Translate

Search This Blog

বিশেষ সতর্কবার্তাঃ

এই ব্লগটি নাস্তিক, অজ্ঞেয়বাদী, সন্দেহবাদী, মুক্তমনা এবং স্বাধীনচেতা মানুষদের জন্য। যারা যেকোন বিষয়ের সমালোচনা সহ্য করার মত ক্ষমতা রাখে। যদি কোন ধার্মিক, গোড়া ধার্মিক আস্তিক এই ব্লগটিতে আসে তবে তার ধর্মানুভূতি নামের অদ্ভূত দূর্বল অনিভূতি আঘাতপ্রাপ্ত হলে ব্লগ লেখক দায়ী থাকবে না। ধার্মিক, গোড়া ধার্মিক আস্তিকদের নিজ দায়িত্বে তাদের দূর্বল ধর্মানুভূতিকে সংরক্ষনের দায়িত্ব নিতে হবে। কারো ধর্মানুভূতি নামের অযৌক্তিক অনুভূতি আহত হবার জন্য কোন ক্রমেই ব্লগার বা লেখককে দায়ী করা যাবে না। যদি কোন অতি দুর্বল ধর্মানুভূতি সম্পন্ন ব্যাক্তি এই ব্লগে ভূল করে ঢুকে পরেন এবং তিনি তার অনুভূতিকে দূর্বল ভাবেন অর্থাৎ যিনি তার ধর্মের উপযুক্ত সমালোচনা সহ্য করতে অপারগ, তাকে বিনীত ভাবে এই ব্লগটি থেকে প্রস্থান করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। এর পরেও যদি কোন দূর্বল ধর্মানুভূতি সম্পন্ন ব্যাক্তি এই ব্লগটিতে ঘুরাফেরা করেন এবং তার ফলে তার দূর্বল ধর্মানুভূতিতে আঘাত প্রাপ্ত হন তবে কোন ক্রমেই এবং কোন ক্রমেই ব্লগের মালিক, 'আমি নাস্তিক' দায়ী থাকবে না।

Saturday, September 20, 2014

আস্তিকের সাথে নাস্তিকের আলোচনা : কোন সৃষ্টিকর্তা আছে কী ?


আস্তিকের সাথে নাস্তিকের আলোচনা :

আস্তিক :- আপনি কোথা হতে এসেছেন মানে আপনার জন্ম হয়েছে কোথা থেকে ??
নাস্তিকঃ  আমার বাবা মার কাছ থেকে
আস্তিক - ok ঠিক আছে,তাহলে আপনার
বাবা মা??
নাস্তিকঃ ভাই, সহজ কথা, আমার
বাবা মা তাদের বাবা মায়ের কাছ থেকে এসেছে,
আবার তাদের বাবা মা উনাদের বাবা মায়ের
কাছে থেকে...............l
আস্তিক :- তার মানে সবাই তাহলে একটা পূর্বতমপুরুষ
এবং একটা পূর্বতম-নারী থেকে সৃষ্টি হয়েছে,তাহলে তাদের
পূর্বতম ২ জনকে কে সৃষ্টি করল??
নাস্তিকঃ - ভাই প্রকৃতি থেকে সেই
২জন সৃষ্টি হয়েছে ?
আস্তিক:-তাহলে প্রকৃতি কে সৃষ্টি করেছে????
নাস্তিকঃ ভাই প্রকৃতিকে কেউ সৃষ্টি করে নাই
আস্তিক :- তাহলে প্রকৃতি আসলো কিভাবে ??
নাস্তিক:- প্রকৃতিকে আসতে হয়নি ওটা আগে থেকেই ছিল l

