Translate

Search This Blog

বিশেষ সতর্কবার্তাঃ

এই ব্লগটি নাস্তিক, অজ্ঞেয়বাদী, সন্দেহবাদী, মুক্তমনা এবং স্বাধীনচেতা মানুষদের জন্য। যারা যেকোন বিষয়ের সমালোচনা সহ্য করার মত ক্ষমতা রাখে। যদি কোন ধার্মিক, গোড়া ধার্মিক আস্তিক এই ব্লগটিতে আসে তবে তার ধর্মানুভূতি নামের অদ্ভূত দূর্বল অনিভূতি আঘাতপ্রাপ্ত হলে ব্লগ লেখক দায়ী থাকবে না। ধার্মিক, গোড়া ধার্মিক আস্তিকদের নিজ দায়িত্বে তাদের দূর্বল ধর্মানুভূতিকে সংরক্ষনের দায়িত্ব নিতে হবে। কারো ধর্মানুভূতি নামের অযৌক্তিক অনুভূতি আহত হবার জন্য কোন ক্রমেই ব্লগার বা লেখককে দায়ী করা যাবে না। যদি কোন অতি দুর্বল ধর্মানুভূতি সম্পন্ন ব্যাক্তি এই ব্লগে ভূল করে ঢুকে পরেন এবং তিনি তার অনুভূতিকে দূর্বল ভাবেন অর্থাৎ যিনি তার ধর্মের উপযুক্ত সমালোচনা সহ্য করতে অপারগ, তাকে বিনীত ভাবে এই ব্লগটি থেকে প্রস্থান করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। এর পরেও যদি কোন দূর্বল ধর্মানুভূতি সম্পন্ন ব্যাক্তি এই ব্লগটিতে ঘুরাফেরা করেন এবং তার ফলে তার দূর্বল ধর্মানুভূতিতে আঘাত প্রাপ্ত হন তবে কোন ক্রমেই এবং কোন ক্রমেই ব্লগের মালিক, 'আমি নাস্তিক' দায়ী থাকবে না।

Wednesday, May 6, 2015

মুসলমানদের কর্মকান্ডের ভবিষ্যতবাণী ! ভবিষ্যতে মুসলমানরা কিভাবে কুরআনকে বিজ্ঞানময় দাবি করবে ? (পর্ব ২)



মুসলমানদের একটা অদ্ভুত কান্ডকারখানা হলো যে তারা কোন বৈজ্ঞানিক থিউরী প্রতিষ্ঠিত হলে প্রথমে তারা সেই থিউরীর বিরোদ্ধে যুদ্ধ ঘোষনা করেপরে তারা সেই থিউরীটি সত্যি নয় বলে নানা অপপ্রচার শুরু করে দেয়বেশ কিছুদিন তারা অপপ্রচারে সার্থক হলেও বেশী দিন তারা মানুষকে ধোঁকা দিতে পারে নাযখন সব মানুষ সেই থিউরীটির সত্যতা জানতে পারে তখন আর কোন পথ পায় না সেই থিউরীটা মেনে নেওয়া ছাড়াথিউরীর ক্ষেত্রেই মুসলমানরা প্রায় একই রকম আচরণের পূনরাবৃত্তি করে। (এটা সব ধর্মের আস্তিকদের জন্যই প্রযোজ্য।)
যখন সেই বৈজ্ঞানিক থিউরীটি ইসলাম ধর্মকে প্রচন্ড ভাবে আঘাত করে তখন মুসলমানরা তাদের ধর্মকে বাঁচাতে নতুন পদ্ধতি অবলম্বন করেতারা কুরআনের কোন একটি নির্দিষ্ট আয়াতকে নির্বাচণ করে যেটার সাথে বিজ্ঞানের সেই থিউরীর কথাটার সাথে মিলে যাবার সম্ভাবনা আছেপরে তারা সেই আয়াতটির কোন এক নির্দিষ্ট শব্দের অর্থের পরিবর্তন করে দেয়ফলে কুরআনের সেই আয়াতটির সম্পূর্ণ অর্থটিই বদলে যেয়ে বিজ্ঞানের থিউরীর সাথে ৫% মিলে যায়
এবার মুসলমানরা নানা রকমের চাপাবাজি করে সেই আয়াতটির পরিবর্তিত অর্থ দিয়ে বিজ্ঞানের সাথে কুরআনের মিল দেখিয়ে কুরআনকে বিজ্ঞানময় দাবী করে

