Translate

Search This Blog

বিশেষ সতর্কবার্তাঃ

এই ব্লগটি নাস্তিক, অজ্ঞেয়বাদী, সন্দেহবাদী, মুক্তমনা এবং স্বাধীনচেতা মানুষদের জন্য। যারা যেকোন বিষয়ের সমালোচনা সহ্য করার মত ক্ষমতা রাখে। যদি কোন ধার্মিক, গোড়া ধার্মিক আস্তিক এই ব্লগটিতে আসে তবে তার ধর্মানুভূতি নামের অদ্ভূত দূর্বল অনিভূতি আঘাতপ্রাপ্ত হলে ব্লগ লেখক দায়ী থাকবে না। ধার্মিক, গোড়া ধার্মিক আস্তিকদের নিজ দায়িত্বে তাদের দূর্বল ধর্মানুভূতিকে সংরক্ষনের দায়িত্ব নিতে হবে। কারো ধর্মানুভূতি নামের অযৌক্তিক অনুভূতি আহত হবার জন্য কোন ক্রমেই ব্লগার বা লেখককে দায়ী করা যাবে না। যদি কোন অতি দুর্বল ধর্মানুভূতি সম্পন্ন ব্যাক্তি এই ব্লগে ভূল করে ঢুকে পরেন এবং তিনি তার অনুভূতিকে দূর্বল ভাবেন অর্থাৎ যিনি তার ধর্মের উপযুক্ত সমালোচনা সহ্য করতে অপারগ, তাকে বিনীত ভাবে এই ব্লগটি থেকে প্রস্থান করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। এর পরেও যদি কোন দূর্বল ধর্মানুভূতি সম্পন্ন ব্যাক্তি এই ব্লগটিতে ঘুরাফেরা করেন এবং তার ফলে তার দূর্বল ধর্মানুভূতিতে আঘাত প্রাপ্ত হন তবে কোন ক্রমেই এবং কোন ক্রমেই ব্লগের মালিক, 'আমি নাস্তিক' দায়ী থাকবে না।

Friday, December 4, 2015

কোরআনের বর্ণনায় সমতল পৃথিবী - পর্ব ১০

পর্ব ৯-এর পর থেকে

 

এখন আপনারাই বলুন এরকম কোনো আকাশ কি গোলক আকার পৃথিবীতে থাকা সম্ভব !
বিজ্ঞানীরা বলেন যে আকাশ বলে কিছু নেই l আমাদের বায়ুমন্ডলে সূর্যের আলো প্রবেশ করার সময় নিল আলো বেশি বিক্ষিপ্ত হয় বলে সেখানে নীল দেখা যায় l আর এটাকেই আকাশের মত দেখায় যেটা ছাদের মত দেখতে l সেটা কোনো কঠিন শক্ত মজবুত নয় বরং সেটা বায়বীয় বা গ্যাসের তৈরী বায়ুমন্ডল l এটা কেপে উঠে না, ভেঙ্গে যাবার উপক্রম হয় না এবং এটা কোনো কঠিন ধাতুর (তামা বা রুপা) মত হবার যুগ্য নয় l তাই কোরানের এই আয়াত গুলোতে বায়ুমন্ডলের আকাশের কোথা বলা হয়নি l বরং এখানে শক্ত মজবুত এবং কোনো কঠিন পদার্থের তৈরী ঘরের ছাদের মত আকাশের কথা বলা হয়েছে l যেটা আমাদের গোলক আকার পৃথিবীতে নেই l প্রকৃত পক্ষে এটা রূপ কথার আকাশের কথা বলা হয়েছে l যে আকাশ সমতল পৃথিবীর উপর কঠিন পদার্থের তৈরী ছাদের মত করে স্থাপিত হয়েছে l এবং এটি যেকোনো সময় ভেঙ্গে পড়তে পারে পৃথিবীর উপর l কিন্তু আল্লাহর অনুগ্রহে এটি স্থির হয়ে আছে l
আবার সর্বনিম্ন আকাশটির উপরে আরেকটা আকাশ স্থাপিত হয়েছে এবং সেটার উপর আবার আরেকটা আকাশ স্থাপিত হয়েছে l আর এভাবেই একটার উপর আরেকটা এভাবে সাতটা আকাশ স্তরে স্তরে স্থাপন করা হয়েছে l


আপনারা নিশ্চয় কোরানের বর্ণনা মত আকাশের গঠন বুঝতে পেরেছেন ?
এখন মূল আলোচনায় চলে যাব !

