Translate

Search This Blog

বিশেষ সতর্কবার্তাঃ

এই ব্লগটি নাস্তিক, অজ্ঞেয়বাদী, সন্দেহবাদী, মুক্তমনা এবং স্বাধীনচেতা মানুষদের জন্য। যারা যেকোন বিষয়ের সমালোচনা সহ্য করার মত ক্ষমতা রাখে। যদি কোন ধার্মিক, গোড়া ধার্মিক আস্তিক এই ব্লগটিতে আসে তবে তার ধর্মানুভূতি নামের অদ্ভূত দূর্বল অনিভূতি আঘাতপ্রাপ্ত হলে ব্লগ লেখক দায়ী থাকবে না। ধার্মিক, গোড়া ধার্মিক আস্তিকদের নিজ দায়িত্বে তাদের দূর্বল ধর্মানুভূতিকে সংরক্ষনের দায়িত্ব নিতে হবে। কারো ধর্মানুভূতি নামের অযৌক্তিক অনুভূতি আহত হবার জন্য কোন ক্রমেই ব্লগার বা লেখককে দায়ী করা যাবে না। যদি কোন অতি দুর্বল ধর্মানুভূতি সম্পন্ন ব্যাক্তি এই ব্লগে ভূল করে ঢুকে পরেন এবং তিনি তার অনুভূতিকে দূর্বল ভাবেন অর্থাৎ যিনি তার ধর্মের উপযুক্ত সমালোচনা সহ্য করতে অপারগ, তাকে বিনীত ভাবে এই ব্লগটি থেকে প্রস্থান করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। এর পরেও যদি কোন দূর্বল ধর্মানুভূতি সম্পন্ন ব্যাক্তি এই ব্লগটিতে ঘুরাফেরা করেন এবং তার ফলে তার দূর্বল ধর্মানুভূতিতে আঘাত প্রাপ্ত হন তবে কোন ক্রমেই এবং কোন ক্রমেই ব্লগের মালিক, 'আমি নাস্তিক' দায়ী থাকবে না।

Saturday, November 21, 2015

কোরআনের বর্ণনায় সমতল পৃথিবী - পর্ব ৬



 পর্ব ৫-এর পর থেকে



দ্বিতীয় অধ্যায়
পর্বতসমূহ এবং সমতল পৃথিবী

যারা কোরানের বর্ণনায় পৃথিবী সমতল প্রমানিত হবার পরেও তা মেনে নিতে চাইছে না তাদের জন্য আরো কিছু প্রমান এই অধ্যায়ে তুলে ধরেছি l
তাহলে চলুন দেখি কোরানে কি বলা হয়েছে !

(৮৪). সুরা আল ইনশিক্বাক্ব; আয়াত :
     "এবং যখন পৃথিবীকে সম্প্রসারিত করা হবে l"
      "এবং পৃথিবী তার গর্ভস্থিত সবকিছু বাইরে নিক্ষেপ করবে শূন্যগর্ভ হয়ে যাবে l"


(৮৪). সুরা আল ইনশিক্বাক্ব; আয়াত :
      "এবং পৃথিবীকে যখন সম্প্রসারিত করা হবে l"
      "এবং পৃথিবী তার অভ্যন্তরে যা আছে তা বাইরে নিক্ষেপ করবে এবং খালি হয়ে যাবে , " (অনুবাদ- প্রফেসর : মুহাম্মদ মুজিবুর রহমান)

(৮৪). সুরা আল ইনশিক্বাক্ব; আয়াত :
       "আর পৃথিবীকে যখন সমতল করা হবে, "
       "আর তার ভেতরে যা কিছু রয়েছে তা নিক্ষেপ করবে এবং শূন্যগর্ভ হবে, " (অনুবাদ:- : জহুরুল হক)

SURA (84) Inshiqaq
3. And when the earth is flattened out,
4. And casts forth what is within it and becomes [clean] empty, (Translation by Abdullah Yusuf Ali)
SURA (84) Al-INSHIQAQ
3. And when the earth is spread out
4. And hath cast out all that was in her, and is empty  (Translation by Mohammad Marmaduke Pickthal)

SURA (84) Inshiqaq
3. And when the earth has been extended
4. And has cast out that within it and relinquished [it] (Translated by Saheeh International)

এই আয়াত দুটিতে বলা হয়েছে যে যখন পৃথিবীকে সম্প্রসারিত করা হবে বা বিস্তৃত করা হবে অথবা সমতল করা হবে l এবং এটি তার ভিতরে যা কিছু আছে সেগুলো সব বাইরে নিক্ষেপ করবে l তারপর শূন্যগর্ভ হয়ে যাবে l
অর্থাত যখন পৃথিবীকে সম্প্রসারিত (বিস্তৃত) বা সমতল করা হবে তখন পৃথিবী তার ভিতরে রাখা সবকিছু বাইরে নিক্ষেপ করবে l
এখানে লক্ষ করুন বলা হয়েছে যে পৃথিবী সম্প্রসারিত বা সমতল করা হবে l মানে হচ্ছে পৃথিবী এখন যে অবস্থায় আছে তার থেকে আরো সম্প্রসারিত বা বিস্তৃত করা হবে l অথবা তাকে সমতল বা আরো সমতল করা হবে l আর এর ভিতরে যা কিছু আছে তা বাইরে ফেলে দিয়ে শূন্য বা খালি অথবা মসৃন সমতল হয়ে যাবে l

