পড়ে যাচ্ছে না? নাকি পাহাড় স্থাপন করার জন্য পৃথিবীতে ভূমিকম্প থেমে গেছে?




 মুসলমানরা দাবী করে এবং অন্ধের মতো বিশ্বাস করে যে, কুরআন আল্লাহ নামের এক আরবীয় সৃষ্টিকর্তার বাণী। অর্থাৎ কুরআনের প্রতিটি কথা বা বাণী স্বয়ং আল্লাহ নামের সেই আরবীয় সৃষ্টিকর্তাটির। মুসলমানদের দাবী,  আল্লাহ কুরআনের বাণীগুলোকে তার কর্মী রোবট জিব্রাইলের মাধ্যমে মুহাম্মদের কাছে ওহী (ঔষীবাণী) পাঠিয়েছে। আর মুহাম্মদ আল্লাহর সেই বাণী গুলোকে লিপিবদ্ধ করেছে। পরবর্তীতে মুহাম্মদের মৃত্যুর পরে ইসলামের কতিপয় খলিফা (বাদসা বা রাজা) লিপিবদ্ধ বিচ্ছিন্ন আল্লাহর বাণীর অংশগুলোকে একত্রিত করে গ্রন্থের রুপ দেয়। এভাবেই যে গ্রন্থের আবির্ভাব ঘটে সেটাকেই কুরআন নামে অবহিত করা হয়। তাহলে দেখা যায় যে কুরআন কোন সৃষ্টিকর্তার তৈরী করা গ্রন্থ নয়। কারণ সৃষ্টিকর্তা কোন গ্রন্থ তৈরী করে পৃথিবীতে পাঠায়নি। আর তাই কুরআন হলো মানুষের দ্বারা তৈরী করা গ্রন্থ। এখন যদি কুরআন সত্যি সত্যি কোন সৃষ্টিকর্তার বাণীর সংকলন হয়ে থাকে তবে এর মধ্যে অন্তর্নিহিত কথা বা বাণীগুলো সৃষ্টিকর্তার মতো কোন অতিক্ষমতাবাণ বা অতিজ্ঞানী কারো হবে।
কিন্তু মুসলমানরা ছাড়া (অন্ধবিশ্বাসী ছাড়া) পৃথিবীর সব মানুষই কুরআনের বাণীগুলোকে সৃষ্টিকর্তার বাণী বলে মনে করে না। এমন কোন বাণীও কুরআনে পাওয়া যায় না যার দ্বারা মনে হতে পারে যে কুরআনের বাণীগুলো কোন অতিক্ষমতাবাণ সর্বজ্ঞানী সৃষ্টিকর্তার বাণী। বরং কুরআনের নানা ব্যকরণগত ভূল, ঐতিহাসিক ভূল, যৌক্তিকভূল এবং বৈজ্ঞানিক ভূলগুলো দেখলে যে কেউ (যে অন্ধবিশ্বাসী নয়) বলবে কুরআন কোন ক্রমেই কোন অতিক্ষমতাবাণ বা সর্বজ্ঞানীর বাণী হতে পারে না। কুরআনের ভূলগুলোকে পৃথিবীর বহু মানুষ স্পষ্ট করে প্রমাণ করেছেন এবং এই পর্বগুলোতে প্রমাণ করা হয়ে গেছে এবং পর্যায়ক্রমে প্রমাণ করা হচ্ছে যে কুরআন আল্লাহ নামের কোন সর্বজ্ঞানী অতিক্ষমতাবাণ সৃষ্টিকর্তার বাণী নয়; বরং কুরআন হলো মুহাম্মদ নামের এক স্বাধারণ মানুষের নিজের বাণী। এটা প্রমাণিত সত্য যে কুরআন আল্লাহর বাণী নয়, কুরআন মুহাম্মদের বাণী।
কুরআন আল্লাহর বাণী নয় বরং কুরআন মুহাম্মদের বাণী এটার আরো একটি প্রমাণ এই পর্বটিতে হাজির করা হবে।