আস্তিক:- সেটা কিভাবে হয় কোন কিছুইতো এমনি এমনি সৃষ্টি হতে পারে না l প্রত্যেক জিনিসেরই কোন না কোন সৃষ্টিকর্তা লাগে l সৃষ্টিকর্তা ছাড়া কোন কিছু সৃষ্টি হওয়া অসম্ভব l
নাস্তিক :- তাহলে আপনি বলছেন যে প্রকৃতিকে সৃষ্টি করেছে কোন এক সৃষ্টিকর্তা ?
আস্তিক:- হ্যা হ্যা ঠিক তাই !
নাস্তিক :- কিন্তু আপনিতো বলেছেন সব কিছুরই একজন সৃষ্টিকর্তা আছে তাহলে সেই সৃষ্টিকর্তারও নিশ্চই একজন সৃষ্টিকর্তা আছে ?
আস্তিক :- সেরকমই তো মনে হচ্ছে !
নাস্তিক:- তাহলে আবার সেই সৃষ্টিকর্তারও একজন সৃষ্টিকর্তা আছে ?
আস্তিক :- সেরকমই তো মনে হচ্ছে !
নাস্তিক :- আবার সেই সৃষ্টিকর্তারও একজন সৃষ্টিকর্তা থাকবে, এভাবে একটার পরে একটা সৃষ্টিকর্তা আসতেই থাকবে তাইতো ?
আস্তিক:- যুক্তিতে তো তাই বোঝা যাচ্ছে !
নাস্তিক :- তাহলে কি শুধু একজন সৃষ্টিকর্তা থাকা সম্ভব যদি একটার পর একটা সৃষ্টিকর্তা আসতেই থাকে ?
আস্তিক :- না তাহলেতো একজন সৃষ্টিকর্তা থাকলো না বহু সৃষ্টিকর্তা থাকলো !
নাস্তিক :- ঠিক সেরকম করে মানুষের কোন একজন নির্দিষ্ট পূর্বতম-পুরুষ এবং পূর্বতম-নারী বলে কিছু নেই ! মানুষ পৃথিবীতে অন্য কোন প্রাণী থেকে বিবর্তনের মাধ্যমে মানুষ হয়েছে ! এবং বংশগতির মাধ্যমে প্রকৃতিতে বেচে আছে !
আস্তিক :- তাহলে সেই অন্য প্রানীটা কোথা থেকে এসেছে ?
নাস্তিক:- সেটা এসেছে অন্য একটা প্রাণী থেকে বিবর্তিত হয়ে l

আস্তিক :- আবার তাহলে ওই অন্য প্রানীটা কোথা থেকে এসেছে ?
নাস্তিক :- ওই অন্য প্রানিটাও অন্য আরেকটা প্রাণী থেকে বিবর্তিত হয়ে এসেছে l এভাবে একটা প্রাণী থেকে অন্য আরেকটা প্রাণী বিবর্তিত হয়ে আজকের প্রাণী জগত তৈরী হয়েছে l মানুষ নিজেও একটা প্রাণী l আর তাই মানুষও অন্য কোন এক প্রাণী থেকে বিবর্তিত হয়ে এসেছে l
আস্তিক :- তাহলেতো সব প্রাণীর কোন না কোন পূর্বতম-প্রাণী থাকবে যে হবে একা অর্থাত একটা !
নাস্তিক :- ঠিক তাই ! সব প্রাণী এসেছে পূর্বতম একটা প্রাণী থেকে l আর সেই একটা প্রাণী কোন বড় প্রাণী ছিল না ! সেটা ছিল একটা এককোষী প্রাণী l  এই এককোষী প্রাণী পরে বিভাজিত হয়ে বহুকোষী প্রাণী সৃষ্টি হয়েছে l এবং এভাবেই একটা প্রাণী বিবর্তিত হয়ে অন্য প্রাণীতে পরিবর্তিত হয়ে বহু প্রজাতির প্রাণীজগত সৃষ্টি করেছে l
আস্তিক :- তাহলে সেই এককোষী প্রানীটা আসলো কোথা থেকে ?
নাস্তিক :- সেই এককোষী প্রানীটা তৈরী হয়েছে জৈব পদার্থ প্রোটিন থেকে আবার প্রোটিন তৈরী হয়েছে জৈব যৌগ এমাইনো এসিড থেকে l আবার এই এমাইনো এসিড তৈরী হয়েছে জড় পদার্থ কার্বন, হাইড্রুজেন এবং অক্সিজেন থেকে l এভাবেই জড় জগত থেকে জীব জগত সৃষ্টি হয়েছে l
আস্তিক :- তাহলে ওই জড় পদার্থ কার্বন, হাইড্রুজেন এবং অক্সিজেন কোথা থেকে আসলো ?
নাস্তিক:- এগুলো এসেছে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কনিকা ইলেকট্রন, প্রোটন ও নিউটন থেকে l এগুলো আবার তৈরী হয়েছে আলোক কনিকা ফোটন থেকে l
আস্তিক:- তাহলে এই ফোটন কোথা থেকে আসলো ?
নাস্তিক :- ফোটন তৈরী হয়েছে এনার্জি বা শক্তি থেকে l এই শক্তিই হচ্ছে প্রকৃতির একমাত্র উপাদান যেগুলোকে সৃষ্টি করা যায়না এবং ধ্বংসও করা যায়না l এরা প্রকৃতিতে সবসময় ধরে বিদ্যমান থাকে ! এগুলো সৃষ্টি হয়না আবার ধ্বংসও হয়না শুধু এক অবস্থা থেকে অন্য অবস্থায় রূপান্তর হয় কিন্তু কখনই ধ্বংশ হয় না l
আস্তিক:- ও তাহলে এই এনার্জি বা শক্তিগুলোই প্রকৃতিতে চিরদিন ধরে থাকে ? আর এরাই সব কিছু সৃষ্টি করে ?
নাস্তিক :- অনেকটা তাই !