এই আয়াত দুটিতে কেয়ামতের কথা বলা হয়েছে l অর্থাত কেয়ামতের দিন পৃথিবী কেমন হবে সেটাই বলা হয়েছে l

তাহলে এখন প্রশ্ন হলো যে পৃথিবী তখন কেমন হয়ে যাবে ?  সব কিছু ফেলে দিয়ে পৃথিবী কি আকার ধারণ করবে ? আর এর ভিতরে কি কি সে ফেলে দেবে ?
এই প্রশ্নের উত্তর দেয়া আছে কোরানের অন্য কিছু আয়াতে l তাহলে সেই আয়াত গুলো দেখলেই বুঝা যাবে পৃথিবী কেমন সম্প্রসারিত বা সমতল হবে l

অনেক মুসলমান আস্তিক ভাইয়েরা এই আয়াত উল্লেখ করে বলে থাকে যে 'পৃথিবীকে সমতল করা হবে' মানে পৃথিবী বর্তমানে সমতল নেই l তারা বলতে চায় এই আয়াত দ্বারা কোরান বলছে বা প্রমান দিচ্ছে যে বর্তমান পৃথিবী সমতল নয় l অর্থাত কোরানে পৃথিবীকে সমতল বলা হয়নি l
কিন্তু তাদের ধারণা কত বড় ভুল সেটা এর পরের আয়াত গুলো দেখলেই বুঝতে পারবেন l উপরন্তু এই আয়াত দ্বারা আরোও ভালো ভাবে প্রমান দেওয়া হয়েছে যে বর্তমান পৃথিবী সমতল l
সেটা দেখতে পরের আয়াত গুলো লক্ষ করুন l

(৮১). সুরা আত-তাকভীর; আয়াত :
      "যখন পর্বতমালা অপসারিত হবে ,"

(৮১). সুরা আত-তাকভীর; আয়াত :
      "পর্বতসমূহকে যখন চলমান করা হবে, " (অনুবাদ- প্রফেসর : মুহাম্মদ মুজিবুর রহমান)
(৮১). সুরা আত-তাকভীর; আয়াত :
      "আর যখন পাহাড়গুলোকে অপসারণ করা হবে, "  (অনুবাদ:- : জহুরুল হক)

SURA 81. Takwir
3. When the mountains vanish [like a mirage]; (Translation by Abdullah Yusuf Ali)

SURA 81. AT-TAKWIR
3. And when the hills are moved, (Translation by Mohammad Marmaduke Pickthal)

এই আয়াতে বলা হয়েছে যে যখন পর্বত-মালা বা পাহাড়-পর্বতসমূহকে অপসারণ করা হবে বা চলমান করে সরিয়ে ফেলা হবে অথবা উচ্ছেদ করা হবে l (কেয়ামতের দিনে) l
অর্থাত এখানে বলা হচ্ছে যে কিয়ামতের দিন পাহাড়-পর্বতগুলোকে অপসারণ করা হবে বা সরিয়ে ফেলা হবে l
লক্ষ করুন এখানে বলা হচ্ছে যে কেয়ামতের দিন আল্লাহ পাহাড়-পর্বত সব অপসারিত করবেন l তাহলে দেখা যাচ্ছে যে আগের আয়াতে যে বলা হয়েছিল পৃথিবী তার গর্ভস্থিত সব নিক্ষেপ করে ফেলে দেবে সেগুলো হচ্ছে পাহাড়-পর্বত l অর্থাত কেয়ামতের দিন পৃথিবী তার উপরের পাহাড় পর্বতগুলো ফেলে দিয়ে বা অপসারিত করে সমতল হয়ে যাবে l

আবার আরেকটা আয়াত লক্ষ করি l

(১৮). সুরা আল কাহফ; আয়াত ৪৭ :
      "যেদিন আমি পর্বতসমূহকে পরিচালনা করবো এবং আপনি পৃথিবীকে দেখবেন একটি উন্মুক্ত প্রান্তর এবং আমি মানুষকে একত্রিত করবো, অতপর তাদের কাউকে ছাড়বো না l"

(১৮). সুরা আল কাহফ; আয়াত ৪৭ :
      "(স্মরণ কর, সেদিনের কথা) যেদিন আমি পর্বতকে করবো সঞ্চালিত এবং তুমি পৃথিবীকে দেখবে একটি শূন্য প্রান্তর; সেদিন তাদেরকে (মানুষকে) আমি একত্রিত করবো এবং তাদের কাউকেও অব্যাহতি দিব না l" (অনুবাদ- প্রফেসর : মুহাম্মদ মুজিবুর রহমান)

