কুরআনের নানা ভূল থেকে এটা স্পষ্ট বুঝা যায় কুরআন আসলে কোন অতিবুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন সৃষ্টিকর্তা লেখেনি বরং কুরআন কোন এক স্বাধারন মানুষ লিখেছে । কুরআন আল্লাহর বাণী নাকি মুহাম্মদের বাণী সেটা আগের পর্বগুলোতে প্রমান করা হয়েছে । এই পর্বেও দেখানো হবে কুরআন আসলে কার বাণী !
কুরআনে আল্লাহ মানুষের সৃষ্টি সম্পর্কে উদ্ভট
কিছু তথ্য দিয়েছে যার সাথে বাস্তবতার কোন মিল নেই ।
কুরআনে বর্ণিত হয়েছে,
সুরা সোয়াদ, আয়াত ৭১
"(স্মরন কর) যখন তোমার প্রতিপালক ফেরেশতাদেরকে বলেছিলেনঃ আমি
মানুষ সৃষ্টি করছি মাটি হতে,"
সুরা আল-ইমরান, আয়াত ৫৯
"নিশ্চয়ই আল্লাহর নিকট ঈসার দৃষ্টান্ত আদমের অনুরুপ; তিনি তাঁকে মাটি দ্বারা
সৃষ্টি করলেন, তৎপর বললেন, হও, ফলতঃ তাতেই হয়ে গেল ।“
সুরা আন'আম, আয়াত ০২
"অথচ তিনিই তোমাদেরকে মাটি হতে সৃষ্টি করেছেন,"
সুরা রুম, আয়াত ২০
"তার নিদর্শনাবলীর মধ্যে রয়েছে যে, তিনি তোমাদেরকে মৃত্তিকা
হতে সৃষ্টি করেছেন । এখন তোমরা মানুষ, সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ছো ।"
সুরা সোয়াদ, আয়াত ৭৬
"......এবং তাকে সৃষ্টি করেছেন মাটি হতে ।"
উক্ত আয়াতগুলো থেকে দেখা যাচ্ছে আল্লাহ মানুষকে
মাটি থেকে বা মাটি দিয়ে সৃষ্টি করেছে । এ সম্পর্কিত আরও আয়াত হচ্ছে -
সুরা মুমিনুন, আয়াত ১২
"আমি তো মানুষকে সৃষ্টি করেছি মৃত্তিকার মূল উপাদান হতে ।"
অর্থাত আল্লাহ মাটি দিয়ে বা মাটির মুল উপাদান
দিয়ে মানুষকে সৃষ্টি করেছে ।
এখন কেউ একজন প্রশ্ন করতে পারে, কই আমরাতো কাউকে মাটি হতে বা মাটি দিয়ে তৈরী হতে দেখি না । তাহলে কুরআনে কেন এই
কথা বলা হয়েছে ? এই প্রশ্নের উত্তর কুরআনেই দেওয়া আছে ।
সুরা কাহফ, আয়াত ৩৭
"তদুত্তরে তাকে তার বন্ধু বললোঃ তুমি কি তাঁকে অস্বীকার করছো
যিনি তোমাকে সৃষ্টি করেছেন মৃত্তিকা ও পরে শুক্র হতে এবং তারপর পূর্ণাঙ্গ করেছেন মনুষ্য
আকৃতিতে ?"
সুরা ফাতির, আয়াত ১১
"আল্লাহ তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন মৃত্তিকা হতে; অতঃপর শুক্রবিন্দু
হতে, অতঃপর তোমাদেরকে করেছেন জোড়া জোড়া !...."
সুরা মুমিন, আয়াত ৬৭
"তিনিই তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন মাটি হতে, পরে শুক্রবিন্দু হতে, তারপর তোমাদেরকে বের
করেন শিশুরুপে; ...."
সুরা হাজ্জ, আয়াত ০৫
"হে মানষ! পুনরুত্থান সম্বন্ধে যদি তোমরা সন্দিহান হও তবে (অনুধাবন
কর) আমি তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছি মৃত্তিকা হতে, তারপর শুক্র হতে, তারপর রক্তপিন্ড হতে, তারপর পূর্ণাকৃতি বা
অপূর্ণাকৃতি মাংসপিন্ড হতে;...."