কুরআনের সূরা রাদ-এর নাম্বার আয়াতে বলা হয়েছে যে,
"আর তিনিই সেইজন যিনি পৃথিবীকে বিস্তৃত করেছেন আর তাতে স্থাপন করেছেন পর্বতমালা নদনদী.." (অনুবাদ- ডঃ জহুরুল হক)
এর ইংরেজী অনুবাদটি হলো-
 "And it is He who spread out the earth, and set thereon mountains standing firm and [flowing] rivers.."
এই আয়াতে বলা হয়েছে যে, আল্লাহ পৃথিবীকে বিস্তৃত করার পর এতে পাহাড় স্থাপন করেছে।
এই কথাটি দিয়ে এটিই বুঝানো হয়েছে যে পর্বতসমূহকে স্থাপন করা হয়েছে যেভাবে কোন একটা কিছুর উপর অন্য কোন কিছু স্থাপন করা হয়।
যেমন টেবিলের উপর বইয়ের তাক স্থাপন করা হয় অথবা মাটির উপর ঘর বাড়ী স্থাপন করা হয়।
এটি একটি বৈজ্ঞানিক ভাবে ভুল কথা। কারণ পাহাড় পর্বতগুলোকে অন্য কোথাও থেকে এনে পৃথিবীর উপরে স্থাপন করা হয়নি। বরং পাহাড় পর্বতগুলো পৃথিবী থেকেই তৈরী হয়েছে।
আমরা জানি পৃথিবীর অভ্যন্তরের অংশগুলো নানা প্লেট বা নানা স্তরে গঠিত। এই প্লেট বা স্তরগুলো অনেক সময় নড়েচড়ে উঠে। এবং এগুলো সরে গিয়ে একটা প্লেট বা স্তরের সাথে অন্য স্তর বা প্লেটের সংঘর্ষ হয়। এই সংঘর্ষের ফলে পৃথিবীর অভ্যন্তরিন এই প্লেট বা স্তরগুলো মুড়ে উঠতে থাকে। এবং দুটো পাশাপাশি প্লেট বা স্তর সংঘর্ষের অগ্রভাগগুলো উপরের দিকে উঠে যায়। এর ফলে প্রচন্ড ভুমিকম্পের মাধ্যমে পাহাড় পর্বত তৈরী হয়। অর্থাৎ পাহাড় পর্বত তৈরী হয় পৃথিবীর অংশ থেকেই। বাইরে থেকে পাহাড় পর্বত স্থাপিত হয় না। কিন্তু কুরআন দাবী করছে পৃথিবীর উপর পাহাড় পর্বত (বাইরে থেকে এনে) স্থাপন করা হয়েছে।

একই কথা পাওয়া যায় সূরা গাশিয়াহ-এর ১৯ নাম্বার আয়াতে,
"এবং পর্বতমালার দিকে যে, কিভাবে ওটাকে বসানো হয়েছে?"
এই আয়াতের ইংরেজী অনুবাদটি হলো-
"And the hills, how they are set up? (অনুবাদ- Mohammad Marmaduke Pickthal)

অর্থাৎ পাহাড় পর্বতকে বসানো হয়েছে বা স্থাপন করা হয়েছে। কুরআনের কোথাও বলা হয়নি যে পাহাড় পর্বতকে পৃথিবী থেকে উদ্গত করা হয়েছে। বরং সব জায়গায় বলা হয়েছে যে পাহাড় পর্বতকে স্থাপন করা হয়েছে বা বসানো হয়েছে অথবা গেথে দেওয়া হয়েছে।
এর কারণ হলো কুরআন লেখকের পক্ষে দেঢ় হাজার বছর পূর্বে এটা জানা অসম্ভব ছিল যে পাহাড় পর্বতকে অন্য কোথাও থেকে এনে স্থাপন করা হয়নি বা বসানো হয়নি পাহাড় পর্বত পৃথিবী থেকেই তৈরী হয়েছে ভূমিকম্পের মাধ্যমে। আর তাই কুরআন লেখকের পক্ষে এটা কুরআনে লেখাও সম্ভব হয়নি। যদি কুরআন কোন অতিজ্ঞান সম্পন্ন সৃষ্টিকর্তার লেখা হতো তবে স্থাপন করা বা বসানো অথবা গেথে দেওয়া কথাটির পবিবর্তে পৃথিবী থেকে উদ্গত বা উৎপন্ন করা হয়েছে এই কথাটি লেখা থাকতো। যেহেতু কুরআন কোন এক স্বাধারণ মানুষ লিখেছে যে আজ থেকে দেড় হাজার বছর আগে জানতো যে পাহাড় পর্বতকে (অন্য কোথাও থেকে এনে) পৃথিবীর উপরে স্থাপন করা বা বসানো হয়েছে; আর এটাই সে কুরআনে লিখে দিয়েছে। কিন্তু তার পক্ষে জানা সম্ভব ছিল না যে পাহাড় পর্বতগুলো পৃথিবী থেকেই উদগত হয়েছে বা পৃথিবী থেকেই উৎপন্ন হয়েছে।
যেহেতু কুরআনের অন্য কোথাও বলা হয়নি যে পাহাড় পর্বতকে পৃথিবী থেকে তৈরী করা হয়েছে বরং উপরের আয়াতে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে যে পাহাড় পর্বতগুলোকে পৃথিবীর উপর স্থাপন করা হয়েছে বা বসানো হয়েছে তাই বুঝা যাচ্ছে যে কুরআন লেখক কোন অতিজ্ঞান সম্পন্ন সৃষ্টিকর্তা নয় বরং দেড় হাজার বছর আগের এক স্বাধারণ মানুষ। যার পক্ষে জানা সম্ভব ছিল না যে পৃথিবী থেকেই পাহাড় পর্বতের সৃষ্টি; অন্য কোথাও থেকে পাহাড় পর্বতগুলো এনে পৃথিবীর উপরে স্থাপন করা হয়নি।
অর্থাৎ কুরআন আসলে দেড় হাজার বছর আগের কোন এক স্বাধারণ মানুষের লেখা।