(১৮). সুরা আল কাহফ; আয়াত ৪৭ :
      "আর সেই দিনে আমরা পাহাড়গুলো হটিয়ে দেব, আর তুমি পৃথিবীকে দেখবে একটি খোলা ময়দান; আর আমরা তাদের একত্রিত করবো, তখন তাদের মধ্যের কোনো একজনকেও আমরা ফেলে রাখব না - " (অনুবাদ:- : জহুরুল হক)

SURA 18. Kahf
47. One Day We shall remove the mountains, and thou wilt see the earth as a level stretch, and We shall gather them, all together, nor shall We leave out any one of them.  (Translation by Abdullah Yusuf Ali)

SURA 18. Al-KAHF
47. And [bethink you of] the Day when we remove the hills and ye see the earth emerging, and We gather them together so as to leave not one of them behind. (Translation by Mohammad Marmaduke Pickthal)

এই আয়াতে বলা হয়েছে আল্লাহ সেই দিন (কেয়ামতের দিন) পাহাড়-পর্বতসমূহকে সঞ্চালন বা পরিচালিত করে এগুলোকে সড়িয়ে ফেলবেন l এবং তখন পৃথিবীকে একটা উন্মুক্ত প্রান্তর বা খোলা ময়দানের মত দেখা যাবে l এবং তখন আল্লাহ সমস্ত মানুষকে একত্রিত করবেন এমনকি কাউকেই বাদ দিবেন না l
অর্থাত আল্লাহ পৃথিবীর সব পাহাড় পর্বত সড়িয়ে ফেলবেন l আর তখন পৃথিবী একটি উন্মুক্ত প্রান্তর হয়ে যাবে l অথবা একটা খোলা ময়দান বা সমতল মাঠ হয়ে যাবে l তখন আল্লাহ সব মানুষকে একত্রিত করবেন l
এখানে লক্ষ করুন বলা হয়েছে যে কেয়ামতের দিন আল্লাহ পৃথিবীর সব পাহাড় পর্বতকে সড়িয়ে ফেলবেন বা অপসারিত করবেন l তার ফলে পৃথিবী খোলা প্রান্তর বা উন্মুক্ত ময়দান অথবা সমতল মাঠ হয়ে যাবে l অর্থাত পৃথিবী সমতল হয়ে যাবে পাহাড়-পর্বতকে অপসারণ করার ফলে l
সুতরাং সুরা আত-তাকভীর-এর নাম্বার আয়াতে পৃথিবী আসলে পাহাড় পর্বত সমূহকে সড়িয়ে ফেলবে সে কথাই বলা হয়েছে l

আবার এই আয়াতটিতে বলা হয়েছে যে আল্লাহ পাহাড়-পর্বতগুলো অপসারিত করার পর পৃথিবীকে উন্মুক্ত প্রান্তর বা খোলা ময়দান হিসেবে অথবা সমতল মাঠ হিসেবে দেখা যাবে l এর মানে হচ্ছে যে পৃথিবীতে পাহাড়-পর্বত থাকার ফলে এটি উন্মুক্ত বা খোলা জায়গা নয় l অর্থাত এটি উন্মুক্ত প্রান্তর বা খোলা মাঠের মত সমতল নেই কারণ এতে পাহাড়-পর্বত থাকায় এটি উচু-নিচু-খাদ বিশিষ্ট অর্থাত সমতল নয় l এবং আল্লাহ পাহাড়-পর্বত সরিয়ে ফেলে বা পৃথিবী থেকে পাহাড়-পর্বত দূর করে দিয়ে পৃথিবীকে পুরোপুরি খোলা প্রান্তর বা উন্মুক্ত ময়দান অথবা পুরোপুরি সমতল করবেন l তারমানে পৃথিবী বর্তমানে সমতল নয় শুধুমাত্র পাহাড়-পর্বত আছে বলেই l অর্থাত পৃথিবী বর্তমানে সমতলই কিন্তু পাহাড়-পর্বতের জন্য পুরোপুরি সমতল নয় l আর এর জন্যই আল্লাহ পৃথিবী থেকে পাহাড়-পর্বত অপসারণ করে পৃথিবীকে পুরোপুরি সমতল করবেন l
সুতরাং বুঝা যাচ্ছে বর্তমান পৃথিবী আসলে সমতল আকৃতির কিন্তু পাহাড় পর্বত থাকায় এটি পুরোপুরি সমতল নয় l পৃথিবী সমতল কিন্তু উচুনিচু এবং খাদ যুক্ত l
তাহলে এই আয়াতটি দিয়ে স্পষ্টভাবে বলা হচ্ছে পৃথিবী সমতল আকৃতির l