উপরিউক্ত আয়াতগুলো থেকে জানা যাচ্ছে, আল্লাহ প্রথমে মানুষকে
মাটি থেকে সৃষ্টি করেছে, এবং তারপর থেকে মানুষকে শুক্রবিন্দু (বীর্য) থেকে তৈরী করেছে
। আমরা জানি মানুষ জন্ম
নেয় শুক্রবিন্দু অর্থাত বীর্য থেকে । আর কুরআন বলছে আল্লাহ মানুষ সৃষ্টি করেছে প্রথমে মাটি থেকে পরে
শুক্রানু বা বীর্য থেকে ।
এখন প্রশ্ন করা যেতে পারে, মানুষকে কি ধরণের মাটি
থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে ? এই প্রশ্নের উত্তরও কুরআনে দেওয়া হয়েছে ।
সুরা হিজর, আয়াত ২৬
"আমি তো মানুষকে সৃষ্টি করেছি ছাঁচে ঢালা শুষ্ক ঠনঠনে মৃত্তিকা
হতে ।"
এই আয়াত অনুযায়ী আল্লাহ মানুষ সৃষ্টি করেছে
কালো পঁচা শুষ্ক ঠনঠনে মাটি থেকে ।
আবার সুরা সাফফাত-এর ১১ নাম্বার আয়াতে বলা
হয়েছে,
".... তাদেরকে আমি সৃষ্টি করেছি আঠাল মাটি হতে ।"
এই আয়াত অনুযায়ী আল্লাহ মানুষকে আঠাল বা এঁটেল
মাটি থেকে সৃষ্টি করেছে ।
সুরা রহমান, আয়াত ১৪
"মানুষকে (আদমকে) তিনি সৃষ্টি করেছেন পোড়া মাটির মত শুকনা মাটি
হতে,"
অর্থাৎ আল্লাহ মানুষকে পোড়া মাটির মত শুকনা
মাটি দিয়ে তৈরী করেছে ।
সুরা সাজদাহ, আয়াত ৭ এবং ৮
"যিনি তাঁর সকল কিছু সৃজন করেছেন উত্তমরুপে এবং কাঁদা মাটি হতে
মানব সৃষ্টির সুচনা করেছেন ।"
"অতঃপর তার বংশ উৎপন্ন করেছেন তুচ্ছ তরল পদার্থের নির্যাস থেকে
।"
এই আয়াত অনুযায়ী আল্লাহ প্রথমে মানুষকে কাদা
মাটি থেকে সৃষ্টি করেছে এবং তার পরে তুচ্ছ তরল পদার্থের নির্যাস থেকে । এখানে তুচ্ছ তরল পদার্থের
নির্যাস হচ্ছে শুক্রানু বা বীর্য । অর্থাত আল্লাহ মানুষকে প্রথমে কাদামাটি হতে সৃষ্টি করেছে এবং
পরে বীর্য হতে বংশধর সৃষ্টি করেছে ।
উপরিউক্ত আয়াতগুলো অনুযায়ী মানুষকে সৃষ্টি
করা হয়েছে শুষ্ক বা শুকনো মাটি দিয়ে আবার কাদা মাটি বা আঠাল মাটি দিয়ে । কথাটা একটু বিদঘুটে
মনে হলেও কুরআনের অন্য আয়াতে মানুষ সৃষ্টির অন্য উপাদান কি সেটা জানার পর এর ব্যাখ্যা
পাওয়া সহজ হবে ।
কুরআনে বর্ণিত আছে,
সুরা নুর, আয়াত ৪৫
"আল্লাহ সমস্ত জীব সৃষ্টি করেছেন পানি হতে, ....."
সুরা আম্বিয়া, আয়াত ৩০
"....এবং প্রানবান সমস্ত কিছু সৃষ্টি করলাম পানি হতে,....."
