আস্তিকদের অযৌক্তিক,
কুযৌক্তিক,
অপযৌক্তিক
এবং
অপ-বৈজ্ঞানিক
প্রশ্নঃ
আমরা যে ভাবে
আমাদের ইন্দ্রিয়ের
মাধ্যমে বিশ্বজগতকে
উপলব্ধি করি
পদার্থ বিজ্ঞানকে
সেভাবেই তৈরী
করেছি? অর্থাৎ
আমি বলতে
চাচ্ছি প্রাকৃতিক
আইন কি
আমরা জানিনা,
আমরা প্রাকৃতিক
আইনের স্পন্দন
ও নিয়ম
আমাদের ইন্দ্রিয়ের
মাধ্যমে যে
ভাবে ধরা
দেয় সে
ভাবে গড়ে
তুলেছি আমরা
আমাদের পদার্থ
বিজ্ঞান।
যদি আমাদের
ইন্দ্রিয় না
থাকতো অথবা
অন্যরকম হতো
তবে বিশ্বজগত অন্যরকম হয়ে
যেতো।
যৌক্তির এবং বৈজ্ঞানিক উত্তরঃ
আমি আপনার সাথে পুরোপুরি দ্বিমত পোষন করছি ।
প্রকুতির নিয়ম কোন প্রাণীর ইন্দ্রিয়ের উপর নির্ভর করে না । আমাদের ইন্দ্রিয় পাঁচটা না হয়ে চারটা হলেও পৃথিবী সূর্যের চারপাশে একই গতিতে ঘুড়তো । আমরা ইলেক্টন দেখতে পাইনা তাই বলে কিন্তু ইলেক্ট্রনের ঘুর্নন থেমে থাকেনি । বিষয়টা এমন নয় মানুষ আগে ইলেক্ট্রন আবিষ্কারের মতো প্রযুক্তি আবিষ্কার করেনি বলে ইলেক্ট্রনের ঘুর্নন আগে ছিল না । যেই মাত্র আবিষ্কৃত হয়েছে অমনি ইলেক্ট্রন ঘুরা শুরু করেছে ।
প্রকুতির নিয়ম কোন প্রাণীর ইন্দ্রিয়ের উপর নির্ভর করে না । আমাদের ইন্দ্রিয় পাঁচটা না হয়ে চারটা হলেও পৃথিবী সূর্যের চারপাশে একই গতিতে ঘুড়তো । আমরা ইলেক্টন দেখতে পাইনা তাই বলে কিন্তু ইলেক্ট্রনের ঘুর্নন থেমে থাকেনি । বিষয়টা এমন নয় মানুষ আগে ইলেক্ট্রন আবিষ্কারের মতো প্রযুক্তি আবিষ্কার করেনি বলে ইলেক্ট্রনের ঘুর্নন আগে ছিল না । যেই মাত্র আবিষ্কৃত হয়েছে অমনি ইলেক্ট্রন ঘুরা শুরু করেছে ।
কেউ রঙ্গিন জিনিস বা রং দেখতে না পারলে রংয়ের অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যায় না । অন্ধলোকের দর্শন ইন্দ্রিয় নেই বলে আলো অস্তিত্বহীন হয়ে যায় না ।
মোট কথা প্রকৃতির নিয়ম-নীতি (law) কোন প্রানীর ইন্দ্রিয়ের উপর নির্ভরশীল নয় । পদার্থ আচরন করে তার নিজের ধর্মের দ্বারা । কারও ইন্দ্রিয়ের দ্বারা নয় । আর তাই কে ইন্দ্রিয় দ্বারা বুঝতে পারলো তাই ওই নীতি (law) এইরকম কিন্তু না পারলে অন্যরকম হতো এটা বলাটা প্রকৃতিকে অস্বীকার করার মতো অনেকটাই । পদার্থবিজ্ঞা্নের কাজ হচ্ছে প্রকৃতির নিয়ম ব্যাখ্যা করা । প্রকৃতি যেমন ঠিক তেমনি ভাবে বর্ননা করাই পদার্থ বিজ্ঞানের কাজ । আর প্রকৃতির উপর ইন্দ্রিয়ের কোন প্রভাব না থাকায় পদার্থবিজ্ঞানের উপরও এর কোন প্রভাব নেই । কেউ বোবা হলে যেমন শব্দের অস্তিত্ব থাকবেই, তেমনি আমরা দেখি আর না দেখি, বুঝি আর না বুঝি মহাকর্ষ বল কাজ করবেই । ফলে পদার্থবিজ্ঞানও সব সময় একই থাকবে । বরং ভূল ত্রুটি (যেটা মানুষ করে প্রকৃতি নয়) শুদ্ধ করে আরো উন্নত থেকে উন্নততর হবে ।
