আগের পর্বগুলোতে দেখানো হয়েছে কুরআন ভূলে ভরা । আর এই ভূলে ভরা কুরআন কোন অতি ক্ষমতাবান সৃষ্টিকর্তা লেখেনি বরং কুরআন কোন এক স্বাধারণ মানুষ লিখেছে । আর এই পর্বেও দেখাবো কুরআন কোন এক স্বাধারণ মানুষ লিখেছে ।
গত পর্বে দেখিয়েছি কুরআনে মানুষের সৃষ্টি
নিয়ে বিজ্ঞান বিরোধী কথা বলা হয়েছে । এ পর্বে দেখাবো কুরআন মানুষের জন্মগ্রহন পদ্ধতি সম্পর্কে বিজ্ঞান
বিরোধী কথা বলেছে । এর দ্বারা প্রমানিত হয়েছে কুরআন কোন এক স্বাধারণ মানুষের লেথা গ্রন্থ ।
কুরআনের সুরা আলাক-এর ২ নাম্বার আয়াতে বলা
হয়েছে,
"সৃষ্টি করেছেন মানুষকে রক্তপিন্ড হতে ।"
এটা সম্পুর্ন একটা বিজ্ঞান বিরোধী কথা । মানুষের জন্ম কখনই
রক্তপিন্ড থেকে হতে পারে না । রক্তপিন্ড থেকে মানব শিশু জন্ম নেওয়া নেহায়েত কাল্পনিক এবং অবাস্তব
ব্যাপার । শুক্রানু এবং ডিম্বানু নিষিক্ত হয়ে মানব ভ্রুন তৈরী হয় । এবং এই ভ্রুন তৈরীর অনেক পরে তৈরী হয় রক্ত
এবং রক্ত সঞ্চালন প্রক্রিয়া তথা হৃৎপিন্ড । কিন্তু কুরআনে বলা হয়েছে, আল্লাহ মানুষকে রক্তপিন্ড থেকে সৃষ্টি করেছে
। যেটা শুধু অবৈজ্ঞানিকই
নয় উপরন্তু অবাস্তব এবং অসম্ভব ।
কুরআনে আরো বলা হয়েছে,
সুরা তা'রিক, আয়াত ৫,৬ ও ৭
"সুতরাং মানুষের লক্ষ করা উচিত যে, তাকে কিসের দ্বারা
সৃষ্টি করা হয়েছে ।"
"তাকে সৃষ্টি করা হয়েছে প্রবল বেগে নিঃসৃত পানি হতে,"
"যা বের হয় পিঠ ও বুকের হাড়ের মধ্য হতে ।"
এখানে প্রবল বেগে নিঃসৃত পানি বলতে পুরুষের
শুক্রানুকে বুঝানো হয়েছে । কিন্তু শুক্রানু মোটেও পিঠের হাড় বা বুকের হাড় অথবা মেরুদন্ডের
হাড় থেকে নিঃসৃত হয় না । শুক্রানু নিঃসৃত হয শুক্রাশয় অর্থাৎ মানুষের অন্ডকোষ থেকে । আর অন্ডকোষ এর সাথে
বুকের, পিঠের বা মেরুদন্ডের হাড়ের কোন সম্পর্ক নেই । আর হাড় থেকে কখনই শুক্রানু নিঃসৃত হতে পারে
না । শুক্রানু তৈরী হয় শুক্রাশয়
তথা অন্ডকোষে । আর তাই কুরআনের দ্বাবী 'শুক্রানু তৈরী হয় পিঠ ও বুকের হাড় থেকে' এটা শুধু মিথ্যে এবং
ভূলই নয় এমনকি এটা অসম্ভব ও অবাস্তব । কুরআন এখানে স্পষ্টতই ভূল এবং মিথ্যে কথা বলছে যেটা সম্পুর্ন
অবৈজ্ঞানিক ।
মানুষের বংশগতি বা মানবসন্তান জন্ম নেওয়ার
পদ্ধতি কুরআনে অদ্ভুদ ভাবে বর্ণনা করা হয়েছে যার সাথে বাস্তবতার কোন মিল নেই ।
সুরা সাজদাহ্-এর ৮ নাম্বার আয়াতে বলা হয়েছে,
"অতঃপর তার বংশ উৎপন্ন করেছেন তুচ্ছ তরল পদার্থের নির্যাস থেকে
।"
এখানে শুক্রানুর কথা বলা হয়েছে অর্থাৎ মানুষের