সুরা ফুরকান, আয়াত ৫৪
"এবং তিনিই মানুষকে সৃষ্টি করেছেন পানি হতে; অতঃপর তিনি তার বংশগত
ও বৈবাহিক সম্বন্ধ স্থাপন করেছেন ।"
সুতরাং বুঝা যাচ্ছে আল্লাহ মানুষকে শুধু মাটি
দিয়ে তৈরী করেননি বরং পানিও ব্যবহার করেছে । অর্থাত আল্লাহ মানুষ তৈরী করেছে মাটি এবং পানি দিয়ে ।
আবার বাইবেল ও কুরআনে আদম তৈরীর কাহিনী অনুযায়ী, আল্লাহ ফেরেশতা পাঠিয়ে
পৃথিবী থেকে মাটি নিয়ে যায় । সেই মাটি দিয়ে আদমের দেহ কাঠামো (মাটির মূর্তি) তৈরী করে । এবং শেষে তাতে রূহ্
(আত্মা) দিয়ে জীবন্ত করে । মানুষ প্রজাতির যাত্রা শুরূ হয় এভাবে ।
এখন প্রশ্ন আসতে পারে আল্লাহ মাটি দিয়ে কিভাবে
আদমের কাঠামো অর্থাৎ মূর্তি তৈরী করেছিল । কুরআন অনুযায়ী আল্লাহ সুরা হিজর-এর ২৬ নাম্বার এবং সুরা রহমান-এর
১৪ নাম্বার আয়াতে বলেছে, আল্লাহ মানুষকে শুকনো মাটি থেকে তৈরী করেছে । আবার সুরা সাফফাত-এর
১১ নাম্বার এবং সুরা সাজদাহ-এর ৭ নাম্বার আয়াতে বলেছে মানুষকে কাঁদা মাটি বা আঠালো
মাটি থেকে তৈরী করা হয়েছে । অর্থাৎ আল্লাহ একবার বলেছে মানুষকে শুকনা মাটি দ্বারা তৈরী করা
হয়েছে আবার বলেছে কাঁদা মাটি থেকে তৈরী করা হয়েছে । এবং আরও বলেছে মানুষকে পানি দ্বারা তৈরীর
কথা । তাহলে এগুলো থেকে
বোঝা যায় আল্লাহ পৃথিবী থেকে শুকনো মাটি এনে সেটাকে পানি দিয়ে আঠালো মাটি বা কাঁদা
মাটি বানিয়েছে এবং পরে আদমের আকৃতি দিয়েছে অর্থাৎ আদমের মূর্তি তৈরী করেছে ।
সুতরাং কুরানের আয়াত এবং আদম তৈরীর কাহিনী
থেকে পাওয়া যায় আল্লাহ মানুষকে শুকনো মাটি আর পানি মিশিয়ে কাঁদা মাটি বানিয়ে আদমকে
তৈরী করেছে । এবং পরে আদম-হাওয়ার পর থেকে শুক্রানুর মাধ্যমে বংশধর সৃষ্টি করেছে ।
তাহলে আমরা কুরআনের বিভিন্ন আয়াত থেকে জানতে
পারলাম যে আল্লাহ মানুষকে সুষ্টি করেছে মাটি ও পানি দিয়ে । কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে আসলেই কি মানুষ মাটি
আর পানি দিয়ে তৈরী হয়েছে ? অর্থাৎ মানুষের গঠন প্রনালী বা মানব দেহ কী সত্যিই মাটি দিয়ে
তৈরী নাকি অন্য কোন পদার্থ দিয়ে তৈরী ?
আসুন আমরা বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক তথ্য প্রমান
দিয়ে দেখি আসলেই মানুষ মাটির তৈরী ? নাকি পানির তৈরী ? নাকি অন্য কোন পদার্থের তৈরী ?