মানুষের ইন্দ্রিয় যদি বেশী থাকতো তবে ইলেক্ট্রনের ঘুর্নন বেড়ে যেত না বা মহাকর্ষ বলের কোন পরিবর্তন হতো না । হয়তো মানুষ আরও সহজে এবং কম সময়ে প্রকৃতির এই নিয়ম গুলোকে ব্যাখ্যা করতে পারতো কিন্তু এই নিয়মগুলোর কোন পরিবর্তনই হতো না ।
মানুষ তার ইন্দ্রিয়ের প্রভাবে নয় বরং প্রকৃতির নিয়ম বুঝার মধ্য দিয়ে পদার্থবিজ্ঞানকে দাড় করিয়েছে । তাই ইন্দিয় যেভাবে ধরা দেয় সেভাবে পদার্থবিজ্ঞানকে দাড় করা হয়েছে ধারনাটা ঠিক নয় । মানুষের পাঁচ ইন্দ্রিয় দিয়ে প্রকৃতির প্রায় কিছুই বুঝা যায় না । কিন্তু প্রকৃতির এমন সব কার্যকলাপ মানুষ ব্যাখ্যা করেছে যা ইন্দিয়র উপর নির্ভরশীল নয় । আর প্রকৃতির নিয়ম ও পদার্থবিজ্ঞানের সুত্র এক নয় কথাটা সম্পূর্রই ভুল । মানুষ প্রকৃতিকে ব্যাখ্যা করতে কখনও কখনও ভুল করে কিন্তু এর মানে এই নয় পদার্থবিজ্ঞানই ভূল । বরং প্রকৃতির নীতির অপর নামই পদার্থবিজ্ঞান ।
মহাকর্ষ অভিকর্ষ ইলেক্ট্রন প্রোটন বা নিউটন, গ্যালাক্সি অথবা বিগ ব্যাং এগূলোর নীতি বা (law) কোন প্রাণীর ইন্দ্রিয় ক্ষমতার উপর বসে নেই । প্রকৃতি চলছে আপন গতিতে আর তাই পদার্থবিজ্ঞান চলছে প্রকৃতিকে অনুসরন করে ।
আস্তিকদের অযৌক্তিক,
কুযৌক্তিক,
অপযৌক্তিক
এবং
অপ-বৈজ্ঞানিক
প্রশ্নঃ
ঈশ্বর
নেই বা
ঈশ্বরের অস্তিত্ব
নেই এটা
কী কোনো
বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব?
যৌক্তির এবং বৈজ্ঞানিক উত্তরঃ
বিজ্ঞান কাজ করে বাস্তবতা নিয়ে । কল্পনা নিয়ে নয় । কে কী কল্পনা
করলো সেটার সত্যতা যাচাই করা বিজ্ঞানের কাজ নয় । কেউ ঘোড়ার ডিম কল্পনা করবে, কেউ ভুত কল্পনা করবে, কেউ শয়তার, ফেরেশতা, ভ্যামপায়ার, জ্বীন পরী বা ফিনিক্স পাখি কল্পনা করবে আর বিজ্ঞানকে সেগুলোর সত্যতা নির্নয় করতে হবে এই শর্তে বিজ্ঞান কাজ করে না । বিজ্ঞান কাজ করে বাস্তবতা নিয়ে । বাস্তব ঘটনা নিয়ে । কোন মানুষের কল্পনার রাজ্য নিয়ে নয় ।
মানুষ চাইলেই যেমন খুশী জগৎ তৈরী করতে পারবে কল্পনার দ্বারা । কিন্তু সেটা বাস্তব হয়ে যাবে না, কল্পনাই থাকবে । আর তাই কে কল্পনায় আল্লাহ তৈরী করলো, কে ভগমান তৈরী করলো আর কে গড বা ইশ্বর তৈরী করলো সেটার অস্তিত্ব নির্নয় করা বিজ্ঞানের কাজ নয় । বিজ্ঞান জানে কল্পনা কখনই বাস্তব হয় না ।
মানুষ আল্লাহ, ভগবান, ইশ্বর গড বা শয়তান তৈরী করেছে যেগুলো বাস্তব নয়, মানুষের কল্পনা মাত্র । আর যেটা বাস্তব নয় সেটা প্রমানিত করা যায় না । কল্পনার ফিনিক্স পাখি বা ভুত-পেত্নী কখনও বাস্তব পৃথিবীতে নেই । থাকলে এর অস্তিত্ব প্রমান করা যেত । যার কোন অস্তিত্বই নেই তাকে প্রমান করা যাবে না । ওগুলোর অস্তিত্বের অনুপস্থিতিই ওগুলোর অস্তিত্বহীনতার প্রমান ।