সূরা নাযিয়াত-এর ৩২ নাম্বার আয়াতে বলা হয়েছে,
"আর পাহাড়সমূহকে তিনি দৃঢ়ভাবে গেঁড়ে দিয়েছেন," (অনুবাদ- প্রফেসর ডঃ মুহাম্মদ মুজীবুর রহমান)
পাহাড়কে যে অন্য কোথাও হতে এনে পৃথিবীতে স্থাপন করা হয়েছে এটিকে আরো স্পষ্টভাবে এই আয়াতে বলা হয়েছে। এই আয়াত অনুযায়ী পাহাড় পৃথিবীর অভ্যন্তর ভাগ থেকে সৃষ্টি হয়নি বরং পাহাড়কে অন্য কোথাও থেকে এনে পৃথিবীতে গেঁড়ে বা পুঁতে দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ কুরআন অনুযায়ী পাহাড় পর্বতগুলোকে অন্য কোথাও থেকে এনে পৃথিবীতে গেঁড়ে বা পুঁতে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বিজ্ঞান বলে যে পাহাড়-পর্বতগুলোকে কেউ অন্য কোথাও থেকে আনেনি এবং এগুলোকে গেঁড়ে দেওয়াও হয়নি। বরং পাহাড় পর্বতগুলো পৃথিবীর ভূমন্ডল দিয়েই তৈরী হয়েছে। পৃথিবীর অভ্যন্তরভাগ যখন নড়াচড়া করে উঠে এবং দুটো পাশাপাশি প্লেট সংঘর্ষে লিপ্ত হয় তখন এগুলো দুমড়ে মুচড়ে উঠে এবং পরস্পরের সাথে ধাক্কার ফলে মাটি থেকে উপরের দিকে উঠতে থাকে। আর মাটির এই উর্ধ্বে উঠে যাবার ফলে ভূ-উপরিভাগের থেকে বা মাটি থেকে এগুলোর উচ্চতা জনীত উঁচুনিচু স্থানের সৃষ্টি হয়। আর এভাবেই পাহাড় পর্বত সৃষ্টি হয়। পৃথিবীর অভ্যন্তরের গলিত উত্যপ্ত লাভা কখনও কখনও প্রচন্ড বেগে পৃথিবীর উপরীভাগের উপর প্রচন্ড চাপ সৃষ্টি করে। আর এই চাপের ফলে ওই অংশের মাটি উপরের দিকে উঠে যেয়ে পাহাড় পর্বত সৃষ্টি করে। এই পাহাড় পর্বতগুলো উৎপন্ন হবার সময় প্রচন্ড ভূমিকম্পের সৃষ্টি হয়। আবার যখন কোন স্থানে পৃথিবীর অভ্যন্তরের প্লেট গুলো কোন স্থান থেকে সরে যায় তখন ওই স্থানটিতে ভূমিধ্বস হয়। ফলে আশে পাশের স্থান থেকে ওই স্থানটি নিচু হয়ে যায় এবং উচু স্থানটিই কাল ক্রমে পাহাড় পর্বত রুপে আবির্ভুত হয়। পাহাড় তৈরীর সবগুলো প্রক্রিয়াই প্রচন্ড ভূমিকম্পের সৃষ্টি করে। অন্য কথায় ভূমিকম্প ঘটার কারণগুলোই পাহাড় পর্বত তৈরী করে।
অর্থাৎ পৃথিবীর অভ্যন্তরিন উপাদান থেকেই পাহাড় পর্বত তৈরী হয়।  এবং পাহাড় পর্বতগুলো মাটির নিচে থেকে উঠে আসে।  পাহাড় পর্বতগুলোকে অন্য কোথাও হতে আনা হয় না। এবং এগুলোকে পুঁতে বা গেঁড়ে দেওয়াও হয় না।
কিন্তু কুরআন সম্পূর্ন ভিন্ন কথা বলছে। কুরআন বলছে, পাহাড় পর্বতগুলোকে পৃথিবীতে গেঁড়ে দেওয়া হয়।
স্পষ্টত কুরআন ভূল কথা বলছে।

