Translate

Search This Blog

বিশেষ সতর্কবার্তাঃ

এই ব্লগটি নাস্তিক, অজ্ঞেয়বাদী, সন্দেহবাদী, মুক্তমনা এবং স্বাধীনচেতা মানুষদের জন্য। যারা যেকোন বিষয়ের সমালোচনা সহ্য করার মত ক্ষমতা রাখে। যদি কোন ধার্মিক, গোড়া ধার্মিক আস্তিক এই ব্লগটিতে আসে তবে তার ধর্মানুভূতি নামের অদ্ভূত দূর্বল অনিভূতি আঘাতপ্রাপ্ত হলে ব্লগ লেখক দায়ী থাকবে না। ধার্মিক, গোড়া ধার্মিক আস্তিকদের নিজ দায়িত্বে তাদের দূর্বল ধর্মানুভূতিকে সংরক্ষনের দায়িত্ব নিতে হবে। কারো ধর্মানুভূতি নামের অযৌক্তিক অনুভূতি আহত হবার জন্য কোন ক্রমেই ব্লগার বা লেখককে দায়ী করা যাবে না। যদি কোন অতি দুর্বল ধর্মানুভূতি সম্পন্ন ব্যাক্তি এই ব্লগে ভূল করে ঢুকে পরেন এবং তিনি তার অনুভূতিকে দূর্বল ভাবেন অর্থাৎ যিনি তার ধর্মের উপযুক্ত সমালোচনা সহ্য করতে অপারগ, তাকে বিনীত ভাবে এই ব্লগটি থেকে প্রস্থান করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। এর পরেও যদি কোন দূর্বল ধর্মানুভূতি সম্পন্ন ব্যাক্তি এই ব্লগটিতে ঘুরাফেরা করেন এবং তার ফলে তার দূর্বল ধর্মানুভূতিতে আঘাত প্রাপ্ত হন তবে কোন ক্রমেই এবং কোন ক্রমেই ব্লগের মালিক, 'আমি নাস্তিক' দায়ী থাকবে না।

Friday, May 6, 2016

আল্লাহ অজ্ঞতায় মুহাম্মদকেও হার মানায় ! (পর্ব ৭) সূর্য ও চন্দ্র কি শুধু একটি নির্দিষ্টকাল পর্যন্তই ভ্রমণ করে? সেই নির্দিষ্টকালটা শেষ হলে সূর্য ও চন্দ্র কি করে?



মুসলমানরা অন্ধভাবে বিশ্বাস করে যে তাদের আরবীয় সৃষ্টিকর্তা নিজে কুরআন লিখেছে এবং সেটা জিব্রাইল ফেরেশতা নামের এক কাল্পনিক (আল্লাহর) কর্মী দ্বারা মুহাম্মদের কাছে পর্যায়ক্রমে পাঠিয়েছে। কিন্তু কুরআনের হাজারটা ভূল দেখে এটা বুঝা যায় যে তাদের আরবীয় সৃষ্টিকর্তা মোটেও কোন বুদ্ধিমান সর্বজ্ঞানী সৃষ্টিকর্তা নয়। তার জ্ঞান এবং বুদ্ধি দেড় হাজার বছর আগের স্বাধারণ মানুষের বুদ্ধি জ্ঞানের সমতুল্য। কোন কোন কথা শুনলে বুঝা যায় যে সেই আরবীয় সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর জ্ঞান তৎকালীন আবরীয় মানুষের চেয়েও কম ছিল। মুহাম্মদের মুখ থেকেই যেহেতু কুরআনের সব বাণী বর্ণিত হয়েছে তাই ধরে নেওয়া যায় যে কুরআনের লেখক আরবীয় সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ মুহাম্মদের মতই অজ্ঞ বা বুদ্ধিহীন।
প্রকৃতপক্ষে মুহাম্মদের বুদ্ধির সমানই মুহাম্মদের কাল্পনিক আল্লাহর জ্ঞান এবং বুদ্ধমত্তা ছিল। হয়তো তার জ্ঞান বৃদ্ধি মুহাম্মদের চেয়েও কম ছিল। পূর্বের পর্বগুলোতে সেটা প্রমাণিত হয়েছে। পর্বেও সেটা প্রমাণ করা হচ্ছে।
মুসলমানদের আরবীয় সৃষ্টিকর্তা কুরআনের সূরা রা'-এর নং আয়াতে বলেছে,
"আল্লাহই ঊর্ধ্বদেশে আকাশমন্ডলী স্থাপন করেছেন স্তম্ভ ব্যতীত, তোমরা এটা দেখছো; অতঃপর তিনি আরশে সমুন্নীত হলেন এবং সূর্য চন্দ্রকে নিয়মানুবর্তী করলেন; প্রত্যেকে নির্দিষ্টকাল পর্যন্ত আবর্তন করে,..."