আবার আরেকটা আয়াত লক্ষ করি :
২০). সুরা ত্ত্বায়াহা; আয়াত ১০৫, ১০৬ ১০৭ :
      "তারা আপনাকে পাহাড় সম্পর্কে প্রশ্ন করে l অতএব, আপনি বলুন : আমার পালনকর্তা পাহাড় সমূহকে সমূলে উত্পাটন করে বিক্ষিপ্ত করে দিবেন l"
     "অতএব পৃথিবীকে মসৃন সমতলভূমি করে ছাড়বেন l"
      "তুমি তাতে মোড় বা টিলা দেখবে না l"

২০). সুরা ত্ত্বায়াহা; আয়াত ১০৫, ১০৬ ১০৭ :
        "তারা তোমাকে পর্বতসমূহ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করে, তুমি বল: আমার প্রতিপালক ওগুলিকে সমূলে উত্পাটন করে বিক্ষিপ্ত করে দিবেন l"
     "অতপর তিনি ওকে (ভূমিকে) পরিণত করবেন মসৃন সমতল ময়দানে l"
     "যাতে তুমি বক্রতা উচ্চতা দেখবে না l' (অনুবাদ- প্রফেসর : মুহাম্মদ মুজিবুর রহমান)

২০). সুরা ত্ত্বায়াহা; আয়াত ১০৫, ১০৬ ১০৭ :
      "আর তারা তোমাকে পাহাড়গুলো সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা করে l কাজেই বলো- "আমার প্রভু তাদের ছড়িয়ে দেবেন ছিটিয়ে ছিটিয়ে l"
     "তখন তাকে পরিণত করবেন মসৃণ সমতল-ভূমিতে, "
     "সেখানে তুমি দেখতে পাবে না কোনো আকানো-বাকানো আর না কোনো উচু নিচু l"  (অনুবাদ:- : জহুরুল হক)

SURA 20. Ta Ha
105. They ask thee concerning the Mountains: say, "My lord will uproot them and scatter them as dust;
106. "He will leave them as plains smooth and level;
107. "Nothing crooked or curved wilt thou see in their place."  (Translation by Abdullah Yusuf Ali)

SURA 20. TA-HA
105. They will ask thee of the mountains [on that day]. Say: My lord will break them into scattered dust.
106. And leave it as an empty plain,
107. Wherein thou seest neither curve nor ruggedness.  (Translation by Mohammad Marmaduke Pickthal)

এই আয়াতে বলা হয়েছে আল্লাহ বলছেন তারা(কাফেররা) মুহাম্মদ : কে জিজ্ঞেস করে পাহাড়-পর্বত সম্পর্কে l তাই আল্লাহ তাকে বলছেন, সে যেন ঐসকল লোকদেরকে বলে যে আল্লাহ কেয়ামতের দিন এগুলোকে সমূলে উত্পাটন করে বা সম্পূর্ণভাবে তুলে ফেলে বিক্ষিপ্ত করে দিবেন বা ছড়িয়ে ছিটিয়ে দিবেন l এবং পৃথিবীকে তিনি মসৃন সমতল ভূমি করবেন l সেখানে কেউ দেখবেনা কোনো মোড় বা টিলা অথবা আকাবাকা বা উচুনিচু জায়গা l

অর্থাত কেয়ামতের দিন আল্লাহ পাহাড়-পর্বতকে সড়িয়ে ফেলবেন বা অপসারণ করবেন ধুলার মত করে l এবং পৃথিবী হয়ে যাবে মসৃন সমতল ভূমি l এবং তখন কোনো আকাবাকা বা উচুনিচু জায়গা থাকবে না l
লক্ষ করুন বলা হচ্ছে যে আল্লাহ পৃথিবীকে কেয়ামতের দিন পাহাড়-পর্বত উঠিয়ে ফেলে মসৃন সমতল ভূমি করে ফেলবেন l এবং পাহাড় পর্বত অপসারণ করার পর পৃথিবীতে কোনো আকাবাকা জায়গা বা উচুনিচু জায়গা থাকবেনা l অর্থাত পৃথিবীতে উচুনিচু বা আকাবাকা জায়গা থাকার একমাত্র কারণ হচ্ছে পাহাড়-পর্বত l এবং এগুলি সড়িয়ে ফেললেই পৃথিবী পুরোপুরি মসৃন সমতল হয়ে যাবে l অর্থাত এগুলি যদি না থাকত তবে পৃথিবী আকাবাকা বা উচুনিচু হত না l অর্থাত পৃথিবীতে আকাবাকা জায়গা বা উচুনিচু জায়গা থাকার জন্য এই পাহাড়-পর্বত্গুলোই দায়ী l

সুতরাং এই আয়াত থেকে বুঝা যাচ্ছে যে পৃথিবী বর্তমানেই সমতল আকৃতির কিন্তু পাহাড়-পর্বত থাকার জন্য পৃথিবী পুরোপুরি সমতল নয় l আর তাই কেয়ামতের দিন আল্লাহ পাহাড়-পর্বত অপসারণ করে পৃথিবীকে তিনি পুরোপুরি সমতল করে দিবেন l
অর্থাত বর্তমান পৃথিবী সমতল l