মাটির মুল উপাদান হচ্ছে কিছু অজৈব পদার্থ
। মাটির প্রধান উপাদানগুলো
হলো- কোয়ার্টজ্ (SiO2), ক্যালসাইট (CaCO3), ফেল্ডসপার (KAlSi3O8) এবং মিকা (K(Mg,Fe)3AlSi3O10(OH)2) ।
এছাড়াও মাটির মুল উপাদানগুলো হচ্ছে - P2O5, K2O, CaO, MgO, SiO2, Al2O3, Fe2O3, Na2O, TiO2
এবং MnO2 ।
মুল উপাদানগুলো ছাড়াও মাটিতে কিছু জৈব পদার্থ(৫%), বায়ু(২৫%) এবং কিছু
পরিমান পানি(২৫%) থাকে । মাটির মুল উপাদানগুলো থাকে সবচেয়ে বেশী পরিমানে (৪৫%) । এগুলোই মাটির মুল
উপাদান । বাকি উপাদানগুলো আসে বাইরে থেকে । যেমন- জৈব উপাদানগুলো আসে উদ্ভিদ এবং প্রাণীর মৃত অংশ থেকে; বায়ু আসে বায়ুমন্ডল
থেকে এবং পানি আসে বৃষ্টির মাধ্যমে । এছাড়াও মাটিতে কিছু ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অনুজীব থাকে যেগুলো আসলে
মাটির মুল উপাদান নয় । কিন্তু মাটির মূল উপাদানগুলোই মাটি গঠনের প্রাচীন উপাদান যেগুলো পৃথিবীর উপরিভাগে
প্রাথমিক অবস্থা থেকেই ছিল ।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে মানুষ কি মাটি দিয়ে তৈরী
?
মানুষের দেহ গঠিত হয়েছে কোটি কোটি কোষ
দিয়ে । আর এই কোষগুলো গঠিত
হয় প্রধান দুই উপাদান নিউক্লিয়াস এবং সাইটোপ্লাজম-এর সমন্নয়ে । সাইটোপ্লাজমে থাকে পানি এবং বিভিন্ন জৈবিক
অংশ যেমন- মাইট্রোকনডিয়া, গলজি বস্তু, লাইসোসোম প্রভৃতি । এগুলো গঠিত হয়েছে প্রোটিনের সমন্বয়ে । প্রােটিন গঠিত হয় অ্যামাইনো
এসিডের সমন্বয়ে । আবার নিউক্লিয়াস গঠিত হয়েছে নিউক্লিক এসিডের সমন্বয়ে । নিউক্লিইক এসিড গঠিত হয় একপ্রকার সুগার, ফসফেট এবং নাইট্রোজেন
বেজ দ্বারা । অর্থাৎ জীবদেহ গঠিত হয় প্রোটিন তথা অ্যামাইনো এসিড এবং নিউক্লিইক এসিডের সমন্বয়ে
।
অ্যামাইনো এসিড (H2NCHRCOOH) এবং নিউক্লিক
এসিড (চিত্র) কখনই মাটি দিয়ে গঠিত হয়নি ।
কারণ মাটির উপাদান আর অ্যামাইনো এসিডের উপাদান
সম্পুর্নই আলাদা ।
আবার সাইটোপ্লাজমে পানি থাকলেও জীব গঠনের
মূল উপাদান অ্যামাইনো এসিড ও নিউক্লিক এসিড তৈরীতে পানির কোন ভূমিকা নেই । অর্থাৎ জীব গঠনের মূল
উপাদান মাটি বা পানি দিয়ে তৈরী হয়নি ।
কিন্তু কুরআনে আল্লাহ বলেছে, মানুষকে মাটির মূল উপাদান দিয়ে সৃষ্টি করা হয়েছে ।
সুরা মুমিনুন, আয়াত ১২
"আমি তো মানুষকে সৃষ্টি করেছি মৃত্তিকার মূল উপাদান হতে ।"
মাটির মূল উপাদান (যেমন- (SiO2), ক্যালসাইট
(CaCO3), ফেল্ডসপার (KAlSi3O8) এবং মিকা (K(Mg,Fe)3AlSi3O10(OH)2) )
এবং পানি (H2O), অ্যামাইনো এসিড ((H2NCHRCOOH) ও নিউক্লিক
এসিডের মূল উপাদান থেকে সম্পুর্ন আলাদা । আর তাই মানুষ তৈরী হয়েছে মাটি থেকে কথাটি সম্পূর্ন ভূল ।
এই মাটি দিয়ে মানুষ তৈরীর কাহিণী বাইবেল থেকে
নেওয়া । এমনকি মুহাম্মদের সময়ে মানুষ সৃষ্টির এই গল্প মানুষের মুখে মুখে প্রচলিত ছিল যে, সৃষ্টিকর্তা মানুষ
সৃষ্টি করেছে পৃথিবীর মাটি দিয়ে । আর তাই কুরআনের লেখক এই গল্প থেকে মানুষ মাটি থেকে সৃষ্টি হয়েছে
