Translate

Search This Blog

বিশেষ সতর্কবার্তাঃ

এই ব্লগটি নাস্তিক, অজ্ঞেয়বাদী, সন্দেহবাদী, মুক্তমনা এবং স্বাধীনচেতা মানুষদের জন্য। যারা যেকোন বিষয়ের সমালোচনা সহ্য করার মত ক্ষমতা রাখে। যদি কোন ধার্মিক, গোড়া ধার্মিক আস্তিক এই ব্লগটিতে আসে তবে তার ধর্মানুভূতি নামের অদ্ভূত দূর্বল অনিভূতি আঘাতপ্রাপ্ত হলে ব্লগ লেখক দায়ী থাকবে না। ধার্মিক, গোড়া ধার্মিক আস্তিকদের নিজ দায়িত্বে তাদের দূর্বল ধর্মানুভূতিকে সংরক্ষনের দায়িত্ব নিতে হবে। কারো ধর্মানুভূতি নামের অযৌক্তিক অনুভূতি আহত হবার জন্য কোন ক্রমেই ব্লগার বা লেখককে দায়ী করা যাবে না। যদি কোন অতি দুর্বল ধর্মানুভূতি সম্পন্ন ব্যাক্তি এই ব্লগে ভূল করে ঢুকে পরেন এবং তিনি তার অনুভূতিকে দূর্বল ভাবেন অর্থাৎ যিনি তার ধর্মের উপযুক্ত সমালোচনা সহ্য করতে অপারগ, তাকে বিনীত ভাবে এই ব্লগটি থেকে প্রস্থান করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। এর পরেও যদি কোন দূর্বল ধর্মানুভূতি সম্পন্ন ব্যাক্তি এই ব্লগটিতে ঘুরাফেরা করেন এবং তার ফলে তার দূর্বল ধর্মানুভূতিতে আঘাত প্রাপ্ত হন তবে কোন ক্রমেই এবং কোন ক্রমেই ব্লগের মালিক, 'আমি নাস্তিক' দায়ী থাকবে না।

Friday, February 10, 2017

কিভাবে ধর্মগ্রন্থগুলোকে বিজ্ঞানময় বানাবেন? ধর্মগ্রন্থগুলোকে বিজ্ঞানময় বানিয়ে আপনিও আস্তিক মহলে মহান বিজ্ঞানীর খেতাব পেতে পারেন! পর্ব ১


পুরো পৃথিবী জুরেই আস্তিকরা তাদের ধর্মগ্রন্থগুলোকে বিজ্ঞানময় গ্রন্থ বানাতে ব্যতিব্যস্ত থাকে। সব ধর্মের আস্তিকদেরই প্রধাণ লক্ষ হচ্ছে কিভাবে তাদের ভূলে ভরা ধর্মগ্রন্থকে বিজ্ঞানময় বানাতে পারে। এসব করতে যেয়ে তারা দিনরাত এক করে ফেলছে। এমন কোন অপচেষ্টা নেই যা তারা করে না তাদের ধর্মগ্রন্থগুলোকে বিজ্ঞানময় গ্রন্থ বানাতে। ধর্মগ্রন্থকে বিজ্ঞানময় বানিয়ে অনেক আম জনতা রাতারাতি মহা বিজ্ঞানী বনে গেছেন অন্ধবিশ্বাসী আস্তিকদের কাছে।

Friday, January 27, 2017

মানুষের শালীনতাবোধ বা শ্লীল ও অশ্লীলতাবোধ কোন পোষাকে বা জড় বস্তুর উপর নির্ভর করে না। নির্ভর করে মানুষের মন মানষিকতার উপর। তাই ওড়না বিতর্ক অর্থহীন।


পৃথিবীতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আছে ভাববার মতো কিন্তু অনেক মানুষ আছে যারা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বাদ নিয়ে কিছু অপেক্ষাকৃত কম বা গুরুত্বহীন বিষয় নিয়ে মাতামাতি করে যেমন কেউ কেউ আছে সেক্স নিয়ে খুব মাথা ব্যথা কে কে সেক্স করলো, কিভাবে করলো, কে কে কার সাথে কার বাসায় গেলো ইত্যাদি ইত্যাদি আবার কিছু কিছু মানুষ আছে যারা নারীদের পোষাক কেমন, তারা হাটে কিভাবে, তারা কথা বলে কি ভাবে, সেসব নিয়ে চিন্তায় অস্থির হয়ে যায় মাদের মাথা ব্যথার মূল কারণই যেন নারীদের পোষাক পরিচ্ছদ

Friday, July 1, 2016

আল কুরআনঃ ইহা একটি কৌতুক গ্রন্থ, গল্প গ্রন্থ, কবিতা গ্রন্থ, সন্ত্রাসী গ্রন্থ, নাকি কাম গ্রন্থ? (পর্ব ৫)