বংশ উৎপন্ন হয় শুক্রানু থেকে ।
সুরা নাজম, আয়াত ৪৫,৪৬
"আর তিনিই সৃষ্টি করেন জোড়ায় জোড়ায় পুরুষ ও নারী,"
"শুক্র বিন্দু হতে যথন তা নিক্ষেপ করা হয়,"
অর্থাৎ পুরুষ ও নারী তথা মানুষ তৈরী হয় শুক্রানু
থেকে ।
সুরা দাহর (সুরা ইনসান), আয়াত ০২
"আমি তো মানুষকে সৃষ্টি করেছি সংমিশ্রিত শুক্র বিন্দু হতে, তাকে পরীক্ষা করবো, এই জন্যে আমি তাকে
শ্রবণ ও দৃষ্টিশক্তি দিয়েছি ।"
অর্থাৎ আল্লাহ মানুষকে শুক্রানু থেকে সৃষ্টি
করেছে ।
সুরা আ'বাসা, আয়াত ১৯
"শুক্র বিন্দু হতে তিনি তাকে সৃষ্টি করেন, পরে তার তাকদীর নির্ধারণ
করেন,"
অর্থাৎ আল্লাহ মানুষকে শুক্র থেকে সৃষ্টি
করে ।
সুরা নাহল, আয়াত
"তিনি শুক্র হতে মানুষ সৃষ্টি করেছেন; অথচ দেখো, সে প্রকাশ্য বিতন্ডাকারী
!"
অর্থাৎ আল্লাহ মানুষকে শুক্রানু থেকে সৃষ্টি
করেছে ।
সুরা কিয়ামাহ্, আয়াত ৩৭, ৩৮ ও ৩৯
"সে কি নিক্ষিপ্ত শুক্রবিন্দু ছিল না ?"
"অতঃপর সে রক্তপিন্ডে পরিনত হয় । তারপর তাকে আকৃতি দান করেন এবং সুঠাম করেন
।"
"তারপর তিনি তা হতে সৃষ্টি করেন জোড়া জোড়া পুরুষ ও নারী ।"
অর্থাৎ পুরুষের শুক্রবিন্দু নিক্ষিপ্ত হয়ে
মায়ের দেহে প্রবেশ করে । এরপর এই শুক্রবিন্দুকে বা শুক্রানুকে রক্তপিন্ডে পরিনত করা হয়
। এবং এই রক্তপিন্ডকে
আকৃতি দেয়া হয় মানব শিশুরুপে । অর্থাৎ শুক্রানুকে প্রথমে রক্তপিন্ডে পরিনত করা হয় এবং এরপর
একে মানব আকৃতি দেওয়া হয় । কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে
শুক্রানু কখনই রক্তপিন্ডে পরিনত হয় না । এটা সম্পূর্ন অবাস্তব এবং বিজ্ঞান বিরোধী ।
সুরা মু'মিন, আয়াত ৬৭
"তিনিই তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন মাটি হতে, পরে শুক্রবিন্দু হতে, তারপর রক্তপিন্ড হতে, তারপর তোমাদেরকে বের
করেন শিশুরুপে, অতঃপর যেন তোমরা উপনীত হও যৌবনে, তারপন হও বৃদ্ধ ।"
অর্থাৎ আল্লাহ মানুষকে প্রথমে মাটি থেকে সৃষ্টি
করেছে, এরপর শুক্রবিন্দু থেকে, তারপর রক্তপিন্ড হতে, তারপর শিশুরুপে বের করে ।
সুরা হাজ্জ, আয়াত ০৫
"হে মানুষ! পুনরুত্থান সম্বন্ধে যদি তোমরা সন্দিহান হও তবে
(অনুধাবন কর) আমি তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছি মৃত্তিকা হতে, তারপর শুক্র হতে, তারপর রক্তপিন্ড হতে, তারপর পূর্ণাকৃতি বা
অপূর্ণাকুতি মাংসপিন্ড হতে; তোমাদের নিকট ব্যক্ত করবার জন্যে; আমি যা ইচ্ছা করি তা
এক নির্দিষ্ট কালের জন্যে মাতৃগর্ভে স্থিত রাখি, তারপর আমি তোমাদেরকে শিশুরুপে বের করি, ..."