আজ পর্যন্ত কেউ কোন ভূত-প্রেত, জ্বীন-পরী, শয়তান-দানব, ইশ্বর-আল্লাহ-ভগমান এগুলোর প্রমান দিতে পারে নি । আর এটাই ইশ্বর-আল্লাহ-ভগমান বা গডের অস্তিত্বহীনতার প্রমান ।
আল্লাহ, ভগমান, ইশ্বর বা গড বাস্তবে নেই বলেই বিজ্ঞান এদেরকে নিয়ে কাজ করে না ।
বিজ্ঞানের কাজ বাস্তব জগৎ নিয়ে, মানুষের কল্পনার জগৎ নিয়ে নয় ।
ইশ্বর-আল্লাহ-ভগমান-গড, ভূত-প্রেত-জ্বীন-পরী, ঘোড়ার ডিম-ফিনিক্স পাখি এগূলো মানুষের কল্পনা মাত্র; এগুলো বাস্তব নয় ।
আর তাই এগুলোর কোন বৈজ্ঞানিক তত্ব থাকা সম্ভব নয় ।
আস্তিকদের অযৌক্তিক,
কুযৌক্তিক,
অপযৌক্তিক
এবং
অপ-বৈজ্ঞানিক
প্রশ্নঃ
নাস্তিকরা
সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্বকে কিভাবে অস্বীকার করে?
বিজ্ঞানে যেটার
অস্তিত্বহীনতার কথা সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত না,
সেটা নাস্তিকরা
কিভাবে দাবী
করে যে
সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্ব নেই?
যৌক্তির এবং বৈজ্ঞানিক উত্তরঃ
যার কোন অস্তিত্ব নেই তার অস্তিত্বহীনতা সন্দেহাতিতভাবে
কিভাবে প্রমান করা যায় ? একটু ভাবুনতো !
কেউ একজন দাবী করলো সে এমন এক পদার্থ দেখেছে যার দ্বারা অন্য যেকোন পদার্থকে স্পর্শ করা মাত্র সোনা বা স্বর্নে পরিণত করা যায় (যেমন পরশ পাথর)। ফলে সবাই সেই পদার্থটাকে সারা পৃথিবী জুরে তন্ন তন্ন করে খুজলো কিন্তুপেল না । তার কোন অস্তিত্বই খুজে পাওয়া গেল না । তখন সবাই দাবীকারী ব্যাক্তিকে বলতে লাগলো যে সে মিথ্যে কথা বলেছে; সে যে পদার্থের দাবী করেছে তার কোন অস্তিত্ব নেই । কারন কোথাও এটাকে পাওয়া যায়নি । কিন্তু দাবীকারী বলতে লাগলো - না অবশ্যই ওই পদার্থ আছে । আপনারা কি প্রমান করতে পারবেন যে ওই পদার্থটি নেই । আমি অবশ্যই সত্যি কথা বলছি । যদি না বিশ্বাস করেন তবে প্রমান দিন যে ওই পদার্থের কোন অস্তিত্ব নেই ।
সবাই অনেক বুঝালো তাকে নানা যুক্তি দিয়ে যে যার কোন অস্তিত্বের প্রমান পাওয়া যায় না তার অস্তিত্বহীনতা কখনও আলাদা ভাবে প্রমান করার দরকার হয়না । তার অস্তিত্বের প্রমানহীনতাই প্রমান করে যে ওটার অস্তিত্ব নেই ।
কিন্তু তবু দাবীকারী বারবার একই কথা বলে যাচ্ছে - প্রমান দিন যে ওই পদার্থের অস্তিত্ব নেই ।