একই কথা বলা আছে সূরা লোকমানের ৩০ নং  আয়াতে এবং সূরা ফাতিরের ১৩ নং আয়াতে,

"তিনি চন্দ্র-সূর্যকে করেছেন নিয়মাধীন, প্রত্যেকটি পরিভ্রমন করে নির্দিষ্টকাল পর্যন্ত; " (সুরা লোকমান, আয়াত ২৯)

"....তিনি সূর্য চন্দ্রকে করেছেন নিয়ন্ত্রিত, প্রত্যেকে পরিভ্রমন করে এক নির্দিষ্টকাল পর্যন্ত ..." (সুরা ফাতির, আয়াত ১৩)

এই আয়াত অনুযায়ী সূর্য চন্দ্রকে একটি নিয়মের মধ্যে রাখা হয়েছে যাতে সূর্য এবং চন্দ্র একটি নির্দিষ্টকাল বা একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত পরিভ্রমণ করে।

কুরআনে যেহেতু বলা হয়েছে সূর্য এবং চন্দ্র এই দুটোই একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত পরিভ্রমণ করে তাহলে প্রশ্ন আসতেই পারে যে সূর্য চন্দ্রের ওই নির্দিষ্টকাল পরিভ্রমণ শেষ হলে এরা কি করে? এবং এই নির্দিষ্ট সময় পরিভ্রমণ করার পরে এরা কোথায় যায়?
এই নির্দিষ্টকাল পরিভ্রমন করার পরে কি এরা কিছু সময় বিশ্রাম নেয়?
আয়াতগুলোর দিকে ভালো করে তাকিয়ে দেখুন স্পষ্ট করে বলা হয়েছে যে, সূর্য চন্দ্র উভয়েই একটা নির্দিষ্টকাল বা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্তই পরিভ্রমণ করে বা ভ্রমণরত অবস্থায় থাকে। নির্দিষ্টকাল বা সময়টা শেষ হলে সূর্য চন্দ্র আর পরিভ্রমণ করে না। নির্দিষ্টকাল পর্যন্ত পরিভ্রমণ করে এই কথাটি বলে সূর্য চন্দ্রের ভ্রমণ কাল বা ভ্রমণের সময়কে নির্দিষ্ট করে দিয়েছে। আর আমরা স্বাধারণ মানুষরাও দেখতে পাই যে, সূর্য চন্দ্র দুটোই দিনের একটি নির্দিষ্টকাল পর্যন্তই পরিভ্রমনরত থাকে। যেমন সূর্য সকাল থেকে সন্ধা পর্যন্ত পরিভ্রমণ করে এবং চন্দ্র সন্ধা থেকে সকাল পর্যন্ত একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত পরিভ্রমন করে।
অর্থাৎ খালি চোখে দেখলে মনে হয় সূর্য চন্দ্র দিনের একটি নির্দিষ্টকাল পর্যন্তই ভ্রমণ করে বা ভ্রমণরত থাকে। তাই খালি চোখে কুরআনের এই বাণীটি একেবারে সত্য।
কিন্তু সমস্যা হচ্ছে বিজ্ঞানের দাবীতে। বিজ্ঞান দাবী করেছে যে সূর্য চন্দ্র কোন দিনই একটা নির্দিষ্টকাল পর্যন্ত পরিভ্রমন করেনি, করে না এবং ভবিষ্যতেও করবে না। অর্থাৎ বিজ্ঞানের দাবী অনুযায়ী কুরআনের বানীটি সম্পূর্ণ মিথ্যা।