এই ধারনাটি নিয়েছে । এবং কুরআনে লিখেছে মানুষ মাটির তৈরী । কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে মানুষ মোটেও মাটির তৈরী নয় ।
কুরআন কোন অতিবুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন সৃষ্টিকর্তা
লেখেনি । কুরআন কোন এক স্বাধারণ মানুষ লিখেছে বলে কুরআনে মানুষের সৃষ্টি সম্পর্কে সম্পুর্ন ভূল তথ্য
দেওয়া আছে ।
বিজ্ঞানীরা মানুষের সৃষ্টি প্রণালী বের করে
ফেলেছে । সারা পৃথিবীর মানুষ এখন জানে মানুষকে কোন সুষ্টিকর্তা সৃষ্টি করে পৃথিবীতে পাঠায়নি
বরং মানুষ পৃথিবীতেই এককোষী প্রাচীন জীব থেকে পর্যায়ক্রমে বিবর্তনের মাধ্যমে আজকের
আধুনিক মানুষে পরিণত হয়েছে ।
মুহাম্মদের সময়ে কেউ জানতো না বিবর্তন সম্পর্কে
। আর তাই মানুষের সৃষ্টির
প্রাচীন কাল্পনিক সৃষ্টিতত্ব কুরআনে বর্নিত হয়েছে ।
যদি কুরআন কোন অতিবুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন কেউ
লিখতো তবে মানুষের সৃষ্টি সম্পর্কে এই ভূল কখনই করতো না । যেহেতু কুরআনের লেখক মানুষ সৃষ্টির কাল্পনিক
উপকথা বা মিথ্যে ধারনা কুরআনে লিখেছে তাই এটা স্পষ্টভাবে প্রতিয়মান হয় যে কোন অতিবুদ্ধমত্তা-সম্পন্ন সৃষ্টিকর্তা নয় বরং কোন এক স্বাধারণ মানুষ কুরআন রচনা করেছে ।
যেহেতু মুহাম্মদ কুরআনের আয়াত সবার কাছে বর্ননা
করেছে তাই কুরআন মুহাম্মদ নিজে তৈরী করেছে । আর এজন্যই কুরআনে মানুষের সৃষ্টিতত্ব সম্পর্কে ভুল ধারনা ব্যক্ত
করেছে ।
অর্থাৎ কুরআন আল্লাহর বাণী নয় কুরআন মুহাম্মদের
নিজের বাণী ।
Please see this video...
ReplyDeletehttps://www.youtube.com/watch?v=79z3LQom97E
Bangla! Is the Qur'an God's Word By Dr.Zakir Naik(Full lecture)
কুরআন মহান আল্লাহর বাণী। কিন্তু তা লিপিবদ্ধ করেছে মহামানব ।
ReplyDeleteআল্লায় কি চটি লেখন জনাব?
Deleteকুরআনের বিভিন্ন জায়গায় মানুষ সৃষ্টির বিভিন্ন উপাদানের কথা বলা হয়েছে। যেমন -
ReplyDeleteআলাকাঃ
পাঠ করুন আপনার পালনকর্তার নামে যিনি সৃষ্টি করেছেন
সৃষ্টি করেছেন মানুষকে জমাট রক্ত থেকে। ৯৬:১-২
পানিঃ
We made from water every living thing সূরা আম্বিয়া ২১:৩০
তিনিই পানি থেকে সৃষ্টি করেছেন মানবকে, অতঃপর তাকে রক্তগত, বংশ ও বৈবাহিক সম্পর্কশীল করেছেন। তোমার পালনকর্তা সবকিছু করতে সক্ষম। সূরা ফোরকান ২৫:৫৪
ঠনঠনে মাটি থেকেঃ
We created man from sounding clay, from mud moulded into shape; সূরা হিজর ১৫:২৬
স্ফলিত বীর্যঃ
তিনি মানবকে এক ফোটা বীর্য থেকে সৃষ্টি করেছেন। এতদসত্বেও সে প্রকাশ্য বিতন্ডাকারী হয়ে গেছে। সূরা নাহল ১৬:৪,
সে কি স্খলিত বীর্য ছিল না? সূরা কিয়ামাহ ৭৫:৩৭
কিছুনা (শূণ্য থেকে) সৃষ্টিঃ
মানুষ কি স্মরণ করে না যে, আমি তাকে ইতি পূর্বে সৃষ্টি করেছি এবং সে তখন কিছুই ছিল না। সূরা মরিয়ম ১৯:৬৭
মানুষ কিসের তৈরি ?