এক্ষেত্রে তাদের কৌশলটি হলো তারা কুরআনের এমন এক আয়াতকে বেছে নেয় যেটার কোন এক শব্দের অর্থকে পরিবর্তন করা যায় বিজ্ঞানের থিউরীর সাথে মিল রেখেপরে তারা সেই আয়াতের সেই শব্দটির ভিন্ন অর্থ এনে আয়াতটির নতুন করে অর্থ তৈরী করেআমরা জানি একটি শব্দের একাধিক অর্থ থাকতে পারেকোন শব্দের অনেকগুলো অর্থ থাকলেও কোন বাক্যে যখন সেই শব্দটি ব্যবহৃত হয় তখন শুধু মাত্র একটি নির্দিষ্ট অর্থেই কেবল শব্দটি ব্যবহার করা হয়বাক্যে শব্দটির যে অর্থ লেখক নির্বাচণ করে শব্দটি শুধু সেই অর্থটিই বহন করে বাক্যের অর্থ দান করে থাকে
তো মুসলমানরা কুরআনের আয়াতে ব্যবহৃত শব্দগুলোর ভিন্ন অর্থ এনে আয়াতের নতুন অর্থ করে বিজ্ঞানের থিউরীর সাথে মিল রেখেফলে কুরআনের যে আয়াতটির সাথে বিজ্ঞানের বিরোধীতা থাকে সেই আয়াতটির ভূল শব্দটির অর্থ পরিবর্তন করে বিজ্ঞানের সাথে মিল রেখে সঠিক করে আয়াতটিকে সংশোধন করে ফলে আয়াতটির যে নতুন অর্থ করা হয় সেটা কুরআনের ভূলকে একই সাথে সংশোধন করে এবং সাথে সাথে ভূল কুরআনকে বিজ্ঞানময় বানায়
মুসলমানরা এই কাজটি নির্লজ্জের মতই করেকিন্তু যেহেতু বেশীর ভাগ মুসলমান কুরআন পড়ে না এবং জানে না তাই তারা সেই সব মুসলমানদের এই চাতুরীটুকু ধরতে পারে নাসেই সব সাধারণ মুসলমানগুলো বিশ্বাস করে যে কুরআন সত্যিই বিজ্ঞানময় গ্রন্থএভাবে ধর্ম ব্যবসায়ীগুলো বোকা মুসলমানদেরকে বোকা বানিয়ে পকেট ভারী করতে থাকেমানুষ তাদের ভন্ডামী ধরে ফেলতে ফেলতেই তারা প্রচুর টাকা ইতিমধ্যেই হাতিয়ে নিয়ে ফেলে
এভাবে কুরআনের অর্থের পরিবর্তিন ঘটিয়ে কিছুদিন মানুষকে বোকা বানিয়ে ধর্মকে বাঁচিয়ে রাখা যায়
মুসলমানরা বহু আয়াতের কোন এক নির্দিষ্ট শব্দের ভিন্ন অর্থ এনে পুরো আয়াতের অর্থকে বদলে দিয়ে বিজ্ঞানের থিউরীর সাথে মিল রেখে সেই আয়াতের নতুন অর্থ করে কুরআনের ভূলকে সংশোধন করে কুরআনকে বিজ্ঞানময় দাবি করে
এভাবে কুরআনের বিভিন্ন আয়াতের অর্থকে পরিবর্তন করে ভূলে ভরা কুরআনকে বিজ্ঞানময় বানিয়ে আসছে কিছু মুসলমানএতে করে অবশ্য তারা বেশ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে মানুষের কাছ থেকেফলে বিনা পুঁজিতে প্রচুর টাকা ইনকামের ব্যবস্থা তারা খুব সহজেই করতে পারছে 

