কুরআনের নানা রকম ভুল দেখে এটা স্পষ্ট ভাবে বুঝা যায় যে কুরআন কোন অতিবুদ্ধিমত্বা সম্পন্ন সৃষ্টিকর্তার বাণী নয় বরং কুরআন কোন এক স্বাধারন মানুষের লেখা । এই পর্বেও দেখানো হবে কুরআন আল্লাহর বাণী নয় বরং এটি মুহাম্মদের নিজের বাণী ।
মুসলমানদের সৃর্ষ্টির জনক আল্লাহ কুরআনে সুরা ইয়াসীন-এর ৩৮ ও ৩৯ নাম্বার আয়াতে বলেছে,
"এবং র্সূয ভ্রমণ করে ওর নির্দিষ্ট গন্তব্যের
দিকে, এটা পরাক্রমশালী, সর্বাজ্ঞের নিয়ন্ত্রণ ।"
"এবং চন্দ্রের জন্যে আমি নির্দিষ্ট করেছি
বিভিন্ন মনযিল; অবশেষে ওটা শুষ্কবক্র, পুরাতন খেজুর শাখার আকার ধাবণ করে ।"
এই আয়াতে বলা হয়েছে সূর্য ভ্রমন করে ওর জন্য
নির্দিষ্ট করে দেওয়া পথে । সূর্য সম্পুর্নরুপে আল্লাহর নিয়ন্ত্রন । আর চন্দ্রের জন্য বিভিন্ন
আকার নির্ধারণ করা হয়েছে ফলে ওটা পুরাতন খেজুর ডালের মত বাকা আকার ধারন করে ।
সুরা ইব্রাহিম, আয়াত ৩৩;
"তিনি তোমাদের কল্যাণে নিয়োজিত করেছেন সূর্য ও চন্দ্রকে যারা
অবিরাম একই নিয়মের অনুবর্তী এবং তোমাদের কল্যাণে নিয়োজিত করেছেন রাত্রি ও দিবসকে
।"
এই আয়াতে বলা হচ্ছে, সূর্য ও চন্দ্র সবসময়
একই নিয়মে চলে ।
সুরা লোকমান, আয়াত ২৯
"..... তিনি চন্দ্র-সূর্যকে করেছেন নিয়মাধীন, প্রত্যেকটি পরিভ্রমন
করে নির্দিষ্টকাল পর্যন্ত; "
সুরা রাদ, আয়াত ০২
"....এবং সূর্য ও চন্দ্রকে নিয়মানুবর্তী করলেন; প্রত্যেকে নির্দিষ্টকাল
পর্যন্ত আবর্তন করে,..."
সুরা ফাতির, আয়াত ১৩
"....তিনি সূর্য ও চন্দ্রকে করেছেন নিয়ন্ত্রিত, প্রত্যেকে পরিভ্রমন
করে এক নির্দিষ্টকাল পর্যন্ত ।..."
এই আয়াতগুলো থেকে বোঝা যাচ্ছে আল্লাহ সূর্য
ও চন্দ্রকে এক নির্দিষ্ট নিয়মের মধ্যে রেখেছে আর এরা এক নির্দিষ্টকাল বা নির্দিষ্টসময়
পর্যন্ত পরিভ্রমন করে ।
তাহলে উপরিউক্ত আয়াতগুলো থেকে আমরা দেখতে
পাচ্ছি -
১. সূর্য একটা নির্দিষ্ট গন্তব্যের দিকে আবর্তন
করে বা গতিশীল থাকে আর তা একমাত্র আল্লাহর নিয়ন্ত্রিত । (৩৬:৩৮)
২. সূর্য ও চন্দ্র নির্দিষ্ট নিয়মের মধ্যে
চলে বা পরিভ্রমন করে । এবং এরা নির্দিষ্টকাল বা নির্দিষ্টসময় পর্যন্ত চলে বা পরিভ্রমন করে ।
তাহলে কয়েকটি প্রশ্ন চলে আসে
১. সূর্য একটা নির্দিষ্ট গন্তব্যের দিকে পরিভ্রমন
করে যা আল্লাহর নিয়ন্ত্রানাধীন এই নির্দিষ্ট গন্তব্য কোথায় বা কোন দিকে ?