আয়াতগুলো আবার পর্যালোচনা করি
০৩:১৩৩ অনুযায়ী
মুসলমানরা আল্লাহর ক্ষমা এবং জান্নাতের দিকে অগ্রসর হয় যার পরিমান বা প্রসারতা বা বিস্তার আকাশসমূহ পৃথিবীর অনুরূপ বা সমান l
তাহলে জান্নাত হচ্ছে সমতল পৃথিবী যেরকম বা যতটুকু বিস্তৃত বা প্রসারিত এবং এর  উপর স্থাপিত সাত আকাশ যেরকম বা যেটুকু বিস্তৃত বা প্রসারিত ঠিক সেরকম বা ততটুকু বিস্তৃত বা প্রসারিত হচ্ছে জান্নাত l
তাহলে জান্নাত হচ্ছে পৃথিবী আকাশসমূহের সমান বা অনুরূপ বিস্তৃত বা প্রসারিত l অর্থাত সমতল পৃথিবী এর উপর মজবুত শক্ত সাত আকাশ যেরকম বিস্তৃত বা প্রসারিত ঠিক সেরকম বা তার সমান বিস্তৃত বা প্রসারিত l

কিন্তু গোলাকার পৃথিবীর বিস্তৃতির বা প্রসারতার সমান আকাশ সম্ভব নয় l কারণ গোলক আকার পৃথিবীর ছাদ কল্পনা করা যায় না l আর কোরানে যেরকম শক্ত কঠিন পদার্থের ছাদের কথা বলা হয়েছে সেটি যদি থাকতো তবে এটি গোলক আকার পৃথিবীকে মুড়ে দিত চারপাশ থেকে l আর যদি এভাবে আকাশ পৃথিবীকে মুড়ে দিত তবে তাকে ঘরের ছাদের মত বলা হত না l এখানে ছাদ বলা হয়েছে কারণ পৃথিবীকে সমতল কল্পনা করা হয়েছে l আর এর উপর স্তরে স্তরে সাতটা আকাশের কথা বলা হয়েছে l সেটা সমতল পৃথিবীকেই নির্দেশ করে যে, পৃথিবী সমতল এবং এর উপর আকাশসমূহকে মজবুত-শক্ত করে তৈরী করা হয়েছে ঘরের ছাদের মত করে l আর এভাবে একটার উপর আরেকটা করে সাতটা আকাশ তৈরী করা হয়েছে l সুতরাং একটা সমতল ভূমি যেটা হলো পৃথিবী এবং এর উপর ছাদের মত করে তৈরী মজবুত সপ্ত আকাশ তৈরী করা হয়েছে স্তরে স্তরে একটার উপর আরেকটা এরকম করে l
তাহলে এভাবে সমতল পৃথিবী আকাশসমূহ যেরকম বা যেটুকু বিস্তৃত বা প্রসারিত ঠিক সেটুকু বা সেরকম বিস্তৃত বা প্রসারিতই হচ্ছে জান্নাত l