২৭). সুরা আন-নমল; আয়াত ৮৮ :
        " তুমি পর্বত মালাকে দেখে অচল মনে কর, অথচ সেদিন এগুলো মেঘমালার মত চলমান হবে l এটা আল্লাহর কারিগরী, যিনি সবকিছুকে করেছেন সুসংহত l তোমরা যা কিছু করছ, তিনি তা অবগত আছেন l"

২৭). সুরা নামল; আয়াত ৮৮ :
        "তুমি পর্বতমালা দেখে অচল মনে করছো; কিন্তু (সেদিন) এগুলো হবে মেঘপুঞ্জের ন্যায় চলমান; এটা আল্লাহরই সৃষ্টি-নৈপুন্য, যিনি সব-কিছুকে করেছেন সুষম l তোমরা যা কর সে সম্বন্ধে তিনি সম্যক অবগত l"  (অনুবাদ- প্রফেসর : মুহাম্মদ মুজিবুর রহমান)
২৭). সুরা আন-নমল; আয়াত ৮৮ :
        "আর তুমি পাহাড়গুলোকে দেখছ, তাদের ভাবছ অচল-অনড়, কিন্তু তারা চলে যাবে মেঘমালার চলে যাবার ন্যায় l আল্লাহরই হাতের কাজ যিনি সব কিছুই সুনিপুনভাবে করেছেন l তোমরা যা কর সে-সম্বন্ধে নি:সন্দেহে তিনি পূর্ণ-ওয়াকিবহাল l"  (অনুবাদ:- : জহুরুল হক)

SURA 27. Naml
88. Thou seest the mountains and thinkest them firmly fixed: but they shall pass away as the clouds pass away: [such is] the artistry of Allah, who disposes of all things in perfect order: for he is well acquainted with all that ye do. (Translation by Abdullah Yusuf Ali)

SURA 27. AN-NAMl
88. And thou seest the hills thou deemest solid flying with the flight of clouds: the doing of Allah Who perfecteth all things. lo! He is Informed of what ye do. (Translation by Mohammad Marmaduke Pickthal)

এই আয়াতে বলা হয়েছে যে আল্লাহ মুহাম্মদ : কে বলছেন যে তুমি পাহাড়-পর্বতকে দেখে অচল বা অনড় মনে করছো বা ভাবছো এগুলো অচল বা অনড়, কিন্তু এগুলো কেয়ামতের দিন মেঘমালার মত চলমান হবে বা মেঘমালার মত চলে যাবে l আর এটাই আল্লাহর সৃষ্টি নৈপন্য, যিনি সবকিছুকেই করেছেন সুসংহত বা সুষম অথবা সুনিপুন l মানুষ যা কিছুই করুক না কেন আল্লাহ সবকিছুই জানেন l
অর্থাত মেঘমালাকে দেখে অচল-অনড় মনে হলেও কেয়ামতের দিন এগুলো মেঘমালার মত চলমান হয়ে চলে যাবে l আর এটাই আল্লাহর সৃষ্টির শ্রেষ্টত্ব l এবং আল্লাহর মানুষের সবকিছুই লক্ষ রাখেন l
লক্ষ করুন এখানে বলা হচ্ছে যে পাহাড়-পর্বতকে অচল বা অনড় মনে হলেও এগুলো কেয়ামতের দিন ঠিকই চলমান হবে এবং এগুলো মেঘমালার মত চলে যাবে l অর্থাত পাহাড় পর্বত গুলো অচল বা অনড় হলেও কেয়ামতের দিন এগুলো ঠিকই চলতে থাকবে মেঘের মত l মানে হচ্ছে এগুলো এখন অনড় হলেও কেয়ামতের দিন অনড় থাকবে না l তখন এগুলো চলতে থাকবে যেভাবে মেঘমালা চলে যায় l অর্থাত পাহাড়-পর্বতগুলো যদিও স্থির বা অনড় তবুও কেয়ামতের দিন এগুলো চলমান হবে মেঘের মত l আর এটাই আল্লাহর সৃষ্টির নৈপন্য বা কারিগরী l
তাহলে এই আয়াতে বলা হচ্ছে যে পাহাড় পর্বত গুলো আপাতত স্থির হলেও এগুলো কেয়ামতের দিন আর স্থির থাকবে না l এবং মেঘের মত চলমান হবে আর পৃথিবী থেকে চলে যাবে l আবার এর আগের বর্ণিত আয়াত অনুসারে পাহাড়-পর্বত পৃথিবী থেকে সড়ে গিয়ে পৃথিবী পুরোপুরি সমতল হয়ে যাবে l