কেউ একজন দাবী করলো সে এমন এক পদার্থ দেখেছে যার দ্বারা অন্য যেকোন পদার্থকে স্পর্শ করা মাত্র সোনা বা স্বর্নে পরিণত করা যায় (যেমন পরশ পাথর)। ফলে সবাই সেই পদার্থটাকে সারা পৃথিবী জুরে তন্ন তন্ন করে খুজলো কিন্তুপেল না । তার কোন অস্তিত্বই খুজে পাওয়া গেল না । তখন সবাই দাবীকারী ব্যাক্তিকে বলতে লাগলো যে সে মিথ্যে কথা বলেছে; সে যে পদার্থের দাবী করেছে তার কোন অস্তিত্ব নেই । কারন কোথাও এটাকে পাওয়া যায়নি । কিন্তু দাবীকারী বলতে লাগলো - না অবশ্যই ওই পদার্থ আছে । আপনারা কি প্রমান করতে পারবেন যে ওই পদার্থটি নেই । আমি অবশ্যই সত্যি কথা বলছি । যদি না বিশ্বাস করেন তবে প্রমান দিন যে ওই পদার্থের কোন অস্তিত্ব নেই ।
সবাই অনেক বুঝালো তাকে নানা যুক্তি দিয়ে যে যার কোন অস্তিত্বের প্রমান পাওয়া যায় না তার অস্তিত্বহীনতা কখনও আলাদা ভাবে প্রমান করার দরকার হয়না । তার অস্তিত্বের প্রমানহীনতাই প্রমান করে যে ওটার অস্তিত্ব নেই ।
কিন্তু তবু দাবীকারী বারবার একই কথা বলে যাচ্ছে - প্রমান দিন যে ওই পদার্থের অস্তিত্ব নেই ।
ইশ্বরের ব্যাপারটিও ঠিক তাই । পৃথিবীর কোথাও ইশ্বরের অস্তিত্বের কোন প্রমান পাওয়া যায়নি । অথচ ইশ্বরের দাবীকারীরা দাবী করে অনেক মানুষ ইশ্বরকে দেখেছে. তার কথা শুনেছে, তার অলৌকিক ক্ষমতা প্রত্যক্ষ করেছে অথবা তার কোন প্রেরিত দূত বা ফেরেশতার সাক্ষাত পেয়েছে।
কিন্তু বাস্তব জগতে এমন কোন কিছুর অস্তিত্বই পাওয়া যায়নি । কেউ ইশ্বরকে দেখেনি, কেউ তার কথা শুনেনি, কেউ ইশ্বরের কোন প্রকার অলৌকিক ক্ষমতা প্রত্যক্ষ করেনি বা কেউ ইশ্বরের কোন দূত বা ফেরেশতার সাক্ষাত পায়নি । বৈজ্ঞানিক ভাবেও এমন কোন স্পিরিচুয়াল কিছুরই অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি । অথচ মানুষ ইলেক্ট্রন, নিউটনের মত অতি ক্ষুদ্র কিছুর অস্তিত্ব প্রমান করতে পেরেছে । এমনকি এমন সব শক্তির (এনার্জির) অস্তিত্ব আবিষ্কার করেছে যেটা কোন মানুষের স্বাভাবিক ভাবে বুঝা বা উপলব্ধি করা সম্ভব নয় । কিন্তু কখনই ইশ্বর বিশ্বাসীদের দাবীকৃত কোন কিছুর অস্তিত্বেরই প্রমান পাওয়া যায় নি ।
আসলে এগুলোর অস্তিত্বের প্রমান পাওয়া কোনদিনই সম্ভব নয় । এর কারন এগুলো বাস্তব নয়, কল্পনা মাত্র । আর তাই এগুলোর কোন অস্তিত্ব পাওয়া সম্ভব নয় । মনের কল্পনার কোন কিছুর অস্তিত্ব শুধু মনের মধ্যেই থাকে । এগুলো বাস্তব হয় না । কল্পনাই থেকে যায় ।
আর তাই এগুলোর অস্তিত্বহীনতার প্রমান আলাদা ভাবে করার দরকার হয় না । এগুলোর অস্তিত্বহীনতাই প্রমান করে এদের কোন বাস্তব অস্তিত্ব নেই ।