মুসলমানরা দাবী করে তাদের ধর্মীয় গ্রন্থ কুরআন স্বয়ং আল্লাহ নামের এক আরবীয় সৃষ্টিকর্তা নিজের হাতে লিখে লাওহে মাহফুজে সংরক্ষন করে রেখে দিয়েছিল সেই বিশ্বজগত সৃষ্টির প্রথম থেকেই এবং পর্যায়ক্রমে ঈহুদী খ্রিস্টানদের ফেরেশতা জিব্রাইল বা গ্যাব্রিয়েলের মাধ্যমে ইসলামের একমাত্র ধর্তাকর্তা প্রতিষ্ঠাতা মুহাম্মদের কাছে পাঠিয়েছে কিন্তু মুহাম্মদ ছাড়া অন্য কোন জীবন্ত মানুষই জিব্রাইলকে দেখেনি

Friday, June 24, 2016

নিজেদের মতাদর্শকে একমাত্র সত্য ও বাকীসব মতাদর্শকে ভূল মনে করা ধর্মীয় ও রাজনৈতিক দলগুলোই পৃথিবীর সব অশান্তির কারণ। শান্তি প্রতিষ্ঠার নামে অশান্তি সৃষ্টি করাই সেসব রাজনৈতিক দল ও ধর্মগুলোর কাজ।



যেসব ধর্মীয় ও রাজনৈতিক দল নিজেদের মতাদর্শটিকেই একমাত্র সত্য বলে বিশ্বাস করে এবং অন্য সব মতাদর্শকে ভূল মনে করে তারাই আসলে পৃথিবীতে শান্তি প্রতিষ্ঠার নামে সব অশান্তি সৃষ্টি করে থাকে।

Friday, June 17, 2016

বাইবেলঃ এটি একটি কৌতুক গ্রন্থ, গল্প গ্রন্থ, সন্ত্রাসী গ্রন্থ, রক্তপিপাসী গ্রন্থ নাকি মিথ্যার সংকলন। (পর্ব ৪)



পৃথিবীর সব ধর্মের মতই খ্রিস্টানরা বিশ্বাস করে তাদের ধর্মগ্রন্থ বাইবেল হলো সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত গ্রন্থ তবে তাদের গ্রন্থটি সৃষ্টিকর্তা জেহোবা নিজের হাতে লিখে পৃথিবীতে পাঠায়নি বরং জেহোবা বা ইয়াহুয়ের নানা সময়ে নবী রাসুলদের প্রতি অবতীর্ণ বাণীগুলোকে অনেক মানুষ কালক্রমে লিপিবদ্ধ করে রেখেছিল যা গ্রন্থাকারে বাইবেল বলা হয় অর্থাৎ খ্রিস্টানদের দাবী যদিও বাইবেলের বর্ণিত কথাগুলো ঈশ্বর বা সৃষ্টিকর্তার তবুও এই বাণীগুলো লিখেছে সাধারণ মানুষ

Friday, June 10, 2016

কুরআন আল্লাহর বাণী নয়, কুরআন মুহাম্মদের বাণী । (পর্ব ১৬) নক্ষত্র সম্পর্কে কুরআনের আল্লাহর অজ্ঞতা।



পৃথিবীর আর দশটা ধর্মের মতই মুসলমানরা দাবী করে তাদের ধর্মগ্রন্থ কুরআন একটি সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত বা রচিত গ্রন্থ মুসলমানরা দাবী করে তাদের আরবীয় সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ কুরআন রচনা করে সেই রচনাগুলোকে পর্যায়ক্রমে মুসলমানদের নবী মুহাম্মদের কাছে ফেরেশতা মারফত পাঠিয়েছে পৃথিবীর আর দশটা ধর্মের মতই মুসলমানরা প্রমাণ দিতে পারে না যে কুরআন আসলেই কোন সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত গ্রন্থ কিনা যেমন মুসলমানরা প্রমাণ দিতে পারে না কুরআন আসলেই কোন দৈব শক্তিতে মুহাম্মদের কাছে এসেছে কিনা বরং ইতিহাস সাক্ষি দেয় মুহাম্মদ যা কিছুই সৃষ্টিকর্তার নামে নিজের মুখে বলতো সাহাবাগণ তাকে অন্ধের মতো বিশ্বাস করে সেগুলোকে সৃষ্টিকর্তার বাণী বলে মেনে নিত

Friday, June 3, 2016

বিজ্ঞান কি পরিবর্তনশীল? বিজ্ঞানের পরিবর্তনশীলতার জন্য কি বিজ্ঞানের উপর বিশ্বাস বা আস্থা রাখা উচিত নয়? নাকি বিজ্ঞানের প্রতি মানুষের বিশ্বাস ও আস্থার কারণ পরিবর্তনশীলতাই?