কিন্তু এই অবস্থাটা গোলক আকার পৃথিবীর ক্ষেত্রে সম্ভব নয় l কারণ গোলক আকার পৃথিবীর উপরে যদি আকাশ স্থাপন করা হয় তবে সেই আকাশগুলোও গোলক আকার হবে l আর এতে একটার উপর একটা স্তরে স্তরে স্থাপিত গোলকাকার আকাশের কারণে এর আয়তন যেত অনেক বেড়ে l তখন আর পৃথিবী আকাশসুমহের অনুরূপ বিস্তৃতির বা প্রসারতার জান্নাত হওয়া সম্ভব হত না l আর এভাবে একটার উপর আরেকটা এভাবে গোলকাকার আকাশ থাকাও সম্ভব নয় l
কারণ সমতল পৃথিবীর উপর যদি আকাশগুলো স্তরে স্তরে স্থাপন করা হয় তবে এভাবে সাতটা আকাশ তৈরী করলেও এদের বিস্তৃতি হবে পৃথিবীর বিস্তৃতির অনুরূপ l
যেমন সমতল মেঝের উপর ঘরের ছাদ তৈরী করলে সেই ছাদের বিস্তৃত হয় সেই মেঝের অনুরূপ l আবার যদি এর ছাদের উপর একটার উপর আরেকটা এভাবে স্তরে স্তরে সাতটা ছাদ তৈরী করা হয় তবুও সেই ছাদগুলোর বিস্তৃত একই থাকবে l কারণ সেই ছাদগুলো শুধু উপরের দিকে উঠতে থাকবে কিন্তু এদের বিস্তৃতি বা প্রসারতা একই রকম থাকবে অর্থাত মেঝের অনুরূপ থাকবে l আর তাই সমতল পৃথিবীর উপরই এভাবে স্তরে স্তরে সাতটা আকাশ থাকা সম্ভব যেটা গোলকাকার পৃথিবীতে সম্ভব নয় l
 আর তাই এখানে গোলকাকার পৃথিবীর কথা বলা হয়নি l বরং এখানে সমতল পৃথিবী এবং এর উপর স্তরে স্তরে স্থাপিত সাত আকাশের কথা বলা হয়েছে l আর এভাবে স্তরে স্তরে স্থাপিত আকাশসমূহ সমতল পৃথিবীর ক্ষেত্রেই সম্ভব l এবং অয়াতে বলা হয়েছে, সমতল পৃথিবী এর উপর স্থাপিত আকাশসমূহ যতটুকু বিস্তৃত বা প্রসারিত ঠিক সেরকম বিস্তৃত বা প্রসারিত হচ্ছে জান্নাত l  এটা গোলক আকার পৃথিবীর ক্ষেত্রে কখনই সম্ভব নয় l
আর তাই আয়াত অনুযায়ী পৃথিবী সমতল l

আবার
৬৫:১২ অনুযায়ী
আল্লাহ সাত আকাশ সৃষ্টি করেছেন এবং পৃথিবীও অনুরূপভাবে, এগুলোর মধ্যে নেমে আসে আল্লাহর আদেশ আর তাতেই মানুষ জানতে পারে আল্লাহ সর্বশক্তিময়তা l