এই আয়াতের অন্যান্য অনুবাদগুলো হলো-
"তিনি পাহাড়সমূহ (যমীনের গায়ে পেরেকের মতো) গেড়ে দিয়েছেন," (অনুবাদ- হাফেজ মুনির উদ্দীন আহমদ)
"আর পাহাড় পর্বত- তিনি তাদের মজবুতভাবে বসিয়ে দিয়েছেন," (অনুবাদ- ডঃ জহুরুল হক)
"এবং পর্বতকে তিনি দৃঢ়ভাবে প্রোথিত করিয়াছেন;"
"And the mountains has He firmly fixed;” (অনুবাদ- Ministry of Religion of Bangladesh)

উপরে উল্লেখিত সবগুলো অনুবাদেই বলা হয়েছে যে পাহাড় পর্বতগুলোকে মাটিতে গেঁড়ে দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ কুরআনের ভাষায় পাহাড় পর্বতগুলোকে অন্য কোথাও হতে এনে পৃথিবীর উপরে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে বা পৃথিবীর গায়ে গেথে দেওয়া হয়েছে। এই ধারণাটি পুরোপুরি মিথ্যা এবং ভ্রান্ত। তাই এটি কোন ক্রমেই অতিজ্ঞান সম্পন্ন কোন সৃষ্টিকর্তার হতে পারে না। আর তাই এই আয়াতটি কোন সৃষ্টিকর্তার নয়। বরং এটি কোন স্বাধারণ মানুষের যে জানতো না যে পাহাড় পর্বতগুলো আসলে পৃথিবী থেকেই উৎপন্ন হয়েছে বা উদগত হয়েছে। দেড় হাজার বছর আগের মানুষেরা ভাবতো পাহাড়গুলোকে কোন সৃষ্টিকর্তা অন্য কোথাও হতে নিয়ে এসে পৃথিবীর উপরে স্থাপন করে দিয়েছে। পাহাড় পর্বতগুলোকে সৃষ্টিকর্তা গেঁড়ে বা পুঁতে দিয়েছেন পেরেকের মতো বা কোন খুটির মত করে। দেড় হাজার বছর আগের কোন মানুষের পক্ষে পাহাড় পর্বত উৎপন্ন হওয়ার প্রকৃত কারণ জানা সম্ভব ছিল না। আর তাই কুরআন লেখন সেই সময়ের স্বাধারণ মানুষের কথাটিকেই কুরআনে লিখে রেখেছে।
অর্থাৎ কুরআন নিশ্চিত ভাবেই কোন এক স্বাধারণ মানুষের লেখা।

পাহাড় পর্বতগুলোকে যে অন্য কোথাও থেকে এনে পৃথিবীতে গেঁড়ে বা পুঁতে দেওয়া হয়েছে সেটি স্পষ্ট হবে নিচের আয়াতটি দেখে।
সূরা নাবা-এর ৬ এবং ৭ নাম্বার আয়াতে বলা হয়েছে,
আমি কি পৃথিবীকে বিছানা বানিয়ে দেয়নি?
ও পাহাড়সমূহকে পেরেক রুপে গেঁড়ে দেইনি?" (অনুবাদ- প্রফেসর ডঃ মুহাম্মদ মুজীবুর রহমান)

এই আয়াতে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে যে পৃথিবীকে বিছানার মতো সমতল করা হয়েছে এবং এর উপর পাহাড় পর্বতগুলোকে পেরেকের মতো করে গেঁড়ে দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ পাহাড় পর্বতগুলোকে (লোহার পেরেকের মত) অন্য কোথাও হতে এনে পৃথিবীর উপরে গেঁড়ে দেওয়া হয়েছে।
কিন্তু প্রকৃত সত্য হলো পাহাড় পর্বতগুলোকে অন্য কোথাও হতে আনা হয়নি এবং এগুলোকে  গেঁড়ে দেওয়াও হয়নি। বরং তার উল্টোটি ঘটেছে; পাহাড় পর্বতগুলো পৃথিবীর অভ্যন্তরের দিক থেকে উদগত হয়েছে বা ভিতর থেকে বাইরের দিকে বেড়িয়ে এসেছে। অর্থাৎ কুরআনে যেমনটি বলা হয়েছে যে পাহাড় পর্বতগুলো বাইরে থেকে পৃথিবীর ভেতরের দিকে গেঁড়ে দেওয়া হয়েছে কিন্তু বাস্তবে ঘটেছে তার উল্টোটি। পাহাড় পর্বতগুলো ভিতর থেকে বাইরের দিকে বেরিয়ে এসেছে বা উদগত হয়েছে।
অর্থাৎ কুরআন সম্পূর্ণরুপে ভ্রান্ত কথা বলেছে। আর তাই কুরআন কখনই কোন অতিবুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন কোন সৃষ্টিকর্তার বাণী হতে পারে না। বরং কুরআন দেড় হাজার বছর আগের কোন স্বাধারণ মানুষের ধ্যাণ ধারণা সম্পন্ন মানুষের বাণী।