আমি এই পর্বটি এজন্য শুরু করেছি যাতে মুসলমানরা কুরআনকে খুব সহজেই বিজ্ঞানময় বানানোর কিছু আইডিয়া পায় এবং কুরআনের শব্দগুলোর অর্থ পরিবর্তন করে সম্পূর্ণ আয়াতের অর্থকে পরিবর্তন করে কুরআনকে বিজ্ঞানময় দাবী করতে পারে
এই পর্বটিতেও কুরআনকে বিজ্ঞানময় বানানোর একটি পদ্ধতি দেখিয়ে দেবো যাতে মুসলমানরা আগের মতই কুরআনের অর্থকে বদলে দিয়ে আয়াতের অর্থকে সম্পূর্ণরুপে পরিবর্তন করে কুরআনকে বিজ্ঞানময় বানাতে পারেকারণ মুসলমানদের মাথায় এমনিতেই বুদ্ধি কমতারা খ্রিস্টানদের ধারণা নকল করে কুরআনকে বিজ্ঞানময় বানায়যদি তারা আমার টেকনিক অবলম্বন করে কুরআনকে বিজ্ঞানময় বানাতে পারে তবে তাদের আর আইডিয়ার জন্য খ্রিস্টানদের কাছে হাত পাততে হবে না  
বিবর্তনবাদ প্রতিষ্ঠিত থিউরী হয়েছে অনেক আগেইসারা বিশ্বের সব বিজ্ঞানীই বিবর্তনবাদকে মেনে নিয়েছেএবং সব জীববিজ্ঞানীই বিবর্তনবাদ নিয়ে নতুন নতুন গবেষনা করছে বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকেকিন্তু বিবর্তনবাদকে কিছু সাধারণ মানুষ মেনে নিতে পারছে নাকারণটি অবশ্যই ধর্মের অস্তিত্বের সংকটের কারণেবিবর্তনবাদ কিছু ধর্মের মিথ্যেবাদিতাকে আঙ্গুল দিয়ে ধরিয়ে দিয়েছেফলে সেই ধর্মের আস্তিকগুলো বিবর্তনবাদকে শত্রু হিসেবে নিয়েছেকারণ কিছু অন্ধবিশ্বাসী মানব ইতিহাসে সব সময়ই ছিল যারা কুসংস্কারকে আকড়ে ধরে রাখতো যে কোন মুল্যেইএকবিংশ শতাব্দিতে এসেও কিছু অন্ধবিশ্বাসী মানুষ আছে যারা বিজ্ঞানের নৌকার উপর দাড়িয়ে, বিজ্ঞানের সুবিধা ভোগ করেও বিজ্ঞানকে বা বিজ্ঞানের কিছু অংশকে অস্বীকার করে থাকে শুধু ধর্মকে বাঁচাতে
ইহুদী, খ্রিস্টান ও মুসলমান ধর্মের মানুষের সৃষ্টির গল্পে বর্ণনা করা আছে যে, সৃষ্টিকর্তা আদম হাওয়াকে মাটি থেকে তৈরী করেছে এবং তাদেরকে পৃথিবীর বাইরের স্বর্গ থেকে পূর্ণ মানুষরুপে পৃথিবীতে পাঠিয়ে দিয়েছেএবং আদম হাওয়ার বংশধর হিসেবে সব মানুষ এসেছে
কিন্তু বিবর্তনবাদ অনুযায়ী মানুষ এসেছে অন্য কোন প্রাণী থেকে বিবর্তনের মাধ্যমেআর এবাইয়োজেনেসিস অনুযায়ী মানুষ মাটি থেকে তৈরী হয়নিমানুষ এসেছে জড় পদার্থ জৈব মৌল থেকে জৈব জড় পদার্থ তৈরীর মাধ্যমেআর জৈব জড় পদার্থই জীব সৃষ্টি করেছে
বিজ্ঞান বলে, জীব হলো এমন রাসায়নিক ব্যবস্থা যার মধ্যবর্তী রাসায়নিক বিক্রিয়াগুলো সেই রাসায়নিক ব্যবস্থাটি নিজেই নিয়ন্ত্রন করতে পারেঅর্থাৎ রাসায়নিক পদার্থ দ্বারা এবং রাসায়নিক বিক্রিয়ার মাধ্যমেই জীবন বা প্রাণ সৃষ্টি হয়
আর ধর্ম অনুযায়ী মাটির দেহে সৃষ্টিকর্তা আত্মা ঢুকিয়ে দেবার মাধ্যমে মাটির দেহ জীবন পেয়েছেকিন্তু বিজ্ঞান আত্মার ধারণাকে বাতিল করে দিয়েছে এবং এবাইয়োজেনেসিস ও বিবর্তনবাদকে সত্য বলে রায দিয়েছে 
বিজ্ঞানের এই তত্ত্ব দুটোই আদম হাওয়ার গল্পকে সত্য বলে বিশ্বাসকারী ধর্মগুলোর অস্তিত্বের জন্য হুমকীস্বরুপ হয়ে দাড়িয়েছেআর তাই আব্রাহামিক ধর্মগুলো বিবর্তনবাদ ও এবাইয়োজেনেসিসকে মেনে নিতে চায় নাকারণ এই তত্ত্বগুলো মেনে নিলে ধর্মের কোন অস্তিত্বই থাকবে নাযদিও কিছু আস্তিক বিবর্তনবাদকে মেনে নিয়েছে তবুও বেশীর ভাগ আস্তিক বিবর্তনবাদকে মেনে নেয়নি
কিন্তু তাদের মেনে নেওয়া না নেওয়ার উপর বিজ্ঞানের থিউরী বসে থাকে নাথিউরীগুলো প্রমানসহ সত্য হিসেবে জ্বলজ্বল করতে থাকে
মুসলমানরা বর্তমানে বিবর্তনবাদকে নেমে নিতে চাচ্ছে নাযদিও এতে বিজ্ঞান মহল এবং সারা পৃথিবীর মানুষ তাদের এই ধর্মীয় গোঁড়ামীকে পাত্তা দিচ্ছে নাকিন্তু তারা মুসলমানদের মাঝে অপপ্রচার করে বেড়াচ্ছে যে বিবর্তনবাদ সত্য নয়এটি একটি থিউরী মাত্র এটি কোন ফ্যাক্ট নয়যদিও তারা থিউরী ও ফ্যাক্ট কাকে বলে সেটা জানে নাফ্যাক্টকে ব্যাখ্যাকারী তত্ত্বকেই থিউরী বলেথিউরী হলো বিজ্ঞানের প্রধান হাতিয়ারবিশ্বজগতের সব ফ্যাক্টকে যেটি দিয়ে ব্যাখ্যা করা হয় সেই প্রতিষ্ঠিত সত্যকেই থিউরী বলা হয়
কিন্তু মুসলমানদের মধ্যে কেউই এই ব্যাপারগুলো জানে না বলে কিছু মুসলমান বিবর্তন একটি থিউরী, এটা সত্য নয় বলে অপপ্রচার চালায়যেহেতু মুসলমানরা থিউরী বা ফ্যাক্ট কি সেটা জানে না তাই তারা এটা খুব সহজেই বিশ্বাস করে বসে
যদি তারা জানতো যে, বিবর্তনবাদ একটা থিউরী কারণ এটি বিভিন্ন বিবর্তনের ফ্যাক্টকে (যেমন- ফসিল) ব্যাখ্যা করেআর এটি থিউরী বলে এটি হলো বিজ্ঞান জগতে সব চেয়ে বড় বিষয়বিজ্ঞানের কাছে থিউরীর উপরে আর কিছু নেইআর তাই বিবর্তনবাদ একটা থিউরী বলে এটি চরম সত্য একটি তত্ত্ব
এবাইয়োজেনেসিস অনুযায়ী জীবজগত এসেছে জড় জগত থেকেবিবর্তনবাদ অনুযায়ী মানুষ এবং সব প্রাণী এসেছে একটা মাত্র জীব থেকেযেমন এককোষী ব্যাকটেরিয়া জাতিয় জীব থেকে সব প্রাণীজগত সৃষ্টি হয়েছেএবং মানুষসহ শিপ্পাঞ্জি ও গড়িলার মতো প্রাণী এসেছে একটি মাত্র পূর্বতন প্রাণী থেকেসেই পূর্বতন প্রাণীটিকে কমন এনসেস্টর বলে অর্থাৎ বিবর্তনবাদ অনুযায়ী মানুষ, শিপ্পাঞ্জি এবং গড়িলা একই প্রানীর বংশধর
ফলে বিজ্ঞানের এই থিউরী দুটো দিয়ে আদম হাওয়ার গাল-গপ্পকে কবর দেওয়া হয়েছেফলে আব্রাহামিক ধর্মগুলো খেপে গেছে বিজ্ঞানের উপরকেন বিজ্ঞান বিবর্তনবাদকে থিউরীর মর্যাদা দিয়ে ধর্মের বিরুদ্ধে কথা বলেছে আর ধর্মকে ধ্বংস করার মাধ্যম তৈরী করেছে? ফলে তারা বিবর্তন সম্পর্কে মানুষকে উল্টাপাল্ট মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিজ্ঞানের ভূল ব্যাখ্যা করে উপস্থাপন করছে মানুষের কাছেকিন্তু তারা বেশী দিন মানুষকে মিথ্যে তথ্য দিয়ে বোকা বানাতে পারবে নামানুষ যতই পড়াশুনা করা শিখবে ততই বিবর্তনবাদ যে সত্য সেটা জানতে পারবে এবং বিবর্তনবাদের সত্যতাকে মেনে নেবেফলে ধর্মগুলোকে (যেমন ইসলামকে) বিবর্তনবাদকে মেনেই নিতে হবেকিন্তু তাতে করে আদম হাওয়ার গল্পটা মিথ্যে হয়ে যাবেএবং ভূল ও মিথ্যে তথ্য দেওয়ার জন্য কুরআন মিথ্যে হয়ে যাবে
কিন্তু মুসলমানদের এর হাত থেকে ইসলামকে বাঁচানোর একটি উপায় আছেতারা যেমনটি সব থিউরীকে প্রথমে মিথ্যে বলে এবং এর বিরোদ্ধে অপপ্রচার চালায় এবং যখন সবাই থিউরীটির সত্যতা জানতে পারে তখন এই ধার্মিকগুলোই কুরআনকে সেই থিউরীর অনুরুপ করে অনুবাদ করে নতুন অর্থ করে কুরআনকে বিজ্ঞানময় বানায় তারা এক্ষেত্রেও কুরআনের কিছু আয়াতের অর্থ পরিবর্তন করে এবং ভিন্ন ভাবে ব্যাখ্যা করে কুরআনের সেই ভূল আয়াতগুলোকেই বিজ্ঞানের সাথে মিল রেখে নতুন করে অর্থ করে কুরআনকে বিজ্ঞানময় বানাতে পারে
এক্ষেত্রে তারা নিম্নে বর্ণিত পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারবে
কুরআনের সূরা রুম-এর ১৯ নাম্বার আয়াতে উল্লেখ আছে,
"তিনিই মৃত হতে জীবন্তের আবির্ভাব ঘটান এবং তিনিই জীবন্ত হতে মৃতেরও আবির্ভাব ঘটান এবং ভূমির মৃত্যুর পর ওকে পুনর্জীবিত করেনএভাবেই তোমরা উত্থিত হবে।"
এই আয়াতে বলা হয়েছে আল্লাহ মৃত থেকে জীবন সৃষ্টি করেন এবং জীবন থেকে মৃতকে সৃষ্টি করেন
মুসলমানরা এই আয়াতের অর্থ একটু পরিবর্তন করে বলবে এখানে মৃত বুঝাতে অমুক শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে আর অমুক মানে তমুক আর তমুক শব্দটি এসেছে যে শব্দ থেকে তার অর্থ হলো জড় পদার্থআর তাই ওই আয়াতের অর্থ হলো আল্লাহ জীবন্তকে জড় পদার্থ থেকে বের করেন এবং জড় পদার্থকে আবার পুনরায় সেই জীবন থেকে বের করে আনেন
আর আধুনিক বিজ্ঞানও আমাদের বলে যে, জীব সৃষ্টি হয়েছে জড় পদার্থ থেকেআর জীব মৃত্যুর পর আবার পুনরায় জড় পদার্থে পরিনত হয়
আধুনিক বিজ্ঞান যেটা আবিষ্কার করেছে এই কিছু দিন আগে সেটা কুরআন বলেছে সেই ১৪০০ বছর আগেইতাই কোন সন্দেহ নেই যে কুরআন বিজ্ঞানময় গ্রন্থ
জাকির নায়েকের মত লোকগুলো এই আয়াতটি উল্লেখ করে বলবে,
এই আয়াতে "মৃত হতে জীবন্ত বের করে আনেন" বুঝাতে যে শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে সেটা এসেছে একটি আরবী শব্দ ইনসেইন থেকেআর ইনসেইন শব্দটির মানে হলো জড় পদার্থ বা একটি মাত্র স্বত্ত্বাআর আধুনিক বিজ্ঞানও আমাদের বলে যে জীব সৃষ্টি হয়েছে জড় পদার্থ থেকে
আধুনিক বিজ্ঞান যেটা আবিষ্কার করলো এই কিছু দিন আগে সেটা কুরআনে ১৪০০ বছর আগে কিভাবে লেখা থাকে। (এই সময়টাতে জাকির নায়েক উটের মতো মুখকে হাসি হাসি করে দাড়িতে হাত বুলাতে থাকবেভাবটা এমন যে কুরআন আল্লাহর বাণী সেটা প্রমাণ হয়ে গেলো।)  
ভবিষ্যতে এভাবেই মুসলমানরা ভূলে ভরা কুরআনকে অর্থ পরিবর্তন করে বিজ্ঞানময় বানাবে

