হাহ্ হাহ্ হাহ্ ওহী বাণী ! সৃষ্টিকর্তার বাণী (পর্ব ১) । আমার উপর নাজিলকৃত ওহি বানী ।

আমার উপর নাজিলকৃত ওহি বানীটি হলো :
"আল মোরাল"
সুরা চ্যালেঞ্জের উত্তর
আয়াত ৫৯ :-
"ইহা এমন কিতাব যা লিপিবদ্ধ করা আছে; ফলে কোন শব্দও বিকৃত (পরিবর্তন) করা যাবে না l এবং ইহাই একমাত্র আমার (আল্লাহর) প্রেরিত বাণী যার অর্থ যে কেউ, যেকোন ভাবেই বিকৃতি, পরিবর্তন ও পরিমার্জন করতে পারে l এমন কি ইহার ব্যাখ্যা প্রদানে যে কেহ মনের মাধুরী মিশাতে পারবে l তথাপি আমি তোমাদিগকে শাস্তি প্রদান করি না l বস্তুত আমি পরম দয়াশীল; অসীম মার্জনাকারী l "

(এখানে উল্লেখ্য, উক্ত আয়াতটি আমার উপর নাজিল করা হয়েছে l আমার উপর কেন উক্ত আয়াতটি নাজিল করা হলো ভেবে পাচ্ছি না ! আমি কোন নবী না l অবশ্য আমার জানা মতে একজন নবী ফেসবুকে আছে l তার কাছে ওহি নাজিল হয় ! কিন্তু হঠাত করে আমার কাছে কেন ওহি নাজিল হলো বুঝতে পারছি না (তাও আবার গ্রন্থের নাম, সুরার নাম এবং আয়াত নাম্বার সহ) l আমার কি গুন আছে যে আমার উপর ওহি নাজিল করতে হবে ! সেটা মনে হয় পরওয়ার দেগারই ভালো জানেন !)


ব্যাখ্যা : উক্ত আয়াত অনুযায়ী আল্লাহ বলছেন তার কিতাবের আয়াতগুলোর একটি শব্দকেও বিকৃত করা যাবে না কারণ এগুলো গ্রন্থাকারে লিপিবদ্ধ করা আছে l ফলে এই বানিগুলোকে (লেখাগুলোকে) বিকৃত করা যাবে না l এর ব্যাখ্যায় বলা যায় যে লিখিত আকারে গ্রন্থের শব্দগুলো একই রকম থাকে l এগুলোকে বিকৃত করা যায় না কারণ এগুলো গ্রন্থে লিখিত থাকে l এর পরেই বলা হচ্ছে যে আল্লাহর এই বানিগুলোকে যে কেউ যেকোন ভাবে অর্থ করতে পারবে l এবং এই অর্থগুলো করার সময় যেকোন ধরনের বিকৃত (অর্থ বিকৃতি), পরিবর্তন (অর্থ পরিবর্তন) এবং পরিমার্জন (অর্থ পরিমার্জন) করতে পারবে l এখানে অর্থের বিকৃতি, পরিবর্তন এবং পরিমার্জন করার ক্ষমতা আল্লাহ মানুষকে দিয়েছেন l কিন্তু এই বানীগুলোর একটা শব্দের বিকৃতি, পরিবর্তন এবং পরিমার্জন করার ক্ষমতা আল্লাহ মানুষকে দেননি l শুধু অর্থের বিকৃতি, পরিবর্তন এবং পরিমার্জন করার ক্ষমতা আল্লাহ মানুষকে দিয়েছেন l

এমন কি মহান আল্লাহপাক মানুষকে এই বানীগুলোর (আল্লাহর বাণীর) ব্যাখ্যা প্রদানে মনের মাধুরী মিশিয়ে যেমন খুশি তেমন করার ক্ষমতাও দিয়েছেন l এরফলে মানুষ আল্লাহর বানীগুলোর যেমন খুশি অর্থ করার ক্ষমতা রাখে l আর মানুষ আল্লাহর বাণীর যেমন খুশি অর্থ করার পরেও আল্লাহ কাউকেই শাস্তি প্রদান করেন না l বস্তুত আল্লাহ পরম দয়াময় এবং অসীম মার্জনাকারী l

সৃষ্টিকর্তা কত মহান যে তার বাণীর যেমন খুশি অর্থ করার পরেও তিনি মানুষকে শাস্তি প্রদান করেন না l আর আমরা বর্তমানে দেখছি যে সব আলেমগণ আল্লাহর বাণীর যেমন খুশি তেমন অর্থ করছেন l এমনকি তারা মনের মাধুরী মিশিয়ে এই বানীগুলোর ব্যাখ্যা দিচ্ছেন l তবুও মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আমাদেরকে শাস্তি দিচ্ছেন না l আর এতেই প্রমান হয় আল্লাহ কত বড় মাপের দয়াময় এবং ক্ষমাশীল l
আর এটাই উক্ত আয়াত দ্বারা আল্লাহ প্রকাশ করেছেন এবং আমার কাছে তার এই মহান বাণী প্রেরণ করেছেন l

সবাই বলুন সুবাহান আল্লাহ l সমস্ত প্রসংসা তার !