(এই আয়াতটিকে হাফেজ মুনির উদ্দীন আহমদ পাহাড় পর্বতকে পেরেকের মতো গেঁড়ে দেবার কথা বলেছেন। আবার ডঃ জহুরুল হক এই আয়াতের অনুবাদ করেছেন পাহাড় পর্বতকে খুটিরুপে স্থাপন করা হয়েছে। আর আমরা জানি যে খুটিকে গেঁড়ে বা পুঁতে দিতে হয়।
And the mountains as pegs? (অনুবাদ- Abdullah Yusuf Ali)

অর্থাৎ পাহাড় পর্বতকে গেঁথে বা গেঁড়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বাস্তবতা সম্পূর্ণ ভিন্ন। পাহাড় পর্বতকে প্রকৃতপক্ষে গেঁথে বা গেঁড়ে দেওয়া হয়নি বরং এগুলো ভিতর থেকে বাইরে বেড়িয়ে এসেছে। অর্থাৎ কুরআন মিথ্যা এবং ভ্রান্ত কথা বলছে। আর তাই কুরআন কোন সৃষ্টিকর্তার বাণী নয়।)

এ পর্যন্ত এসে বোঝা যাচ্ছে কুরআন লেখক আসলে পাহাড় পর্বতগুলো যে পৃথিবীরই অংশ সেটা বুঝতে পারেনি। কুরআন লেখক ভেবেছিল যে পাহাড় পর্বতগুলোকে বাইরে থেকে এনে পৃথিবীতে এমন ভাবে স্থাপন করা হয়েছিল যে পাহাড় পর্বতগুলোকে মাটিতে পুঁতে, গেঁড়ে এবং গেথে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বাস্তবতা হলো পাহাড় পর্বতগুলো বাইরে থেকে আনা হয়নি এগুলো পৃথিবীরই অংশ। ভূ-অভ্যন্তর ভাগ নানা কারণে ভিতর থেকে বাইরের দিকে বেরিয়ে এসে পাহাড় পর্বত তৈরী হয়েছে। অর্থাৎ কুরআন লেখকের ধারণা প্রাচীণ মানুষের মিথ্যে এবং ভ্রান্ত ধারণা। যেহেতু কুরআন লেখকের পক্ষে দেড় হাজার বছর পূর্বে বসে এসব বিজ্ঞানের আধুনিক তথ্য জানা সম্ভব ছিল না তাই সে ওইসব মিথ্যে ও ভ্রান্ত ধারণাগুলোকেই কুরআনে লিখে রেখেছে। আর তাই এটা স্পষ্ট ভাবেই প্রমানিত হয় যে কুরআন কোন সৃষ্টিকর্তার বাণী নয়। কুরআন কোন এক স্বাধারণ মানুষের লেখা স্বাধারণ বই।

কুরআন সৃষ্টিকর্তার বাণী নয় বরং কোন স্বাধারণ মানুষের বাণী এটি প্রমানিত হয় পাহাড় সম্পর্কিত কুরআনের আরো কিছু মিথ্যে ও ভ্রান্ত আয়াত দেখে।
যেমন সূরা আল আম্বিয়া-এর ৩১ নাম্বার আয়াতে বলা হয়েছে,
"এবং আমি পৃথিবীতে সৃষ্টি করেছি সুদৃঢ় পর্বত যাতে পৃথিবী তাদেরকে নিয়ে এদিক ওদিক ঢলে না যায়.." (অনুবাদ- প্রফেসর ডঃ মুহাম্মদ মুজীবুর রহমান)

এই আয়াতে বলা হয়েছে পৃথিবীতে পাহাড় পর্বত সৃষ্টি করার কারণ হলো পৃথিবী যাতে কোন এক দিকে ঢলে বা কাঁত হয়ে পড়ে না যায়।

