Translate

Search This Blog

বিশেষ সতর্কবার্তাঃ

এই ব্লগটি নাস্তিক, অজ্ঞেয়বাদী, সন্দেহবাদী, মুক্তমনা এবং স্বাধীনচেতা মানুষদের জন্য। যারা যেকোন বিষয়ের সমালোচনা সহ্য করার মত ক্ষমতা রাখে। যদি কোন ধার্মিক, গোড়া ধার্মিক আস্তিক এই ব্লগটিতে আসে তবে তার ধর্মানুভূতি নামের অদ্ভূত দূর্বল অনিভূতি আঘাতপ্রাপ্ত হলে ব্লগ লেখক দায়ী থাকবে না। ধার্মিক, গোড়া ধার্মিক আস্তিকদের নিজ দায়িত্বে তাদের দূর্বল ধর্মানুভূতিকে সংরক্ষনের দায়িত্ব নিতে হবে। কারো ধর্মানুভূতি নামের অযৌক্তিক অনুভূতি আহত হবার জন্য কোন ক্রমেই ব্লগার বা লেখককে দায়ী করা যাবে না। যদি কোন অতি দুর্বল ধর্মানুভূতি সম্পন্ন ব্যাক্তি এই ব্লগে ভূল করে ঢুকে পরেন এবং তিনি তার অনুভূতিকে দূর্বল ভাবেন অর্থাৎ যিনি তার ধর্মের উপযুক্ত সমালোচনা সহ্য করতে অপারগ, তাকে বিনীত ভাবে এই ব্লগটি থেকে প্রস্থান করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। এর পরেও যদি কোন দূর্বল ধর্মানুভূতি সম্পন্ন ব্যাক্তি এই ব্লগটিতে ঘুরাফেরা করেন এবং তার ফলে তার দূর্বল ধর্মানুভূতিতে আঘাত প্রাপ্ত হন তবে কোন ক্রমেই এবং কোন ক্রমেই ব্লগের মালিক, 'আমি নাস্তিক' দায়ী থাকবে না।

Sunday, February 22, 2015

বিশ্বাস কি সত্যিই একটি ভাইরাস ?



বিশ্বাস একটা ভাইরাসতবে এটি জীবানু ভাইরাসের মত ভাইরাস নয়এটি কম্পিউটার ভাইরাসের মতজীবানু ভাইরাস, কম্পিউটার ভাইরাস এবং বিশ্বাসের ভাইরাস এগুলোর কাজ একই রকম;  পোষক দেহে প্রবেশ করা এবং পোষক দেহকে দখল করে নেওয়া
কম্পিউটার ভাইরাস কিন্তু কোন জীবানু ভাইরাস নয়তেমনি বিশ্বাসের ভাইরাসও কোন জীবানু ভাইরাস নয়বিশ্বাসের ভাইরাস হলো কিছু কথা বা কিছু তথ্য যেগুলো মানুষের মনে প্রবেশ করে এবং মনকে দখল করে নেয়তখন আর মানুষটার নিজের ইচ্ছে বলে কিছু থাকে নাসে হয়ে যায় বিশ্বাসের ভাইরাস আক্রান্ত একটা রোবট
এবং তার কাজ বা আচার আচরণ হয়ে যায় অমানবিকতখন সে আর মানুষ থাকে না

বিশ্বাসের ভাইরাসগুলোর মধ্যে ধর্ম হলো প্রধান ভাইরাসএই ভাইরাস মানুষের মনে প্রবেশ করিয়ে দেয়া হয় শৈশবেইফলে সেই বিশ্বাসের ভাইরাসে আক্রান্ত মানুষটি সারা জীবন ধর্মের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত থাকেধর্ম যা তাকে করতে বলে সে তাই করেযদি কাজটা অমানবিকও নয় তবু সে সেই কাজ থেকে সরে আসতে পারে না
আর তাই কোন ধর্মের ভাইরাসে আক্রান্ত মানুষটি সারা জীবন ধর্মের গোলাম হয়ে কাটিয়ে দেয়