প্রায়ই এই প্রশ্নটি আসে অন্ধবিশ্বাসী এবং কুসংস্কারাচ্ছন্ন আস্তিক মহল থেকে -
প্রশ্নঃ বিজ্ঞান সর্বদা পরিবর্তনশীল। আজ এক কথা বলে তো কালই ভিন্ন কথা বলে। বিজ্ঞানে শেষ বলে কিছু নেই। যে বিজ্ঞান প্রতিনিয়ত পরিবর্তন হয় এবং কোন সিন্ধান্তেই আস্থাশীল থাকতে পারে না সেই বিজ্ঞানের উপর আস্থা রাখা বা বিজ্ঞানের সিদ্ধান্তকে বিশ্বাস করার কোনই যুক্তিকতা নেই।

উত্তরঃ যদি বিজ্ঞান পরিবর্তনশীল হওয়াতে বিজ্ঞানের উপর আস্থা রাখা অযৌক্তিক হতো তবে অফিস আদালতে বিজ্ঞানকে প্রমাণের মাপকাঠি ধরা হতো না।  আমরা সবাই জানি আদালতে প্রমাণ হিসেবে বিজ্ঞানের থিউরীগুলোকে সব থেকে প্রাধান্য দেওয়া হয়।
কেন?

Friday, May 27, 2016

সন্তান জন্মদানে মায়ের ভূমিকা অনেক অনেক বেশী; তাই মাতৃতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থাই অধিক যুক্তিযুক্ত। পুরুষের মত নারীদের মাধ্যমেও বংশরক্ষা হতে থাকে।


প্রকৃতিতে নারীর ভূমিকা প্রধান পুরো জীব জগত দাড়িয়ে আছে নারীর উপর ভর করে যদি প্রকৃতিতে নারী না থাকতো তবে কোন পুরুষের অস্তিত্ব থাকতো না পুরুষই প্রকৃতিতে বাহুল্য হতে পারে কিন্তু নারী কখনই বাহুল্য ছিল না কখনও হবেও না বরং নারী পুরুষকে বিলুপ্ত করার ক্ষমতা রাখে
বংশ টিকে থাকে নারীর জন্য প্রকৃতির সব জীবই টিকে আছে নারীর অবদানের কারণে তাই জীব জগতে  নারীর ভূমিকাই প্রধান অনেক প্রজাতি আছে যার পুরুষের দরকার হয় না
কার অবদান বেশী সেটা সবারই জানা তবুও পুরুষ তার বাহুবলে নারীকে বশীভূত করে রেখেছে নারীর দুর্বলতা কাজে লাগিয়ে সে শ্রেষ্ট সেজেছে কিন্তু পুরুষ কখনই শ্রেষ্ট ছিল না এবং সে শ্রেষ্ট নয়

Friday, May 20, 2016

মানুষের স্বাধীন ইচ্ছাশক্তির কোনই ভিত্তি নেই। এটি কিছু অজ্ঞ মানুষের দ্বারা তৈরি একটি ভ্রান্ত ধারণা মাত্র।


স্বাধীন ইচ্ছাশক্তি বলে কিছুর অস্তিত্ব এই বাস্তব জগতে নেই ধরুন আপনার খিদে লেগেছে কিন্তু আপনার কাছে খাবার নেই খাবার কেনার মতো কোন টাকাও নেই অথচ খিদের জ্বালায় আপনি অস্থির হয়ে যাচ্ছেন তখন আপনি কি করবেন? নিশ্চয়ই হন্নে হয়ে খাবারের খোজ করবেন প্রথমে আপনি এর ওর কাছ থেকে খাবার চাইলেন কিন্তু তারা খাবার দিতে অপারগতা প্রকাশ করলো কিন্তু আপনার খিদের মাত্রা বেড়েই যাচ্ছে হঠাৎ আপনি দেখলেন একজনের ঘরে খাবার রাখা আছে

Friday, May 13, 2016

ধর্মগ্রন্থে বিজ্ঞান রঙ্গ। পৃথিবীর অখ্যাত ধর্মের বিজ্ঞানময় কিতাবগুলোর বিজ্ঞানময় বর্ণনা।




ঘটনার সুত্রপাত আজ থেকে দুই বা আড়াই হাজার বছর আগে। এক বস্ত্রহীন পাগল রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলো। হঠাৎ একটি বুনো হাতি দৌড়িয়ে যাবার সময় সেই পাগলটাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে  দেয়। সাথে সাথেই পাগলটা উঠে সেই হাতিটিকে গালাগাল দিতে শুরু করে। সেখানে এক ভাবুক কবি বসে পুথি লেখার চেষ্টা করছিল। তার নজর পড়লো সেই পাগলের উপর। কি এক খেয়াল হলো তার সে পাগলটির গালাগালগুলো চট করে লিখে নিলো। এবং সুন্দর করে সেগুলোকে ছন্দের আকৃতি দিল। সেটি অনেকটা এরকম-