আর তাই ইশ্বরের অস্তিত্বহীনতা সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত, সেটা ইশ্বরের অস্তিত্বের কোন প্রমান না থাকাই প্রমান করে । যেহেতু ইশ্বরের অস্তিত্ব সন্দেহাতীত ভাবে অপ্রমানিত সুতরাং সন্দেহাতীত ভাবেই প্রমাণিত হয় যে ইশ্বরের কোন অস্তিত্ব নেই ।
আস্তিকদের অযৌক্তিক,
কুযৌক্তিক,
অপযৌক্তিক
এবং
অপ-বৈজ্ঞানিক
প্রশ্নঃ
মহাবিশ্ব
গ্যালাক্সিগুলো তৈরী হওয়ার পূর্বে সব
পদার্থগুলো গ্যাসিয় অবস্থায় একত্রে ছিল। আর কুরআনে লেখা
আছে যে
বিশ্বজগত তৈরী
হয়েছে গ্যাস
বা ধুঁয়া
থেকে।
সুতরাং কুরআনের
কথা বিজ্ঞানের
সাথে মিলে
গেছে।
তাই কুরআন
অবশ্যই সৃষ্টিকর্তা
প্রদত্ত গ্রন্থ।
যৌক্তির এবং বৈজ্ঞানিক উত্তরঃ
এই হচ্ছে মুসলমানদের জ্ঞানের নমুনা । এরা বিজ্ঞানতো জানেই না এমনকি বিজ্ঞানের কোন বইও পড়ে না । এরা শুধু জাকির নায়েক মার্কা মিথ্যেবাদির ওয়াজ শুনে আর সেখান থেকে বিজ্ঞান শিখে । কুরআনে লেখা আছে বিশ্বজগৎ সৃষ্টির আগে সবপদার্থ গ্যাসীয় অবস্থায় ছিল । আর বোকা মুসলমানগুলো সেটাই বিশ্বাস করে । আর জাকির মিথ্যেবাদি নায়েকের কথাগুলোই কপি করে পোস্ট করে । কখনই কোন বিজ্ঞানের বই পড়ে না।
এই হচ্ছে মুসলমানদের জ্ঞানের নমুনা । এরা বিজ্ঞানতো জানেই না এমনকি বিজ্ঞানের কোন বইও পড়ে না । এরা শুধু জাকির নায়েক মার্কা মিথ্যেবাদির ওয়াজ শুনে আর সেখান থেকে বিজ্ঞান শিখে । কুরআনে লেখা আছে বিশ্বজগৎ সৃষ্টির আগে সবপদার্থ গ্যাসীয় অবস্থায় ছিল । আর বোকা মুসলমানগুলো সেটাই বিশ্বাস করে । আর জাকির মিথ্যেবাদি নায়েকের কথাগুলোই কপি করে পোস্ট করে । কখনই কোন বিজ্ঞানের বই পড়ে না।
কিন্তু এদেরকে কে বুঝাবে, যে দাবী তারা করছে সেটা সম্পুর্ন অবৈজ্ঞানিক । বিশ্বজগৎ সৃষ্টির বা বিগ ব্যাং-এর লক্ষ বছর পরে পদার্থের সৃষ্টি হয়েছে । আর তাই গ্যাসীয় বা বায়ুবীয় পদার্থ থেকে বিশ্বজগৎ সৃষ্টি হয়নি । বিশ্বজগৎ সৃষ্টির আগে কোন পদার্থই ছিল না (বিশ্বজগতের কোন আগে বা অতীতই (past) ছিল না) ।
বিজ্ঞানীদের দাবী বিশ্বজগৎ সৃষ্টির সময় সব কিছু শক্তি বা এনার্জি রুপে ছিল । এবং বিগ ব্যাং-এর মাধ্যমে বিশ্বজগৎ সৃষ্টির অনেক অনেক সময় পরে (লক্ষ বছর) প্রথম পরমানু তৈরী হয় । তারও অনেক পরে তৈরী হয়েছে হাইড্রোজেন অনু অর্থাৎ প্রথম কোন গ্যাসীয় বা বায়বিয় পদার্থ । আর তাই বিশ্বজগৎ সৃষ্টির পুর্বে সবকিছু গ্যাসীয় বা বায়বীয় ছিল বলে যারা দাবী করে তারা নিশ্চিত মিথ্যেবাদী ধর্ম ব্যবসায়ী । অর্থাৎ ধর্ম ব্যবসা করে পকেট ভারী করার জন্যই তারা বিজ্ঞান সম্পর্কে মানুষের কাছে মিথ্যে তথ্য দেয় এবং পকেট ভারী করে ।
বরং কুরআনে এই দাবীর মাধ্যমে এটাই প্রমানিত হয় যে আল্লাহ আসলে কোন সৃষ্টিকর্তা নয় ।