আধুনিক কালে আমরা জেনে গেছি যে, পৃথিবীতে কোন সত্য মাধ্যম থাকলে সেটা একমাত্র বিজ্ঞান। বিজ্ঞানের এই যুগে সবাই একমত যে বিজ্ঞানের মতো সত্য কোন মাধ্যম আর দ্বিতীয়টি নেই। বিজ্ঞান যেসব তথ্য দেয় এবং সেই তথ্যের উপর ভিত্তি করে যে সব ভবিষ্যৎ বাণী করে সেগুলো সত্য হয়। বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তির যুগান্তকারী উন্নতিতে এটা প্রমাণিত যে বিজ্ঞান সূর্য চন্দ্রের ব্যাপারে যেসব তথ্য দিয়েছে তা অক্ষরে অক্ষরে সত্য। তাই বলা যায় যেহেতু বিজ্ঞান বলে সূর্যের এবং চন্দ্রের ভ্রমণ একটি নির্দিষ্টকাল পর্যন্ত নয় বরং উৎপত্তির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত এগুলো বিরতিহীন ভাবে ভ্রমণরত বা চলমান থাকে তাই কুরআনের বাণী সম্পূর্ণই মিথ্যা।
প্রাচীণকালের মানুষ সূর্য চন্দ্রকে দিনের একটি নির্দিষ্টকাল পর্যন্তই পরিভ্রমণ করতে দেখেছে। সূর্যের সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলমান থাকা দেখে ভেবেছিল সূর্য বুঝি সন্ধ্যা হবার পরে আর চলমান থাকে না। আবার চাঁদকেও মানুষ দিনের (অর্থাৎ রাতের) একটি নির্দিষ্টকাল পর্যন্তই পরিভ্রমণরত অবস্থায় দেখে এসেছে সেই প্রাচীণকাল থেকে। তাই তারা ধরেই নিয়েছে যে সূর্য চন্দ্র দিনের একটি নির্দিষ্ট কাল বা সময় পর্যন্তই পরিভ্রমণ করে।
মুহাম্মদের সময় যেহেতু মানুষ জানতো না যে সূর্য চন্দ্র সবসময়ই চলমান রয়েছে তাই মুহাম্মদও ভেবে নিয়েছিল যে সূর্য চন্দ্র শুধুমাত্র দিনের একটি নির্দিষ্ট সময়ই পরিভ্রমণ করে। তাই সে কুরআনে 'সূর্য চন্দ্র একটি নির্দিষ্টকাল পর্যন্তই পরিভ্রমণ করে' বলে লিখে দিয়েছে। আসলে মুহাম্মদ প্রাচীণ মানুষের মতই অজ্ঞ ছিল বলে সে এই প্রাচীণ ভ্রান্ত ধারনাটি কুরআনে লিখে দিয়েছে। সুতরাং বুঝাই যাচ্ছে যে মুহাম্মদই কুরআন লিখেছে। কোন সৃষ্টিকর্তা নয়। যদি মুসলমানদের (কাল্পনিক) সৃষ্টিকর্তা আল্লাহই কুরআন লিখেছে বলে মুসলমানরা দাবী করে, তাই বলতেই হয়, আল্লাহ একজন প্রাচীণ ধ্যান ধারণা সম্পন্ন অজ্ঞ মানুষ ছাড়া আর কিছুই নয়।