এখানে বলা হয়েছে যে সাত আকাশের অনুরূপভাবে পৃথিবী সৃষ্টি করা হয়েছে l তাহলে এখানে কি বলা হয়েছে যে সাত আকাশের মত করেই সাত পৃথিবী তৈরী করা হয়েছে ! কিন্তু সেটাতো সম্ভব নয় l কারণ কোরআনের কোথাও উল্লেখ নেই যে আল্লাহ সাত পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন l কিন্তু অনেক জায়গাতেই সাত আকাশের কথা বলা হয়েছে l কিন্তু কোথাও বলা হয়নি সাতটা পৃথিবীর কথা l তাই এখানে সাত পৃথিবী হবে না এখানে সাত আকাশের অনুরূপ কথাটার মানে হবে সাত আকাশের সমান বিস্তৃতির পৃথিবী l অর্থাত আকাশের বিস্তৃতি বা প্রসারতা যেমন সেরকম পৃথিবীর বিস্তৃতি বা প্রসারতা l অর্থাত সমতল পৃথিবীর বিস্তৃতি সাত আকাশের বিস্তৃতির বা প্রসারতার অনুরূপ l আর ০৩:১৩৩ নাম্বার এবং ৫৭:২১ নাম্বার আয়াতেও বলা হয়েছে যে পৃথিবী আকাশসমূহের বিস্তৃতির বা প্রসারতার অনুরূপ হচ্ছে জান্নাত l অর্থাত পৃথিবী আকাশসমূহ যেরকম বিস্তৃত বা প্রসারিত ঠিক সেরকম প্রসারিত হচ্ছে জান্নাত l তাহলে বোঝা যাচ্ছে যে পৃথিবী আকাশসমূহ অনুরূপ বিস্তৃতির বা প্রসারতার l
আর এই আয়াতেও একই কথা বলা হয়েছে যে আকাশসমূহের অনুরূপভাবে পৃথিবীকে বিস্তৃত বা প্রসারিত করা হয়েছে l এই আয়াতের এই অর্থ ছাড়া অন্য কোনো অর্থ করা যায়না l কারণ কোরানের কোথাও বলা হয়নি সাত পৃথিবীর কথা l সবজায়গায় বলা হয়েছে এক পৃথিবীর কথা l এবং সব সময় বলা হয়েছে পৃথিবীকে বিছানার মত করে সৃষ্টি করা হয়েছে l এবং সব সময় এক পৃথিবীর কথাই ইংগিত করা হয়েছে l কিন্তু কখনই একাধিক পৃথিবীর কথা বলা হয়নি l আর তাই এই আয়াতের সঠিক অর্থ হবে আকাশের অনুরূপ বিস্তৃত বা প্রসারিত পৃথিবী l
আর সাত আকাশের অনুরূপ বিস্তৃতির বা প্রসারণের পৃথিবী কেবল সমতল হতে পারে l গোলক আকার পৃথিবীর ক্ষেত্রে কখনই এর উপর স্থাপিত সাত গোলক আকারের আকাশের অনুরূপ বা সমান আকৃতির পৃথিবী হওয়া সম্ভব নয় l তখন আকাশের বিস্তৃতি পৃথিবীর থেকে লক্ষগুন বেশি হতো l আর এরকম আকৃতির আকাশ হলে এটি গোলকাকার পৃথিবীর উপর ছাদ হিসেবে থাকা সম্ভব নয় l আর তাই আকাশ পৃথিবীর অনুরূপ আকৃতির জান্নাত হওয়াও সম্ভব নয় l কারণ তখন পৃথিবীর বিস্তৃতি আকাশের বিস্তৃতি হতো ভিন্ন l
কিন্তু সমতল পৃথিবীর ক্ষেত্রে এটা সম্ভব l কারণ সমতল পৃথিবীর উপর ছাদ আকৃতির আকাশ স্থাপন করলেও এর বিস্তৃতি বা প্রসারতা একই থাকবে l অর্থাত সমতল পৃথিবীর উপর যদি ছাদের মত করে আকাশকে স্থাপন করা হয় একটার উপর আরেকটা এভাবে স্তরে স্তরে তবুও এটির বিস্তৃতি সমান বা অনুরূপ থাকবে l কারণ তখন আকাশসমূহ শুধু উপরের দিকে জায়গা নিবে কিন্তু এদের দৈর্ঘ্য-প্রস্থ সমান থাকবে এবং এটি পৃথিবী যতটুকু বিস্তৃত হয়েছে তার সমান বা অনুরূপ বিস্তৃত বা প্রসারিত হবে l অর্থাত আকাশসমূহ পৃথিবীর বিস্তৃতি বা প্রসারতা অনুরূপ থাকবে l তাহলে এই আয়াত অনুযায়ী বর্ণিত আকাশসমূহের অনুরূপে পৃথিবীকে সৃষ্টি করা হয়েছে এই কথাটা ঠিক থাকবে l তখন পৃথিবী হবে সমতল l
অর্থাত এই আয়াতে সমতল পৃথিবীর কথাই বলা হয়েছে l
কিন্তু গোলক আকার পৃথিবীতে সাত আকাশ অনুরূপ পৃথিবী সম্ভব নয় l সমতল পৃথিবীতে সাত আকাশ অনুরূপ পৃথিবী সম্ভব l আর তাই এই আয়াত দ্বারা প্রমানিত হয় যে পৃথিবী সমতল l