অনেক মুসলিম ভাই এই আয়াত বর্ণনা করে বলে যে এখানে বলা হয়েছে যে পাহাড় গুলোকে দেখে অচল-অনড় মনে হয় অর্থাত আল্লাহ এখানে বলেছেন যে পাহাড় গুলো বর্তমানে অচল বা অনড় নয় l তারা বুঝাতে চায় যে যেহেতু এখানে পাহাড় কে অনড় বলে মনে হয়, এই কথা বলা হয়েছে তাই এটি আসলে বর্তমানেই অনড় বা অচল নয়, এগুলো বর্তমানেই চলমান l আর এখানে আল্লাহ এটা দিয়ে পৃথিবীর ঘুর্নায়মান অবস্থার কথা বলা হয়েছে l
কিন্তু আপনারা যদি আয়াতটা একটু ভালো ভাবে পড়েন তাহলে দেখবেন এখানে এই আয়াতের ভুল ব্যাখ্যা করা হচ্ছে l তারা এই আয়াতটির অর্ধাংশ প্রকাশ করছে অর্থাত তারা আয়াতের এই অংশটা প্রকাশ করছে
 " তুমি পর্বত মালাকে দেখে অচল মনে কর,"
তারা এই টুকু আয়াত দিয়ে বলে যে এখানে পৃথিবীর ঘুর্নায়মান আছে এটা বুঝানো হয়েছে l
কিন্তু পুরো আয়াতটা দেখুন-
" তুমি পর্বত মালাকে দেখে অচল মনে কর, অথচ সেদিন এগুলো মেঘমালার মত চলমান হবে l এটা আল্লাহর কারিগরী, যিনি সবকিছুকে করেছেন সুসংহত l তোমরা যা কিছু করছ, তিনি তা অবগত আছেন l"
এখানে বলা হচ্ছে যে তুমি পাহাড়-পর্বতকে অচল বা অনড় মনে করলেও এগুলো কেয়ামতের দিন চলমান হবে l এখানে বলা হয়নি যে পাহাড় পর্বতগুলো এখনই চলমান l বরং বলা হচ্ছে কেয়ামতের দিন এগুলো চলমান হবে l অর্থাত এগুলো এখন অচল অবস্থায় থাকলেও কেয়ামতের দিন চলমান হবে মেঘমালার মত l অর্থাত এগুলো এখন চলমান নয় কিন্তু কেয়ামতের দিন চলমান হবে l আর এটাই আল্লাহর কারিগরী l
কোরআন কবিতার মত করে অনেক আয়াত উল্লেখ করেছে বলে এখানে শুধু প্রথম অংশ দেখে মনে হয় যে এগুলো হয়ত এখন অচল বা অনড় নয় l কিন্তু পুরো বাক্য পরলেই আপনি বুঝতে পারবেন এখানে পাহাড়-পর্বতকে বর্তমানের চলমান থাকার কথা বলে নি l বরং এগুলো কেয়ামতের দিন চলমান হবে কথাই বলা হয়েছে l বলা হয়েছে কেয়ামতের দিন এগুলো চলমান হবে l অর্থাত ভবিষ্যতকাল (Future Tense)-এর কথা বলা হয়েছে l অর্থাত কেয়ামতের দিন চলমান হবে কিন্তু বর্তমানে এগুলো অচল বা অনড় অবস্থায় আছে l অর্থাত পাহাড়-পর্বতগুলো বর্তমানে অচল অনড় l
আপনারা যদি একটু ভালো ভাবে এই আয়্ত্গুলো পড়েন আপনারাই বুঝতে পারবেন যে এখানে আসলে কি বলা হয়েছে l

১৪). সুরা ইব্রাহিম; আয়াত ৪৮ :
      "যেদিন পরিবর্তিত করা হবে পৃথিবীকে অন্য পৃথিবীতে এবং পরিবর্তিত করা হবে আকাশ সমূহকে এবং লোকেরা পরাক্রমশালী এবং আল্লাহর সামনে পেশ হবে l"

১৪). সুরা ইব্রাহিম; আয়াত ৪৮ :
      "যেদিন এই পৃথিবী পরিবর্তিত হয়ে অন্য পৃথিবী হবে এবং আকাশমন্ডলী এবং মানুষ উপস্থিত হবে আল্লাহর সামনে, যিনি এক পরাক্রমশালী l"  (অনুবাদ- প্রফেসর : মুহাম্মদ মুজিবুর রহমান)

১৪). সুরা ইব্রাহিম; আয়াত ৪৮ :
      "সেইদিন পৃথিবী বদলে হবে অন্য পৃথিবী, আর মহাকাশমন্ডলীও; আর তারা হাজির হবে আল্লাহর সামনে, যিনি একক, সর্বশক্তিমান l"   (অনুবাদ:- : জহুরুল হক)

SURA 14. Ibrahim, or Abraham
48. One day the earth will be changed to a different earth, and so will be the heavens, and [men] will be marshalled forth, before Allah, the One, the Irresistible;  (Translation by Abdullah Yusuf Ali)

SURA 14. IBRAHIM (ABRAHAM)
48. On the day when the earth will be changed to other than the earth, and the heavens [also will be changed] and they will come forth unto Allah, the One, the Almighty,  (Translation by Mohammad Marmaduke Pickthal)