কুরআনের সূরা আন'আম-এর ৯৫ নাম্বার আয়াতে বর্ণিত আছে,
"নিশ্চয়ই দানা ও বীজ উৎপাদনকারী হচ্ছেন আল্লাহ, তিনিই জীবন্তকে প্রাণহীন থেকে বের করেন এবং তিনিই প্রাণহীনকে নির্গতকারী জীবন্ত হতে, তিনিই তো আল্লাহ, তাহলে তোমরা উদভ্রান্ত হয়ে (লক্ষভ্রষ্ট হয়ে) কোথায় যাচ্ছো?"
এই আয়াত অনুযায়ী আল্লাহ জীবকে মৃত থেকে বের করে আনে এবং মৃতকে জীব থেকে বের করে আনে
এই আয়াতটিকে দেখিয়ে মুসলমানরা দাবী করতে পারে যে এখানে প্রাণহীণ জড় বস্তু থেকে জীনন্ত জীব বা প্রাণীকে তৈরী করার কথা বলা হয়েছে যেটা এবাইয়োজেনেসিস বা জড় থেকে প্রাণ তৈরীর বিজ্ঞানের তত্ত্বকে বর্ণনা করা হয়েছেএবং মানুষ মারা গেলে জীবন থেকে জড় পদার্থ বের হয়কারণ মানুষ জড় পদার্থ দিয়েই তৈরী আর তাই দেহ মারা গেলে এর জড় পদার্থগুলো আলাদা হয়ে পড়ে এই থিউরীটি বিজ্ঞান আবিষ্কার করেছে এই কিছু দিন আগে আর কুরআনে সেটা ১৪০০ বছর আগেই বর্ণনা করা আছেবিজ্ঞান যেটা আবিষ্কার করেছে এই কিছুদিন আগে সেটাই কুরআনে বলা হয়েছে সেই ১৪০০ বছর আগেঅর্থাৎ কুরআন বিজ্ঞানময় গ্রন্থএভাবে মুসলমানরা কুরআনকে বিজ্ঞানের সাথে মিলাতে পারবে এবং কুরআনকে বিজ্ঞানময় বলে দাবী করতে পারবে এবং করবে
জড় পদার্থ থেকে প্রাণ সৃষ্টি এবং এক প্রানী থেকে পুরো জীবজগত সৃষ্টি হওয়াটাকে যে মুসলমানরা মেনে নিতে পারছে না সেই তারাই আবার এই আয়াত দেখিয়ে দাবী করবে যে কুরআনের এই আয়াতে জড় পদার্থ থেকে জীব তৈরীর কথা বলা হয়েছে
আর জাকির নায়েকের মতো লোকগুলো দাড়ি নাচিয়ে নাচিয়ে দাবী করবে এই আয়াতে "তিনি জীবন্তকে প্রাণহীন থেকে বের করে আনেন" বলতে এই আয়াতটিতে জড় পদার্থ থেকে জীবের আবির্ভাবকে বুঝানো হয়েছেএখানে যে শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে সেটা এসেছে আরবী 'ছাগলা' থেকে; আর ছাগলা অর্থ প্রাণহীন বা জড় পদার্থআর এই শব্দটি যখন কুরআনে ব্যবহৃত হয় তখন এর অর্থ প্রাণহীণই হয় না বরং জড় বস্তু বা জড় পদার্থ হয়আর জীবন্ত কে প্রাণহীন পদার্থ থেকে বের করে আনার অর্থটা তখন হয়ে যায় জড় পদার্থ থেকে জীবন সৃষ্টি করা যেটা কুরআন করীমে লেখা আছে ১৪০০ বছর আগে সেটা বিজ্ঞান আবিষ্কার করেছে মাত্র কিছু দিন আগেবিজ্ঞান যেটা আবিষ্কার করলো এই সেদিন সেটা কুরআনে ১৪০০ বছর আগে কিভাবে লেখা থাকে? (জাকির নায়েক এখানে মুখটা ভেংচীর মতো ভংগী করে ক্যামারার দিকে তাকিয়ে থাকবেভাবটা এমন যে, সে কুরআনকে বিজ্ঞানময় প্রমাণ করে ফেলেছে।)