একই কথা বলা হয়েছে সূরা লোকমান এবং সূরা নাহল-এ।
কুরআনের এই আয়াতটিতে বলা হয়েছে যে পৃথিবীতে পাহাড় পর্বতগুলো সৃষ্টির উদ্দেশ্য হলো পৃথিবী যেন কোন এক দিকে কাঁত হয়ে না পড়ে। অর্থাৎ কুরআন মতে পৃথিবী সমতল। আর তাই এই সমতল পৃথিবী যেন কোন এক দিকে কাঁত হয়ে না পড়ে যায় তাই এতে পাহাড় স্থাপন করা হয়েছে। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে পৃথিবী সমতল নয় আর এটি কোন এক দিকে কাঁত হয়ে পড়ে না বা কোন দিকে ঢলে পড়ে না। পৃথিবী যাতে কোন এক দিকে ঢলে পড়ে না যায় তাই পাহাড় পর্বত সৃষ্টি করা হয়েছে এটি প্রাচীণ মানুষের প্রাচীণ ভ্রান্ত ধারণার বহিঃপ্রকাশ। তাই কুরআনে পাহাড় সম্পর্কিত কথাগুলো কোন ক্রমেই কোন অতিজ্ঞান সম্পন্ন সৃষ্টিকর্তার নয় বরং এগুলো দেড় হাজার বছর আগের কোন এক স্বাধারণ মানুষের।

সূরা নাহল-এর ১৫ নাম্বার আয়াতটি হলো,
"আর তিনি পৃথিবীতে স্থাপন করেছেন পাহাড় পর্বত, পাছে তোমাদের নিয়ে তা কাত হয়ে যায়;.." (অনুবাদ- ডঃ জহুরুল হক)

এই অনুবাদগুলোতে স্পষ্ট করে বলা হচ্ছে যে কুরআনের বর্ণনায় পৃথিবীতে পাহাড় পর্বত সৃষ্টির প্রধান উদ্দেশ্য হলো পৃথিবীকে কোন এক দিকে কাত হওয়া বা ঢলে যাওয়া থেকে রক্ষা করা। কিন্তু পৃথিবী কখনই কোন দিকে কাত হয়ে বা ঢলে যায় না। আর তাই এগুলোকে কাত হওয়া বা ঢলে যাওয়া থেকে রক্ষা করার দরকারও হয় না। স্পষ্টতই কুরআন হলো প্রাচীণ মানুষের ধ্যাণ ধারণা সম্পন্ন গ্রন্থ।

সূরা আম্বিয়া-এর ৩১ নাম্বার আয়াতটির ইংরেজী অনুবাদটি লক্ষ করা যাক,
"And We have set on the earth mountains standing firm, lest it should shake with them.." (অনুবাদ- Abdullah Yusuf Ali)
"আর পৃথিবীতে আমরা পাহাড় পর্বত স্থাপন করেছি পাছে তাদের সঙ্গে এটি আন্দোলিত হয়;..." (অনুবাদ- ডঃ জহুরুল হক)
অর্থাৎ পৃথিবীতে পাহাড় পর্বত স্থাপন করার উদ্দেশ্য হলো পৃথিবী যেন কেঁপে না উঠে অর্থাৎ ভূমিকম্প না হয়।

সূরা লোকমানের ১০ নাম্বার আয়াতে বলা হয়েছে,
"and hath cast into the earth firm hills, so that it quake not with you,..." (অনুবাদ- Mohammad Marmaduke Picktha)
এই আয়াতে বলা হযেছে যে পৃথিবীতে পাহাড় পর্বত স্থাপন করার উদ্দেশ্য হলো পৃথিবীতে যেন ভূমিকম্প না হয়।

সূরা নাহল-এর ১৫ নাম্বার আয়াতটির অনুবাদ হলো,
"এবং তিনি পৃথিবীতে সুদৃঢ় পর্বত স্থাপন করীয়াছেন যাহাতে পৃথিবী তোমাদেরকে লইয়া আন্দোলিত না হয় ..."
And He has set up on the earth mountains standing firm, lest it should shake with you; ..” (অনুবাদ- Ministry of Religious Affairs in Bangladesh)
“আর পৃথিবীতে সুদৃঢ় পর্বত স্থাপন করেছেন, যাদে পৃথিবী তোমাদেরকে নিয়ে আন্দোলিত না হয়...," (অনুবাদ - প্রফেসর ডঃ মুহাম্মদ মুজীবুর রহমান)