এই আয়াতটিতে বলা হয়েছে যে যেদিন বা সেদিন (কেয়ামতের দিন) এই পৃথিবীকে পরিবর্তিত করা হবে অন্য পৃথিবীতে অথবা এই পৃথিবী পরিবর্তিত হয়ে অন্য পৃথিবী হবে l এবং আকাশসমূহকেও পরিবর্তিত করা হবে বা পরিবর্তিত হবে l সেদিন সবাইকে একত্রিত করা হবে আল্লাহর কাছে যিনি এক এবং সর্বশক্তিমান l
অর্থাত কেয়ামতের দিন এই পৃথিবী বদলে অন্য রকম পৃথিবীতে পরিনত হবে l এবং আকাশসমূহও পরিবর্তিত হবে l সেদিন আল্লাহ সবার বিচার করবেন l
লক্ষ করুন এখানে বলা হচ্ছে কেয়ামতের দিন এই পৃথিবীকে পরিবর্তিত করে অন্যরকম করা হবে l আর আকাশকেও পরিবর্তিত করা হবে l কেয়ামত সম্পর্কে কোরআনে যে যে কথা গুলো বলা হয়েছে সেই অনুযায়ী ওই দিন -
আকাশ বিলীন হয়ে যাবে অর্থাত আকাশ থাকবে না,
সূর্য নিকটে চলে আসবে,
তারকা থাকবে না (খসে পর্বে),
স্বর্গ পৃথিবীর খুব কাছে চলে আসবে ,
নরক পৃথিবীর কাছে চলে আসবে এবং এর আগুনের তাপ বের হতে থাকবে l
আর পৃথিবীকে আরো বিস্তৃত বা প্রসারিত করে সমস্ত মানুষ জীব জন্তুকে সেই প্রসারিত বা বিস্তৃত মসৃন সমতল পৃথিবীতে একত্রিত করা হবে বিচার করার জন্য l
সুতরাং এই ভাবেই আজকের পৃথিবীটাকে পরিবর্তিত করে কেয়ামতের দিন অন্যরকম এক পৃথিবীতে পরিবর্তিত করা হবে l

এবার আমরা উপরে উল্লেখিত আয়াতগুলো নিচে থেকে উপরের দিকে পর্যায়ক্রমে আলোচনা করে দেখি আয়াতগুলোতে কি বলা হয়েছে :
১৪:৪৮ নাম্বার আয়াত অনুযায়ী
কেয়ামতের দিন এই পৃথিবীকে পরিবর্তিত করে অন্যরকম করা হবে l
২৭:৮৮ অনুযায়ী
কেয়ামতের দিন অচল-অনর পাহাড়-পর্বতগুলোকে মেঘের মত চলমান করা হবে l
২০: ১০৫, ১০৬ ১০৭ অনুযায়ী
কেয়ামতের দিন পাহাড়-পর্বতগুলোকে উত্পাটন করে বিক্ষিপ্ত করা হবে বা ছড়িয়ে ছিটিয়ে দেয়া হবে l পৃথিবীকে মসৃন সমতল করা হবে যেন এর ভিতরে কোনো আকাবাকা বা উচুনিচু জায়গা না থাকে l
১৮:৪৭ অনুযায়ী
কেয়ামতের দিন পাহাড়-পর্বতসমূহকে পরিচালনা করে বা সঞ্চালিত করে পৃথিবীকে উন্মুক্ত প্রান্তর বা খোলা ময়দান অর্থাত সমতল মাঠ করা হবে l অর্থাত সমতল করা হবে l
৮১:০৩ অনুযায়ী
কেয়ামতের দিন পাহাড়-পর্বতসমূহকে অপসারণ করা হবে বা সড়িয়ে ফেলা হবে l
৮৪: অনুযায়ী
কেয়ামতের দিন পৃথিবীর অভ্যন্তরীণ বা এর উপরস্থিত সব কিছু বাইরে নিক্ষেপ করে ফেলে দেয়া হবে বা সড়িয়ে ফেলা হবে l
এবং পৃথিবীকে সম্প্রসারিত বা সমতল করা হবে l

তাহলে আমরা উপরে উল্লেখিত আয়াতগুলো থেকে দেখতে পাচ্ছি যে আল্লাহ কেয়ামতের দিন সব পাহাড়-পর্বত গুলোকে পৃথিবী থেকে অপসারিত করে দিবেন l তারফলে পৃথিবী হবে সমতল l অর্থাত বর্তমানের পৃথিবী সমতল আকৃতির কিন্তু পাহাড়-পর্বত্গুলোর জন্য উচুনিচু বা এবড়ো থেবড়ো এবং গভীর খাদ বিশিষ্ট l তাই আল্লাহ এই পাহাড়-পর্বতগুলো অপসারিত করে পৃথিবীকে মসৃন সমতল ভূমি করবেন যেটা হবে একটা সমতল মাঠ বা প্রান্তর l আর সেখানে সব মানুষ প্রাণী কে একত্রিত করা হবে বিচারের জন্য l
তাহলে এই আয়াতগুলো দ্বারা স্পষ্টভাবেই বোঝা যাচ্ছে যে পৃথিবী সমতল আকৃতির বা সমতল l
অর্থাত পৃথিবী পৃথিবী সমতল l