জবাব:
এ জিনিসগুলোকে আমাদের নাস্তিক আঁতেল সম্প্রদায় অসামঞ্জস্যতা হিসেবে দেখাতে চায়। অসামঞ্জস্যতা আসলে সেই জিনিস যা একটি হলে আরেকটি হওয়া সম্ভব নয়
ধরুন কাউকে আমি বললাম ‘‘রফিক সাহেব লোকটি লম্বা’’
আরেকজনকে বললাম ‘‘রফিক সাহেব লোকটি খাট’’ তাহলে বিষয়টি অসামঞ্জস্যতাপূর্ন (contradictory)। কারণ কেউ কখনও একই সাথে লম্বা ও খাট হতে পারে না। কিন্তু আমি যদি বলি
‘‘রফিক সাহেব লোকটি লম্বা’’
‘‘ রফিক সাহেব লোকটি মোটা ’’
এ জিনিসটি অসাসঞ্জস্যতা (contradictory) নয়। কারণ কোন লোক একই সাথে লম্বা ও মোটা হতে পারে । একে ইংরেজীতে বলে Contradistinction.
পানি, বরফ এগুলো নিয়ে কথা বলতে গিয়ে কেউ বলল পানি দিয়ে আইসক্রীম বানানো হয়। আবার দুধের ব্যবহারের কথা বলতে গিয়ে বলা হল দুধ দিয়ে আইসক্রীম বানানো হয়।
এখন কেউ যদি এখানে বলে বসে ‘‘বিষয়টা আসামঞ্জস্য’’ তাহলে তার সম্পর্কে আপনি কোন উপসংহার পৌছাবেন একবার চিন্তা করে দেখুন।
এক সময় কিছুই ছিলনা আল্লাহর আদেশেই সবকিছু সৃষ্টি হয়েছে। এখন আল্লাহ যদি বলে আমি (কিছুই না) অনেকটা শূন্য খেলেই মানুষকে সৃষ্টি করেছি তাহলে সমস্যা কোথায়?
মানুষ পানি থেকে সৃষ্ট। আজকের বিজ্ঞান আমাদের বলে আমাদের কোষের সাইটোপ্লাজমের ৮০% পানি। আধুনিক বিজ্ঞান আরো বলছে আমাদের শরীরের বেশিরভাগ অংশই ৫০%-৯০% পানি দ্বারা গঠিত। অতএব আল্লাহ যথার্থই বলেছেন মানুষ পানি হতে সৃষ্টি।
মাটির উপাদান পরীক্ষাকরে দেখা গেছে যেসকল উপাদান মাটিতে বিদ্যমান সে সকল উপাদান কম অথবা বেশি অনুপাতে আমাদের শরীরেও বিদ্যমান। একটি জীবন্ত টিস্যু ৯৫% কার্বন, অক্সিজেন, হাইড্রেজন, নাইট্রোজেন, ফসফরাস, সালফারসহ ২৬ ধরনের উপাদান বহন করে। আজকের বিজ্ঞান আমাদের বলছে এই উপাদানগুলো মাটিতে বিদ্যমান।
প্রশ্ন: আমাদের শরীর দেখে কি মাটি মনে হয়?তাহলে কোরআনে মাটি থেকে মানুষের সৃষ্টি কথাটা ভুল নয়কি?