এই ভাইরাসের ভয়াবহতা আবার একেক রকমযার মধ্যে ভাইরাসটি কম দেয়া হয়েছে সে কমই আক্রান্ত হয় এবং কমই অমানবিক হয়কিন্তু বিশ্বাসের ভাইরাস যার মধ্যে বেশী পরিমানে প্রবেশ করে সে হয়ে উঠে ভয়াবহ
ইসলামী সন্ত্রাসীরা বিশ্বাসের ভাইরাসে আক্রান্ত ভয়ঙ্কর মানুষদের একটি উপযুক্ত উদাহরণ

এর কারণ আর কিছুই নয়, তারা ইসলামের বিধি বিধানগুলো বেশী জানে এবং তারা এই ভাইরাস দ্বারা সব চেয়ে বেশী আক্রান্ত হয়ফলে তারা সেই ভাইরাসের বদৌলতে সারা পৃথিবীর সব মানুষকে সেই ভাইরাসে আক্রান্ত হতে উঠে পরে লাগে
এটি একটি ভাইরাসের স্বাধারণ স্বভাব যে, ভাইরাস (জীবনু ভাইরাস) প্রথমে কোন শরীরে ঢুকে পড়ে এবং আস্তে আস্তে সেই শরীরের সব কোষকে দখল করে নেয় (এখানে মেরে ফেলাটা উপযুক্ত শব্দ নয় বরং প্রতিস্থাপর করা উপযুক্ত হতে পারে, কারন ভাইরাসটি পোষক কোষের ডিএনএ-কে সরিয়ে ফেলে নিজের ডিএনএ বা আরএনএ ঢুকিয়ে দেয়)এবং আস্তে আস্তে ভাইরাসটি শক্তিশালী হয়ে বংশ বিস্তারের মাধ্যমে শরীরের সব কোষকেই দখন করে নেয়এভাবেই ভাইরাস তার স্বভাব প্রকাশ করে
আবার কম্পিউটার ভাইরাসও একই ভাবে প্রথমে কোন কম্পিউটারে প্রবেশ করে (ইন্টারনেটের মাধ্যমে বা অন্যান্য মাধ্যমে) এবং সেই কম্পিউটারের কোন ফাইলকে দখল করে নেয়পরে এটি অন্যান্য ফাইলকেও আস্তে আস্তে দখল করে নেয়এর ফলে কম্পিউটারের প্রোগ্রামগুলো আর তাদের মত করে কাজ করতে পারে নাবরং ভাইরাসগুলোতে যে প্রাগ্রাম করা থাকে সেই কাজটাই কম্পিউটার বাধ্যগত ভাবে পালন করেঅর্থাৎ কম্পিউটারটা তখন ভাইরাসের নিয়ন্ত্রনে চলে যায়আর জীবানু ভাইরাসের কাজও কম্পিউটার ভাইরাসের অনুরুপএখানে জীবানু ভাইরাস কোন পোষক জীব কোষকে দখন করে আর কম্পিউটার ভাইরাস কম্পিউটারের মেমরি বা হার্ডডিক্সকে ব্যবহার করে। (কম্পিউটার ভাইরাসের আক্রমনের ফলে হার্ডডিক্সের ম্যামরী ভাইরাস কর্তৃক দখল হয়ে যায়।) কম্পিউটার ভাইরাসের জীবানু ভাইরাসের মত কোন শারীরিক কাঠামো নেই তবে এটি ইলেক্ট্রিক সিগনাল বা মাইক্রোওয়েব,  ব্লু-রে বা ব্লু টুথওয়েব, ইন্ফ্রারেড ওয়েব ইত্যাদি শক্তির মাধ্যমে কিছু সিগনাল বা তথ্য এক স্থান থেকে অন্য স্থানে স্থানান্তরিত হতে পারে (যেমনটা পুরো ইন্ফরমেশন টেকনোলজির জগত টিকে আছে)জীবানু ভাইরাস যেমন পোষক দেহে শুধু তার ডিএনএ প্রবেশ করায় আর ডিএনএ-টি পোষক কোষের ডিএনএ-কে আক্রমন করে ঠিক সেভাবে কম্পিউটার ভাইরাসও অন্য কম্পিউটারে (ডেস্কটপ, ল্যাপটপ, মোবাইল ইত্যাদি) শুধু সিগনাল হিসেবে তথ্য প্রবেশ করায় এবং সেই সিগনাল-তথ্যটি কম্পিউটারের কোন এক সফ্টওয়ারকে (প্রাগ্রামকে) আক্রমন করে এবং সেই সফ্টওয়ারের পোগ্রামিং কোডকে বদলে দিয়ে নিজের পোগ্রামকে সক্রিয় করে তুলেএভাবে পুরো কম্পিউটারের সব পোগ্রামকেই বদলে দিয়ে নিজের প্রাগ্রাম আপলোড করে সম্পুর্ণ সিস্টেমকেই দখল করে নেয়অর্থাৎ জীবানু ভাইরাস আর কম্পিউটার ভাইরাস আসলে একই স্বভাবের তাই এদের দুটোকেই ভাইরাস বলে সম্বোধন করা হয়