৫৭:২১ অনুযায়ী
মুসলিমরা অগ্রে ধাবিত হয় আল্লাহর ক্ষমা সেই জান্নাতের দিকে যার বিস্তার বা প্রশস্ততা আকাশ পৃথিবীর বিস্তৃতি বা প্রসারতার মত l

এখানে বলা হয়েছে জান্নাতের বিস্তৃতি প্রশস্ততা আকাশ পৃথিবীর অনুরূপ l অর্থাত আকাশ যেমন বিস্তৃত বা প্রসারিত এবং পৃথিবী যেমন বিস্তৃত বা প্রসারিত ঠিক তেমনি জান্নাত বিস্তৃত বা প্রসারিত l
তাহলে দেখা যাচ্ছে যে আকাশ পৃথিবীর বিস্তৃতি বা প্রসারতা অনুরূপ এবং তাদের অনুরূপ বিস্তৃতি বা প্রসারতা জান্নাতের l প্রক্ষান্তরে আকাশ পৃথিবীর বিস্তৃতি বা প্রসারতা অনুরূপ l
আর এই অনুরূপ বিস্তৃত বা প্রসারিত আকাশ পৃথিবী কেবল সমতল পৃথিবীর ক্ষেত্রে সম্ভব l এটা গোলকাকার পৃথিবীর ক্ষেত্রে সম্ভব নয় l কারণ গোলক আকার পৃথিবীর চারপাশের উপর স্থাপিত মজবুত-শক্ত আকাশের বিস্তৃতি বা প্রসারতা হবে বহুগুন বেশি l আর তাই আকাশের অনুরূপ বিস্তৃতির পৃথিবী সম্ভব হবে না l এবং সেজন্য আকাশ পৃথিবীর অনুরূপ বিস্তৃতির জান্নাতও সম্ভব হবে না l
আর তাই এই আয়াতে গোলকাকার পৃথিবীর কথা বলা হয় নি l এখানে সমতল পৃথিবীর কথা বলা হয়েছে l কারণ সমতল পৃথিবীর উপর ছাদের মত আকাশের বিস্তৃতিও বা প্রসারটাও একই হবে l যেমন সমতল মেঝের সমান বিস্তৃতি বা প্রসারতার অনুরূপ বিস্তৃতি বা প্রসারতা হয় ছাদের l আর তাই এই আয়াতে সমতল পৃথিবী ছাদ আকারের আকাশের অনুরূপ বিস্তৃতির বা প্রসারতার জান্নাতের কথা বলা হয়েছে l
সুতরাং এই আয়াত অনুযায়ী পৃথিবী সম্পূর্ণ রূপে সমতল l
অর্থাত পৃথিবী সমতল l (প্রমানিত)

এখানে উল্লেখ্য যে, অনেক মুসলমান সুরা আত্ব-তালাক-এর ১২ নাম্বার আয়াতের ব্যাখ্যায় বলে যে সাত আকাশের অনুরূপে পৃথিবী সৃষ্টি করা হয়েছে বলতে এখানে বায়ুমন্ডলের সাতটি স্তরকে সাত আকাশ বলা হয় এবং অনুরূপ ভাবে পৃথিবীর অভ্যন্তরীণ সাতটি লেয়ারকে বুঝানো হয়েছে l তাদের মতে সাত আকাশ হচ্ছে বায়ুমন্ডলের সাতটি স্তর এবং তেমনি ভাবে পৃথিবীর সাতটি লেয়ার l এবং তারা দাবি করে যে বায়ুমন্ডলের স্তর হচ্ছে সাতটি l তেমনিভাবে পৃথিবীর অভ্যন্তরও সাতটি লেয়ারে বিভক্ত l