২. সূর্য ও চন্দ্র নির্দিষ্ট নিয়মে চলে এই
নির্দিষ্ট নিয়ম আসলে কী ?
৩. সূর্য ও চন্দ্র নির্দিষ্টকাল পর্যন্ত পরিভ্রমন
করে তাহলে বাকী সময় কোথায় থাকে ?
এই প্রশ্নগুলোর উত্তর পাওয়া যায় একটা হাদিসে
। হাদিসটি হল -
সহীহ বুখারী- ভলিউম ৪, অধ্যায় ৫৪, নং-৪২১
আবু যর (রাঃ) হতে বর্ণিত :- তিনি বলেন, একদা সূর্য অস্ত যাবার
সময় রসূল(সাঃ) আমাকে বললেন, "তুমি কি জান সূর্য কোথায় গমন করে?" আমি বললাম, আল্লাহ ও তাঁর রসূলই
ভাল জানেন । তিনি বললেন, এটা যায় (ভ্রমন করে অর্থাত যেতে যেতে) আরশের নিচে পৌছে সিজদা করে এবং পুনরায় উদিত
হওয়ার অনুমতি চায় এবং তাকে অনুমতি দেয়া হয় । এবং অচিরেই (এমন এক সময় আসবে) যখন সে প্রায় সেজদা নত হবে কিন্তু
তা গৃহীত হবে না এবং নিজস্ব পথে যাত্রা করার অনুমতি চাইবে; কিন্তু আর অনুমতি মিলবে
না, (বরং) তাকে নির্দেশ দেয়া হবে, সেই পথেই ফিরে যেতে - যে পথে সে এসেছে । এবং তখন সে পশ্চিম
দিকে উদিত হবে । এটাই হলো আল্লাহর তাআলার এই বাণীর মর্ম :- এবং র্সূয ভ্রমণ করে ওর নির্দিষ্ট গন্তব্যের
দিকে, এটা পরাক্রমশালী, সর্বাজ্ঞের নিয়ন্ত্রণ । (৩৬:৩৮)
এই হাদিস অনুযায়ী মহাম্মদ বলেছে, সূর্য অস্ত
যাবার পর এটি আল্লাহর আরশের নিচে যায় এবং সেজদা দিয়ে পরের দিন উদিত হবার অনুমতি চায়
। আল্লাহ অনুমতি দেবার
পর সূর্য পূনরায় উদিত হয় । কিন্তু এমন একদিন আসবে যেদিন সূর্য পুনরায় উদয় হবার অনুমতি চাইবে
কিন্তু আল্লাহ অনুমতি দেবে না । বরং তাকে যেদিক থেকে সে এসেছে সে দিকে ফিরে যাবার আদেশ দেয়া
হবে এবং সূর্য পশ্চিম দিক থেকে উদয় হবে । আর এটাই সুরা ইয়াসীন-এর ৩৮ নাম্বার আয়াতে বলা হয়েছে - সূর্য
তার নির্দিষ্ট গন্তব্য পথে গমন করে ।
এই হাদিস থেকে পাওয়া যায় সুর্য অস্ত যাবার
পর এটি আল্লাহর আরশের নিচে পৌছে সেজদা দেয় । অর্থাত সূর্যাস্তের পর সূর্য আল্লাহর আরশের নিচে যায় ।
সূর্য প্রার্থনা করে পরের দিন উদিত হবার জন্য
। আল্লাহ সূর্যের প্রার্থনা
কবুল করে বলেই সূর্য পূনরায় উদয় হতে পারে । কিন্তু কেয়ামতের দিন সূর্যের প্রার্থনা কবুল করা হবে না বরং
একে পশ্চিম দিক থেকে উদয় হতে বলা হবে । তার অর্থ হচ্ছে সূর্য প্রতিদিন পূর্ব দিক থেকে উদয় হয়ে পশ্চিমে
অস্ত যায় এবং অস্ত যাবার পর এটি সরাসরি আল্লাহর আরশের নিচে যায় । আর এজন্যই সুরা ইয়াসীন-এর