কুরআনে এমন বিজ্ঞান বিরোধী কথা থাকাটাই প্রমাণ যে কুরআন কোন সৃষ্টিকর্তার গ্রন্থ নয়। বিজ্ঞান বলে বিগ ব্যাং এর কোন আগে বা পূর্ব মুহুর্ত বলে কিছু ছিল না। আর বিগ ব্যাং-এর লক্ষ বছর পরে গ্যাসীয় পদার্থ তৈরী হয়েছে। সুতরাং কুরআনের এই অবৈজ্ঞানিক কথাগুলোই প্রমাণ করে যে কুরআন এক সাধারণ মানুষের রচিত এক সাধারণ মানের বই। মুহাম্মদ নিজেই কুরআনের রচয়িতা ।
আস্তিকদের অযৌক্তিক,
কুযৌক্তিক,
অপযৌক্তিক
এবং
অপ-বৈজ্ঞানিক
প্রশ্নঃ
কুরআনে
বলা হয়েছে "আমি অবশ্যই মহা-সম্প্রসারণকারী"। আবার আধুনিক বিজ্ঞান বলে যে
বিশ্বজগত সম্প্রসারণশীল। সুতরাং কুরআন অবশ্যই বিজ্ঞানময় গ্রন্থ।
যৌক্তির এবং বৈজ্ঞানিক উত্তরঃ
সম্প্রসারনকারী আর সম্প্রসারনশীল এক কথা নয় । আল্লাহ মহা-সম্প্রসারনকারী মানে হচ্ছে আল্লাহ এই সুবিশাল মহাবিশ্বকে সম্প্রসারিত বা প্রসারিত করেছে । উপরে সম্প্রসারিত আকাশ, নিচে সম্প্রসারিত পৃথিবী সৃষ্টি করেছে বলে সে সম্প্রসারনকারী । যেহুতু পৃথিবী ও আকাশ মুহাম্মদের কাছে বিশাল ছিল তাই সে আল্লাহকে মহা-সম্প্রসানরকারী বলে দাবী করেছে । এখানে অলৌকিকতার কিছু নেই । এটা স্বাধারণ মানুষের একটা স্বাধারণ কথা ।
সম্প্রসারনকারী আর সম্প্রসারনশীল এক কথা নয় । আল্লাহ মহা-সম্প্রসারনকারী মানে হচ্ছে আল্লাহ এই সুবিশাল মহাবিশ্বকে সম্প্রসারিত বা প্রসারিত করেছে । উপরে সম্প্রসারিত আকাশ, নিচে সম্প্রসারিত পৃথিবী সৃষ্টি করেছে বলে সে সম্প্রসারনকারী । যেহুতু পৃথিবী ও আকাশ মুহাম্মদের কাছে বিশাল ছিল তাই সে আল্লাহকে মহা-সম্প্রসানরকারী বলে দাবী করেছে । এখানে অলৌকিকতার কিছু নেই । এটা স্বাধারণ মানুষের একটা স্বাধারণ কথা ।
কিন্তু মুসলমান পন্ডিতরা (যেমন জাকির মিথ্যেবাদী নায়েক) এই আয়াতকে পরিবর্তন করে এখন নতুন অর্থ করছে যে ‘কুরআনে সম্প্রসারনকারী নয় বরং সম্প্রসানশীল’ এই কথা বলা হয়েছে । কিন্তু কুরআনে আসলে কথাটা পাস্ট পারফেক্ট টেন্স-এ (পুরাঘটিত বর্তমান) বলা হয়েছে অর্থাৎ সম্প্রসারিত বা প্রসারিত মহাবিশ্ব । কিন্তু মিথ্যেবাদীগুলো যখন দেখলো বিজ্ঞা্ন আবিষ্কার করেছে বিশ্বজগৎ সম্প্রসারিত হয়েছে বা সম্প্রসারিত করে তৈরী করা হয়েছে। তখন তারা এর অর্থ পরিবর্তন করে কনটিনাওয়াজ টেন্স (ঘটমান বর্তমান) করে ফেলেছে অর্থাৎ সম্প্রসারিত হচ্ছে বা প্রসারিত হচ্ছে ।
সত্যিটা হচ্ছে কুরআনে আসলে সম্প্রসারনকারী বলা হয়েছে সম্প্রসারনশীল নয় । আর এটা একটা স্বাধারন মানুষের স্বাধারন পর্যবেক্ষন মাত্র । অর্থাৎ সম্প্রসারিত মহাবিশ্ব বা প্রসারিত মহাবিশ্ব এটা সবাই জানে । এখানে অস্বাভাবিক কিছু নেই ।