বুঝাই যাচ্ছে বিজ্ঞান সম্পর্কে তার সাধারন জ্ঞানটুকুও নেই।এমনকি তার কমন সেন্সেরও যথেষ্ট অভাব আছে বলেই আমার মনে হয়।আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম ভাই কয়লা আর হীরা কি এক? না।
আপনি কি জানেন অনেক অনেক দিন পরে বিভিন্ন ঘাতপ্রতিঘাতে কয়লাই একসময় হীরাতে পরিনত হয়ে যায়?কয়লা আর হীরার উপাদান একই।যতই আপনার চোখে এটা ভিন্ন মনে হোকনা কেন।
প্রশ্ন: কোরআন কোথাও বলছে মাটি থেকে, কোথাও বলছে ধনধনে মাটি বিষয়টা আসলে কি ?
এ বিষয়ে ব্যাখ্যা-
যখন মাটি বা ধুলোতে পানি দেয়া হয় তখন সেটা কাদায় পরিণত হয়, আর সে কাদাকে রোদে রেখে দিলে এটা শুষ্ক মাটিতে পরিনত হয়ে যাবে। মানুষ মাটি থেকেই এসেছে। আবার বলা যায় মাটিকে সিক্ত করার পর শুকিয়ে ঠনঠনে করে সেখান থেকে মানুষের সৃষ্টি। এতে কোন অসামঞ্জস্যতা নেই।
ধরুন আমি পাউরুটি খাচ্ছি। একজন বিজ্ঞানী এসে বলল আমি যা খাচ্ছি সেটা হচ্ছে অনু, আরেকজন বলল পরমানু।আরেক এসে বলল এটা কোয়ার্ক। এতে অসামঞ্জস্যতার কিছু নেই।
মানুষ মাটির উপাদানে তৈরী। শুক্রানু ও ডিম্বানুর মিলনে একটা পর্যায়ে আলাকার সৃষ্টি হয়। এ আলাকার থেকেই ক্রমান্বয়ে মানবরূপ পূর্নভাবে বিকাশ লাভ করে। তাই যারা এ ক্ষেত্রে কুরআনে অসামঞ্জস্যতা প্রমানের চেষ্টা করছে তারা মূলত বিজ্ঞান থেকে দূরে এবং এ কাজে তারা সম্পূর্ন ব্যর্থ।
আল্লাহই সর্বজ্ঞানী।
কোরান রমরমা চটিবই এটা ১০০% সত্য
ReplyDeleteقَالُوۡا بَلٰی قَدۡ جَآءَنَا نَذِیۡرٌ ۬ۙ فَکَذَّبۡنَا وَ قُلۡنَا مَا نَزَّلَ اللّٰہُ مِنۡ شَیۡءٍ ۚۖ اِنۡ اَنۡتُمۡ اِلَّا فِیۡ ضَلٰلٍ کَبِیۡرٍ ﴿۹﴾
Deleteতারা বলবেঃ অবশ্যই আমাদের নিকট সতর্ককারী এসেছিল, আমরা তাকে মিথ্যাবাদী গণ্য করেছিলাম এবং বলেছিলামঃ আল্লাহ কিছুই অবতীর্ণ করেননি, তোমরাতো মহা বিভ্রান্তিতে রয়েছ।
وَ قَالُوۡا لَوۡ کُنَّا نَسۡمَعُ اَوۡ نَعۡقِلُ مَا کُنَّا فِیۡۤ اَصۡحٰبِ السَّعِیۡرِ ﴿۱۰﴾
এবং তারা আরও বলবেঃ যদি আমরা শুনতাম অথবা বিবেক-বুদ্ধি প্রয়োগ করতাম তাহলে আমরা জাহান্নামবাসী হতামনা।
সূরা: মুলক
আয়াত: ৯-১০
জারজ !তোদের জন্মদাতা কে ছিল তা দেখছিলি কি?