দেখা যাচ্ছে সব গুলো আয়াত এবং সব অনুবাদকগন এই আয়াতের অনুবাদ করেছেন এভাবে,
পৃথিবীতে পাহার পর্বত স্থাপন করা হয়েছে যাতে পৃথিবীতে ভূমিকম্প না হয়।
এই আয়াতে বলা হচ্ছে যে, পৃথিবীতে পাহাড় পর্বত স্থাপন করা হয়েছে যাতে পৃথিবীতে আর ভূমিকম্প না হয়। অর্থাৎ পৃথিবীতে পাহাড় পর্বত স্থাপন করার দরুন পৃথিবীতে আর ভুমিকম্প হয় না।
কিন্তু আমরা জানি পৃথিবীতে অনেক অনেক পাহাড় পর্বত থাকার পরও অনেক বেশী পরিমাণে ভূমিকম্প হয়। কুরআনের দাবী যদি সত্যি হয় তবে পৃথিবীতে পাহাড় স্থাপন করার ফলে পৃথিবীতে আর ভূমিকম্প হবে না বা পৃথিবী কেঁপে উঠবে না। কিন্তু পৃথিবীতে পাহাড় পর্বত থাকার পরও খুব বেশী পরিমাণে ভূমিকম্প হয়।
পাহাড় কখনই ভূমিকম্প কমাতে পারে না উপরন্তু পাহাড় পর্বতগুলো ভূমিকম্পের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। এবং ভূমিকম্পের কারণ গুলোর মধ্যে একটি কারণ হলো পাহাড় পর্বতগুলো তৈরী হওয়া।
আগেই বলেছি যে পাহাড় পর্বতগুলো তৈরী হয় যে কারণগুলোর জন্য তার মধ্যে ভূঅভ্যন্তরের প্লেটগুলো যখন একটার সাথে আরেকটা প্রচন্ড ভাবে সংঘর্ষ বাধে তখন পাহাড় পর্বত তৈরী হয়। এসময় প্রচন্ড ভূমিকম্পের উৎপত্তি ঘটে। অর্থাৎ এই ভূমিকম্পের কারণই হলো পাহাড় পর্বত তৈরী হবার পদ্ধতি। আবার ভূ-অভ্যন্তরের গলিত উত্তপ্ত লাভা যখন প্রচন্ড বেগে পৃথিবীর উপরিভাগকে উপরের দিকে চাপ দিতে থাকে তখন উপরিভাগের মাটি উপরের দিকে উঠে যায় এবং পাহাড় পর্বত উৎপন্ন হয়। এবং এই সময়টিতে প্রচন্ড ভূকম্পন তৈরী হয়। এক্ষেত্রেও ভূমিকম্পের কারণ পাহাড় পর্বতগুলো উৎপন্ন হওয়া।
আবার ভূমি ধ্বসের মাধ্যমে পাহাড় পর্বত তৈরী হবার সময়েও প্রচন্ড ভূমিকম্পের সৃষ্টি হয়।
মোট কথা পাহাড় পর্বতগুলো ভূমিকম্প বন্ধে কোন ভূমিকা তো রাখেই না উপরন্তু এই পাহাড় পর্বতগুলো তৈরী হবার কারণেই ভূমিকম্পের উৎপত্তি ঘটে।
আর তাই পাহাড় পর্বতগুলো ভূমিকম্প বন্ধ করার জন্য তৈরী করা হয়েছে কথাটি দেড় হাজার বছর আগের কোন এক স্বাধারণ মানুষের অজ্ঞতাসূচক কথা ছাড়া আর কিছুই নয়। অর্থাৎ কুরআন এখানে স্পষ্টত ভূল এবং মিথ্যা কথা বলেছে। যদি কুরআন কোন অতি ক্ষমতাবাণ কেউ লিখে থাকতো তবে এতে এরকমের প্রাচীণ মানুষের ভ্রান্ত ধারণাগুলো উল্লেখিত থাকতো না। স্পষ্ট করেই বুঝা যায় কুরআনের এই ভূল গুলো করেছিল কুরআন লেখক নিজে। যে জানতো না পাহাড় কিভাবে তৈরী হয়েছে তাই সে পাহাড়কে অন্য কোথাও থেকে এনে গেঁড়ে বা গেথে দেবার কথা বলেছে। আর কুরআনের সেই অজ্ঞ লেখক জানতো না যে পাহাড় পর্বতগুলো ভুমিকস্প বন্ধ করতে পারে না বরং ভূমিকম্প ঘটায়।