আর যারা এগুলো বলে বা দাবী করে তারা ধর্ম ব্যবসার জন্যই মিথ্যে কথা বলে সেটাতো আগেই বলেছি ।
কুরআনের কথাটি হলো-
সুরা যারিয়াত-এর
৪৭ নাম্বার
আয়াত
"আমি
আকাশ নির্মান
করেছি আমার
(নিজ) হাতে
এবং আমি
অবশ্যই মহা
সম্প্রসারণকারী।"
এর অর্থ হলো
আল্লাহ এই
বিশ্বজগতকে বিশাল করে তৈরী করেছে। মাথার
উপরে বিশাল
আকাশ (অবশ্যই
পর পর
সাতটি আকাশ)
নিচে বিশাল
এবং বিস্তৃত
পৃথিবী; এই
যে বিশাল সম্প্রসারণ করে তৈরী করা
হয়েছে এজন্যই
মুহাম্মদ আল্লাহকে
মহা সম্প্রসারণকারী
হিসেবে অবিহীত
করেছে।
এখানে বলা হয়েছে
বিশ্বজগতকে ইতি মধ্যেই মহা সম্প্রসারিত
করে তৈরী
করা হয়েছে। এবং
এটি সেই
সম্প্রসারিত অবস্থায় অপরিবর্তিত অবস্থায় আছে। এটি
আর প্রসারিত
হচ্ছে না। এটা
বুঝাতে কুরআন
বলেছে স্পষ্ট
করে যে,
আমি আকাশ
নির্মাণ করেছি
(লক্ষ করুন
বলা হয়েছে
'নির্মাণ করেছি
অর্থাৎ ইতিমধ্যেই
করে ফেলেছি
- পাস্ট পার্ফেক্ট
ট্যান্স) তাই
আমি মহা
সম্প্রসারণকারী। অর্থাৎ আকাশ এবং
বিশ্বজগত সম্প্রসারিত
করে তৈরী
করা হয়ে
গেছে আর
তাই এটি
আর নতুন
করে সম্প্রসারিত
হচ্ছে না।
কিন্তু বিজ্ঞান বলে
যে বিশ্বজগত
সম্প্রসারিত হচ্ছে। ফলে কুরআন
মিথ্যা হয়ে
যাচ্ছে।
আর তাই
জাকির নায়েকের
মতো লোকেরা
কুরআনের অর্থ
পরিবর্তন করে
"সম্প্রসারণকারীর জায়গায় সম্প্রসারণশীল’ এই কথাটা
ব্যবহার করে
কুরআনের ভূলকে
নিজেরাই সংশোধণ
করে আল্লাহর
উপরে হাত
ঘুরিয়ে কুরআনকে
বিজ্ঞানময় বানানোর অপচেষ্টা করে যাচ্ছে। (কিন্তু
কোন লাভ
হচ্ছে না।)
আস্তিকদের অযৌক্তিক,
কুযৌক্তিক,
অপযৌক্তিক
এবং
অপ-বৈজ্ঞানিক
প্রশ্নঃ
বিগ ব্যাং-এর আগে কি ছিল ?
যৌক্তির এবং বৈজ্ঞানিক উত্তরঃ
এই প্রশ্নটি অনেক জটিল । মনে হয়না সবাই বুঝতে পারবে । তবুও আমি চেষ্টা
করে দেখি ।
বিগ ব্যাং-এর কোন অতীত বা পাস্ট ছিল না । কারন বিগ ব্যাং-এর আগে পর্যন্ত সময় বা টাইম সৃষ্টিই হয়নি । সময় সৃষ্টি হয়েছে বিগ ব্যাং সংঘটিত হবার সময়েই । অর্থাৎ বিগ ব্যাং-এর মাধ্যমে বিশ্বজগত এবং সময় উভই সৃষ্টি হয়েছে । আর তাই বিগ ব্যাং-এর পূর্বে বা আগে থাকার জন্য যে সময়ের প্রয়োজন সেটা তখনও সৃষ্টিই হয়নি । তাই বিগ ব্যাং-এর পূর্ব মুহুর্ত বা অতীত নেই ।
সেজন্যই বিগ ব্যাং এর আগে কি ছিল কথাটা অর্থহীন । এর উত্তর খুব সহজ ভাষায় হচ্ছে বিগ ব্যাং-এর কোন আগে বা পূর্বমূহুর্ত নেই ।
বিগ ব্যাং-এর কোন অতীত বা পাস্ট ছিল না । কারন বিগ ব্যাং-এর আগে পর্যন্ত সময় বা টাইম সৃষ্টিই হয়নি । সময় সৃষ্টি হয়েছে বিগ ব্যাং সংঘটিত হবার সময়েই । অর্থাৎ বিগ ব্যাং-এর মাধ্যমে বিশ্বজগত এবং সময় উভই সৃষ্টি হয়েছে । আর তাই বিগ ব্যাং-এর পূর্বে বা আগে থাকার জন্য যে সময়ের প্রয়োজন সেটা তখনও সৃষ্টিই হয়নি । তাই বিগ ব্যাং-এর পূর্ব মুহুর্ত বা অতীত নেই ।