আবার বিশ্বাসের ভাইরাসটিও জীবানু ভাইরাসের মত কোন বস্তু বা জীবানু নয়এটি কম্পিউটার ভাইরাসের মত মানুষের মনে ঢুকে পড়ে কিছু তথ্য হিসেবেসেই তথ্যটি মানুষের মনের যুক্তি বা বিচার বিবেচনা করার অংশটিকে নিয়ন্ত্রন করেযেমন কোন একটা যুক্তি ধরি বলা হলো, মহাকর্ষ শক্তি আমাদেরকে টেনে ধরে রাখে বলে আমরা পৃথিবী থেকে কোন দিকে ছিটকে পড়ে যাই না এখন এই বাক্যটি যেটা কিছু শব্দ দ্বারা তৈরী একটা ম্যাসেজ বা বার্তা যা একটা তথ্য বহন করছেআর সেই তথ্যটা হলো যে মানুষ পৃথিবী থেকে ছিটকে পড়ে না যাবার কারণ মহাকর্ষ শক্তিএই তথ্যটির কোন আকার নেই, এটি কোন শারীরিক অস্তিত্ব নেই, শুধু শব্দ শক্তির মাধ্যমে বক্তার কাছ থেকে শ্রোতার কাছে স্থানান্তরিত হয়এবং এই তথ্যটি শ্রোতার মস্তিষ্কে ঢুকে এবং মস্তিষ্কের কিছু জায়গা দখল করে এবং স্মৃতি হিসেবে মস্তিষ্কে থেকে যায়আর পরবর্তীতে সেই শ্রুতা ব্যক্তিটি এই তথ্যটিকে তার দৈনন্দিন কাজে ব্যবহার করতে পারে (ভাইরাসের সাথে এই তথ্যের পার্থক্য হলো যে, এই তথ্যটি মানুষটিকে দখল করে নিতে পারে না বলে এটি কোন ভাইরাস নয়)অর্থাৎ এই তথ্য আদান প্রদান পদ্ধতিটি একেবারে কম্পিউটার প্রযুক্তির মত