এছাড়াও মুসলমানরা কুরআনে বিবর্তনবাদ ও এবাইয়োজেনেসিসকে আরো কিছু আয়াত থেকে আবিষ্কার করতে পারবে এবং করবে
সুরা আন'আম, আয়াত ৯৮
"তিনিই তোমাদেরকে এক ব্যক্তি হতে সৃষ্টি করেছেন,.."
এই আয়াত অনুযায়ী মানুষকে আল্লাহ এক ব্যক্তি থেকে সৃষ্টি করেছে
এই আয়াত অনুযায়ী আল্লাহ মানুষকে এক ব্যক্তি অর্থাৎ আদমের থেকে সৃষ্টি করেছেকিন্তু এটা বিজ্ঞান বিরোধী কথাবিবর্তনবাদ অনুযায়ী মানুষ এসেছে অন্য কোন প্রাণী থেকেকিন্তু কুরআনে আদম হাওয়ার গল্পকে সত্যি বলে লেখা হয়েছেফলে কুরআন যে মিথ্যে এটা প্রমাণিত হয়েছে। (আর এজন্যই মুসলমানরা বর্তমানে বিবর্তনবাদকে মেনে নিতে চায় না।)
কিন্তু কুরআন যে ভূল এটাকে রক্ষা করার জন্য মুসলমানরা ভবিষ্যতে এই আয়াতটির অর্থ পরিবর্তন করে দেবেএবং দাবী করবে এই আয়াতে এক ব্যক্তি বা এক স্বত্ত্বা বুঝাতে যে শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে সেটি এসেছে অমুক শব্দ থেকে এবং অমুক অর্থ হলো তমুকআর তমুক শব্দটি দিয়ে এককোষী জীব বা ব্যাকটেরিয়াকে বুঝায়আর তাই এই আয়াতে এককোষী জীব থেকে মানুষের আবির্ভাব হয়েছে এটাই বলা হয়েছে
এখানে এক ব্যক্তির অর্থ যদি এক বস্তু বা এক জীব থেকে সৃষ্টি করা অর্থে বুঝায় তবে বিজ্ঞানের এবাইয়োজেনেসিস এবং বিবর্তনবাদ তত্ত্বের এককোষী আদিকোষ থেকে প্রাণী তৈরীর তত্বের সাথে মিলে যায়আর এটা দিয়ে মুসলমানরা দাবী করতে পারে যে বিজ্ঞান যেভাবে বলেছে যে প্রাণীজগত এককোষী ব্যাকটেরিয়া থেকে উদ্ভুত হয়েছে বিবর্তনের মাধ্যমে ঠিক একই কথা বলা হয়েছে কুরআনের সূরা আনআম-এর ৯৮ নাম্বার আয়াতেযেখানে বলা হয়েছে মানুষ এবং অন্যান্য প্রানী এক ব্যক্তি বা এক কোষী প্রাণী থেকে উদ্ভুত হয়েছেবিজ্ঞান যেটা আবিষ্কার করেছে এই কিছুদিন আগে সেটা কুরআনে উল্লেখ করা হয়েছে সেই ১৪০০ বছর আগেই
জাকির নায়েক এই আয়াতটি উল্লেখ করে বলবে, এই আয়াতে এক ব্যক্তি বুঝাতে যে শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে সেটি এসেছে আরবী সাইকো শব্দটি থেকেআর আরবীতে সাইকো শব্দটি যখন কুরআনে ব্যবহৃত হয় তখন এর অর্থ হয় এক কোষী জীবআর কুরআন বলছে মানুষসহ সব জীব এসেছে এককোষী জীব থেকে সেই ১৪০০ বছর্ আগেই যেটা বিজ্ঞান আবিষ্কার করলো এই কিছুদিন আগেবিজ্ঞান যেটা মাত্র কিছু দিন আগে আবিষ্কার করেছে সেটা কুরআনে ১৪০০ বছর আগে কিভাবে লেখা থাকে? অতএব কুরআনই হলো আল্লাহর লিখিত গ্রন্থ। (এই সময় জাকির নায়েক ব্যাং এর মতো মুখকে বিস্তৃত করে এক দৃষ্টিতে ক্যামারার দিকে তাকিয়ে থাকবেভাবটা এমন যে সেই প্রথম কুরআনকে বিজ্ঞানগ্রন্থ বলে প্রমাণ করে দিয়েছে।)
আর এভাবেই ভূলে ভরা কুরআন হয়ে যাবে বিজ্ঞানময় গ্রন্থকুরআনে যেটা বলা হয়েছে যে মানুষ একটি মাত্র মানুষ (আদম+হাওয়া) থেকে সরাসরি সৃষ্টি হয়েছে বিবর্তন প্রক্রিয়া ব্যতিত অর্থাৎ কুরআন বিজ্ঞানের বিরোধী কথা বলেছে সেই কথাটির অন্য অর্থ করার মাধ্যমেই ভূলে ভরা কুরআন হয়ে যাবে বিজ্ঞানময়