৩৮ নাম্বার আয়াতে বলা হয়েছে এবং র্সূয ভ্রমণ করে ওর নির্দিষ্ট গন্তব্যের দিকে,
এটা পরাক্রমশালী, সর্বাজ্ঞের
নিয়ন্ত্রণ ।
এবং সূর্য আল্লাহর কাছে পুনরায় উদয় হবার অনুমতি
চায় রাতের বেলায় । আর এজন্যই কুরানে ৩১:২৯, ৩৫:১৩, এবং ১৩:০২ নাম্বার আয়াতে বলা হয়েছে সূর্য ও চন্দ্র ভ্রমন করে
নির্দিষ্টকাল পর্যন্ত । আর বাকী সময় আল্লাহর আরশের নিচে গিয়ে সিজদারত অবস্থায় থাকে এবং পুনরায় উদয় হবার
জন্য আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করে ।
সুতরাং কুরআন হাদিস থেকে জানা যাচ্ছে,
১. সূর্য একটা নির্দিষ্ট গন্তব্যের দিকে গমন
করে অর্থাত সূর্য প্রতিদিন পূর্ব দিক থেকে উদয় হয়ে পশ্চিম দিকে অস্ত যেয়ে আল্লাহর আরশে
পৌছে সিজদা দেয় এবং পুনরায় উদয় হবার প্রার্থনা করে ।
২. সূর্য ও চন্দ্র নির্দিষ্ট নিয়মে পরিভ্রমন
করে আর এই নির্দিষ্ট নিয়ম হচ্ছে প্রতিদিন পূর্ব দিক থেকে উদয় হয়ে পশ্চিম দিকে অস্ত
যাওয়া এবং আল্লাহর আরশের নিচে পৌছা ও সিজদা দেওয়া । এবং পুনরায় উদয় হবার প্রার্থনা করা এবং প্রার্থনা
কবুল হলে পুনরায় পূর্ব দিক থেকে উদয় হওয়া ।
৩. সূর্য ও চন্দ্র নির্দিষ্টকাল পর্যন্ত পরিভ্রমন
করে আর বাকী সময় আল্লাহর আরশের নিচে গিয়ে পুনরায় উদয় হবার জন্য প্রার্থনা করে ।
সুতরাং কুরআনের আয়াতগুলো এবং আয়াতের ব্যাখ্যা
হাদিস থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, সূর্য প্রতিদিন পূর্ব দিক থেকে উদয় হয়ে পশ্চিম দিকে অস্ত যায়
এবং সারারাত আল্লাহকে সেজদা দিয়ে প্রার্থনা করে । এবং পরের দিন পুনরায় পূর্ব দিক থেকে উদয় হয়
। অর্থাত পৃথিবীর চারপাশে
পরিভ্রমন করে এক নির্দিষ্ট নিয়মে । এবং নির্দিষ্ট সময় পর এটি বিশ্রাম নেয় ও আল্লাহর কাছে প্রার্থনা
করে ।
আর এই অবৈজ্ঞানিক কথাগুলো লেথা হয়েছে কুরআনে
(এবং হাদিসে) । যদি কুরআন আল্লাহর বাণী হয় তবে কীভাবে এই ভুল কথাগুলো কোরআনে লেখা থাকে ?
আল্লাহ জানেই না সূর্য অস্ত যাবার পর কোথায়
যায় ! আর কিভাবেই পরের দিন উদয় হয় ! আল্লাহ বুঝতেই পারে না সূর্য নির্দিষ্টকাল নয় বরং
সবসময় পরিভ্রমন করে !
যদি আল্লাহই কুরআন লিখে থাকে তবে কেন কুরআনে
এমন অদ্ভুত আর মিথ্যে কথা বলবে সূর্য আর চন্দ্রের পরিভ্রমন নিয়ে ?