কুরআন যে সৃষ্টিকর্তার বাণী নয় সেটা স্পষ্ট হয় যখন দেখা যায় যে কুরআনে স্পষ্ট করে বলছে যে পৃথিবীতে ভূ-কম্পন বা ভূমিকম্প বন্ধ করার জন্য পাহাড় পর্বত স্থাপন করা হয়েছে। অর্থাৎ যদি কুরআনের কথা সত্যি হত তবে পাহাড় পর্বত স্থাপনের পর আর ভূমিকম্প হবার কথা ছিল না। কিন্তু কুরআনের লেখককে এবং কুরআনকে মিথ্যে প্রমাণ করে দিয়ে পৃথিবীতে বহাল তবীয়তে প্রতিনিয়ত ভূমিকম্প হচ্ছে। অর্থাৎ কুরআন মিথ্যে ভূল কথা বলেছে।
যদি কুরআন মানুষ ছাড়া অন্য কোন অতিক্ষমতাবাণ সৃষ্টিকর্তা লিখতো তবে এই ভূলগুলো হতো না। কুরআন স্বাধারণ মানুষ লিখেছে বলে এই ভূলগুলো করেছে। যদি কুরআন আধুনিক যুগের কোন মানুষ লিখতো তবুও এর থেকে ভালো (মিথ্যা এবং ভ্রান্তিমুক্ত) গ্রন্থ লিখতে পারতো। কিন্তু কুরআন লিখেছে দেড় হাজার বছর আগের কোন এক অজ্ঞ মানুষ। যার পাহাড় পর্বত এবং ভুমিকম্প সম্পর্কে কোন জ্ঞান ছিল না। ফলে সেই অজ্ঞ কুরআন লেখক এই সব ভ্রান্তিপূর্ণ কথাগুলো কুরআনে লিখে দিয়েছে। আর প্রমাণ করে গেছে কুরআন কোন অতিক্ষমতাবাণ সৃষ্টিকর্তা লিখেনি বরং এটি কোন দেড় হাজার বছর পূর্বের অজ্ঞ মানুষ লিখেছে।

পাহাড় পর্বত এবং ভূমিকম্প সম্পর্কিত আয়াতগুলো স্পষ্ট প্রমাণ বহন করছে যে কুরআন কোন সৃষ্টিকর্তার বাণী নয়। কুরআন কোন মানুষের বাণী।
আর যেহেতু কুরআন মুহাম্মদের মুখ নিসৃত বাণী তাই একথা স্পষ্ট হয় যে কুরআন মুহাম্মদের নিজের বাণী।
অর্থাৎ কুরআন আল্লাহর বাণী নয় বরং কুরআন মুহাম্মদের বাণী। (প্রমাণিত)

6 comments:

  1. কুরআন আল্লাহর পবিত্র বাণি। আর আপনি সারাদিন সময় নষ্ট করে যেসব বাজে কথা লিখছেন, তাতে মনে হয় আপনাকে পাগলা গারদে পাঠাতে হবে। মানুষের ঞ্জানের সীমা অনেক, কিন্তু সৃষ্টকর্তা নিজে কিভাবে সৃষ্টি হয়েছেন এসব বিষয় নিয়ে তিনি আমাদের চিন্তা করতে নিষেধ করেছেন। আর আপনি যেসব বঙ্গানুবাদ দিয়েছেন সেগুলো ভুল। কোন মানুষের কাছে কুরআনের বাংলা অর্থ বুঝে নিন। আর এসব ভন্ডামি লেখালেখি বাদ দিন, তাহলে জীবনে উন্নতি করতে পারবেন।

    ReplyDelete
    Replies
    1. Atheist ভাইয়া আপনার একটা কথাও যৌক্তিক না উল্টো হাস্যকর আপনি পবিত্র কোরআন কে উল্টো বুঝছেন অথচ পবিত্র কুরআন এ কোনো মূল্যে নাই ভুল আপনার চিন্তা ধারায়

      Delete
    2. আপনি যা যা বললেন তার স্বপক্ষে তো প্রমাণ দিতে হবে। কেন উনার কথা যৌক্তিক না, কিভাবে উনি উনি কোরআনকে উল্টো বুঝলেন, উনার চিন্তাধারায় ভুল কিভাবে

      Delete
    3. আপনি হলেন আরেক পাগল। উনার সাথে আপনাকে ও পাগলা গারদে পাঠাতে হবে

      Delete
    4. ভাই কোর'আন হচ্ছে সবচেয়ে উঁচুমানের সাহিত্য,এই পবিত্র গ্রন্থের ব্যাকরণ খুবি উঁচু মানের তাই যারা অনুবাদক তারা এই ভুলগুলো করেছেন,আর এই ভুলের কারনে আপনার মস্তিস্কে উল্টো পাল্টা জন্ম নিয়েছে,যদি এতই গবেষণা করার ইচ্ছা তাকে কোর'আন নিয়ে তাহলে আরবি ব্যাকরণ পড়াশোনা কর

      Delete