মুসলমানরা আরো একটি আয়াত এনে ভূলে ভরা কুরআনকে বিজ্ঞানময় দাবী করতে পারবে এবং সেটাই করবে
সূরা আরাফ, আয়াত ১৮৯
"তিনিই আল্লাহ যিনি তোমাদেরকে এক ব্যাক্তি (আদম) হতে সৃষ্টি করেছেন এবং সেই ব্যাক্তি হতেই তাঁর সঙ্গিনী (হাওয়া) কে সৃষ্টি করেছেন যেন তিনি তার নিকট থেকে প্রশান্তি লাভ করতে পারেন, অতঃপর যখন সে তার (স্ত্রীর) সাথে মিলনে প্রবৃত্ত হয় তখন সেই মহিলাটি এক গোপন ও লঘু গর্ভধারণ করে,..."
এই আয়াতে আদম হাওয়া থেকে পুরো মানব জাতি সৃষ্টির কথা বলা হয়েছেআদম হাওয়ার গল্প (রুপকথা) অনুযায়ী প্রথমে সৃষ্টিকর্তা ফেরেশতাদেরকে দিয়ে পৃথিবী থেকে মাটি নিয়ে যেয়ে আদমের মুর্তি তৈরী করেছে এবং পরে এতে রুহু বা আত্মা দিয়ে জীবন্ত করেছেএবং পরে আদমের বুকের হাড় দিয়ে হাওয়াকে সৃষ্টি করেছেআর তাদেরকে জান্নাত থেকে ঘাড় ধরে বের করে দিয়ে পৃথিবীতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছেআর তারপর থেকেই আদম হাওয়ার কুকীর্তির জন্য পুরো মানব সমাজ তৈরী হয়েছে
রুপকথার এই গল্পকে প্রথমে ইহুদিদের তৌরাতে এবং পরে খ্রিস্টানদের বাইবেলে নেওয়া হয়েছেসেই গল্পটিকেই মুহাম্মদ তার রচিত কুরআনে ঢুকিয়ে দিয়েছেতাই আব্রাহামিয় এই তিন ধর্মই আদম হাওয়ার রুপকথার গল্পটিকে সত্য বলে মনে করে
এই আয়াতে যদিও আদম হাওয়া থেকে পুরো মানব জাতির আবির্ভাবের কথা বলা হয়েছে কিন্তু মুসলমানরা ভবিষ্যতে দাবী করতে পারবে যে এই আয়াতে এক ব্যক্তি বলতে এক কোষী ব্যাকটেরিয়ার কথা বুঝানো হয়েছে
মুসলমানরা দাবী করতে পারবে যে, বিজ্ঞান বলে জীব সৃষ্টি হয়েছে এককোষী ব্যাকটেরিয়া থেকেআর পরবর্তীতে এককোষী ব্যাকটেরিয়া থেকে বহুকোষী ব্যাকটেরিয়া সৃষ্টি হয়েছেএবং তা থেকেই সমগ্র জীবজগত সৃষ্টি হযেছেআর কুরআনেও উল্লেখ আছে যে আল্লাহ জীবজগতকে এক ব্যক্তি বা এক কোষী জীব থেকে সৃষ্টি করেছেএবং পরে এককোষী জীবের সঙ্গী অর্থাৎ বহুকোষী জীব সৃষ্টি করেছেএবং তারপর নারী ও পুরুষের মিলনের মাধ্যমে বংশধর সৃষ্টি করেছে
অর্থাৎ বিজ্ঞান ও কুরআন একই কথা বলেছে
জাকির নায়েকের মতো মিথ্যেবাদী ও চতুর মুসলমানগুলো দাবী করবে, এখানে এক ব্যক্তি বা এক সত্বা বুঝাতে যে শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে সেটি এসেছে আরবী ভন্ডা শব্দটি থেকে যার অর্থ এক ব্যক্তি বা এক কোষী প্রাণীআর কুরআনে যখন এই শব্দটি ব্যবহৃত হয় তখন এটির অর্থ এক ব্যক্তি বুঝায় না বরং এক কোষী জীব বা এক কোষী ব্যাকটেরিয়া বুঝায়এবং তার সঙ্গীনী বুঝাতে যে শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে সেটি এসেছে আরবী শব্দ প্রতারক থেকেআর আরবী প্রতারক অর্থ সঙ্গীনী বা বহুকোষী জীবআর এই শব্দটি যখন কুরআনে ব্যবহৃত হয় তখন এর অর্থ সঙ্গীনী হবে না, হবে বহুকোষী জীব
আর আধুনিক বিজ্ঞানও একমত যে জীব সৃষ্টি হয়েছে এককোষী ব্যাকটেরিয়া থেকেঅর্থাৎ আধুনিক বিজ্ঞান যেটা আবিষ্কার করেছে কিছু দিন আগে সেটাই কুরআনে লেখা হয়েছে সেই ১৪০০ বছর আগেআধুনিক বিজ্ঞান যেটা সেই সেদিন আবিষ্কার করলো সেটা কুরআনে ১৪০০ বছর আগে কিভাবে লেখা থাকে? অতএব একথা অস্বীকার করা যাবে না যে কুরআন আল্লাহর বাণী। (এই সময় জাকির নায়েক মুখটাকে উঠপাখির ডিমের মতো বর্তুলাকার ধারণ করে ক্যামারার দিকে তাকিয়ে থাকবে দীর্ঘক্ষনযেন মহা বৈজ্ঞানিক থিউরী আবিষ্কার করে ফেলেছে।)
আর এভাবেই তারা ভূলে ভরা কুরআনকে বিজ্ঞানময় দাবী করবে
কুরআনকে বিজ্ঞানময় বানানো কত সহজভূল আয়াতগুলোর কোন একটি শব্দের অর্থকে পরিবর্তন করে বিজ্ঞানের সাথে মিলে যায় এমন অর্থ এনে পুরো আয়াতের অর্থকে বদলে দাও এবং মিথ্যে কুরআনের ভূল আয়াতের অর্থ বিজ্ঞানের অনুরুপ বানিয়ে কুরআনকে বিজ্ঞানময় দাবী করোএতে ভূলও সংশোধন হলো এবং মিথ্যে কুরআনও বিজ্ঞানময় হয়ে গেলো