সূর্য চন্দ্র শুধুমাত্র দিনের একটি নির্দিষ্টকাল পর্যন্তই পরিভ্রমন করে। এই ধারণাটা যে সত্যই কুরআনে বলা হয়েছে তা বুঝা যায় কুরআনের একটি আয়াত এবং সেই আয়াতের ব্যাখ্যামূলক একটি হাদিসে। কুরআনের সুরা ইয়াসীন-এর ৩৮ নং আয়াতে বলা হয়েছে,
"এবং র্সূয ভ্রমণ করে ওর নির্দিষ্ট গন্তব্যের দিকে, এটা পরাক্রমশালী, সর্বাজ্ঞের নিয়ন্ত্রণ " (অনুবাদ- মুজীবুর রহমান)
তাহলে প্রশ্ন আসে সূর্যের গন্তব্য কোথায়? সূর্যের নির্দিষ্ট সময় ভ্রমণ শেষে কি তবে সূর্য তার গন্তব্যে পৌছে যায়? এই প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যায় এই আয়াতের ব্যাখ্যামূলক হাদিসটিতে। হাদিসটি হলো-

সহীহ বুখারী- ভলিউম , অধ্যায় ৫৪, নং-৪২১
আবু যর (রাঃ) হতে বর্ণিত :- তিনি বলেন, একদা সূর্য অস্ত যাবার সময় রসূল(সাঃ) আমাকে বললেন, "তুমি কি জান সূর্য কোথায় গমন করে?" আমি বললাম, আল্লাহ তাঁর রসূলই ভাল জানেন। তিনি বললেন, এটা যায় (ভ্রমন করে অর্থাত যেতে যেতে) আরশের নিচে পৌছে সিজদা করে এবং পুনরায় উদিত হওয়ার অনুমতি চায় এবং তাকে অনুমতি দেয়া হয়। এবং অচিরেই (এমন এক সময় আসবে) যখন সে প্রায় সেজদা নত হবে কিন্তু তা গৃহীত হবে না এবং নিজস্ব পথে যাত্রা করার অনুমতি চাইবে; কিন্তু আর অনুমতি মিলবে না, (বরং) তাকে নির্দেশ দেয়া হবে, সেই পথেই ফিরে যেতে - যে পথে সে এসেছে। এবং তখন সে পশ্চিম দিকে উদিত হবে। এটাই হলো আল্লাহর তাআলার এই বাণীর মর্ম :- এবং র্সূয ভ্রমণ করে ওর নির্দিষ্ট গন্তব্যের দিকে, এটা পরাক্রমশালী, সর্বাজ্ঞের নিয়ন্ত্রণ। (৩৬:৩৮)

এই হাদিসটিতে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে যে মুহাম্মদ বলছে সূর্য যেতে যেতে আল্লাহর আরশের নিচে পৌঁছে এবং সেজদা করে পরের দিন উঠার অনুমতি চায়। আল্লাহ অনুমতি দিলেই সে পরের দিন উদিত হয়। কিন্তু কেয়ামতের দিন সূর্য পুনরায় উদিত হবার জন্য প্রার্থনা করলেও তাকে আর উদিত হবার অনুমতি দেওয়া হবে না। বরং তাকে যেদিক থেকে (সূর্যটা) এসেছিল সেদিকেই ফিরে যেতে বলা হবে। ফলে সে পশ্চিম দিকে উদিত হবে এবং তখন কেয়ামত হবে।
হাদিসটি থেকে বুঝাই যাচ্ছে যে, সূর্য প্রতিদিন পূর্ব দিক থেকে উঠে পশ্চিম দিকে ঢুবে যায়। কিন্তু কেয়ামতের দিন পশ্চিম দিক থেকে উদিত হবে। আর একথা স্পষ্টভাবে প্রমাণ হয় যে সূর্য তার গন্তব্য শেষে আল্লাহর আরশের নিচে যায় এবং আল্লাহকে সেজদা করে। অর্থাৎ পূর্বের বর্ণিত আয়াতগুলোতে যেমনটি বলা হয়েছে যে, সূর্য চন্দ্র একটা নির্দিষ্টকাল পর্যন্তই ভ্রমণ করে ঠিক তেমনি এই আয়াতটিতে বলা হয়েছে যে, সূর্য তার নির্দিষ্টকাল ভ্রমণ শেষে আল্লাহর আরশের নিচে গিয়ে পৌছে। আর আল্লাহর আরশই হচ্ছে সূর্যের গন্তব্যস্থল।