আসুন সেখি তাদের দাবির সত্যতা প্রমান করে দেখি যে তাদের দাবি কতটুকু সত্য !
বিজ্ঞানীরা বলেন যে আমাদের বায়ুমন্ডলের স্তর পাচটি l আর সেগুলো হলো - . Exosphere   . Thermospher  . Mesosphere  . Stratosphere এবং  . Troposphere  l
সুতরাং আমরা দেখতে পাচ্ছি যে বায়ুমন্ডলের মূল স্তর পাচটি কিন্তু সাতটি নয় l
আবার তেমনি ভাবে পৃথিবীর লেয়ার হচ্ছে চারটি l সেগুলো হলো - . Crust . Mantle . Outer Core  . Inner Core  l
তারপর তাদের দাবি বায়ুমন্ডলের সাতটি স্তর হচ্ছে সাত আকাশ এবং পৃথিবীও সেই পরিমানে অর্থাত পৃথিবীর লেয়ার সাতটি l
এরপর মুসলমানরা তাদের প্রমান হিসেবে একটু কৌশলের আশ্রয় নেয় l আর সেটা হচ্ছে , তারা বায়ুমন্ডলের পাচটা স্তরের মধ্যে দুটো স্তর অর্থাত Thermosphere-এর উপ-স্তর Ionosphere এবং Stratosphere -এর উপ-স্তর Ozonelayer  এই দুটি উপ-স্তর, মূল স্তর গুলোর সাথে যুগ করে গুজামিল দিয়ে সাতটি স্তর বানিয়ে দেখায় যে বায়ুমন্ডলের স্থর সাতটি l কিন্তু কথাটি ভুল এবং মিথ্যাও l কারণ বায়ুমন্ডলের মূল স্তর হচ্ছে পাচটি l যদি উপ-স্তর গুলো যুগ করে গণনা করা হয় তবে বায়ুমন্ডলের স্তর হবে আরো অনেক বেশি l
যেমন আরো কিছু স্তর হচ্ছে Homosphere, Heterosphere এবং planetary boundary layer l তাহলে এগুলো সহ মোট বায়ুমন্ডলের স্তর হবে দশটি l তাহলে সেই দাবি পুরোপুরি মিথ্যা হয়ে যায় যে বায়ুমন্ডলের স্তর সাতটি l সত্যি কথা হচ্ছে যে বায়ুমন্ডলের মূল স্তর পাচটি এবং এগুলো আবার বিভক্ত হয়ে গেছে বিভিন্ন উপস্তরে l যেমন - Thermosphere বিভক্ত হয়েছে Thermosphere, Thermopause এবং Ionosphere- l
আবার Mesosphere বিভক্ত হয়েছে Mesopause, Mesosphere-
Stratosphere বিভক্ত হয়েছে stratopause, Stratosphere এবং Ozone layer-
Troposphere বিভক্ত হয়েছে Tropopause, Troposphere এবং planetary boundary layer- l
এছাড়াও আরো দুটি স্তর হলো Homosphere এবং Heterosphere l



আর তাই বায়ুমন্ডলের স্তর সাতটি এই কথাটা পুরোপুরি ভুল মিথ্যা l বিজ্ঞানীরা বায়ুমন্ডল কে পাচটি স্তরেই বিভক্ত করেছেন l আর যেসব অতিরিক্ত স্তর আছে সেগুলো এই পাচটি স্তরের উপ-স্তর l আর উপ-স্তর সহ বায়ুমন্ডলের স্তরের সংখ্যা সাতটার অনেক বেশি l
তাই বায়ুমন্ডলের সাতটি স্তরকে সাত আকাশ বলা হয়েছে এই কথাটা সম্পূর্ণ ভাবে ভুল l


(চলবে....)

 

(বি.দ্র.: লেখাটি এমকেএ আহমেদ রচিত "কোরআনের বর্ণনায় সমতল পৃথিবী- ১ম খন্ড" থেকে ধারাবাহিক ভাবে নেওয়া হচ্ছে।)

No comments:

Post a Comment