মুসলমানরা বা জাকির নায়েকের মতো লোকগুলো এখনও এই আয়াতগুলো উল্লেখ করে বিবর্তনবাদকে কুরআনে আবিষ্কার করেনিএবং বিবর্তনবাদকে মেনেও নেয়নিযেহেতু মুসলমানরা খ্রিস্টানদের সব কিছু থেকেই ধারণা নেয় এবং খ্রিস্টানদের কিছু মানুষ বিবর্তনবাদকে মেনে নিলেও বাকীরা নেয়নি; তাই সব খ্রিস্টানরা বিবর্তনবাদকে মেনে নিবে যেদিন সেদিন মুসলমানরাও তাদেরকে অনুসরণ করে বিবর্তনবাদকে মেনে নেবে এবং কুরআনের কিছু আয়াতের অর্থকে পরিবর্তন করে কুরআনে বিবর্তনবাদকে খুজে পাবেআর দাবী করবে কুরআনে বিজ্ঞানের আবিষ্কারের কথা ১৪০০ বছর আগেই লেখা আছে
আমি দেখিয়েছি যেভাবে মুসলমানরা বিজ্ঞানের সব থিউরীকে প্রথমে অস্বীকার করে, এর বিরোদ্ধে অপপ্রচার চালায় এবং পরে সেটাকেই ধর্মগ্রন্থে লেখা আছে বলে দাবী করে ঠিক সেভাবে তারা বিবর্তনবাদকেও একদিন মেনে নেবে সেই ভবিষ্যৎবাণী করেছি মাত্র
মুসলমানরা যেভাবে বিজ্ঞানের সব আবিষ্কার কুরআনে আছে বলে দাবী করে এবং এটা প্রমাণ করতে যেয়ে তারা কুরআনের আসল অর্থকে পরিবর্তন করে দিয়ে এর মধ্যেকার একটি শব্দের ভিন্ন অর্থ এনে পুরো আয়াতের অর্থকে পরিবর্তন করে বিজ্ঞানের সাথে মিল রেখে নতুন করে অর্থ করে এবং কুরআনকে বিজ্ঞানময় বলে দাবী করে, ঠিক সেভাবে বিবর্তনবাদের ক্ষেত্রেও করবেআর সেটাই আমি ভবিষ্যৎবাণী করে দেখিয়েছি
এখনও তারা বিবর্তনবাদ কুরআনে আছে বলে দাবী করেনি; তবে আমার মতো সবাই একমত যে একদিন তারা কুরআনের আয়াতের সম্পূর্ণ ভিন্ন অর্থ তৈরী করে কুরআনে বিবর্তনবাদের উল্লেখ আছে বলে দাবী করবে
যেহেতু মুসলমানরা সব ক্ষেত্রে এমনটা করেছে তাই এটা নিশ্চিত করে বলা যায় বিবর্তনবাদের ক্ষেত্রেও এরা তাই করবে

বি.দ্র.: মুসলমানরা যেভাবে কুরআনের আয়াতের ভূলকে আয়াতে উল্লেখিত কোন এ নির্দিষ্ট শব্দের অর্থকে পরিবর্তন করে শব্দটির অন্যান্য ভিন্ন অর্থ এনে বিজ্ঞানের সাথে মিল রেখে নতুন অর্থ করে এবং কুরআনের ভূলকে সংশোধন করে কুরআনের অর্থকে বিজ্ঞানের সাথে মিল রেখে নতুন অর্থ করার মাধ্যমে কুরআনকে বিজ্ঞানময় বানায়, তাতে করে কুরআন ও ইসলামকে বাঁচাতে কিছু বোকা মানুষকে বোকা বানানো যায়কিন্তু সেটা করে কুরআনের সত্যতা প্রমাণ করা যায় নাকারণ কুরআনের আগের ভূল অর্থকে কোন একটি শব্দের অর্থ পরিবর্তনের মাধ্যমে বিজ্ঞানের সাথে মিল রেখে নতুন অর্থ করে কুরআনের ভূলকে সংশোধিত করা যায়কিন্তু তাতে কুরআন যে সত্যি সেটা প্রমাণ হয় নাবরং কুরআনের ভূলটিকে যে বিজ্ঞানের সাথে মিল রেখেই সংশোধন করা হয়েছে এটাই প্রমানিত হয়আর প্রমানিত হয় যে কুরআন ভূলকারণ কুরআনে ভূল ছিল বলেই কুরআনের অর্থকে বিজ্ঞানের সাথে মিল রেখে নতুন অর্থ করে কুরআনের ভূলকে সংশোধন করা হয়েছেফলে আসল কুরআন সত্য প্রমানিত হয় না আসল কুরআনে ভুল ছিল বলেই সেটাকে বিজ্ঞানের সাথে মিল রেখে সংশোধন করা হযেছে এটিই প্রমানিত হয়


7 comments:

  1. যেহেতু বেশীর ভাগ মুসলমান কুরআন পড়ে না এবং জানে না তাই তারা সেই সব মুসলমানদের এই চাতুরীটুকু ধরতে পারে না।
    আপনার লজিক থিক না । আপনি কিভাবে জানেন বেশির ভাগ মুসলিম কুরান পরে না । আপনি আপনার চারপাশের মানুষ দেখে বিচার করে ফেললে সেটা ঠিক নাও হতে পারে । আপনি বিজ্ঞান মনষ্ক মানুষ এটা আপনার জানা উচিত বিজ্ঞান যথেষ্ট স্যাম্পলে বিচার না করে ফলাফল দেয় না আপনি কইটা মুসলিম কে চেনেন । ২০০/৩০০/৫০০/১০০০? এতা দেখেই আপনি ১০০০০০০০০+ মুস্লিম কে কুরান পরে না ম্যাক্সিমাম রায় দিয়ে ফেলছেন ?