অর্থাৎ আল্লাহ প্রথমে মানুষকে মাটি থেকে তৈরী
করেছে, তারপর বংশ তৈরী করেছে শুক্রানু থেকে, তারপর রক্রপিন্ড হতে, তারপর মাংসপিন্ড হতে; এরপর মায়ের গর্ভে কিছুকাল
রেখে তারপর শিশুরুপে বের করেন ।
সুরা মু'মিনুন, আয়াত ১২,১৩ ও ১৪
"আমি তো মানুষকে সৃষ্টি করেছি মৃত্তিকার মূল উপাদান হতে ।"
"অতঃপর আমি ওকে শুক্রবিন্দু রুপে স্হাপন করি এক নিরাপদ আঁধারে
।"
"পরে আমি শুক্রবিন্দুকে পরিণত করি রক্তপিন্ডে, অতঃপর রক্তপিন্ডকে
পরিণত করি গোশতপিন্ডে এবং গোশতপিন্ডকে পরিণত করি হাড়সমূহে; অতঃপর হাড়সমূহকে ঢেকে
দিই গোশত দ্বারা; অবশেষে ওকে গড়ে তুলি অন্য এক সৃষ্টিরুপে; অতএব সর্বোত্তম স্রষ্টা
আল্লাহ কত মহান !"
অর্থাৎ আল্লাহ প্রথমে মানুষকে মাটি দিয়ে সৃষ্টি
করেছে । তারপর মানুষের বংশধর সৃষ্টি করেছে শুক্রবিন্দু থেকে । আল্লাহ শুক্রবিন্দুকে মাতৃগর্ভে স্হাপন করে
। তারপর সেই শুক্রবিন্দুকে
পরিণত করে রক্তপিন্ডে, তারপর সেই রক্তপিন্ডকে মাংসপিন্ডে পরিনত করে, তারপর ওই মাংসপিন্ডকে
হাড়ে পরিণত করে এবং তারপর সেই হাড়সমূহকে মাংস দ্বারা ঢেকে দেয় ।
অর্থাৎ আল্লাহর মানব শিশু সৃষ্টি প্রণালীটি
হচ্ছে, শুক্রানু মায়ের গর্ভে প্রথমে রক্তে পরিণত হয় । তারপর সেই রক্ত থেকে মাংস তৈরী হয় । এরপর এই মাংস আবার
হাড়ে পরিণত হয় । এবং শেষে হাড়গুলো মাংস দ্বারা ঢেকে দেয় । সবশেষে একে মানব শিশুরুপে পরিনত করে ।
সহজ করে বললে আল্লাহর মানব শিশু তৈরীর পদ্ধতি
হচ্ছে - প্রথমে শুক্রানুর মাতৃগর্ভে প্রবেশ, তারপর সেই শুক্রানুর মাংসে রুপান্তর, তারপর ওই মাংসের হাড়ে
রুপান্তর এবং শেষে সেই হাড়ের চারপাশে অন্য জায়গা থেকে মাংস এনে হাড়কে ঢেকে দেওয়া । সবশেষে তাকে মানব শিশুরুপে তৈরী করা ।
কুরআনে আল্লাহ বলছে, প্রথমে শুক্রানু রক্তে, পরে সেটা মাংসে, তারপর হাড়ে পরিণত হয়
এবং তারপর মাংস হাড়কে ঢেকে দেয় । এই মাংশ আসে অন্য কোন জায়গা থেকে ।
কিন্তু বিজ্ঞান কি বলে ?