এখন সুরা আল ইনশিক্বাক্ব-এর নাম্বার আয়াত দুটি আবার লক্ষ করুন :
     "এবং যখন পৃথিবীকে সম্প্রসারিত করা হবে l"
     "এবং পৃথিবী তার গর্ভস্থিত সবকিছু বাইরে নিক্ষেপ করবে শূন্যগর্ভ হয়ে যাবে l"
বলা হচ্ছে কেয়ামতের দিন পৃথিবীকে সম্প্রসারিত করা হবে এবং এর গর্ভস্থিত বা অভ্যন্তরীণ সবকিছু বাইরে নিক্ষেপ করে দেয়া হবে l
এখন যদি ধরে নেই যে এখানে পৃথিবীকে সমতল করা হবে এবং এর অভ্যন্তরীণ সবকিছু বাইরে ফেলে দেয়া হবে l যদি পৃথিবীর উপর থেকে পাহাড় পর্বত কে অপসারণ করা হয় এবং পৃথিবীকে এভাবে সমতল করা হয় l তবে গোলক আকার পৃথিবীর ক্ষেত্রে এভাবে কখনই সমতল করা যাবে না l কারণ গোলক পৃথিবী থেকে পাহাড়-পর্বত অপসারিত করার পরেও পৃথিবী গোলক আকারই থাকবে l সুতরাং এখানে গোলক আকার পৃথিবীর কথা বলা হয়নি l

আবার ধরি এখানে পৃথিবীর ভু-গর্ভস্থ উপাদান বা ভু-অভ্যন্তরীণ প্লেট-গুলো (মাটির নিচের উপাদান) অপসারিত করে সমতল করার কথা বলা হয়েছে l অর্থাত ভু-গর্ভস্থ উপাদানসমূহ অপসারিত করে পৃথিবীকে সমতল করা হবে l তবে এখানেও গোলক আকার পৃথিবীকে সমতল করা সম্ভব হবে না l এর কারণ হচ্ছে যদি গোলকাকার পৃথিবীর অভ্যন্তরীণ উপাদান ফেলে দেয়া হয় তবে এটি আয়তনে কমতে থাকবে l এবং আয়তনে কমতে কমতে প্রথমে ফুটবল আকারের, তারপর মার্বেল আকারের এবং শেষে বেয়ারিং-এর ছোট বলের আকারের হয়ে যাবে l ফলে সেখানে সমস্ত প্রানীকে একসাথে করা সম্ভব হবে না l
সুতরাং এখানে গোলক আকার পৃথিবীর কথা বলা হয়নি, যে এর অভ্যন্তরীণ উপাদান অথবা পাহাড়-পর্বতসমূহ অপসারণ করে একে সমতল করা হয়েছে l বরং বলা হয়েছে যে সমতল পৃথিবীর উপর অবস্থিত পাহাড়-পর্বতসমূহ অপসারণ করে পৃথিবীকে মসৃন সমতল এবং একে আরও সপ্রসারিত করার কথা যেন সমস্ত জীবজগতকে একসাথে করা যায় এবং তাদের বিচার করা যায় l
সুতরাং এই আয়াত এবং উপরিউক্ত অন্য আয়াত গুলো দ্বারা এটাই বোঝানো হয়েছে যে বর্তমান পৃথিবী সমতল l কিন্তু এর উপর পাহাড় থাকায় এটি উচু নিচু; কিন্তু সমতল l এবং কেয়ামতের দিন পাহাড়-পর্বতগুলোকে অপসারিত করে পৃথিবীকে মসৃন সমতল করা হবে l
সুতরাং এই আয়াত অনুযায়ী পৃথিবী সম্পূর্ণ রূপে সমতল বা সমতল আকৃতির l

সুতরাং বর্তমান পৃথিবী সমতল এবং কেয়ামতের দিন এর উপরে অবস্থিত পাহাড়-পর্বতসমূহকে মেঘমালার মত বা ময়লার মত ছড়িয়ে ছিটিয়ে পৃথিবী থেকে অপসারিত করে একে আরও সমতল এবং সম্প্রসারিত করা হবে l
সুতরাং এই আয়াত দ্বারা প্রমানিত হয় যে পৃথিবী সমতল l


(চলবে....)
(বি.দ্র.: লেখাটি এমকেএ আহমেদ রচিত "কোরআনের বর্ণনায় সমতল পৃথিবী- ১ম খন্ড" থেকে ধারাবাহিক ভাবে নেওয়া হচ্ছে।)



No comments:

Post a Comment