এতোক্ষণে স্পষ্ট হওয়া গেলো কেন কুরআনে সূর্য চন্দ্রকে নির্দিষ্টকাল পর্যন্ত পরিভ্রমণ করে বলা হয়েছে। এবং সূর্যের একটি গন্তব্যস্থল রয়েছে বলে দাবী করা হচ্ছে। কুরআন লেখক ভেবেছিল যে স্বাধারণ মানুষ যেভাবে সূর্যকে পূর্ব থেকে পশ্চিমে ঢুবে যেতে দেখে ঠিক সেরকম ভাবেই সূর্য চন্দ্র পরিভ্রমণ করে। আর তাই কুরআন লেখক ধরেই নিয়েছে যে সূর্য চন্দ্রের ভ্রমণকাল নির্দিষ্ট। আর তাই সে ভেবেছে সূর্যের একটি নির্দিষ্ট গন্তব্যস্থল রয়েছে যেখানে সূর্য তার নির্দিষ্ট সময়ের ভ্রমণ শেষে আশ্রয় নেয়। তাই রাতের বেলায় সূর্যকে দেখা যায় না।

প্রকৃতপক্ষে এমন অবাস্তব, অবৈজ্ঞানিক ধারণা কোন প্রাচীণ অজ্ঞ মানুষেরই হতে পারে। তাই কুরআন লেখক একজন প্রাচীণ অজ্ঞ মানুষ ছাড়া আর কিছুই নয়। যেহেতু মুহাম্মদ নিজেই কুরআন লিখেছে তাই বলা যায় মুহাম্মদই সেই অজ্ঞ যে কুরআন লিখেছে এবং আল্লাহ নামের মুসলমানদের (কাল্পনিক) সৃষ্টিকর্তার বাণী বলে চালিয়ে দিয়েছে। এজন্যই কুরআনে এসব ভ্রান্ত ধারণাগুলো লেখা রয়েছে। প্রকৃতপক্ষে মুহাম্মদ একজন অজ্ঞ মানুষ বলেই এসব মিথ্যা তথ্য দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করে রাখতে চেয়েছে। আর তাই বলা যায় কুরআন লেখক সে যেই হোক না কেন  সে একজন অজ্ঞ। আর তাই মুহাম্মদ বা আল্লাহ যেই কুরআন লিখে থাকুক না কেন, সে একজন প্রাচীণ অজ্ঞতা সম্পন্ন মানুষ।

বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ আধুনিক কু-শিক্ষিত মুসলমানরা কুরআনের এই সব আয়াতকে উল্লেখ করে দাবী করে যে এখানে খুব বিজ্ঞানের কথা বলা আছে। এজন্য তারা কিছু কু-কৌশলের আশ্রয় নেয়। তারা কুরআনের অর্থকে বদলে দিয়ে নতুন অর্থ আনে এবং বিজ্ঞানকে উল্টা পাল্টাভাবে উপস্থাপন করে কুরআনকে বিজ্ঞানময় বলে মিথ্যা দাবী করে। কিন্তু আয়াতগুলো পড়লে স্পষ্ট বুঝা যায় কুরআনে বিজ্ঞানের কিছুতো নেইই বরং কুরআনে চরম ভ্রান্ত (ও মিথ্যা) কথা বলা আছে। যেমন মুসলমানরা সূর্যের গন্তব্য বলতে সোলার এপেক্সকে বুঝানো হয়েছে বলে দাবী করে। কিন্তু হাদিস বলছে সূর্যের গন্তব্যস্থল হলো আল্লাহর আরশ; সোলার এপেক্স নয়। আবার সোলার এপেক্স যে সূর্যের গন্তব্যস্থল নয় এই তথ্যটিই মুসলমানরা জানে না। সোলার এপেক্স হলো একটি কাল্পনিক রেখা যার দিকে আপাতত সূর্য গতিশীল রয়েছে বলে মনে হয়। কিন্তু সোলার এপেক্স কোন জায়গা নয় যে সূর্য সে দিকে যাবে এবং বিশ্রাম নেবে। প্রকৃতপক্ষে সূর্যের গন্তব্যের দিক (লক্ষ করুন গন্তব্যের দিক; গন্তব্য নয়) অর্থাৎ সোলার এপেক্স সর্বদা পরিবর্তনশীল। যেমন সূর্য এখন একটি নির্দিষ্ট দিকে যাচ্ছে। কিন্তু তারপর তার সোলার এপেক্স বদলে যাবে। অর্থাৎ সোলার এপেক্স কখনই সূর্যের গন্তব্যস্থল নয়। সোলার এপেক্স একটি কাল্পনিক বিন্দু। আর এই কাল্পনিক বিন্দুটিকে মানুষ চিহ্ণিত করেছে; সূর্য করেনি। সূর্য আপন মনে গতিশীল রয়েছে কোন বিরতি ছাড়াই। আর তাই কুরআনে যে ভাবে বলা হয়েছে যে সূর্য ও চন্দ্র দিনের একটি নির্দিষ্টকাল পর্যন্তই পরিভ্রমণ করে; বাকী সময় তার গন্তব্যস্থলে বিশ্রাম নেয় সেই দাবীটি সম্পূর্ণই মিথ্যা এবং কাল্পনিক। এর কোন বাস্তব ভিত্তি নেই; তাই কুরআন একটি মিথ্যা বই এবং কুরআন লেখক একজন প্রাচীণ ধ্যান ধারণার অজ্ঞ ব্যাক্তি।


5 comments:

  1. হা হা হা....ভাই আপনার ব্লগ পড়ে হাসব না কাঁদব বুঝতেছিনা। আপনার মত মহাজ্ঞানী(মহাঅজ্ঞ) মানুষ এই universe এ নাই আমি ১০০০% confirme.
    ভাই আপনে আগে বিজ্ঞান কি, কাকে বলে, কত প্রকার ও কি কি জানেন। তারপর সূর্য ও চন্দ্র নিয়ে মিনিমাম ১২ বছর study করেন তারপর ব্লগ লেখেন। বিজ্ঞানের নূন্যতম জ্ঞান আপনার নাই এটা বোধহয় আপনে বুঝতেছেন না। আপনাকে মূর্খ বললে, মূর্খরা ও অপমানে suicid খাইবো।
    শুধু কোরআনের একটা আয়াত আপনার জন্য -
    " এক বিন্দু শুক্র থেকে আমি তাকে সৃষ্টি করেছি, আর এখন সে মনে করে বিতর্ক করার ক্ষমতা তার রয়েছে, সে আমার ক্ষমতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে...
    মানুষ বড়ই অজ্ঞ"

    ReplyDelete
    Replies
    1. এসব ব্লগে মাথামোটা ছাগলদের আসতে কে বলে , পারলে যুক্তি দে না পারলে মাসিক মদীনা পড়।

      Delete
  2. মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ! কিন্তু আপনি যদি ব্যাক্তিগত আক্রমন না করে কিছুটা হলেও যুক্তি দিয়ে কথা বলতেন তবে খুবই খুশি হতাম। শুধু ব্যক্তিগত আক্রমন বা গালাগালি দিয়ে আসলে কোন কিছুই প্রতিষ্ঠিত হয় না। আপনি পোষ্টের যুক্তিটিকে যদি খন্ডানোর চেষ্টা করতেন তবে খুবই ভদ্রতার পরিচয় বহন করতো। ধন্যবাদ আবারো!
    you can visit this: https://www.youtube.com/channel/UCTE-ti9ZGXT8EVj43MQ4FOA

    ReplyDelete
  3. This comment has been removed by the author.

    ReplyDelete
  4. This comment has been removed by the author.

    ReplyDelete