সেজন্যই বিগ ব্যাং এর আগে কি ছিল কথাটা অর্থহীন । এর উত্তর খুব সহজ ভাষায় হচ্ছে বিগ ব্যাং-এর কোন আগে বা পূর্বমূহুর্ত নেই ।
বিজ্ঞানিরা বলে বিগ ব্যাং ঘটার প্রাথমিক পর্যাযে বিশ্বজগতের সমস্ত উপাদান এক সাথে মিশে ছিল । অর্থাৎ বুঝার সুবিধার্থে যদি বিগ ব্যাং-এর একটা পুর্ব মুহুর্ত বা অতীত ধরে নেই তবে বলা যায় বিগ ব্যাং-এর পূর্বে বা আগে ওই উপাদানটা ওই এক বিন্দুতেই মিলিত ছিল সব সময় । কিন্তু যেহেতু বাস্তবে বিগ ব্যাং-এর কোন অতীত বা পাস্ট নেই তাই এটাকে বলা যায় ওই সময়টা খুব কম ; এতো কম যে একেবারে শূন্য । আর তাই বিগ ব্যাং-এর পূর্বে যে উপাদানটা ছিল সেটা ওখানেই ছিল একই অবস্থায় (অন্য কোথাও থেকে আসেনি) এবং তখনই বিগ ব্যাং সংঘঠিত হয়েছে ।
আবার বিজ্ঞানিরা মনে করে সম্পূর্ন শুন্য থেকেও বিগ ব্যাং ঘটা সম্ভব । যদি এমনটা হয় তবে শুন্য থেকে সেই উপাদানটা নিজে নিজেই সৃষ্টি হয়েছে এবং বিগ ব্যাং ঘটেছে । ফলে সময় এবং বিশ্বজগত সৃষ্টি হয়েছে । অর্থাৎ আমাদের বিশ্বজগত ওই বিগ ব্যাং পর্যন্তই । এর আগে কিছু নেই, কোন আগে বা অতীত নেই ।
আবার যদি এমনটি না হয় তবে ওই উপাদানটি ওখানে ছিল এবং সেই সময় বিগ ব্যাং ঘটে এবং বিশ্বজগত ও সময় সৃষ্টি হয় ।
ওই উপাদানটা কোথাও হতে আসেনি ওটা ওখানেই ছিল সময় বিহীন অবস্থায় ।
বি.দ্র.: যেহেতু বিগ ব্যাং-এর কোন অতীত ছিল না কারণ সময়ই
তৈরী হয়নি তখন, তাই বিশ্বজগতের সমস্ত উপাদান যেটা দিয়ে বিগ ব্যাং ঘটেছে সেটা অন্য কোথাও থেকে আসেনি । ওটা ওখানেই ছিল বিগ ব্যাং ঘটার আগ পর্যন্ত । কারণ যদি সেটা অন্য কোথা্ও থেকে
বিগ ব্যাং-এর বিন্দু পর্যন্ত আসতো তবে কিছু সময় ব্যায় করতে হতো যে
সময়টা তখনও তৈরীই হয়নি । আর তাই বিগ ব্যাং-এর উপাদানটা ওখানেই ছিল সময়হীন জগতে ।
আবার যদি বিশ্বজগত
শুন্য থেকে
তৈরী হয়ে
থাকে তবে
কোন সমস্যাই
আর থাকবে
না
বিগ ব্যাং-এর পূর্বের কাহিনী
নিয়ে।
তখন বিষয়টা
হয়ে যাবে
একেবারে সরল। প্রথমে
ছিল শুন্যতা;
তারপর স্থান
এবং কালের
সৃষ্টি; তারপর
ইনফ্লেশনের মাধ্যমে তৈরী হওয়া শক্তি
বা উপাদান
(যেটা দিয়ে
বিশ্বজগত সৃষ্টি
হয়েছে) তৈরী
হয়ে বিগ
ব্যাং সংঘটিত
হয়েছে।
আর তাই
বিগ ব্যাং-এর আগে
কি ছিল
এই প্রশ্নের আর দরকার হয় না। তখন
উত্তরটি হয়ে
যায়, বিগ
ব্যাং-এর
আগে ছিল
শুধু শুন্যতা,
পরম শুন্যতা।
বিজ্ঞানীরা দেখিয়েছেন
শুন্যতা থেকে
বিশ্বজগত তৈরী
হতে পারে।
No comments:
Post a Comment