বিশ্বাসের ভাইরাস যখন কোন মানুষ থেকে বা অন্য কোন মাধ্যম থেকে (যেমন- বই) মানুষের মনে প্রবেশ করে তখন সেই ভাইরাসটি মানুষটির মস্তিষ্কের কিছু জায়গা দখল করে নেয়ভাইরাসটি মানুষের মনের কার্যপ্রণালীকে প্রভাহিত করে এবং সেই মানুষটির চিন্তা শক্তির উপর প্রভাব ফেলে
যেমন কোন মানুষকে যদি (শৈশবেই) বলা হয় যে, "কোন কিছুই সৃষ্টিকর্তা ছাড়া সৃষ্টি হতে পারে না; তাই সব কিছুরই একজন সৃষ্টিকর্তা আছে" এই তথ্যটি মানুষের মস্তিষ্কে জমা হয়ে থাকবে এবং সারা জীবন এই তথ্যটিই তার চিন্তা শক্তিকে নিয়ন্ত্রন করবেফলে যদি কেউ তাকে বলে যে কেন সৃষ্টিকর্তা ছাড়া কোন কিছু সৃষ্টি হতে পারবে না? তবে উত্তরে সে বলবে, কারণ কোন কিছুই সৃষ্টিকর্তা ছাড়া সৃষ্টি হওয়া সম্ভব নয়
তাকে যতই বোঝানো হোক না কেন যে, যদি কোন কিছু সৃষ্টিকর্তা ছাড়া সৃষ্টি হওয়া সম্ভব নাই হয় তবে সৃষ্টিকর্তাও কোন সৃষ্টিকর্তা ছাড়া সৃষ্টি হতে পারবে না; সেক্ষেত্রে কোন কিছুই সৃষ্টিকর্তা ছাড়া সৃষ্টি হওয়া সম্ভব নয় এই তথ্যটি মিথ্যে হয়ে যাবে
কিন্তু তবু সেই মানুষটি এই যুক্তিটি বুঝতে পারবে নাএর কারণ হলো ওই মানুষটি "কোন কিছু সৃষ্টিকর্তা ছাড়া সৃষ্টি হতে পারে না" এই ভাইরাসটি দ্বারা আক্রান্তফলে সে তার যুক্তি খাটাতে পারছে নাএকজন সৃষ্টিকর্তা অবশ্যই আছে এই বিশ্বাসটি তার মনকে পুরোপুরি দখল করে নিয়েছেফলে এটি যে যুক্তিহীন একটি অপ-যুক্তি (গোজামিলের যুক্তি) সেটা ওই ভাইরাসটি তাকে বুঝতে দেয় নামানুষটি তখন থাকে সম্পূর্ণরুপে সেই ভাইরাসের নিয়ন্ত্রনে  

কম্পিউটার ভাইরাস হল কিছু লজিকের উলট-পালট প্রোগ্রামিং এবং এটিও একটা চতুর প্রোগ্রাম (প্রোগ্রামিং কোড দ্বারা সৃষ্ট) ছাড়া আর কিছুই নয়কিন্তু এটির বৈশিষ্ট্য হলো এটি অন্য প্রোগ্রামকে দখল করে নিজের মত করে কাজ করাতে পারেঠিক তেমনি বিশ্বাসের ভাইরাসও অন্যান্য তথ্যের মতো কিছু তথ্য ছাড়া কিছুই নয়কিন্তু এগুলো কাজ করে বিশ্বাসকে কাজে লাগিয়ে, যুক্তিকে কাজে লাগিয়ে নয়লক্ষ করলে দেখা যায়, সব বিশ্বাসের ভাইরাসগুলোই অপ্রমানিত এবং মিথ্যে তথ্য ছাড়া কিছুই নয়এবং এই তথ্যগুলো বিশ্বাস ছাড়া কাজ করতে পারে নাযেমন কোন শিশু যখন মেনে নেয় যে "কোন কিছুই সৃষ্টিকর্তা ছাড়া সৃষ্টি হতে পারে না" তখন কিন্তু সে এই তথ্যটিকে যাচাই করে নিতে পারে না (কারণ তার সে ক্ষমতা তখনও তৈরীই হয়নি) সে শুধু অন্ধের মত সেটাকে মেনে নেয় বা বিশ্বাস করেকিন্তু বড় হবার পড়ে কিন্তু সে পুরোপুরি এই অপ-যুক্তিটি দ্বারা সম্পূর্ণরুপে নিয়ন্ত্রিত একজন ভাইরাস আক্রান্ত মানুষফলে সে যখন অন্যান্য যুক্তির সাথে পরিচিত হয় তখন সেই অপ-যুক্তিটি (অর্থাৎ ভাইরাসটি) তার উপস্থিত যুক্তিটিকে ভুল হিসেবে দেখায় বলে সে ভাবে যে, যুক্তিটি সঠিক নয়এখানে সে নিজে স্বাধীন ভাবে চিন্তা করতে পারছে না; কারণ সেই অপ-যুক্তিটি যেটা বিশ্বাসের ভাইরাস হিসেবে কাজ করছে, সেই মানুষটিকে ওই যুক্তিটি বুঝতে দিচ্ছে না অর্থাৎ তার চিন্তা শক্তি নিয়ন্ত্রন করছেঅর্থাৎ সেই অপ-যুক্তিটি সম্পূর্ন ভাইরাসের মত করে আচরণ করছেআর এজন্যই দেখা যায় বিশ্বাসের ভাইরাসে আক্রান্ত মানুষগুলো স্বাভাবিক ভাবে চিন্তা করতে পারে নাসারা বিশ্ব যেটাকে এক রকম করে দেখে, সেই বিশ্বাসের ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত মানুষটি সেটাকেই দেখে অন্য রকম করেযেমন - মুসলমানরা বিশ্বাস করে পৃথিবীটা আল্লাহ সৃষ্টি করেছে আর তারাই আল্লাহর মনোনিত বান্দা, ফলে তাদেরই অধিকার রয়েছে পৃথিবীকে শাসন করারএতে যদি সব মানুষকে মেরেও ফেলতে হয় তবুও তারা আল্লাহর বিধান প্রতিষ্টার জন্য সেটা করবে   