বিজ্ঞান বলে শুক্রানু মায়ের দেহে প্রবেশ করে
এবং ডিম্বানুর সাথে মিলিত হয়ে মানব ভ্রুন তৈরী হয় । আর এই ভ্রুন রক্ত নয় । আসলে ভ্রুনে তখনও রক্ত
তৈরী হয়না । এই ভ্রুন কোষ বিভাজন করতে থাকে মাইটোসিস কোষ বিভাজনের মাধ্যমে (এক কোষ থেকে দুই কোষ, দুই কোষ থেকে চার কোষ এবং চার কোষ থেকে আট কোষ এভাবে) ।
মাংসপেশী এবং তরুনাস্থি তৈরী হয় হাড় গঠনের
আগেই । আর একই সময়ে শিরা-উপশিরাও
তেরী হয় । দুই মাস পরে ভ্রুনের শরীরে ক্যালসিয়াম ছড়ানো শুরু করে । এই সময়ে ভ্রুন পেশীগুলো নাড়াচাড়া করতে পারে । গর্ভধারনের দুই মাস
পরে পাজরের তরুনাস্থি তৈরী হয়, হাড় নয় । সেখানে মাংস পেশীও থাকে । এই সময়ে হাড়ও তৈরী হতে থাকে ক্যালসিয়াম জমা
হয়ে । তখন ভ্রুন মাংসপেশী
নাড়াতে পারে ।
ক্যালসিয়াম জমা সম্পুর্ন হলে হাড় তৈরী হয়
।
যখন অস্থিমজ্জা তৈরী হয় তখন এর চারপাশে মাংসপেশী তৈরী হতে থাকে । অর্থাৎ হাড় তৈরী হবার
সাথে সাথে মাংস তৈরী হতে থাকে ।
ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ হাড় তৈরী হবার পর তার চারপাশে
মাংসপেশী তৈরী হয় না । বাস্তবে হাড় তৈরী হবার কয়েক সপ্তাহ আগেই মাংসপেশী তৈরী হয় ।
কিন্তু কুরআনে বলা হয়েছে প্রথমে শুক্রানু
রক্তপিন্ডে পরিণত হয়, তারপর এই রক্তপিন্ড পরিণত হয় মাংসপিন্ডে, পরে এই মাংসপিন্ডই
পিরণত হয় হাড় বা কংকালে । এবং এই হাড়গুলোর চারপাশে মাংসপেশী জমা হতে থাকে যেটা আসে বাইরে
থেকে বা মায়ের দেহ থেকে ।
অর্থাৎ কুরআন মতে, প্রথমে হাড় তৈরী হয়
এবং পরে মাংস তৈরী হয় । যেটা সম্পূর্ন অবাস্তব ও মিথ্যা ।
বাস্তবতা হচ্ছে প্রথমে মাংসপেশী তৈরী হতে
থাকে এবং এরপরে মাংসপেশী তৈরীর সাথে সাথে হাড় তৈরী হয় ।
অর্থাৎ কুরআনে বর্নিত মানব শিশু তৈরীর বর্ণনা
সম্পুর্ণ মিথ্যা, অবাস্তব এবং অবৈজ্ঞানিক । কুরআন মানব শিশু তৈরীর পদ্ধতি সম্পর্কে সম্পূর্ণ
ভুল কথা বলেছে ।
কুরআনের লেখক আসলে জানতো না যে, কিভাবে মানব শিশু মায়ের দেহে তৈরী হয় এবং বেড়ে উঠে । অর্থাৎ আল্লাহ মানব শিশু তৈরীর সম্পর্কে সম্পুর্ন
অজ্ঞ ছিল ।
কুরআনে কেন এমন অসত্য, অবাস্তব এবং অবৈজ্ঞানিক
কথা লেখা আছে সেটা বুঝা যায় দুই হাজার বছর বা এক হাজার বছর আগের মানুষের
'মানব শিশু তৈরীর প্রক্রিয়া' সম্পর্কে ধ্যান ধারনা কেমন ছিল সেটা জানার পর ।
হিপুক্রেটাস, এরিস্টটল এবং গ্যালেন
প্রভৃতি ব্যাক্তি মনে করতো মানব শিশু তৈরী হয় পুরুষ শুক্রানু এবং মায়ের রক্ত মিলিত
হওয়ার মাধ্যমে ভ্রুন তৈরী হয়ে । এরপর তৈরী হয় মাংসপেশী । এরপর তৈরী হয় হাড় । এবং তারপর হাড়ের চারপাশে মাংসপেশী তৈরী হয়
।
অর্থাৎ শুক্রানু এবং রক্ত মিলিত হয়ে মাংসপেশী
তৈরী করে । এরপর হাড় তৈরী হয় । এবং শেষে হাড়ের চারপাশে মাংসপেশী তৈরী হয় ।
কুরআনের নবী মুহাম্মদ ছিল একজন প্রাতিষ্ঠানিক