আস্তিক :- তাহলে এরাই হচ্ছে সৃষ্টিকর্তা ?
নাস্তিক :- এদেরকে সৃষ্টিকর্তা বলা যায় কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এরাও সৃষ্টিকর্তা নয় l কারণ এগুলো নিজেরাই পরিবর্তিত হয়ে যায় l এবং এগুলোই পরিবর্তিত হয়ে সৃষ্টি করে এই বিশ্বজগত l তাই যদিও এরা সৃষ্টি করে তবুও এরা সৃষ্টিকর্তা নয় l কারণ এগুলো তো কোন কিছু সৃষ্টি করতে নিজেরাই রুপান্তরিত হয়ে যাচ্ছে ফলে কোন সৃষ্টিকর্তা অবশিষ্ট থাকছে না l তাই এগুলো সৃষ্টিকর্তা নয় l এরাই চিরদিন ছিল এবং এরাই চিরদিন থাকবে l
আস্তিক:- তাহলে এই বিশ্বজগতের কোন সৃষ্টিকর্তা নেই ?
নাস্তিক :- না; এই বিশ্বজগতের কোন সৃষ্টিকর্তা নেই l
আস্তিক :- তাহলে যে সবাই সৃষ্টিকর্তা সৃষ্টিকর্তা বলে চিত্কার করে আর নানা প্রমান উপস্থাপন করে সেগুলো তাহলে মিথ্যা ?
নাস্তিক:- হ্যা সেগুলো সব মিথ্যে কথা l যদি কোন কিছুর সৃষ্টিকর্তা থাকতেই হয় তবে সেই সৃষ্টিকর্তারও একজন সৃষ্টিকর্তা থাকতে হবে l ফলে আসলে কোন সৃষ্টিকর্তাই থাকবে না l আর তাই কোন সৃষ্টিকর্তা নেই বাস্তবে l যারা বলে সৃষ্টিকর্তা আছে তারা মিথ্যে কথা বলে অথবা না বুঝে বলে l
আস্তিক :- এবার আমি বুঝতে পেরেছি !


আর এভাবেই আস্তিক সত্যিটা বুঝতে পারে l সে বোকা আস্তিক থেকে বুদ্ধিমান নাস্তিকে পরিনত হয় l
তাই আসুন সব আস্তিক বুদ্ধিমান হয়ে জ্ঞানী নাস্তিকে পরিনত হয়ে যান !


No comments:

Post a Comment