এটি কোন প্রমানিত তথ্য নয়এটি শুধুই তাদের একান্ত বিশ্বাস আর এই বিশ্বাসটাই তাদেরকে নিয়ন্ত্রন করছে ঠিক ভাইরাসের মত করেএই তথ্যটি তাদের মনে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছেতারা এটাকে বিশ্বাস করে নিয়েছে আর এই ভাইরাসটি তাদের মনকে সম্পূর্নভাবে নিয়ন্ত্রন করতে সক্ষম হয়েছে
কিন্তু তাদের বিশ্বাসের কোন প্রমাণ নেই, কোন যুক্তি নেই; আছে শুধু অন্ধবিশ্বাসআর এই বিশ্বাসটাই হল একটা ভাইরাস যেটা মানুষের মনে প্রবেশ করে, সেই মনকে দখন করে এবং সম্পূর্ণরুপে নিয়ন্ত্রনে নিয়ে নেয়সেই মানুষটা তখন তার নিজস্বতা হাড়ায়, সে হয়ে যায় সেই ভাইরাসের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রিততার স্বাধীন চিন্তা-ভাবনা বা যুক্তি-বুদ্ধির ক্ষমতা নিয়ন্ত্রন করে সেই ভাইরাসটি  
এর ফলেই সেই বিশ্বাসের ভাইরাসে আক্রান্ত মানুষগুলো আল্লাহর বিধান পৃথিবীতে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য বোমা মেরে মানুষ মেরে ফেলেআত্মঘাতী বোমা দিয়ে সে নিজেকে শেষ করে হলেও অনেক নিরীহ মানুষকে অকারণে হত্যা করে
এই কাজগুলো কোন সুস্থ মানুষের কাজ নয়বিশ্বাসের ভাইরাসে আক্রান্ত না হলে কেউ এভাবে অকারণে মানুষ হত্যা করতে পারে না
তার মধ্যে ঢুকিয়ে দেয়া ভাইরাস যে, "পৃথিবী আল্লাহর, তাই পৃথিবীতে আল্লাহর বিধান প্রতিষ্ঠা করাই মুমিনদের প্রধান কাজ, তার জন্য নিজের জীবন দিলেই বেহেস্ত নিশ্চিত" এই ভাইরাসটিই মানুষকে আত্মাহুতির দিকে ধাবিত করেযে মানুষটি বিশ্বাস করে যে পৃথিবী আল্লাহ নামের এক সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টিসুতরাং আল্লাহর বিধান যেহেতু তাদেরই, তাই তারা পৃথিবীর মানুষকে হত্যা করে পৃথিবীতে আল্লাহর বিধান প্রতিষ্ঠা করবার অধিকার তাদের আছেএতে যদি সব মানুষকে হত্যাও করতে হয়, সেটা তারা করবেতবুও আল্লাহর বিধান পৃথিবীতে তারা প্রতিষ্ঠিত করবেই
অর্থাৎ এক্ষেত্রে বিশ্বাসটি শুধু মাত্র ভাইরাস হিসেবেই কাজ করছেযেটার কোন প্রমাণ নেই, যেটা সত্যি নয় কেবল সেটার ক্ষেত্রেই বিশ্বাসের প্রয়োজন হয়যেটা সত্যি, যেটা বাস্তব, এবং প্রমানিত সেসব কিছুর ক্ষেত্রে বিশ্বাসের প্রয়োজন হয় নাতাই অন্যান্য তথ্যগুলো কোন ভাইরাস নয়সূর্য পূর্ব দিকে উঠে এটি একটি সত্য, তাই এটিতে বিশ্বাস করার প্রয়োজন নেইসবাই জানে সূর্য পূর্ব দিক থেকেই উঠেআর তাই এখানে কোন বিশ্বাসের ভাইরাস তৈরী হতে পারে না
সব মানুষ মারা যায়, এটি সত্য; তাই এতে বিশ্বাসের প্রয়োজন হয় নামানুষ জানে সব মানুষই মারা যায়ফলে এই তথ্যটি কোন ভাইরাসের জন্ম দেয় না
এরকম হাজারটা তথ্য আছে যেগুলো সত্য, তাই এগুলোতে বিশ্বাসের দরকার হয় নাসবাই জানে বা প্রমাণ পায় যে ওগুলো সত্যতাই ওই তথ্যগুলো বিশ্বাসের ভাইরাস তৈরী করতে পারে না
কিন্তু যেসব তথ্য সত্য নয়, সেগুলোকে বিশ্বাস করতে হয়কেউ জানে না সেগুলো সত্য নাকি মিথ্যেসবাই শুধু মাত্র বিশ্বাস করে চলেযেহেতু এটি শুধু বিশ্বাসের উপর নির্ভরশীল তাই এটি বিশ্বাসের ভাইরাস তৈরী করে