শিক্ষা বঞ্চিত একজন স্বাধারণ মানুষ । আর তাই সে মানব তৈরীর এই প্রাচীন ধারনাগুলো সম্পর্কে যদিও জানতো
তবুও সে ভালো করে বুঝতে পারেনি । ফলে এই ধারনাটাই যখন কুরআনে বর্ণিত হয়েছে তখন মানব তৈরীর ওই
ধাপগুলো বর্নিত হয়েছে একটু পরিবর্তিত রুপে । ফলে কুরআনের লেখক কুরআনে বলেছে প্রথমে শুক্রানু
মায়ের দেহে প্রবেশ করে এবং রক্তে পরিণত হয় । পরে এই রক্তই মাংসে পরিনত হয় । তারপর এই মাংসই হাড়ে পরিণত হয় । এবং শেষে হাড়ের চারপাশে
মাংস জমা হয়ে মানব শিশু তৈরী হয় ।
অর্থাৎ মানব শিশু তৈরীর এই ভুল পদ্ধতিটিই
কুরআনে বর্ননা করা হয়েছে যেটা প্রাচীন মানুষের ভূল ধারনা থেকে নেওয়া হয়েছে ।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে কুরআন যদি কোন সৃষ্টিকর্তা
দ্বারা রচিত হতো যে কিনা সর্বজ্ঞানী তবে কেন এরকম একটা ভূল, মিথ্যা, অবাস্তব এবং অবৈজ্ঞানিক
কথা বলা হল ? কুরআনে মানব শিশু তৈরী সম্পর্কে এই স্পষ্ট ভূল থেকে এটাই প্রমানিত হয় যে কুরআন
কোন অতিবুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন কোন সৃষ্টিকর্তা সৃষ্টি করেনি বরং কুরআন কোন এক স্বাধারণ
মানুষ লিখেছে ।
যেহেতু কুরআনের বাণী মুহাম্মদের মুখ থেকে
বর্ণিত হয়েছে তাই এটা মুহাম্মদেরই বাণী । এবং মুহাম্মদের মত প্রাতিষ্ঠিনিক শিক্ষা বঞ্চিত মানুষের দ্বারাই
প্রাচীন কালের মানুষের ভূল ধারনা ভূল ভাবে উপস্থাপন করা সম্ভব ।
অর্থাৎ কুরআন আর কেউ নয় মুহাম্মদই লিখেছে
। মুহাম্মদ কুরআনের আয়াত
তৈরী করে সবার কাছে বলেছে এবং সাহাবিরা সেগুলো লিখেছে ।
অর্থাৎ কুরআন আল্লাহর বাণী নয়, কুরআন মুহাম্মদের বাণী
। (প্রমানিত)
( বি.দ্র.: কুরআনে মাবন সৃষ্টির সবগুলো আয়াতে
বলা হয়েছে পুরুষের শুক্রানু থেকে মানব শিশু তৈরী হয় । কিন্তু কোথাও নারীর ডিম্বানুর কথা বলা হয়নি
। সব জায়গায় বলা হয়েছে
মানুষকে শুক্রানু এবং রক্ত থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে । মুহাম্মদ ভেবেছিল মানব শিশু জন্মায় পুরুষের
শুক্রানু এবং নারীর রক্ত মিলিত হয়ে । আর তাই কুরআনে বারবার শুক্রানু এবং রক্তপিন্ড বা জমাট রক্তের
কথা বলা হয়েছে । শুক্রানু এবং রক্ত মিলিত হয়ে মানব শিশুর জন্ম পদ্ধতির কথা বলেছে এরিস্টটল এবং গ্যালেন
। আর এই তথ্যটি মুহাম্মদ
জেনেছিল । ফলে এই কথাটিই কুরআনে উল্লেখ করেছে বারবার ।
কুরআনে বলা হয়েছে, মানব শিশু জন্ম নেয়
শুক্রানু এবং রক্তের মাধ্যমে যেখানে নারীর ডিম্বানুর কোন ভুমিকাই নেই । আর তাই কুরআনে বলা
হয়েছে, নারী-পুরুষ তথা মানুষ শুক্রানুর মাধ্যমেই
তৈরী হয় ।
আর এর দ্বারা এটাই প্রমানিত হয় মানব জন্ম
সম্পর্কে কুরআনের ভুল আসলে মুহাম্মদের দ্বারাই হয়েছে । মানে কুরআন লিখেছে মুহাম্মদ নিজে । কোন আল্লাহ বা সৃষ্টিকর্তা
নয় । )
No comments:
Post a Comment