মুহাম্মদ সেই সময় জানতোনা সূর্য ও চন্দ্র
কীভাবে পরিভ্রমন করে । মুহাম্মদ জানতো না সূর্য পৃথিবীর চারপাশে পরিভ্রমন করে না বরং পৃথিবীই সূর্যের
চারপাশে পরিভ্রমন করে ! আর মুহাম্মদ এটাও জানতো না যে সূর্য অস্ত যাবার পরে কোন আরশের
নিচে যায়না এবং এটি কখনও বিশ্রামও নেয় না বা সেজদাও দিতে পারে না । এটি নির্দিষ্ট সময়
পরিভ্রমন করে না বরং সবসময় পরিভ্রমন করে । আর তাই সে কুরআনে লিখেছে সূর্য নির্দিষ্ট গন্তব্যের দিকে পরিভ্রমন
করে । সূর্য-চন্দ্র নির্দিষ্টকাল
পর্যন্ত পরিভ্রমন করে ।
আর তাই এই ভূলগুলোই প্রমাণ করে কুরআন আল্লাহ
নামের কোন সৃষ্টিকর্তা লিখেনি বরং মুহাম্মদের মতো কোন এক অশিক্ষিত স্বাধারণ মানুষ
লিখেছে (তৈরী করেছে) ।
অর্থাত কুরআন আল্লাহর বাণী নয় বরং কুরআন মুহাম্মদের
বাণী ।
This comment has been removed by the author.
ReplyDeleteতুই পারবে ছোট্টএকটা সুরা বানাইতে
ReplyDeleteতুইতো আস্ত একটা আবাল...
ReplyDeleteএকদিকে মহান আল্লাহ তা'য়ালার বাণী এবং অন্যদিকে মাযহাবীদের মনগড়াকে মহানবী (সাঃ)-র বাণী বলে বিভ্রান্তিকর মূর্খামি চিন্তাকরে জগাখিচুড়ি বানিয়ে দিয়েছিস..!
https://m.facebook.com/permalink.php?story_fbid=1018202084897464&id=759596924091316
ReplyDeleteI hope you've got your answer
Deleteকিন্তু আপু,আপনি একটু ভেবে দেখুন আপনি যেই লিংক টা দিলেন, সেখানে লেখক নিজেই বলল সূর্য এ পর্যন্ত ৫৫-৬০ বার মাথানত করেছে। কিন্তু সহিহ বুখারী হাদিস ৩১৯৯ অনুযায়ী সূর্য প্রতিবার সূর্যাস্তের সময় সিজদাহ করে। মানে এ পর্যন্ত অসংখ্য বার সিজদা করেছে। এটা কি অসংগতি নয়?
Deleteপ্রশ্নের উত্তর-
ReplyDelete১. সূর্যের নির্দিষ্ট গন্তব্য কোন দিকে আপনি জানেন না? প্রতিটা নক্ষত্র ছায়াপথের অর্থাৎ স্ব-স্ব গ্যালাক্সির কেন্দ্রকে আবর্তন করে। এই গন্তব্যেই প্রতিটি নক্ষত্র তার পথ অতিক্রম করে আসছে।
২। চন্দ্রের নির্দিষ্ট নিয়ম হচ্ছে পৃথিবীর চারদিকে ঘূর্ণন, জোয়ার-ভাটা এবং গ্রহণে অবদানসমূহ।
৩. নির্দিষ্ট কাল পরিভ্রমণ করে , থামার কথা কি বলা হয়েছে যে আপনি বললেন বাকি সময় কোথায় থাকে? এই নির্দিষ্ট কাল কবে শেষ হবে তা হলো কিয়ামতের সময় ।
আর আরশের নিচে সিজদার বিষয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খ উত্তর নিচের ভিডিওতে। স্কিপ না করে দেখবেন পুরো ক্লিয়ার হয়ে যাবেন।
https://youtu.be/DnSO5q4YDwM
যতটা বুদ্ধি খরচ করে উল্টো রথ ধরেছেন , বুদ্ধিটা পজিটিভলি খাটালেই সমাধান পাইতেন। যদি আদৌ ক্লিয়ার হওয়ার ইচ্ছা থাকতো। তাই মানুষকে বিভ্রান্ত না করে আল্লাহকে ভয় করুন।
'নিশ্চয়ই তোমার রবের পাকড়াও বড়ই কঠিন' (সূরা বুরুজ)