ধর্ম এবং যাবতীয় ধর্মীয় শিক্ষাগুলো গড়ে উঠে বিশ্বাসের উপর ভর করেবাস্তব সত্যের উপর ভর করে নয়সব কিছুতে আসলেই সৃষ্টিকর্তা লাগে কিনা তার কোন প্রমাণ কোন ধর্মই দিতে পারেনি আজ পর্যন্তপৃথিবীর সব ধর্মই কোন প্রমাণ ছাড়াই দ্বাবী করেছে তাদের ধর্মই সত্যধর্মের কাল্পনিক ধারণা যেমন- আত্মা, পরম আত্মা, ইশ্বর বা সৃষ্টিকর্তা এগুলোর বাস্তব কোন অস্তিত্ব নেইমানুষ এগুলো কল্পনা করেছে এবং সেগুলোকে বইয়ে লিখে রেখেছেপৃথিবীর সব মানুষই এসব বিশ্বাস করে কোন প্রকার প্রমাণ ছাড়াইঅর্থাৎ পৃথিবীর সব ধর্ম গুলোই বিশ্বাসের উপর নির্ভর করে টিকে আছেকোন ধর্মের কোন ধার্মিকই সৃষ্টিকর্তা বা অন্যান্য অতিপ্রাকৃতিক বিষয়গুলোর কোন প্রমানই দাড় করাতে পারেনি আজ পর্যন্তসৃষ্টিকর্তা, আত্মা, পরম আত্মা এগুলো মানুষের কল্পনা শক্তি দ্বারা সৃষ্ট এক সাধারণ সৃষ্টি মাত্রএগুলোর বাস্তব কোনই অস্তিত্ব নেই, এগুলো প্রমানিত কিছু নয়, অর্থাৎ এগুলো সত্য নয়এদের অস্তিত্ব শুধু মানুষের বিশ্বাসের উপর ভর করে টিকে আছেফলে এই ধারণাগুলোই তৈরী করছে বিশ্বাসের ভাইরাসেরমানুষ এগুলোকে বিশ্বাস করছে এবং এই বিশ্বাসগুলোই তাদেরকে নিয়ন্ত্রন করছেসবাই এই বিশ্বাসের ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়া এক একটি বিশ্বাসের ভাইরাস আক্রান্ত রোগীতে পরিণত হয়েছেএজন্য তাদের বিশ্বাসের উপর কেউ কোন কথা বললেই তারা ভয়ঙ্কর রুপ ধারণ করেতারা হিংস্র প্রানীর মত মানুষ মারতে আসেআত্মঘাতী হয়ে নিরীহ মানুষ হত্যা করেএক ধর্মের মানুষ অন্য ধর্মের মানুষকে মেরে ফেলে, অত্যাচার করেএগুলো কোন সুস্থ মানুষের কাজ নয়এরা সবাই বিশ্বাসের ভাইরাসে আক্রান্ত এক একটি রোগী
যার কোন অস্তিত্ব নেই, যার অস্তিত্বের কোন প্রমাণই নেই, শুধুমাত্র বিশ্বাসের উপর ভর করা কতগুলো ধারণা বা তথ্য একটা সাধারণ মানুষকে হিংস্র করে তুলে, খুনি উন্মাদ বানিয়ে দেয়এটি বিশ্বাসের ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়াটারই প্রমান বহন করে
বিশ্বাস ভাইরাস বলেই এটি মানুষকে তার মানবিক গুনাবলি ধ্বংস করে দিয়ে তাকে পশুতে পরিনত করেমিথ্যে ধারনাগুলোই মানুষের চিন্তা ভাবনাগুলোকে নিয়ন্ত্রন করে বলেই মানুষ হত্যাকারীতে পরিনত হয়