    ReplyDelete
    Replies
    1. কুরআন পড়া আর বোঝা কি একই জিনিস?

      Delete
  2. কারণ মুসলমানদের মাথায় এমনিতেই বুদ্ধি কম। তারা খ্রিস্টানদের ধারণা নকল করে কুরআনকে বিজ্ঞানময় বানায়।
    এটা কন বৈজ্ঞানিক থিওরি তে প্রমান হয়েছে জানাবেন প্লিজ !!!!!!!!

    ReplyDelete
  3. অর্থাৎ রাসায়নিক পদার্থ দ্বারা এবং রাসায়নিক বিক্রিয়ার মাধ্যমেই জীবন বা প্রাণ সৃষ্টি হয়।আর ধর্ম অনুযায়ী মাটির দেহে সৃষ্টিকর্তা আত্মা ঢুকিয়ে দেবার মাধ্যমে মাটির দেহ জীবন পেয়েছে। কিন্তু বিজ্ঞান আত্মার ধারণাকে বাতিল করে দিয়েছে এবং এবাইয়োজেনেসিস ও বিবর্তনবাদকে সত্য বলে রায দিয়েছে।
    knowledge of science multiplies twice by approximately every 8 year ..... Most of the time it is based on reforming previous proven theories , proving previous theories wrong , do u know that?? Aristottle was a lot of things among them he was a scientist ,ryt? He himself said that sun rotates around earth until gallileo proved him wrong do u remember that ??? So where is the proof that what u r holding as a fact it will not be proved wrong in future ? from ur posts i find that (it is my finding only ) u r trying to be rational by thinking in the way of sciece ,ryt ?? Do u know many research are going on based on quran ??? Even if in harvard university there were many seminars held based on quran & bible ....... Nobody proved till now quran is mere words it holds no truth, am I ryt ? You are believing in words of HUMAN i.e. P.hd holders , world class researchers, scientists who have established many truths recently according to those books but u are facing trouble believing Muhammad because he was illeterate ? Then please state how is it possible that that illeterate man was far smarter that nobody could prove him wrong and research are based on his words??? Isn't that funny??? Ok ...u r literate....u r literate man .... u r smarter than him .....u r rational......than why don't u write one single verse as he did that will be proved right tomorrow..... I guess than those dumb people will follow u .......

    ReplyDelete
  4. আপনি বিবরতনবাদ কে প্রভেন ধরে নিয়ে আরগুমেন্ত করতেসেন । এতা নিশ্চই জানা আছে অনেক বিখ্যাত বিজ্ঞানি বিবরতনবাদ মানেন না । মায়ের গরভে সুক্রানু র ডিম্বানুর থেকে শিশুর জন্ম হয় । জিবনের উত্তপত্তি আমিনো এসিড থেকে বানরের or গরিলা থেকে চুল দাড়ি শেভ করে মানুষ হই নাই এটা অনেক বিজ্ঞানি মনে করেন ।

    if a species experiences evolution it will happen from time to time this the way of evolution ...Evolution will affect in physical and mental structure of that species ..... Physical resembelance does not indicate a species is direct descendant from another.... Know all the variables ..... that is the way science....

    So whom u believe its upto you ..... but dont mock others because of your superiority complex .

    ReplyDelete
    Replies
    1. আপনি বোকার মত কথা বলছেন। সত্য কখনো গণতন্ত্র দিয়ে নির্ধারিত হয় না। যা সত্য তা পৃথিবীর কেউ না মানলেও সত্য, আর যা মিথ্যা তা সবাই মানলেও মিথ্যা। অনেক বিজ্ঞানী বিবর্তন মানে না তো কি হয়েছে ? ফিজিক্সের একটা শাখা কোয়ান্টাম মেকানিক্স ( যেমন জীববিজ্ঞানের একটা শাখা বিবর্তন )। আপনি জানেন কি যে আইনস্টাইন কোয়ান্টাম মেকানিক্স মানত না ? যদিও কোয়ানটাম মেকানিক্স পরীক্ষিত সত্য ( বিবর্তনের মত )। তারপর ফ্রেড হয়েল নামে এক জ্যোতির্বিজ্ঞানী সফলভাবে নক্ষত্রের বিস্ফোরণ থেকে ভারী মৌলসমূহের ( কার্বন, অক্সিজেন, লোহা, ফসফরাস, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, সোনা ) উৎপত্তি ব্যাখ্যা করছে। কত বড় বিজ্ঞানী চিন্তা করে দেখুন। সেই হয়েল আবার বিগ ব্যাং থিওরী মানত না। অথচ বিগ ব্যাং এর প্রমাণ দিতে পারার জন্যই পেনজয়াস এবং উইলসন 1978 সালে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন। তাহলে কি বুঝলেন ? এক বা একাধিক বিজ্ঞানী ( আইনস্টাইনের মত ) বিজ্ঞানের কোন তত্ত্ব অস্বীকার করার মানে এই নয় যে সেটা সত্য নয়। বিজ্ঞানে কোন হাইপোথিসিস পরীক্ষার মাধ্যমে প্রমাণিত হলে তত্ত্ব হয়ে উঠে। আর যা তত্ত্ব তা সত্য। লক্ষ লক্ষ বিজ্ঞানী না মানলেও সত্য। মাথায় কিছু ঢুকছে ?

      Delete
  5. যদি বলি, মাটি থেকে গাছ হয়, তার মানে কি এই যে মাটি গাছে রূপান্তরিত হয়? নাকি মাটির উপাদান গাছে পরিনত হয়?যারা ডারউইনের বিবর্তনবাদে মজে আছেন তাদের প্রতি-Don't let them make a Monkey of You!

    ReplyDelete