Delete���� আল্লা ফাক নিজের কথাই নিজে ভুলে যেতেন।
ReplyDeleteকিন্তু প্রকৃতপক্ষে মানুষ সৃষ্টি হয়েছে আমার দাদার পায়খানা মোবারক হতে।
কারন পায়খানার মধ্যে পানি আছে। আর বিজ্ঞান প্রমান করেছে যে মানুষের শরীরের প্রায় ৭০% পানি।
তাছাড়া মানুষ তৈরির অন্যান্য জৈব উপাদান ও পায়খানার মধ্যে বিদ্যমান, তাই আমার পবিত্র ধর্মগ্রন্থ কুঃকুকান যখন বলে মানুষ পায়খানা থেকে সৃষ্টি হয়েছে তখন তাই সঠিক।
ভুল ভাল ব্যাখ্যা করেছে কোন কথা যুক্তি সঙ্গত না
ReplyDeleteসহমত, ওতো জারোজ, এর ছেয়ে ভাল কি করে বলতে পারে?
Delete
ReplyDeleteقَالُوۡا بَلٰی قَدۡ جَآءَنَا نَذِیۡرٌ ۬ۙ فَکَذَّبۡنَا وَ قُلۡنَا مَا نَزَّلَ اللّٰہُ مِنۡ شَیۡءٍ ۚۖ اِنۡ اَنۡتُمۡ اِلَّا فِیۡ ضَلٰلٍ کَبِیۡرٍ ﴿۹﴾
তারা বলবেঃ অবশ্যই আমাদের নিকট সতর্ককারী এসেছিল, আমরা তাকে মিথ্যাবাদী গণ্য করেছিলাম এবং বলেছিলামঃ আল্লাহ কিছুই অবতীর্ণ করেননি, তোমরাতো মহা বিভ্রান্তিতে রয়েছ।
وَ قَالُوۡا لَوۡ کُنَّا نَسۡمَعُ اَوۡ نَعۡقِلُ مَا کُنَّا فِیۡۤ اَصۡحٰبِ السَّعِیۡرِ ﴿۱۰﴾
এবং তারা আরও বলবেঃ যদি আমরা শুনতাম অথবা বিবেক-বুদ্ধি প্রয়োগ করতাম তাহলে আমরা জাহান্নামবাসী হতামনা।
সূরা: মুলক
আয়াত: ৯-১০
এখানে নিজের ভাষায় তোমার মতো মূর্খের সাথে নোংরা তর্কে লিপ্ত হবো হবো না শুধু বলছি, অনতি বিলম্বে পোষ্ট টা ডিলিট কর, বে-ঈমান !
বিজ্ঞান বলেছে মানুষ সৃষ্টি হয় ২৩ টি ভ্রুন থেকে । এবার চোখ মিলে দেখো নাস্তিক কোরআন কি বলে ? কোরআনের ৫৩ নং সূরা আন-নজমের ৩২ নং আয়াতে আল্লাহ ভ্রুন শব্দকে اجننة আজিন্নাতু শব্দে উল্লেখ করেছেন । নাস্তিক ভাই এবার একটু গনিতের দিকে নজর দাও । আরবি সরল সরল বর্ণমান অনুযায়ী اجننة আর জিন্নাতুন শব্দের ا হচ্ছে আরবি বর্ণ মালার ১ নং বর্ণ,ج হচ্ছে আরবি বর্ণমালার ৫ নং বর্ণ,দুটি ن ن হচ্ছে আরবি বর্ণমালার ২৫+২৫ নং বর্ণ এবং শব্দটির শেষ বর্ণ ة হচ্ছে আরবি বর্ণমালার ৩ নং বর্ণ । এবার ভ্রুন এর আরবি শব্দ اجننة এর সবকটি হরফের এর ক্রমিকমানকের সংখ্যাগুলোর পাশাপাশি যোগফল হয় ا১,ج৫,ن২৫+ن২৫,ة৩ এর ১+৫+২+৫+২+৫+৩=২৩ । জোহান আল্লাহ । ওরে ভাই ভাই কানা নাস্তিক । বিজ্ঞানের ভ্রুন গবেষণার ২৩ কোরআনে এলো কেমন করে । কোরআন নিয়ে বাজে মন্তব্য করোনা । কোরআন আল্লাহর বানী । কোন মানব রচিত গ্রন্থ নয় । আশা করি বুঝতে পেরেছো ।
ReplyDeleteজ্ঞানপাপীদেরকে কিছু বোঝানো যাবেনা। এদের জন্যে আল্লাহর বিচার অপেক্ষা করছে।
ReplyDelete