বিশ্বাসের ভাইরাসগুলোর মধ্যে ধর্মীয় বিশ্বাস বা ধর্মীয় ভাইরাসই প্রধান এবং সব থেকে শক্তিশালীফলে ধর্মীয় ভাইরাসের দ্বারাই মানুষ সব থেকে বেশী আক্রান্তু হয়
বিশ্বাস কিছু তথ্য মাত্রসেই তথ্যগুলোর কোন বাস্তব প্রমাণ নেই বলে এগুলোকে বিশ্বাস করতে হয় অন্ধভাবেআর এই বিশ্বাসগুলো মানুষের মনে ঢুকে মানুষের মনকে নিয়ন্ত্রনে নিয়ে নেয়তখন সেই মানুষটি সেটাই করে যেটা সেই ভাইরাসটি তাকে করতে বলেএক একটি বিশ্বাস আসলে এক একটি ভাইরাসআর এজন্যই একজন মানুষ ইসলাম ধর্মের বিশ্বাসের ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হয়ে মনে প্রানে একজন মুসলিম হয়ে জীবন কাটায়আবার একজন মানুষ হিন্দু ধর্মের ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মনে প্রানে একজন হিন্দু হয়ে জীবন কাটায়আবার একজন খ্রিস্টান ধর্মের ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মনে প্রানে একজন খ্রিস্টান হিসেবে তার জীবন কাটিয়ে দেয়
কিন্তু সব মানুষই কিন্তু একই রকমসব মানুষের আবেগ, অনুভুতি, শারীরিক গঠন সব কিছুই একই রকমই থাকেশুধু তারা ভিন্ন ভিন্ন বিশ্বাসের ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত থাকে মাত্র্
সেই ভাইরাসগুলোই একই রকমের মানুষের মধ্যে পার্থক্য তৈরী করে দেয়এরা সবাই বিশ্বাসের ভাইরাস দ্বারা নিয়ন্ত্রিত থাকে যে যত বেশী বিশ্বাসের ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত সে তত বেশী ভাইরাস দ্বারা নিয়ন্ত্রিত
বিশ্বাসের ভাইরাস মানুষটিকে সম্পূর্নরুপে নিয়ন্ত্রন করতে পারে যদি সেই ভাইরাসটি সেই মানুষটিকে সম্পূর্ণরুপে দখল করে নিতে পারেতখন মানুষটি হয়ে উঠে ভয়ঙ্কর
তবে অন্যান্য ভাইরাসের মত বিশ্বাসের ভাইরাসেরও এন্টি ভাইরাস আছেসেটি হলো অবিশ্বাস
মানুষ যখন অবিশ্বাস করতে শিখবে তখন পৃথিবীর কোন বিশ্বাসের ভাইরাসই তাকে কাবু করতে পারবে নাকারণ অবিশ্বাস মানুষকে নিয়ে যায় সত্যের কাছাকাছিআর সত্য বিশ্বাস মুক্তফলে ভাইরাস মুক্ত

বিশ্বাসের ভাইরাস জীবানু ভাইরাসের মত শারীরিক কাঠামো না থাকলেও এটি কম্পিউটার ভাইরাসের মতই জীবানু ভাইরাসের অনুরুপ ক্ষতিকর

No comments:

Post a Comment